Ajker Patrika

মাত্র ১৯ কিলোমিটারের ব্যবধানে ঢাকার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেশি যে কারণে

সৌগত বসু, ঢাকা
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০: ৪৬
মাত্র ১৯ কিলোমিটারের ব্যবধানে ঢাকার তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেশি যে কারণে

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল। 

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন। 

শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর গাছপালা আর জলাভূমির কারণে প্রচণ্ড গরমেও মেলে স্বস্তি। ছবি: সংগৃহীততিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’ 

গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’ 

কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক। ছবি: সংগৃহীতঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।

২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ। 

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জিমনেশিয়ামে যাওয়ার রাস্তা। ছবি: সংগৃহীতঅধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে। 

এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। 
 
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বেশ কিছুদিন ধরে দিল্লির বাতাসের অবস্থা দুর্যোগপূর্ণ। আজ বৃহস্পতিবার দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে শহরটি। অন্যদিকে ঢাকার বায়ুমান আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে সপ্তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ১৯০। যা নির্দেশ করে ঢাকার বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

ঢাকার বেশ কিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— কল্যাণপুর (২৬০), দক্ষিণ পল্লবী (২৫৬), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (১৯৬), গোড়ান (১৯৬) ও বেচারাম দেউরি (১৯০)।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। শহরটির একিউআই স্কোর ৩১০। যা এই শহরের বাতাসকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর (২৭০, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার সারাজেভ (২২৭, খুব অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (২০১, খুব অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো (১৯৪, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

পৌষ মাসের তৃতীয় দিন আজ। শীতের মৌসুম চলে এলেও রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আজ বৃহস্পতিবার সকালের আবহাওয়া বুলেটিনে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সকালে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৫ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৬ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় আজ সকালে তাপমাত্রা ১৬.৬

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ২৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকায় আকাশ আজ বুধবার ভোর থেকে ছিল হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন। তবে হাড়কাঁপানো শীত পড়েনি।

আজ সারা দিন ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১৬ দশমিক ৬। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮০ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মহান বিজয় দিবসের ছুটির দিনে আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অনুভূত হচ্ছে হালকা শীত। তাপমাত্রাও গতকালের মতো রয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল সোমবার ছিল ১৭ দশমিক ১। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৯ শতাংশ।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকাল ৭টায় পরবর্তী ছয় ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্ত ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৩৫ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত