ইশতিয়াক হাসান

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
গতকাল সোমবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রধানত থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪১ মিনিটে।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে।
এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তবে আগামীকাল বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আর শুক্রবার অপরিবর্তিত থাকতে পারে তাপমাত্রা।
টানা তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে এবার বোরো বীজতলাসহ ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। দেশের বিভিন্ন জেলায় বর্তমানে বোরো বীজতলা তৈরির মৌসুম চললেও কম তাপমাত্রা ও সূর্যের আলো না থাকায় অনেক এলাকায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা চেষ্টা চালালেও কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
গত রোববারের মতো গতকালও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। এদিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আক্তারুজ্জামান ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীতে আগের দুই দিনের মতো গতকালও সারা দিনে সূর্যের দেখা পায়নি মানুষ। গতকাল সকাল ৬টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে সন্ধ্যার পর বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে শিশির। এতে ভয়ানক কষ্টের মধ্যে পড়েছে ছিন্নমূল মানুষ।
ঘন কুয়াশা আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন।
সারা দেশে গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রভাব পড়েছে ফসলি জমিসহ বোরো বীজতলায়। কৃষি বিভাগ ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র শীত ও কুয়াশার কারণে সৃষ্ট ‘কোল্ড ইনজুরি’-তে নাবি বীজতলার চারা পচে যাচ্ছে। এতে চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চারার সংকটের আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
নওগাঁর মান্দা উপজেলা, যশোরের শার্শা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, রংপুর জেলার আট উপজেলা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন।
ঘন কুয়াশা ও হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। টানা তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় শিশির বৃষ্টির মতো ঝরছে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, কোল্ড ইনজুরি থেকে রক্ষার জন্য কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন। যেসব বীজতলা ঢেকে রাখা হয়নি, সেগুলোর চারা হলুদ ও বিবর্ণ হয়ে গেছে।
মান্দার নাড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে তৈরি করা বীজতলায় সবে চারা উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে সূর্যের আলো না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। পরিস্থিতি এভাবে চললে পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে দিতে হবে, এতে বাড়তি খরচ পড়বে।’
মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরূপ আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে রোপণের সময় চারার সংকট দেখা দিতে পারে। এ কারণে কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের অধিকাংশ সময় সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এতে হাটবাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কমে গেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার ভ্যানচালকেরা।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময় চলছে। সামনের দিনগুলোতে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। চলতি মাসেই এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সোমবার বহির্বিভাগে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত ৩৫৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মাঘ মাস আসতে এখনো অনেক বাকি। আজ সোমবার কেবল ১৪ পৌষ। তবে এখনই হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে দেশজুড়ে। আজ সকাল ৬টায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রাতে সারা দেশেই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আজ সকাল ৯টা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকালে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৪, রংপুরে ১৩, ময়মনসিংহে ১৩ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ৭ এবং খুলনা ও বরিশালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার কারণে দেশজুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্ন হতে পারে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
এ ছাড়া সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় শীত যেন আরও জেঁকে বসেছে। গতকাল রোববার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, আজ সোমবার একই সময়ে সেটি কমে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ ঢাকায় তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আজ সূর্যাস্ত ৫টা ২১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৪০ মিনিটে।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সারা দেশসহ রাজধানী ঢাকায় আজও রয়েছে শীতের দাপট। হাড়কাঁপানো এই শীতের সঙ্গে পড়েছে ঘন কুয়াশা। দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার সারা দিন এমন আবহাওয়াই থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তিন দিন ধরে সূর্যের যেন দেখা নেই। কনকনে শীতে কাবু মানুষ। আর ঘন কুয়াশায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগ বেশ ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ মঙ্গলবার সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় শীতের অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
১ দিন আগে