ইশতিয়াক হাসান

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।
ইশতিয়াক হাসান

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি, ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প্রজাতিগুলোর একটি বা দুটিই বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘স্প্রিঞ্জার নেচার’-এর ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব প্রাইমেটোলজিতে।
২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চালানো হয় গবেষণাটি। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের বাংলাদেশি পিএইচডি শিক্ষার্থী এবং আইইউসিএন প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য তানভীর আহমেদ। মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন বনে হনুমানের ৯৮টি দলের ওপর জরিপ চালান তাঁরা। এ সময় আটটি মিশ্র দলের খোঁজ পান। অর্থাৎ, এগুলোতে চাশমাপরা ও মুখপোড়া দুই জাতের হনুমানই ছিল। এদের মধ্যে তিনটি দলের কয়েকটি প্রাণীর চেহারায় দুই প্রজাতির প্রাণীর মিশ্রণ লক্ষ করেন। কিন্তু সংকরায়ণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিনগত পরীক্ষা জরুরি।
গবেষকেরা তিনটি মিশ্র দলের তিনটি সম্ভাব্য সংকর হনুমানকে চিহ্নিত করেন। এটা করা হয় চেহারা, অর্থাৎ শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখে। এদের দুটি ছিল হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে এবং একটি রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। সম্ভাব্য সংকরগুলোর মধ্যে একটি পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হনুমান। গবেষকেরা বুঝতে পারেন, এর একসময় বাচ্চাও ছিল এবং বাচ্চাকে নিয়মিত দুধ পান করাত। বাকি দুটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সংকরায়ণের বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগৃহীত মলের নমুনার জিনগত পরীক্ষা করা হয় জার্মানির জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষণাগারে। আর এতেই একটি সংকর হনুমানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলে। ২০২৩ সালে সাতছড়ির একটি মিশ্র দলে জন্মানো এই সংকর হনুমান শিশুর বাবা চশমাপরা হনুমান এবং মা মুখপোড়া হনুমান। এদিকে সংকর বলে অনুমান করা ওই স্ত্রী হনুমানটির আবিষ্কার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত স্ত্রী সংকর হনুমান বাচ্চাদানেও সক্ষম।
জার্মান প্রাইমেট সেন্টারের গবেষকেরা ছাড়াও ১৫ সদস্যের এই গবেষক দলে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবির বিন মুজাফফার, ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের প্রধান গবেষক মো. সাবিত হাসান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, স্থানীয় ইকোগাইড ও বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী। বাংলাদেশ বন বিভাগের অনুমতিতে মাঠ পর্যায়ে গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত।
আইইউসিএন লাল তালিকায় চশমাপরা হনুমান বিশ্বব্যাপী বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। এদের বিস্তৃতি বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে মিয়ানমারের ইরাবতী নদী পর্যন্ত।
এদিকে মুখপোড়া হনুমান বিশ্বব্যাপী সংকটাপন্ন এবং বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকাভুক্ত প্রাণী। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ভুটান, মিয়ানমার ও চীনের সামান্য কিছু অঞ্চলে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু পাহাড়ি বনে এ দুই হনুমান প্রজাতির বসবাস। এ ছাড়া মধুপুরের পাতাঝরা বনেও মুখপোড়া হনুমান আছে। বনের লতাপাতা, ফুল-ফল, কীটপতঙ্গ এদের প্রধান খাবার। খাবার গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে মলের মাধ্যমে বিভিন্ন ফলের বীজ বনে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে হনুমান। অর্থাৎ বনের বিস্তারে ভূমিকা রাখে হনুমান।
গবেষকেরা সিলেট বিভাগের লাউয়াছড়া, সাতছড়ি, রেমা-কালেঙ্গা, রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনে হনুমানের এসব দলের ওপর জরিপ করেন। মিশ্র প্রজাতির হনুমানের দলগুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয় প্রায় চার বছর ধরে।
তানভীর আহমেদ গবেষণার পটভূমি তুলে ধরে জানান, ১৯৯৭-৯৮ সালে চুনারুঘাটের রেমা-কালেঙ্গা বনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুল কবির পিএইচডি গবেষণার সময় প্রথম চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের দুটি অস্থায়ী মিশ্র প্রজাতির দলের খোঁজ পান। তবে সেগুলোতে কোনো সংকরের উপস্থিতি ছিল না। প্রায় দুই দশক পর ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে একটি সম্ভাব্য সংকর হনুমান দেখে বিস্মিত হন তাঁরা। এর আগে এ দুই প্রজাতির হনুমান মিলে সংকর হনুমান জন্মানোর কোনো বৈজ্ঞানিক ইতিহাস নেই বলেও জানান তিনি।
তানভীর আহমেদ বলেন, গবেষণায় দেখা যায় লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান এবং রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে হনুমানের ঘনত্ব রাজকান্দি, পাথারিয়া ও অতোরা সংরক্ষিত বনের তুলনায় অনেক বেশি। তবে দেশের সুরক্ষিত বনগুলো আকারে ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। ফলে প্রাণীগুলো ক্রমেই নির্দিষ্ট অঞ্চলে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে এবং জিনগত আদান-প্রদানের সুযোগ কমে যাচ্ছে।
গবেষণাপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাইমেটদের মধ্যে সংকরায়ণের ঘটনা একেবারেই কম। এ ধরনের দুটি প্রজাতির বিচরণের এলাকা একই হয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটতে পারে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড যেমন বন উজাড়, বনগুলোর মধ্যে সংযোগ নষ্ট, শিকার এবং ফাঁদে ফেলে বন্যপ্রাণী ধরা এদের সংখ্যা কমানোয় ভূমিকা রাখে। এতে এ ধরনের সংকরায়ণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘প্রজনন সক্ষম সংকরের অস্তিত্ব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক। কারণ দুটি বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে জিন প্রবাহ তাদের ভবিষ্যতের জেনেটিক গঠনকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা দেয়।’
এদিকে গবেষক দলের উপদেষ্টা ক্রিস্টিয়ান রোস বলেন, ‘এটি শুধু স্থানীয় সমস্যা নয়। আবাসস্থল ধ্বংস হলে, প্রাণীরা প্রকৃতির নিয়মের বাইরে গিয়ে মিশে যায় এবং মিশ্র দল গঠন করে। এতে সংকরায়ণ ঘটতে পারে। এটি এমনকি একটি বা উভয় প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটাতে পারে।’
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে ভালোভাবে সংরক্ষিত বনে সংরক্ষণে কম মনোযোগ দেওয়া বনের তুলনায় হনুমানের সংখ্যার ঘনত্ব বেশি। তবে এই বনগুলো বেশির ভাগই ছোট এবং একটি আরেকটি থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রজাতিগুলোর দীর্ঘমেয়াদি বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার তুলনায় খণ্ড ভণ্ড বন এগুলো।
‘বন সংরক্ষণ একটি জাতীয় অগ্রাধিকার হতে হবে। আমরা যদি এখনই ব্যবস্থা না নিই, তাহলে শুধু দুটি বানরের প্রজাতিই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও হারাতে পারি।’ বলেন তানভীর আহমেদ।
গবেষণার সহলেখক ডিটমার জিনার গোটা বিষয়টির সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘এই গবেষণা আমাদের জাগিয়ে তোলার একটি বার্তা। কার্যকর দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ কৌশল বিকাশের জন্য আরও তথ্য প্রয়োজন। আরও গবেষণা আমাদের সংকরায়ণের মাত্রা, মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব এবং কীভাবে এর সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো প্রতিরোধ করা যায় তা বুঝতে সাহায্য করবে।’
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশ, অর্থাৎ সিলেট বিভাগে এখন ৫০০-এর কম চশমাপরা হনুমান এবং ৬০০ মুখপোড়া হনুমান আছে। অর্থাৎ, এই প্রজাতি রক্ষার সময় দ্রুতই ফুরিয়ে আসছে।
বেশির ভাগ হনুমানের আবাস্থল মানবসৃষ্ট। কারণ যেমন বনের জমি দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষিকাজ, কাঠের জন্য উদ্ভিদের চাষাবাদ, গাছ চুরি, অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কারণে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে। তা ছাড়া বন্যপ্রাণীর অবৈধ শিকার-বাণিজ্য, বিদ্যুতায়িত হওয়া ও গাড়িচাপায় মারা যাওয়াসহ নানা কারণে হনুমানের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
এদের বেঁচে থাকা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করছে বলেও জানানো হয় গবেষণাপত্রে। এর মধ্যে রয়েছে বন সংরক্ষণ এবং খণ্ড বনগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য করিডর তৈরি করা।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।
আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সিএনএন জানিয়েছে, সাধারণত আধুনিক জলবায়ু বিশ্লেষণে ১৮৫০ সালের তাপমাত্রাকে ‘প্রাক-শিল্পযুগ’ বা শিল্পযুগ শুরুর আগের তাপমাত্রা হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসেব অনুযায়ী, বিশ্ব এখন প্রাক শিল্প যুগের আগের তুলনায় প্রায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিন্তু ‘গ্লোসেট’ (GloSAT) নামে নতুন ডেটা-সেট প্রাক-শিল্পযুগের তাপমাত্রার হিসেবটিকে নিয়ে গেছে আরও পেছনে, ১৭৮১ সাল পর্যন্ত। গবেষকদের মতে, এই বাড়তি সময়কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যেই বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ২.৫ শতাংশ বেড়েছিল, যা ওই সময়ের মধ্যেও কিছুটা উষ্ণতা বাড়িয়েছিল।
গ্লোসেট ডেটা দেখাচ্ছে—১৮ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮৪৯ সাল পর্যন্ত পৃথিবী ১৮৫০–১৯০০ সময়কালের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ঠান্ডা ছিল। ফলে সেই সময়ের বিপরীতে বর্তমান উষ্ণতা হিসেব করতে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও বেশি মাত্রায় ঘটেছে। তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলছেন, প্রাক শিল্প যুগে যে উষ্ণতাটুকু বেড়েছিল, তার সবটাই মানুষের কারণে নয়। ১৮০০ সালের শুরুর দিকে তাম্বোরা সহ একাধিক বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত পৃথিবীকে সাময়িকভাবে ঠান্ডা করে দিয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই শীতলতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া বিরাজ করেছে, সেটিও উষ্ণতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্যানেল (আইপিসিসি) আগেই জানিয়েছিল, ১৭৫০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যে মানুষের কারণে উষ্ণতা বেড়েছিল ০ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। নতুন গবেষণাগুলো সেই সীমার মাঝামাঝি অবস্থান করছে—প্রায় ০.০৯ থেকে ০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই গবেষণার বড় দিক হলো—পুরোনো তাপমাত্রা রেকর্ড। ইউরোপের বিভিন্ন শহর যেমন, সুইডেনের উপসালা, জার্মানির হোহেনপাইসেনবার্গের মতো স্থানে শত শত বছর ধরে সংরক্ষিত তথ্য এবং ১৮ শতকের জাহাজযাত্রার সময় নথিভুক্ত সামুদ্রিক বায়ুর তাপমাত্রা একত্র করে তৈরি হয়েছে এই বৈশ্বিক চিত্র। যদিও প্রাচীন তথ্যগুলো অসম্পূর্ণ এবং অনিশ্চয়তা বেশি, তবু বিজ্ঞানীদের মতে একটি বিষয় স্পষ্ট—পৃথিবী তখন আরও ঠান্ডা ছিল।
তাহলে এর অর্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন তথ্যের প্রেক্ষাপটে প্যারিস চুক্তির মতো বর্তমান জলবায়ু লক্ষ্যগুলো অর্থাৎ প্রাক শিল্প যুগের তুলনায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করে রাখার নৈতিক সিদ্ধান্ত অকার্যকর হয়ে যায় না। এই উপলব্ধি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি বোঝা ও মোকাবিলায় আরও সতর্ক হওয়ার বার্তাই দিচ্ছে।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

অগ্রহায়ণের শেষ দিন আজ। বাতাসে শীতের আমেজ। তবে শীতল আবহাওয়া নিয়ে আসা শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ঢাকার বাতাসে বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা। বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকার অবস্থান ৮ম।
আজ সকাল ৮টা ৪৩ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৫৮, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। শহরটির বায়ুমান ৩৪৬, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— পাকিস্তানের করাচি, কুয়েতের কুয়েত সিটি, মিশরের কায়রো ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২০১, ১৮৯, ১৮৯ ও ১৮১।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

যত দিন যাচ্ছে, বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। ঝুঁকিতে পড়ছে বন্যপ্রাণী। আর এটা ঘটছে আমাদের মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। এর নতুন একটি প্রমাণ মিলেছে সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে। সেখানে চশমাপরা হনুমান ও মুখপোড়া হনুমানের মিশ্র প্রজাতির দলের পাশাপাশি শনাক্ত হয়েছে সংকর হনুমান। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে প
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।
১ দিন আগে
পৃথিবী ঠিক কতটা উষ্ণ হয়ে উঠেছে—এই প্রশ্নের উত্তর নতুন এক বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার সামনে এনে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একদল বিজ্ঞানীর প্রকাশিত নতুন তাপমাত্রা ডেটা-সেট দেখাচ্ছে—শিল্পবিপ্লব শুরুর আগের তুলনায় পৃথিবীর উষ্ণতা হয়তো আমরা এত দিন যতটুকু ভেবেছি, তার চেয়েও বেশি বেড়েছে।
১ দিন আগে