আমিনুল ইসলাম নাবিল

কয়েক দশক ধরেই বিভিন্ন পরাশক্তির হাতবদল হচ্ছে আফগানিস্তান। কখনো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আমল, কখনো তালেবান, আবার কখনো মার্কিন যুগে বাধ্য হয়েই পা রাখতে হয়েছে আফগানদের। সেই পালাবদলের চক্রে এবার ফের তালেবান শাসনে ফিরে গেছে আফগানিস্তান। কিন্তু আলো কি ফিরল?
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলা বদলে দেয় পুরো বিশ্ব পরিস্থিতি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আফগানিস্তানের উগ্রপন্থী সংগঠন আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে দেশটি। হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়। এরপর একে একে কেটে যায় ২০টি বছর।
দীর্ঘ যুদ্ধে অনেক লাভক্ষতির হিসাব সামনে উঠে আসতে থাকে। দুই দশকের যুদ্ধে ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি ডলার খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধে প্রাণ হারায় প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা। যুদ্ধের বিপক্ষে জনমত তৈরি হতে থাকে। খোদ মার্কিন নাগরিকেরাই আফগান যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরে আসার পক্ষে মত দেয়। লাভক্ষতির হিসাব কষতে কষতে একপর্যায়ে আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার বিষয়টি জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলেও এর শুরুটা হয়েছিল মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের সময়। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনবেন এবং ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে বড় অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন ওবামা। তিনি যখন হোয়াইট হাউস ছাড়েন আফগানিস্তানে তখন সেনাসংখ্যা ছিল ১০ হাজারের কম। সে সময় ওবামা বলেছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি ক্ষমতায় এসে আফগানিস্তানের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বারাক ওবামার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় এসে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। কিন্তু তালেবান নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করায় ২০১৭ সালের আগস্টে ট্রাম্প বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার কঠিন হচ্ছে। সে সময় তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তিতে উল্লেখ ছিল, যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ৩১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। তালেবান তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সামনে যে কয়েক মাস মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সেনাসদস্যরা আফগানিস্তানে আছে, তাদের ওপর কোনো প্রকার হামলা চালানো হবে না। দোহা চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতেই আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নতুন করে গতি পায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে ২০২০ সালের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেনও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পথেই হাঁটেন। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল জো বাইডেন ঘোষণা দেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগে আফগানিস্তানে থাকা আড়াই হাজার সেনা সদস্যকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এ ঘোষণার পর দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করে পেন্টাগন। গত ২ জুলাই বাগরাম বিমানঘাঁটি আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
এরপর জো বাইডেন নতুন সময়সীমা বেঁধে দেন। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে আসবে বলে ঘোষণা হয়। এরপরই যেন তেতে ওঠে তালেবান। সে সময় মার্কিন গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলকে ৩০ দিনে বিচ্ছিন্ন এবং ৯০ দিনের মধ্যে দখলে নিতে পারে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। কিন্তু পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে ১৫ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান দখলে নিয়ে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
আফগানিস্তান-তালেবান ইস্যু বছরজুড়েই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ২১ ডিসেম্বর বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের সরকারের পতন চলতি বছর বিশ্ব আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। দেশটির খবর জানতে বিশ্বজুড়ে মানুষ ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ঢুঁ মেরেছে। চলতি বছর দেশটির নাম বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজ করা শব্দের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
গুগল সম্প্রতি ২০২১ সালের বার্ষিক রিক্যাপ প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ এবং বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে কী ট্রেন্ডিং ছিল এবং মানুষ কী বিষয়ে জানতে চেয়েছে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়। গুগলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সংবাদ খোঁজার সময় আফগানিস্তানের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে তৈরি হয় নানান আলোচনা। কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়াই দেশ থেকে পালিয়ে যান তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকেরাও পালানোর জন্য কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে থাকেন। হুড়োহুড়ি করে উড়োজাহাজে চড়ার সময় উড়োজাহাজ থেকে ছিটকে নিচে পড়ার দৃশ্য বিশ্ববাসীর হৃদয়ে দাগ কাটে। প্রশ্ন ওঠে, এই তালেবান কি সত্যিই আফগানিস্তানে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে? এমন জল্পনাকল্পনার মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের হামলা নিয়ে নতুন শঙ্কা জাগে। ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ১৭৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি ও ১৩ মার্কিন সেনা। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরার বিষয়ে বড় প্রশ্ন রেখে যায় সেই ঘটনা। ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের ক্ষমতা বুঝে নেয় তালেবান।

ক্ষমতায় আসার পর সরকার গঠনে খুব বেশি দেরি করেনি তালেবান। ৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানকে ‘ইসলামিক আমিরাত’ ঘোষণা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দলটি। ৩৩ সদস্যের এই সরকারে প্রধানমন্ত্রী করা হয় তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ঘনিষ্ঠ ও আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে। সরকার গঠন করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় পদে পদে বিপদে পড়তে হয় তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে। একের পর এক দেশ তহবিল আটকে দিতে থাকে। বছরের শেষ দিকে এসে চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে দেশটি। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আফগানিস্তানের মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশই আসে বিদেশি সাহায্য থেকে।
আফগানিস্তানকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে অবশ্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। জার্মানির নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালনো বেয়ারবক বলেছেন, আফগানিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। একাধিক ক্ষেত্রে আফগানিস্তান কার্যত ভেঙে পড়েছে। জার্মানির হিসাবে, চলতি বছর শুধু তীব্র শীতে ২ কোটি ৪০ লাখ আফগানের মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে অসংখ্য শিশুও আছে। বেয়ারবক বলেন, ‘চোখ বুজে রেখে এই মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারি না। আমাদের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাদের উদ্ধার করতে হবে।’
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে আইএস। উল্লেখযোগ্য বড় দুটি হামলার ঘটনা ঘটে গত ৮ ও ১৫ অক্টোবর। পরপর দুই শুক্রবার আফগানিস্তানে জুমার নামাজ চলাকালীন হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথম হামলাটি হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজে। আর দ্বিতীয়টি হয় দক্ষিণাঞ্চলের শহর কান্দাহারে। দুই হামলায় প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ।

অর্থনৈতিক সংকট ও আইএসের হামলার পাশাপাশি তালেবানের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল নারী ইস্যু। এ ক্ষেত্রে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই নানা সুমধুর বাণী শোনাতে থাকে। সরকারেও নারীর অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেয় গোষ্ঠীটি। তবে তালেবান সরকার গঠনের পর একের পর এক বিধিনিষেধ জারি করা হয় নারীদের ওপর। আফগানিস্তানে টেলিভিশন নাটকে নারীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ২০ বছর আগের তালেবানের চেয়ে এখনকার তালেবান নারী অধিকারের বিষয়টি কিছুটা হলেও নমনীয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে নারীদের কোনো পুরুষ সঙ্গী এবং পর্দা ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। মেয়েদের শিক্ষাও ছিল নিষিদ্ধ। এবার সেসব দিক থেকে অন্তত খানিকটা সরে এসেছে তালেবান।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার অপহরণকারী নিহত হওয়ার পর তাঁদের মরদেহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে প্রদর্শন করা হয়। আর এর দুই দিন পর আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে দাঁড়ি কামানো অথবা ছাঁটার ব্যাপারে নরসুন্দরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও আরও নানা ইস্যু নিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আলোচনায় ছিল তালেবান।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর হুমকির মুখে পড়েছে আফগানিস্তানের সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ। এ নিয়ে সমলোচনা হচ্ছে বেশ। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রিপোর্টারস উইথআউট বর্ডারস (আরএসএফ) এবং আফগান ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (এআইজেএ) করা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর আফগানিস্তানে ৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন। ২৩১টির বেশি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নারী সাংবাদিকেরা, ৮০ শতাংশই তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন।
নানান উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া আফগানিস্তানকে অবশ্য বছরের শেষ সময়ে এসে বাকি বিশ্বের মানবিক সহায়তার দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আপাতত আফগানিস্তানের লড়াইটা শুধু ক্ষুধার বিরুদ্ধে। অভুক্ত মানুষকে তো আর বুলেট-বোমায় ঠেকিয়ে রাখা যায় না! ধারণা করা হচ্ছে, এই লড়াইয়ে টিকে থাকার ওপরই নির্ভর করছে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের ভবিষ্যৎ।

কয়েক দশক ধরেই বিভিন্ন পরাশক্তির হাতবদল হচ্ছে আফগানিস্তান। কখনো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন আমল, কখনো তালেবান, আবার কখনো মার্কিন যুগে বাধ্য হয়েই পা রাখতে হয়েছে আফগানদের। সেই পালাবদলের চক্রে এবার ফের তালেবান শাসনে ফিরে গেছে আফগানিস্তান। কিন্তু আলো কি ফিরল?
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলা বদলে দেয় পুরো বিশ্ব পরিস্থিতি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আফগানিস্তানের উগ্রপন্থী সংগঠন আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় আফগানিস্তানে হামলা শুরু করে দেশটি। হামলার মাধ্যমে আফগানিস্তানের তৎকালীন তালেবান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো হয়। এরপর একে একে কেটে যায় ২০টি বছর।
দীর্ঘ যুদ্ধে অনেক লাভক্ষতির হিসাব সামনে উঠে আসতে থাকে। দুই দশকের যুদ্ধে ২ লাখ ৮৬ হাজার কোটি ডলার খরচ করে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধে প্রাণ হারায় প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা। যুদ্ধের বিপক্ষে জনমত তৈরি হতে থাকে। খোদ মার্কিন নাগরিকেরাই আফগান যুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরে আসার পক্ষে মত দেয়। লাভক্ষতির হিসাব কষতে কষতে একপর্যায়ে আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার বিষয়টি জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলেও এর শুরুটা হয়েছিল মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের সময়। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনবেন এবং ২০১৪ সালের মধ্যে আফগানদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর আফগানিস্তানে বড় অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিলেন ওবামা। তিনি যখন হোয়াইট হাউস ছাড়েন আফগানিস্তানে তখন সেনাসংখ্যা ছিল ১০ হাজারের কম। সে সময় ওবামা বলেছিলেন, তাঁর উত্তরসূরি ক্ষমতায় এসে আফগানিস্তানের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
বারাক ওবামার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ক্ষমতায় এসে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। কিন্তু তালেবান নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠতে শুরু করায় ২০১৭ সালের আগস্টে ট্রাম্প বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার কঠিন হচ্ছে। সে সময় তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারিতে কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তিতে উল্লেখ ছিল, যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ৩১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। তালেবান তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সামনে যে কয়েক মাস মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সেনাসদস্যরা আফগানিস্তানে আছে, তাদের ওপর কোনো প্রকার হামলা চালানো হবে না। দোহা চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতেই আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নতুন করে গতি পায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে ২০২০ সালের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন জো বাইডেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেনও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পথেই হাঁটেন। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল জো বাইডেন ঘোষণা দেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগে আফগানিস্তানে থাকা আড়াই হাজার সেনা সদস্যকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এ ঘোষণার পর দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের কাজ শুরু করে পেন্টাগন। গত ২ জুলাই বাগরাম বিমানঘাঁটি আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা।
এরপর জো বাইডেন নতুন সময়সীমা বেঁধে দেন। নতুন সময়সীমা অনুযায়ী ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে আসবে বলে ঘোষণা হয়। এরপরই যেন তেতে ওঠে তালেবান। সে সময় মার্কিন গোয়েন্দাদের উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলকে ৩০ দিনে বিচ্ছিন্ন এবং ৯০ দিনের মধ্যে দখলে নিতে পারে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। কিন্তু পুরো বিশ্বকে চমকে দিয়ে ১৫ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান দখলে নিয়ে নেয় সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
আফগানিস্তান-তালেবান ইস্যু বছরজুড়েই ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ২১ ডিসেম্বর বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের সরকারের পতন চলতি বছর বিশ্ব আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। দেশটির খবর জানতে বিশ্বজুড়ে মানুষ ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি ঢুঁ মেরেছে। চলতি বছর দেশটির নাম বিশ্বের সর্ববৃহৎ সার্চ ইঞ্জিন গুগলে সবচেয়ে বেশি খোঁজ করা শব্দের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।
গুগল সম্প্রতি ২০২১ সালের বার্ষিক রিক্যাপ প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ এবং বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটে কী ট্রেন্ডিং ছিল এবং মানুষ কী বিষয়ে জানতে চেয়েছে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়। গুগলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সংবাদ খোঁজার সময় আফগানিস্তানের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে।
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে তৈরি হয় নানান আলোচনা। কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলা ছাড়াই দেশ থেকে পালিয়ে যান তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি। আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকেরাও পালানোর জন্য কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে থাকেন। হুড়োহুড়ি করে উড়োজাহাজে চড়ার সময় উড়োজাহাজ থেকে ছিটকে নিচে পড়ার দৃশ্য বিশ্ববাসীর হৃদয়ে দাগ কাটে। প্রশ্ন ওঠে, এই তালেবান কি সত্যিই আফগানিস্তানে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে? এমন জল্পনাকল্পনার মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের হামলা নিয়ে নতুন শঙ্কা জাগে। ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় প্রাণ হারান কমপক্ষে ১৭৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি ও ১৩ মার্কিন সেনা। আফগানিস্তানে শান্তি ফেরার বিষয়ে বড় প্রশ্ন রেখে যায় সেই ঘটনা। ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে পুরোপুরি সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। দেশের ক্ষমতা বুঝে নেয় তালেবান।

ক্ষমতায় আসার পর সরকার গঠনে খুব বেশি দেরি করেনি তালেবান। ৮ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানকে ‘ইসলামিক আমিরাত’ ঘোষণা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দলটি। ৩৩ সদস্যের এই সরকারে প্রধানমন্ত্রী করা হয় তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরের ঘনিষ্ঠ ও আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে। সরকার গঠন করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়ায় পদে পদে বিপদে পড়তে হয় তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে। একের পর এক দেশ তহবিল আটকে দিতে থাকে। বছরের শেষ দিকে এসে চরম খাদ্যসংকটে পড়েছে দেশটি। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, আফগানিস্তানের মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশই আসে বিদেশি সাহায্য থেকে।
আফগানিস্তানকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে অবশ্য এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এগিয়ে আসতে শুরু করেছে। জার্মানির নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালনো বেয়ারবক বলেছেন, আফগানিস্তানের অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। একাধিক ক্ষেত্রে আফগানিস্তান কার্যত ভেঙে পড়েছে। জার্মানির হিসাবে, চলতি বছর শুধু তীব্র শীতে ২ কোটি ৪০ লাখ আফগানের মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে অসংখ্য শিশুও আছে। বেয়ারবক বলেন, ‘চোখ বুজে রেখে এই মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারি না। আমাদের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাদের উদ্ধার করতে হবে।’
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে আইএস। উল্লেখযোগ্য বড় দুটি হামলার ঘটনা ঘটে গত ৮ ও ১৫ অক্টোবর। পরপর দুই শুক্রবার আফগানিস্তানে জুমার নামাজ চলাকালীন হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথম হামলাটি হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজে। আর দ্বিতীয়টি হয় দক্ষিণাঞ্চলের শহর কান্দাহারে। দুই হামলায় প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ।

অর্থনৈতিক সংকট ও আইএসের হামলার পাশাপাশি তালেবানের সামনে বড় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল নারী ইস্যু। এ ক্ষেত্রে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই নানা সুমধুর বাণী শোনাতে থাকে। সরকারেও নারীর অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেয় গোষ্ঠীটি। তবে তালেবান সরকার গঠনের পর একের পর এক বিধিনিষেধ জারি করা হয় নারীদের ওপর। আফগানিস্তানে টেলিভিশন নাটকে নারীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ২০ বছর আগের তালেবানের চেয়ে এখনকার তালেবান নারী অধিকারের বিষয়টি কিছুটা হলেও নমনীয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকেরা। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে নারীদের কোনো পুরুষ সঙ্গী এবং পর্দা ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। মেয়েদের শিক্ষাও ছিল নিষিদ্ধ। এবার সেসব দিক থেকে অন্তত খানিকটা সরে এসেছে তালেবান।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকটি সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়। ২৫ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেরাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার অপহরণকারী নিহত হওয়ার পর তাঁদের মরদেহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে প্রদর্শন করা হয়। আর এর দুই দিন পর আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে দাঁড়ি কামানো অথবা ছাঁটার ব্যাপারে নরসুন্দরদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ ছাড়াও আরও নানা ইস্যু নিয়ে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই আলোচনায় ছিল তালেবান।
তালেবান ক্ষমতায় আসার পর হুমকির মুখে পড়েছে আফগানিস্তানের সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ। এ নিয়ে সমলোচনা হচ্ছে বেশ। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রিপোর্টারস উইথআউট বর্ডারস (আরএসএফ) এবং আফগান ইন্ডিপেনডেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (এআইজেএ) করা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর আফগানিস্তানে ৬ হাজার ৪০০ জনের বেশি সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন। ২৩১টির বেশি সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নারী সাংবাদিকেরা, ৮০ শতাংশই তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন।
নানান উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া আফগানিস্তানকে অবশ্য বছরের শেষ সময়ে এসে বাকি বিশ্বের মানবিক সহায়তার দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে। আপাতত আফগানিস্তানের লড়াইটা শুধু ক্ষুধার বিরুদ্ধে। অভুক্ত মানুষকে তো আর বুলেট-বোমায় ঠেকিয়ে রাখা যায় না! ধারণা করা হচ্ছে, এই লড়াইয়ে টিকে থাকার ওপরই নির্ভর করছে আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের ভবিষ্যৎ।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৪৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে এক ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলা বদলে দেয় পুরো বিশ্ব পরিস্থিতি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আফগানিস্তানের উগ্রপন্থী সংগঠন আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে এক ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলা বদলে দেয় পুরো বিশ্ব পরিস্থিতি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আফগানিস্তানের উগ্রপন্থী সংগঠন আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৪৪ মিনিট আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে এক ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলা বদলে দেয় পুরো বিশ্ব পরিস্থিতি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আফগানিস্তানের উগ্রপন্থী সংগঠন আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৪৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে এক ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। সেই হামলা বদলে দেয় পুরো বিশ্ব পরিস্থিতি। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় আফগানিস্তানের উগ্রপন্থী সংগঠন আল-কায়েদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র
২৭ ডিসেম্বর ২০২১
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
৪৪ মিনিট আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে