নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। এদের প্রত্যেকের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এক গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডক্টর খালেদা ইসলাম।
প্রবন্ধে বলা হয়, খাদ্য বিভিন্নভাবে দূষিত হয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস (ছত্রাক), কেমিক্যাল (রাসায়নিক পদার্থ), বিষাক্ত উপাদান। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার সময়ও খাবার দূষিত হতে পারে। খাদ্য বিষাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ফরমালিন, ইউরিয়া ও ক্যালসিয়াম কারবাইড ব্যবহার।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে কেবল ডায়রিয়ায় ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০২২ সালে কলেরায় মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৪০০ মানুষ।
খাবার সংরক্ষণের বিষয়ে খালেদা ইসলাম তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, ‘খাবার সংরক্ষণে আলাদা আলাদা তাক ব্যবহার করতে হবে। সঠিক উপায়ে রান্না করতে হবে। সঠিক তাপমাত্রা সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য পুষ্টিগুণ বজায় রাখা এবং উত্তম পারিবারিক অনুশীলন বজায় রাখতে হবে। সমাজের সুস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য কেবলমাত্র রোগ প্রতিরোধেই সহায়ক নয়, এটি শরীরের সঠিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাদ্য আমাদের দেহের শক্তি ও পুষ্টির প্রধান উৎস। কিন্তু নিরাপদ খাদ্যের অভাবে কারণে নানা রোগব্যাধির ঝুঁকি রয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রতিটি ধাপে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। রাসায়নিক মুক্ত ও ভেজালমুক্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি। সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ভিটামিন থাকতে হবে।
অপরদিকে দূষিত ভেজাল খাবার শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে যেমন—ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া, ক্যানসার ইত্যাদি। নিরাপদ খাদ্য আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
এতে বলা হয়, বাজার থেকে খাদ্য কেনার সময় গুণগতমান ও মেয়াদ যাচাই করা, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারি আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করা, খাদ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রচারণা সচেতনতা বৃদ্ধি করা খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই সেমিনার আয়োজন করে। এতে প্রধানত ঈদ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান। এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, কৃষি মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমাম এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, খাদ্যবাহিত রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ৪ লাখ ২০ হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। এদের প্রত্যেকের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এক গবেষণা প্রবন্ধে এ তথ্য তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডক্টর খালেদা ইসলাম।
প্রবন্ধে বলা হয়, খাদ্য বিভিন্নভাবে দূষিত হয়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস (ছত্রাক), কেমিক্যাল (রাসায়নিক পদার্থ), বিষাক্ত উপাদান। এ ছাড়া, শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার সময়ও খাবার দূষিত হতে পারে। খাদ্য বিষাক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ ফরমালিন, ইউরিয়া ও ক্যালসিয়াম কারবাইড ব্যবহার।
প্রবন্ধে আরও বলা হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে কেবল ডায়রিয়ায় ৩৫ হাজার লোকের মৃত্যু হয়েছিল এবং ২০২২ সালে কলেরায় মারা গিয়েছিল ১ হাজার ৪০০ মানুষ।
খাবার সংরক্ষণের বিষয়ে খালেদা ইসলাম তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, ‘খাবার সংরক্ষণে আলাদা আলাদা তাক ব্যবহার করতে হবে। সঠিক উপায়ে রান্না করতে হবে। সঠিক তাপমাত্রা সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
সেমিনারে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য পুষ্টিগুণ বজায় রাখা এবং উত্তম পারিবারিক অনুশীলন বজায় রাখতে হবে। সমাজের সুস্বাস্থ্য উন্নয়নে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য কেবলমাত্র রোগ প্রতিরোধেই সহায়ক নয়, এটি শরীরের সঠিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, খাদ্য আমাদের দেহের শক্তি ও পুষ্টির প্রধান উৎস। কিন্তু নিরাপদ খাদ্যের অভাবে কারণে নানা রোগব্যাধির ঝুঁকি রয়েছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ পদ্ধতির প্রতিটি ধাপে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। রাসায়নিক মুক্ত ও ভেজালমুক্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারি। সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমিষ, শর্করা, চর্বি ও ভিটামিন থাকতে হবে।
অপরদিকে দূষিত ভেজাল খাবার শরীরে নানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে যেমন—ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া, ক্যানসার ইত্যাদি। নিরাপদ খাদ্য আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
এতে বলা হয়, বাজার থেকে খাদ্য কেনার সময় গুণগতমান ও মেয়াদ যাচাই করা, খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সরকারি আইন ও নীতিমালা অনুসরণ করা, খাদ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রচারণা সচেতনতা বৃদ্ধি করা খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে খাদ্য মান নিয়ন্ত্রণ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে আজ রোববার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই সেমিনার আয়োজন করে। এতে প্রধানত ঈদ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান। এ সময় খাদ্য অধিদপ্তরে মহাপরিচালক আব্দুল খালেক, কৃষি মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব আহমেদ ফয়সাল ইমাম এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
সাধারণত সময়ের আগে যে শিশুর জন্ম হয়, তার ওজন কম থাকে। তবে অনেক সময় মায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বা গর্ভাবস্থার জটিলতার কারণেও সঠিক সময়ে অর্থাৎ ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ করে জন্মানো শিশুরও ওজন কম হতে পারে। এদের বলা হয় স্বল্প ওজনের কিন্তু পূর্ণ গর্ভাবস্থার নবজাতক।
১ দিন আগেযদি হঠাৎ ব্যথা, তীব্র দৃষ্টি পরিবর্তন, লাল ভাব কিংবা অন্য কোনো অস্বাভাবিক উপসর্গ যদি অনুভব করেন; তাহলে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
১ দিন আগেপালংশাক পুষ্টিগুণে ভরা। এটি লো-ক্যালরি সুপার ফুড। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, লুটেইন, বিটা-ক্যারোটিন, জেক্সানথিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট-সমৃদ্ধ উদ্ভিদ যৌগ উপাদান। এগুলো চোখের স্বাস্থ্য, হাড়ের ঘনত্ব, ক্যানসার, অকালবার্ধক্য, ওজন কমানো এবং হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
১ দিন আগেবিভিন্ন সময় আমরা নানা রোগে আক্রান্ত হই। তারপর সে রোগের চিকিৎসা করাই। কিন্তু আমরা কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে যাচ্ছি, সেটি যদি আগে থেকে জানা যেত, তাহলে কেমন হতো?
১ দিন আগে