
৮০-এর দশকে শিশুশিল্পী হিসেবে টেলিভিশনে যাত্রা শুরু অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদের। মাঝে বিরতি দিয়ে ২০০০ সালে আবার ছোট পর্দায় ফেরেন। একক ও ধারাবাহিক নাটকের নিয়মিত মুখ নাদিয়ার অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো এ বছর। নাদিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। কেমন ছিল এই জার্নি?
এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। সহকর্মী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সমর্থন পেয়েছি। আমি থিয়েটার করা শিল্পী নই। যা শিখেছি তাদের কাছ থেকেই। নিজেকে আমি পরিচালকের শিল্পী ভাবতে পছন্দ করি। তাদের গাইডের কারণেই আমার চলার পথ আরও মসৃণ হয়েছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই গল্পটা শুনতে চাই।
একদম ছোটবেলায় নাচ দিয়ে সংস্কৃতিচর্চা শুরু। অভিনয় শুরু হয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়। সেখানে নাচের পাশাপাশি অভিনয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিই। আমার বাবার বন্ধু ম হামিদ তখন টেলিভিশনের প্রযোজক। ওনার থিয়েটার দল থেকে এডওয়ার্ড বাড়ই নামে একজনকে পাঠান। উনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’-এর রতন চরিত্রের একক অভিনয়টুকু শেখান। অভিনয় করে আমি তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাই আমার কাছে প্রথম পুরস্কারের মতো ছিল। এরপর বিটিভি থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য ডাকা হয়। ইমদাদুল হক মিলনের লেখা এবং আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে বৈচি চরিত্রে অভিনয় করি। নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। অনেকে আমাকে বৈচি নামে ডাকা শুরু করে। মানুষজন চিনতে পারছে, সেটা ভালো লাগলেও তখনো অভিনয়ের প্রতি আমার ভালো লাগা তৈরি হয়নি। নাচটাই আমার প্রথম ভালোবাসা ছিল। এ ছাড়া তখন আমি স্কুলে পড়ি, তাই অভিনয়ে নিয়মিত হইনি।
নিয়মিত হলেন কীভাবে?
অভিনয়ে আসার পেছনেও ছিল নাচের প্রতি ভালোবাসা। নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়াটা কঠিন ছিল। ছোটবেলায় বড় বড় অনেক প্রোগ্রাম করেছি, কিন্তু একটু বড় হয়ে দেখলাম, যাঁরা মডেলিং বা অভিনয় করেন, তাঁদেরকেই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানে সলো পারফরম্যান্সের জন্য ডাকা হয়। অনেকে আমাকে বলত অভিনয় বা মডেলিং করতে। তাই সিদ্ধান্ত নিই মডেলিং করার। এরপর নাটকে এলাম। প্রথম অভিনয় করি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ ধারাবাহিকে। কিন্তু প্রথম প্রচারিত হয় রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’। ১৯৯৯ সাল থেকে অভিনয় শুরু। টিভিতে প্রচার শুরু ২০০০ সালে থেকে। শুরুতে কিছুটা অনিয়মিত হলেও ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত অভিনয় করি।
ক্যারিয়ারের ২৫ বছরে এসে নিজেকে কতটুকু সন্তুষ্ট মনে হয়?
আমি শুরু থেকে একজন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবনে দুটি জিনিসের প্রয়োজন বেশি—সম্মান ও ভালোবাসা। শিল্পী হিসেবে সেটা আমি পেয়েছি। পছন্দের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পেরেছি, সেটাই বড় সন্তুষ্টির জায়গা। আমি সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। অনেক কিছুর প্রয়োজন আমার হয় না কখনোই। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে খুশি। তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করে, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। যেদিন আমার ২৫ বছর পূর্তির নিউজ হলো, সেদিন অনেকে কমেন্ট করেছিল, মিডিয়ার সবচেয়ে লক্ষ্মী মেয়ে। সব সময় এ রকম একটা ট্যাগ আমাকে দেওয়া হয়। এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সবার ভালোবাসা পাওয়া খুব কঠিন, সেই সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।

কোনো অপ্রাপ্তি আছে?
আমি ভিন্ন ধরনের অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। সেগুলো এখনো করা হয়ে ওঠেনি। যদি পরিচালকেরা আমাকে সে ধরনের চরিত্রে ভাবেন, তাহলে ক্যারিয়ারে আরও প্রাপ্তি যোগ হবে।
অভিনীত কোন চরিত্রটি এখনো আপনার মনে দাগ কাটে?
সাহিত্যের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেকগুলো কাজ করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সময়ে আমার অভিনীত একটি চরিত্র নিয়ে অনেকে বলছে। বকুলপুর ধারাবাহিকের দিবা চরিত্র। এই ধারাবাহিকে পাঁচ বছর কাজ করেছি। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৫ বছর একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি, এটা তো বিশাল ব্যাপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও জনপ্রিয় হয়েছে ধারাবাহিকটি।
ওটিটিতে কাজ করছেন না কেন?
কারণটা নির্মাতারা জানেন। প্রায় সময় এই প্রশ্ন শুনতে হয়। ওটিটির প্রস্তাব যে একেবারে আসেনি তা নয়। দু-একটা প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু গল্প সেভাবে টানেনি। এমন একটি কাজ দিয়ে ওটিটিতে আসতে চাই, যে গল্প ও চরিত্র আমার ভালো লাগবে।
এ মুহূর্তে আমাদের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি এখন নিম্নগামী। ভালো গল্পের অভাব, ভালো লেখকদের কাজ কম। যাঁরা আগে ভালো নাটক লিখতেন, তাঁদের কাছ থেকে গল্প নেওয়া হয় না। গল্প এখন খাওয়ার জিনিস। যে ধরনের গল্প দর্শক খায়, সেটা নিয়েই কাজ হয়। আগে পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে অনেক কাজ হতো। আমি মনে করি, এখনো এমন কাজের প্রয়োজন আছে। অনেকে বলে, নাটক দেখে শেখার কিছু নেই, এখানে জ্ঞান দিতে আসিনি। কিন্তু আমি মনে করি, নাটক থেকে শেখার অনেক বিষয় আছে। এখান থেকে ভাষাচর্চা যেমন হয়, তেমনি কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে, সেটাও শেখা যায়। নাটককে বলা হয় সমাজবদলের হাতিয়ার। এখনো সেটাই হওয়া উচিত।
এখন কাজের ক্ষেত্রেও ভিউ, ভাইরাল প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
অনলাইনে নাটক আসার পর প্রচারের ব্যাপকতা বেড়েছে। আমি যে সময় কাজ শুরু করেছি, তখন এমনটা ছিল না। তখন ইউটিউবের ব্যাপারটা থাকলে অনেক দর্শক আমাদের কাজ দেখতে পারত। বাংলা নাটক আরও ছড়িয়ে যেত। তখনকার কাজগুলোতে মূল্যবোধের যে বিষয় ছিল, সেটা এখন নেই। এখন সব শর্টকাট হয়ে গেছে। তাই স্বল্প সময়ে হাসি বা আনন্দের কিছু দেখতেই পছন্দ করছে সবাই। এখন হালকা বিষয়ের ভিউ বেশি। ভিউর বিচারে কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। কী দিলে ভিউ বেশি হবে, সবার মাথায় সেই চিন্তা। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। শিল্পী বাছাইয়েও ভিউ হয়ে উঠছে মানদণ্ড। যার যত ভিউ, তার তত কাজ। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ঘুরেফিরে সব একই চেহারা। তাই শিল্পীদের কাজ কমে গেছে, গুণী অনেক শিল্পী হারিয়ে যাচ্ছেন।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে বলুন।
ছোটবেলায় মা আমাকে শিশু একাডেমিতে নাচের ক্লাসে ভর্তি করান। আমার গুরু ছিলেন প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। খুব ছোট থাকতেই জাতীয় শিশু পুরস্কার পাই। সেখান থেকে ১৯৮৯ সালে শিশু প্রতিনিধিদলের হয়ে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য নির্বাচিত হই। এরপর আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সাত বছরের একটি ডিপ্লোমা করি। রেজাল্ট ছিল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এরপর শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নিপার কাছে শিখেছি। দীপা খন্দকারের কাছে ফোক শিখেছি, তামান্না রহমানের কাছে মণিপুরি, বেলায়েত হোসেনের কাছে ভরতনাট্যম শিখেছি। আরও অনেকের কাছে শেখা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে লিখনের সঙ্গে আমার একটা জুটি তৈরি হয়। সে সময় নাচের জুটির প্রচলন ছিল। শেখা, পারফর্ম, বিদেশ সফর মিলিয়ে চলেছে আমার নৃত্যের ক্যারিয়ার। নাচের কারণেই তো আমার অভিনয়ে আসা।
নৃত্যকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছে?
আমাদের দেশে অসংখ্য নৃত্যশিল্পী আছেন। আমার সিনিয়র অনেকে শুধু নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কোনো অনুষ্ঠান কিন্তু নাচ ছাড়া চলে না। তবে অভিনয়শিল্পটা যেভাবে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে গেছে, নাচের ক্ষেত্রে অতটা হয়নি।
অভিনয়জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হলো। কেমন ছিল এই জার্নি?
এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। সহকর্মী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সমর্থন পেয়েছি। আমি থিয়েটার করা শিল্পী নই। যা শিখেছি তাদের কাছ থেকেই। নিজেকে আমি পরিচালকের শিল্পী ভাবতে পছন্দ করি। তাদের গাইডের কারণেই আমার চলার পথ আরও মসৃণ হয়েছে।
শিশুশিল্পী হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। সেই গল্পটা শুনতে চাই।
একদম ছোটবেলায় নাচ দিয়ে সংস্কৃতিচর্চা শুরু। অভিনয় শুরু হয় নতুন কুঁড়ি প্রতিযোগিতায়। সেখানে নাচের পাশাপাশি অভিনয় ক্যাটাগরিতে অংশ নিই। আমার বাবার বন্ধু ম হামিদ তখন টেলিভিশনের প্রযোজক। ওনার থিয়েটার দল থেকে এডওয়ার্ড বাড়ই নামে একজনকে পাঠান। উনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’-এর রতন চরিত্রের একক অভিনয়টুকু শেখান। অভিনয় করে আমি তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম, কিন্তু সেটাই আমার কাছে প্রথম পুরস্কারের মতো ছিল। এরপর বিটিভি থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকের জন্য ডাকা হয়। ইমদাদুল হক মিলনের লেখা এবং আলাউদ্দিন আহমেদের পরিচালনায় ‘বারো রকম মানুষ’ নাটকে বৈচি চরিত্রে অভিনয় করি। নাটকটি ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। অনেকে আমাকে বৈচি নামে ডাকা শুরু করে। মানুষজন চিনতে পারছে, সেটা ভালো লাগলেও তখনো অভিনয়ের প্রতি আমার ভালো লাগা তৈরি হয়নি। নাচটাই আমার প্রথম ভালোবাসা ছিল। এ ছাড়া তখন আমি স্কুলে পড়ি, তাই অভিনয়ে নিয়মিত হইনি।
নিয়মিত হলেন কীভাবে?
অভিনয়ে আসার পেছনেও ছিল নাচের প্রতি ভালোবাসা। নৃত্যশিল্পী হিসেবে পরিচিতি পাওয়াটা কঠিন ছিল। ছোটবেলায় বড় বড় অনেক প্রোগ্রাম করেছি, কিন্তু একটু বড় হয়ে দেখলাম, যাঁরা মডেলিং বা অভিনয় করেন, তাঁদেরকেই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানে সলো পারফরম্যান্সের জন্য ডাকা হয়। অনেকে আমাকে বলত অভিনয় বা মডেলিং করতে। তাই সিদ্ধান্ত নিই মডেলিং করার। এরপর নাটকে এলাম। প্রথম অভিনয় করি মোহন খানের ‘দূরের মানুষ’ ধারাবাহিকে। কিন্তু প্রথম প্রচারিত হয় রেজানুর রহমানের ‘ছায়াকায়া’। ১৯৯৯ সাল থেকে অভিনয় শুরু। টিভিতে প্রচার শুরু ২০০০ সালে থেকে। শুরুতে কিছুটা অনিয়মিত হলেও ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত অভিনয় করি।
ক্যারিয়ারের ২৫ বছরে এসে নিজেকে কতটুকু সন্তুষ্ট মনে হয়?
আমি শুরু থেকে একজন শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। আমার কাছে জীবনে দুটি জিনিসের প্রয়োজন বেশি—সম্মান ও ভালোবাসা। শিল্পী হিসেবে সেটা আমি পেয়েছি। পছন্দের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পেরেছি, সেটাই বড় সন্তুষ্টির জায়গা। আমি সব সময় পজিটিভ থাকার চেষ্টা করি। অনেক কিছুর প্রয়োজন আমার হয় না কখনোই। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে খুশি। তারা আমাকে নিয়ে গর্ব করে, তাতেই আমি সন্তুষ্ট। যেদিন আমার ২৫ বছর পূর্তির নিউজ হলো, সেদিন অনেকে কমেন্ট করেছিল, মিডিয়ার সবচেয়ে লক্ষ্মী মেয়ে। সব সময় এ রকম একটা ট্যাগ আমাকে দেওয়া হয়। এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি। সবার ভালোবাসা পাওয়া খুব কঠিন, সেই সৌভাগ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন।

কোনো অপ্রাপ্তি আছে?
আমি ভিন্ন ধরনের অনেক চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। সেগুলো এখনো করা হয়ে ওঠেনি। যদি পরিচালকেরা আমাকে সে ধরনের চরিত্রে ভাবেন, তাহলে ক্যারিয়ারে আরও প্রাপ্তি যোগ হবে।
অভিনীত কোন চরিত্রটি এখনো আপনার মনে দাগ কাটে?
সাহিত্যের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেকগুলো কাজ করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা চরিত্রে অভিনয় করেছি। এই সময়ে আমার অভিনীত একটি চরিত্র নিয়ে অনেকে বলছে। বকুলপুর ধারাবাহিকের দিবা চরিত্র। এই ধারাবাহিকে পাঁচ বছর কাজ করেছি। ২৫ বছরের ক্যারিয়ারে ৫ বছর একটি ধারাবাহিকে কাজ করেছি, এটা তো বিশাল ব্যাপার। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও জনপ্রিয় হয়েছে ধারাবাহিকটি।
ওটিটিতে কাজ করছেন না কেন?
কারণটা নির্মাতারা জানেন। প্রায় সময় এই প্রশ্ন শুনতে হয়। ওটিটির প্রস্তাব যে একেবারে আসেনি তা নয়। দু-একটা প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু গল্প সেভাবে টানেনি। এমন একটি কাজ দিয়ে ওটিটিতে আসতে চাই, যে গল্প ও চরিত্র আমার ভালো লাগবে।
এ মুহূর্তে আমাদের শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন?
শোবিজ ইন্ডাস্ট্রি এখন নিম্নগামী। ভালো গল্পের অভাব, ভালো লেখকদের কাজ কম। যাঁরা আগে ভালো নাটক লিখতেন, তাঁদের কাছ থেকে গল্প নেওয়া হয় না। গল্প এখন খাওয়ার জিনিস। যে ধরনের গল্প দর্শক খায়, সেটা নিয়েই কাজ হয়। আগে পরিবারকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে অনেক কাজ হতো। আমি মনে করি, এখনো এমন কাজের প্রয়োজন আছে। অনেকে বলে, নাটক দেখে শেখার কিছু নেই, এখানে জ্ঞান দিতে আসিনি। কিন্তু আমি মনে করি, নাটক থেকে শেখার অনেক বিষয় আছে। এখান থেকে ভাষাচর্চা যেমন হয়, তেমনি কার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হবে, সেটাও শেখা যায়। নাটককে বলা হয় সমাজবদলের হাতিয়ার। এখনো সেটাই হওয়া উচিত।
এখন কাজের ক্ষেত্রেও ভিউ, ভাইরাল প্রভাব ফেলছে। এ বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?
অনলাইনে নাটক আসার পর প্রচারের ব্যাপকতা বেড়েছে। আমি যে সময় কাজ শুরু করেছি, তখন এমনটা ছিল না। তখন ইউটিউবের ব্যাপারটা থাকলে অনেক দর্শক আমাদের কাজ দেখতে পারত। বাংলা নাটক আরও ছড়িয়ে যেত। তখনকার কাজগুলোতে মূল্যবোধের যে বিষয় ছিল, সেটা এখন নেই। এখন সব শর্টকাট হয়ে গেছে। তাই স্বল্প সময়ে হাসি বা আনন্দের কিছু দেখতেই পছন্দ করছে সবাই। এখন হালকা বিষয়ের ভিউ বেশি। ভিউর বিচারে কনটেন্ট নির্মিত হচ্ছে। কী দিলে ভিউ বেশি হবে, সবার মাথায় সেই চিন্তা। মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। শিল্পী বাছাইয়েও ভিউ হয়ে উঠছে মানদণ্ড। যার যত ভিউ, তার তত কাজ। এটা এখন ওপেন সিক্রেট। ঘুরেফিরে সব একই চেহারা। তাই শিল্পীদের কাজ কমে গেছে, গুণী অনেক শিল্পী হারিয়ে যাচ্ছেন।

নৃত্যশিল্পী হিসেবে আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে বলুন।
ছোটবেলায় মা আমাকে শিশু একাডেমিতে নাচের ক্লাসে ভর্তি করান। আমার গুরু ছিলেন প্রয়াত হাবিবুল চৌধুরী। খুব ছোট থাকতেই জাতীয় শিশু পুরস্কার পাই। সেখান থেকে ১৯৮৯ সালে শিশু প্রতিনিধিদলের হয়ে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরের জন্য নির্বাচিত হই। এরপর আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। পরে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সাত বছরের একটি ডিপ্লোমা করি। রেজাল্ট ছিল ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। এরপর শিবলী মহম্মদ, শামীম আরা নিপার কাছে শিখেছি। দীপা খন্দকারের কাছে ফোক শিখেছি, তামান্না রহমানের কাছে মণিপুরি, বেলায়েত হোসেনের কাছে ভরতনাট্যম শিখেছি। আরও অনেকের কাছে শেখা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে লিখনের সঙ্গে আমার একটা জুটি তৈরি হয়। সে সময় নাচের জুটির প্রচলন ছিল। শেখা, পারফর্ম, বিদেশ সফর মিলিয়ে চলেছে আমার নৃত্যের ক্যারিয়ার। নাচের কারণেই তো আমার অভিনয়ে আসা।
নৃত্যকে পেশা হিসেবে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছে?
আমাদের দেশে অসংখ্য নৃত্যশিল্পী আছেন। আমার সিনিয়র অনেকে শুধু নৃত্যকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। কোনো অনুষ্ঠান কিন্তু নাচ ছাড়া চলে না। তবে অভিনয়শিল্পটা যেভাবে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে গেছে, নাচের ক্ষেত্রে অতটা হয়নি।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।
আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’
সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’। পিকাসো খুদার রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন মারুফের রহমান। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ ও আইশা খান। গল্পে দেখা যাবে, অনেক চেষ্টার পর চাকরি পেয়ে রাহাত গ্রামে যায় মাকে সারপ্রাইজ দিতে। মাকে তার প্রেমিকা মিতুর কথা জানায়। মিতু একই গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। মিতুর বাবা বিয়েতে আপত্তি করে না। তবে কঠিন এক শর্ত দেয়।
এনটিভিতে রাত সাড়ে ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘ফেরা’। রচনা ও পরিচালনায় পাভেল ইসলাম। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রান্তর দস্তিদার, অনিন্দিতা মিমি, সুষমা সরকার, পাভেল ইসলাম, ফাহমিদা শারমিন ফাহমি প্রমুখ।
আরটিভিতে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘এই রাত তোমার আমার’-এর বিশেষ পর্ব। গান শোনাবেন সাব্বির জামান ও রাকিবা ঐশী। রাত ৮টায় দেখা যাবে নাটক ‘চলো বদলে যাই’। রচনা ও পরিচালনা ইসতিয়াক আহমেদ রুমেল। অভিনয়ে ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল প্রমুখ।
বড়দিন উপলক্ষে শিশুতোষ টিভি চ্যানেল দুরন্ত টিভি প্রচার করবে একাধিক অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টায় থাকছে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ‘আজি শুভদিনে’। বেলা ১টা ও রাত ৯টায় দেখা যাবে নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা সিজন ৩’-এর বিশেষ পর্ব। গল্পে দেখা যাবে, ডাক্তার সফদার চৌধুরী এবং তাঁর বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের শিশুদের মধ্যে চলে বড়দিন উদ্যাপনের বিশেষ আয়োজন। ঘটনাক্রমে সান্তা ক্লজের পোশাকসহ বড়দিনের কেনা সব গিফট ছিনতাই হয়ে যায়। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, শাহনাজ খুশী, শিশুশিল্পী কাজী আফরা ইভিলিনা, ইশরাক, সমাদৃতা প্রহর, আয়াজ মাহমুদ প্রমুখ। পরিচালনা করেছেন পার্থ প্রতিম হালদার।
বেলা ২টায় প্রচারিত হবে রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘বানাই মজার খাবার মা-বাবা আর আমি’। এ পর্বের অতিথি হ্যানশেন লুকাস অধিকারী তমন ও তার মা। তারা আনন্দ করে, গল্প-আড্ডায় মেতে বড়দিনের স্পেশাল খাবার রান্না করে। পরিচালনা করেছেন আমিনা নওশিন রাইসা, সঞ্চালনায় রন্ধনশিল্পী আফিফা আখতার লিটা।

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান। গানটি জনপ্রিয় হয়ে উঠলে ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া দীপংকর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় ব্যবহার করা হয়। সিনেমা মুক্তির আট বছর পর সম্প্রতি মতিন চৌধুরী জানালেন, ঢাকা অ্যাটাক-এ টিকাটুলীর মোড়ে গানটি করার জন্য তিনি কোনো অর্থ পাননি। পরিচালক দীপংকর দীপন তাঁকে বঞ্চিত করেছেন বলে অভিযোগ মতিন চৌধুরীর।
মতিন চৌধুরী জানান, টিকাটুলীর মোড়ে গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহারের শর্ত হিসেবে ইউটিউব থেকে আয়ের অর্ধেক দাবি করেছিলেন তিনি। নির্মাতা তখন রাজি হলেও সে অনুযায়ী টাকা দেওয়া হয়নি তাঁকে। মতিন চৌধুরী বলেন, ‘দীপংকর দীপন সাহেব সিনেমায় গানটি ব্যবহারের জন্য তিন মাস আমাকে খুঁজেছেন। একসময় টঙ্গীতে আমার এক বন্ধুর স্টুডিওতে গিয়ে আমার নম্বর পান। এরপর সংগীত পরিচালক শাহীন কামাল ও মামুন আকন্দকে নিয়ে দীপংকর দীপনের অফিসে যাই। তিনি বলেন, গানটি ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় ব্যবহার করবেন। ভিডিওতে আমি থাকব। বিনিময়ে আমার কী চাহিদা জানতে চাইলে বলেছিলাম, আমার বেশি চাহিদা নেই। ইউটিউবে এই গানের ব্যবসা থেকে আমাকে অর্ধেকটা দিতে হবে। এটা স্ট্যাম্পে ডিড করতে হবে বলে জানাই। তিনিও রাজি হন।’
মতিন চৌধুরী আরও বলেন, ‘এক মাস পর উনি ফোন করে বলেন, গানের শুটিং আছে, আমি যেন গ্রুপ নিয়ে এফডিসিতে যাই। সে সময়ও তাঁকে ডিডের কথা মনে করিয়ে দিই। উনি জবাব দেন, অবশ্যই ডিড করব, আপনি চলে আসেন। কথা অনুযায়ী এফডিসিতে দুই রাত শুটিং করলাম। কিন্তু ডিড আর করা হলো না। আমার সঙ্গে তাঁরা বেইমানি করেছেন। এই গান থেকে আমি কিছু পাইনি। অথচ, তাঁরা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। শুধু তা-ই নয়, দীপংকর সাহেব বলেছিলেন, আমাকে বিভিন্ন চ্যানেলে লাইভ গান করার সুযোগ করে দেবেন। সেটাও করেননি। আজ আমি লাখ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে আমাকে বঞ্চিত করেছেন দীপংকর সাহেব।’
ঢাকা অ্যাটাক সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেন সানী সানোয়ার। ২০২১ সালে সানী সানোয়ার পরিচালিত ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় মতিন চৌধুরী গেয়েছিলেন টিকাটুলীর মোড়ে গানের নতুন ভার্সন ‘পান্থপথের মোড়ে’। সে সময় ঢাকা অ্যাটাকের চুক্তির বিষয়টি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে মতিন চৌধুরী বলেন, ‘তখন আমাকে বলেছিল দীপংকর দীপনের সঙ্গে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন। নতুন গানের জন্য আমাকে কিছু পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আর কোনো সমাধান হয়নি।’
মতিন চৌধুরীর অভিযোগের বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই নির্মাতা। দীপংকর দীপন বলেন, ‘বিষয়টি মোটেও সত্য নয়। গানের জন্য সে সময় তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়া হয়েছে। আর ইউটিউবের বিষয়টি তিনি এখন কেন বলছেন, তা আমার জানা নেই। যখন ঢাকা অ্যাটাক তৈরি হয় তখন আমাদের দেশে ইউটিউবের এত প্রচলন ছিল না। এ নিয়ে আলোচনা হবে কীভাবে? আমি যখন তাঁকে টিকাটুলীর মোড়ে গানটি সিনেমায় ব্যবহারের প্রস্তাব দিই, তখন তিনি খুশি ছিলেন। তাঁর শুধু চাহিদা ছিল পর্দায় যেন তাঁকে দেখা যায়।’
দীপন আরও বলেন, ‘পারিশ্রমিকের বিষয়টি দেখভাল করেন প্রযোজক। ঢাকা অ্যাটাকের অন্য কুশলীদের মতো আমিও পারিশ্রমিক নিয়েছি। পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হলে তিনি প্রযোজকের সঙ্গে কথা বলবেন। আর যদি কোনো ঝামেলা থাকত তাহলে তো ঢাকা অ্যাটাকের পর মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় মতিন চৌধুরী গাইতেন না। ওটা তো একই প্রযোজক নির্মাণ করেছিলেন।’

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার প্ল্যাটফর্ম ঢাকা লিটল অপেরা। গত অক্টোবরে যাত্রা শুরু করা প্ল্যাটফর্মটি এবার মঞ্চে নিয়ে আসছে তাদের প্রথম নাটক। নাম ‘আনারসের ঢাকা সফর’। ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মহিলা সমিতিতে বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন। সন্ধ্যা ৭টায় হবে দ্বিতীয় প্রদর্শনী। নাটকটি লিখেছেন আনজীর লিটন, নির্দেশনায় মনামী ইসলাম কনক, সহযোগী নির্দেশনায় আছেন মনিরুজ্জামান রিপন।
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরের একটি বাগানের আনারসের ঢাকায় আসার গল্প নিয়ে লেখা হয়েছে নাটকটি। মধুপুরের বাগানে শিয়াল, কোকিল, কাক, ইঁদুর আর বিড়ালের খুনসুটি, দুষ্টুমির সঙ্গে এই বাগান ছেড়ে মানুষের কল্যাণে আনারসের বৃহত্তর আত্মত্যাগের গল্প নিয়েই এগিয়ে চলে আনারসের ঢাকা সফর।
কাওরানবাজারে বিক্রির পরে মানুষের পুষ্টি জোগাতে বিভিন্ন অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় আনারসগুলো। মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাওয়াই আনারসের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়। আনারসগুলো বিক্রির মাধ্যমে একজন সাধারণ কৃষকের শ্রম, সংগ্রাম ও আশা-ভরসার গল্পকে প্রাণবন্তভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সব আনারস বিক্রি হয়ে গেলেও দুটি আনারস আবার ফিরে আসে মধুপুরে। আনারস দুটির এই ফিরে আসা যেন শিকড়ের কাছেই ফিরে আসা। ওই আনারসের মাথার মুকুট থেকে আবারও নতুন বাগান গড়ে তোলে কৃষক ফুলগাজি।
ঢাকা লিটল অপেরার ডিরেক্টর মনিরুজ্জামান রিপন বলেন, ‘আনারসের ঢাকা সফর একটি বর্ণিল ও কল্পনাপ্রবণ নাট্য প্রযোজনা, যা গ্রামের জীবন ও শহরের সঙ্গে তার সংযোগকে তুলে ধরেছে। এই প্রযোজনার মধ্য দিয়ে শিশুদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে গল্প বলার একটি নতুন যাত্রা শুরু করল ঢাকা লিটল অপেরা।’
মনিরুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘ঢাকা লিটল অপেরা শিশুদের সাংস্কৃতিক বিকাশ ও নান্দনিক চর্চার আদর্শ একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে। শিশুদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিত আয়োজন করবে নাটক, কবিতা আবৃত্তি, পাঠাভিনয়, নৃত্য ও বাচিকসহ নানা সৃজনশীল কার্যক্রম।’

এতটা সময় পার করেছি, বুঝতেই পারিনি। অনেক স্মুথ ছিল জার্নিটা। সব সময় দর্শকের সাপোর্ট পেয়েছি, পরিবারের সাপোর্ট পেয়েছি; বিশেষ করে আমার মায়ের কথা বলতে হয়। তিনি ছায়ার মতো পাশে ছিলেন। তাঁর আদর্শেই চলার চেষ্টা করেছি। মায়ের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ
৩০ জানুয়ারি ২০২৫
প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব
১৪ ঘণ্টা আগে
আজ বড়দিন। খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করবে বিশেষ অনুষ্ঠান।রাত সাড়ে ১০টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটক ‘দ্বিপ্রহর’।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রায় তিন দশক আগে যখন বগুড়ার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাইতেন, তখন ‘টিকাটুলীর মোড়ে একটা হল রয়েছে’ গানটি লিখেছিলেন সংগীতশিল্পী মতিন চৌধুরী। পরবর্তী সময়ে ঢাকায় এসে মামুন আকন্দের সংগীত পরিচালনায় গানটি রেকর্ড করেন। ২০১০ সালে প্রকাশিত মতিন চৌধুরীর প্রথম অ্যালবাম ‘জীবন হলো সিগারেটের ছাই’-এ ছিল এই গান।
১৪ ঘণ্টা আগে