জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর

শেরপুর সীমান্তের গারো পাহাড়ের কালঘোঁষা নদীতে স্লুইসগেট (জল কপাট) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এতে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়বে শাল-গজারির এই বন। চিরতরে সৌন্দর্য হারাবে গারো পাহাড়—এই আশঙ্কা বন বিভাগের। প্রকল্প বন্ধ করতে ইতিমধ্যে এলজিইডিকে চিঠি দিয়েছে বন বিভাগ। আর জনজীবন রক্ষায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালঘোঁষা নদীর দুই পারেই আদিবাসী জনপদের বসবাস। পুরো অংশজুড়ে রয়েছে শাল-গজারির বন। রয়েছে বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন ও সুফল বাগান প্রকল্প। বন বিভাগের বৃহৎ অংশের পাশাপাশি এখানে রয়েছে মালিকানাধীন রেকর্ডীয় সম্পদও। যেখানে বেশির ভাগই আবাদি জমি। বন্য হাতির আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে নিজেদের তাগিদেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এখানকার মানুষ।
কিন্তু গ্রামের এই অংশে নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় হেঁটেই নদী পার হতে হয় হালচাটি কোচ পাড়ার বাসিন্দাদের। এলাকাজুড়ে একটিমাত্র প্রাক্-প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও শিক্ষার্থীদের যেতে হয় হাঁটুপানি পেরিয়ে। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে দুর্ভোগ বাড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলজিইডির তথ্যমতে, এখানকার কাঁচা সড়কটি এলজিইডির আওতাভুক্ত না হওয়ায় সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়।
এদিকে এই নদীর ভাটি এলাকার গান্ধিগাঁও অংশে জাইকার অর্থায়নে স্লুইসগেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এলজিইডি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে এখন প্রকল্পটি শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই স্লুইসগেট নির্মিত হলে উজানের হালচাটি অংশে সারা বছর পানি জমে থাকবে।
এতে যাতায়াত বন্ধসহ দুর্ভোগে পড়বে তাঁরা। এ ছাড়া স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলে ক্ষতির মুখে পড়বে বনভূমি, মারা যাবে শাল-গজারিগাছ। আটকে রাখা গভীর জলে যাতায়াত বন্ধ হবে দুই পারের মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হবে উজানের আবাদি জমি।
স্থানীয় কৃষক মো. রশীদ মিয়া বলেন, নদীর দুই পারেই বন। স্লুইসগেট বসালে পানি আটকে বন এমনিই মারা যাবে। কোচপাড়ার হরিনাথ কোচ বলেন, এখানে স্লুইসগেট হলে দুই পারের মানুষই বিপদে পড়বে। শিক্ষার্থী ঝুমুর বলে, ‘আমাদের এই নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। স্লুইসগেট থাকলে পানি বেশি থাকবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না।
পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, এই গারো পাহাড় শেরপুরের ঐতিহ্য। স্লুইসগেট নির্মিত হলে পুরো বনটাই ধ্বংসের মুখে পড়বে। সবুজ বন নষ্ট করে এখানে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। এই প্রকল্পের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
এদিকে বন রক্ষায় স্লুইসগেট না করতে ইতিমধ্যে এলজিইডিকে চিঠি দিয়েছে বন বিভাগ। এ বিষয়ে শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, এই স্লুইসগেট হলে স্থানীয়দের আবাদে সুবিধা হবে। তবে কিছু অসুবিধার কথাও আমরা জানতে পেরেছি। বন বিভাগ থেকে আমাদের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের আপত্তির বিষয়েও কাজ করছি।’
শেরপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু ইউসুফ বলেন, বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে বাঁধ সৃষ্টি করে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলে বনের ভয়াবহ ক্ষতি হবে। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও ভয়াবহ হুমকির মধ্যে পড়বে। এ ছাড়া বনের ভেতর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে অবশ্যই মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। সেই অনুমতি ছাড়া আমরা কোনোভাবেই কাজ করতে দিতেপারি না।’

শেরপুর সীমান্তের গারো পাহাড়ের কালঘোঁষা নদীতে স্লুইসগেট (জল কপাট) নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)। এতে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়বে শাল-গজারির এই বন। চিরতরে সৌন্দর্য হারাবে গারো পাহাড়—এই আশঙ্কা বন বিভাগের। প্রকল্প বন্ধ করতে ইতিমধ্যে এলজিইডিকে চিঠি দিয়েছে বন বিভাগ। আর জনজীবন রক্ষায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালঘোঁষা নদীর দুই পারেই আদিবাসী জনপদের বসবাস। পুরো অংশজুড়ে রয়েছে শাল-গজারির বন। রয়েছে বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন ও সুফল বাগান প্রকল্প। বন বিভাগের বৃহৎ অংশের পাশাপাশি এখানে রয়েছে মালিকানাধীন রেকর্ডীয় সম্পদও। যেখানে বেশির ভাগই আবাদি জমি। বন্য হাতির আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে নিজেদের তাগিদেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এখানকার মানুষ।
কিন্তু গ্রামের এই অংশে নদীর ওপর কোনো সেতু না থাকায় হেঁটেই নদী পার হতে হয় হালচাটি কোচ পাড়ার বাসিন্দাদের। এলাকাজুড়ে একটিমাত্র প্রাক্-প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও শিক্ষার্থীদের যেতে হয় হাঁটুপানি পেরিয়ে। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে দুর্ভোগ বাড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলজিইডির তথ্যমতে, এখানকার কাঁচা সড়কটি এলজিইডির আওতাভুক্ত না হওয়ায় সেতু নির্মাণ সম্ভব নয়।
এদিকে এই নদীর ভাটি এলাকার গান্ধিগাঁও অংশে জাইকার অর্থায়নে স্লুইসগেট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে এলজিইডি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে এখন প্রকল্পটি শুরুর অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই স্লুইসগেট নির্মিত হলে উজানের হালচাটি অংশে সারা বছর পানি জমে থাকবে।
এতে যাতায়াত বন্ধসহ দুর্ভোগে পড়বে তাঁরা। এ ছাড়া স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলে ক্ষতির মুখে পড়বে বনভূমি, মারা যাবে শাল-গজারিগাছ। আটকে রাখা গভীর জলে যাতায়াত বন্ধ হবে দুই পারের মানুষের। ক্ষতিগ্রস্ত হবে উজানের আবাদি জমি।
স্থানীয় কৃষক মো. রশীদ মিয়া বলেন, নদীর দুই পারেই বন। স্লুইসগেট বসালে পানি আটকে বন এমনিই মারা যাবে। কোচপাড়ার হরিনাথ কোচ বলেন, এখানে স্লুইসগেট হলে দুই পারের মানুষই বিপদে পড়বে। শিক্ষার্থী ঝুমুর বলে, ‘আমাদের এই নদী পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। স্লুইসগেট থাকলে পানি বেশি থাকবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে না।
পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মো. মেরাজ উদ্দিন বলেন, এই গারো পাহাড় শেরপুরের ঐতিহ্য। স্লুইসগেট নির্মিত হলে পুরো বনটাই ধ্বংসের মুখে পড়বে। সবুজ বন নষ্ট করে এখানে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। এই প্রকল্পের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।
এদিকে বন রক্ষায় স্লুইসগেট না করতে ইতিমধ্যে এলজিইডিকে চিঠি দিয়েছে বন বিভাগ। এ বিষয়ে শেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। আমাদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, এই স্লুইসগেট হলে স্থানীয়দের আবাদে সুবিধা হবে। তবে কিছু অসুবিধার কথাও আমরা জানতে পেরেছি। বন বিভাগ থেকে আমাদের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের আপত্তির বিষয়েও কাজ করছি।’
শেরপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু ইউসুফ বলেন, বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে বাঁধ সৃষ্টি করে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলে বনের ভয়াবহ ক্ষতি হবে। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যও ভয়াবহ হুমকির মধ্যে পড়বে। এ ছাড়া বনের ভেতর কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে অবশ্যই মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে। সেই অনুমতি ছাড়া আমরা কোনোভাবেই কাজ করতে দিতেপারি না।’

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫