অর্ণব সান্যাল

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
পুরো সিরিজ দেখার নিখুঁত আহ্বান বলা চলে। তাতে সাড়া দিতে গিয়েই প্রায় তিনটি ঘণ্টা চলে গেল। একেবারে জলে কি গেল সময়? না। হোঁচট খেতে খেতেও পপাত ধরণিতল না হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে যেমন বোধ হয়, ঠিক তেমনটাই অনুভূতি এখন। সেই সঙ্গে আছে ‘পার্ট টু’ দেখার উদগ্র আগ্রহ। ‘কামিং সুন’ শব্দদুটো যত দ্রুত উঠে গিয়ে ‘এসে গেছে’ হয়, ততই যেন স্বস্তি! অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে কার না ভালো লাগে, বলুন?
বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের জগতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে বেশ। পরিবর্তন সব সময় ধীরে-সুস্থেই আসে। তবে হাওয়াটা টের পাওয়া যায়। বোঝা যায় পরিণত হওয়ার রেশ। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজটিতে সেই পরিবর্তিত হাওয়ার গন্ধ মেলে। ঠিক যেমনটা পাওয়া গিয়েছিল ‘সাবরিনা’ বা ‘কাইজার’-এও।
সৈয়দ আহমেদ শাওকীর তৈরি নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ১৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের পার্ট ওয়ান। সাতটি পর্বে সাজানো এই প্রথম অধ্যায়। এর আগে ‘তাকদীর’ দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক শাওকী। সুতরাং এবারের সিরিজ নিয়ে কিছুটা আগ্রহ আগে থেকেই মনে পোষা ছিল।
‘কারাগার’-এর গল্পটা নিয়ে হইচই লিখেছে, ‘আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলের সেল নাম্বার ১৪৫ গত পাঁচ দশক ধরে বন্ধ। অথচ সেই সেলেই উদয় হয়েছে এক অচেনা, অজানা, রহস্যময় কয়েদির। কে এই আগন্তুক আর সে এখানে কি করে পৌঁছাল?’
রহস্যের এই শুরুতে আসতে বেশি দেরি করেনি ‘কারাগার’। প্রথম পর্বেই আবির্ভাব ঘটে আগন্তুকের। এর পর থেকেই সেই রহস্যের জাল আরও জটিল হয়েছে ধীরে ধীরে। কখনো তাতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মীরজাফর এসেছে, কখনো এসেছে আন্দামানের সেই বিখ্যাত কারাগারের কথা। আবার কখনো আগন্তুকের আধিভৌতিক আচরণ ও অজানা জানার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দর্শকের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। তুলেছে অনেকগুলো প্রশ্ন, যার উত্তর পেতেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পার্ট টু-এর জন্য।
রহস্যকে অবলম্বন করে যত ওয়েব সিরিজ হয়, তাতে এই রহস্যাবৃত আবহকে টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ওটিটির দুনিয়ায় এই চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। অন্তত কারাগার-এর মুক্তি পাওয়া প্রথম অধ্যায়ের সাত নম্বর পর্বটি দেখার পর বলাই যায় যে, সেই চ্যালেঞ্জে পরিচালক উতরে গেছেন ভালোভাবেই। হ্যাঁ, চার নম্বর পর্ব থেকে মনে হতেই পারে, ‘এত আজগুবি বিষয়-আশয় টেনে আনা হচ্ছে কেন?’ কিন্তু পার্ট ওয়ানের শেষটায় এসে ঠিকই আগের সব ঘটনার কার্যকারণ স্পষ্ট রূপ পেতে শুরু করে। আর এখানটাতেই গল্প-চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অকুণ্ঠ বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
সাধারণভাবেই ওটিটির দুনিয়ায় ওয়েব সিরিজের এক সিজনে দুটি অধ্যায়ের সূচনা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, দর্শককে আটকে রাখতে হয় লম্বা সময় ধরে। শুধু গল্পে চমক আর অগণিত প্রশ্নের উদ্রেক করেই সেই কৌতূহল টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেটা এতটাই ঠাস-বুনটে করতে হয়, যাতে করে দর্শককুল ‘পার্ট টু, কামিং সুন’ দেখে উত্তর পাওয়ার বিষয়ে মানসিকভাবে আশ্বস্ত হতে পারেন এবং অপেক্ষার প্রহর গুনতে গররাজি হওয়ার সুযোগ না পান। এই কাজটি ‘কারাগার’ বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে, তবে আপাতত। পার্ট টু-ই হয়তো সেই ‘আপাতত’-কে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ তাতেই বোঝা যাবে, চকচক করা বস্তুটি আসলেই সোনা কিনা!
‘কারাগার’-এ অভিনয় করেছেন দক্ষ শিল্পীরা। পারিবারিক সমস্যার অস্থিরতায় আক্রান্ত জেলখানার হর্তাকর্তার ভূমিকায় ইন্তেখাব দিনার দুর্দান্ত। প্রথম থেকে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত একজন রহস্যে ঘেরা জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ আফজাল হোসেনের অভিনয় বলে দেয়, আসছে পর্বে তাঁর ভূমিকা হবে গল্পের মোড় ঘোরানো। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো ‘নির্ভেজাল’ কয়েদি হয়ে থাকবেন? মন মানে না! আর চঞ্চল চৌধুরী যেন প্রতি আয়োজনেই পর্দায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। হাওয়া থেকে কারাগারের শতবর্ষী সেলে আবির্ভূত হওয়া আগন্তুকের চরিত্রে তিনি ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য। বধির ও বোবার চরিত্রেও অবিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ দেননি। ঠিক যে সময়টায় গল্পের স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে আমাদের চমকে দিলেন, তা এতটাই পেলব কিন্তু প্রভাববিস্তারী ছিল যে, মনেই হয়নি এর অন্যথাও হতে পারত!
তবে রহস্যের জাল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে অন্যদিকে কিছু তালগোল পাকিয়েছে। জেলার আর তার ডিবি কর্মকর্তা বন্ধুটির বয়স বা সার্বিক পরিস্থিতি কি মিলেছে বাস্তবতা অনুযায়ী? শুধু পাকা চুলেই কি বয়স নির্ধারিত হয় সব সময়? আর সেটি হলে কতটা হয়? ইন্তেখাব দিনার বা বিজরী বরকতউল্লাহর সঙ্গে এফ এস নাঈম এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাসনিয়া ফারিণের চরিত্রটি কি বয়সের মাপকাঠিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে? খটকা কিন্তু থেকেই যায়। আরও খটকা লাগে একজন জেলারের ছেলেকে পুলিশের ইনফরমার হওয়ার দরুন প্রাণ বাঁচাতে বন্দীজীবন বেছে নেওয়ার কাহিনিতে। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের (তা সীমান্তের এপার হোক বা ওপার) বাস্তবতা অনুযায়ী এমন কাহিনিতে আস্থা রাখতে একটু কষ্টই হয় বটে। আবার সিরিজটির কিছু কিছু দৃশ্যে বুঝতে কষ্ট হয় ডায়লগও। হয়তো দৃশ্যের প্রয়োজনেই তেমনটা করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের কান পর্যন্ত না পৌঁছালে লাভটা কী?
ক্যামেরার চোখে ‘কারাগার’ সুন্দর। পর্দায় দেখানো এক রহস্যময় নারীর একজোড়া চোখও আকর্ষণীয়। কালো বোরকা পরিহিত সেই নারীর দু চোখেই পাওয়া যায় আরও রহস্যের আভাস। দুই চোখের চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীর নাম চোখ পড়ে বলাই যায়। কিন্তু থাক না কিছু না বলা। পাঠক, বরং নিজেই দেখে নিতে পারেন। পুরো ওয়েব সিরিজ দেখতে সময় নেবে কয়েক ঘণ্টাই তো। ‘সময়টা নষ্ট হলো’—এই কথাটা ভাবার অবকাশ পাবেন না, সেটি আশ্বস্ত করতে পারি।
প্রথম সিজনের পার্ট টু দেখার আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে ‘কারাগার’ সফল। সার্থকতার মাপকাঠিতে এই সৃষ্টিকর্মটি কত নম্বর পাবে, সেটি ঠিক করতে অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কারণ, মূল পরীক্ষা যে হবে পার্ট টু-তে। বরং আস্থা রাখ যাক ‘কামিং সুন’ বলা ঘোষণাটিতেই!

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
পুরো সিরিজ দেখার নিখুঁত আহ্বান বলা চলে। তাতে সাড়া দিতে গিয়েই প্রায় তিনটি ঘণ্টা চলে গেল। একেবারে জলে কি গেল সময়? না। হোঁচট খেতে খেতেও পপাত ধরণিতল না হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে যেমন বোধ হয়, ঠিক তেমনটাই অনুভূতি এখন। সেই সঙ্গে আছে ‘পার্ট টু’ দেখার উদগ্র আগ্রহ। ‘কামিং সুন’ শব্দদুটো যত দ্রুত উঠে গিয়ে ‘এসে গেছে’ হয়, ততই যেন স্বস্তি! অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে কার না ভালো লাগে, বলুন?
বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের জগতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে বেশ। পরিবর্তন সব সময় ধীরে-সুস্থেই আসে। তবে হাওয়াটা টের পাওয়া যায়। বোঝা যায় পরিণত হওয়ার রেশ। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজটিতে সেই পরিবর্তিত হাওয়ার গন্ধ মেলে। ঠিক যেমনটা পাওয়া গিয়েছিল ‘সাবরিনা’ বা ‘কাইজার’-এও।
সৈয়দ আহমেদ শাওকীর তৈরি নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ১৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের পার্ট ওয়ান। সাতটি পর্বে সাজানো এই প্রথম অধ্যায়। এর আগে ‘তাকদীর’ দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক শাওকী। সুতরাং এবারের সিরিজ নিয়ে কিছুটা আগ্রহ আগে থেকেই মনে পোষা ছিল।
‘কারাগার’-এর গল্পটা নিয়ে হইচই লিখেছে, ‘আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলের সেল নাম্বার ১৪৫ গত পাঁচ দশক ধরে বন্ধ। অথচ সেই সেলেই উদয় হয়েছে এক অচেনা, অজানা, রহস্যময় কয়েদির। কে এই আগন্তুক আর সে এখানে কি করে পৌঁছাল?’
রহস্যের এই শুরুতে আসতে বেশি দেরি করেনি ‘কারাগার’। প্রথম পর্বেই আবির্ভাব ঘটে আগন্তুকের। এর পর থেকেই সেই রহস্যের জাল আরও জটিল হয়েছে ধীরে ধীরে। কখনো তাতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মীরজাফর এসেছে, কখনো এসেছে আন্দামানের সেই বিখ্যাত কারাগারের কথা। আবার কখনো আগন্তুকের আধিভৌতিক আচরণ ও অজানা জানার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দর্শকের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। তুলেছে অনেকগুলো প্রশ্ন, যার উত্তর পেতেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পার্ট টু-এর জন্য।
রহস্যকে অবলম্বন করে যত ওয়েব সিরিজ হয়, তাতে এই রহস্যাবৃত আবহকে টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ওটিটির দুনিয়ায় এই চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। অন্তত কারাগার-এর মুক্তি পাওয়া প্রথম অধ্যায়ের সাত নম্বর পর্বটি দেখার পর বলাই যায় যে, সেই চ্যালেঞ্জে পরিচালক উতরে গেছেন ভালোভাবেই। হ্যাঁ, চার নম্বর পর্ব থেকে মনে হতেই পারে, ‘এত আজগুবি বিষয়-আশয় টেনে আনা হচ্ছে কেন?’ কিন্তু পার্ট ওয়ানের শেষটায় এসে ঠিকই আগের সব ঘটনার কার্যকারণ স্পষ্ট রূপ পেতে শুরু করে। আর এখানটাতেই গল্প-চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অকুণ্ঠ বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
সাধারণভাবেই ওটিটির দুনিয়ায় ওয়েব সিরিজের এক সিজনে দুটি অধ্যায়ের সূচনা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, দর্শককে আটকে রাখতে হয় লম্বা সময় ধরে। শুধু গল্পে চমক আর অগণিত প্রশ্নের উদ্রেক করেই সেই কৌতূহল টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেটা এতটাই ঠাস-বুনটে করতে হয়, যাতে করে দর্শককুল ‘পার্ট টু, কামিং সুন’ দেখে উত্তর পাওয়ার বিষয়ে মানসিকভাবে আশ্বস্ত হতে পারেন এবং অপেক্ষার প্রহর গুনতে গররাজি হওয়ার সুযোগ না পান। এই কাজটি ‘কারাগার’ বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে, তবে আপাতত। পার্ট টু-ই হয়তো সেই ‘আপাতত’-কে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ তাতেই বোঝা যাবে, চকচক করা বস্তুটি আসলেই সোনা কিনা!
‘কারাগার’-এ অভিনয় করেছেন দক্ষ শিল্পীরা। পারিবারিক সমস্যার অস্থিরতায় আক্রান্ত জেলখানার হর্তাকর্তার ভূমিকায় ইন্তেখাব দিনার দুর্দান্ত। প্রথম থেকে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত একজন রহস্যে ঘেরা জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ আফজাল হোসেনের অভিনয় বলে দেয়, আসছে পর্বে তাঁর ভূমিকা হবে গল্পের মোড় ঘোরানো। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো ‘নির্ভেজাল’ কয়েদি হয়ে থাকবেন? মন মানে না! আর চঞ্চল চৌধুরী যেন প্রতি আয়োজনেই পর্দায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। হাওয়া থেকে কারাগারের শতবর্ষী সেলে আবির্ভূত হওয়া আগন্তুকের চরিত্রে তিনি ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য। বধির ও বোবার চরিত্রেও অবিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ দেননি। ঠিক যে সময়টায় গল্পের স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে আমাদের চমকে দিলেন, তা এতটাই পেলব কিন্তু প্রভাববিস্তারী ছিল যে, মনেই হয়নি এর অন্যথাও হতে পারত!
তবে রহস্যের জাল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে অন্যদিকে কিছু তালগোল পাকিয়েছে। জেলার আর তার ডিবি কর্মকর্তা বন্ধুটির বয়স বা সার্বিক পরিস্থিতি কি মিলেছে বাস্তবতা অনুযায়ী? শুধু পাকা চুলেই কি বয়স নির্ধারিত হয় সব সময়? আর সেটি হলে কতটা হয়? ইন্তেখাব দিনার বা বিজরী বরকতউল্লাহর সঙ্গে এফ এস নাঈম এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাসনিয়া ফারিণের চরিত্রটি কি বয়সের মাপকাঠিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে? খটকা কিন্তু থেকেই যায়। আরও খটকা লাগে একজন জেলারের ছেলেকে পুলিশের ইনফরমার হওয়ার দরুন প্রাণ বাঁচাতে বন্দীজীবন বেছে নেওয়ার কাহিনিতে। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের (তা সীমান্তের এপার হোক বা ওপার) বাস্তবতা অনুযায়ী এমন কাহিনিতে আস্থা রাখতে একটু কষ্টই হয় বটে। আবার সিরিজটির কিছু কিছু দৃশ্যে বুঝতে কষ্ট হয় ডায়লগও। হয়তো দৃশ্যের প্রয়োজনেই তেমনটা করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের কান পর্যন্ত না পৌঁছালে লাভটা কী?
ক্যামেরার চোখে ‘কারাগার’ সুন্দর। পর্দায় দেখানো এক রহস্যময় নারীর একজোড়া চোখও আকর্ষণীয়। কালো বোরকা পরিহিত সেই নারীর দু চোখেই পাওয়া যায় আরও রহস্যের আভাস। দুই চোখের চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীর নাম চোখ পড়ে বলাই যায়। কিন্তু থাক না কিছু না বলা। পাঠক, বরং নিজেই দেখে নিতে পারেন। পুরো ওয়েব সিরিজ দেখতে সময় নেবে কয়েক ঘণ্টাই তো। ‘সময়টা নষ্ট হলো’—এই কথাটা ভাবার অবকাশ পাবেন না, সেটি আশ্বস্ত করতে পারি।
প্রথম সিজনের পার্ট টু দেখার আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে ‘কারাগার’ সফল। সার্থকতার মাপকাঠিতে এই সৃষ্টিকর্মটি কত নম্বর পাবে, সেটি ঠিক করতে অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কারণ, মূল পরীক্ষা যে হবে পার্ট টু-তে। বরং আস্থা রাখ যাক ‘কামিং সুন’ বলা ঘোষণাটিতেই!
অর্ণব সান্যাল

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
পুরো সিরিজ দেখার নিখুঁত আহ্বান বলা চলে। তাতে সাড়া দিতে গিয়েই প্রায় তিনটি ঘণ্টা চলে গেল। একেবারে জলে কি গেল সময়? না। হোঁচট খেতে খেতেও পপাত ধরণিতল না হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে যেমন বোধ হয়, ঠিক তেমনটাই অনুভূতি এখন। সেই সঙ্গে আছে ‘পার্ট টু’ দেখার উদগ্র আগ্রহ। ‘কামিং সুন’ শব্দদুটো যত দ্রুত উঠে গিয়ে ‘এসে গেছে’ হয়, ততই যেন স্বস্তি! অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে কার না ভালো লাগে, বলুন?
বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের জগতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে বেশ। পরিবর্তন সব সময় ধীরে-সুস্থেই আসে। তবে হাওয়াটা টের পাওয়া যায়। বোঝা যায় পরিণত হওয়ার রেশ। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজটিতে সেই পরিবর্তিত হাওয়ার গন্ধ মেলে। ঠিক যেমনটা পাওয়া গিয়েছিল ‘সাবরিনা’ বা ‘কাইজার’-এও।
সৈয়দ আহমেদ শাওকীর তৈরি নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ১৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের পার্ট ওয়ান। সাতটি পর্বে সাজানো এই প্রথম অধ্যায়। এর আগে ‘তাকদীর’ দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক শাওকী। সুতরাং এবারের সিরিজ নিয়ে কিছুটা আগ্রহ আগে থেকেই মনে পোষা ছিল।
‘কারাগার’-এর গল্পটা নিয়ে হইচই লিখেছে, ‘আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলের সেল নাম্বার ১৪৫ গত পাঁচ দশক ধরে বন্ধ। অথচ সেই সেলেই উদয় হয়েছে এক অচেনা, অজানা, রহস্যময় কয়েদির। কে এই আগন্তুক আর সে এখানে কি করে পৌঁছাল?’
রহস্যের এই শুরুতে আসতে বেশি দেরি করেনি ‘কারাগার’। প্রথম পর্বেই আবির্ভাব ঘটে আগন্তুকের। এর পর থেকেই সেই রহস্যের জাল আরও জটিল হয়েছে ধীরে ধীরে। কখনো তাতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মীরজাফর এসেছে, কখনো এসেছে আন্দামানের সেই বিখ্যাত কারাগারের কথা। আবার কখনো আগন্তুকের আধিভৌতিক আচরণ ও অজানা জানার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দর্শকের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। তুলেছে অনেকগুলো প্রশ্ন, যার উত্তর পেতেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পার্ট টু-এর জন্য।
রহস্যকে অবলম্বন করে যত ওয়েব সিরিজ হয়, তাতে এই রহস্যাবৃত আবহকে টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ওটিটির দুনিয়ায় এই চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। অন্তত কারাগার-এর মুক্তি পাওয়া প্রথম অধ্যায়ের সাত নম্বর পর্বটি দেখার পর বলাই যায় যে, সেই চ্যালেঞ্জে পরিচালক উতরে গেছেন ভালোভাবেই। হ্যাঁ, চার নম্বর পর্ব থেকে মনে হতেই পারে, ‘এত আজগুবি বিষয়-আশয় টেনে আনা হচ্ছে কেন?’ কিন্তু পার্ট ওয়ানের শেষটায় এসে ঠিকই আগের সব ঘটনার কার্যকারণ স্পষ্ট রূপ পেতে শুরু করে। আর এখানটাতেই গল্প-চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অকুণ্ঠ বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
সাধারণভাবেই ওটিটির দুনিয়ায় ওয়েব সিরিজের এক সিজনে দুটি অধ্যায়ের সূচনা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, দর্শককে আটকে রাখতে হয় লম্বা সময় ধরে। শুধু গল্পে চমক আর অগণিত প্রশ্নের উদ্রেক করেই সেই কৌতূহল টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেটা এতটাই ঠাস-বুনটে করতে হয়, যাতে করে দর্শককুল ‘পার্ট টু, কামিং সুন’ দেখে উত্তর পাওয়ার বিষয়ে মানসিকভাবে আশ্বস্ত হতে পারেন এবং অপেক্ষার প্রহর গুনতে গররাজি হওয়ার সুযোগ না পান। এই কাজটি ‘কারাগার’ বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে, তবে আপাতত। পার্ট টু-ই হয়তো সেই ‘আপাতত’-কে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ তাতেই বোঝা যাবে, চকচক করা বস্তুটি আসলেই সোনা কিনা!
‘কারাগার’-এ অভিনয় করেছেন দক্ষ শিল্পীরা। পারিবারিক সমস্যার অস্থিরতায় আক্রান্ত জেলখানার হর্তাকর্তার ভূমিকায় ইন্তেখাব দিনার দুর্দান্ত। প্রথম থেকে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত একজন রহস্যে ঘেরা জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ আফজাল হোসেনের অভিনয় বলে দেয়, আসছে পর্বে তাঁর ভূমিকা হবে গল্পের মোড় ঘোরানো। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো ‘নির্ভেজাল’ কয়েদি হয়ে থাকবেন? মন মানে না! আর চঞ্চল চৌধুরী যেন প্রতি আয়োজনেই পর্দায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। হাওয়া থেকে কারাগারের শতবর্ষী সেলে আবির্ভূত হওয়া আগন্তুকের চরিত্রে তিনি ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য। বধির ও বোবার চরিত্রেও অবিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ দেননি। ঠিক যে সময়টায় গল্পের স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে আমাদের চমকে দিলেন, তা এতটাই পেলব কিন্তু প্রভাববিস্তারী ছিল যে, মনেই হয়নি এর অন্যথাও হতে পারত!
তবে রহস্যের জাল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে অন্যদিকে কিছু তালগোল পাকিয়েছে। জেলার আর তার ডিবি কর্মকর্তা বন্ধুটির বয়স বা সার্বিক পরিস্থিতি কি মিলেছে বাস্তবতা অনুযায়ী? শুধু পাকা চুলেই কি বয়স নির্ধারিত হয় সব সময়? আর সেটি হলে কতটা হয়? ইন্তেখাব দিনার বা বিজরী বরকতউল্লাহর সঙ্গে এফ এস নাঈম এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাসনিয়া ফারিণের চরিত্রটি কি বয়সের মাপকাঠিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে? খটকা কিন্তু থেকেই যায়। আরও খটকা লাগে একজন জেলারের ছেলেকে পুলিশের ইনফরমার হওয়ার দরুন প্রাণ বাঁচাতে বন্দীজীবন বেছে নেওয়ার কাহিনিতে। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের (তা সীমান্তের এপার হোক বা ওপার) বাস্তবতা অনুযায়ী এমন কাহিনিতে আস্থা রাখতে একটু কষ্টই হয় বটে। আবার সিরিজটির কিছু কিছু দৃশ্যে বুঝতে কষ্ট হয় ডায়লগও। হয়তো দৃশ্যের প্রয়োজনেই তেমনটা করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের কান পর্যন্ত না পৌঁছালে লাভটা কী?
ক্যামেরার চোখে ‘কারাগার’ সুন্দর। পর্দায় দেখানো এক রহস্যময় নারীর একজোড়া চোখও আকর্ষণীয়। কালো বোরকা পরিহিত সেই নারীর দু চোখেই পাওয়া যায় আরও রহস্যের আভাস। দুই চোখের চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীর নাম চোখ পড়ে বলাই যায়। কিন্তু থাক না কিছু না বলা। পাঠক, বরং নিজেই দেখে নিতে পারেন। পুরো ওয়েব সিরিজ দেখতে সময় নেবে কয়েক ঘণ্টাই তো। ‘সময়টা নষ্ট হলো’—এই কথাটা ভাবার অবকাশ পাবেন না, সেটি আশ্বস্ত করতে পারি।
প্রথম সিজনের পার্ট টু দেখার আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে ‘কারাগার’ সফল। সার্থকতার মাপকাঠিতে এই সৃষ্টিকর্মটি কত নম্বর পাবে, সেটি ঠিক করতে অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কারণ, মূল পরীক্ষা যে হবে পার্ট টু-তে। বরং আস্থা রাখ যাক ‘কামিং সুন’ বলা ঘোষণাটিতেই!

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
পুরো সিরিজ দেখার নিখুঁত আহ্বান বলা চলে। তাতে সাড়া দিতে গিয়েই প্রায় তিনটি ঘণ্টা চলে গেল। একেবারে জলে কি গেল সময়? না। হোঁচট খেতে খেতেও পপাত ধরণিতল না হয়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারলে যেমন বোধ হয়, ঠিক তেমনটাই অনুভূতি এখন। সেই সঙ্গে আছে ‘পার্ট টু’ দেখার উদগ্র আগ্রহ। ‘কামিং সুন’ শব্দদুটো যত দ্রুত উঠে গিয়ে ‘এসে গেছে’ হয়, ততই যেন স্বস্তি! অজানা প্রশ্নের উত্তর পেতে কার না ভালো লাগে, বলুন?
বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের জগতে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে বেশ। পরিবর্তন সব সময় ধীরে-সুস্থেই আসে। তবে হাওয়াটা টের পাওয়া যায়। বোঝা যায় পরিণত হওয়ার রেশ। সৈয়দ আহমেদ শাওকীর ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজটিতে সেই পরিবর্তিত হাওয়ার গন্ধ মেলে। ঠিক যেমনটা পাওয়া গিয়েছিল ‘সাবরিনা’ বা ‘কাইজার’-এও।
সৈয়দ আহমেদ শাওকীর তৈরি নতুন ওয়েব সিরিজ ‘কারাগার’। ১৯ আগস্ট ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-তে মুক্তি পেয়েছে এই সিরিজের পার্ট ওয়ান। সাতটি পর্বে সাজানো এই প্রথম অধ্যায়। এর আগে ‘তাকদীর’ দিয়ে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন পরিচালক শাওকী। সুতরাং এবারের সিরিজ নিয়ে কিছুটা আগ্রহ আগে থেকেই মনে পোষা ছিল।
‘কারাগার’-এর গল্পটা নিয়ে হইচই লিখেছে, ‘আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলের সেল নাম্বার ১৪৫ গত পাঁচ দশক ধরে বন্ধ। অথচ সেই সেলেই উদয় হয়েছে এক অচেনা, অজানা, রহস্যময় কয়েদির। কে এই আগন্তুক আর সে এখানে কি করে পৌঁছাল?’
রহস্যের এই শুরুতে আসতে বেশি দেরি করেনি ‘কারাগার’। প্রথম পর্বেই আবির্ভাব ঘটে আগন্তুকের। এর পর থেকেই সেই রহস্যের জাল আরও জটিল হয়েছে ধীরে ধীরে। কখনো তাতে নবাব সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মীরজাফর এসেছে, কখনো এসেছে আন্দামানের সেই বিখ্যাত কারাগারের কথা। আবার কখনো আগন্তুকের আধিভৌতিক আচরণ ও অজানা জানার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দর্শকের কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। তুলেছে অনেকগুলো প্রশ্ন, যার উত্তর পেতেই আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে পার্ট টু-এর জন্য।
রহস্যকে অবলম্বন করে যত ওয়েব সিরিজ হয়, তাতে এই রহস্যাবৃত আবহকে টিকিয়ে রাখাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ওটিটির দুনিয়ায় এই চ্যালেঞ্জ আরও বড় হয়ে দেখা দেয়। অন্তত কারাগার-এর মুক্তি পাওয়া প্রথম অধ্যায়ের সাত নম্বর পর্বটি দেখার পর বলাই যায় যে, সেই চ্যালেঞ্জে পরিচালক উতরে গেছেন ভালোভাবেই। হ্যাঁ, চার নম্বর পর্ব থেকে মনে হতেই পারে, ‘এত আজগুবি বিষয়-আশয় টেনে আনা হচ্ছে কেন?’ কিন্তু পার্ট ওয়ানের শেষটায় এসে ঠিকই আগের সব ঘটনার কার্যকারণ স্পষ্ট রূপ পেতে শুরু করে। আর এখানটাতেই গল্প-চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক অকুণ্ঠ বাহবা পাওয়ার যোগ্য।
সাধারণভাবেই ওটিটির দুনিয়ায় ওয়েব সিরিজের এক সিজনে দুটি অধ্যায়ের সূচনা করা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, দর্শককে আটকে রাখতে হয় লম্বা সময় ধরে। শুধু গল্পে চমক আর অগণিত প্রশ্নের উদ্রেক করেই সেই কৌতূহল টিকিয়ে রাখা সম্ভব। সেটা এতটাই ঠাস-বুনটে করতে হয়, যাতে করে দর্শককুল ‘পার্ট টু, কামিং সুন’ দেখে উত্তর পাওয়ার বিষয়ে মানসিকভাবে আশ্বস্ত হতে পারেন এবং অপেক্ষার প্রহর গুনতে গররাজি হওয়ার সুযোগ না পান। এই কাজটি ‘কারাগার’ বেশ ভালোভাবেই করতে পেরেছে, তবে আপাতত। পার্ট টু-ই হয়তো সেই ‘আপাতত’-কে উড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কারণ তাতেই বোঝা যাবে, চকচক করা বস্তুটি আসলেই সোনা কিনা!
‘কারাগার’-এ অভিনয় করেছেন দক্ষ শিল্পীরা। পারিবারিক সমস্যার অস্থিরতায় আক্রান্ত জেলখানার হর্তাকর্তার ভূমিকায় ইন্তেখাব দিনার দুর্দান্ত। প্রথম থেকে সপ্তম পর্ব পর্যন্ত একজন রহস্যে ঘেরা জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ আফজাল হোসেনের অভিনয় বলে দেয়, আসছে পর্বে তাঁর ভূমিকা হবে গল্পের মোড় ঘোরানো। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কি সত্যিই বিড়ালকে দুধ খাওয়ানো ‘নির্ভেজাল’ কয়েদি হয়ে থাকবেন? মন মানে না! আর চঞ্চল চৌধুরী যেন প্রতি আয়োজনেই পর্দায় নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়েছেন। হাওয়া থেকে কারাগারের শতবর্ষী সেলে আবির্ভূত হওয়া আগন্তুকের চরিত্রে তিনি ছিলেন বিশ্বাসযোগ্য। বধির ও বোবার চরিত্রেও অবিশ্বাসী হওয়ার সুযোগ দেননি। ঠিক যে সময়টায় গল্পের স্টিয়ারিং হাতে নিয়ে আমাদের চমকে দিলেন, তা এতটাই পেলব কিন্তু প্রভাববিস্তারী ছিল যে, মনেই হয়নি এর অন্যথাও হতে পারত!
তবে রহস্যের জাল নিশ্ছিদ্র করতে গিয়ে অন্যদিকে কিছু তালগোল পাকিয়েছে। জেলার আর তার ডিবি কর্মকর্তা বন্ধুটির বয়স বা সার্বিক পরিস্থিতি কি মিলেছে বাস্তবতা অনুযায়ী? শুধু পাকা চুলেই কি বয়স নির্ধারিত হয় সব সময়? আর সেটি হলে কতটা হয়? ইন্তেখাব দিনার বা বিজরী বরকতউল্লাহর সঙ্গে এফ এস নাঈম এবং তৎসংশ্লিষ্ট তাসনিয়া ফারিণের চরিত্রটি কি বয়সের মাপকাঠিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে? খটকা কিন্তু থেকেই যায়। আরও খটকা লাগে একজন জেলারের ছেলেকে পুলিশের ইনফরমার হওয়ার দরুন প্রাণ বাঁচাতে বন্দীজীবন বেছে নেওয়ার কাহিনিতে। বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলের (তা সীমান্তের এপার হোক বা ওপার) বাস্তবতা অনুযায়ী এমন কাহিনিতে আস্থা রাখতে একটু কষ্টই হয় বটে। আবার সিরিজটির কিছু কিছু দৃশ্যে বুঝতে কষ্ট হয় ডায়লগও। হয়তো দৃশ্যের প্রয়োজনেই তেমনটা করা হয়েছে, কিন্তু দর্শকের কান পর্যন্ত না পৌঁছালে লাভটা কী?
ক্যামেরার চোখে ‘কারাগার’ সুন্দর। পর্দায় দেখানো এক রহস্যময় নারীর একজোড়া চোখও আকর্ষণীয়। কালো বোরকা পরিহিত সেই নারীর দু চোখেই পাওয়া যায় আরও রহস্যের আভাস। দুই চোখের চরিত্রে অভিনয় করা শিল্পীর নাম চোখ পড়ে বলাই যায়। কিন্তু থাক না কিছু না বলা। পাঠক, বরং নিজেই দেখে নিতে পারেন। পুরো ওয়েব সিরিজ দেখতে সময় নেবে কয়েক ঘণ্টাই তো। ‘সময়টা নষ্ট হলো’—এই কথাটা ভাবার অবকাশ পাবেন না, সেটি আশ্বস্ত করতে পারি।
প্রথম সিজনের পার্ট টু দেখার আকাঙ্ক্ষা তৈরিতে ‘কারাগার’ সফল। সার্থকতার মাপকাঠিতে এই সৃষ্টিকর্মটি কত নম্বর পাবে, সেটি ঠিক করতে অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। কারণ, মূল পরীক্ষা যে হবে পার্ট টু-তে। বরং আস্থা রাখ যাক ‘কামিং সুন’ বলা ঘোষণাটিতেই!

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।
জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’
Great to see you @kishida230. Katy and I were so glad to have the chance to sit down with you and Yuko. Thank you, Fumio, for your friendship and your continued commitment to both the international rules-based order and to a better future for everyone. https://t.co/zLEuppHNST
— Justin Trudeau (@JustinTrudeau) December 4, 2025
পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’
জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’
অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।
লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।
শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’
কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’
ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।
চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’
এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’
তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

শুরুটা বেশ নাটকীয়, তবে শান্ত। বড় জল্লাদের ভরাট কণ্ঠে খুনের হিসাবের পাশাপাশি পাওয়া যায় লটকানো ফাঁসির দড়িও। সেই দড়ি ভাঁজ করতে করতেই আঁচ করা যায় মানুষের জীবনে স্থান পূরণের অমোঘ প্রতিযোগিতা। তা হোক সে জল্লাদ, বা প্রতিশোধ। আর শুরুর শেষে জল্লাদ জানিয়ে দেন, তুফান আসছে!
১৯ আগস্ট ২০২২
দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের
২ ঘণ্টা আগে
বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৯ ঘণ্টা আগে