আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়। এগুলোর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ এর নিচে ছিল। লক্ষ্যণীয় হলো— এই ভূমিকম্পগুলোর সবকটির গভীরতা ১০ কিলোমিটার।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ১০ কিলোমিটার ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা। এটিকে ‘নির্ধারিত গভীরতা’ হিসেবে ধরা হয়। অনেক সময় ভূমিকম্পের তথ্য এতটাই অপর্যাপ্ত হয় যে, সঠিক গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। তখন ভূমিকম্পের গভীরতাকে ১০ কিলোমিটার ধরা হয়। কিন্তু কেন?
ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা ১০ কিলোমিটার কেন
পৃথিবীর নানা অঞ্চলের ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য ডেটা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ভূমিকম্পের অধিকাংশই প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছে। কোনো অঞ্চলের ভূকম্পনের গভীরতার নির্ভরতার হিসাব নিয়ে হিস্টোগ্রাম তৈরি করলে দেখা যাবে, ১০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ শিখরে থাকবে। সেকারণে গভীরতা জানা না থাকলে ১০ কিলোমিটারকে যুক্তিসঙ্গত গভীরতা হিসেবে দেখা হয়।
ইউএসজিএস আগে ৩৩ কিলোমিটারকে নির্ধারিত গভীরতা হিসেবে ধরত। কিন্তু আধুনিক গবেষণার তথ্য বলে, ১০ কিলোমিটারই বেশি বাস্তবসম্মত। তবে সাবডাকশন জোনসহ কিছু অঞ্চলে অনেক ভূমিকম্প ১০ কিলোমিটারেরও বহু গভীরে ঘটে। সেসব জায়গায় বাড়তি গভীরতা নির্ধারণ বেশি যৌক্তিক। সাবডাকশন জোন হলো এমন এলাকা, যেখানে পৃথিবীর দুটি টেকটোনিক প্লেট পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং একটি অন্যটির নিচে ঢুকে পড়ে বা নেমে যায়।
গভীরতা নির্ধারণের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো— ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি পর্যাপ্ত সিসমিক স্টেশন না থাকা। সাধারণ নিয়ম হলো— ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ভুলভাবে জানতে হলে উপকেন্দ্র থেকে নিকটতম সিসমিক স্টেশনের দূরত্ব ও ভূমিকম্পের গভীরতার চেয়ে কম হতে হবে।

আধুনিক কম্পিউটিং ও তাত্ত্বিক উন্নতির কারণে এখন অনেক ক্ষেত্রে দূরের স্টেশন থেকেও গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব। তবুও বাস্তব নিয়ম হচ্ছে— ভূমিকম্প পরিমাপে নির্ধারিত গভীরতা ধরার ঘটনা অগভীর ভূমিকম্পের বেশি ঘটে, গভীর ভূমিকম্পে নয়।
ইউএসজিএসের সাম্প্রতিক নির্দেশনা বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রচুর ছোট ও অগভীর ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ণয় করা যায় না। বিশেষ করে যখন নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু থেকে অনেক দূরে থাকে। তখন কম্পিউটার অ্যালগরিদম ডিফল্ট গভীরতা ১০ কিলোমিটার ধরে নেয়। অতীতে ৩৩ কিলোমিটার ব্যবহৃত হলেও গবেষণায় দেখায় গেছে, বেশিরভাগ অগভীর ভূমিকম্পের গড় গভীরতা ৮–১২ কিলোমিটার। সেই কারণে এখন ১০ কিলোমিটারকেই সাধারণ মান হিসেবে ধরা হয়।
কেন নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ধারণ করা কঠিন
ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজন হয় অন্তত তিন দিক থেকে শক্তিশালী সিসমিক সিগনাল। সিসমোলজিস্ট বা ভূকম্পবিদদের অনুসৃত নীতি হচ্ছে, যদি নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের প্রকৃত গভীরতার চেয়ে দূরে থাকে, তাহলে নির্ভরযোগ্য ফল পাওয়া কঠিন।
এ কারণে—
ছোট মাত্রার কম্পন হলে সিগনাল দুর্বল হয়।
দূরবর্তী স্টেশনগুলোতে কম্পন পৌঁছায় বিকৃতভাবে।
অ্যালগরিদম সঠিক গভীরতা গণনা করতে ব্যর্থ হয়।
ফলে অনেক ছোট বা স্থানীয় ভূমিকম্পে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ কিমি গভীরতা দেখা যায়।
ঢাকার মতো সিসমিক অবজার্ভেশন স্টেশন কম থাকা এলাকায় এই নির্ধারিত গভীরতা ঘন ঘন দেখা যায়।

তাহলে প্রকৃত ভূমিকম্পগুলো ১০ কিলোমিটার গভীরে?
সবসময় না। ভূমিকম্পের বাস্তব গভীরতা ০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে পৃথিবীর ভূত্বক সাধারণত ৫–৭০ কিমি পুরু, এবং তার মধ্যে ঘটে যাওয়া অধিকাংশ ভূমিকম্পই অগভীর ভূমিকম্প, যার গভীরতা সাধারণত ০–৭০ কিলোমিটার।
এর মধ্যে—
০–২০ কিমি → সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প
২০–৭০ কিমি → মাঝারি গভীরতার
৭০ কিমির বেশি → সাবডাকশন জোনে দুর্লভ গভীর ভূমিকম্প
অতএব, ১০ কিলোমিটার বাস্তবে একটি সাধারণ অগভীর সিসমিক স্তর হলেও, ডেটা শতভাগ নির্ভুল না হলে এটি অ্যালগরিদমিক অনুমানও হতে পারে।
অগভীর ভূমিকম্পের প্রভাব
যখন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু মাটির কাছাকাছি—মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে—তখন তার কম্পন খুব দ্রুত পৃষ্ঠে পৌঁছে।
এর ফলে—
১. ঝাঁকুনি বেশি তীব্র হয়। একই মাত্রার ভূমিকম্প যদি ১০ কিমিতে হয়, তার কাঁপুনি ৫০ কিমি গভীরতায় হওয়া ভূমিকম্পের তুলনায় অনেক বেশি অনুভূত হয়।
২. জনবহুল নগরীগুলো বেশি ঝুঁকিতে। ঢাকার মতো মেগাসিটিতে লাখো ভবন, ভরাট করা নরম মাটি, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ— সব মিলে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতি গুরুতর হতে পারে।
৩. লিকুইফ্যাকশন ও ফাটল বাড়ার আশঙ্কা। নরম পলিতে মাটি তরলসদৃশ হয়ে ভবনের ফাউন্ডেশন দুর্বল হতে পারে।
৪. দুর্বল ভবনে কাঠামোগত ক্ষতি। একই মাত্রার ভূমিকম্প বেশি গভীরতা হলে যেটি হয়তো টের পাওয়া যেত না, অগভীর হওয়ার কারণে তাতে দেয়াল ধস, প্লাস্টার খসে পড়া বা ফাটল দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর—
১. ম্যাগনিচ্যু ড (মাত্রা)
২. উপকেন্দ্র থেকে দূরত্ব
৩. ভবনের কাঠামোগত মান
গভীরতা তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাত্র।
অতএব ১০ কিলোমিটার গভীরতা মানেই ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু মাত্রা বেশি (৫.৫ বা তার বেশি) হলে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ নগরীতে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়। এগুলোর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ এর নিচে ছিল। লক্ষ্যণীয় হলো— এই ভূমিকম্পগুলোর সবকটির গভীরতা ১০ কিলোমিটার।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ১০ কিলোমিটার ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা। এটিকে ‘নির্ধারিত গভীরতা’ হিসেবে ধরা হয়। অনেক সময় ভূমিকম্পের তথ্য এতটাই অপর্যাপ্ত হয় যে, সঠিক গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। তখন ভূমিকম্পের গভীরতাকে ১০ কিলোমিটার ধরা হয়। কিন্তু কেন?
ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা ১০ কিলোমিটার কেন
পৃথিবীর নানা অঞ্চলের ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য ডেটা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ভূমিকম্পের অধিকাংশই প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছে। কোনো অঞ্চলের ভূকম্পনের গভীরতার নির্ভরতার হিসাব নিয়ে হিস্টোগ্রাম তৈরি করলে দেখা যাবে, ১০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ শিখরে থাকবে। সেকারণে গভীরতা জানা না থাকলে ১০ কিলোমিটারকে যুক্তিসঙ্গত গভীরতা হিসেবে দেখা হয়।
ইউএসজিএস আগে ৩৩ কিলোমিটারকে নির্ধারিত গভীরতা হিসেবে ধরত। কিন্তু আধুনিক গবেষণার তথ্য বলে, ১০ কিলোমিটারই বেশি বাস্তবসম্মত। তবে সাবডাকশন জোনসহ কিছু অঞ্চলে অনেক ভূমিকম্প ১০ কিলোমিটারেরও বহু গভীরে ঘটে। সেসব জায়গায় বাড়তি গভীরতা নির্ধারণ বেশি যৌক্তিক। সাবডাকশন জোন হলো এমন এলাকা, যেখানে পৃথিবীর দুটি টেকটোনিক প্লেট পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং একটি অন্যটির নিচে ঢুকে পড়ে বা নেমে যায়।
গভীরতা নির্ধারণের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো— ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি পর্যাপ্ত সিসমিক স্টেশন না থাকা। সাধারণ নিয়ম হলো— ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ভুলভাবে জানতে হলে উপকেন্দ্র থেকে নিকটতম সিসমিক স্টেশনের দূরত্ব ও ভূমিকম্পের গভীরতার চেয়ে কম হতে হবে।

আধুনিক কম্পিউটিং ও তাত্ত্বিক উন্নতির কারণে এখন অনেক ক্ষেত্রে দূরের স্টেশন থেকেও গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব। তবুও বাস্তব নিয়ম হচ্ছে— ভূমিকম্প পরিমাপে নির্ধারিত গভীরতা ধরার ঘটনা অগভীর ভূমিকম্পের বেশি ঘটে, গভীর ভূমিকম্পে নয়।
ইউএসজিএসের সাম্প্রতিক নির্দেশনা বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রচুর ছোট ও অগভীর ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ণয় করা যায় না। বিশেষ করে যখন নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু থেকে অনেক দূরে থাকে। তখন কম্পিউটার অ্যালগরিদম ডিফল্ট গভীরতা ১০ কিলোমিটার ধরে নেয়। অতীতে ৩৩ কিলোমিটার ব্যবহৃত হলেও গবেষণায় দেখায় গেছে, বেশিরভাগ অগভীর ভূমিকম্পের গড় গভীরতা ৮–১২ কিলোমিটার। সেই কারণে এখন ১০ কিলোমিটারকেই সাধারণ মান হিসেবে ধরা হয়।
কেন নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ধারণ করা কঠিন
ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজন হয় অন্তত তিন দিক থেকে শক্তিশালী সিসমিক সিগনাল। সিসমোলজিস্ট বা ভূকম্পবিদদের অনুসৃত নীতি হচ্ছে, যদি নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের প্রকৃত গভীরতার চেয়ে দূরে থাকে, তাহলে নির্ভরযোগ্য ফল পাওয়া কঠিন।
এ কারণে—
ছোট মাত্রার কম্পন হলে সিগনাল দুর্বল হয়।
দূরবর্তী স্টেশনগুলোতে কম্পন পৌঁছায় বিকৃতভাবে।
অ্যালগরিদম সঠিক গভীরতা গণনা করতে ব্যর্থ হয়।
ফলে অনেক ছোট বা স্থানীয় ভূমিকম্পে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ কিমি গভীরতা দেখা যায়।
ঢাকার মতো সিসমিক অবজার্ভেশন স্টেশন কম থাকা এলাকায় এই নির্ধারিত গভীরতা ঘন ঘন দেখা যায়।

তাহলে প্রকৃত ভূমিকম্পগুলো ১০ কিলোমিটার গভীরে?
সবসময় না। ভূমিকম্পের বাস্তব গভীরতা ০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে পৃথিবীর ভূত্বক সাধারণত ৫–৭০ কিমি পুরু, এবং তার মধ্যে ঘটে যাওয়া অধিকাংশ ভূমিকম্পই অগভীর ভূমিকম্প, যার গভীরতা সাধারণত ০–৭০ কিলোমিটার।
এর মধ্যে—
০–২০ কিমি → সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প
২০–৭০ কিমি → মাঝারি গভীরতার
৭০ কিমির বেশি → সাবডাকশন জোনে দুর্লভ গভীর ভূমিকম্প
অতএব, ১০ কিলোমিটার বাস্তবে একটি সাধারণ অগভীর সিসমিক স্তর হলেও, ডেটা শতভাগ নির্ভুল না হলে এটি অ্যালগরিদমিক অনুমানও হতে পারে।
অগভীর ভূমিকম্পের প্রভাব
যখন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু মাটির কাছাকাছি—মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে—তখন তার কম্পন খুব দ্রুত পৃষ্ঠে পৌঁছে।
এর ফলে—
১. ঝাঁকুনি বেশি তীব্র হয়। একই মাত্রার ভূমিকম্প যদি ১০ কিমিতে হয়, তার কাঁপুনি ৫০ কিমি গভীরতায় হওয়া ভূমিকম্পের তুলনায় অনেক বেশি অনুভূত হয়।
২. জনবহুল নগরীগুলো বেশি ঝুঁকিতে। ঢাকার মতো মেগাসিটিতে লাখো ভবন, ভরাট করা নরম মাটি, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ— সব মিলে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতি গুরুতর হতে পারে।
৩. লিকুইফ্যাকশন ও ফাটল বাড়ার আশঙ্কা। নরম পলিতে মাটি তরলসদৃশ হয়ে ভবনের ফাউন্ডেশন দুর্বল হতে পারে।
৪. দুর্বল ভবনে কাঠামোগত ক্ষতি। একই মাত্রার ভূমিকম্প বেশি গভীরতা হলে যেটি হয়তো টের পাওয়া যেত না, অগভীর হওয়ার কারণে তাতে দেয়াল ধস, প্লাস্টার খসে পড়া বা ফাটল দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর—
১. ম্যাগনিচ্যু ড (মাত্রা)
২. উপকেন্দ্র থেকে দূরত্ব
৩. ভবনের কাঠামোগত মান
গভীরতা তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাত্র।
অতএব ১০ কিলোমিটার গভীরতা মানেই ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু মাত্রা বেশি (৫.৫ বা তার বেশি) হলে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ নগরীতে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়। এগুলোর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ এর নিচে ছিল। লক্ষ্যণীয় হলো— এই ভূমিকম্পগুলোর সবকটির গভীরতা ১০ কিলোমিটার।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ১০ কিলোমিটার ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা। এটিকে ‘নির্ধারিত গভীরতা’ হিসেবে ধরা হয়। অনেক সময় ভূমিকম্পের তথ্য এতটাই অপর্যাপ্ত হয় যে, সঠিক গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। তখন ভূমিকম্পের গভীরতাকে ১০ কিলোমিটার ধরা হয়। কিন্তু কেন?
ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা ১০ কিলোমিটার কেন
পৃথিবীর নানা অঞ্চলের ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য ডেটা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ভূমিকম্পের অধিকাংশই প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছে। কোনো অঞ্চলের ভূকম্পনের গভীরতার নির্ভরতার হিসাব নিয়ে হিস্টোগ্রাম তৈরি করলে দেখা যাবে, ১০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ শিখরে থাকবে। সেকারণে গভীরতা জানা না থাকলে ১০ কিলোমিটারকে যুক্তিসঙ্গত গভীরতা হিসেবে দেখা হয়।
ইউএসজিএস আগে ৩৩ কিলোমিটারকে নির্ধারিত গভীরতা হিসেবে ধরত। কিন্তু আধুনিক গবেষণার তথ্য বলে, ১০ কিলোমিটারই বেশি বাস্তবসম্মত। তবে সাবডাকশন জোনসহ কিছু অঞ্চলে অনেক ভূমিকম্প ১০ কিলোমিটারেরও বহু গভীরে ঘটে। সেসব জায়গায় বাড়তি গভীরতা নির্ধারণ বেশি যৌক্তিক। সাবডাকশন জোন হলো এমন এলাকা, যেখানে পৃথিবীর দুটি টেকটোনিক প্লেট পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং একটি অন্যটির নিচে ঢুকে পড়ে বা নেমে যায়।
গভীরতা নির্ধারণের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো— ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি পর্যাপ্ত সিসমিক স্টেশন না থাকা। সাধারণ নিয়ম হলো— ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ভুলভাবে জানতে হলে উপকেন্দ্র থেকে নিকটতম সিসমিক স্টেশনের দূরত্ব ও ভূমিকম্পের গভীরতার চেয়ে কম হতে হবে।

আধুনিক কম্পিউটিং ও তাত্ত্বিক উন্নতির কারণে এখন অনেক ক্ষেত্রে দূরের স্টেশন থেকেও গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব। তবুও বাস্তব নিয়ম হচ্ছে— ভূমিকম্প পরিমাপে নির্ধারিত গভীরতা ধরার ঘটনা অগভীর ভূমিকম্পের বেশি ঘটে, গভীর ভূমিকম্পে নয়।
ইউএসজিএসের সাম্প্রতিক নির্দেশনা বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রচুর ছোট ও অগভীর ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ণয় করা যায় না। বিশেষ করে যখন নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু থেকে অনেক দূরে থাকে। তখন কম্পিউটার অ্যালগরিদম ডিফল্ট গভীরতা ১০ কিলোমিটার ধরে নেয়। অতীতে ৩৩ কিলোমিটার ব্যবহৃত হলেও গবেষণায় দেখায় গেছে, বেশিরভাগ অগভীর ভূমিকম্পের গড় গভীরতা ৮–১২ কিলোমিটার। সেই কারণে এখন ১০ কিলোমিটারকেই সাধারণ মান হিসেবে ধরা হয়।
কেন নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ধারণ করা কঠিন
ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজন হয় অন্তত তিন দিক থেকে শক্তিশালী সিসমিক সিগনাল। সিসমোলজিস্ট বা ভূকম্পবিদদের অনুসৃত নীতি হচ্ছে, যদি নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের প্রকৃত গভীরতার চেয়ে দূরে থাকে, তাহলে নির্ভরযোগ্য ফল পাওয়া কঠিন।
এ কারণে—
ছোট মাত্রার কম্পন হলে সিগনাল দুর্বল হয়।
দূরবর্তী স্টেশনগুলোতে কম্পন পৌঁছায় বিকৃতভাবে।
অ্যালগরিদম সঠিক গভীরতা গণনা করতে ব্যর্থ হয়।
ফলে অনেক ছোট বা স্থানীয় ভূমিকম্পে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ কিমি গভীরতা দেখা যায়।
ঢাকার মতো সিসমিক অবজার্ভেশন স্টেশন কম থাকা এলাকায় এই নির্ধারিত গভীরতা ঘন ঘন দেখা যায়।

তাহলে প্রকৃত ভূমিকম্পগুলো ১০ কিলোমিটার গভীরে?
সবসময় না। ভূমিকম্পের বাস্তব গভীরতা ০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে পৃথিবীর ভূত্বক সাধারণত ৫–৭০ কিমি পুরু, এবং তার মধ্যে ঘটে যাওয়া অধিকাংশ ভূমিকম্পই অগভীর ভূমিকম্প, যার গভীরতা সাধারণত ০–৭০ কিলোমিটার।
এর মধ্যে—
০–২০ কিমি → সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প
২০–৭০ কিমি → মাঝারি গভীরতার
৭০ কিমির বেশি → সাবডাকশন জোনে দুর্লভ গভীর ভূমিকম্প
অতএব, ১০ কিলোমিটার বাস্তবে একটি সাধারণ অগভীর সিসমিক স্তর হলেও, ডেটা শতভাগ নির্ভুল না হলে এটি অ্যালগরিদমিক অনুমানও হতে পারে।
অগভীর ভূমিকম্পের প্রভাব
যখন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু মাটির কাছাকাছি—মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে—তখন তার কম্পন খুব দ্রুত পৃষ্ঠে পৌঁছে।
এর ফলে—
১. ঝাঁকুনি বেশি তীব্র হয়। একই মাত্রার ভূমিকম্প যদি ১০ কিমিতে হয়, তার কাঁপুনি ৫০ কিমি গভীরতায় হওয়া ভূমিকম্পের তুলনায় অনেক বেশি অনুভূত হয়।
২. জনবহুল নগরীগুলো বেশি ঝুঁকিতে। ঢাকার মতো মেগাসিটিতে লাখো ভবন, ভরাট করা নরম মাটি, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ— সব মিলে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতি গুরুতর হতে পারে।
৩. লিকুইফ্যাকশন ও ফাটল বাড়ার আশঙ্কা। নরম পলিতে মাটি তরলসদৃশ হয়ে ভবনের ফাউন্ডেশন দুর্বল হতে পারে।
৪. দুর্বল ভবনে কাঠামোগত ক্ষতি। একই মাত্রার ভূমিকম্প বেশি গভীরতা হলে যেটি হয়তো টের পাওয়া যেত না, অগভীর হওয়ার কারণে তাতে দেয়াল ধস, প্লাস্টার খসে পড়া বা ফাটল দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর—
১. ম্যাগনিচ্যু ড (মাত্রা)
২. উপকেন্দ্র থেকে দূরত্ব
৩. ভবনের কাঠামোগত মান
গভীরতা তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাত্র।
অতএব ১০ কিলোমিটার গভীরতা মানেই ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু মাত্রা বেশি (৫.৫ বা তার বেশি) হলে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ নগরীতে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়। এগুলোর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ এর নিচে ছিল। লক্ষ্যণীয় হলো— এই ভূমিকম্পগুলোর সবকটির গভীরতা ১০ কিলোমিটার।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ১০ কিলোমিটার ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা। এটিকে ‘নির্ধারিত গভীরতা’ হিসেবে ধরা হয়। অনেক সময় ভূমিকম্পের তথ্য এতটাই অপর্যাপ্ত হয় যে, সঠিক গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। তখন ভূমিকম্পের গভীরতাকে ১০ কিলোমিটার ধরা হয়। কিন্তু কেন?
ভূমিকম্পের সাধারণ গভীরতা ১০ কিলোমিটার কেন
পৃথিবীর নানা অঞ্চলের ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য ডেটা বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ভূমিকম্পের অধিকাংশই প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছে। কোনো অঞ্চলের ভূকম্পনের গভীরতার নির্ভরতার হিসাব নিয়ে হিস্টোগ্রাম তৈরি করলে দেখা যাবে, ১০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ শিখরে থাকবে। সেকারণে গভীরতা জানা না থাকলে ১০ কিলোমিটারকে যুক্তিসঙ্গত গভীরতা হিসেবে দেখা হয়।
ইউএসজিএস আগে ৩৩ কিলোমিটারকে নির্ধারিত গভীরতা হিসেবে ধরত। কিন্তু আধুনিক গবেষণার তথ্য বলে, ১০ কিলোমিটারই বেশি বাস্তবসম্মত। তবে সাবডাকশন জোনসহ কিছু অঞ্চলে অনেক ভূমিকম্প ১০ কিলোমিটারেরও বহু গভীরে ঘটে। সেসব জায়গায় বাড়তি গভীরতা নির্ধারণ বেশি যৌক্তিক। সাবডাকশন জোন হলো এমন এলাকা, যেখানে পৃথিবীর দুটি টেকটোনিক প্লেট পরস্পরের সঙ্গে ধাক্কা খায় এবং একটি অন্যটির নিচে ঢুকে পড়ে বা নেমে যায়।
গভীরতা নির্ধারণের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো— ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি পর্যাপ্ত সিসমিক স্টেশন না থাকা। সাধারণ নিয়ম হলো— ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ভুলভাবে জানতে হলে উপকেন্দ্র থেকে নিকটতম সিসমিক স্টেশনের দূরত্ব ও ভূমিকম্পের গভীরতার চেয়ে কম হতে হবে।

আধুনিক কম্পিউটিং ও তাত্ত্বিক উন্নতির কারণে এখন অনেক ক্ষেত্রে দূরের স্টেশন থেকেও গভীরতা নির্ণয় করা সম্ভব। তবুও বাস্তব নিয়ম হচ্ছে— ভূমিকম্প পরিমাপে নির্ধারিত গভীরতা ধরার ঘটনা অগভীর ভূমিকম্পের বেশি ঘটে, গভীর ভূমিকম্পে নয়।
ইউএসজিএসের সাম্প্রতিক নির্দেশনা বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রচুর ছোট ও অগভীর ভূমিকম্পের নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ণয় করা যায় না। বিশেষ করে যখন নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু থেকে অনেক দূরে থাকে। তখন কম্পিউটার অ্যালগরিদম ডিফল্ট গভীরতা ১০ কিলোমিটার ধরে নেয়। অতীতে ৩৩ কিলোমিটার ব্যবহৃত হলেও গবেষণায় দেখায় গেছে, বেশিরভাগ অগভীর ভূমিকম্পের গড় গভীরতা ৮–১২ কিলোমিটার। সেই কারণে এখন ১০ কিলোমিটারকেই সাধারণ মান হিসেবে ধরা হয়।
কেন নির্ভরযোগ্য গভীরতা নির্ধারণ করা কঠিন
ভূমিকম্পের গভীরতা নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজন হয় অন্তত তিন দিক থেকে শক্তিশালী সিসমিক সিগনাল। সিসমোলজিস্ট বা ভূকম্পবিদদের অনুসৃত নীতি হচ্ছে, যদি নিকটতম সিসমিক স্টেশন ভূমিকম্পের প্রকৃত গভীরতার চেয়ে দূরে থাকে, তাহলে নির্ভরযোগ্য ফল পাওয়া কঠিন।
এ কারণে—
ছোট মাত্রার কম্পন হলে সিগনাল দুর্বল হয়।
দূরবর্তী স্টেশনগুলোতে কম্পন পৌঁছায় বিকৃতভাবে।
অ্যালগরিদম সঠিক গভীরতা গণনা করতে ব্যর্থ হয়।
ফলে অনেক ছোট বা স্থানীয় ভূমিকম্পে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১০ কিমি গভীরতা দেখা যায়।
ঢাকার মতো সিসমিক অবজার্ভেশন স্টেশন কম থাকা এলাকায় এই নির্ধারিত গভীরতা ঘন ঘন দেখা যায়।

তাহলে প্রকৃত ভূমিকম্পগুলো ১০ কিলোমিটার গভীরে?
সবসময় না। ভূমিকম্পের বাস্তব গভীরতা ০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে পৃথিবীর ভূত্বক সাধারণত ৫–৭০ কিমি পুরু, এবং তার মধ্যে ঘটে যাওয়া অধিকাংশ ভূমিকম্পই অগভীর ভূমিকম্প, যার গভীরতা সাধারণত ০–৭০ কিলোমিটার।
এর মধ্যে—
০–২০ কিমি → সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প
২০–৭০ কিমি → মাঝারি গভীরতার
৭০ কিমির বেশি → সাবডাকশন জোনে দুর্লভ গভীর ভূমিকম্প
অতএব, ১০ কিলোমিটার বাস্তবে একটি সাধারণ অগভীর সিসমিক স্তর হলেও, ডেটা শতভাগ নির্ভুল না হলে এটি অ্যালগরিদমিক অনুমানও হতে পারে।
অগভীর ভূমিকম্পের প্রভাব
যখন ভূমিকম্পের উৎসবিন্দু মাটির কাছাকাছি—মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে—তখন তার কম্পন খুব দ্রুত পৃষ্ঠে পৌঁছে।
এর ফলে—
১. ঝাঁকুনি বেশি তীব্র হয়। একই মাত্রার ভূমিকম্প যদি ১০ কিমিতে হয়, তার কাঁপুনি ৫০ কিমি গভীরতায় হওয়া ভূমিকম্পের তুলনায় অনেক বেশি অনুভূত হয়।
২. জনবহুল নগরীগুলো বেশি ঝুঁকিতে। ঢাকার মতো মেগাসিটিতে লাখো ভবন, ভরাট করা নরম মাটি, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ— সব মিলে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতি গুরুতর হতে পারে।
৩. লিকুইফ্যাকশন ও ফাটল বাড়ার আশঙ্কা। নরম পলিতে মাটি তরলসদৃশ হয়ে ভবনের ফাউন্ডেশন দুর্বল হতে পারে।
৪. দুর্বল ভবনে কাঠামোগত ক্ষতি। একই মাত্রার ভূমিকম্প বেশি গভীরতা হলে যেটি হয়তো টের পাওয়া যেত না, অগভীর হওয়ার কারণে তাতে দেয়াল ধস, প্লাস্টার খসে পড়া বা ফাটল দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর—
১. ম্যাগনিচ্যু ড (মাত্রা)
২. উপকেন্দ্র থেকে দূরত্ব
৩. ভবনের কাঠামোগত মান
গভীরতা তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাত্র।
অতএব ১০ কিলোমিটার গভীরতা মানেই ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু মাত্রা বেশি (৫.৫ বা তার বেশি) হলে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ নগরীতে অগভীর ভূমিকম্পে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৩৫ মিনিট আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল, যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাড়ছে শীতজনিত রোগও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
পঞ্চগড়ে টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকে সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, শীত পড়ার শুরু থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।
এদিকে নীলফামারীতে গতকাল সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। ভিড় বেড়েছে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় ঢাকা-সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করেছে কর্তৃপক্ষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দর রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের কম ছিল। তিনি আরও জানান, ফ্লাইট ওঠানামা করার জন্য ২ হাজার মিটার দৃষ্টিসীমার প্রয়োজন। এ কারণে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে নতুন সূচি অনুযায়ী বেলা ১১টায় ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। যা আগে সকাল ৮টায় দিনের প্রথম ফ্লাইট অবতরণ করত সৈয়দপুর বিমানবন্দরে।
জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া আছে। এটি শীতার্তদের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নীল রতন দেব বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাইবান্ধায় পৌষের শুরুতে হিমেল বাতাসের দাপটে দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সকাল হলেই কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। এর সঙ্গে বইছে মৃদু কিন্তু তীব্র শীতল বাতাস, যা মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে সকালের দিকে বাইরে বের হতে কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। সকালে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর থেকেই কাজে বের হতে হয় দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, কৃষিশ্রমিক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। ঠিক সেই সময়েই হিমেল বাতাসের তীব্রতায় শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। অনেকে পর্যাপ্ত গরম কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত অসুস্থতায় ভোগার আশঙ্কা করছে। গতকাল গাইবান্ধায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, কম্বল ক্রয়ের জন্য জেলার প্রত্যেক ইউএনওদের ৬ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কম্বল কিনে বিতরণ করছেন। এ ছাড়া মজুত কিছু কম্বলসহ গতকাল পর্যন্ত জেলায় ২২ হাজার ৬০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুরে এক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করেছে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৬ শতাংশ। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো প্রকৃতি। ফলে পৌরশহরে লোকসমাগম ছিল তুলনামূলক কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা মাঝে মাঝে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ অনুভূত হচ্ছে না। বিকেল থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর পরদিন সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকছে বেশি। বিশেষ করে রাতের তাপমাত্রা কম থাকছে।
জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, শীতার্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রথম পর্যায়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়ায় সেখান থেকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৯৫০টি কম্বল কিনে দুস্থ শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসন থেকে আরও ৩৪০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলোও বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেই টাকাসহ প্রথম পর্যায়ের অবশিষ্ট ৩ লাখ মোট ৬ লাখ টাকার কম্বল কিনে সেগুলো দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান অংশে একের পর এক সংঘর্ষে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশায় সামনে দেখতে না পারার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানগুলো পরস্পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। দুর্ঘটনার পর প্রায় আধা ঘণ্টা এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল ব্যাহত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ফের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
এক দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় ফের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে সোমবারও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বুধবার সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৬ এবং ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তিনি জানান, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং মাসের শেষের দিকে বা
নতুন বছরের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়।
২৩ নভেম্বর ২০২৫
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মিশরের কায়রো।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৫৪।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (৩০২), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৭৯), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬৭), কল্যাণপুর (২৬৬) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৯)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
অন্যদিকে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে কায়রো। শহরটির একিউআই স্কোর ৩৪৬। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি (২৬৪, খুব অস্বাস্থ্যকর), পাকিস্তানের করাচি (২০৬, খুব অস্বাস্থ্যকর) ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইরানের তেহরান (১৭১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়।
২৩ নভেম্বর ২০২৫
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৩৫ মিনিট আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার সামান্য কমেছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া সকালে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৮ মিনিটে।

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়।
২৩ নভেম্বর ২০২৫
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৩৫ মিনিট আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ সোমবার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২৩২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ২৭৪, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো মিশরের কায়রো (২৩৫), ভারতের কলকাতা (২১০) ও ভিয়েতনামের হ্যানয় (১৯১)।
আজ ঢাকার যেসব এলাকায় বায়ুদূষণ সবচেয়ে বেশি— গোড়ান, দক্ষিণ পল্লবী, ইস্টার্ন হাউজিং, কল্যাণপুর, বেজ এজওয়াটার আউটডোর, গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, শান্তা ফোরাম, পেয়ারাবাগ রেল লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম বিল্ডিং।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দুই দিনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে চারটি ভূমিকম্প হয়ে গেল। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পটি ১০ জনের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর ঘোড়াশালে। আর আজ সকাল ও সন্ধ্যায় তিন দফায় মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে, ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায়।
২৩ নভেম্বর ২০২৫
ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে থমকে যাচ্ছে স্বাভাবিক জীবন। সকাল গড়িয়ে গেলেও মিলছে না সূর্যের দেখা, কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সড়ক-মহাসড়ক। উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা।
৩৫ মিনিট আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বায়ুমান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় স্থানে রয়েছে
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগে