ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহবাগ মোড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে, লাঠিপেটা ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ, ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
এরই মধ্যে সোমবার শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত নারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে দাবিতে কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছবিগুলো ছড়ানো হয়েছে। ছবিগুলোয় বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি কর্তৃক নারীদের শরীরের বিভিন্ন অংশের কাপড়ে ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া, ঠেলে গাড়িতে তোলা এবং একটি ছবিতে লাথি দিতে দেখা যায়।
এমবি কানিজ (MB Kaniz) নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ছবি গুলো যদি জুলাইয়ের হতো, তবে মৌসুমী দেশপ্রেমিকদের আহাজারিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধু নয়, আশেপাশের গোরস্থান থেকেও মূর্দা লাশও জিন্দা হয়ে উঠতো। একটা স্থিতিশীল দেশকে চরম সংকটে ফেলে খুব দ্রুত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, সেই বিভ্রান্তি কেটেছে? নাকি এখনো বিশ্ব সেলিব্রেটির মোহে পড়ে আছে, তারা?
প্রাইমারি চাকরি তে তাদের নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ বাতিল করলেন কেন? এখন এরা আন্দোলন ডাকছে আপনারা তাদের সমাধানের কথা না বলে এমন বিশ্রী ভাবে নারী শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে নিজেদের কুকুরের সমতুল্য করছেন। ধিক শতধিক!’ (বানান অপরিবর্তিত)
মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত ওই পোস্টে ৪৪০টি রিয়্যাকশন পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১১৪টি। পোস্টটিতে ১০৪টি কমেন্ট পড়েছে। পোস্টে অনেকে এই ছবিগুলো পুরোনো বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া অনেকে এটি গতকাল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। রাহাত খান (Rahat Imran) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ছবিগুলো দেখে সত্যি অনেক খারাপ লাগে একজন নারীকে সম্মান দিয়ে চলাটা প্রত্যেক পুরুষের দায়িত্ব এবং কর্তব্য এভাবে একজন নারীর গায়ে হাত দেওয়া এভাবে জড়িয়ে জোরজবস্তি করা এটা ঠিক না এটা অন্যায় এগুলোর বিচার একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। সকল কারাবন্দীদের মুক্তি চাই’ (বানান অপরিবর্তিত)
Jahanggir Alam Nayeem, Osman Goni এবং Atika Binte Hossain নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছবিগুলো পোস্ট করা হয়েছে।
গতকাল শাহবাগে পুলিশ এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোয় মোট ৪টি ছবি আছে। ছবিগুলো আলাদা আলাদাভাবে যাচাই করার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ছবি যাচাই: ০১
প্রথম ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘আঁলো আঁধারের গল্প’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ধর্ষক আর পুলিশের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
দুই জানোয়ারই নারীর ইজ্জতে হাত দেয়।
দেখুন বোরকা পরা হাতটি অসহায় নারীর কোন জায়গায় রেখেছে।
Presented By. “Thowhid Mirza” (বানান অপরিবর্তিত)
একই ছবিটি প্রায় একই ক্যাপশনে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিলে মামুন বিল্লাহ (Mamun Billah) নামে অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়।
এসব পোস্টে ছবিটি কোন ঘটনার ভিত্তিতে তোলা হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
ছবি যাচাই: ০২
দ্বিতীয় ছবিটিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগো লক্ষ্য করা যায়। এটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘Mma Taher’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর পোস্ট করা হয়।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘হরতাল সমর্থক এক ছাত্রীকে লাথি মারছে পুলিশ।’
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করা হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর, প্রথম আলোসহ একাধিক গণমাধ্যমে ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সংবাদ পাওয়া যায়।
ছবি যাচাই: ০৩
তৃতীয় ছবিতেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগো দেখা যায়। ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘Ahsan Kamrul Mazumder’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট পোস্ট করা হয়।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ধর্ষক আর পুলিশের মাঝে পার্থক্য কোথায়?’
এই পোস্টে সোমবার শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ছড়িয়ে আরও দুটি ছবি দেখা যায়। তবে পোস্টে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
ছবি যাচাই: ০৪
ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ব্লগস্পট ওয়েবসাইটের ‘Bongoj’ নামে অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি ২০০৯ সালে পোস্ট করা হয়।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘বাংলাদেশি পুলিশ।’
অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর পেছনের ঘটনা সম্পর্কে না জানা গেলেও এটা নিশ্চিত, এগুলো গতকাল সোমবার শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত নারীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা করার ঘটনার নয়। ছবিগুলো অন্তত ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় থেকে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগোসহ দুটি ছবির বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমটির ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান মুস্তাফিজ মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে পোস্টটি শেয়ার করলে তিনি জানান, এই ছবিগুলোর একটিও গতকালের ঘটনার না। তবে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগোসহ দুটি ছবি চিহ্নিত করতে পেরেছেন; তবে ছবিগুলোর প্রেক্ষাপট তিনি স্মরণ করতে পারেননি।
তবে শেষের ছবিটি (পুলিশ নারীকে জড়িয়ে ধরে আছে) তিনি চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তিনি জানান, শেষবার যখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল, তখন এই ছবি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে তোলা হয়। ছবিটি আজিজুর রহিম পিউ তুলেছিলেন।
সুতরাং, শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত নারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো ১০ ফেব্রুয়ারির নয়। প্রকৃতপক্ষে, ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো ভিন্ন ঘটনার পুরোনো; যা গতকালের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন।
শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহবাগ মোড়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে, লাঠিপেটা ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ, ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে।
এরই মধ্যে সোমবার শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত নারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে দাবিতে কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছবিগুলো ছড়ানো হয়েছে। ছবিগুলোয় বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক পরিহিত ব্যক্তি কর্তৃক নারীদের শরীরের বিভিন্ন অংশের কাপড়ে ধরে টেনে নিয়ে যাওয়া, ঠেলে গাড়িতে তোলা এবং একটি ছবিতে লাথি দিতে দেখা যায়।
এমবি কানিজ (MB Kaniz) নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রকাশিত পোস্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ছবি গুলো যদি জুলাইয়ের হতো, তবে মৌসুমী দেশপ্রেমিকদের আহাজারিতে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুধু নয়, আশেপাশের গোরস্থান থেকেও মূর্দা লাশও জিন্দা হয়ে উঠতো। একটা স্থিতিশীল দেশকে চরম সংকটে ফেলে খুব দ্রুত ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, সেই বিভ্রান্তি কেটেছে? নাকি এখনো বিশ্ব সেলিব্রেটির মোহে পড়ে আছে, তারা?
প্রাইমারি চাকরি তে তাদের নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ বাতিল করলেন কেন? এখন এরা আন্দোলন ডাকছে আপনারা তাদের সমাধানের কথা না বলে এমন বিশ্রী ভাবে নারী শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে নিজেদের কুকুরের সমতুল্য করছেন। ধিক শতধিক!’ (বানান অপরিবর্তিত)
মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত ওই পোস্টে ৪৪০টি রিয়্যাকশন পড়েছে এবং শেয়ার হয়েছে ১১৪টি। পোস্টটিতে ১০৪টি কমেন্ট পড়েছে। পোস্টে অনেকে এই ছবিগুলো পুরোনো বলে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া অনেকে এটি গতকাল শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের হামলা উল্লেখ করে কমেন্ট করেছেন। রাহাত খান (Rahat Imran) নামে অ্যাকাউন্ট থেকে লিখেছে, ছবিগুলো দেখে সত্যি অনেক খারাপ লাগে একজন নারীকে সম্মান দিয়ে চলাটা প্রত্যেক পুরুষের দায়িত্ব এবং কর্তব্য এভাবে একজন নারীর গায়ে হাত দেওয়া এভাবে জড়িয়ে জোরজবস্তি করা এটা ঠিক না এটা অন্যায় এগুলোর বিচার একদিন হবে ইনশাআল্লাহ। সকল কারাবন্দীদের মুক্তি চাই’ (বানান অপরিবর্তিত)
Jahanggir Alam Nayeem, Osman Goni এবং Atika Binte Hossain নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছবিগুলো পোস্ট করা হয়েছে।
গতকাল শাহবাগে পুলিশ এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোয় মোট ৪টি ছবি আছে। ছবিগুলো আলাদা আলাদাভাবে যাচাই করার চেষ্টা করে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
ছবি যাচাই: ০১
প্রথম ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘আঁলো আঁধারের গল্প’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি ২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ধর্ষক আর পুলিশের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
দুই জানোয়ারই নারীর ইজ্জতে হাত দেয়।
দেখুন বোরকা পরা হাতটি অসহায় নারীর কোন জায়গায় রেখেছে।
Presented By. “Thowhid Mirza” (বানান অপরিবর্তিত)
একই ছবিটি প্রায় একই ক্যাপশনে ২০১৬ সালের ১ এপ্রিলে মামুন বিল্লাহ (Mamun Billah) নামে অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়।
এসব পোস্টে ছবিটি কোন ঘটনার ভিত্তিতে তোলা হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।
ছবি যাচাই: ০২
দ্বিতীয় ছবিটিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগো লক্ষ্য করা যায়। এটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘Mma Taher’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর পোস্ট করা হয়।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘হরতাল সমর্থক এক ছাত্রীকে লাথি মারছে পুলিশ।’
এসব তথ্যসূত্রে গুগলে সার্চ করা হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর, প্রথম আলোসহ একাধিক গণমাধ্যমে ২০১৩ সালের অক্টোবরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের সংবাদ পাওয়া যায়।
ছবি যাচাই: ০৩
তৃতীয় ছবিতেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগো দেখা যায়। ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ‘Ahsan Kamrul Mazumder’ নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট পোস্ট করা হয়।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ধর্ষক আর পুলিশের মাঝে পার্থক্য কোথায়?’
এই পোস্টে সোমবার শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ছড়িয়ে আরও দুটি ছবি দেখা যায়। তবে পোস্টে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
ছবি যাচাই: ০৪
ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে ব্লগস্পট ওয়েবসাইটের ‘Bongoj’ নামে অ্যাকাউন্টে ছবিটি পাওয়া যায়। ছবিটি ২০০৯ সালে পোস্ট করা হয়।
ছবিটির ক্যাপশনে লেখা, ‘বাংলাদেশি পুলিশ।’
অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর পেছনের ঘটনা সম্পর্কে না জানা গেলেও এটা নিশ্চিত, এগুলো গতকাল সোমবার শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত নারীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা করার ঘটনার নয়। ছবিগুলো অন্তত ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় থেকে ইন্টারনেটে প্রচার হয়ে আসছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগোসহ দুটি ছবির বিষয়ে জানতে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমটির ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান মুস্তাফিজ মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে পোস্টটি শেয়ার করলে তিনি জানান, এই ছবিগুলোর একটিও গতকালের ঘটনার না। তবে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের লোগোসহ দুটি ছবি চিহ্নিত করতে পেরেছেন; তবে ছবিগুলোর প্রেক্ষাপট তিনি স্মরণ করতে পারেননি।
তবে শেষের ছবিটি (পুলিশ নারীকে জড়িয়ে ধরে আছে) তিনি চিহ্নিত করতে পেরেছেন। তিনি জানান, শেষবার যখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল, তখন এই ছবি ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে তোলা হয়। ছবিটি আজিজুর রহিম পিউ তুলেছিলেন।
সুতরাং, শাহবাগে এনটিআরসিএ নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং সুপারিশপ্রাপ্ত প্রাথমিকের শিক্ষকদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনরত নারীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো ১০ ফেব্রুয়ারির নয়। প্রকৃতপক্ষে, ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলো ভিন্ন ঘটনার পুরোনো; যা গতকালের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন।
গতকাল শনিবার (১৫ মার্চ) এক তরুণকে প্রকাশ্যে বেধড়ক পেটানো হয়েছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপে পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিওর শুরুতে কালো শার্ট পরা ও পিঠে স্কুলব্যাগ ঝোলানো এক তরুণকে দৌড়াতে দেখা যায়।
১৯ ঘণ্টা আগেপর্তুগিজ ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সৌদি আরবের সৌদি প্রো লিগ দল আল নাসরের হয়ে খেলেন। আর ফরাসি ফুটবল তারকা করিম বেনজেমা খেলেন আল ইতিহাদের হয়ে। এই দুই তারকা ফুটবলারের একটি সেলফি ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ছবিতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও করিম বেনজেমাকে একই ধরনের সাদা রঙের টুপি ও টি-শা
১ দিন আগেভিডিওতে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ছাড়াও মিশা সওদাগর, জায়েদ খানসহ আরও কিছু চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বকে দেখা যায়। মিছিলে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশে আসবে। বাংলাদেশে আসবে, শেখ হাসিনা আসবে।’ স্লোগান শুনতে পাওয়া যায়।
২ দিন আগেনারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে একজন যুবককে একটি গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় একজন নারীকে হাতে বেঁধে মারধর করছে এবং কিছু মানুষকে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে।
৩ দিন আগে