
দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
সোমবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই গাছগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। তাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ হিসেবে এরা পরিচিতি পেয়েছে।
গাছগুলো মেঘ এবং আন্দিজের গলিত হিমবাহ থেকে পানি শোষণ করে ধরে রাখে। এরপর ধীরে ধীরে তারা সেই পানি স্পঞ্জের মতো শৈবাল দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে প্রবাহিত করে পাহাড়ি ঝরনায় সরবরাহ করে। পরে এই এই পানি আমাজন নদীর উৎসে পৌঁছায়।
একসময় আন্দিজের বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত ছিল পলাইলিপিসের বন। কিন্তু শত শত বছরের বন নিধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সেখানে এখন মাত্র পাঁচ লাখ হেক্টর বাকি রয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রাচীন আমলে এখানে যে মূল বন ছিল সেই বনের এখন মাত্র ১ থেকে ১০ শতাংশ বাকি আছে।
পলাইলিপিসের বন ধ্বংসের ফলে বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এই বন এখন আর বন্যা ও ক্ষয়ের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে আর কাজ করছে না।
বর্তমানে আন্দিজের পাদদেশে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জল নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে।
এদিকে পূর্বপুরুষের ভূমি এবং সেখানে বসবাসকারী জনগণকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন পেরুর জীববিজ্ঞানী কনস্টান্টিনো আউকা চুতাস। তিনি আন্দিজ অঞ্চলের কেচুয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষক পরিবারের সন্তান।
সিএনএনকে চুতাস বলেন, ‘আমি একজন ইনকা বংশধর হতে পেরে গর্বিত। শিশু অবস্থায় আমি নদীর কাছাকাছি বড় হয়েছি। প্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। আমি ভেবেছিলাম, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অসাধারণ হবে।’
২০১৮ সালে আউকা চুতাস ‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ পেরুর এনজিও গ্লোবাল ফরেস্ট জেনারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ইকোসিস্টেমাস অ্যান্ডিনোসের যৌথ প্রচেষ্টায় চালু হয়। এর লক্ষ্য উচ্চভূমির বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করা।
এই প্রকল্প পেরুতে শুরু হলেও এখন ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি ও কলম্বিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন হেক্টর আন্দিজ বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা।
এখন পর্যন্ত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ মিলিয়নেরও বেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে একাত্ম হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী পরিবার এগিয়ে আসায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলেও জানান চুতাস। তিনি বলেন, ‘ইনকা সাম্রাজ্যের সময় প্রথমবার আমরা একত্র ছিলাম। দ্বিতীয়বার আমরা স্বাধীনতার জন্য একত্র হই। আর এবার, আমরা একত্র হয়েছি পলাইলিপিস নামে একটি গাছের জন্য।’
জানা গেছে, ১৫ ও ১৬ শতকে আন্দিজে শাসনকারী ইনকা সভ্যতা ‘পাচামামা’ বা ‘মাতৃভূমি’কে পূজা করত। আউকা চুতাস বলেন, প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ইনকা সংস্কৃতিতে অন্তর্নিহিত ছিল। ইনকা সংস্কৃতিতে নদী, পাহাড় এবং পরিবেশকে সম্মান করা হতো। তারা প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে জীবনযাপন করত। আমাদেরও এটি শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।’

‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ কেচুয়া সম্প্রদায়ের সহায়তায় স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করে। গাছ লাগানোর পর সেগুলো রক্ষার জন্য ফেন্সিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্থানীয় সম্প্রদায়কে চিকিৎসা সুবিধা, সৌরবিদ্যুৎ এবং জমির আইনি অধিকার নিশ্চিত করার মতো সহায়তাও দেওয়া হয়।
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে কমিউনিটি-নির্ভর সংরক্ষণের মডেল হিসেবে প্রশংসিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এটি প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২২ সালে উদ্যোক্তা আউকা চুতাস জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ উপাধি পান। তিনি বলেন, ‘মেঘের গাছগুলোর প্রাকৃতিক উপকারিতা বিশাল। এগুলো মাটি ক্ষয় প্রতিরোধ করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, যা জল নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখে।’

দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
সোমবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই গাছগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। তাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ হিসেবে এরা পরিচিতি পেয়েছে।
গাছগুলো মেঘ এবং আন্দিজের গলিত হিমবাহ থেকে পানি শোষণ করে ধরে রাখে। এরপর ধীরে ধীরে তারা সেই পানি স্পঞ্জের মতো শৈবাল দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে প্রবাহিত করে পাহাড়ি ঝরনায় সরবরাহ করে। পরে এই এই পানি আমাজন নদীর উৎসে পৌঁছায়।
একসময় আন্দিজের বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত ছিল পলাইলিপিসের বন। কিন্তু শত শত বছরের বন নিধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সেখানে এখন মাত্র পাঁচ লাখ হেক্টর বাকি রয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রাচীন আমলে এখানে যে মূল বন ছিল সেই বনের এখন মাত্র ১ থেকে ১০ শতাংশ বাকি আছে।
পলাইলিপিসের বন ধ্বংসের ফলে বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এই বন এখন আর বন্যা ও ক্ষয়ের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে আর কাজ করছে না।
বর্তমানে আন্দিজের পাদদেশে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জল নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে।
এদিকে পূর্বপুরুষের ভূমি এবং সেখানে বসবাসকারী জনগণকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন পেরুর জীববিজ্ঞানী কনস্টান্টিনো আউকা চুতাস। তিনি আন্দিজ অঞ্চলের কেচুয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষক পরিবারের সন্তান।
সিএনএনকে চুতাস বলেন, ‘আমি একজন ইনকা বংশধর হতে পেরে গর্বিত। শিশু অবস্থায় আমি নদীর কাছাকাছি বড় হয়েছি। প্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। আমি ভেবেছিলাম, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অসাধারণ হবে।’
২০১৮ সালে আউকা চুতাস ‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ পেরুর এনজিও গ্লোবাল ফরেস্ট জেনারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ইকোসিস্টেমাস অ্যান্ডিনোসের যৌথ প্রচেষ্টায় চালু হয়। এর লক্ষ্য উচ্চভূমির বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করা।
এই প্রকল্প পেরুতে শুরু হলেও এখন ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি ও কলম্বিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন হেক্টর আন্দিজ বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা।
এখন পর্যন্ত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ মিলিয়নেরও বেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে একাত্ম হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী পরিবার এগিয়ে আসায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলেও জানান চুতাস। তিনি বলেন, ‘ইনকা সাম্রাজ্যের সময় প্রথমবার আমরা একত্র ছিলাম। দ্বিতীয়বার আমরা স্বাধীনতার জন্য একত্র হই। আর এবার, আমরা একত্র হয়েছি পলাইলিপিস নামে একটি গাছের জন্য।’
জানা গেছে, ১৫ ও ১৬ শতকে আন্দিজে শাসনকারী ইনকা সভ্যতা ‘পাচামামা’ বা ‘মাতৃভূমি’কে পূজা করত। আউকা চুতাস বলেন, প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ইনকা সংস্কৃতিতে অন্তর্নিহিত ছিল। ইনকা সংস্কৃতিতে নদী, পাহাড় এবং পরিবেশকে সম্মান করা হতো। তারা প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে জীবনযাপন করত। আমাদেরও এটি শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।’

‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ কেচুয়া সম্প্রদায়ের সহায়তায় স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করে। গাছ লাগানোর পর সেগুলো রক্ষার জন্য ফেন্সিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্থানীয় সম্প্রদায়কে চিকিৎসা সুবিধা, সৌরবিদ্যুৎ এবং জমির আইনি অধিকার নিশ্চিত করার মতো সহায়তাও দেওয়া হয়।
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে কমিউনিটি-নির্ভর সংরক্ষণের মডেল হিসেবে প্রশংসিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এটি প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২২ সালে উদ্যোক্তা আউকা চুতাস জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ উপাধি পান। তিনি বলেন, ‘মেঘের গাছগুলোর প্রাকৃতিক উপকারিতা বিশাল। এগুলো মাটি ক্ষয় প্রতিরোধ করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, যা জল নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখে।’

দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
সোমবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই গাছগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। তাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ হিসেবে এরা পরিচিতি পেয়েছে।
গাছগুলো মেঘ এবং আন্দিজের গলিত হিমবাহ থেকে পানি শোষণ করে ধরে রাখে। এরপর ধীরে ধীরে তারা সেই পানি স্পঞ্জের মতো শৈবাল দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে প্রবাহিত করে পাহাড়ি ঝরনায় সরবরাহ করে। পরে এই এই পানি আমাজন নদীর উৎসে পৌঁছায়।
একসময় আন্দিজের বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত ছিল পলাইলিপিসের বন। কিন্তু শত শত বছরের বন নিধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সেখানে এখন মাত্র পাঁচ লাখ হেক্টর বাকি রয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রাচীন আমলে এখানে যে মূল বন ছিল সেই বনের এখন মাত্র ১ থেকে ১০ শতাংশ বাকি আছে।
পলাইলিপিসের বন ধ্বংসের ফলে বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এই বন এখন আর বন্যা ও ক্ষয়ের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে আর কাজ করছে না।
বর্তমানে আন্দিজের পাদদেশে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জল নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে।
এদিকে পূর্বপুরুষের ভূমি এবং সেখানে বসবাসকারী জনগণকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন পেরুর জীববিজ্ঞানী কনস্টান্টিনো আউকা চুতাস। তিনি আন্দিজ অঞ্চলের কেচুয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষক পরিবারের সন্তান।
সিএনএনকে চুতাস বলেন, ‘আমি একজন ইনকা বংশধর হতে পেরে গর্বিত। শিশু অবস্থায় আমি নদীর কাছাকাছি বড় হয়েছি। প্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। আমি ভেবেছিলাম, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অসাধারণ হবে।’
২০১৮ সালে আউকা চুতাস ‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ পেরুর এনজিও গ্লোবাল ফরেস্ট জেনারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ইকোসিস্টেমাস অ্যান্ডিনোসের যৌথ প্রচেষ্টায় চালু হয়। এর লক্ষ্য উচ্চভূমির বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করা।
এই প্রকল্প পেরুতে শুরু হলেও এখন ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি ও কলম্বিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন হেক্টর আন্দিজ বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা।
এখন পর্যন্ত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ মিলিয়নেরও বেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে একাত্ম হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী পরিবার এগিয়ে আসায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলেও জানান চুতাস। তিনি বলেন, ‘ইনকা সাম্রাজ্যের সময় প্রথমবার আমরা একত্র ছিলাম। দ্বিতীয়বার আমরা স্বাধীনতার জন্য একত্র হই। আর এবার, আমরা একত্র হয়েছি পলাইলিপিস নামে একটি গাছের জন্য।’
জানা গেছে, ১৫ ও ১৬ শতকে আন্দিজে শাসনকারী ইনকা সভ্যতা ‘পাচামামা’ বা ‘মাতৃভূমি’কে পূজা করত। আউকা চুতাস বলেন, প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ইনকা সংস্কৃতিতে অন্তর্নিহিত ছিল। ইনকা সংস্কৃতিতে নদী, পাহাড় এবং পরিবেশকে সম্মান করা হতো। তারা প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে জীবনযাপন করত। আমাদেরও এটি শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।’

‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ কেচুয়া সম্প্রদায়ের সহায়তায় স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করে। গাছ লাগানোর পর সেগুলো রক্ষার জন্য ফেন্সিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্থানীয় সম্প্রদায়কে চিকিৎসা সুবিধা, সৌরবিদ্যুৎ এবং জমির আইনি অধিকার নিশ্চিত করার মতো সহায়তাও দেওয়া হয়।
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে কমিউনিটি-নির্ভর সংরক্ষণের মডেল হিসেবে প্রশংসিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এটি প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২২ সালে উদ্যোক্তা আউকা চুতাস জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ উপাধি পান। তিনি বলেন, ‘মেঘের গাছগুলোর প্রাকৃতিক উপকারিতা বিশাল। এগুলো মাটি ক্ষয় প্রতিরোধ করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, যা জল নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখে।’

দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
সোমবার সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই গাছগুলো সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় বৃদ্ধি পায়। তাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ উচ্চতার গাছ হিসেবে এরা পরিচিতি পেয়েছে।
গাছগুলো মেঘ এবং আন্দিজের গলিত হিমবাহ থেকে পানি শোষণ করে ধরে রাখে। এরপর ধীরে ধীরে তারা সেই পানি স্পঞ্জের মতো শৈবাল দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে প্রবাহিত করে পাহাড়ি ঝরনায় সরবরাহ করে। পরে এই এই পানি আমাজন নদীর উৎসে পৌঁছায়।
একসময় আন্দিজের বিশাল অংশজুড়ে বিস্তৃত ছিল পলাইলিপিসের বন। কিন্তু শত শত বছরের বন নিধন ও উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে সেখানে এখন মাত্র পাঁচ লাখ হেক্টর বাকি রয়েছে। ধারণা করা হয়, প্রাচীন আমলে এখানে যে মূল বন ছিল সেই বনের এখন মাত্র ১ থেকে ১০ শতাংশ বাকি আছে।
পলাইলিপিসের বন ধ্বংসের ফলে বাস্তুতন্ত্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, এই বন এখন আর বন্যা ও ক্ষয়ের প্রাকৃতিক প্রতিরোধক হিসেবে আর কাজ করছে না।
বর্তমানে আন্দিজের পাদদেশে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষের জল নিরাপত্তা এখন ঝুঁকিতে।
এদিকে পূর্বপুরুষের ভূমি এবং সেখানে বসবাসকারী জনগণকে রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন পেরুর জীববিজ্ঞানী কনস্টান্টিনো আউকা চুতাস। তিনি আন্দিজ অঞ্চলের কেচুয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের কৃষক পরিবারের সন্তান।
সিএনএনকে চুতাস বলেন, ‘আমি একজন ইনকা বংশধর হতে পেরে গর্বিত। শিশু অবস্থায় আমি নদীর কাছাকাছি বড় হয়েছি। প্রাণী এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছি। আমি ভেবেছিলাম, এটি নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে অসাধারণ হবে।’
২০১৮ সালে আউকা চুতাস ‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই উদ্যোগ পেরুর এনজিও গ্লোবাল ফরেস্ট জেনারেশন এবং অ্যাসোসিয়েশন ইকোসিস্টেমাস অ্যান্ডিনোসের যৌথ প্রচেষ্টায় চালু হয়। এর লক্ষ্য উচ্চভূমির বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করা।
এই প্রকল্প পেরুতে শুরু হলেও এখন ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, চিলি ও কলম্বিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ২০৪৫ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন হেক্টর আন্দিজ বন সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা।
এখন পর্যন্ত, এই উদ্যোগের মাধ্যমে ১০ মিলিয়নেরও বেশি গাছ রোপণ করা হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে একাত্ম হয়ে হাজার হাজার আদিবাসী পরিবার এগিয়ে আসায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলেও জানান চুতাস। তিনি বলেন, ‘ইনকা সাম্রাজ্যের সময় প্রথমবার আমরা একত্র ছিলাম। দ্বিতীয়বার আমরা স্বাধীনতার জন্য একত্র হই। আর এবার, আমরা একত্র হয়েছি পলাইলিপিস নামে একটি গাছের জন্য।’
জানা গেছে, ১৫ ও ১৬ শতকে আন্দিজে শাসনকারী ইনকা সভ্যতা ‘পাচামামা’ বা ‘মাতৃভূমি’কে পূজা করত। আউকা চুতাস বলেন, প্রকৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ইনকা সংস্কৃতিতে অন্তর্নিহিত ছিল। ইনকা সংস্কৃতিতে নদী, পাহাড় এবং পরিবেশকে সম্মান করা হতো। তারা প্রকৃতির সঙ্গে ভারসাম্য রেখে জীবনযাপন করত। আমাদেরও এটি শিখতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।’

‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ কেচুয়া সম্প্রদায়ের সহায়তায় স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণ করে। গাছ লাগানোর পর সেগুলো রক্ষার জন্য ফেন্সিং এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্থানীয় সম্প্রদায়কে চিকিৎসা সুবিধা, সৌরবিদ্যুৎ এবং জমির আইনি অধিকার নিশ্চিত করার মতো সহায়তাও দেওয়া হয়।
‘অ্যাকসিয়ন আন্দিনা’ উদ্যোগটি বিশ্বজুড়ে কমিউনিটি-নির্ভর সংরক্ষণের মডেল হিসেবে প্রশংসিত করা হয়েছে। ২০২৪ সালে এটি প্রিন্স উইলিয়ামের আর্থশট পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২২ সালে উদ্যোক্তা আউকা চুতাস জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ উপাধি পান। তিনি বলেন, ‘মেঘের গাছগুলোর প্রাকৃতিক উপকারিতা বিশাল। এগুলো মাটি ক্ষয় প্রতিরোধ করে, আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে, যা জল নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখে।’

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২৫ মিনিট আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ রোববার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। চলতে পারে ঘন কুয়াশার ভোগান্তিও। তবে কয়েক দিন পরই নতুন বছরের শুরুতে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক জানিয়েছেন, গতকাল সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামা মানে রীতিমতো হাড়কাঁপানো শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সোমবারসহ আগামী চার দিন সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদর অব্যাহত থাকতে পারে।
লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সংস্থাটির এক বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়।
কুয়াশার কারণে সড়ক ও নৌযোগাযোগের পাশাপাশি বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার প্রভাবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গতকালও ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট দেরিতে অবতরণ ও উড্ডয়ন করে। তবে কাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট অন্যত্র পাঠানো হয়নি।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ গতকাল দুপুরের দিকে বলেন, ‘ভোরে রানওয়ের দৃশ্যমানতা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। তবে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হয়। ফ্লাইট অপারেশন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরেছে’।
বাগেরহাটে বৃদ্ধের মৃত্যু
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শীতের তীব্রতায় অসুস্থ হয়ে বৈদ্যনাথ মণ্ডল (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। বৈদ্যনাথ চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামের মুকুন্দলাল মণ্ডলের ছেলে।
এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও হাঁপানিতে আক্রান্ত হয়ে গত চার দিনে মোট ৫৫০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
উত্তরে জীবন বিপর্যস্ত
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কুয়াশার জন্য মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। হিমালয়ের পাদদেশের কাছাকাছি হওয়ায় বরাবরই উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সে অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান, গত দুই দিনে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন ১৩ এবং সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার ও গতকাল দুপুর ১২টার আগে বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি।
দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে গতকাল সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, এটি চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সকাল ৬টা থেকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থির ছিল। এটি চলতি মৌসুমে এখানকার সর্বনিম্ন।’

দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
১১ ডিসেম্বর ২০২৪
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ রোববার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্য পৌষে এসে সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসেছে। গতকালের তুলনায় আজ রোববার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এর সঙ্গে পড়বে ঘন কুয়াশা।
আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সকালে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, রংপুর, বরিশালে ১৩; ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, সিলেটে ১৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২৯ ডিসেম্বরও পরিস্থিতির পরিবর্তন তেমন হবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিন রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

মধ্য পৌষে এসে সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসেছে। গতকালের তুলনায় আজ রোববার তাপমাত্রা সামান্য বেড়েছে। তবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। এর সঙ্গে পড়বে ঘন কুয়াশা।
আজ বেলা ১১টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৬টায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলের নিকলীতে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ছিল ১৪ দশমিক ৩।
বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সকালে তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী, রংপুর, বরিশালে ১৩; ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৩, সিলেটে ১৪ দশমিক ৮, চট্টগ্রামে ১৬, খুলনায় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারা দেশে আজ রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া আজ ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২৯ ডিসেম্বরও পরিস্থিতির পরিবর্তন তেমন হবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। তবে নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এদিন রাতে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের বেলা তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
১১ ডিসেম্বর ২০২৪
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২৫ মিনিট আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ রোববার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ রোববার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২১৬, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪২৪, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো আফগানিস্তানের কাবুল (২৪৩), ভারতের কলকাতা (২১৪) ও পাকিস্তানের লাহোর (২০২)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ রোববার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তালিকায় দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ ঢাকা তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২১৬, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেস্ক স্কোর ৪২৪, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো আফগানিস্তানের কাবুল (২৪৩), ভারতের কলকাতা (২১৪) ও পাকিস্তানের লাহোর (২০২)।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
ঢাকার নিম্নমানের বাতাসের প্রধান কারণ হলো পিএম ২.৫ বা সূক্ষ্ম কণা। এই অতিক্ষুদ্র কণাগুলো, যাদের ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটারের চেয়েও কম, ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে রক্তপ্রবাহে মিশে যেতে পারে। এর ফলে হাঁপানি (অ্যাজমা) বৃদ্ধি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হৃদ্রোগের মতো শ্বাসযন্ত্র ও হৃদ্যন্ত্রের গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।
শীতকালীন আবহাওয়ার ধরন, যানবাহন ও শিল্প থেকে অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন, চলমান নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট ধুলো এবং আশপাশের ইটভাটাগুলো এই দূষণ সংকটের জন্য দায়ী।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
১১ ডিসেম্বর ২০২৪
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২৫ মিনিট আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আজ রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, যা গতকাল একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৫।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আজ রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, যা গতকাল একই সময়ে ছিল ১৩ দশমিক ৫।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২০ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

দক্ষিণ আমেরিকায় আন্দিজ পর্বতমালার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে শুধু চশমাধারী ভাল্লুক, পুমা এবং আন্দিয়ান শকুনই নয়—এখানকার বনগুলোতেই রয়েছে কম পরিচিত কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পলাইলিপিসগাছ। এই গাছগুলোর অন্য নাম মেঘের গাছ।
১১ ডিসেম্বর ২০২৪
আবহাওয়া দপ্তরের ভাষায় ‘শৈত্যপ্রবাহ’ না চললেও গতকাল রোববার টানা তৃতীয় দিনের মতো সারা দেশ তীব্র শীতে কাবু ছিল। বরং ঠান্ডার কামড়ের জোর আরও কিছুটা বেড়েছে। উত্তরবঙ্গসহ দেশের অনেক এলাকাতেই ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত।
২৫ মিনিট আগে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও আবার দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
শীতের মৌসুমে বাতাস থাকে শুষ্ক। বেড়ে যায় ধূলিকণার পরিমাণ। আর এ কারণে বায়ুদূষণও বাড়তে থাকে। আজ রোববার ঢাকার বায়ুমানের অবনতি হয়ে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় আছে।
১৫ ঘণ্টা আগে