ডা. অদিতি সরকার
লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করে। খাবার হজম, ভিটামিন ও মিনারেল শোষণ, বিপাক প্রক্রিয়া এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও লিভার সাহায্য করে। সে জন্য লিভারের সমস্যা হলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও প্রভাব পড়ে। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানতে পারলে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়। তাতে বড় ধরনের সমস্যা এড়ানো সহজ হয়।
লিভার সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ
বমি বা বমির অনুভূতি: লিভারের সমস্যা হলে সাধারণত বমি বা বমির অনুভূতি হতে পারে, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।
অস্বাভাবিক ক্লান্তি: লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে শক্তির অভাব দেখা দিতে পারে
এবং ক্লান্তি বা অবসন্নতা অনুভূত হতে পারে।
পেটের ওপরের দিকে ব্যথা: পেটের ডান দিকে সাধারণ কিংবা কখনো তীব্র ব্যথা হতে পারে।
ত্বকে হলুদ ভাব বা জন্ডিস: লিভারের সমস্যা বিশেষত হেপাটাইটিস বা লিভার সিরোসিস হলে ত্বক বা চোখের সাদা অংশ হলুদ হতে পারে, যা জন্ডিস নামে পরিচিত।
খাবারের প্রতি আগ্রহের অভাব: এ সমস্যায় মানুষের খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়, যা পরবর্তী সময়ে ক্ষুধামান্দ্য তৈরি করতে পারে।
অস্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তন: শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে পেট ফুলে উঠতে পারে কিংবা হাত-পায়ের নখে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
লিভার সমস্যার প্রতিকার
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: লিভারের জন্য উপকারী খাবার হলো সবজি, ফলমূল এবং অল্প তেলে রান্না করা খাবার। ফাস্ট ফুড ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরের টক্সিন বের করতে পানি খুব সহায়ক। তাই পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা: অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ থেকে দূরে থাকতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন লিভারের সমস্যা তৈরি করতে পারে; বিশেষ করে লিভার ফ্যাটি ডিজিজ। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ: লিভারের কোনো সমস্যা অনুভব করলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করলে সমস্যা বাড়বে না।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা লিভারের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
ওষুধের সঠিক ব্যবহার: যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু কিছু ওষুধ লিভারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কবিরাজি ওষুধ সেবন সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।
লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখে দ্রুত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভবিষ্যতে বড় কোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: রেসিডেন্ট চিকিৎসক, বিএসএমএমইউ
লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি দেহের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করে। খাবার হজম, ভিটামিন ও মিনারেল শোষণ, বিপাক প্রক্রিয়া এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও লিভার সাহায্য করে। সে জন্য লিভারের সমস্যা হলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও প্রভাব পড়ে। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানতে পারলে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা যায়। তাতে বড় ধরনের সমস্যা এড়ানো সহজ হয়।
লিভার সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ
বমি বা বমির অনুভূতি: লিভারের সমস্যা হলে সাধারণত বমি বা বমির অনুভূতি হতে পারে, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।
অস্বাভাবিক ক্লান্তি: লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে শক্তির অভাব দেখা দিতে পারে
এবং ক্লান্তি বা অবসন্নতা অনুভূত হতে পারে।
পেটের ওপরের দিকে ব্যথা: পেটের ডান দিকে সাধারণ কিংবা কখনো তীব্র ব্যথা হতে পারে।
ত্বকে হলুদ ভাব বা জন্ডিস: লিভারের সমস্যা বিশেষত হেপাটাইটিস বা লিভার সিরোসিস হলে ত্বক বা চোখের সাদা অংশ হলুদ হতে পারে, যা জন্ডিস নামে পরিচিত।
খাবারের প্রতি আগ্রহের অভাব: এ সমস্যায় মানুষের খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায়, যা পরবর্তী সময়ে ক্ষুধামান্দ্য তৈরি করতে পারে।
অস্বাভাবিক শারীরিক পরিবর্তন: শরীরে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে পেট ফুলে উঠতে পারে কিংবা হাত-পায়ের নখে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
লিভার সমস্যার প্রতিকার
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: লিভারের জন্য উপকারী খাবার হলো সবজি, ফলমূল এবং অল্প তেলে রান্না করা খাবার। ফাস্ট ফুড ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান: শরীরের টক্সিন বের করতে পানি খুব সহায়ক। তাই পর্যাপ্ত পানি পান জরুরি।
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা: অতিরিক্ত মদ্যপান লিভারের জন্য ক্ষতিকর। তাই এ থেকে দূরে থাকতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন লিভারের সমস্যা তৈরি করতে পারে; বিশেষ করে লিভার ফ্যাটি ডিজিজ। তাই সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ: লিভারের কোনো সমস্যা অনুভব করলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করলে সমস্যা বাড়বে না।
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা লিভারের সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এসব সমস্যা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।
ওষুধের সঠিক ব্যবহার: যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু কিছু ওষুধ লিভারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। কবিরাজি ওষুধ সেবন সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে।
লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে সময়মতো চিকিৎসা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখে দ্রুত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হলে ভবিষ্যতে বড় কোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন: রেসিডেন্ট চিকিৎসক, বিএসএমএমইউ
পরিবারের শিশুটির জন্য খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তাজা ফল, সবজি, মাছসহ স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করা হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী, পরিবারের শিশু সদস্যটি কী ধরনের পানীয় গ্রহণ করছে, সেদিকে খেয়াল রাখছেন তো? অনেকেই শিশু-কিশোরদের পানীয় গ্রহণের পরিমাণে বা কী ধরনের পানীয় গ্রহণ করা ক্ষতিকর সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখেন না।
১৫ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৭ শতাংশ কিডনি রোগে আক্রান্ত। এই সংখ্যা ২ কোটির বেশি। প্রতিবছর তা বেড়েই চলেছে। কিডনি রোগীরা রোজা রাখতে চাইলে তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের অনুমতি নেওয়া সাপেক্ষে রোজা রাখতে হবে। রোজা রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শে আপনার খাদ্যতালিকা সাজাবেন।
১ দিন আগেকিডনি রোগীদের একটি সাধারণ জিজ্ঞাসা, তাঁরা রোজা রাখতে সক্ষম কি না। একজন কিডনি রোগী রোজা পালন করতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করে তাঁর সার্বিক শারীরিক সুস্থতা ও কিডনির কার্যক্ষমতার ওপর। ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডি স্টেজ ১ থেকে ৫ পর্যন্ত পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এর শেষ ধাপ ইন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ বা ইএসআরডি।
১ দিন আগেবড়রা রোজা পালন করলেও শিশুরা অর্থাৎ, ইনফ্যান্ট, টডলার ও প্রি স্কুল চাইল্ড রোজা রাখে না। তবে তারা পরিবারের সঙ্গে রমজানের পরিবেশ উপভোগ করতে পারে। শিশুর সঠিকভাবে যত্ন এবং পরিকল্পিত দিনযাপন নিশ্চিত করলে তারা সুস্থ থাকবে এবং রমজানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।
১ দিন আগে