
বাংলাদেশে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের সার্বিক হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার প্রায় ৪৩% থেকে প্রায় ৩৫% এ নেমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তামাক ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশে আনুমানিক এক কোটি নব্বই লক্ষাধিক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। এর মধ্যে, প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ সরাসরি ধূমপান করেন। এ জরিপের পাঁচ বছরের মধ্যে দেখা যায়, ২৮% তামাক ব্যবহারকারী তামাক ব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদিভাবে কমিয়ে আনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে একক শলাকা বিক্রি। ব্লুমবার্গের সহযোগি সংস্থা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এক্সপোজ টোব্যাকো’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে একক শলাকা বিক্রির সার্বিক চিত্র, ভয়াবহ ফলাফল ও এর থেকে উত্তরণের উপায় তুলে ধরা হয়েছে।
তামাক ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতি
বাংলাদেশে ধূমপান-প্রবণতা নিয়ে একাধিক গবেষণার সার সংক্ষেপ নিয়ে টোব্যাকো ইকোনমিকসের প্রতিবেদন অনুসারে, পৃথিবীর সব দেশে তামাকে ব্যবহার ও বর্জনের হার ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। সেখানে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার হ্রাস সমাজের সব আর্থসামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে ঘটেছে।
এ অগ্রগতি দৈবক্রমে ঘটেনি। বরং একটি বৈশ্বিক চুক্তির অধীন অঙ্গীকারের আলোকে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রমাণিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। যদিও কয়েকটি জনসমাগমস্থল এখনো ধূমপান এলাকা রয়ে গেছে, তবে অধিকাংশ জনসমাগমস্থল এখন ধূমপানমুক্ত। দেশটি তামাকের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধকে ব্যাপকতর করেছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৫০% স্থানজুড়ে ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর নির্দেশনা জারি করেছে। এসব পদক্ষেপ ও অন্যান্য পদক্ষেপসমূহ তামাক ব্যবহার কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশে একক শলাকার বিক্রি
বাংলাদেশ ও সমগ্র পৃথিবীতে একটি ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে একক শলাকা বা পৃথকভাবে সিগারেট বিক্রি। একটি পুরো প্যাকেটের চাইতে একটি একক শলাকা ক্রয় করা অনেক সস্তা, যা শিশু, তরুণ ও স্বল্প আয়ের সংবেদনশীল মানুষদের কাছে সিগারেটকে সহজলভ্য করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ৮০–২৮৪ টাকা (০.৭৫ হতে ২.৬৫ ইউএস ডলার), যেখানে একটি একক শলাকা মাত্র ৫ টাকা (০.৫ ইউএস ডলার)। এ সহজলভ্যতা তরুণদের ধূমপান শুরুতে সহজ করে তোলে এবং অন্যদের ধূমপান ছাড়তে বা কমাতে নিরুৎসাহিত করে।
পৃথিবীর কমপক্ষে ৮০টি দেশে সিগারেটের একক শলাকার বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে, যদিও বাংলাদেশে এটা এখনো বৈধ। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের সর্বত্র একক শলাকার বিক্রি হয়। ২০১৮ সালে গবেষক ড. আরিফা হাসনাত আলী পরিচালিত “সিগারেটের খুচরা ব্যবসা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে ক্ষতি: বাংলাদেশের শহর এলাকার বর্তমান চিত্র” শীর্ষক একটি গবেষণায় সিগারেট বিক্রেতাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, ৯৯% বিক্রেতা একক শলাকা বিক্রি করে। বিক্রেতারা আরও জানায় যে, অধিকাংশ দিনেই সিগারেটের প্যাকেট বিক্রির চাইতে একক শলাকার বিক্রি তিনগুণ বেশি এবং একক শলাকার ভোক্তাদের অধিকাংশই তরুণ।
২০২১ সালে মো. আল-আমিন পারভেজের “সিগারেটের একক শলাকা ও প্যাকেটব্যতিত ধোঁয়াবিহীন তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ বিষয়ে বাংলাদেশে বিকল্প নীতির অনুসন্ধান” শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, গবেষকেরা দেশের তিন হাজার প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহারকারী ওপর জরিপ করেছে। এতে দেখা যায়, ধূমপায়ীদের ৫৭% একক শলাকা ক্রয় করে। গবেষকেরা দেখতে পান যে, তরুণদের নিকট একক শলাকা জনপ্রিয়। ৪০ বছর ও তদুর্ধদের চাইতে ১৮–২৪ বছর বয়সীদের কাছে একক শলাকা ক্রয় প্রায় আড়াই গুণ বেশি। একক শলাকা দরিদ্রদের মধ্যেও জনপ্রিয়। যাদের মাসিক উপার্জন ৫০০০ টাকার কম (৪৬ ইউএস ডলার) তারা ২৫,০০০ টাকার (২৩৩ ইউএস ডলার) বেশি উপার্জনকারীদের চাইতে একক শলাকা ৪ গুণ বেশি ক্রয় করে।
বাংলাদেশে একক শলাকা বিক্রির সামাজিক ক্ষতি
এসব ফলাফলে প্রতীয়মান হয়, ব্যবসা চালিয়ে যেতে তামাক কোম্পানির আরেকটি উপায় হলো একক শলাকা বিক্রি। যা ব্যাপক ও পদ্ধতিগত বৈষম্য সৃষ্টি করছে। তামাক কোম্পানিগুলো এমন মানুষকে লক্ষ্য করে যারা বাড়তি টাকায় তামাক কিনতে সক্ষম কিন্তু তামাকজনিত রোগের ব্যয় বহনে অক্ষম।
এ ছাড়া, একক শলাকার কারণে ধূমপায়ীরা বাংলাদেশের সিগারেটের প্যাকেটের বিদ্যমান সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা দেখতে পায় না। এ তথ্য ঘাটতি ধনীদের তুলনায় দরিদ্রদের ধুমপানে বেশি আসক্ত করে ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়িয়ে তোলে।
এ ছাড়া একক শলাকা আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে এবং দরিদ্র ধূমপায়ীকে আরও দরিদ্র করে। একক শলাকা কিনলে দাম হিসাবে পুরো প্যাকেটের চাইতে বেশি পড়ে। অর্থাৎ, যাদের অর্থ কম তারা প্রতিটি সিগারেটের জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করে।
তামাক ব্যবহারে পারিবারিক বাজেট কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশের ধূমপায়ীরা গড়ে সিগারেটের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৫৩৭ টাকা (৫ ইউএস ডলার) খরচ করে, যা সীমিত বাজেটের ওপর চাপ তৈরি করে।
একটি গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার করে না এমন পরিবারের চাইতে তামাক ব্যবহারকারী পরিবার প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন পোশাক, বাসস্থান, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও যাতায়াতে কম অর্থ ব্যয় করে। যখন অসুস্থতা দেখা দেয়, তখন এ পরিবারগুলো আরও বেশি আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। একটি গবেষণায় দেখা যায়, দরিদ্ররা গড়ে ১৭ হাজার ৩৭১ টাকা (১৬২ ইউএস ডলার) ব্যয় করে যখন তারা তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়।
তামাক ব্যবহার কমাতে এবং বৈষম্য দূর করতে একক শলাকা নিষিদ্ধ করা জরুরি
ধূমপান ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের জন্য একটি সমস্যা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ১৬০ হাজারের বেশি তামাক ব্যবহারকারী মারা যায়। গবেষকেরা তুলে ধরেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ব্যয়ের পরিমাণ ৩০৫ বিলিয়ন (২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার) বা জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
২০১৮ সালে যারা তামাক ব্যবহার বৃদ্ধি করে তাদের ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ তামাকজাত দ্রব্যের ক্রয়ক্ষমতাকে একটি কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন। সিগারেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে একক শলাকা হচ্ছে সবচেয়ে সাশ্রয়ী। যত দিন একক শলাকা সস্তা ও সহজলভ্য থাকতে তত দিন ধূমপানের হার কার্যকরভাবে কমানো কঠিন হবে, বিশেষ করে তরুণ ও দরিদ্রদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে বৈষম্যের মুখোমুখি। একক শলাকা বিক্রি অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত এবং এটি বাস্তবায়নও করতে হবে।

বাংলাদেশে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহারের সার্বিক হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহার প্রায় ৪৩% থেকে প্রায় ৩৫% এ নেমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তামাক ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে অন্যতম।
বাংলাদেশে আনুমানিক এক কোটি নব্বই লক্ষাধিক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। এর মধ্যে, প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ মানুষ সরাসরি ধূমপান করেন। এ জরিপের পাঁচ বছরের মধ্যে দেখা যায়, ২৮% তামাক ব্যবহারকারী তামাক ব্যবহারের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদিভাবে কমিয়ে আনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে একক শলাকা বিক্রি। ব্লুমবার্গের সহযোগি সংস্থা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এক্সপোজ টোব্যাকো’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে একক শলাকা বিক্রির সার্বিক চিত্র, ভয়াবহ ফলাফল ও এর থেকে উত্তরণের উপায় তুলে ধরা হয়েছে।
তামাক ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতি
বাংলাদেশে ধূমপান-প্রবণতা নিয়ে একাধিক গবেষণার সার সংক্ষেপ নিয়ে টোব্যাকো ইকোনমিকসের প্রতিবেদন অনুসারে, পৃথিবীর সব দেশে তামাকে ব্যবহার ও বর্জনের হার ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। সেখানে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার হ্রাস সমাজের সব আর্থসামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে ঘটেছে।
এ অগ্রগতি দৈবক্রমে ঘটেনি। বরং একটি বৈশ্বিক চুক্তির অধীন অঙ্গীকারের আলোকে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণে প্রমাণিত পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। যদিও কয়েকটি জনসমাগমস্থল এখনো ধূমপান এলাকা রয়ে গেছে, তবে অধিকাংশ জনসমাগমস্থল এখন ধূমপানমুক্ত। দেশটি তামাকের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধকে ব্যাপকতর করেছে এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৫০% স্থানজুড়ে ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কবাণীর নির্দেশনা জারি করেছে। এসব পদক্ষেপ ও অন্যান্য পদক্ষেপসমূহ তামাক ব্যবহার কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
বাংলাদেশে একক শলাকার বিক্রি
বাংলাদেশ ও সমগ্র পৃথিবীতে একটি ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে একক শলাকা বা পৃথকভাবে সিগারেট বিক্রি। একটি পুরো প্যাকেটের চাইতে একটি একক শলাকা ক্রয় করা অনেক সস্তা, যা শিশু, তরুণ ও স্বল্প আয়ের সংবেদনশীল মানুষদের কাছে সিগারেটকে সহজলভ্য করে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ৮০–২৮৪ টাকা (০.৭৫ হতে ২.৬৫ ইউএস ডলার), যেখানে একটি একক শলাকা মাত্র ৫ টাকা (০.৫ ইউএস ডলার)। এ সহজলভ্যতা তরুণদের ধূমপান শুরুতে সহজ করে তোলে এবং অন্যদের ধূমপান ছাড়তে বা কমাতে নিরুৎসাহিত করে।
পৃথিবীর কমপক্ষে ৮০টি দেশে সিগারেটের একক শলাকার বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে, যদিও বাংলাদেশে এটা এখনো বৈধ। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের সর্বত্র একক শলাকার বিক্রি হয়। ২০১৮ সালে গবেষক ড. আরিফা হাসনাত আলী পরিচালিত “সিগারেটের খুচরা ব্যবসা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণে ক্ষতি: বাংলাদেশের শহর এলাকার বর্তমান চিত্র” শীর্ষক একটি গবেষণায় সিগারেট বিক্রেতাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, ৯৯% বিক্রেতা একক শলাকা বিক্রি করে। বিক্রেতারা আরও জানায় যে, অধিকাংশ দিনেই সিগারেটের প্যাকেট বিক্রির চাইতে একক শলাকার বিক্রি তিনগুণ বেশি এবং একক শলাকার ভোক্তাদের অধিকাংশই তরুণ।
২০২১ সালে মো. আল-আমিন পারভেজের “সিগারেটের একক শলাকা ও প্যাকেটব্যতিত ধোঁয়াবিহীন তামাক বিক্রি নিষিদ্ধ বিষয়ে বাংলাদেশে বিকল্প নীতির অনুসন্ধান” শীর্ষক গবেষণায় দেখা যায়, গবেষকেরা দেশের তিন হাজার প্রাপ্তবয়স্ক তামাক ব্যবহারকারী ওপর জরিপ করেছে। এতে দেখা যায়, ধূমপায়ীদের ৫৭% একক শলাকা ক্রয় করে। গবেষকেরা দেখতে পান যে, তরুণদের নিকট একক শলাকা জনপ্রিয়। ৪০ বছর ও তদুর্ধদের চাইতে ১৮–২৪ বছর বয়সীদের কাছে একক শলাকা ক্রয় প্রায় আড়াই গুণ বেশি। একক শলাকা দরিদ্রদের মধ্যেও জনপ্রিয়। যাদের মাসিক উপার্জন ৫০০০ টাকার কম (৪৬ ইউএস ডলার) তারা ২৫,০০০ টাকার (২৩৩ ইউএস ডলার) বেশি উপার্জনকারীদের চাইতে একক শলাকা ৪ গুণ বেশি ক্রয় করে।
বাংলাদেশে একক শলাকা বিক্রির সামাজিক ক্ষতি
এসব ফলাফলে প্রতীয়মান হয়, ব্যবসা চালিয়ে যেতে তামাক কোম্পানির আরেকটি উপায় হলো একক শলাকা বিক্রি। যা ব্যাপক ও পদ্ধতিগত বৈষম্য সৃষ্টি করছে। তামাক কোম্পানিগুলো এমন মানুষকে লক্ষ্য করে যারা বাড়তি টাকায় তামাক কিনতে সক্ষম কিন্তু তামাকজনিত রোগের ব্যয় বহনে অক্ষম।
এ ছাড়া, একক শলাকার কারণে ধূমপায়ীরা বাংলাদেশের সিগারেটের প্যাকেটের বিদ্যমান সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তা দেখতে পায় না। এ তথ্য ঘাটতি ধনীদের তুলনায় দরিদ্রদের ধুমপানে বেশি আসক্ত করে ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়িয়ে তোলে।
এ ছাড়া একক শলাকা আয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য তৈরি করে এবং দরিদ্র ধূমপায়ীকে আরও দরিদ্র করে। একক শলাকা কিনলে দাম হিসাবে পুরো প্যাকেটের চাইতে বেশি পড়ে। অর্থাৎ, যাদের অর্থ কম তারা প্রতিটি সিগারেটের জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করে।
তামাক ব্যবহারে পারিবারিক বাজেট কমিয়ে দেয়। বাংলাদেশের ধূমপায়ীরা গড়ে সিগারেটের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৫৩৭ টাকা (৫ ইউএস ডলার) খরচ করে, যা সীমিত বাজেটের ওপর চাপ তৈরি করে।
একটি গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহার করে না এমন পরিবারের চাইতে তামাক ব্যবহারকারী পরিবার প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন পোশাক, বাসস্থান, শিক্ষা, বিদ্যুৎ ও যাতায়াতে কম অর্থ ব্যয় করে। যখন অসুস্থতা দেখা দেয়, তখন এ পরিবারগুলো আরও বেশি আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়। একটি গবেষণায় দেখা যায়, দরিদ্ররা গড়ে ১৭ হাজার ৩৭১ টাকা (১৬২ ইউএস ডলার) ব্যয় করে যখন তারা তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়।
তামাক ব্যবহার কমাতে এবং বৈষম্য দূর করতে একক শলাকা নিষিদ্ধ করা জরুরি
ধূমপান ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজের জন্য একটি সমস্যা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ১৬০ হাজারের বেশি তামাক ব্যবহারকারী মারা যায়। গবেষকেরা তুলে ধরেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ব্যয়ের পরিমাণ ৩০৫ বিলিয়ন (২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার) বা জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
২০১৮ সালে যারা তামাক ব্যবহার বৃদ্ধি করে তাদের ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ তামাকজাত দ্রব্যের ক্রয়ক্ষমতাকে একটি কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন। সিগারেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে একক শলাকা হচ্ছে সবচেয়ে সাশ্রয়ী। যত দিন একক শলাকা সস্তা ও সহজলভ্য থাকতে তত দিন ধূমপানের হার কার্যকরভাবে কমানো কঠিন হবে, বিশেষ করে তরুণ ও দরিদ্রদের মধ্যে যারা ইতিমধ্যে বৈষম্যের মুখোমুখি। একক শলাকা বিক্রি অবশ্যই নিষিদ্ধ করা উচিত এবং এটি বাস্তবায়নও করতে হবে।

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদিভাবে কমিয়ে আনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে একক শলাকা বিক্রি। ব্লুমবার্গের সহযোগি সংস্থা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এক্সপোজ টোব্যাকো’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৯ আগস্ট ২০২৩
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদিভাবে কমিয়ে আনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে একক শলাকা বিক্রি। ব্লুমবার্গের সহযোগি সংস্থা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এক্সপোজ টোব্যাকো’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৯ আগস্ট ২০২৩
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদিভাবে কমিয়ে আনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে একক শলাকা বিক্রি। ব্লুমবার্গের সহযোগি সংস্থা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এক্সপোজ টোব্যাকো’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৯ আগস্ট ২০২৩
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন...
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন যাপন করতে পারবেন। এখানে কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি জোগায়। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হজমের গতি কমিয়ে রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। ফাইবার হজম শক্তি ভালো করে, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং পেট ভরা অনুভব করায়। এই চারটি উপাদান একসঙ্গে থাকলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ এবং সন্তুষ্টি বোধ করবেন। এই সমন্বয় রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে এবং আপনার শক্তিকে স্থির রাখে।
উপাদানগুলো কীভাবে পাতে রাখবেন
কার্বোহাইড্রেটের জন্য ভাত, রুটি, আলু, ওটস, কুইনোয়া খেতে হবে। প্রোটিনের জন্য খেতে হবে মুরগি, মাছ, ডিম, টোফু, ডাল বা শিম। আমাদের সবার জানা, শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এ ছাড়া ফল ও শস্য খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য খাওয়া যেতে পারে পনির, বীজ, বাদাম, জলপাই তেল।
সংযোজনের ওপর জোর দিন, বর্জন নয়
সব সময় যে খাদ্যতালিকা থেকে খাবার বাদ দেবেন, এমন নয়; বরং খাদ্যতালিকায় পছন্দের খাবার যোগ করুন। তবে সে ক্ষেত্রে ধরনটা হবে ভিন্ন। আপনি যদি ভাত-ডাল খেতে ভালোবাসেন, তবে তার সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি যোগ করুন। সকালের খাবারের সঙ্গে ডিম রাখুন। শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো যোগ করুন। ধরুন, পাস্তা আপনার পছন্দ। সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি এবং লিন প্রোটিন যোগ করুন। ফল খাওয়ার সময় সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন। এই ছোট ছোট সংযোজন আপনার প্রিয় স্বাদের পরিবর্তন না করে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস
বিকেলের ক্লান্তি কিংবা গভীর রাতের ক্ষুধা এড়াতে স্ন্যাকসেও একই নীতি মেনে চলুন। এ সময় চারটির মধ্যে কমপক্ষে দুটি মূল উপাদান রাখুন। কার্ব শক্তি দেবে, আর প্রোটিন বা ফ্যাট হজমপ্রক্রিয়া ধীর করবে। যেমন কোনো ফল দিয়ে টক দই কিংবা পিনাট বাটার দিয়ে কলা খেতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে ফল খেলে তা প্রোটিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ করবে। আর পিনাট বাটার ও কলার মাধ্যমে কার্ব, ফ্যাট ও প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করবে। এ ছাড়া বাদাম, বীজ ও ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন; যা ফ্যাট, ফাইবার ও কার্বসমৃদ্ধ একটি নাশতা হয়।
কৌতূহলী হোন, বিচারক নয়
যদি কোনো খাবারের পর আপনার রক্তে শর্করা বেড়ে যায়, তবে এটিকে ব্যর্থতা না ভেবে তথ্য হিসেবে গ্রহণ করুন। সঠিক ব্যালেন্স পেতে চাইলে খাবারে ফাইবার যোগ করে দেখুন। অথবা খাবারের সময় পরিবর্তন করে দেখুন। কিংবা একসঙ্গে বিভিন্ন খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, মানসিক চাপ, ঘুম, হরমোন এবং আরও অনেক কিছু রক্তে শর্করার মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে। তাই একক সংখ্যার পরিবর্তে প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সবকিছু অতিরিক্ত মনে হয়, তাহলে শুধু একটি ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রথমে শুধু ফাইবার যোগ করা শুরু করতে পারেন। আপনার নিয়মিত খাবারের সঙ্গে সবজি যোগ করুন। রাতারাতি সব খাবারে পরিবর্তন আনার দরকার নেই। রক্তে শর্করা এবং মানসিক শান্তি—উভয়ের জন্য ছোট ও ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলোই সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে।
সূত্র: হেলথ লাইন

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করার অর্থ হলো আপনার প্রিয় খাবার ত্যাগ করা কিংবা কঠোর নিয়ম মেনে চলা নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার একজন মানুষের শরীরকে শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এই চারটি মূল উপাদান শরীরে সঠিক মাত্রায় থাকলে আপনি একটি সুস্থ ও কর্মময় জীবন যাপন করতে পারবেন। এখানে কার্বোহাইড্রেট দ্রুত শক্তি জোগায়। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হজমের গতি কমিয়ে রক্তে শর্করা হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রোধ করে। ফাইবার হজম শক্তি ভালো করে, হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং পেট ভরা অনুভব করায়। এই চারটি উপাদান একসঙ্গে থাকলে আপনি দীর্ঘ সময় ধরে পূর্ণ এবং সন্তুষ্টি বোধ করবেন। এই সমন্বয় রক্তে শর্করাকে ধীরে ধীরে বাড়তে সাহায্য করে এবং আপনার শক্তিকে স্থির রাখে।
উপাদানগুলো কীভাবে পাতে রাখবেন
কার্বোহাইড্রেটের জন্য ভাত, রুটি, আলু, ওটস, কুইনোয়া খেতে হবে। প্রোটিনের জন্য খেতে হবে মুরগি, মাছ, ডিম, টোফু, ডাল বা শিম। আমাদের সবার জানা, শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। এ ছাড়া ফল ও শস্য খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের জন্য খাওয়া যেতে পারে পনির, বীজ, বাদাম, জলপাই তেল।
সংযোজনের ওপর জোর দিন, বর্জন নয়
সব সময় যে খাদ্যতালিকা থেকে খাবার বাদ দেবেন, এমন নয়; বরং খাদ্যতালিকায় পছন্দের খাবার যোগ করুন। তবে সে ক্ষেত্রে ধরনটা হবে ভিন্ন। আপনি যদি ভাত-ডাল খেতে ভালোবাসেন, তবে তার সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি যোগ করুন। সকালের খাবারের সঙ্গে ডিম রাখুন। শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো যোগ করুন। ধরুন, পাস্তা আপনার পছন্দ। সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত সবজি এবং লিন প্রোটিন যোগ করুন। ফল খাওয়ার সময় সঙ্গে বাদাম মিশিয়ে নিতে পারেন। এই ছোট ছোট সংযোজন আপনার প্রিয় স্বাদের পরিবর্তন না করে রক্তে শর্করা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস
বিকেলের ক্লান্তি কিংবা গভীর রাতের ক্ষুধা এড়াতে স্ন্যাকসেও একই নীতি মেনে চলুন। এ সময় চারটির মধ্যে কমপক্ষে দুটি মূল উপাদান রাখুন। কার্ব শক্তি দেবে, আর প্রোটিন বা ফ্যাট হজমপ্রক্রিয়া ধীর করবে। যেমন কোনো ফল দিয়ে টক দই কিংবা পিনাট বাটার দিয়ে কলা খেতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে ফল খেলে তা প্রোটিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ করবে। আর পিনাট বাটার ও কলার মাধ্যমে কার্ব, ফ্যাট ও প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করবে। এ ছাড়া বাদাম, বীজ ও ড্রাই ফ্রুটস খেতে পারেন; যা ফ্যাট, ফাইবার ও কার্বসমৃদ্ধ একটি নাশতা হয়।
কৌতূহলী হোন, বিচারক নয়
যদি কোনো খাবারের পর আপনার রক্তে শর্করা বেড়ে যায়, তবে এটিকে ব্যর্থতা না ভেবে তথ্য হিসেবে গ্রহণ করুন। সঠিক ব্যালেন্স পেতে চাইলে খাবারে ফাইবার যোগ করে দেখুন। অথবা খাবারের সময় পরিবর্তন করে দেখুন। কিংবা একসঙ্গে বিভিন্ন খাবার খেয়ে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন, মানসিক চাপ, ঘুম, হরমোন এবং আরও অনেক কিছু রক্তে শর্করার মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে। তাই একক সংখ্যার পরিবর্তে প্যাটার্ন বোঝার চেষ্টা করুন। যদি সবকিছু অতিরিক্ত মনে হয়, তাহলে শুধু একটি ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রথমে শুধু ফাইবার যোগ করা শুরু করতে পারেন। আপনার নিয়মিত খাবারের সঙ্গে সবজি যোগ করুন। রাতারাতি সব খাবারে পরিবর্তন আনার দরকার নেই। রক্তে শর্করা এবং মানসিক শান্তি—উভয়ের জন্য ছোট ও ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলোই সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলে।
সূত্র: হেলথ লাইন

বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদিভাবে কমিয়ে আনার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে একক শলাকা বিক্রি। ব্লুমবার্গের সহযোগি সংস্থা জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘এক্সপোজ টোব্যাকো’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
২৯ আগস্ট ২০২৩
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগে