মাসুদ রানা

আজকের পত্রিকা: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
আলী ইমাম মজুমদার: নির্বাচন নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা ছিল। কারণ অনেক দিন ধরে দেশে একটা সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন হচ্ছে না। এ ঘটনা ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে হয়ে আসছে; মানে অনেকটাই একতরফাভাবে নির্বাচন হচ্ছে। শাসক দলের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না, সেটার কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না। আমার প্রত্যাশা ছিল, এবার সেটা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি দেখতে পাচ্ছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতিই বিরাজমান নয়।
প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে আছে। দলটি যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে, তার ব্যবস্থা সরকার আগে থেকেই করে রেখেছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় অধিকাংশ নেতাই কারাবন্দী। কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের অবস্থা হতাশাজনক।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কি গ্রহণযোগ্যতা পাবে?
আলী ইমাম মজুমদার: এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না, সেটা আমি বলতে পারছি না। তবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলো অংশগ্রহণমূলক এবং আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও কিন্তু বলছি, আন্তর্জাতিক মানের না হলেও, অন্তত আমাদের দেশের মানের মতো নির্বাচন হোক। আমাদের দেশে ১৯৭০, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছিল, সে রকমভাবে অন্তত এবারের নির্বাচনটা হোক, তা আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছি, ওই রকম মানের নির্বাচন এবারও হবে না।
আজকের পত্রিকা: আপনার কেন এটা মনে হচ্ছে?
আলী ইমাম মজুমদার: মনে হচ্ছে, এ কারণে যে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। বাকি যে দলগুলো অংশগ্রহণ করছে, তারা তো আওয়ামী লীগেরই শরিক দল। আর জাতীয় পার্টি তো আগে থেকেই তাদের শরিক দল ছিল। এবার তারা আলাদাভাবে নির্বাচন করবে। যদিও জাতীয় পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এরশাদের সময়ে জাতীয় পার্টি যে অবস্থায় ছিল, বর্তমানে সে অবস্থায় নেই। তারা শুধু রংপুর বিভাগের দু-একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থায় আছে। আর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ তো জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের আসনটি ছেড়ে দিয়েই রেখেছে। এ কারণে এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না।
আজকের পত্রিকা: একতরফা নির্বাচনেও কি নির্বাচন কমিশন আস্থা অর্জন করতে পারবে?
আলী ইমাম মজুমদার: আস্থা অর্জন করার প্রশ্নই আসে না। বেশ কিছু কাজকর্মের মধ্য দিয়ে তারা ইতিমধ্যেই আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি পার্টিকে তারা রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে, যাদের কোনো ধরনের যোগ্যতাই ছিল না নিবন্ধন পাওয়ার। যেমন বিএনএম ও তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূল বিএনপি তৈমূর আলম খন্দকার ও শমশের মুবিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পার্টি। যাঁদের কোনো ধরনের জনসম্পৃক্ততা নেই।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতি করে যাচ্ছে, কিন্তু এ রকম কিছু দল নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায়নি, যেমন—মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বদলির নামে যে তামাশা চলছে—এসব দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার প্রমাণ রাখতে পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ নেই, সেখানে অন্য সব অপ্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে। এতে অযথা রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন কেন স্বাধীনভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে না?
আলী ইমাম মজুমদার: প্রধান কারণ হলো, আমাদের দেশে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত সরকার এবং সরকারপ্রধানের হাতে। বর্তমান সরকারি দল যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল। আর যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল, তখন নির্বাচন কমিশন কিন্তু স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে পেরেছিল। অতীতে কিন্তু নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট জোরালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পেরেছে। তারা সবার আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে। এ কারণে ক্ষমতা আবারও কেন্দ্রীভূত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে চাইছে না।
এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে তখন, যখন বিএনপি এবার এগিয়ে এসেছিল সংলাপে বসার জন্য। সংসদের বাইরে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে আসার সুযোগ ছিল। আওয়ামী লীগ তাদের কথাটার গুরুত্ব দিতে পারত। কিন্তু তারা বিএনপির দাবির কোনো গুরুত্বই দিল না। এমনকি বিএনপির প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশের অধিকাংশ জায়গার অফিসগুলো তালাবদ্ধ করে রেখেছে।
আজকের পত্রিকা: আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ কি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে?
আলী ইমাম মজুমদার: এ-সম্পর্কে আমি সঠিকভাবে কিছু বলতে পারব না। তবে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক বা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জনসমর্থিত সরকারই ভালো করতে পারে। যদি জনগণের সমর্থন যথাযথভাবে না থাকে, সেটা সেই সরকারের পক্ষে ততটা সহজ হয় না।
আজকের পত্রিকা: বিতর্কিত নির্বাচনেও বিপুল অর্থ ব্যয় কি মেনে নেওয়া যায়?
আলী ইমাম মজুমদার: অর্থ ব্যয়ের চেয়ে জরুরি হলো, বিতর্কিত নির্বাচন কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার এই নির্বাচন করাটাকে যেভাবে সাংবিধানিক অঙ্গীকার বলছে, আবার এটার ব্যাখ্যাটাও যথাযথভাবে তারা দিচ্ছে না। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন সর্বজনীন ভোটাধিকারের কথা বলেই অগ্রসর হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার অন্যতম দাবিই ছিল, সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। পাকিস্তান আমলে জনগণের প্রত্যাশার কারণে এ দেশের আপামর জনগণ এ দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিল। আমরা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: জনপ্রিয়তার দাবিদার রাজনৈতিক দলও কেন নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না?
আলী ইমাম মজুমদার: বিএনপি চেয়েছিল সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। এখানে আলাপ-আলোচনা করে একটা মাঝামাঝি অবস্থানে আসার সুযোগ ছিল। আর নির্বাচন কমিশন গত দুই বছরে কোনো আস্থার জায়গা সৃষ্টি করতে পারেনি, মানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি। বিএনপি কোন কৌশল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, সেটার কারণ তো আমি বলতে পারব না। অংশগ্রহণমূলক না হয়ে এবারও নির্বাচনটা একতরফা হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি একটা গোলকধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে, যেখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। আপনি কী বলবেন?
আলী ইমাম মজুমদার: আমি এ-সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করব না। কারণ প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। বিএনপির কৌশলটা কী, তারা সেটা ভালো বলতে পারবে। ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় আর ২৮ অক্টোবর তাদের মহাসমাবেশ ছিল। এর আগেও তারা জেলা ও বিভাগীয়ভাবে সমাবেশ করেছে। প্রতিটি সমাবেশই শান্তিপূর্ণ ছিল। এক-দেড় বছর আগে তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি।
২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে অভিযোগ, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। এটা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং যারা কাজটা করেছে, তারা দণ্ডনীয় অপরাধ করেছে। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে সমাবেশকে ভেঙে দিতে হবে কেন? এটা কোনো কারণ হতে পারে বলে আমি মনে করি না। কোনো ঘটনায় রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে মাত্রা থাকে। কোনো ঘটনায় সতর্ক করা হয় বা কোনো ঘটনায় সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু সে দিনের মূল সমাবেশ লন্ডভন্ড করার কোনো বিশেষ কারণ ছিল না।
আজকের পত্রিকা: কর্তৃত্ববাদী শাসনের দেশেও সুশাসন আছে। আমাদের সমস্যা কোথায়?
আলী ইমাম মজুমদার: যদি মালয়েশিয়ার কথা ধরি, তাহলে সেখানে নির্বাচন সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সরকারও পরিবর্তন হচ্ছে। সেখানে আইন জোরালোভাবে প্রয়োগ করা হয়। সেখানে জনগণ ভালোভাবে ভোট দিতে পারে। আইনের প্রয়োগ পশ্চিমা দেশগুলোতেও আছে। ট্রাফিক আইন কেউ ভঙ্গ করলে, তাকে জরিমানা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হয়েও, সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগই দেখছি না।
আজকের পত্রিকা: আমাদের দেশে রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণ কী?
আলী ইমাম মজুমদার: এ বিষয়টা অর্থনীতিবিদেরা ভালো বলতে পারবেন। আমার মনে হয়, এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমানে এটা খোলামেলাভাবে বলা হচ্ছে। বেশ কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের দেশ থেকে টাকা নিয়ে গিয়ে একশ্রেণির রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বেশ কিছু ব্যক্তি অতি বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতির জন্য এটা একটা অন্যতম কারণ। এর কারণে হুন্ডি চালু হয়েছে।
যদি আমরা প্রবাসী আয়টা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নিতে পারতাম, তাহলে এ সমস্যাটা হতো না। ক্রমান্বয়ে সঞ্চয় বাড়ছিল প্রবাসী আয়ের কারণে। বিদেশে টাকা পাচারের জন্য হুন্ডির প্রয়োজন হয়। তাই প্রবাসী আয়ের ওপর চাপটা বেড়েছে। এই চাপের কারণে আমাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি বেড়ে গেছে। অত্যাবশ্যক নয়—সেই ব্যয় বাদ দেওয়ার পরেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি শেষে অনেকেই সরকারের দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেন। চাকরিরত অবস্থায় তাঁরা সরকারকে এসব ব্যাপারে কোনো সুপরামর্শ দেন?
আলী ইমাম মজুমদার: চাকরিরত অবস্থায় অনেকেই সরকারকে পরামর্শ দেন। সেটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কার্যকরী হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে হয় না। আমি এখন দেশের নানা বিষয় নিয়ে যে কথাগুলো বলি, সেটা চাকরিরত অবস্থায় আইনগত কারণে আমার বলার সুযোগ ছিল না। চাকরি বিধিমালার কারণে আমার সেই সুযোগ ছিল না। এখন সেই সুযোগ থাকার কারণে কথাগুলো বলতে পারি।

আজকের পত্রিকা: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
আলী ইমাম মজুমদার: নির্বাচন নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা ছিল। কারণ অনেক দিন ধরে দেশে একটা সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন হচ্ছে না। এ ঘটনা ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে হয়ে আসছে; মানে অনেকটাই একতরফাভাবে নির্বাচন হচ্ছে। শাসক দলের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না, সেটার কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না। আমার প্রত্যাশা ছিল, এবার সেটা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি দেখতে পাচ্ছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতিই বিরাজমান নয়।
প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে আছে। দলটি যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে, তার ব্যবস্থা সরকার আগে থেকেই করে রেখেছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় অধিকাংশ নেতাই কারাবন্দী। কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের অবস্থা হতাশাজনক।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কি গ্রহণযোগ্যতা পাবে?
আলী ইমাম মজুমদার: এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না, সেটা আমি বলতে পারছি না। তবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলো অংশগ্রহণমূলক এবং আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও কিন্তু বলছি, আন্তর্জাতিক মানের না হলেও, অন্তত আমাদের দেশের মানের মতো নির্বাচন হোক। আমাদের দেশে ১৯৭০, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছিল, সে রকমভাবে অন্তত এবারের নির্বাচনটা হোক, তা আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছি, ওই রকম মানের নির্বাচন এবারও হবে না।
আজকের পত্রিকা: আপনার কেন এটা মনে হচ্ছে?
আলী ইমাম মজুমদার: মনে হচ্ছে, এ কারণে যে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। বাকি যে দলগুলো অংশগ্রহণ করছে, তারা তো আওয়ামী লীগেরই শরিক দল। আর জাতীয় পার্টি তো আগে থেকেই তাদের শরিক দল ছিল। এবার তারা আলাদাভাবে নির্বাচন করবে। যদিও জাতীয় পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এরশাদের সময়ে জাতীয় পার্টি যে অবস্থায় ছিল, বর্তমানে সে অবস্থায় নেই। তারা শুধু রংপুর বিভাগের দু-একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থায় আছে। আর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ তো জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের আসনটি ছেড়ে দিয়েই রেখেছে। এ কারণে এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না।
আজকের পত্রিকা: একতরফা নির্বাচনেও কি নির্বাচন কমিশন আস্থা অর্জন করতে পারবে?
আলী ইমাম মজুমদার: আস্থা অর্জন করার প্রশ্নই আসে না। বেশ কিছু কাজকর্মের মধ্য দিয়ে তারা ইতিমধ্যেই আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি পার্টিকে তারা রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে, যাদের কোনো ধরনের যোগ্যতাই ছিল না নিবন্ধন পাওয়ার। যেমন বিএনএম ও তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূল বিএনপি তৈমূর আলম খন্দকার ও শমশের মুবিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পার্টি। যাঁদের কোনো ধরনের জনসম্পৃক্ততা নেই।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতি করে যাচ্ছে, কিন্তু এ রকম কিছু দল নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায়নি, যেমন—মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বদলির নামে যে তামাশা চলছে—এসব দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার প্রমাণ রাখতে পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ নেই, সেখানে অন্য সব অপ্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে। এতে অযথা রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন কেন স্বাধীনভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে না?
আলী ইমাম মজুমদার: প্রধান কারণ হলো, আমাদের দেশে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত সরকার এবং সরকারপ্রধানের হাতে। বর্তমান সরকারি দল যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল। আর যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছিল, তখন নির্বাচন কমিশন কিন্তু স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে পেরেছিল। অতীতে কিন্তু নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট জোরালোভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পেরেছে। তারা সবার আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছে। এ কারণে ক্ষমতা আবারও কেন্দ্রীভূত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন করতে চাইছে না।
এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে তখন, যখন বিএনপি এবার এগিয়ে এসেছিল সংলাপে বসার জন্য। সংসদের বাইরে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধানে আসার সুযোগ ছিল। আওয়ামী লীগ তাদের কথাটার গুরুত্ব দিতে পারত। কিন্তু তারা বিএনপির দাবির কোনো গুরুত্বই দিল না। এমনকি বিএনপির প্রধান কার্যালয়সহ সারা দেশের অধিকাংশ জায়গার অফিসগুলো তালাবদ্ধ করে রেখেছে।
আজকের পত্রিকা: আরেকটি বিতর্কিত নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ কি পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে?
আলী ইমাম মজুমদার: এ-সম্পর্কে আমি সঠিকভাবে কিছু বলতে পারব না। তবে যেকোনো ধরনের অর্থনৈতিক বা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য জনসমর্থিত সরকারই ভালো করতে পারে। যদি জনগণের সমর্থন যথাযথভাবে না থাকে, সেটা সেই সরকারের পক্ষে ততটা সহজ হয় না।
আজকের পত্রিকা: বিতর্কিত নির্বাচনেও বিপুল অর্থ ব্যয় কি মেনে নেওয়া যায়?
আলী ইমাম মজুমদার: অর্থ ব্যয়ের চেয়ে জরুরি হলো, বিতর্কিত নির্বাচন কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার এই নির্বাচন করাটাকে যেভাবে সাংবিধানিক অঙ্গীকার বলছে, আবার এটার ব্যাখ্যাটাও যথাযথভাবে তারা দিচ্ছে না। আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন সর্বজনীন ভোটাধিকারের কথা বলেই অগ্রসর হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফার অন্যতম দাবিই ছিল, সর্বজনীন ভোটাধিকারের মাধ্যমে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। পাকিস্তান আমলে জনগণের প্রত্যাশার কারণে এ দেশের আপামর জনগণ এ দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছিল। আমরা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: জনপ্রিয়তার দাবিদার রাজনৈতিক দলও কেন নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না?
আলী ইমাম মজুমদার: বিএনপি চেয়েছিল সরকারের পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। এখানে আলাপ-আলোচনা করে একটা মাঝামাঝি অবস্থানে আসার সুযোগ ছিল। আর নির্বাচন কমিশন গত দুই বছরে কোনো আস্থার জায়গা সৃষ্টি করতে পারেনি, মানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি। বিএনপি কোন কৌশল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, সেটার কারণ তো আমি বলতে পারব না। অংশগ্রহণমূলক না হয়ে এবারও নির্বাচনটা একতরফা হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: বিএনপি একটা গোলকধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে, যেখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। আপনি কী বলবেন?
আলী ইমাম মজুমদার: আমি এ-সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করব না। কারণ প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কৌশল থাকে। বিএনপির কৌশলটা কী, তারা সেটা ভালো বলতে পারবে। ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় আর ২৮ অক্টোবর তাদের মহাসমাবেশ ছিল। এর আগেও তারা জেলা ও বিভাগীয়ভাবে সমাবেশ করেছে। প্রতিটি সমাবেশই শান্তিপূর্ণ ছিল। এক-দেড় বছর আগে তাদের কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি।
২৮ অক্টোবরের সমাবেশ নিয়ে অভিযোগ, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করা হয়েছিল। এটা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং যারা কাজটা করেছে, তারা দণ্ডনীয় অপরাধ করেছে। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে সমাবেশকে ভেঙে দিতে হবে কেন? এটা কোনো কারণ হতে পারে বলে আমি মনে করি না। কোনো ঘটনায় রাষ্ট্রযন্ত্রের শক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রে মাত্রা থাকে। কোনো ঘটনায় সতর্ক করা হয় বা কোনো ঘটনায় সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু সে দিনের মূল সমাবেশ লন্ডভন্ড করার কোনো বিশেষ কারণ ছিল না।
আজকের পত্রিকা: কর্তৃত্ববাদী শাসনের দেশেও সুশাসন আছে। আমাদের সমস্যা কোথায়?
আলী ইমাম মজুমদার: যদি মালয়েশিয়ার কথা ধরি, তাহলে সেখানে নির্বাচন সঠিক প্রক্রিয়ায় হয়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সরকারও পরিবর্তন হচ্ছে। সেখানে আইন জোরালোভাবে প্রয়োগ করা হয়। সেখানে জনগণ ভালোভাবে ভোট দিতে পারে। আইনের প্রয়োগ পশ্চিমা দেশগুলোতেও আছে। ট্রাফিক আইন কেউ ভঙ্গ করলে, তাকে জরিমানা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হয়েও, সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগই দেখছি না।
আজকের পত্রিকা: আমাদের দেশে রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণ কী?
আলী ইমাম মজুমদার: এ বিষয়টা অর্থনীতিবিদেরা ভালো বলতে পারবেন। আমার মনে হয়, এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমানে এটা খোলামেলাভাবে বলা হচ্ছে। বেশ কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাদের দেশ থেকে টাকা নিয়ে গিয়ে একশ্রেণির রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বেশ কিছু ব্যক্তি অতি বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন। অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতির জন্য এটা একটা অন্যতম কারণ। এর কারণে হুন্ডি চালু হয়েছে।
যদি আমরা প্রবাসী আয়টা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে নিতে পারতাম, তাহলে এ সমস্যাটা হতো না। ক্রমান্বয়ে সঞ্চয় বাড়ছিল প্রবাসী আয়ের কারণে। বিদেশে টাকা পাচারের জন্য হুন্ডির প্রয়োজন হয়। তাই প্রবাসী আয়ের ওপর চাপটা বেড়েছে। এই চাপের কারণে আমাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি বেড়ে গেছে। অত্যাবশ্যক নয়—সেই ব্যয় বাদ দেওয়ার পরেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
আজকের পত্রিকা: সরকারি গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি শেষে অনেকেই সরকারের দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলেন। চাকরিরত অবস্থায় তাঁরা সরকারকে এসব ব্যাপারে কোনো সুপরামর্শ দেন?
আলী ইমাম মজুমদার: চাকরিরত অবস্থায় অনেকেই সরকারকে পরামর্শ দেন। সেটা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কার্যকরী হয় আবার অনেক ক্ষেত্রে হয় না। আমি এখন দেশের নানা বিষয় নিয়ে যে কথাগুলো বলি, সেটা চাকরিরত অবস্থায় আইনগত কারণে আমার বলার সুযোগ ছিল না। চাকরি বিধিমালার কারণে আমার সেই সুযোগ ছিল না। এখন সেই সুযোগ থাকার কারণে কথাগুলো বলতে পারি।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

আলী ইমাম মজুমদার সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) পরামর্শক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

আলী ইমাম মজুমদার সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) পরামর্শক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

আলী ইমাম মজুমদার সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) পরামর্শক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আলী ইমাম মজুমদার সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) পরামর্শক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
১০ ডিসেম্বর ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫