তামীম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিটি গ্রামে কাকের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বৈদ্যুতিক তারে, বড় বড় গাছ ও টিনের চালায় হরহামেশাই দেখা মিলতো তার। এর যন্ত্রণায় রোদে খাবার শুকাতে দিতে পারত না মানুষ। কিন্তু বছর খানিক কিংবা তার কিছু বেশি সময় ধরে উপজেলার গ্রামগুলোতে অনেকটাই কমে গেছে কাকের বিচরণ।
কালো রং ও কর্কশ গলার কারণে অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পরিবেশে। দেখা যেত আবর্জনার স্তূপে দল বেঁধে খাবার খেতে। যার ফলে আবর্জনার আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াতো না। অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি শহুরে বাস্তুতন্ত্র এবং সাংস্কৃতিক চেতনায় একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছিল। তবে কাকের বিচরণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমার কারণে প্রাকৃতিক চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শহরের মতো গ্রামেও কেন কাক কমছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু কাক নয়, আরও অনেক পাখি কমে গেছে। এর মধ্যে দোয়েল, কোকিল, শালিক, বাবুইসহ আরও অনেক পাখি আছে। মূলত বাসস্থান ও খাদ্যের সংকট, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে এগুলো কমে আসছে বলে আমরা ধারণা করছি। মোবাইল নেটওয়ার্কের একটি প্রভাব এর ওপর পড়ছে। আমরা গবেষণা করছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এর মধ্যে কাকও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। তাই এই পাখি টিকিয়ে রাখতে আমাদের পরিকল্পিত নগরায়ণ করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপদ বাসস্থান, খাদ্যের ব্যবস্থা ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তা না হলে পরিবেশ চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।’
স্থানীয় আলোকচিত্রী ও পাখিপ্রেমী তন্ময় তাহসান সবুজ জানান, তিনি পাখিদের ছবি তুলতে ছুটে বেড়ান এই গ্রাম থেকে সেই গ্রাম। তিনিও আঁচ করেছেন কাকের সংখ্যা কমেছে বেশ। তার চোখেও খুব একটা দেখা মিলছে না এই পাখি।
কুষ্টিয়ার পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী সাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, বড় বড় গাছপালা উজাড় হয়ে যাওয়ায় কাক বংশবিস্তারের পরিবেশ হারিয়েছে, যার কারণে এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
গ্রামেও কেন কাকের বিচরণ কমে যাচ্ছে এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাকের বাসস্থান ও খাদ্যের সংকটের পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গাছপালা কাটা এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো প্রযুক্তিগত স্থাপনার জন্য কাক তার প্রাকৃতিক পরিবেশ হারাচ্ছে। যার জন্য তাদের বংশ বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে। ফলে দিনে দিনে এর সংখ্যা কমে আসছে।
তাঁর এলাকায় কী পরিমাণে কাক কমেছে এর সংখ্যা বলতে না পারলেও কাকের যে বিচরণ কমে আসছে তা তারও চোখে পড়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পরিবেশের বন্ধু কাক রক্ষায় তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে আবুবকর বলেন, ‘আমাদের সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে এবং ঘরবাড়ি তৈরিতে সচেতন হতে হরে। এদের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে তৈরির জন্য ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মৌজা এলাকায় জমির প্রস্তাব দিয়েছি অনেক আগে। অনুমতি পেলে কার্যক্রম শুরু করব। এতে অনেক পশুপাখির নিরাপদ বাসস্থান তৈরি হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে।’

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিটি গ্রামে কাকের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বৈদ্যুতিক তারে, বড় বড় গাছ ও টিনের চালায় হরহামেশাই দেখা মিলতো তার। এর যন্ত্রণায় রোদে খাবার শুকাতে দিতে পারত না মানুষ। কিন্তু বছর খানিক কিংবা তার কিছু বেশি সময় ধরে উপজেলার গ্রামগুলোতে অনেকটাই কমে গেছে কাকের বিচরণ।
কালো রং ও কর্কশ গলার কারণে অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পরিবেশে। দেখা যেত আবর্জনার স্তূপে দল বেঁধে খাবার খেতে। যার ফলে আবর্জনার আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াতো না। অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি শহুরে বাস্তুতন্ত্র এবং সাংস্কৃতিক চেতনায় একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছিল। তবে কাকের বিচরণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমার কারণে প্রাকৃতিক চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শহরের মতো গ্রামেও কেন কাক কমছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু কাক নয়, আরও অনেক পাখি কমে গেছে। এর মধ্যে দোয়েল, কোকিল, শালিক, বাবুইসহ আরও অনেক পাখি আছে। মূলত বাসস্থান ও খাদ্যের সংকট, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে এগুলো কমে আসছে বলে আমরা ধারণা করছি। মোবাইল নেটওয়ার্কের একটি প্রভাব এর ওপর পড়ছে। আমরা গবেষণা করছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এর মধ্যে কাকও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। তাই এই পাখি টিকিয়ে রাখতে আমাদের পরিকল্পিত নগরায়ণ করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপদ বাসস্থান, খাদ্যের ব্যবস্থা ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তা না হলে পরিবেশ চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।’
স্থানীয় আলোকচিত্রী ও পাখিপ্রেমী তন্ময় তাহসান সবুজ জানান, তিনি পাখিদের ছবি তুলতে ছুটে বেড়ান এই গ্রাম থেকে সেই গ্রাম। তিনিও আঁচ করেছেন কাকের সংখ্যা কমেছে বেশ। তার চোখেও খুব একটা দেখা মিলছে না এই পাখি।
কুষ্টিয়ার পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী সাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, বড় বড় গাছপালা উজাড় হয়ে যাওয়ায় কাক বংশবিস্তারের পরিবেশ হারিয়েছে, যার কারণে এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
গ্রামেও কেন কাকের বিচরণ কমে যাচ্ছে এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাকের বাসস্থান ও খাদ্যের সংকটের পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গাছপালা কাটা এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো প্রযুক্তিগত স্থাপনার জন্য কাক তার প্রাকৃতিক পরিবেশ হারাচ্ছে। যার জন্য তাদের বংশ বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে। ফলে দিনে দিনে এর সংখ্যা কমে আসছে।
তাঁর এলাকায় কী পরিমাণে কাক কমেছে এর সংখ্যা বলতে না পারলেও কাকের যে বিচরণ কমে আসছে তা তারও চোখে পড়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পরিবেশের বন্ধু কাক রক্ষায় তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে আবুবকর বলেন, ‘আমাদের সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে এবং ঘরবাড়ি তৈরিতে সচেতন হতে হরে। এদের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে তৈরির জন্য ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মৌজা এলাকায় জমির প্রস্তাব দিয়েছি অনেক আগে। অনুমতি পেলে কার্যক্রম শুরু করব। এতে অনেক পশুপাখির নিরাপদ বাসস্থান তৈরি হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে।’
তামীম আদনান, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিটি গ্রামে কাকের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বৈদ্যুতিক তারে, বড় বড় গাছ ও টিনের চালায় হরহামেশাই দেখা মিলতো তার। এর যন্ত্রণায় রোদে খাবার শুকাতে দিতে পারত না মানুষ। কিন্তু বছর খানিক কিংবা তার কিছু বেশি সময় ধরে উপজেলার গ্রামগুলোতে অনেকটাই কমে গেছে কাকের বিচরণ।
কালো রং ও কর্কশ গলার কারণে অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পরিবেশে। দেখা যেত আবর্জনার স্তূপে দল বেঁধে খাবার খেতে। যার ফলে আবর্জনার আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াতো না। অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি শহুরে বাস্তুতন্ত্র এবং সাংস্কৃতিক চেতনায় একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছিল। তবে কাকের বিচরণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমার কারণে প্রাকৃতিক চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শহরের মতো গ্রামেও কেন কাক কমছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু কাক নয়, আরও অনেক পাখি কমে গেছে। এর মধ্যে দোয়েল, কোকিল, শালিক, বাবুইসহ আরও অনেক পাখি আছে। মূলত বাসস্থান ও খাদ্যের সংকট, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে এগুলো কমে আসছে বলে আমরা ধারণা করছি। মোবাইল নেটওয়ার্কের একটি প্রভাব এর ওপর পড়ছে। আমরা গবেষণা করছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এর মধ্যে কাকও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। তাই এই পাখি টিকিয়ে রাখতে আমাদের পরিকল্পিত নগরায়ণ করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপদ বাসস্থান, খাদ্যের ব্যবস্থা ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তা না হলে পরিবেশ চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।’
স্থানীয় আলোকচিত্রী ও পাখিপ্রেমী তন্ময় তাহসান সবুজ জানান, তিনি পাখিদের ছবি তুলতে ছুটে বেড়ান এই গ্রাম থেকে সেই গ্রাম। তিনিও আঁচ করেছেন কাকের সংখ্যা কমেছে বেশ। তার চোখেও খুব একটা দেখা মিলছে না এই পাখি।
কুষ্টিয়ার পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী সাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, বড় বড় গাছপালা উজাড় হয়ে যাওয়ায় কাক বংশবিস্তারের পরিবেশ হারিয়েছে, যার কারণে এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
গ্রামেও কেন কাকের বিচরণ কমে যাচ্ছে এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাকের বাসস্থান ও খাদ্যের সংকটের পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গাছপালা কাটা এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো প্রযুক্তিগত স্থাপনার জন্য কাক তার প্রাকৃতিক পরিবেশ হারাচ্ছে। যার জন্য তাদের বংশ বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে। ফলে দিনে দিনে এর সংখ্যা কমে আসছে।
তাঁর এলাকায় কী পরিমাণে কাক কমেছে এর সংখ্যা বলতে না পারলেও কাকের যে বিচরণ কমে আসছে তা তারও চোখে পড়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পরিবেশের বন্ধু কাক রক্ষায় তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে আবুবকর বলেন, ‘আমাদের সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে এবং ঘরবাড়ি তৈরিতে সচেতন হতে হরে। এদের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে তৈরির জন্য ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মৌজা এলাকায় জমির প্রস্তাব দিয়েছি অনেক আগে। অনুমতি পেলে কার্যক্রম শুরু করব। এতে অনেক পশুপাখির নিরাপদ বাসস্থান তৈরি হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে।’

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা প্রতিটি গ্রামে কাকের বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বৈদ্যুতিক তারে, বড় বড় গাছ ও টিনের চালায় হরহামেশাই দেখা মিলতো তার। এর যন্ত্রণায় রোদে খাবার শুকাতে দিতে পারত না মানুষ। কিন্তু বছর খানিক কিংবা তার কিছু বেশি সময় ধরে উপজেলার গ্রামগুলোতে অনেকটাই কমে গেছে কাকের বিচরণ।
কালো রং ও কর্কশ গলার কারণে অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি ‘প্রকৃতির ঝাড়ুদার’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পরিবেশে। দেখা যেত আবর্জনার স্তূপে দল বেঁধে খাবার খেতে। যার ফলে আবর্জনার আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াতো না। অনেকের অপছন্দের এই পাখিটি শহুরে বাস্তুতন্ত্র এবং সাংস্কৃতিক চেতনায় একটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেছিল। তবে কাকের বিচরণ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমার কারণে প্রাকৃতিক চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন গবেষক ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।
শহরের মতো গ্রামেও কেন কাক কমছে এ বিষয়ে বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া বার্ড ক্লাবের সভাপতি এস আই সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুধু কাক নয়, আরও অনেক পাখি কমে গেছে। এর মধ্যে দোয়েল, কোকিল, শালিক, বাবুইসহ আরও অনেক পাখি আছে। মূলত বাসস্থান ও খাদ্যের সংকট, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ নানা কারণে এগুলো কমে আসছে বলে আমরা ধারণা করছি। মোবাইল নেটওয়ার্কের একটি প্রভাব এর ওপর পড়ছে। আমরা গবেষণা করছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এর মধ্যে কাকও আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাক আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। তাই এই পাখি টিকিয়ে রাখতে আমাদের পরিকল্পিত নগরায়ণ করতে হবে, পাশাপাশি নিরাপদ বাসস্থান, খাদ্যের ব্যবস্থা ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তা না হলে পরিবেশ চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় নেমে আসবে।’
স্থানীয় আলোকচিত্রী ও পাখিপ্রেমী তন্ময় তাহসান সবুজ জানান, তিনি পাখিদের ছবি তুলতে ছুটে বেড়ান এই গ্রাম থেকে সেই গ্রাম। তিনিও আঁচ করেছেন কাকের সংখ্যা কমেছে বেশ। তার চোখেও খুব একটা দেখা মিলছে না এই পাখি।
কুষ্টিয়ার পরিবেশকর্মী ও বন্যপ্রাণীপ্রেমী সাহাব উদ্দিন মিলন বলেন, বড় বড় গাছপালা উজাড় হয়ে যাওয়ায় কাক বংশবিস্তারের পরিবেশ হারিয়েছে, যার কারণে এর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
গ্রামেও কেন কাকের বিচরণ কমে যাচ্ছে এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাকের বাসস্থান ও খাদ্যের সংকটের পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গাছপালা কাটা এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো প্রযুক্তিগত স্থাপনার জন্য কাক তার প্রাকৃতিক পরিবেশ হারাচ্ছে। যার জন্য তাদের বংশ বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ছে। ফলে দিনে দিনে এর সংখ্যা কমে আসছে।
তাঁর এলাকায় কী পরিমাণে কাক কমেছে এর সংখ্যা বলতে না পারলেও কাকের যে বিচরণ কমে আসছে তা তারও চোখে পড়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পরিবেশের বন্ধু কাক রক্ষায় তাঁরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না, জানতে চাইলে আবুবকর বলেন, ‘আমাদের সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অপরিকল্পিতভাবে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে এবং ঘরবাড়ি তৈরিতে সচেতন হতে হরে। এদের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে তৈরির জন্য ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাহিরমাদি মৌজা এলাকায় জমির প্রস্তাব দিয়েছি অনেক আগে। অনুমতি পেলে কার্যক্রম শুরু করব। এতে অনেক পশুপাখির নিরাপদ বাসস্থান তৈরি হবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
৩ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৌষ মাস আসতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় এখনো পুরোপুরি শীতের আমেজ পড়েনি। আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় সামান্য কুয়াশার সঙ্গে ছিল হালকা শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৯ মিনিটে।

পৌষ মাস আসতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। কিন্তু রাজধানী ঢাকায় এখনো পুরোপুরি শীতের আমেজ পড়েনি। আজ সোমবার ভোরবেলা ঢাকায় সামান্য কুয়াশার সঙ্গে ছিল হালকা শীত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, আজ দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৯ মিনিটে।

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
০৬ অক্টোবর ২০২৪
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
৩ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
আর শীর্ষে থাকা বাগদাদের বায়ুমান ২৬৮, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৯, ২০৮ ও ২০৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
আর শীর্ষে থাকা বাগদাদের বায়ুমান ২৬৮, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো—ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের কলকাতা। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৯, ২০৮ ও ২০৬।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
০৬ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
১ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
আজ সকাল ৭টায় ঢাকা ও আশপাশ এলাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সকাল ৬টায় রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন দুপুর পর্যন্ত ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ২৮ মিনিটে।

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
০৬ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
৩ দিন আগে
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
৫ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৬টা। সূর্যের আলো যখন পুরোপুরি ফুটে ওঠেনি, ঠিক তখনই ভূমিকম্পে আবারও কেঁপে উঠল রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার পাটুয়ারপাড় এলাকা।
আর এই ভূকম্পনেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে ঢাকার নগরজীবন থেকে শুরু করে সারা দেশের মানুষ। আতঙ্কিত হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। কারণ, এক-দুবার নয়, মাত্র ১৪ দিনে বাংলাদেশে একাধিকবার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী, গাজীপুরের মতো ঢাকার আশপাশের অঞ্চল ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি হয় গত ২১ নভেম্বর। ওই দিন ৫ দশমিক ৭ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ঢাকাসহ সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশেই উৎপত্তিস্থল ছিল পাঁচটি ভূমিকম্পের। এর প্রথমটি ছিল ২১ নভেম্বরের ঠিক দুই মাস আগে ২১ সেপ্টেম্বর। এদিন ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তি হয় সিলেটের ছাতকে।
এরপরের ভূমিকম্প ছিল ২১ নভেম্বর, মাত্রা ৫ দশমিক ৭। পরদিন ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিটে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী জেলার কালীগঞ্জ। এর ৫ দিন পর, ২৭ নভেম্বর বিকেল সোয়া ৪টায় ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, উৎপত্তিস্থল ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরের টঙ্গীর ঢালাদিয়া এলাকা।
কতবার ভূকম্পন হলো
তবে বারবার ভূমিকম্প কেবল বাংলাদেশেই নয়, সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমার, ভারত, নেপাল, এমনকি চীনের তিব্বত সীমান্তেও ঘন ঘন ভূমিকম্প হচ্ছে। চলতি বছরের ১১ মাসে এই অঞ্চলে ২৮৫ বার ভূমিকম্প হয়েছে। এর কোনোটিই ৪ মাত্রার নিচে ছিল না।
গত সোমবার ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মিয়ানমারের ফালামে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ফলে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকেও এটি অনুভূত হয়েছে। ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৪৩১ কিলোমিটার। ওই ভূমিকম্প বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৫৫ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, টেকটোনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান, তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে, পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তর দিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে, অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর এই তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশন জোনের তৈরি হয়েছে।
হুমায়ুন আখতার আরও বলেন, ‘এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’ তাঁর মতে, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল। এর অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলল বলেই শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয় যে সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’
আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ
তবে ভূমিকম্প নিয়ে উৎকণ্ঠিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভূতত্ত্ববিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. মমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন যেসব ভূকম্পন, সেগুলো হলো ২১ নভেম্বর ভূমিকম্পের ‘আফটার শক’।
২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হনশু দ্বীপের টোহুকু অঞ্চলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প এবং এর জেরে সৃষ্ট সুনামির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর কেবল ৬ মাত্রারই ৪৫০ বার আফটার শক হয়েছিল জাপানে। আরও অসংখ্যবার ছোট ছোট আফটার শক হয়েছিল তখন।
ভূকম্পনবিদ্যার গবেষক মমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ২১ নভেম্বরের পর একাধিকবার আফটার শক হচ্ছে। এই আফটার শক বহুদিন ধরে হতে পারে, কমপক্ষে আরও তিন মাস হতে পারে। ২ মাত্রার নিচের ভূকম্পনগুলো আমাদের (বাংলাদেশে) সিস্টেমে ধরা পড়ে না।

শহরে কাক কমে যাচ্ছে বলে অনুযোগ করেন অনেক মানুষই। তবে ইদানীং গ্রামেও কাকের বিচরণ কমেছে। শহর থেকে গ্রাম সবখানে ছিল যার রাজত্ব, হঠাৎ কী হলো তার? যেখানে কবি জীবনানন্দ দাস ভোরের কাক হয়ে বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কি বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই অতি পরিচিত পাখিটি?
০৬ অক্টোবর ২০২৪
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজ সকাল ৭টায় পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৪ শতাংশ।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহরের তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। আর প্রথম স্থানে আছে ইরাকের শহর বাগদাদ। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ২৫২, যা খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
৩ দিন আগে
রৌদ্রোজ্জ্বল ঢাকায় আজ শুক্রবার ছুটির দিনে সকালে হালকা কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে হাড়কাঁপানো শীত না পড়লেও বইছে মিষ্টি হিমেল বাতাস। আজ সারা দিন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলে আকাশ পরিষ্কার থাকবে, আবহাওয়াও থাকবে শুষ্ক।
৪ দিন আগে