মামুনুর রশীদ নাট্যব্যক্তিত্ব

রাজধানীসহ সারা দেশে একটি জ্বলন্ত সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। পত্রপত্রিকায় বহুবার লিখেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জবাব দেয়নি। আশা করছি এ লেখার পর বিষয়টির মীমাংসা না হলেও অন্তত নীতিনির্ধারকেরা একটা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। আমরা তখন বুঝতে পারব কেনইবা এটা হচ্ছে না, প্রতিবন্ধকতা কত বড় যে দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আজকে রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরেও যানজট একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের সমস্যা সমাধানে ট্রাফিক পুলিশ, ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রাণপণে চেষ্টা করে যান। এই বিপুল যানবাহনের জন্য সেই প্রাচীন যুগের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা দিয়ে কি সম্ভব? ট্রাফিক পুলিশ দুই হাত তুলে যানবাহন ও জন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। একটি আধুনিক শহরে এটা কী করে যৌক্তিক হতে পারে? গত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিশুকিশোরেরা ট্রাফিকব্যবস্থাকে নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে একটা বড় কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। তখন বোঝা গিয়েছিল যে ঢাকার তীব্র যানজটের সমস্যা দূর করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তারপর অনেক সময় চলে গেছে, প্রতিদিন পথে-ঘাটে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। ঈদের সময় এই মৃত্যুর হার অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবু শহরের বহু বছরের পুরোনো ট্রাফিক লাইটগুলো নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। লাল, নীল, হলুদ বাতিগুলো তখন জ্বলে না। কেন জ্বলে না, এই প্রশ্নের কোনো জবাবও পাওয়া যায় না। যখন জ্বলত তখন দেখা যেত লাল আলোতে গাড়ি চলে, সবুজ আলোতে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্বের যে নিয়মনীতি বা বিধিমালা সেটা বারবার ভঙ্গ হয়েছে। আজকের ঢাকা শহর এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিপুল পরিমাণে গাড়ি চলাচল করে। দক্ষ, অদক্ষ গাড়িচালকেরা নিজেদের খামখেয়ালিতে সেই সনাতন ট্রাফিক নিয়মকে ভঙ্গ করে। শুধু মানুষ নয়, মানুষের ঘরবাড়ির ওপর দিয়েও গাড়ি চালিয়ে দিচ্ছে। কোনো কোনো শ্রমিকনেতা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনা পরীক্ষায় ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই চাপে কাজও হয়েছে। আজকের আধুনিক বিশ্বে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষই করা যায় না। সেখানে লাল, সবুজ, হলুদ বাতি জ্বলে এবং যেকোনো আইনভঙ্গের ছবি ক্যামেরায় ধরা হয়। পরের দিন প্রত্যুষে সেই গাড়ির মালিকের কাছে জরিমানাসহ কোর্টের আদেশ জারি হয়ে যায়। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। শহরগুলোকে ভিআইপি শহরে পরিণত করার জন্য এই ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে।
দেশের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা বিশেষ ধরনের শব্দ করে ট্রাফিক সিস্টেমকে নিজের ইচ্ছেমতো পরিচালিত করছেন। মানুষ, গাড়ি সব দাঁড়িয়ে থাকত আর ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা খুব সহজেই সবার আগে গন্তব্যে পৌঁছে যেতেন। তাঁদের গাড়ির সঙ্গে থাকত পুলিশের বহর, তাঁদের হাতে লাল সিগন্যাল বাতি এবং সমস্ত আইনকানুন প্রত্যাখ্যান করে তাঁরা চলে যেতেন সবার আগে। কিন্তু ২০২৪ সালে যখন শোনা যায় শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ও বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা বসানো হয়েছে, সেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এত কঠিন হবে কেন? নাগরিকেরা নানা ইস্যুতে আন্দোলন করে থাকে কিন্তু এই বিষয়ে তাদের কোনো আওয়াজ তুলতে দেখা যায় না। ঢাকা শহর পৃথিবীর বিরল একটি শহর। যেখানে আধুনিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নেই। কিন্তু যানজট তীব্রভাবে বেড়ে চলেছে। শুধু যানজট নয়, দুর্ঘটনাও একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এ বিষয়ে কেনইবা কর্তৃপক্ষ এবং সচেতন নাগরিকেরা নিশ্চুপ, তা রহস্যময়!
আজকে যদি পৃথিবীর বড় শহরগুলোতে ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকে তাহলে যানবাহনচালকেরাই একটা বিদ্রোহ করে বসবেন। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় যানবাহনচালকেরা সিগন্যাল না থাকাতে যেন খুবই খুশি। একদা সিগন্যাল না মানার জন্য প্রচুর জরিমানা হতো, এখন স্থানীয়ভাবে ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে তা মিটিয়ে নেওয়া যায়। এ কারণেই হয়তো সিগন্যাল না মানাটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদা ব্যাংকক, কলকাতায় তীব্র যানজট হতো। কিন্তু কঠোরভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সেই যানজট অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রশ্ন জাগে, আদৌ আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সিস্টেমে কোনো বিশেষত্ব তৈরি হয়েছে কি না? ধানমন্ডির ৯/এ রোডে একসময় কোনো যানজটই ছিল না। কিন্তু তারপর একের পর এক স্কুল, কোচিং সেন্টার গড়ে উঠতে থাকে। সম্প্রতি একটি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ায় এই রাস্তাটি মাঝে মাঝে স্থবির হয়ে পড়ে। দিনে স্কুল, কলেজ, ক্লিনিক এবং রাতে কোচিং সেন্টারের ফলে এই যানজট দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
চালকেরা সব সময়ই সাবধানবাণী করে থাকে যে এই সময়গুলোতে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না। যানজটে আটকে যেতে হবে।
যানজটের আরেকটা প্রধান কারণ হচ্ছে পায়ে চালানো রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং অটোবাইক—এগুলো সমস্ত রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। শুধু ঢাকায়ই নয়, ঢাকার বাইরের জেলা শহর, মফস্বল শহরসহ সর্বত্রই তাদের দাপট। অল্প টাকার বিনিয়োগের ফলে এই যানবাহনগুলো কেনা যায়, ফলে বেকার যুবকেরা কোনো কিছু না ভেবেই এগুলো নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। যার ভয়াবহ পরিণতি নগরের বিশৃঙ্খলা প্রতিদিনই বাড়ছে। রাজনীতিবিদেরা ভোটের আশায় এই ব্যবস্থাকে চালু করে রেখেছেন। প্রতিদিন রাস্তার অবস্থা চিন্তা না করেই কর্তৃপক্ষ ও মোটরগাড়ির লাইসেন্স নতুন নতুন রুট পারমিট দিচ্ছে। বাস, ট্রাকস্টেশন গড়ে ওঠার পেছনে সেখানে ব্যাপক ঘুষ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। বিআরটিএর কেন্দ্রগুলোতে একশ্রেণির দালালের উপস্থিতি লক্ষণীয়। রাস্তার অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বিপুল গাড়ি প্রতিদিন রাস্তায় নামছে। গত সরকারের আমলে গাড়ি বেচাকেনার অনেক শোরুম গড়ে উঠেছে। সেই গাড়িগুলো এত প্রশস্ত ও লম্বা বলে রাস্তায় অন্যদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
রাজউক কর্তৃপক্ষ কোনো কিছু বিবেচনায় না রেখেই রাস্তার পাশে বড় বড় অট্টালিকা, বিপণিকেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্টের অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে। সবটাই হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে। পান্থপথে একটি বড় বিপণিকেন্দ্র থাকার পরেও তার পাশে পানি ভবন নামে একটি সরকারি স্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন শত শত গাড়ির আনাগোনা দেখা যায়। একই পথে অনেকগুলো হাসপাতাল, যে হাসপাতালগুলোতে সব সময়ই রোগী এবং রোগীর লোকজন চলাফেরা করেন গাড়িতে। বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করে। এখানে কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে তা রাজউক কর্তৃপক্ষ হিসাব রাখার প্রয়োজনই বোধ করে না। তাতে এটাই প্রতীয়মান হয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পুলিশের অধীনে একটি সংস্থামাত্র, যার নিয়ন্ত্রণে কোনো ট্রাফিক বিশেষজ্ঞ নেই। যার প্রধান হিসেবে কাজ করেন তাঁরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তাঁদের প্রায়ই বদলি হয়ে যেতে হয়। কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা সেখানে নেই।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও একটি আধুনিক ট্রাফিকব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। অথচ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ট্রাফিক অনেক বেশি। এই সংস্থার সঙ্গে রাজউক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা যায়, কারও সঙ্গে কারও তেমন কোনো যোগাযোগ নেই এবং প্রত্যেকেই নিজেদের অ্যাজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত। এজেন্ডাটি প্রায়ই অর্থনৈতিক। কারও মধ্যে দেশের উন্নয়ন বা সৌন্দর্য্যর স্বপ্ন নেই। স্বপ্ন একটিই, তা হলো ব্যক্তিগত এবং অর্থনৈতিক, এর জলজ্যান্ত প্রমাণ ওয়াসা এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানি। উচ্চপদস্থ থেকে একেবারেই নিম্নপদস্থ কর্মচারীর মধ্যে অর্থ ভাগাভাগির এক মহোৎসব লক্ষণীয়। তেমনি সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাগুলোতেও একই অবস্থা। এসবের মধ্য দিয়েই যাঁরা গাড়ির মালিক ও চালক, তাঁদের মধ্যে গত সত্তর-আশি বছরেও কোনো সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। একটা দেশকে চিনতে হলে সেই দেশের পথঘাটের শৃঙ্খলা প্রথমেই চোখে পড়ে। এর জন্য নাগরিক সমাজ, গাড়ির চালক, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এবং সবশেষে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার (যারা শাসন করে এবং যারা বিরোধী দলে থাকে) প্রতিফলন ঘটে।
আজ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মেনুফেস্টোতে ট্রাফিক সিস্টেমের ওপর কারও কোনো বক্তব্য নেই। ক্ষমতা দখলই একমাত্র উদ্দেশ্য বলে বিবেচিত হয়। আজকে যখন সব বিষয়েই সংস্কার হচ্ছে, তখন এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারটির প্রয়োজন বোধ করছি। আশা করি, বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

রাজধানীসহ সারা দেশে একটি জ্বলন্ত সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। পত্রপত্রিকায় বহুবার লিখেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জবাব দেয়নি। আশা করছি এ লেখার পর বিষয়টির মীমাংসা না হলেও অন্তত নীতিনির্ধারকেরা একটা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। আমরা তখন বুঝতে পারব কেনইবা এটা হচ্ছে না, প্রতিবন্ধকতা কত বড় যে দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। আজকে রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরেও যানজট একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের সমস্যা সমাধানে ট্রাফিক পুলিশ, ট্রাফিক সার্জেন্ট প্রাণপণে চেষ্টা করে যান। এই বিপুল যানবাহনের জন্য সেই প্রাচীন যুগের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা দিয়ে কি সম্ভব? ট্রাফিক পুলিশ দুই হাত তুলে যানবাহন ও জন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে। একটি আধুনিক শহরে এটা কী করে যৌক্তিক হতে পারে? গত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শিশুকিশোরেরা ট্রাফিকব্যবস্থাকে নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে একটা বড় কৃতিত্ব দেখিয়েছিল। তখন বোঝা গিয়েছিল যে ঢাকার তীব্র যানজটের সমস্যা দূর করা সম্ভব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, তারপর অনেক সময় চলে গেছে, প্রতিদিন পথে-ঘাটে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। ঈদের সময় এই মৃত্যুর হার অনেকাংশে বেড়ে যায়। তবু শহরের বহু বছরের পুরোনো ট্রাফিক লাইটগুলো নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে। লাল, নীল, হলুদ বাতিগুলো তখন জ্বলে না। কেন জ্বলে না, এই প্রশ্নের কোনো জবাবও পাওয়া যায় না। যখন জ্বলত তখন দেখা যেত লাল আলোতে গাড়ি চলে, সবুজ আলোতে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সারা বিশ্বের যে নিয়মনীতি বা বিধিমালা সেটা বারবার ভঙ্গ হয়েছে। আজকের ঢাকা শহর এবং বিভিন্ন জেলা শহরে বিপুল পরিমাণে গাড়ি চলাচল করে। দক্ষ, অদক্ষ গাড়িচালকেরা নিজেদের খামখেয়ালিতে সেই সনাতন ট্রাফিক নিয়মকে ভঙ্গ করে। শুধু মানুষ নয়, মানুষের ঘরবাড়ির ওপর দিয়েও গাড়ি চালিয়ে দিচ্ছে। কোনো কোনো শ্রমিকনেতা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে বিনা পরীক্ষায় ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে থাকেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেই চাপে কাজও হয়েছে। আজকের আধুনিক বিশ্বে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষই করা যায় না। সেখানে লাল, সবুজ, হলুদ বাতি জ্বলে এবং যেকোনো আইনভঙ্গের ছবি ক্যামেরায় ধরা হয়। পরের দিন প্রত্যুষে সেই গাড়ির মালিকের কাছে জরিমানাসহ কোর্টের আদেশ জারি হয়ে যায়। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। শহরগুলোকে ভিআইপি শহরে পরিণত করার জন্য এই ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে।
দেশের ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা বিশেষ ধরনের শব্দ করে ট্রাফিক সিস্টেমকে নিজের ইচ্ছেমতো পরিচালিত করছেন। মানুষ, গাড়ি সব দাঁড়িয়ে থাকত আর ওই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা খুব সহজেই সবার আগে গন্তব্যে পৌঁছে যেতেন। তাঁদের গাড়ির সঙ্গে থাকত পুলিশের বহর, তাঁদের হাতে লাল সিগন্যাল বাতি এবং সমস্ত আইনকানুন প্রত্যাখ্যান করে তাঁরা চলে যেতেন সবার আগে। কিন্তু ২০২৪ সালে যখন শোনা যায় শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ও বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা বসানো হয়েছে, সেখানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এত কঠিন হবে কেন? নাগরিকেরা নানা ইস্যুতে আন্দোলন করে থাকে কিন্তু এই বিষয়ে তাদের কোনো আওয়াজ তুলতে দেখা যায় না। ঢাকা শহর পৃথিবীর বিরল একটি শহর। যেখানে আধুনিক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নেই। কিন্তু যানজট তীব্রভাবে বেড়ে চলেছে। শুধু যানজট নয়, দুর্ঘটনাও একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এ বিষয়ে কেনইবা কর্তৃপক্ষ এবং সচেতন নাগরিকেরা নিশ্চুপ, তা রহস্যময়!
আজকে যদি পৃথিবীর বড় শহরগুলোতে ট্রাফিক সিগন্যাল না থাকে তাহলে যানবাহনচালকেরাই একটা বিদ্রোহ করে বসবেন। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় যানবাহনচালকেরা সিগন্যাল না থাকাতে যেন খুবই খুশি। একদা সিগন্যাল না মানার জন্য প্রচুর জরিমানা হতো, এখন স্থানীয়ভাবে ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে তা মিটিয়ে নেওয়া যায়। এ কারণেই হয়তো সিগন্যাল না মানাটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদা ব্যাংকক, কলকাতায় তীব্র যানজট হতো। কিন্তু কঠোরভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সেই যানজট অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন প্রশ্ন জাগে, আদৌ আমাদের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সিস্টেমে কোনো বিশেষত্ব তৈরি হয়েছে কি না? ধানমন্ডির ৯/এ রোডে একসময় কোনো যানজটই ছিল না। কিন্তু তারপর একের পর এক স্কুল, কোচিং সেন্টার গড়ে উঠতে থাকে। সম্প্রতি একটি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা হওয়ায় এই রাস্তাটি মাঝে মাঝে স্থবির হয়ে পড়ে। দিনে স্কুল, কলেজ, ক্লিনিক এবং রাতে কোচিং সেন্টারের ফলে এই যানজট দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
চালকেরা সব সময়ই সাবধানবাণী করে থাকে যে এই সময়গুলোতে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না। যানজটে আটকে যেতে হবে।
যানজটের আরেকটা প্রধান কারণ হচ্ছে পায়ে চালানো রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা এবং অটোবাইক—এগুলো সমস্ত রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। শুধু ঢাকায়ই নয়, ঢাকার বাইরের জেলা শহর, মফস্বল শহরসহ সর্বত্রই তাদের দাপট। অল্প টাকার বিনিয়োগের ফলে এই যানবাহনগুলো কেনা যায়, ফলে বেকার যুবকেরা কোনো কিছু না ভেবেই এগুলো নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। যার ভয়াবহ পরিণতি নগরের বিশৃঙ্খলা প্রতিদিনই বাড়ছে। রাজনীতিবিদেরা ভোটের আশায় এই ব্যবস্থাকে চালু করে রেখেছেন। প্রতিদিন রাস্তার অবস্থা চিন্তা না করেই কর্তৃপক্ষ ও মোটরগাড়ির লাইসেন্স নতুন নতুন রুট পারমিট দিচ্ছে। বাস, ট্রাকস্টেশন গড়ে ওঠার পেছনে সেখানে ব্যাপক ঘুষ আদান-প্রদানের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। বিআরটিএর কেন্দ্রগুলোতে একশ্রেণির দালালের উপস্থিতি লক্ষণীয়। রাস্তার অপ্রতুলতা সত্ত্বেও বিপুল গাড়ি প্রতিদিন রাস্তায় নামছে। গত সরকারের আমলে গাড়ি বেচাকেনার অনেক শোরুম গড়ে উঠেছে। সেই গাড়িগুলো এত প্রশস্ত ও লম্বা বলে রাস্তায় অন্যদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
রাজউক কর্তৃপক্ষ কোনো কিছু বিবেচনায় না রেখেই রাস্তার পাশে বড় বড় অট্টালিকা, বিপণিকেন্দ্র এবং অ্যাপার্টমেন্টের অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে। সবটাই হচ্ছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে। পান্থপথে একটি বড় বিপণিকেন্দ্র থাকার পরেও তার পাশে পানি ভবন নামে একটি সরকারি স্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন শত শত গাড়ির আনাগোনা দেখা যায়। একই পথে অনেকগুলো হাসপাতাল, যে হাসপাতালগুলোতে সব সময়ই রোগী এবং রোগীর লোকজন চলাফেরা করেন গাড়িতে। বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করে। এখানে কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে তা রাজউক কর্তৃপক্ষ হিসাব রাখার প্রয়োজনই বোধ করে না। তাতে এটাই প্রতীয়মান হয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পুলিশের অধীনে একটি সংস্থামাত্র, যার নিয়ন্ত্রণে কোনো ট্রাফিক বিশেষজ্ঞ নেই। যার প্রধান হিসেবে কাজ করেন তাঁরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তাঁদের প্রায়ই বদলি হয়ে যেতে হয়। কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা সেখানে নেই।
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হলেও একটি আধুনিক ট্রাফিকব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। অথচ অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ট্রাফিক অনেক বেশি। এই সংস্থার সঙ্গে রাজউক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেখা যায়, কারও সঙ্গে কারও তেমন কোনো যোগাযোগ নেই এবং প্রত্যেকেই নিজেদের অ্যাজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত। এজেন্ডাটি প্রায়ই অর্থনৈতিক। কারও মধ্যে দেশের উন্নয়ন বা সৌন্দর্য্যর স্বপ্ন নেই। স্বপ্ন একটিই, তা হলো ব্যক্তিগত এবং অর্থনৈতিক, এর জলজ্যান্ত প্রমাণ ওয়াসা এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানি। উচ্চপদস্থ থেকে একেবারেই নিম্নপদস্থ কর্মচারীর মধ্যে অর্থ ভাগাভাগির এক মহোৎসব লক্ষণীয়। তেমনি সিটি করপোরেশন বা পৌরসভাগুলোতেও একই অবস্থা। এসবের মধ্য দিয়েই যাঁরা গাড়ির মালিক ও চালক, তাঁদের মধ্যে গত সত্তর-আশি বছরেও কোনো সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। একটা দেশকে চিনতে হলে সেই দেশের পথঘাটের শৃঙ্খলা প্রথমেই চোখে পড়ে। এর জন্য নাগরিক সমাজ, গাড়ির চালক, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এবং সবশেষে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার (যারা শাসন করে এবং যারা বিরোধী দলে থাকে) প্রতিফলন ঘটে।
আজ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মেনুফেস্টোতে ট্রাফিক সিস্টেমের ওপর কারও কোনো বক্তব্য নেই। ক্ষমতা দখলই একমাত্র উদ্দেশ্য বলে বিবেচিত হয়। আজকে যখন সব বিষয়েই সংস্কার হচ্ছে, তখন এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারটির প্রয়োজন বোধ করছি। আশা করি, বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

রাজধানীসহ সারা দেশে একটি জ্বলন্ত সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। পত্রপত্রিকায় বহুবার লিখেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জবাব দেয়নি। আশা করছি এ লেখার পর বিষয়টির মীমাংসা না হলেও অন্তত নীতিনির্ধারকেরা একটা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। আমরা তখন বুঝতে পারব কেনইবা এটা হচ্ছে না, প্রতিবন্ধকতা কত বড় যে দীর্ঘদিন ধরে এই
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

রাজধানীসহ সারা দেশে একটি জ্বলন্ত সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। পত্রপত্রিকায় বহুবার লিখেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জবাব দেয়নি। আশা করছি এ লেখার পর বিষয়টির মীমাংসা না হলেও অন্তত নীতিনির্ধারকেরা একটা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। আমরা তখন বুঝতে পারব কেনইবা এটা হচ্ছে না, প্রতিবন্ধকতা কত বড় যে দীর্ঘদিন ধরে এই
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

রাজধানীসহ সারা দেশে একটি জ্বলন্ত সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। পত্রপত্রিকায় বহুবার লিখেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জবাব দেয়নি। আশা করছি এ লেখার পর বিষয়টির মীমাংসা না হলেও অন্তত নীতিনির্ধারকেরা একটা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। আমরা তখন বুঝতে পারব কেনইবা এটা হচ্ছে না, প্রতিবন্ধকতা কত বড় যে দীর্ঘদিন ধরে এই
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

রাজধানীসহ সারা দেশে একটি জ্বলন্ত সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না। পত্রপত্রিকায় বহুবার লিখেছি কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে জবাব দেয়নি। আশা করছি এ লেখার পর বিষয়টির মীমাংসা না হলেও অন্তত নীতিনির্ধারকেরা একটা প্রতিক্রিয়া দেখাবেন। আমরা তখন বুঝতে পারব কেনইবা এটা হচ্ছে না, প্রতিবন্ধকতা কত বড় যে দীর্ঘদিন ধরে এই
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫