Ajker Patrika

স্মৃতির জন্ম হোক আরও

রজত কান্তি রায়
আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২১, ২২: ২৭
স্মৃতির জন্ম হোক আরও

গান, ব্যবসা, ভ্রমণ, শিল্পচর্চা—এই সব মিলিয়ে গত এক যুগ যদি ফিরে দেখেন, কী মনে হয়? এমন একটা প্রশ্ন দিয়ে আজকের সকাল শুরু হয়েছিল। আজ কণ্ঠশিল্পী, উদ্যোক্তা এবং পর্যটক কনক আদিত্যের জন্মদিন। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি প্রাসঙ্গিকভাবে প্রশ্নটা তাঁকেই করা, সকাল বেলা। ফোনের ও-প্রান্ত থেকে উত্তর এল, ‘জীবনটাকে নিংড়ে উপভোগ করার সময় ছিল সেটা। গোল্ডেন টাইম যাকে বলে।’

কনক আদিত্যের কথা বললে ব্যক্তিগতভাবে আমি ফিরে যাই প্রায় বারো বছর আগে। আমার তখন বাড়বাড়ন্ত বেলা, স্ট্রাগল পিরিয়ড। এই ঢাকা শহরে আম কিংবা খাজা কাঁঠালের বিলাসিতা তো নয়ই, দু-বেলা কী খাব তারও ঠিকঠিকানা নেই। এক অনির্দিষ্ট ভবিষ্যৎ। কিন্তু কেমন যেন একটা বোহিমিয়ান স্বভাবে পেয়ে বসেছিল। পকেটে পাঁচ টাকা নিয়ে ঘোরাটা ঠিক বিপ্লব নয়, একটা অন্যরকম ব্যাপার মনে হতো। জগৎ-সংসার আমাদের দিয়ে উপকৃত হবে, সে রকম কোনো আশা নেই। আবার আমরা যেসব কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, সেগুলো যে এক সময় জাতির উপকারে লাগবে (!), সে রকম একটা হাস্যকর ভাবনাও কাজ করত। সব মিলিয়ে সে সময়টাকে একটু ‘অন্যরকম ব্যাপার’ বলা চলে। প্রায় এক যুগ আগের কথা ভেবে এখন সে রকমই মনে হয় বটে।

২০০৭ সালের একেবারে শেষের দিকে ‘বাংলাদেশের তাঁত শিল্প’ নামের একটি প্রকল্পে আমি সহকারী হিসেবে যোগ দিই শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দের সঙ্গে। উদ্দাম সময় কাটাব, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ঘুরব, তাঁতের মতো একটি আদি শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ হবে—সেটাই ছিল আমার কাছে মূল বিষয়। আমি তখনো জানতাম না, প্রকল্পটির পেছনে আছেন কনক আদিত্য এবং তাঁর প্রতিষ্ঠান দেশাল। কিন্তু ততদিনে আমরা রাহুল-কনকের কণ্ঠে ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’ শুনছি আর দুলে উঠছি। আমাদের ভালো লেগেছিল ‘বকুল ফুলে’র ছন্দোবদ্ধ দুলে ওঠা। আমাদের ভালো লেগেছিল ‘জলের গান’ নামের নতুন একটি গানের দলের পারফরম্যান্স।

২০০৬ সালে ‘জলের গান’ নামের গানের দলটি যখন গড়ে ওঠে, তার প্রথম দিকের অনেক গল্প আমাদের জানা ছিল ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে। আমরা কখনো দলবেঁধে কনক আদিত্যের স্টুডিওতে হামলে পড়তাম অপ্রকাশিত কিংবা খালি কণ্ঠের গান শুনতে। সেখানে অবধারিতভাবে থাকতেন রাহুল আনন্দ এবং জলের গানের অন্য সদস্যরা। সেসব চন্দ্রাহত রাত ছিল বছর বারো আগের।

শিল্পী ধ্রুব এষের লেখা এবং কনক ও কার্তিকের গাওয়া ‘একটু বসিয়া থাক’ শিরোনামের গানটি যখন প্রথম শুনি, এক ধরনের আবেশ তৈরি হয়েছিল। বাংলা গানে সহজিয়া কথা ও সুরের চর্চা অনেক প্রাচীন বিষয়। আধুনিক গানের আবহে আমরা যে গান শুনে বড় হয়েছি, রুচি তৈরি করেছি, সে ধারায় কনক আদিত্যের এই গানটির একটি ভিন্ন মাত্রা আছে। ‘লিলুয়া বাতাসে’র চিত্রকল্পও একটা দারুণ তন্ময়তা তৈরি করে। ‘আপনারা কি লোকসংগীত বা সে ঘরানার গান করবেন বলে ভেবে নিয়েছিলেন?’ গানের দল জলের গান থেকে কনক আদিত্যের শিল্পী সত্তাকে আলাদা করা যায় না বলে জানতে চাইলাম। তিনি বললেন, ‘সে রকম নয়। কিন্তু সহজ কথায়, সহজ সুরে গান করার একটা ইচ্ছা ছিল। ভাবনায় ছিল, যে ছেলেটি গিটারে টুংটাং করে, সে-ও যেন আমাদের গানগুলো গাইতে পারে। লোকসংগীত নিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব, সে রকম ভাবনা ছিল না। ততদিনে রাহুলের হাত ধরে সে রকম কিছু মৌলিক গানও তৈরি হয়েছে।’ জলের গান সে জায়গায় সফল হয়েছে—সেটা বলাই যায়।

জলের গান এবং সংগীতশিল্পী কনক আদিত্যকে নিয়ে বহু কিছু বলা যায়। কিন্তু আমাকে যে বিষয়টি টানে, সেটি তাঁর বহুমুখীনতা। গান, ব্যবসা, দেশ-বিদেশ ভ্রমণ, ক্র্যাকের মতো একটি অলাভজনক শিল্পপ্রচেষ্টার ট্রাস্টি, পরিবেশ ও প্লাস্টিক পণ্যের পুনর্ব্যবহার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, স্কুল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকা ইত্যাদি মিলিয়ে যে বর্ণিল ও বহুরৈখিক যাপন–সেটা খুব কম মানুষের আছে। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বললাম, ক্যামনে সম্ভব! জানালেন, জীবন তো ছোট। যতটুকু পারা যায় এক জীবনে।

অভিজ্ঞরা বলেন, মানুষ স্মৃতিময় প্রাণী। স্মৃতি তৈরি করে করে চলাই তার কাজ। এক জীবনে আরও স্মৃতি তৈরি হোক। যাপনে বৈচিত্র্য আরও বাড়ুক। শুভ জন্মদিন।

নতুন গানের লিংক: 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন বছরের শুরুতে আসছে ইমনের সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
মামনুন ইমন। ছবি: সংগৃহীত
মামনুন ইমন। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের শেষের দিকে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ময়নার চর’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মামনুন ইমন। শুটিং হয়েছিল লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডারে। শুটিং ও সম্পাদনা শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুত সিনেমাটি। নতুন বছরের শুরুতেই মুক্তি পাবে ময়নার চর।

পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে বিনা কর্তনে ছাড়পত্র পেয়েছে ময়নার চর। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, ‘ময়নার চর মুক্তি নিয়ে সিনেমার প্রযোজক-অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাইছি জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনেমাটি মুক্তি দিতে। কারণ এরপর রোজা শুরু হবে। আর ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক দেখা যায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ১৬ জানুয়ারি মুক্তির সম্ভাব্য তারিখ পরিকল্পনা করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

সিনেমার গল্প নিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘চর এলাকার মানুষের জীবনের নানা রকম টানাপোড়েন নিয়ে সিনেমার গল্প। একটি খুনের ঘটনা নিয়ে এগিয়ে চলে গল্প। পর্দায় গল্পটি সঠিকভাবে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুটিং করা হয়েছে। সব কলাকুশলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আশা করছি দর্শক সেটা পর্দায় দেখতে পারবে।’

অভিনেতা মামনুন ইমন এখন আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে এই সিনেমার মুক্তির খবর শুনে দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, ময়নার চরের জন্য অভিনেতা হিসেবে নতুন করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন তিনি।

ইমন বলেন, ‘সিনেমায় আমার অভিনীত চরিত্রের নাম কাশেম। একেবারে প্রত্যন্ত চরে শীতের মধ্যে শুটিং করেছিলাম। সরকারি অনুদানের স্ক্রিপ্টে সর্বোচ্চ মার্কস পাওয়া সিনেমাগুলোর মধ্যে ময়নার চর একটি। এত কষ্টের কাজটি যেহেতু কোনো ধরনের আপত্তি বা কর্তন ছাড়াই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে অনুমতি পেয়েছে, খবরটি শুনে নিজের মধ্যে অনেক শান্তি লাগছে।’

শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ইমন বলেন, ‘এই সিনেমার গল্পটি আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের। শুটিংও হয়েছে ওই রকম এলাকায়। ছবির মতোই সুন্দর লোকেশন। চারপাশে নদী। এর মধ্যে চর পড়ছে। অল্প কিছু মানুষের বসতি, বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা না থাকলেও সেখানকার মানুষের জীবনযাপন আমাকে মুগ্ধ করেছে।’

ময়নার চর সিনেমায় ইমনের বিপরীতে রয়েছেন সুস্মি রহমান। সহপ্রযোজনায় রয়েছেন সুমন পারভেজ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের সিনেমা

দেশে মুক্তি পেল হলিউডের দুই সিনেমা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘অ্যানাকোন্ডা’ সিনেমার পোস্টার
‘অ্যানাকোন্ডা’ সিনেমার পোস্টার

বড়দিন উপলক্ষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে দুটি হলিউড সিনেমা। ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিরিজের নতুন সিনেমার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে অ্যানিমেশ সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’।

অ্যানাকোন্ডা

১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার হরর সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’ বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। বক্স অফিসে সাফল্য পায় ভয়ঙ্কর সাপের এই সিনেমা। ২০০৪ সালে এর সিক্যুয়েল ‘অ্যানাকোন্ডাস: দ্য হান্ট ফর দ্য ব্লাড অর্কিড’ মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে আরও দুটি সিনেমা মুক্তি পায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রিবুট তৈরির ঘোষণা দেয় সনি পিকচার্স। সে অনুযায়ী নির্মিত হয় অ্যাকশন কমেডি সিনেমা ‘অ্যানাকোন্ডা’।

গতকাল ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। ১৯৯৭ সালের অ্যানাকোন্ডা সিনেমার মেটা-রিবুট এটি। তবে মূল সিনেমার সরাসরি রিমেক নয়, মেটা-রিবুট কমেডি-থ্রিলার হিসেবে তৈরি হয়েছে। গল্পের মূল চরিত্র ডগ এবং গ্রিফ তাদের জীবনের মিডলাইফ ক্রাইসিস কাটিয়ে উঠতে চায়। সিদ্ধান্ত নেয়, তাদের শৈশবের প্রিয় সিনেমা অ্যানাকোন্ডা রিমেক করার। ছোট বাজেটের একটি সিনেমা বানাতে আমাজন জঙ্গলে যাত্রা শুরু করে তারা। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর তাদের সামনে আসে নানা রকম সংকট। আবহাওয়া এবং পরিবেশগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই তো আছেই, সেই সঙ্গে বাড়তি বিপদ হিসেবে তারা সত্যিই মুখোমুখি হয় বিশাল এক অ্যানাকোন্ডার। টম গোর্মিকানের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন পল রুড, জ্যাক ব্ল্যাক, স্টিভ জ্যান, থান্ডিওয়ে নিউটন, ড্যানিয়েলা মেলচিওর, সেলটন মেলো প্রমুখ।

দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস

দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস সিরিজের নতুন সিনেমা ‘দ্য স্পঞ্জবব মুভি: সার্চ ফর স্কয়ারপ্যান্টস’। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। গতকাল থেকে দেখা যাচ্ছে দেশের হলে।

দ্য স্পঞ্জবব স্কয়ারপ্যান্টস একটি জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড সিরিজ ও চরিত্র, যা একটি হলুদ স্পঞ্জসদৃশ প্রাণীর মজার কাণ্ডকারখানা নিয়ে তৈরি। সে বিকিনি বটম শহরে তার পোষা শামুক গ্যারির সঙ্গে একটি আনারসের মধ্যে থাকে এবং ক্রাস্টি ক্র্যাবে কাজ করে। এই সিনেমায় সে ফ্লাইং ডাচম্যানের মুখোমুখি হয় এবং সমুদ্রের গভীরে অ্যাডভেঞ্চার করে। স্পঞ্জববকে তার হারিয়ে যাওয়া পোষা প্রাণী গ্যারির সন্ধানে সমুদ্রের গভীরে এক মহাকাশযানে যেতে হয়, যেখানে সে ফ্লাইং ডাসম্যানের মতো ভিলেনদের মোকাবিলা করে। মুক্তির পর দর্শকদের ভালো সাড়া পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি

‘ফেলুদা’, ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’সহ মুক্তির তালিকায় যেসব সিনেমা-সিরিজ

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক, ঢাকা
‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ সিরিজের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য’ সিরিজের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি: রয়েল বেঙ্গল রহস্য (বাংলা সিরিজ)

  • মুক্তি: হইচই (২৪ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: টোটা রায়চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী
  • গল্পসংক্ষেপ: মহীতোষ সিংহ রায়ের আমন্ত্রণে ফেলুদা ও তোপসেকে নিয়ে লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ু ভুটানের কাছাকাছি এক জঙ্গলের পাশে তার বাড়িতে যান। তাদের যাওয়ার কিছুদিন পর মহীতোষের সহকারী তড়িত মারা যায়। তার মৃতদেহ জঙ্গলে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে জানায়, বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু খুনের জায়গায় ফেলুদা রক্তমিশ্রিত একটি তরবারি খুঁজে পান। ঘটনার আসল রহস্য খুঁজতে শুরু করে ফেলুদা।

রিভলবার রিতা (তামিল সিনেমা)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৬ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: কীর্তি সুরেশ, রাধিকা শরৎকুমার, সুনীল
  • গল্পসংক্ষেপ: গত নভেম্বরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল জে কে চন্দ্রু পরিচালিত তামিল সিনেমা ‘রিভলবার রিতা’। সিনেমাটি এবার দেখা যাবে ওটিটিতে। এক নারীর ব্যাগ চুরি হওয়ার পর চোরের পিছু ধাওয়া করে সে। গল্প ভিন্ন দিকে মোড় নেয়, যখন সেই ব্যাগে একটি অস্ত্র খুঁজে পাওয়া যায়।

স্ট্রেঞ্জার থিংস: সিজন ৫ ভলিউম ২ (ইংরেজি সিরিজ)

  • অভিনয়: উইনোনা রাইডার, ডেভিড হারবার, মিলি ববি ব্রাউন
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (২৬ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: গত ২৭ নভেম্বর এসেছিল ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’ সিরিজের শেষ সিজনের প্রথম চারটি পর্ব। এবার এসেছে আরও চার পর্ব। বাকিগুলো আসবে ইংরেজি নববর্ষে। এবারের কাহিনি ১৯৮৭ সালের শরৎকালের। সামরিক কোয়ারেন্টাইনে বন্ধ হয়ে গেছে পুরো হকিন্স। ভেকনা উধাও, তার খোঁজ চলছে। সরকারের নজরদারি বাড়তে থাকায় ইলেভেনকে আবারও লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে।

নোবডি ২ (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: বব ওডেনকার্ক, কনি নেইলসেন, জন অর্টিজ
  • মুক্তি: জিও হটস্টার (২২ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ২০২১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘নোবডি’ সিনেমার সিক্যুয়েল এটি। প্রথম পর্বের মতো এবারও হাচ ম্যানসেল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বব ওডেনকার্ক। এবার পরিবার নিয়ে থিম পার্কে ছুটি কাটাতে গিয়ে স্থানীয় অপরাধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রথম সিনেমার মতো এটিও অ্যাকশন ও কমেডিতে ভরা এক কাহিনি।

এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়ত (হিন্দি সিনেমা)

  • অভিনয়: হর্ষবর্ধন রেনে, সোনম বাজওয়া, শাদ রান্ধাওয়া
  • মুক্তি: জি ফাইভ (২৬ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মিলাপ জাভেরি পরিচালিত এই সিনেমায় ভালোবাসার অন্ধকার দিক ফুটে উঠেছে। হর্ষবর্ধন রেনেকে দেখা যাবে বিক্রমাদিত্য ভোঁসলে চরিত্রে, যিনি একজন শক্তিশালী রাজনীতিক। সোনম বাজওয়া অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাডা রণধাওয়া চরিত্রে। অ্যাডার প্রেমে পড়ে বিক্রমাদিত্য। কিন্তু অ্যাডা তাকে প্রত্যাখ্যান করলে প্রেম কীভাবে বিপজ্জনক আর জেদে পরিণত হয়—এটাই গল্পের মূল উপজীব্য।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজ টিএসসিতে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সঞ্জীব চৌধুরী । ছবি : সংগৃহীত
সঞ্জীব চৌধুরী । ছবি : সংগৃহীত

প্রয়াত সংগীতশিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীর জন্মদিন ২৫ ডিসেম্বর। প্রতিবছরের এই দিনে তাঁর স্মরণে সঞ্জীব উৎসবের আয়োজন করেন তরুণ সংগীতপ্রেমীরা। সে ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে অবস্থিত সঞ্জীব চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে চতুর্দশ সঞ্জীব উৎসব

উৎসবটি আয়োজন করেছে আজব কারখানা। সঞ্জীব চৌধুরীর অমর সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে উৎসবটি প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে। দীর্ঘ পরিক্রমায় এটি দেশের সংগীতপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবারের আয়োজনে গাইবেন জয় শাহরিয়ার, সন্ধি, সভ্যতা, সাহস মোস্তাফিজ, সুহৃদ স্বাগত, ফারাহ্‌দীবা তাসনীম, রাজেশ মজুমদার, রিহান রিজুয়ান প্রমুখ। আয়োজন তত্ত্বাবধানে রয়েছে সঞ্জীব উৎসব উদ্‌যাপন পর্ষদ। সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি।

আয়োজক ও সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সঞ্জীবদার গান শুনে বড় হয়েছি। তাঁর গান শুধু বিনোদন নয়, সঞ্জীবদার একটা দর্শন ছিল। আমরা যারা সিংগার-সংরাইটার হিসেবে সেই দর্শনকে ধারণ করি, এটা তাদেরই সম্মিলিত আয়োজন। যাতে সঞ্জীবদার গান-দর্শন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে যায়।’

সঞ্জীব চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক। সঞ্জীব চৌধুরী ও বাপ্পা মজুমদার মিলে গড়ে তুলেছিলেন দলছুট ব্যান্ড। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে কাজের পাশাপাশি চালিয়ে গেছেন সংগীত ও সাহিত্যের চর্চা। ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘রঙ্গিলা’, ‘সমুদ্রসন্তান’, ‘জোছনাবিহার’, ‘তোমার ভাঁজ খোল’, ‘চাঁদের জন্য গান’, ‘স্বপ্নবাজি’, ‘বায়োস্কোপ’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সঞ্জীব চৌধুরী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত