আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনেক ভারতীয় সুস্বাস্থ্যের আশায় নিজের মূত্র পান করে থাকেন। আবার অনেকে গো-মূত্রও পান করেন। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই দাবি করতেন, প্রতিদিন এক গ্লাস করে নিজের মূত্রপান অনেক রোগ সারিয়ে তোলে ও দীর্ঘজীবন লাভে সহায়তা করে।
তবে কেবল মোরারজি দেশাইয়ের মতো ভারতীয়রাই নন, পশ্চিমা দুনিয়াতেও নিজের মূত্রপানের বিষয়টি বেশ পরিচিত। জনপ্রিয় টিভি তারকা বেয়ার গ্রিলস বলেন, তিনি বেঁচে থাকার জন্য মূত্রপান করেন। পাশাপাশি, তিনি তাঁর রিয়্যালিটি শো’র প্রতিযোগীদেরও এটি শেখান। মেক্সিকোর বক্সার হুয়ান ম্যানুয়েল মার্কেজ ২০০৯ সালে ফ্লয়েড মেওয়েদারের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণের সময় এই থেরাপি অনুশীলন করেছিলেন। তবে মার্কেজ হেরে গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা পরেশ রাওয়ালও মূত্রপান করে আলোচনায় এসেছে। তিনি সম্প্রতি পায়ের চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক অজয় দেবগনের বাবা বীরু দেবগন। তিনি পরেশ রাওয়ালকে মূত্রপানের পরামর্শ দেন।
এই বিষয়ে পরেশ বলেন, ‘আমার হাঁটুর চোটের কথা জানার পর তিনি (বীরু) আমাকে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিজের মূত্র পান করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সব যোদ্ধারা এটা করে। এই অভ্যাস করতে পারলে জীবনে কখনোই আর চোটজনিত কোনো সমস্যা ভোগাতে পারবে না। এ ছাড়া তিনি আমাকে অ্যালকোহল, রেড মিট আর তামাক পরিহারের পরামর্শ দেন।’
পরেশ আরও বলেন, ‘আমি নিজের প্রস্রাব বিয়ারের মতো করে পান করেছি। টানা ১৫ দিন এই পথ্য চলেছে। এরপর চিকিৎসকেরা আমার এক্স–রে রিপোর্ট দেখে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন!’ তাঁর ভাষ্যমতে, এ চোট সারতে আড়াই মাসের মতো লাগবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু মূত্র পানের ফলে সেরে গেছে মাত্র ১৫ দিনে!
যাই হোক, এই তারকারা যে থেরাপি অনুশীলন করেন—তার নাম ইউরোফাজিয়া, যা মূত্র থেরাপি নামেও পরিচিত। এটি হলো প্রস্রাব পানের অভ্যাস। নিজের, অন্যের বা পশুর প্রস্রাব যাই হোক না কেন, মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে ওষুধ হিসেবে এটি পান করে আসছে। মূত্র থেরাপির উপকারিতা সম্পর্কে বেশির ভাগ দাবিই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা প্রাচীন লেখার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত, যার কোনো জোরালো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
তবে প্রস্রাব পানে বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হাঁপানি, অ্যালার্জি, বদহজম, ত্বক কুঁচকে যাওয়া এবং এমনকি ক্যানসারের চিকিৎসায়ও প্রস্রাব ব্যবহৃত হতো। রোমান কবি ক্যাটুলাস বিশ্বাস করতেন, প্রস্রাব দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে—সম্ভবত এর অ্যামোনিয়া উপাদানের কারণে।
ডায়াবেটিস নির্ণয়ের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে ডাক্তাররা প্রস্রাবের স্বাদ নিতেন এটি কতটা মিষ্টি তা জানার জন্য। এখন অবশ্য প্রস্রাবে গ্লুকোজ পরীক্ষার জন্য ইউরিন টেস্ট স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ নেচারোপ্যাথ জন ডব্লিউ আর্মস্ট্রং ‘দ্য ওয়াটার অব লাইফ: এ ট্রিটিজ অন ইউরিন থেরাপি’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, নিজের প্রস্রাব পান করলে এবং ত্বকে মালিশ করলে বড় ধরনের অসুস্থতাও নিরাময় হতে পারে।
ঐতিহাসিকভাবে, চিকিৎসার বিকল্পের অভাবে অসুস্থতা নিরাময়ে প্রস্রাব পান হয়তো যুক্তিসংগত ছিল। কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের পরও উল্লিখিত প্রস্রাব পানকারী তারকাদের মতো অনেকের মাঝেই আজও এই অভ্যাস প্রচলিত। নাইজেরিয়ায় শিশুদের খিঁচুনির ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে প্রস্রাব ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে। চায়না ইউরিন থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, প্রস্রাব পান করা হলে এবং তা দিয়ে ত্বক ধৌত করা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের ঘা সারাতে পারে।
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য প্রস্রাব তৈরি হয়। এর বেশির ভাগটাই পানি (প্রায় ৯৫ শতাংশ) এবং কয়েকটি বর্জ্য পদার্থ—যার মধ্যে যকৃতে প্রোটিন ভাঙার পর তৈরি হওয়া ইউরিয়া (২ শতাংশ), মাংসপেশির শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়ার পর অবশিষ্ট থাকা ক্রিয়েটিনিন এবং লবণ। এখন প্রশ্ন হলো—প্রস্রাব যদি কেবল বর্জ্যই হয়, তাহলে এটি পান করা উপকারী হতে পারে কীভাবে?
কিডনি ছাঁকনির মতো কাজ করে—কেবল বিষাক্ত পদার্থই নয়, শরীরের অপ্রয়োজনীয় সবকিছুই এটি বের করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন যা প্রয়োজন নেই তা প্রস্রাবে পাওয়া যায়। প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এই ভিটামিন এবং খনিজগুলো নষ্ট না হয়ে পুনর্ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া প্রস্রাবে পাওয়া অন্যান্য হরমোন, প্রোটিন এবং অ্যান্টিবডির ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। তবে এক গ্লাস প্রস্রাবে এই পদার্থগুলোর পরিমাণ উপকারী হওয়ার মতো যথেষ্ট নয়, বরং এর চেয়ে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট বেশি কার্যকর হতে পারে।
মূত্র থেরাপির কিছু সমর্থক বিশ্বাস করেন, এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে এবং অটোইমিউন (স্ব-রোগপ্রতিরোধ) অবস্থা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রস্রাবে থাকা অ্যান্টিবডিগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে বলে মনে করা হয়।
প্রস্রাব পানের দাবি করা অন্যান্য আধুনিক ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে শরীর পরিষ্কার এবং ডিটক্সিফিকেশন। কিছু লোক দাবি করেছেন, নিয়মিত রিসাইকেল করা প্রস্রাব পান করলে প্রস্রাব এবং রক্ত আরও পরিষ্কার হয়, বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। তবে, এই দাবিগুলোর স্বপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
কিছু সামাজিক মাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেন, প্রস্রাবের নিরাময় ক্ষমতা আছে এবং এটি পান করলে বা ত্বকে লাগালে ব্রণ ও সংক্রমণের মতো ত্বকের সমস্যা ভালো হয়। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, প্রস্রাবে ইউরিয়া থাকে। আর প্রায়শই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকের পরিচর্যা পণ্যগুলোতে ইউরিয়া যোগ করা হয়। কিন্তু প্রস্রাবে ইউরিয়ার ঘনত্ব এত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই যে এটি কার্যকর হবে।
প্রস্রাবে ডিহাইড্রোপিয়ান্ড্রোস্টেরনও থাকে। এটি শরীরের তৈরি একটি স্টেরয়েড হরমোন যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। এটিকে অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে বাজারজাত করা হয়েছে। তবে এর কার্যকারিতা প্রদর্শনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
মূত্র থেরাপির কিছু সমর্থক বিশ্বাস করেন, প্রস্রাব জীবাণুমুক্ত। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রস্রাবে প্রাকৃতিকভাবেই কম মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকে এবং প্রস্রাব শরীর থেকে বের হওয়ার সময় ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আরও দূষিত হতে পারে। তাই প্রস্রাব পান করলে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করতে পারে এবং পাকস্থলী সংক্রমণের মতো আরও অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
প্রস্রাব শরীর থেকে বের হওয়ার পর আরও ঘনীভূত হয়। ফলে কেউ যদি প্রস্রাব পান করে তাহলে কিডনিকে অতিরিক্ত পদার্থ পরিস্রাবণ করার জন্য আরও বেশি কাজ করতে হতে পারে, যা সেগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এই লবণগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য কিডনির পানির প্রয়োজন হয়।
এই অবস্থায় প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এর থেকে যতটা পানি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দ্রুত বাড়ায়। প্রস্রাব পান অনেকটা সমুদ্রের পানি পানের মতো। পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক বা হৃদ্রোগের ওষুধের মতো কিছু ওষুধও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে পুনরায় প্রস্রাব পান করার মাধ্যমে এই ওষুধগুলোর বিষাক্ত মাত্রা শরীরে জমা হতে পারে।
মূলধারার চিকিৎসা সমাজ মূত্র থেরাপিকে সমর্থন করে না। কারণ, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অল্প পরিমাণে প্রস্রাব পান করা সম্ভবত ক্ষতিকর নয়। তবে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে এমন অন্যান্য থেরাপি গ্রহণ করাই ভালো।
লেখক: যুক্তরাজ্যের কিংস্টোন ইউনিভার্সিটির ফার্মাসি প্র্যাকটিস বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক দীপা কামদার। লিখেছেন বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশনে।

অনেক ভারতীয় সুস্বাস্থ্যের আশায় নিজের মূত্র পান করে থাকেন। আবার অনেকে গো-মূত্রও পান করেন। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই দাবি করতেন, প্রতিদিন এক গ্লাস করে নিজের মূত্রপান অনেক রোগ সারিয়ে তোলে ও দীর্ঘজীবন লাভে সহায়তা করে।
তবে কেবল মোরারজি দেশাইয়ের মতো ভারতীয়রাই নন, পশ্চিমা দুনিয়াতেও নিজের মূত্রপানের বিষয়টি বেশ পরিচিত। জনপ্রিয় টিভি তারকা বেয়ার গ্রিলস বলেন, তিনি বেঁচে থাকার জন্য মূত্রপান করেন। পাশাপাশি, তিনি তাঁর রিয়্যালিটি শো’র প্রতিযোগীদেরও এটি শেখান। মেক্সিকোর বক্সার হুয়ান ম্যানুয়েল মার্কেজ ২০০৯ সালে ফ্লয়েড মেওয়েদারের সঙ্গে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণের সময় এই থেরাপি অনুশীলন করেছিলেন। তবে মার্কেজ হেরে গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা পরেশ রাওয়ালও মূত্রপান করে আলোচনায় এসেছে। তিনি সম্প্রতি পায়ের চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক অজয় দেবগনের বাবা বীরু দেবগন। তিনি পরেশ রাওয়ালকে মূত্রপানের পরামর্শ দেন।
এই বিষয়ে পরেশ বলেন, ‘আমার হাঁটুর চোটের কথা জানার পর তিনি (বীরু) আমাকে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে নিজের মূত্র পান করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সব যোদ্ধারা এটা করে। এই অভ্যাস করতে পারলে জীবনে কখনোই আর চোটজনিত কোনো সমস্যা ভোগাতে পারবে না। এ ছাড়া তিনি আমাকে অ্যালকোহল, রেড মিট আর তামাক পরিহারের পরামর্শ দেন।’
পরেশ আরও বলেন, ‘আমি নিজের প্রস্রাব বিয়ারের মতো করে পান করেছি। টানা ১৫ দিন এই পথ্য চলেছে। এরপর চিকিৎসকেরা আমার এক্স–রে রিপোর্ট দেখে একেবারে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন!’ তাঁর ভাষ্যমতে, এ চোট সারতে আড়াই মাসের মতো লাগবে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু মূত্র পানের ফলে সেরে গেছে মাত্র ১৫ দিনে!
যাই হোক, এই তারকারা যে থেরাপি অনুশীলন করেন—তার নাম ইউরোফাজিয়া, যা মূত্র থেরাপি নামেও পরিচিত। এটি হলো প্রস্রাব পানের অভ্যাস। নিজের, অন্যের বা পশুর প্রস্রাব যাই হোক না কেন, মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে ওষুধ হিসেবে এটি পান করে আসছে। মূত্র থেরাপির উপকারিতা সম্পর্কে বেশির ভাগ দাবিই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা প্রাচীন লেখার ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত, যার কোনো জোরালো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
তবে প্রস্রাব পানে বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে, যার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হাঁপানি, অ্যালার্জি, বদহজম, ত্বক কুঁচকে যাওয়া এবং এমনকি ক্যানসারের চিকিৎসায়ও প্রস্রাব ব্যবহৃত হতো। রোমান কবি ক্যাটুলাস বিশ্বাস করতেন, প্রস্রাব দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে—সম্ভবত এর অ্যামোনিয়া উপাদানের কারণে।
ডায়াবেটিস নির্ণয়ের একটি প্রাথমিক পরীক্ষা হিসেবে ডাক্তাররা প্রস্রাবের স্বাদ নিতেন এটি কতটা মিষ্টি তা জানার জন্য। এখন অবশ্য প্রস্রাবে গ্লুকোজ পরীক্ষার জন্য ইউরিন টেস্ট স্ট্রিপ ব্যবহার করা হয়। ১৯৪৫ সালে ব্রিটিশ নেচারোপ্যাথ জন ডব্লিউ আর্মস্ট্রং ‘দ্য ওয়াটার অব লাইফ: এ ট্রিটিজ অন ইউরিন থেরাপি’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন। তিনি দাবি করেন, নিজের প্রস্রাব পান করলে এবং ত্বকে মালিশ করলে বড় ধরনের অসুস্থতাও নিরাময় হতে পারে।
ঐতিহাসিকভাবে, চিকিৎসার বিকল্পের অভাবে অসুস্থতা নিরাময়ে প্রস্রাব পান হয়তো যুক্তিসংগত ছিল। কিন্তু জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রসারের পরও উল্লিখিত প্রস্রাব পানকারী তারকাদের মতো অনেকের মাঝেই আজও এই অভ্যাস প্রচলিত। নাইজেরিয়ায় শিশুদের খিঁচুনির ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে প্রস্রাব ব্যবহারের খবর পাওয়া গেছে। চায়না ইউরিন থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, প্রস্রাব পান করা হলে এবং তা দিয়ে ত্বক ধৌত করা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের ঘা সারাতে পারে।
শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য প্রস্রাব তৈরি হয়। এর বেশির ভাগটাই পানি (প্রায় ৯৫ শতাংশ) এবং কয়েকটি বর্জ্য পদার্থ—যার মধ্যে যকৃতে প্রোটিন ভাঙার পর তৈরি হওয়া ইউরিয়া (২ শতাংশ), মাংসপেশির শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়ার পর অবশিষ্ট থাকা ক্রিয়েটিনিন এবং লবণ। এখন প্রশ্ন হলো—প্রস্রাব যদি কেবল বর্জ্যই হয়, তাহলে এটি পান করা উপকারী হতে পারে কীভাবে?
কিডনি ছাঁকনির মতো কাজ করে—কেবল বিষাক্ত পদার্থই নয়, শরীরের অপ্রয়োজনীয় সবকিছুই এটি বের করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন যা প্রয়োজন নেই তা প্রস্রাবে পাওয়া যায়। প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এই ভিটামিন এবং খনিজগুলো নষ্ট না হয়ে পুনর্ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া প্রস্রাবে পাওয়া অন্যান্য হরমোন, প্রোটিন এবং অ্যান্টিবডির ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। তবে এক গ্লাস প্রস্রাবে এই পদার্থগুলোর পরিমাণ উপকারী হওয়ার মতো যথেষ্ট নয়, বরং এর চেয়ে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট বেশি কার্যকর হতে পারে।
মূত্র থেরাপির কিছু সমর্থক বিশ্বাস করেন, এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধ করতে এবং অটোইমিউন (স্ব-রোগপ্রতিরোধ) অবস্থা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রস্রাবে থাকা অ্যান্টিবডিগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে বলে মনে করা হয়।
প্রস্রাব পানের দাবি করা অন্যান্য আধুনিক ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে শরীর পরিষ্কার এবং ডিটক্সিফিকেশন। কিছু লোক দাবি করেছেন, নিয়মিত রিসাইকেল করা প্রস্রাব পান করলে প্রস্রাব এবং রক্ত আরও পরিষ্কার হয়, বিষাক্ত পদার্থ দূর হয় এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। তবে, এই দাবিগুলোর স্বপক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
কিছু সামাজিক মাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সার দাবি করেন, প্রস্রাবের নিরাময় ক্ষমতা আছে এবং এটি পান করলে বা ত্বকে লাগালে ব্রণ ও সংক্রমণের মতো ত্বকের সমস্যা ভালো হয়। আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, প্রস্রাবে ইউরিয়া থাকে। আর প্রায়শই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকের পরিচর্যা পণ্যগুলোতে ইউরিয়া যোগ করা হয়। কিন্তু প্রস্রাবে ইউরিয়ার ঘনত্ব এত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা নেই যে এটি কার্যকর হবে।
প্রস্রাবে ডিহাইড্রোপিয়ান্ড্রোস্টেরনও থাকে। এটি শরীরের তৈরি একটি স্টেরয়েড হরমোন যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। এটিকে অ্যান্টি-এজিং উপাদান হিসেবে বাজারজাত করা হয়েছে। তবে এর কার্যকারিতা প্রদর্শনের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য নেই।
মূত্র থেরাপির কিছু সমর্থক বিশ্বাস করেন, প্রস্রাব জীবাণুমুক্ত। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রস্রাবে প্রাকৃতিকভাবেই কম মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকে এবং প্রস্রাব শরীর থেকে বের হওয়ার সময় ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আরও দূষিত হতে পারে। তাই প্রস্রাব পান করলে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়া এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করতে পারে এবং পাকস্থলী সংক্রমণের মতো আরও অসুস্থতার কারণ হতে পারে।
প্রস্রাব শরীর থেকে বের হওয়ার পর আরও ঘনীভূত হয়। ফলে কেউ যদি প্রস্রাব পান করে তাহলে কিডনিকে অতিরিক্ত পদার্থ পরিস্রাবণ করার জন্য আরও বেশি কাজ করতে হতে পারে, যা সেগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এই লবণগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য কিডনির পানির প্রয়োজন হয়।
এই অবস্থায় প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এর থেকে যতটা পানি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দ্রুত বাড়ায়। প্রস্রাব পান অনেকটা সমুদ্রের পানি পানের মতো। পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক বা হৃদ্রোগের ওষুধের মতো কিছু ওষুধও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে পুনরায় প্রস্রাব পান করার মাধ্যমে এই ওষুধগুলোর বিষাক্ত মাত্রা শরীরে জমা হতে পারে।
মূলধারার চিকিৎসা সমাজ মূত্র থেরাপিকে সমর্থন করে না। কারণ, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অল্প পরিমাণে প্রস্রাব পান করা সম্ভবত ক্ষতিকর নয়। তবে সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে এমন অন্যান্য থেরাপি গ্রহণ করাই ভালো।
লেখক: যুক্তরাজ্যের কিংস্টোন ইউনিভার্সিটির ফার্মাসি প্র্যাকটিস বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক দীপা কামদার। লিখেছেন বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম দ্য কনভারসেশনে।

জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
২ দিন আগে
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
রঙিন খাবারে সাজানো প্লেট দেখতে আমাদের মন এমনিতেই খাবারের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। খাবার দেখার ও ঘ্রাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মস্তিষ্ক হজমের প্রস্তুতির জন্য নানা সংকেত পাঠাতে শুরু করে।
তবে দেখতে সুন্দর তা ই নয়, রঙিন খাবারের প্লেট আসলে পুষ্টির ‘পাওয়ার হাউস’ বা এক শক্তিশালী ভাণ্ডার। ফলমূল ও শাকসবজিতে রঙের অস্তিত্ব জানান দেয় এসবে আছে উদ্ভিজ্জ রঞ্জক বা পিগমেন্ট— যার সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও অ্যান্থোসায়ানিন। এসব রঞ্জক ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ নামে পরিচিত।
আমাদের শরীর নিজে থেকে এসব ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট তৈরি করতে পারে না, অথচ নানা রোগ, প্রদাহ, সংক্রমণ এমনকি কিছু ধরনের ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দিতে এগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খাবারের প্রতিটি রং আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার নিয়ে আসে চলুন জেনে নেওয়া যাক—
১. লাল রঙের খাবার: লাইকোপিনে ভরপুর
লাল রঙের ফল ও সবজিতে থাকে লাইকোপিন নামের এক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর একটি।

যে কারণে লাল রঙের খাবার বেশি খাওয়া উচিত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুপারস্টার: শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
চোখের সুরক্ষা: এক গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপিন চোখের ম্যাকুলা অংশের ক্ষয় ধীর করতে সাহায্য করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক: প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে লাইকোপিন। এছাড়াও স্তন ক্যানসারের অগ্রগতিও ধীর করতে পারে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে মস্তিষ্কের কোষকে সুরক্ষা দেয়।
হৃদ্স্বাস্থ্য: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়, যা হৃদ্রোগের বড় ঝুঁকির কারণ।
লাল রঙের খাবারের সেরা উৎস: টমেটো (রান্না করা বা ব্লেন্ড করা টমেটো সবচেয়ে বেশি কার্যকর), তরমুজ, লাল পেয়ারা, জাম্বুরা এবং লাল গাজর।

২. কমলা ও হলুদ রঙের খাবার: ত্বক, চোখ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বুস্টার
এই উজ্জ্বল রংগুলোর উৎস বিটা-ক্রিপ্টোজ্যানথিন নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ, যা কোষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহায়তা করে।
উপকারিতা:
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বয়স দ্রুত বাড়ানো, প্রদাহ ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের জন্য দায়ী ফ্রি র্যাডিক্যালকে নিষ্ক্রিয় করে।
প্রো-ভিটামিন এ: শরীরে সহজে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের দৃষ্টি ও সুস্থ ত্বকের জন্য অপরিহার্য।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ইমিউন কোষের গঠন ও কার্যকারিতা উন্নত করে। বিশেষ করে নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে, যেখানে ভিটামিন এ গ্রহণ তুলনামূলক কম হতে পারে, সেখানে এটি খুবই উপকারী।
সেরা উৎস: আম, পেঁপে, কমলা, কুমড়া, হলুদ ক্যাপসিকাম।

৩. সবুজ রঙের খাবার: ক্লোরোফিল ও ডিটক্সের জাদু
সবুজ খাবারের রং আসে ক্লোরোফিল থেকে। প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় সবুজ শাকসবজি শীর্ষে।
কেন সবুজ খাবার জরুরি?
বিটা-ক্যারোটিন: ধমনিতে চর্বি জমা (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস), ক্যানসার, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও ডিএনএ ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক।
উচ্চ আঁশ (ফাইবার) : অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ভিটামিন কে ও পটাশিয়াম: রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সালফোরাফেন ও আইসোথায়োসায়ানেটস: শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে, কোলনের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সেরা উৎস: পালং শাক, ব্রকলি, কেল, সজনে পাতা, মেথি শাক, সবুজ হার্বস, অ্যাসপ্যারাগাস, কিউই, বাঁধাকপি, অঙ্কুরিত বীজ (স্প্রাউটস) ও গ্রিন টি।
৪. নীল ও বেগুনি রঙের খাবার: অ্যান্থোসায়ানিনের শক্তি
অ্যান্থোসায়ানিন আছে এমন খাবারে এই রংগুলো থাকে। যা থেকে বুঝা যায় এ খাবারগুলো শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড এবং প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর।
উপকারিতা:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: স্ট্রোক ও কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হৃদ্স্বাস্থ্য: কোলেস্টেরল ও প্রদাহ কমায়, ধমনিতে প্লাক জমা রোধে সহায়ক।
মস্তিষ্কের সুরক্ষা: স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা উন্নত করে, ডিএনএ ক্ষতি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা: ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর বা বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
সেরা উৎস: ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, বেগুনি বাঁধাকপি, বেগুন, আঙুর, বরই, ডুমুর।

৫. সাদা ও বাদামি খাবার: নীরব চিকিৎসক
লাল-নীল-সবুজ এমন রঙিন খাবারের ভিড়ে কিন্তু ফ্যাকাশে বা বাদামি রঙের খাবারকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। কেন না এসব খাবারে রয়েছে অ্যালিসিন, কোয়ারসেটিন, ক্যাম্পফেরল মতো যৌগ। এগুলোর প্রতিটিই স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
উপকারিতা:
অ্যালিসিন: এই উপাদানটি রসুনে থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে কার্যকর, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কোয়ারসেটিন: শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক, অ্যালার্জি এবং হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
ক্যাম্পফেরল: হৃদ্রোগ ও কিছু ধরনের ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয়।
সেরা উৎস: রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি, মাশরুম ও মুলা।
আপনার প্রতিদিনের ‘রেইনবো ডায়েট’ সাজাতে পারেন যেভাবে—
১. আপনার প্লেটের অর্ধেক পূর্ণ করুন সবজি দিয়ে।
২. প্রতিদিন দুটি ফল খান।
৩. সর্বোচ্চ তাজা ও পুষ্টির জন্য মৌসুমি এবং স্থানীয় ফল ও সবজি বেছে নিন।
৪. প্রতিদিন একটি নতুন রঙের খাবার যোগ করুন।
৫. খাবার পরিকল্পনার সময় ক্যালরির পরিবর্তে রঙের দিকে মন দিন।
বিজ্ঞান বারবার প্রমাণ করেছে, যখন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের কথা আসে, তখন সাপ্লিমেন্ট বা কৃত্রিম ওষুধের চেয়ে প্রাকৃতিক খাবার অনেক বেশি কার্যকর। প্রাকৃতিক খাবারে বিদ্যমান ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যে সম্মিলিত শক্তি থাকে, কোনো ওষুধ বা পিল তা দিয়ে পূরণ হয় না। তাই প্রতিদিনের পুষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণে রঙকেই বেছে নিন।

জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
রঙিন খাবারে সাজানো প্লেট দেখতে আমাদের মন এমনিতেই খাবারের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। খাবার দেখার ও ঘ্রাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের মস্তিষ্ক হজমের প্রস্তুতির জন্য নানা সংকেত পাঠাতে শুরু করে।
তবে দেখতে সুন্দর তা ই নয়, রঙিন খাবারের প্লেট আসলে পুষ্টির ‘পাওয়ার হাউস’ বা এক শক্তিশালী ভাণ্ডার। ফলমূল ও শাকসবজিতে রঙের অস্তিত্ব জানান দেয় এসবে আছে উদ্ভিজ্জ রঞ্জক বা পিগমেন্ট— যার সংখ্যা ২ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড ও অ্যান্থোসায়ানিন। এসব রঞ্জক ‘ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট’ নামে পরিচিত।
আমাদের শরীর নিজে থেকে এসব ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট তৈরি করতে পারে না, অথচ নানা রোগ, প্রদাহ, সংক্রমণ এমনকি কিছু ধরনের ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দিতে এগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
খাবারের প্রতিটি রং আমাদের শরীরের জন্য কি কি উপকার নিয়ে আসে চলুন জেনে নেওয়া যাক—
১. লাল রঙের খাবার: লাইকোপিনে ভরপুর
লাল রঙের ফল ও সবজিতে থাকে লাইকোপিন নামের এক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর একটি।

যে কারণে লাল রঙের খাবার বেশি খাওয়া উচিত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুপারস্টার: শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
চোখের সুরক্ষা: এক গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপিন চোখের ম্যাকুলা অংশের ক্ষয় ধীর করতে সাহায্য করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক: প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে লাইকোপিন। এছাড়াও স্তন ক্যানসারের অগ্রগতিও ধীর করতে পারে।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে মস্তিষ্কের কোষকে সুরক্ষা দেয়।
হৃদ্স্বাস্থ্য: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়, যা হৃদ্রোগের বড় ঝুঁকির কারণ।
লাল রঙের খাবারের সেরা উৎস: টমেটো (রান্না করা বা ব্লেন্ড করা টমেটো সবচেয়ে বেশি কার্যকর), তরমুজ, লাল পেয়ারা, জাম্বুরা এবং লাল গাজর।

২. কমলা ও হলুদ রঙের খাবার: ত্বক, চোখ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বুস্টার
এই উজ্জ্বল রংগুলোর উৎস বিটা-ক্রিপ্টোজ্যানথিন নামের একটি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ, যা কোষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সহায়তা করে।
উপকারিতা:
শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বয়স দ্রুত বাড়ানো, প্রদাহ ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের জন্য দায়ী ফ্রি র্যাডিক্যালকে নিষ্ক্রিয় করে।
প্রো-ভিটামিন এ: শরীরে সহজে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের দৃষ্টি ও সুস্থ ত্বকের জন্য অপরিহার্য।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ইমিউন কোষের গঠন ও কার্যকারিতা উন্নত করে। বিশেষ করে নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসে, যেখানে ভিটামিন এ গ্রহণ তুলনামূলক কম হতে পারে, সেখানে এটি খুবই উপকারী।
সেরা উৎস: আম, পেঁপে, কমলা, কুমড়া, হলুদ ক্যাপসিকাম।

৩. সবুজ রঙের খাবার: ক্লোরোফিল ও ডিটক্সের জাদু
সবুজ খাবারের রং আসে ক্লোরোফিল থেকে। প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় সবুজ শাকসবজি শীর্ষে।
কেন সবুজ খাবার জরুরি?
বিটা-ক্যারোটিন: ধমনিতে চর্বি জমা (অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস), ক্যানসার, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও ডিএনএ ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক।
উচ্চ আঁশ (ফাইবার) : অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ভিটামিন কে ও পটাশিয়াম: রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
সালফোরাফেন ও আইসোথায়োসায়ানেটস: শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে, কোলনের স্বাস্থ্য রক্ষা করে এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
সেরা উৎস: পালং শাক, ব্রকলি, কেল, সজনে পাতা, মেথি শাক, সবুজ হার্বস, অ্যাসপ্যারাগাস, কিউই, বাঁধাকপি, অঙ্কুরিত বীজ (স্প্রাউটস) ও গ্রিন টি।
৪. নীল ও বেগুনি রঙের খাবার: অ্যান্থোসায়ানিনের শক্তি
অ্যান্থোসায়ানিন আছে এমন খাবারে এই রংগুলো থাকে। যা থেকে বুঝা যায় এ খাবারগুলো শক্তিশালী ফ্ল্যাভোনয়েড এবং প্রদাহনাশক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর।
উপকারিতা:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: স্ট্রোক ও কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
হৃদ্স্বাস্থ্য: কোলেস্টেরল ও প্রদাহ কমায়, ধমনিতে প্লাক জমা রোধে সহায়ক।
মস্তিষ্কের সুরক্ষা: স্মৃতিশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা উন্নত করে, ডিএনএ ক্ষতি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা: ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর বা বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
সেরা উৎস: ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, বেগুনি বাঁধাকপি, বেগুন, আঙুর, বরই, ডুমুর।

৫. সাদা ও বাদামি খাবার: নীরব চিকিৎসক
লাল-নীল-সবুজ এমন রঙিন খাবারের ভিড়ে কিন্তু ফ্যাকাশে বা বাদামি রঙের খাবারকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। কেন না এসব খাবারে রয়েছে অ্যালিসিন, কোয়ারসেটিন, ক্যাম্পফেরল মতো যৌগ। এগুলোর প্রতিটিই স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে।
উপকারিতা:
অ্যালিসিন: এই উপাদানটি রসুনে থাকে। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে কার্যকর, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
কোয়ারসেটিন: শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক, অ্যালার্জি এবং হৃদ্স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।
ক্যাম্পফেরল: হৃদ্রোগ ও কিছু ধরনের ক্যানসার থেকে সুরক্ষা দেয়।
সেরা উৎস: রসুন, পেঁয়াজ, ফুলকপি, মাশরুম ও মুলা।
আপনার প্রতিদিনের ‘রেইনবো ডায়েট’ সাজাতে পারেন যেভাবে—
১. আপনার প্লেটের অর্ধেক পূর্ণ করুন সবজি দিয়ে।
২. প্রতিদিন দুটি ফল খান।
৩. সর্বোচ্চ তাজা ও পুষ্টির জন্য মৌসুমি এবং স্থানীয় ফল ও সবজি বেছে নিন।
৪. প্রতিদিন একটি নতুন রঙের খাবার যোগ করুন।
৫. খাবার পরিকল্পনার সময় ক্যালরির পরিবর্তে রঙের দিকে মন দিন।
বিজ্ঞান বারবার প্রমাণ করেছে, যখন ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের কথা আসে, তখন সাপ্লিমেন্ট বা কৃত্রিম ওষুধের চেয়ে প্রাকৃতিক খাবার অনেক বেশি কার্যকর। প্রাকৃতিক খাবারে বিদ্যমান ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের যে সম্মিলিত শক্তি থাকে, কোনো ওষুধ বা পিল তা দিয়ে পূরণ হয় না। তাই প্রতিদিনের পুষ্টির লক্ষ্য নির্ধারণে রঙকেই বেছে নিন।

এই অবস্থায় প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এর থেকে যতটা পানি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দ্রুত বাড়ায়। প্রস্রাব পান অনেকটা সমুদ্রের পানি পানের মতো। পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক বা হৃদ্রোগের ওষুধের মতো কিছু ওষুধও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৩ দিন আগেফিচার ডেস্ক

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
নিজেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি না ভাঙা
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া বেশ ভূমিকা রাখতে পারে। কেউ কেউ লিখিত পরিকল্পনা বা অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করেন। আবার কেউ জিমের সদস্যপদ বা ব্যায়াম ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিজেকে দায়বদ্ধ করে তোলেন। এতে মাঝপথে হাল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমে।
জীবনযাপনের সঙ্গে মানানসই পরিকল্পনা বেছে নেওয়া
যে ডায়েট বা ব্যায়াম পরিকল্পনা দীর্ঘদিন মেনে চলা সম্ভব নয়, তা এড়িয়ে চলা ভালো। অতিরিক্ত কঠোর নিয়ম অথবা সবকিছু একেবারে বাদ দেওয়ার মানসিকতা অনেক সময় উল্টো ফল বয়ে আনে। বরং ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ, খাবারের পরিমাণ কমানো, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং বেশি করে ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করার মতো অভ্যাসগুলো দীর্ঘ মেয়াদে উপকারী।
পছন্দের ব্যায়াম খোঁজা
ওজন কমাতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে ব্যায়াম আপনার ভালো লাগে না, তা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কঠিন। হাঁটা, সাঁতার, নাচ, সাইক্লিং কিংবা জিম—যে ধরনের ব্যায়াম উপভোগ করেন, সেটিই বেছে নেওয়া ভালো।
যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা জোগায়
ওজন কমানোর পুরো যাত্রায় শুধু শেষ লক্ষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে হতাশা আসতে পারে। তাই ছোট ছোট প্রক্রিয়াগত লক্ষ্য ঠিক করা জরুরি। যেমন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েক দিন ব্যায়াম করা বা প্রতিটি খাবারে সবজি রাখা। এসব লক্ষ্য পূরণ হলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের অগ্রগতি লিখে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। খাবার ও দৈনন্দিন অভ্যাসের হিসাব রাখলে কোথায় ভুল হচ্ছে কিংবা কোন অভ্যাস ওজন বাড়াচ্ছে, তা সহজে ধরা পড়ে।
সামাজিক সহায়তা এবং ইতিবাচক মনোভাব
পরিবার ও বন্ধুদের নিজের লক্ষ্য জানালে তারা মানসিক সমর্থন দিতে পারে। কেউ কেউ ওজন কমানোর সঙ্গী পেলে আরও অনুপ্রাণিত বোধ করে। পাশাপাশি নিজের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে কথা বলা এবং পরিবর্তনের প্রতি দৃঢ় মনোভাব রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
বাধা এলে যা করতে হবে
জীবনে নানা ধরনের চাপ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের কারণে পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগেই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে আবার সঠিক পথে ফেরা সহজ হয়। নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা না করে নিজের ভুল মেনে নেওয়া এবং নিজেকে ক্ষমা করাও অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে সহায়ক।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণাই সবচেয়ে বড় শক্তি। সবার অনুপ্রেরণার উৎস এক নয়। তাই নিজের জন্য কার্যকর পদ্ধতি খুঁজে নেওয়াই হলো মূল চাবিকাঠি।
তবে ধৈর্য ধরুন, ছোট ছোট সাফল্য উদ্যাপন করুন
এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাইতে সংকোচ করবেন না। সঠিক পরিকল্পনা ও সমর্থন থাকলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথ লাইন

এই অবস্থায় প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এর থেকে যতটা পানি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দ্রুত বাড়ায়। প্রস্রাব পান অনেকটা সমুদ্রের পানি পানের মতো। পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক বা হৃদ্রোগের ওষুধের মতো কিছু ওষুধও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
২ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৩ দিন আগেডা. মো. মাজহারুল হক তানিম

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ
শীতকালীন সবজি খাওয়ায় সতর্কতা
কাবেজ জাতীয় সবজি; যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুসপাতায় থাকে গয়ট্রোজেন নামে একধরনের উপাদান। এটি থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। তাই যাঁদের হাইপোথাইরয়েড আছে, তাঁদের এসব সবজি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যাবে না। কিন্তু রান্না করে অল্প খাওয়া যাবে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের হরমোনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই অতিরিক্ত দুর্বল লাগে, ঠান্ডা ভাব এবং কাজের গতি ধীর হতে পারে।
শীতকালে থাইরয়েড রোগীদের করণীয়
গরম থাকার চেষ্টা করুন: জ্যাকেট কিংবা কম্বল ইত্যাদির মতো গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। গরম খাবার বেশি খেতে হবে; যেমন স্যুপ কিংবা চা।
ভিটামিন ‘ডি’ বাড়ান: সকাল ৯ থেকে ১০টার দিকে রোদে থাকার চেষ্টা করুন। ভিটামিন ‘ডি’ লেভেল বেশি কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।
খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভিটামিন ‘সি ও বি’ সমৃদ্ধ এবং প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
মন নিয়ন্ত্রণ করুন: মুড সুইং খুবই সাধারণ বিষয় থাইরয়েড রোগীদের জন্য। তাই নিজের মন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ছাড়া প্রফুল্ল থাকার চেষ্টা করুন, কর্মঠ থাকুন, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন। প্রয়োজনে লাইট থেরাপি নিতে পারেন।
শীতে থাইরয়েড রোগীদের ত্বকের যত্ন
থাইরয়েড রোগীদের ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক থাকে। শীতকালে তা আরও শুষ্ক হয়ে ওঠে। তাই শীতকালে গোসলের পর ময়শ্চারাইজার, লোশন কিংবা ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করুন। ত্বকে চুলকানি অথবা র্যাশ থাকলে চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
নিয়মিত ফলোআপ
৩ থেকে ৬ মাস পরপর আপনার হরমোন ও থাইরয়েড, বিশেষত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের মাত্রা কম কিংবা বেশি করা যাবে না।
এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতাল, কাকরাইল, ঢাকা

এই অবস্থায় প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এর থেকে যতটা পানি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দ্রুত বাড়ায়। প্রস্রাব পান অনেকটা সমুদ্রের পানি পানের মতো। পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক বা হৃদ্রোগের ওষুধের মতো কিছু ওষুধও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
২ দিন আগে
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ দিন আগে
সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়।
৩ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

সুষম খাবারের ৬টি উপাদানের অন্যতম ভিটামিন ও খনিজ লবণ। এগুলো আমাদের শরীরের চালিকাশক্তির অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবেচিত। শরীরের একেকটি অঙ্গের সুরক্ষায় একেক ধরনের ভিটামিন প্রয়োজন হয়। যেমন চুল ও চোখের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘এ’, ত্বকের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’, হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ডি’ প্রয়োজন হয়। আবার ত্বক, চুল ও প্রজননতন্ত্রের সুরক্ষায় ভিটামিন ‘ই’-এর ভূমিকা অনেক বেশি। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন রকমের পেশি এবং স্নায়ুতন্ত্রের সুরক্ষায় খনিজ লবণের ভূমিকা অনেক বেশি।
এই ভিটামিন ও খনিজ লবণগুলো আমরা প্রধানত শাকসবজি ও ফলমূল থেকে পেয়ে থাকি। কিন্তু কিছু অসাবধানতার ফলে শাকসবজি ও ফলমূলের পুষ্টির একটা বড় অংশ হারিয়ে যায়।
আমরা ঐতিহ্যগতভাবে শাকসবজি কাটার পর পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে থাকি। এতে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন ‘বি ও সি’ পানির সঙ্গে মিশে শাকসবজির বাইরে চলে যায়। ফলে আমরা ওই শাকসবজি থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ পাই না। তাই সেগুলো কাটা বা খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ময়লা পরিষ্কারের পাশাপাশি সব পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকবে। শাকসবজি কাটার আগে বঁটি, ছুরি বা গ্রেটারও খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
শাকসবজি রান্নার নামে দীর্ঘ সময় আগুনের তাপে রাখা যাবে না। অল্প তাপেই শাকসবজিতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু মারা যায়। এগুলো যত কম সময় সেদ্ধ করা হবে, তত বেশি পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকবে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে শাকসবজির প্রায় ৫০ শতাংশ পটাশিয়াম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু এটি শরীরের জন্য অতিপ্রয়োজনীয় খনিজ। ফলে অল্প আঁচে ভাপানো শাকসবজি খাওয়া ভালো।
প্রতিটি শাকসবজির নিজস্ব রং বজায় রেখে রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ বেশি বজায় থাকবে। যেমন গাজর রান্নার পর লাল রং, শিম রান্নার পর সবুজ রং কিংবা ফুলকপির সাদা রং বজায় থাকতে হবে। রান্না করতে গিয়ে শাকসবজির রং যত নষ্ট হবে, তার পুষ্টিগুণ তত বেশি নষ্ট হবে।
অনেক সময় রাতে শাকসবজি কেটে রেখে দেওয়া হয় সকালে রান্না করার জন্য। অথবা সকালে কেটে রাখি দুপুরে রান্না করার জন্য। এভাবে দীর্ঘ সময় কেটে রেখে দিলে শাকসবজির কাটা অংশ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে পুষ্টিগুণ নষ্ট করে। এভাবে কেটে রাখা শাকসবজিতে বিষক্রিয়াও হতে পারে। তাই এর সঠিক পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে রাতে কেটে না রেখে রান্নার আগে কেটে দ্রুত রান্না করুন।
শাকসবজি কাটার কাজে ধারালো বঁটি অথবা ছুরি ব্যবহার করতে হবে। ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে এগুলো কাটার পর অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া ভোঁতা বঁটি বা ছুরি দিয়ে কেটে রাখা শাকসবজিতে দ্রুত ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে।
সবজি ছোট টুকরা করে না কেটে যথাসম্ভব বড় টুকরা করে কাটবেন। ছোট টুকরা করে কাটলে তাপে বেশি পরিমাণে পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। কিন্তু টুকরা বড় রাখলে বেশি তাপে রান্নায়ও ভেতরের পুষ্টিগুণ সহজে নষ্ট হয় না।
গাজর, পটোল, লাউ, শসা, মিষ্টিকুমড়ার মতো সবজিগুলো খোসাসহ রান্না করতে হবে। এসব সবজির খোসায়ও অনেক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
শাকসবজি ভাজা ভাজা না করে রান্না করে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। প্রথমত ভাজা করতে হলে খুব ছোট টুকরা করে কাটতে হয়। দ্বিতীয়ত ভাজি করতে হলে দীর্ঘ সময় তাপে রাখতে হয়। এই দুটি বিষয় শাকসবজির পুষ্টিগুণ অনেক কমিয়ে দেয়। তাই এগুলো ঝোল করে রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

এই অবস্থায় প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এর থেকে যতটা পানি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দ্রুত বাড়ায়। প্রস্রাব পান অনেকটা সমুদ্রের পানি পানের মতো। পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক বা হৃদ্রোগের ওষুধের মতো কিছু ওষুধও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
২৮ এপ্রিল ২০২৫
জীবনে রঙের অস্তিত্ব না থাকলে কেমন হতো? নির্জীব, একঘেয়ে কেমন যেন নিরানন্দ কিংবা নেই কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা। রঙিন কিছু দেখলেই আমাদের মন যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে, খাবারের বেলায়ও এটি একই রকম সত্য।
২ দিন আগে
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া যেমন কঠিন, সেই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন অটল থাকা অনেকের ক্ষেত্রে আরও কঠিন। সঠিক অনুপ্রেরণা না থাকলে ওজন কমানো শুরু করাই কঠিন হয়ে পড়ে। আর শুরু করলেও মাঝপথে থেমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে কিছু বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করলে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন সহজ হতে পারে।
৩ দিন আগে
থাইরয়েড হরমোন আমাদের গলার সামনে থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন কিংবা প্রাণরস। এটি গলার সামনে থেকে নিঃসৃত হলেও সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো শরীরে কাজ করে।
৩ দিন আগে