মহিউদ্দিন খান মোহন

৭ এপ্রিল একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম বিক্রমপুরের মাওয়ায়। দাওয়াত করেছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শোয়েব। তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুরের ঢাকাপ্রবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সম্মানে ছিল ইফতার মাহফিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার মিত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল গ্রামনগর বার্তার প্রকাশক খান নজরুল ইসলাম হান্নানসহ দুই শতাধিক সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন ইফতারে। ইফতারপূর্ব বক্তৃতায় বি এম শোয়েব নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাইলেন।
ইফতার শেষে আমরা কয়েকজন বসে কথা বলছিলাম। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, বেশ কয়েকজন জাঁদরেল প্রার্থী রয়েছেন এবার লৌহজং উপজেলায়। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হলে একটি জমজমাট ভোটের লড়াই হবে বলে সবাই আশা করছেন।
বেশ একটা নির্বাচনী আমেজ এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। খবর নিলাম আমার নিজের উপজেলা শ্রীনগরের। সেখানেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেমে পড়েছেন গণসংযোগে। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল তারা ভোট দিতে আগ্রহী, যদি সে সুযোগটি পায়। একজনকে বললাম, সুযোগ কেন বলছেন? এটা তো আপনার সাংবিধানিক অধিকার! তিনি বললেন, ‘ভাই, আমাদের সে অধিকার কি এখন অক্ষুণ্ন আছে? আপনাকে তো বেশি বলার দরকার নেই। আপনাদের মতো সাংবাদিকদের লেখা থেকে আমরা বহু কিছু জানতে পারি।’ দেখলাম অনেকেরই শঙ্কা আছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে। তা ছাড়া বিএনপি ইতিমধ্যে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেওয়ায় অনেকে হতাশ।
দলটির স্থানীয় অনেক নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। তাঁরা আগ্রহী ছিলেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। নির্বাচন বর্জনের এই প্রবণতা বিএনপিকে আরও অনেক দূর পিছিয়ে দেবে—বললেন উপজেলা বিএনপির এক নেতা। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ১৬ এপ্রিলের আজকের পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে বিএনপির ৩৪ জন নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
দলীয়ভাবে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যেই। ফলে প্রার্থীরা ক্ষমতা প্রদর্শনের পন্থা অবলম্বন করলে নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ থাকবে তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে; বিশেষ করে স্থানীয় এমপি বা সরকারি প্রশাসন যদি কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়, তাহলে নির্বাচন অবাধ না হওয়ার গ্যারান্টি হান্ড্রেড পারসেন্ট। যদিও সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বারবার মন্ত্রী-এমপিদের উপজেলা নির্বাচনে কোনোরকম হস্তক্ষেপ না করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু এই নির্দেশ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
এ বিষয়ে পত্রপত্রিকায় ইতিমধ্যে যেসব খবর বেরিয়েছে, তাতে এ আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠতে শুরু করেছে, উপজেলা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হয়তো মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপের বাইরে থাকবে না। ৬ এপ্রিল একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের ‘অযাচিত’ হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম। তাঁরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন। এ ব্যাপারে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় উপজেলায় ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের সব প্রস্তুতি শুরু করেছেন কিছু এমপি-মন্ত্রী।
ছেলে, বউ, ভাই, শ্যালক, ভগ্নিপতি, ভাগনে, বেয়াইদের উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে একজন সাবেক মন্ত্রীসহ ডজনখানেক এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৮ এপ্রিল একই পত্রিকায় ‘উপজেলায় এমপিদের পরিবারতন্ত্র’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলায় পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মেতে উঠেছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা। উপজেলা পরিষদকে নিজেদের মুঠোয় রাখতে আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের পরিবার থেকে প্রার্থী দিচ্ছেন তাঁরা। স্বজনদের জিতিয়ে আনতে অর্থ, ক্ষমতা ও প্রভাবকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছেন অন্তত ২০ জন এমপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত দিন তাঁরা স্বজনদের দিয়ে দলীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখলে রাখায় সচেষ্ট ছিলেন। এবার নেমেছেন স্বজনদের দিয়ে উপজেলায় একচ্ছত্রাধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায়। এ ব্যাপারে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনার প্রতি কর্ণপাত করছেন না তাঁরা; বরং হাইকমান্ডকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘এমপি লীগ’ ও ‘এমপিতন্ত্র’ কায়েমে আদাজল খেয়ে নেমেছেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এমপি পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘দল কাউকে মনোনয়ন দেবে না।
যাঁরা (এমপি-মন্ত্রী) ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁরা নির্দেশনা ভঙ্গ করছেন। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা ও দলের সাধারণ সম্পাদকের বিবৃতি কোনোভাবেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবে, যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে। জনগণ পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচিত করবে। কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’ তবে তিনি এটা পরিষ্কার করেননি, যাঁরা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না। কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ না থাকলে কোনো নির্দেশনাকেই যে সংশ্লিষ্টরা পরোয়া করেন না, তা বলাই বাহুল্য।
একই দিনের আজকের পত্রিকায় ‘স্বজনদের নিয়ে অনড় এমপিরা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, ক্ষমতাসীন দলের এমন নির্দেশনা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নিজেদের পছন্দের এবং স্বজনদের প্রার্থী করার বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় এমপিরা। প্রথম ধাপের ৫৭টির মধ্যে ১১টি উপজেলায় স্থানীয় এমপিরা স্বজনদের প্রার্থী করেছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থী ঘোষণাকারী এমপিদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে—আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগে নির্বাচন শুরু হোক।
এই মুহূর্তে অনেকেই নির্বাচন করার কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল করছেন না। আগে নির্বাচনের প্রার্থিতা, মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হোক, তারপর এসব প্রশ্ন এলে আমরা অবশ্যই দলীয় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ ওবায়দুল কাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও তাঁর কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকেই। কেননা, এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচনে স্থানীয় এমপির স্বজনদের নির্বাচিত করিয়ে আনা হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে এবং মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় সেখানকার এমপি ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রীকে মেয়র নির্বাচিত করে আনা হয়েছে।
আমাদের দেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের প্রকোপ যে দিন দিন বাড়ছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন বা পছন্দের লোকদের প্রার্থী করার প্রবণতাই তার প্রমাণ। সরকারের মন্ত্রী কিংবা দেশের একজন আইনপ্রণেতা যখন তাঁর এলাকায় স্বজন বা পোষ্যকে স্থানীয় মেয়র-চেয়ারম্যান পদে বসাতে চান, তখন এটা আর লুক্কায়িত থাকে না, তাঁরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় একধরনের ‘ডাইনেষ্ট’ সৃষ্টি করতে চান। এই প্রবণতার লাগাম টেনে না ধরতে পারলে তা দেশের রাজনীতি ও নির্বাচনব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে; যার প্রতিক্রিয়া হবে মারাত্মক নেতিবাচক।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

৭ এপ্রিল একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম বিক্রমপুরের মাওয়ায়। দাওয়াত করেছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শোয়েব। তিনি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুরের ঢাকাপ্রবাসী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সম্মানে ছিল ইফতার মাহফিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, বিক্রমপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার মিত্র, অনলাইন নিউজ পোর্টাল গ্রামনগর বার্তার প্রকাশক খান নজরুল ইসলাম হান্নানসহ দুই শতাধিক সাংবাদিক অংশ নিয়েছেন ইফতারে। ইফতারপূর্ব বক্তৃতায় বি এম শোয়েব নির্বাচনে তাঁর অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাইলেন।
ইফতার শেষে আমরা কয়েকজন বসে কথা বলছিলাম। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, বেশ কয়েকজন জাঁদরেল প্রার্থী রয়েছেন এবার লৌহজং উপজেলায়। নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হলে একটি জমজমাট ভোটের লড়াই হবে বলে সবাই আশা করছেন।
বেশ একটা নির্বাচনী আমেজ এরই মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। খবর নিলাম আমার নিজের উপজেলা শ্রীনগরের। সেখানেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা নেমে পড়েছেন গণসংযোগে। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। চার ধাপে দেশের ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল তারা ভোট দিতে আগ্রহী, যদি সে সুযোগটি পায়। একজনকে বললাম, সুযোগ কেন বলছেন? এটা তো আপনার সাংবিধানিক অধিকার! তিনি বললেন, ‘ভাই, আমাদের সে অধিকার কি এখন অক্ষুণ্ন আছে? আপনাকে তো বেশি বলার দরকার নেই। আপনাদের মতো সাংবাদিকদের লেখা থেকে আমরা বহু কিছু জানতে পারি।’ দেখলাম অনেকেরই শঙ্কা আছে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে। তা ছাড়া বিএনপি ইতিমধ্যে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেওয়ায় অনেকে হতাশ।
দলটির স্থানীয় অনেক নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। তাঁরা আগ্রহী ছিলেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। নির্বাচন বর্জনের এই প্রবণতা বিএনপিকে আরও অনেক দূর পিছিয়ে দেবে—বললেন উপজেলা বিএনপির এক নেতা। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন। ১৬ এপ্রিলের আজকের পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপের নির্বাচনে বিএনপির ৩৪ জন নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
দলীয়ভাবে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যেই। ফলে প্রার্থীরা ক্ষমতা প্রদর্শনের পন্থা অবলম্বন করলে নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ থাকবে তা নিয়ে অনেকেরই সংশয় রয়েছে; বিশেষ করে স্থানীয় এমপি বা সরকারি প্রশাসন যদি কোনো প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়, তাহলে নির্বাচন অবাধ না হওয়ার গ্যারান্টি হান্ড্রেড পারসেন্ট। যদিও সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বারবার মন্ত্রী-এমপিদের উপজেলা নির্বাচনে কোনোরকম হস্তক্ষেপ না করতে বলা হচ্ছে। কিন্তু এই নির্দেশ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ।
এ বিষয়ে পত্রপত্রিকায় ইতিমধ্যে যেসব খবর বেরিয়েছে, তাতে এ আশঙ্কা তীব্র হয়ে উঠতে শুরু করেছে, উপজেলা নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হয়তো মন্ত্রী-এমপিদের হস্তক্ষেপের বাইরে থাকবে না। ৬ এপ্রিল একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় এমপি-মন্ত্রীদের ‘অযাচিত’ হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম। তাঁরা বলছেন, উপজেলা নির্বাচনে যে কেউ প্রার্থী হতে পারবেন। এ ব্যাপারে এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় উপজেলায় ‘পরিবারতন্ত্র’ কায়েমের সব প্রস্তুতি শুরু করেছেন কিছু এমপি-মন্ত্রী।
ছেলে, বউ, ভাই, শ্যালক, ভগ্নিপতি, ভাগনে, বেয়াইদের উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে একজন সাবেক মন্ত্রীসহ ডজনখানেক এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৮ এপ্রিল একই পত্রিকায় ‘উপজেলায় এমপিদের পরিবারতন্ত্র’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলায় পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মেতে উঠেছেন ক্ষমতাসীন দলের এমপিরা। উপজেলা পরিষদকে নিজেদের মুঠোয় রাখতে আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের পরিবার থেকে প্রার্থী দিচ্ছেন তাঁরা। স্বজনদের জিতিয়ে আনতে অর্থ, ক্ষমতা ও প্রভাবকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছেন অন্তত ২০ জন এমপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত দিন তাঁরা স্বজনদের দিয়ে দলীয় কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো দখলে রাখায় সচেষ্ট ছিলেন। এবার নেমেছেন স্বজনদের দিয়ে উপজেলায় একচ্ছত্রাধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায়। এ ব্যাপারে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশনার প্রতি কর্ণপাত করছেন না তাঁরা; বরং হাইকমান্ডকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘এমপি লীগ’ ও ‘এমপিতন্ত্র’ কায়েমে আদাজল খেয়ে নেমেছেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কেন্দ্রীয় সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এমপি পত্রিকাটিকে বলেছেন, ‘দল কাউকে মনোনয়ন দেবে না।
যাঁরা (এমপি-মন্ত্রী) ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন দিচ্ছেন, তাঁরা নির্দেশনা ভঙ্গ করছেন। দলীয় সভানেত্রীর নির্দেশনা ও দলের সাধারণ সম্পাদকের বিবৃতি কোনোভাবেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবে, যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে। জনগণ পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচিত করবে। কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’ তবে তিনি এটা পরিষ্কার করেননি, যাঁরা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না। কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার উল্লেখ না থাকলে কোনো নির্দেশনাকেই যে সংশ্লিষ্টরা পরোয়া করেন না, তা বলাই বাহুল্য।
একই দিনের আজকের পত্রিকায় ‘স্বজনদের নিয়ে অনড় এমপিরা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা কোনোরকম হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, ক্ষমতাসীন দলের এমন নির্দেশনা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নিজেদের পছন্দের এবং স্বজনদের প্রার্থী করার বিষয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছেন স্থানীয় এমপিরা। প্রথম ধাপের ৫৭টির মধ্যে ১১টি উপজেলায় স্থানীয় এমপিরা স্বজনদের প্রার্থী করেছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থী ঘোষণাকারী এমপিদের বিরুদ্ধে দল কী ব্যবস্থা নেবে—আজকের পত্রিকার প্রতিবেদকের এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগে নির্বাচন শুরু হোক।
এই মুহূর্তে অনেকেই নির্বাচন করার কথা বলছেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল করছেন না। আগে নির্বাচনের প্রার্থিতা, মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত হোক, তারপর এসব প্রশ্ন এলে আমরা অবশ্যই দলীয় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ ওবায়দুল কাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও তাঁর কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না অনেকেই। কেননা, এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচনে স্থানীয় এমপির স্বজনদের নির্বাচিত করিয়ে আনা হয়েছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে এবং মুন্সিগঞ্জ পৌরসভায় সেখানকার এমপি ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রীকে মেয়র নির্বাচিত করে আনা হয়েছে।
আমাদের দেশের রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের প্রকোপ যে দিন দিন বাড়ছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজন বা পছন্দের লোকদের প্রার্থী করার প্রবণতাই তার প্রমাণ। সরকারের মন্ত্রী কিংবা দেশের একজন আইনপ্রণেতা যখন তাঁর এলাকায় স্বজন বা পোষ্যকে স্থানীয় মেয়র-চেয়ারম্যান পদে বসাতে চান, তখন এটা আর লুক্কায়িত থাকে না, তাঁরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় একধরনের ‘ডাইনেষ্ট’ সৃষ্টি করতে চান। এই প্রবণতার লাগাম টেনে না ধরতে পারলে তা দেশের রাজনীতি ও নির্বাচনব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে; যার প্রতিক্রিয়া হবে মারাত্মক নেতিবাচক।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

৭ এপ্রিল একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম বিক্রমপুরের মাওয়ায়। দাওয়াত করেছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শোয়েব।
২১ এপ্রিল ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

৭ এপ্রিল একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম বিক্রমপুরের মাওয়ায়। দাওয়াত করেছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শোয়েব।
২১ এপ্রিল ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

৭ এপ্রিল একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম বিক্রমপুরের মাওয়ায়। দাওয়াত করেছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শোয়েব।
২১ এপ্রিল ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

৭ এপ্রিল একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়েছিলাম বিক্রমপুরের মাওয়ায়। দাওয়াত করেছিলেন লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বি এম শোয়েব।
২১ এপ্রিল ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫