Ajker Patrika

‘করতে হবে’-তেই ঘুরপাক, করা হবে কবে?

ইমরান খান
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৭
‘করতে হবে’-তেই ঘুরপাক, করা হবে কবে?

জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব নিরসনে বিশ্ব নেতাদের এক মঞ্চে আনতে জাতিসংঘের উদ্যোগ ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (কপ)’। ১৯৯৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল জার্মানির বার্লিনে প্রথম কপ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে প্রতি বছর সম্মেলন হচ্ছে। তবে এবার করোনার কারণে ২০২০ সালে সম্মেলন স্থগিত হয়। চলতি বছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হলো কপ-২৬ সম্মেলন।

নিয়মিত কপ সম্মেলন বিশ্বব্যাপী পরিবেশ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। যদিও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে প্রধান দায়ী দেশগুলোর গড়িমসি ভুক্তভোগী দেশগুলোকে বারবার হতাশ করেছে। 

২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে কপ-২১ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলা এবং গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কমাতে ‘প্যারিস চুক্তি’ করে বিশ্বের দেশগুলো। এই চুক্তিতে জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক-শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই লক্ষ্য অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন অর্ধেকে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্যে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা হয়। তবে এখন পর্যন্ত এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়নি। 

২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ সম্মেলনে ১২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান-সরকারপ্রধান, দুই শতাধিক দেশের প্রতিনিধি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অংশ নেন। সম্মেলনে সব মিলে ৪০ হাজারের বেশি লোক অংশ নেন বলে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে প্রভাবশালী চীন, রাশিয়া, জাপান, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান এ সম্মেলনে অংশ নেননি। 

বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অতিথিদের স্বাগত জানান বরিস জনসন

বর্তমান জলবায়ু পরিস্থিতি
কপ-২৬ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হলো এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। করোনার ধাক্কা কিছুটা সামলে বিশ্বনেতারা সরাসরি কোনো সম্মেলনে যোগ দেন। করোনাকালে কল-কারখানা বন্ধ, মানুষের অত্যন্ত সীমিত থাকায় বিশ্বের পরিবেশ কিছুটা স্বস্তি পেলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোর পরিবেশ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। পরিবেশ পরিস্থিতি নির্ধারক কিছু উপাদানের দিকে তাকালে এ দৃশ্যটি স্পষ্ট হবে। তাছাড়া টানা এক বছরের বেশি সময় উৎপাদনে চরম ভাটা পড়ায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে উঠেপড়ে লেগেছে শিল্পপ্রধান দেশগুলো। ফলে এখন কার্বন নিঃসরণ আরও গতি পাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের ২০১৯ সালে ‘ইউকে নেট জিরো স্ট্র্যাটেজি প্রতিবেদন বলছে, বর্তমান বিশ্বে প্রতিবছর ৫৯ গিগা টন কার্বন ডাই-অক্সাইড সমতুল্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে। এর মধ্যে যানবাহন খাত থেকে নিঃসরণের পরিমাণ ছয় গিগা টন। জ্বালানি খাতে বছরে ২১ গিগা টন, কৃষি খাতে সাত গিগা টন এবং বিভিন্ন শিল্প-কারখানা থেকে আট গিগা টন গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়। 

চীনের ৯০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে

কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর ভারতের অবস্থান। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে বার্ষিক মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ ১ দশমিক ৯ টন, যুক্তরাজ্যের ৫ দশমিক ৫ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ টন। 

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার বিষয়ে নেচার জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই লক্ষ্য বাস্তবে পরিণত করতে হলে বিশ্বের ৮৯ শতাংশ কয়লা, ৫৮ শতাংশ তেল এবং ৫৯ শতাংশ মিথেন গ্যাস প্রকৃতিতে যেভাবে আছে সেভাবেই রেখে দিতে হবে। যদিও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের বৃহৎ ব্যাংকগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ট্রিলিয়ন-ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করছে। 

নেচার সাময়িকী গত অক্টোবরে ৯২ জন বিজ্ঞানীর সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি জলবায়ু প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারদাতাদের ৬০ শতাংশ মনে করেন—২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। যা প্যারিস চুক্তিতে নির্ধারিত ১ দশমিক ৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের তুলনায় অনেক বেশি। ৮৮ শতাংশ বিজ্ঞানীর বিশ্বাস, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে হলোকাস্টের মতো বিপর্যয় আসবে। এই বিজ্ঞানীদের মধ্যে অর্ধেকই বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। 

আফ্রিকান ইনস্টিটিউট ফর ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্সের বিজ্ঞানী মোহামাদু বাম্বা সিলা বলেন, ধনী ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকারগুলো কেবল গ্রিন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে পৃথিবীতে কোনো কাজ হচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন না। এসব কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে অসময়ে বৃষ্টি, হঠাৎ ওজোন স্তরে ফাটল, সুনামি, উচ্চ তাপমাত্রা, বন্যা, খরার মতো দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। 

কপ-২৬ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জো বাইডেন

সম্মেলনে কারা এলেন, কী বললেন
কপ-২৬ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল মাখোঁ, বিদায়ী জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি ও ঘানার নানা আকুফো আদোসহ বিশ্বের বড় নেতারা অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; পরিবেশ আন্দোলন ‘ফ্রাইডে ফর ফিউচার’-এর প্রবক্তা জলবায়ু সেলিব্রিটি গ্রেটা থুনবার্গ। স্বাগতিক দেশ হিসেবে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। 

সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে পারেনি। কার্বন ফুটপ্রিন্ট, উষ্ণায়ণ নিয়ন্ত্রণের মতো বিষয়গুলো মেনে চললে শিল্পোন্নয়ন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এ জন্য ক্ষমাও চান বাইডেন। ক্ষমতায় এসেই যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস চুক্তিতে ফিরিয়ে আনেন বাইডেন। সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার ক্ষমা চাওয়ার কারণ নেই। তবু আমি ক্ষমা চাইছি। কারণ, আমেরিকার সাবেক প্রশাসন প্যারিস চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল।’

একে হঠকারী সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেন বাইডেন। বলেন, ‘আমেরিকা ওই চুক্তিতে শুধু ফিরে আসছে এমনই নয়, জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে; সবাইকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে।’ জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে সবাইকে অবশ্যই একমত হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করেন বাইডেন।

জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল কোপ-২৬ সম্মেলনে বলেন, ‘২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে আমরা একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে এসব ঘটনার অধিকাংশই খাতা-কলমে পড়ে আছে; কার্যকর হয়নি। এবার আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’ পুরো পৃথিবী এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে মের্কেল বলেন, ‘এই সম্মেলনের শুরুর দিকে সমস্যাগুলো স্পষ্ট হয়েছে। এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।’ তাঁর প্রস্তাব, কার্বন নিঃসরণের ওপর ফি ধরা হোক। প্রতি ইউনিট কার্বন নিঃসরণের জন্য নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এতে কার্বন নিঃসরণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়বে।

কপ-২৬ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গ্রেটা থুনবারি

উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এখন গ্রিন হাউস গ্যাস উদগীরণকারী প্রধান দেশ হলো চীন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র এবং তারপর ভারতের অবস্থান। কোপ-২৬ সম্মেলনে কিন্তু চীন এবং ভারত কার্বন নিঃসরণ কমাতে রাজি হয়নি কমাতে।

অবশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যতে নামিয়ে আনাসহ পাঁচটি অঙ্গীকার করেছেন। এর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য খাত থেকে ৫০ শতাংশ জ্বালানি উৎপাদন এবং কার্বন নিঃসরণ ১০০ কোটি টন কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি অন্যতম। অবশ্য চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউয়ের পর বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী দেশ ভারতের এ ঘোষণার আগে চীন ২০৬০ সালের মধ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। 

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী জনসন তাঁর বক্তব্য শুরু করেন নাটকীয়ভাবে। বলেন, ‘১২টা বাজতে মাত্র এক মিনিট বাকি। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সম্মেলনে কয়লা, গাড়ি, অর্থ আর গাছ নিয়ে পরিবেশের জন্য ইতিবাচক বাস্তবমুখী কিছু করতে না পারলে পৃথিবীর ক্রোধ ও ধৈর্যচ্যুতি কোনোভাবেই থামানো যাবে না। এই সময়টাকে কাজে লাগাতে না পারলে অনাগত শিশুরা ভবিষ্যতে আমাদের ক্ষমা করবে না। যে তিক্ততা ও তীব্র অসন্তোষ বর্তমান জলবায়ু আন্দোলনকর্মীদের গ্রাস করেছে, সেই একই অনুভূতি নিয়ে আগামী প্রজন্ম আমাদের বিবেচনা করবে, তা চাই না। এমন উদ্যোগ নিতে হবে যাতে তাঁরা জানে, গ্লাসগো ছিল ঐতিহাসিক বাঁক বদলের মুহূর্ত।’ 

তবে বিশ্বনেতারা প্রতিশ্রুতির ঢালা সাজিয়ে আনলেও এই সম্মেলন নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি, জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েসে ভেলেসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গরিব দেশের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে। বলা হয়েছে, গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রভাবশালী বিশ্ব নেতারা। 

কপ-২৬ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা

এর মাঝে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়ে ওঠেন দুর্গতদের কণ্ঠস্বর। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা, কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসা এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ ও অর্থায়নের দাবি তোলেন তিনি। ধনী দেশের দূষণের ফলে দরিদ্র দেশগুলো বিশেষত, পৃথিবীর নিচের অর্ধের আফ্রিকা মহাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিশ্বের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণসহ চার দফা দাবি পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

দাবিগুলো হচ্ছে—১. প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই উচ্চাভিলাষী জাতীয় পরিকল্পনা (এনডিসি) গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. উন্নত দেশগুলোকে অভিযোজন এবং প্রশমনে বছরে ৫০ করে মোট ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে হবে। ৩. উন্নত দেশগুলোকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশে অল্প খরচে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। ৪. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ও লবণাক্ততা বৃদ্ধি; নদীভাঙন, বন্যা ও খরার মতো দুর্যোগের কারণে ঘরবাড়ি হারানো 'জলবায়ু অভিবাসী'-দের দায়িত্ব নিতে হবে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে ক্ষতি ও ধ্বংস মোকাবিলা করতে হবে। 

বাংলাদেশ কয়লাভিত্তিক কয়েকটি প্রকল্প থেকে সরে এসেছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কপ-২৬ সম্মেলন নিয়ে হতাশার কথাই বলেছেন সুইডেনের জলবায়ু আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তাঁর মনে হচ্ছে না এ সম্মেলন থেকে বড় কোনো পরিবর্তন আসবে। 

কারণ বরাবরের মতো বেশির ভাগ নেতার বক্তব্যে উঠে এসেছে ‘করতে হবে’। আগের সম্মেলনগুলোর প্রস্তাব বাস্তবায়ন না হওয়ার আক্ষেপও উঠে এসেছে এ সম্মেলনের বক্তাদের মুখে।

অধ্যাপক আইনুন নিশাত

গ্লাসগো থেকে কী পাওয়া গেল
কপ-২৬ সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো বিশ্ব। কী নির্দেশনা আসে, কী কৌশল নির্ধারিত হয় তা দেখতে উন্মুখ ছিলেন তাবৎ দুনিয়ার পরিবেশ বিষয়ে সচেতনরা। শিল্প বিপ্লবের আগের সময়ের চেয়ে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি বৃদ্ধি না হওয়া নিশ্চিত করতে শীর্ষ গ্যাস নিঃসরণকারী দেশগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আশা করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত যে প্রতিশ্রুতি মিলেছে তাতে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি; তবে পুরোপুরি যে হতাশ করেছে তাও নয়। 

এই সম্মেলনে ৫০ ধরনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন এবং অর্থায়নের বিষয়টি বড় করে সামনে এসেছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কপ-২৬ সম্মেলনে যোগ দেওয়া বাংলাদেশি পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, উন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিটি দেশ তাদের টার্গেট পূরণের চেষ্টা করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু, যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ যথাক্রমে চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত হলেও চীন এবং ভারত নিঃসরণ কমাতে রাজি হয়নি। তবে তারা প্রতিবছর রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ে বৈঠক করে পর্যালোচনা করার কথা বলেছে।

পরিবেশ দূষণের জন্য ধনী দেশগুলো বেশি দায়ী হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মূলত দরিদ্র দেশগুলো। এদের জন্য প্যারিস চুক্তিতে ২০২০ সাল থেকে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও এখনো প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। এবারের সম্মেলন থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের নিশ্চিত করতে ২০২৩ সালের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে এখন পর্যন্ত জোগাড় হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ বিলিয়ন ডলারের মতো।

পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রয়াস

ভারত ও চীনের বিদ্যুতের একটি বড় অংশ আসে কয়লা থেকে। কয়লার ব্যবহার কমানোর বিষয়ে তারা কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ভারত ২০৫০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেও ২০৭০ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের বিবেচনায় এ সময়সীমা যথেষ্ট বিলম্বিত।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলা এবং অভিযোজনের লক্ষ্য ঠিক করার এখনই সময়। অভিযোজন বিষয়ক আলোচনা এবারই প্রথম কপ সম্মেলনে আলোচিত হলো। এটি আশাবাদী হওয়ার মতোই একটি বিষয়। এ লক্ষ্যে আগামী দুই বছরের মধ্যে আটটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, খরা সহিষ্ণু অঞ্চলে ফসল উৎপাদনে সেচের জন্য বৃষ্টির পানি ধরে রাখার বিষয়েও প্রতিশ্রুতি এসেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভেনেজুয়েলার মতো অস্থিতিশীল তাদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। খাদ্য ও আবাসন সংকটের পাশাপাশি কোনো না কোনো রোগ ছড়াবে। দেশ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তবে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখে এই প্রশ্ন উঠতেই পারে, তাদের সদিচ্ছা কতোখানি।

সার্বিক বিবেচনায় কপ-২৬ সম্মেলনে আশাব্যাঞ্জক কিছু প্রস্তাব প্রতিশ্রুতি এসেছে। তবে সম্মেলন কতটা সফল হলো তা নির্ভর করবে সেগুলো বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতের প্রকোপ বাড়ছে: ৭ জেলায় ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ, থাকবে কত দিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৪
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।

ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা, সতর্ক থাকতে পারেন যেভাবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়

অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্‌রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।

সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।

যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।

ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেঘলা ঢাকার আকাশ, কুয়াশার দেখা মিলতে পারে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।

অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।

এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতে জবুথবু, কুয়াশায় দুর্ঘটনা

  • কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক, মুন্সিগঞ্জে চারটি যানবাহনের একের পর এক সংঘর্ষ।
  • সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
  • বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের চাপ।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৭
ঘন কুয়াশার কারণে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত। গতকাল ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘন কুয়াশার কারণে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত। গতকাল ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।

এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।

জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।

গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।

জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা

এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।

চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা

এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা

নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত