আলমগীর আলম
শীত এলেই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়; বিশেষ করে পানিঘাটতি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতাজনিত বিভিন্ন সমস্যা; যেমন পায়ের গোড়ালি ও পেশিতে টান পড়া। আরেকটি সমস্যা শীতে বেশি হয় তা হলো, কষা ও বাতজনিত ব্যথা বেড়ে যাওয়া। যাঁদের বাতের সমস্যা আছে, তাঁরা এরই মধ্যে টের পাচ্ছেন। ব্যথা ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। এই ব্যথা আপনি ওষুধ খেয়ে কমাতে পারবেন না; বরং ব্যথার ওষুধ খেলে শরীরে অন্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
পানির তৃষ্ণা না লাগার কারণে আমরা এ সময় পানি পান করি কম। অথচ নিয়ম অনুযায়ী একজন মানুষের সারা দিনে গড়ে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। সেটা যখন হচ্ছে না, তখন কী খেতে পারেন যা আপনার শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে, শরীর পানিময় থাকবে? এমন খাবার হচ্ছে স্প্রাউট ও রেইনবো সালাদ।
স্প্রাউট
স্প্রাউট হলো বিভিন্ন উদ্ভিদের অঙ্কুর, যা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারী যৌগ রয়েছে। শীতকালে এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শীতকালে হজম সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। স্প্রাউটে থাকা আঁশ হজমের উন্নতি করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে, পাঁচনশক্তি বাড়াতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। শীতকালে সর্দি-কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। স্প্রাউটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। স্প্রাউটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ হৃদ্রোগের ঝুঁকির কারণগুলো কমাতে সাহায্য করে।
রেইনবো সালাদ
শীতে টমেটো, গাজর, বিট, মুলা, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, ক্যাপসিকাম, মটরশুঁটি ইত্যাদি নানান সবজির সরবরাহ দেখা যায়। আমাদের প্রকৃতিতে এখন সবজির মৌসুম। খেয়াল করলে দেখবেন, ফলের গাছে ফল নেই। প্রকৃতি বলছে, এখন ফল নয়, সবজি খাওয়ার সময়।
রান্না করে সবজির নানা পদ খাওয়া যায়। তবে এ সময় সবজির রেইনবো সালাদ হতে পারে বুস্টার রেসিপি। কারণ, রঙধনু সালাদ হচ্ছে প্রাণজাগরণ খাবার, যা খেলে আপনি সজীব হয়ে উঠবেন, পেটের সমস্যা দূর হবে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, হৃৎপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি পাবে, ত্বক ভালো থাকবে, চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকবে, চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না।
কীভাবে করবেন
স্প্রাউট তৈরিতে আপনি আস্ত ছোলা ও ১০০ গ্রাম মুগডাল নিন। এই ছোলা-মুগ একটি বাটিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পানি ফেলে দিয়ে একটি বাটিতে রেখে তিন দিন ছয় ঘণ্টা পর পানি দিয়ে সেগুলো ধুয়ে নিন। দেখবেন তিন দিনের মধ্যে সাদা সাদা অঙ্কুর বের হয়ে ছোলা-মুগ জীবন্ত হয়ে উঠছে। এই জীবন্ত খাবার সকালের নাশতায় খান।
দুপুরে খাওয়ার আগে ভাত বা রুটি না খেয়ে রেইনবো সালাদ খেয়ে নিন। আপনার পছন্দের সবজিগুলো ভালো করে কেটে টমেটো, ক্যাপসিকাম, গাজর, মুলা, বিট, লেটুস, পুদিনা, ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে মেশান। সঙ্গে প্রয়োজনমতো তিল, তিসি, পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে, একটু নারকেল তেল মিশিয়ে দুপুরে খাওয়ার আগে খেয়ে নিন।
এই দুই খাবার বেশি বেশি খেলে শীত আপনাকে কাবু করতে পারবে না; বরং শীতটা উপভোগ্য হয়ে উঠবে। শরীরে বাতের ব্যথা থাকবে না, পেশিতে টান পড়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
আলমগীর আলম, খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
শীত এলেই আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়; বিশেষ করে পানিঘাটতি ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতাজনিত বিভিন্ন সমস্যা; যেমন পায়ের গোড়ালি ও পেশিতে টান পড়া। আরেকটি সমস্যা শীতে বেশি হয় তা হলো, কষা ও বাতজনিত ব্যথা বেড়ে যাওয়া। যাঁদের বাতের সমস্যা আছে, তাঁরা এরই মধ্যে টের পাচ্ছেন। ব্যথা ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। এই ব্যথা আপনি ওষুধ খেয়ে কমাতে পারবেন না; বরং ব্যথার ওষুধ খেলে শরীরে অন্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
পানির তৃষ্ণা না লাগার কারণে আমরা এ সময় পানি পান করি কম। অথচ নিয়ম অনুযায়ী একজন মানুষের সারা দিনে গড়ে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিত। সেটা যখন হচ্ছে না, তখন কী খেতে পারেন যা আপনার শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে, শরীর পানিময় থাকবে? এমন খাবার হচ্ছে স্প্রাউট ও রেইনবো সালাদ।
স্প্রাউট
স্প্রাউট হলো বিভিন্ন উদ্ভিদের অঙ্কুর, যা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস। এতে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারী যৌগ রয়েছে। শীতকালে এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শীতকালে হজম সমস্যার ঝুঁকি বেশি থাকে। স্প্রাউটে থাকা আঁশ হজমের উন্নতি করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে, পাঁচনশক্তি বাড়াতে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। শীতকালে সর্দি-কাশি এবং অন্যান্য সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। স্প্রাউটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে, যা বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে। স্প্রাউটে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও আঁশ হৃদ্রোগের ঝুঁকির কারণগুলো কমাতে সাহায্য করে।
রেইনবো সালাদ
শীতে টমেটো, গাজর, বিট, মুলা, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, ক্যাপসিকাম, মটরশুঁটি ইত্যাদি নানান সবজির সরবরাহ দেখা যায়। আমাদের প্রকৃতিতে এখন সবজির মৌসুম। খেয়াল করলে দেখবেন, ফলের গাছে ফল নেই। প্রকৃতি বলছে, এখন ফল নয়, সবজি খাওয়ার সময়।
রান্না করে সবজির নানা পদ খাওয়া যায়। তবে এ সময় সবজির রেইনবো সালাদ হতে পারে বুস্টার রেসিপি। কারণ, রঙধনু সালাদ হচ্ছে প্রাণজাগরণ খাবার, যা খেলে আপনি সজীব হয়ে উঠবেন, পেটের সমস্যা দূর হবে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, হৃৎপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি পাবে, ত্বক ভালো থাকবে, চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক থাকবে, চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না।
কীভাবে করবেন
স্প্রাউট তৈরিতে আপনি আস্ত ছোলা ও ১০০ গ্রাম মুগডাল নিন। এই ছোলা-মুগ একটি বাটিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পানি ফেলে দিয়ে একটি বাটিতে রেখে তিন দিন ছয় ঘণ্টা পর পানি দিয়ে সেগুলো ধুয়ে নিন। দেখবেন তিন দিনের মধ্যে সাদা সাদা অঙ্কুর বের হয়ে ছোলা-মুগ জীবন্ত হয়ে উঠছে। এই জীবন্ত খাবার সকালের নাশতায় খান।
দুপুরে খাওয়ার আগে ভাত বা রুটি না খেয়ে রেইনবো সালাদ খেয়ে নিন। আপনার পছন্দের সবজিগুলো ভালো করে কেটে টমেটো, ক্যাপসিকাম, গাজর, মুলা, বিট, লেটুস, পুদিনা, ধনেপাতা দিয়ে ভালো করে মেশান। সঙ্গে প্রয়োজনমতো তিল, তিসি, পেঁয়াজ-মরিচ দিয়ে, একটু নারকেল তেল মিশিয়ে দুপুরে খাওয়ার আগে খেয়ে নিন।
এই দুই খাবার বেশি বেশি খেলে শীত আপনাকে কাবু করতে পারবে না; বরং শীতটা উপভোগ্য হয়ে উঠবে। শরীরে বাতের ব্যথা থাকবে না, পেশিতে টান পড়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
আলমগীর আলম, খাদ্য পথ্য ও আকুপ্রেশার বিশেষজ্ঞ, প্রধান নির্বাহী, প্রাকৃতিক নিরাময় কেন্দ্র
শিশুদের কানে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। সাধারণত ৬ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে কানের সংক্রমণ বেশি হতে দেখা যায়। তিন বছরের কম বয়সী শতকরা ৩০ ভাগ শিশু কোনো না কোনো কারণে কানে ব্যথায় ভুগে থাকে।
৯ ঘণ্টা আগেদিন দিন ডিমেনশিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে এর চিকিৎসাপদ্ধতি এবং ওষুধ সহজলভ্য করার বিভিন্ন গবেষণা। এবার স্কটল্যান্ডের গবেষকেরা তৈরি করেছেন একটি বিশেষ এআই টুল। এটি চোখ পরীক্ষার মাধ্যমে ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।
৯ ঘণ্টা আগেডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে আপনার সন্তানের প্রথম ডেন্টাল চেকআপ কোন বয়সে করিয়েছেন? কিংবা কোন বয়সে শিশুর প্রথম ডেন্টাল চেকআপ করাতে হয়, সেই বিষয়টি কি নিশ্চয় আপনার জানা আছে?
৯ ঘণ্টা আগেশরীরে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে কিংবা ঘনত্ব বেড়ে গেলে বিপদ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে কার্ডিওভাসকুলারজনিত সমস্যা অন্যতম। সিবিসি টেস্টের রিপোর্ট নেতিবাচক হলে শুরু হয় রক্ত তরল করার নানান ওষুধে চিকিৎসা প্রক্রিয়া। তবে আগে থেকেই রক্তে ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার উপসর্গগুলো বুঝতে পেরে প্রাকৃতিক নিয়ম মেনে চলার...
৯ ঘণ্টা আগে