
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হচ্ছে।
গবেষণাটি করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান মনির, সুবরণ চন্দ্র সরকার, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের গবেষক (সিইজিআইএস) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মো. নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত ‘পানি-সংকটপূর্ণ ও খরাপ্রবণ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আঞ্চলিক ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহপথের পরিবর্তনের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন’—শীর্ষক গবেষণার উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে পানি সংকটাপন্ন ও খরাপ্রবণ উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তন ও প্রবাহগতির বিরূপ প্রভাব মূল্যায়ন করা। ভৌগোলিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ডার্সি প্রবাহ মডেল একত্রিত করে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তনের ভিজুয়ালাইজেশন, প্রবাহ প্রবণতা, ভলিউম ব্যালেন্স ও প্রবাহগতি নিরূপণ করা হয়েছে।
গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গত ২০ বছরে ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহের ফলে কোনো একটি স্থানে সাধারণত যে পরিমাণ পানি স্থিতিশীল থাকে, তার পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে এবং প্রবাহগতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো—স্যাচুরেটেড স্তরের (সাধারণত মাটির নিচে সর্বনিম্ন যে গভীরতায় স্বচ্ছ ও সুপেয় পানি নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়) পরিবর্তন ও হাইড্রোলিক হেডের (নদী বা সাগরের পানিপৃষ্ঠের তুলনায় কোনো একটি অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির উচ্চতার ফারাক) ওঠানামা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গড় প্রবাহ গতির হার ছিল প্রতি বছর ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৭ হাজার ৩০০ মিটার পর্যন্ত এবং প্রতিটি মৌসুমেই এটি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভলিউম ব্যালেন্স রেসিডিউয়াল (কোনো একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে পানি আসা-যাওয়ার পর কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে যেটুকু অবশিষ্ট থাকে) ২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ২০১০-২০২০ সালের মধ্যে তা হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায়। গবেষণা এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের ওঠানামার হার ব্যাপকভাবে বদলে যাচ্ছে এবং এর প্রবণতাও পরিবর্তিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর যেখানে থাকার কথা প্রতি বছরই সেটা আরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরবঙ্গের ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ পথের পরিবর্তন নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে এবং এর বিন্যাসও বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে, যেসব অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, সেসব এলাকায় এই অবক্ষয় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গবেষণার এলাকার ৩১ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল বর্তমানে চরম ও তীব্র খরার সম্মুখীন, যার প্রধান কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের তারতম্য।
সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক ব্যবহার গবেষণার এলাকার পরিবেশগত ব্যবস্থা ও কৃষি উৎপাদনের ওপর গুরুতর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়কর হবে যদি আমরা গভীর জলাধার থেকে ভূগর্ভস্থ পানির নিষ্কাশন কমিয়ে না আনি এবং পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
উল্লেখিত গবেষণা এলাকার বিভিন্ন জেলার অসংখ্য কূপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব মনিটরিং কূপে মৌসুমি প্রবণতা সাধারণত একরকম হলেও অঞ্চলজুড়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে উল্লেখযোগ্য তারতম্য রয়েছে। যেখানে গড় স্তর যথাক্রমে ২ দশমিক ৭১ মিটার, ৩ দশমিক ৮৭ মিটার এবং ৩ দশমিক ৭০ মিটার। ২০০১ সালের প্রাক-বর্ষা মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ মূলত উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জমা হয়েছিল, তবে বিভিন্ন স্থানে পানির অভাবের কারণে ছড়িয়ে পড়া প্রবাহের কিছু বিচ্ছিন্ন দিকও দেখা যায়।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চলের উত্তর অংশ এবং কেন্দ্রীয় কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের গতি তুলনামূলকভাবে বেশি। গবেষণা এলাকার দক্ষিণাংশেও অপেক্ষাকৃত বেশি প্রবাহ গতি লক্ষ্য করা যায়। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাহের গতিপথে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা শুধুমাত্র উত্তর থেকে দক্ষিণেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এমন কয়েকটি স্থানের দিকেও প্রবাহিত হচ্ছে যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের দিক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর প্রবণতা ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। বিশেষ করে এমন এলাকাগুলোতে এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে, যেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাপক হারে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। বর্তমান বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অধিকাংশ মনিটরিং স্টেশনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিম্নগামী প্রবণতা দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, বৃষ্টিপাত ও ভূগর্ভস্থ পানির গভীরতার মধ্যে একটি নেতিবাচক সম্পর্ক বিদ্যমান, এবং সম্ভাব্য বাষ্পীভবন ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে।
সেচের জন্য ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কৃষি উৎপাদন এবং গবেষণা এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর গভীর প্রভাব পড়ছে, যা শেষ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে খরার তীব্রতা বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে বাষ্পীভবনের ক্রমাগত বৃদ্ধি রবি শস্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মৌসুমে গাছের বৃদ্ধির জন্য অধিক হারে পানির প্রয়োজন হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস এবং গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা শুষ্ক ও গরম পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যা সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এবং ফসল উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
এই গবেষণা ভবিষ্যতে উত্তরাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির সংকট এবং পরিবেশগত অবনতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর পথনির্দেশনা প্রদান করবে।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হচ্ছে।
গবেষণাটি করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান মনির, সুবরণ চন্দ্র সরকার, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের গবেষক (সিইজিআইএস) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মো. নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত ‘পানি-সংকটপূর্ণ ও খরাপ্রবণ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আঞ্চলিক ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহপথের পরিবর্তনের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন’—শীর্ষক গবেষণার উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে পানি সংকটাপন্ন ও খরাপ্রবণ উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তন ও প্রবাহগতির বিরূপ প্রভাব মূল্যায়ন করা। ভৌগোলিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ডার্সি প্রবাহ মডেল একত্রিত করে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তনের ভিজুয়ালাইজেশন, প্রবাহ প্রবণতা, ভলিউম ব্যালেন্স ও প্রবাহগতি নিরূপণ করা হয়েছে।
গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গত ২০ বছরে ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহের ফলে কোনো একটি স্থানে সাধারণত যে পরিমাণ পানি স্থিতিশীল থাকে, তার পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে এবং প্রবাহগতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো—স্যাচুরেটেড স্তরের (সাধারণত মাটির নিচে সর্বনিম্ন যে গভীরতায় স্বচ্ছ ও সুপেয় পানি নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়) পরিবর্তন ও হাইড্রোলিক হেডের (নদী বা সাগরের পানিপৃষ্ঠের তুলনায় কোনো একটি অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির উচ্চতার ফারাক) ওঠানামা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গড় প্রবাহ গতির হার ছিল প্রতি বছর ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৭ হাজার ৩০০ মিটার পর্যন্ত এবং প্রতিটি মৌসুমেই এটি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভলিউম ব্যালেন্স রেসিডিউয়াল (কোনো একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে পানি আসা-যাওয়ার পর কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে যেটুকু অবশিষ্ট থাকে) ২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ২০১০-২০২০ সালের মধ্যে তা হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায়। গবেষণা এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের ওঠানামার হার ব্যাপকভাবে বদলে যাচ্ছে এবং এর প্রবণতাও পরিবর্তিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর যেখানে থাকার কথা প্রতি বছরই সেটা আরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরবঙ্গের ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ পথের পরিবর্তন নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে এবং এর বিন্যাসও বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে, যেসব অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, সেসব এলাকায় এই অবক্ষয় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গবেষণার এলাকার ৩১ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল বর্তমানে চরম ও তীব্র খরার সম্মুখীন, যার প্রধান কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের তারতম্য।
সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক ব্যবহার গবেষণার এলাকার পরিবেশগত ব্যবস্থা ও কৃষি উৎপাদনের ওপর গুরুতর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়কর হবে যদি আমরা গভীর জলাধার থেকে ভূগর্ভস্থ পানির নিষ্কাশন কমিয়ে না আনি এবং পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
উল্লেখিত গবেষণা এলাকার বিভিন্ন জেলার অসংখ্য কূপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব মনিটরিং কূপে মৌসুমি প্রবণতা সাধারণত একরকম হলেও অঞ্চলজুড়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে উল্লেখযোগ্য তারতম্য রয়েছে। যেখানে গড় স্তর যথাক্রমে ২ দশমিক ৭১ মিটার, ৩ দশমিক ৮৭ মিটার এবং ৩ দশমিক ৭০ মিটার। ২০০১ সালের প্রাক-বর্ষা মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ মূলত উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জমা হয়েছিল, তবে বিভিন্ন স্থানে পানির অভাবের কারণে ছড়িয়ে পড়া প্রবাহের কিছু বিচ্ছিন্ন দিকও দেখা যায়।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চলের উত্তর অংশ এবং কেন্দ্রীয় কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের গতি তুলনামূলকভাবে বেশি। গবেষণা এলাকার দক্ষিণাংশেও অপেক্ষাকৃত বেশি প্রবাহ গতি লক্ষ্য করা যায়। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাহের গতিপথে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা শুধুমাত্র উত্তর থেকে দক্ষিণেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এমন কয়েকটি স্থানের দিকেও প্রবাহিত হচ্ছে যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের দিক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর প্রবণতা ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। বিশেষ করে এমন এলাকাগুলোতে এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে, যেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাপক হারে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। বর্তমান বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অধিকাংশ মনিটরিং স্টেশনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিম্নগামী প্রবণতা দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, বৃষ্টিপাত ও ভূগর্ভস্থ পানির গভীরতার মধ্যে একটি নেতিবাচক সম্পর্ক বিদ্যমান, এবং সম্ভাব্য বাষ্পীভবন ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে।
সেচের জন্য ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কৃষি উৎপাদন এবং গবেষণা এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর গভীর প্রভাব পড়ছে, যা শেষ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে খরার তীব্রতা বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে বাষ্পীভবনের ক্রমাগত বৃদ্ধি রবি শস্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মৌসুমে গাছের বৃদ্ধির জন্য অধিক হারে পানির প্রয়োজন হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস এবং গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা শুষ্ক ও গরম পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যা সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এবং ফসল উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
এই গবেষণা ভবিষ্যতে উত্তরাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির সংকট এবং পরিবেশগত অবনতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর পথনির্দেশনা প্রদান করবে।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হচ্ছে।
গবেষণাটি করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান মনির, সুবরণ চন্দ্র সরকার, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের গবেষক (সিইজিআইএস) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মো. নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত ‘পানি-সংকটপূর্ণ ও খরাপ্রবণ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আঞ্চলিক ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহপথের পরিবর্তনের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন’—শীর্ষক গবেষণার উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে পানি সংকটাপন্ন ও খরাপ্রবণ উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তন ও প্রবাহগতির বিরূপ প্রভাব মূল্যায়ন করা। ভৌগোলিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ডার্সি প্রবাহ মডেল একত্রিত করে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তনের ভিজুয়ালাইজেশন, প্রবাহ প্রবণতা, ভলিউম ব্যালেন্স ও প্রবাহগতি নিরূপণ করা হয়েছে।
গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গত ২০ বছরে ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহের ফলে কোনো একটি স্থানে সাধারণত যে পরিমাণ পানি স্থিতিশীল থাকে, তার পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে এবং প্রবাহগতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো—স্যাচুরেটেড স্তরের (সাধারণত মাটির নিচে সর্বনিম্ন যে গভীরতায় স্বচ্ছ ও সুপেয় পানি নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়) পরিবর্তন ও হাইড্রোলিক হেডের (নদী বা সাগরের পানিপৃষ্ঠের তুলনায় কোনো একটি অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির উচ্চতার ফারাক) ওঠানামা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গড় প্রবাহ গতির হার ছিল প্রতি বছর ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৭ হাজার ৩০০ মিটার পর্যন্ত এবং প্রতিটি মৌসুমেই এটি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভলিউম ব্যালেন্স রেসিডিউয়াল (কোনো একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে পানি আসা-যাওয়ার পর কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে যেটুকু অবশিষ্ট থাকে) ২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ২০১০-২০২০ সালের মধ্যে তা হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায়। গবেষণা এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের ওঠানামার হার ব্যাপকভাবে বদলে যাচ্ছে এবং এর প্রবণতাও পরিবর্তিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর যেখানে থাকার কথা প্রতি বছরই সেটা আরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরবঙ্গের ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ পথের পরিবর্তন নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে এবং এর বিন্যাসও বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে, যেসব অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, সেসব এলাকায় এই অবক্ষয় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গবেষণার এলাকার ৩১ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল বর্তমানে চরম ও তীব্র খরার সম্মুখীন, যার প্রধান কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের তারতম্য।
সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক ব্যবহার গবেষণার এলাকার পরিবেশগত ব্যবস্থা ও কৃষি উৎপাদনের ওপর গুরুতর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়কর হবে যদি আমরা গভীর জলাধার থেকে ভূগর্ভস্থ পানির নিষ্কাশন কমিয়ে না আনি এবং পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
উল্লেখিত গবেষণা এলাকার বিভিন্ন জেলার অসংখ্য কূপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব মনিটরিং কূপে মৌসুমি প্রবণতা সাধারণত একরকম হলেও অঞ্চলজুড়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে উল্লেখযোগ্য তারতম্য রয়েছে। যেখানে গড় স্তর যথাক্রমে ২ দশমিক ৭১ মিটার, ৩ দশমিক ৮৭ মিটার এবং ৩ দশমিক ৭০ মিটার। ২০০১ সালের প্রাক-বর্ষা মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ মূলত উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জমা হয়েছিল, তবে বিভিন্ন স্থানে পানির অভাবের কারণে ছড়িয়ে পড়া প্রবাহের কিছু বিচ্ছিন্ন দিকও দেখা যায়।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চলের উত্তর অংশ এবং কেন্দ্রীয় কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের গতি তুলনামূলকভাবে বেশি। গবেষণা এলাকার দক্ষিণাংশেও অপেক্ষাকৃত বেশি প্রবাহ গতি লক্ষ্য করা যায়। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাহের গতিপথে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা শুধুমাত্র উত্তর থেকে দক্ষিণেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এমন কয়েকটি স্থানের দিকেও প্রবাহিত হচ্ছে যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের দিক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর প্রবণতা ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। বিশেষ করে এমন এলাকাগুলোতে এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে, যেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাপক হারে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। বর্তমান বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অধিকাংশ মনিটরিং স্টেশনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিম্নগামী প্রবণতা দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, বৃষ্টিপাত ও ভূগর্ভস্থ পানির গভীরতার মধ্যে একটি নেতিবাচক সম্পর্ক বিদ্যমান, এবং সম্ভাব্য বাষ্পীভবন ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে।
সেচের জন্য ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কৃষি উৎপাদন এবং গবেষণা এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর গভীর প্রভাব পড়ছে, যা শেষ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে খরার তীব্রতা বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে বাষ্পীভবনের ক্রমাগত বৃদ্ধি রবি শস্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মৌসুমে গাছের বৃদ্ধির জন্য অধিক হারে পানির প্রয়োজন হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস এবং গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা শুষ্ক ও গরম পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যা সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এবং ফসল উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
এই গবেষণা ভবিষ্যতে উত্তরাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির সংকট এবং পরিবেশগত অবনতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর পথনির্দেশনা প্রদান করবে।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হচ্ছে।
গবেষণাটি করেছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান মনির, সুবরণ চন্দ্র সরকার, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের গবেষক (সিইজিআইএস) রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মো. নজরুল ইসলাম।
বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত ‘পানি-সংকটপূর্ণ ও খরাপ্রবণ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে আঞ্চলিক ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহপথের পরিবর্তনের পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন’—শীর্ষক গবেষণার উদ্দেশ্য হলো, বাংলাদেশে পানি সংকটাপন্ন ও খরাপ্রবণ উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তন ও প্রবাহগতির বিরূপ প্রভাব মূল্যায়ন করা। ভৌগোলিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ডার্সি প্রবাহ মডেল একত্রিত করে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের পরিবর্তনের ভিজুয়ালাইজেশন, প্রবাহ প্রবণতা, ভলিউম ব্যালেন্স ও প্রবাহগতি নিরূপণ করা হয়েছে।
গবেষণা থেকে দেখা গেছে, গত ২০ বছরে ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহের ফলে কোনো একটি স্থানে সাধারণত যে পরিমাণ পানি স্থিতিশীল থাকে, তার পরিমাণ ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে এবং প্রবাহগতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো—স্যাচুরেটেড স্তরের (সাধারণত মাটির নিচে সর্বনিম্ন যে গভীরতায় স্বচ্ছ ও সুপেয় পানি নিশ্চিতভাবে পাওয়া যায়) পরিবর্তন ও হাইড্রোলিক হেডের (নদী বা সাগরের পানিপৃষ্ঠের তুলনায় কোনো একটি অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির উচ্চতার ফারাক) ওঠানামা।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে গড় প্রবাহ গতির হার ছিল প্রতি বছর ৫ হাজার ৯০০ থেকে ৭ হাজার ৩০০ মিটার পর্যন্ত এবং প্রতিটি মৌসুমেই এটি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভলিউম ব্যালেন্স রেসিডিউয়াল (কোনো একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে পানি আসা-যাওয়ার পর কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে যেটুকু অবশিষ্ট থাকে) ২০০১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ২০১০-২০২০ সালের মধ্যে তা হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায়। গবেষণা এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহপথের ওঠানামার হার ব্যাপকভাবে বদলে যাচ্ছে এবং এর প্রবণতাও পরিবর্তিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির স্তর যেখানে থাকার কথা প্রতি বছরই সেটা আরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরবঙ্গের ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ পথের পরিবর্তন নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাচ্ছে এবং এর বিন্যাসও বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে, যেসব অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হচ্ছে, সেসব এলাকায় এই অবক্ষয় সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। গবেষণার এলাকার ৩১ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল বর্তমানে চরম ও তীব্র খরার সম্মুখীন, যার প্রধান কারণ ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের তারতম্য।
সেচের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির অত্যধিক ব্যবহার গবেষণার এলাকার পরিবেশগত ব্যবস্থা ও কৃষি উৎপাদনের ওপর গুরুতর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়কর হবে যদি আমরা গভীর জলাধার থেকে ভূগর্ভস্থ পানির নিষ্কাশন কমিয়ে না আনি এবং পৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার কমানোর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়।
উল্লেখিত গবেষণা এলাকার বিভিন্ন জেলার অসংখ্য কূপের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সব মনিটরিং কূপে মৌসুমি প্রবণতা সাধারণত একরকম হলেও অঞ্চলজুড়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরে উল্লেখযোগ্য তারতম্য রয়েছে। যেখানে গড় স্তর যথাক্রমে ২ দশমিক ৭১ মিটার, ৩ দশমিক ৮৭ মিটার এবং ৩ দশমিক ৭০ মিটার। ২০০১ সালের প্রাক-বর্ষা মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ মূলত উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে জমা হয়েছিল, তবে বিভিন্ন স্থানে পানির অভাবের কারণে ছড়িয়ে পড়া প্রবাহের কিছু বিচ্ছিন্ন দিকও দেখা যায়।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তরাঞ্চলের উত্তর অংশ এবং কেন্দ্রীয় কিছু এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের গতি তুলনামূলকভাবে বেশি। গবেষণা এলাকার দক্ষিণাংশেও অপেক্ষাকৃত বেশি প্রবাহ গতি লক্ষ্য করা যায়। পূর্ববর্তী গবেষণাগুলোর ফলাফল অনুযায়ী, সাধারণত ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহ উত্তর দিক থেকে দক্ষিণ দিকে হয়ে থাকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাহের গতিপথে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা শুধুমাত্র উত্তর থেকে দক্ষিণেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং এমন কয়েকটি স্থানের দিকেও প্রবাহিত হচ্ছে যেখানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এই গবেষণার ফলাফল নির্দেশ করে যে, উত্তরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির প্রবাহের দিক উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর প্রবণতা ক্রমশ নেমে যাচ্ছে। বিশেষ করে এমন এলাকাগুলোতে এই সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে, যেখানে বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাপক হারে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা হয়। বর্তমান বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অধিকাংশ মনিটরিং স্টেশনে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিম্নগামী প্রবণতা দেখাচ্ছে। পাশাপাশি, ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, বৃষ্টিপাত ও ভূগর্ভস্থ পানির গভীরতার মধ্যে একটি নেতিবাচক সম্পর্ক বিদ্যমান, এবং সম্ভাব্য বাষ্পীভবন ও ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের মধ্যে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে।
সেচের জন্য ব্যাপক মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে কৃষি উৎপাদন এবং গবেষণা এলাকার জীববৈচিত্র্যের ওপর গভীর প্রভাব পড়ছে, যা শেষ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে খরার তীব্রতা বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে বাষ্পীভবনের ক্রমাগত বৃদ্ধি রবি শস্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই মৌসুমে গাছের বৃদ্ধির জন্য অধিক হারে পানির প্রয়োজন হয়। বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস এবং গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা শুষ্ক ও গরম পরিবেশ সৃষ্টি করছে, যা সরাসরি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর এবং ফসল উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলছে।
এই গবেষণা ভবিষ্যতে উত্তরাঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির সংকট এবং পরিবেশগত অবনতি মোকাবিলার জন্য কার্যকর পথনির্দেশনা প্রদান করবে।

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
৩ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।
ফেরি চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
জনজীবন বিপর্যস্ত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।
যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
নাছিমা বলেন, ‘শীতটা খুব কষ্ট দিতাছে। কাল থেইকা রাতে ঠিকমতো ঘুমাইতে পারি না। বাচ্চাডারে নিয়া বেশি ভয় লাগতাছে। ঠান্ডা লাগলে কী করুম, সেই চিন্তাই মাথায় ঘোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে অসুস্থতার ঝুঁকি। অনেকে বলছেন, জ্বর-কাশি, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁরা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার (৫ দিন) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা; পাশাপাশি থাকবে কুয়াশার প্রকোপ।
ফেরি চলাচল বন্ধ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বাড়তে থাকে। সোয়া ৭টার সময় নদী পথ অস্পষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
জনজীবন বিপর্যস্ত
পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে জনজীবন প্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পঞ্চগড়ের সড়ক ও জনপথ। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
গতকাল সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, উত্তরের জেলা গাইবান্ধা ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের শিশুচিকিৎসক সোহেল বলেন, ‘শীতের মধ্যে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। ঠান্ডা ও বাসি খাবার পরিহার করতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তঘেঁষা জেলা চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। টানা কয়েক দিন ধরে এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে; যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।
জেলার বড় বাজারের মুদিদোকানি সুমন আলী বলেন, ‘সকাল সকাল দোকান খুলে বসে থাকি, কিন্তু কাস্টমারের দেখা নেই। মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঠান্ডায় দোকানের ভেতর বসে থাকাই এখন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, শীতার্ত মানুষের সহায়তায় জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে।
যশোর প্রতিনিধি জানান, জেলায় চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এদিনের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি।
যশোর শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, ‘শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। বাসায় মনে হচ্ছে, গায়ে সুই ফোটাচ্ছে।’

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
৩ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে সাত জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি দেশের কোথাও কোথাও আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় দিনের বেলায়ও হাড়কাঁপানো ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।
ঘন কুয়াশার সতর্কতা পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোনো কোনো এলাকায় এই কুয়াশা দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাপমাত্রা ও বৃষ্টির সম্ভাবনায় আগামী কয়েক দিন সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভাগীয় শহরগুলোর তাপমাত্রা গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪, রংপুরে ১১ দশমিক ২, খুলনায় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বরিশালে ১২ দশমিক ৪ এবং সিলেটে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
৩ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
আইকিউএয়ারের সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী, ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর ২২৫। যা নির্দেশ করে, ঢাকার বাতাসের অবস্থা খুব অস্বাস্থ্যকর।
ঢাকার বেশকিছু স্থানের বাতাসের অবস্থা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর থেকে খুব অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে রয়েছে— দক্ষিণ পল্লবী (২৮৩), ইস্টার্ন হাউজিং (২৬০), বেজ এজওয়াটার আউটডোর (২৫১), কল্যাণপুর (২৫০) ও গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২২২)।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা (২২৫, খুব অস্বাস্থ্যকর), তৃতীয় স্থানে ভারতের দিল্লি (১৯১, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর), চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৯০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর) এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েতের কুয়েত সিটি (১৮০, সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর)।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশিমাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাতাসের মূল ক্ষতিকারক উপাদান হলো ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫। এটি এতই সূক্ষ্ম যে তা ফুসফুসে, এমনকি রক্তপ্রবাহেও প্রবেশ করতে পারে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।
বাতাসের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে করণীয়
অত্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠী: শিশু, বয়স্ক, হৃদ্রোগ বা শ্বাসকষ্টের রোগীরা সব ধরনের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভালো।
সাধারণ সুস্থ ব্যক্তি: তাদের উচিত বাইরে কাটানো সময় সীমিত করা এবং শারীরিক পরিশ্রমের কাজ এড়িয়ে চলা।
যদি বাইরে বের হতে হয়, তবে অবশ্যই দূষণ রোধে কার্যকর মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘরের ভেতরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং দূষিত বাতাস প্রবেশ ঠেকাতে জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সকাল থেকে ঢাকার আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা গেছে। সূর্যের দেখা মেলেনি এই সকালেও। কুয়াশা পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে দেখা যায়, আজ সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার বাতাসে আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৭৬ শতাংশ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানা যায়, আজ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে।
অধিদপ্তর আরও বলছে, আজ দিনের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে না।
এছাড়া বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, এ সময় উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
এদিকে গতকাল বুধবার ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ হিসেবে পরিচিত রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ জেলাতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। অঞ্চলটিতে খরার অন্যতম কারণ এটি। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কেবল স্তর নিচে নেমে যাওয়া নয়, ভূগর্ভে পানির প্রবাহের যে পথ ও বিন্যাস তা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। ফলে, পানির প্রাপ্যতাও সময়ে সময়ে...
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশের ব্যস্ত সড়কের ধারে জবুথবু হয়ে বসে আছেন নাছিমা। কোলে তাঁর ছোট্ট নবজাতক। পাতলা একটি কম্বল আর পুরোনো কাঁথা জোড়া দিয়ে কোনো-রকমে নিজের ও নবজাতকের শরীর ঢেকে রেখেছেন। কনকনে বাতাসে নবজাতকের ঠোঁট নীলচে হয়ে এসেছে।
২০ ঘণ্টা আগে
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। দেশের সাতটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যোগাযোগব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে
শীতজুড়ে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা।
৩ দিন আগে