Ajker Patrika

অ্যাবা ফিরে আসছে

জাহীদ রেজা নূর
অ্যাবা ফিরে আসছে

চল্লিশ বছর পর অ্যাবার সেই চার মূর্তি আবার বলছেন, শেষ খেলা দেখানো এখনো বাকি রয়ে গেছে! অথচ কতবারই না গাদা গাদা টাকার লোভ দেখানো হলো তাঁদের। বলা হলো, একবার শুধু মঞ্চে এসে গিটারে হাত লাগাও, ড্রামে তোলো ঝড়, আর কণ্ঠে আনো পুরোনো দিনের মাদক, ব্যাস! ব্যাংক ব্যালান্সের জন্য ভাবতে হবে না। কিন্তু কে শোনে কার কথা।

বারবার তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন—না। আর নয় গানের রাজ্যে চারজনের একত্র–ভ্রমণ। যা হওয়ার হয়ে গেছে। ইতিহাস যদি রচিত হয়ে থাকে, তাহলে সেটা সুদূর অতীতের ব্যাপার। এখন দিন কাটুক অন্যভাবে, যেখানে চারজনের মিলন হবে না আর!

সেই স্মৃতি
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নোবেল পুরস্কার কাভার করার জন্য সুইডেনে গিয়েছিলাম। নোবেল পুরস্কারই ছিল মূল লেখালেখির বিষয়। বিশেষ করে সে বছর বব ডিলান পেয়েছিলেন এ পুরস্কার। তাই তিনি আসবেন কিনা, তা নিয়ে ছিল সবার উৎকণ্ঠা। সাংবাদিকের দল বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইছিল, আসছেন কি সংগীতের এই বরপুত্র? নোবেল কর্তৃপক্ষ এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারছিল না।

অ্যাবা ব্যান্ডের চার সদস্য বিয়র্ন, অ্যাগনেথ, বেনি ও ফ্রিদা (অ্যানি–ফ্রিদ)যখন খানিকটা তুষারপাত হয়ে পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছিল রাস্তাঘাট, তখন মনে হলো অ্যাবা মিউজিয়ামে যাওয়ার এটাই সময়। দশদিনের জন্য একটা পাস কিনেছিলাম, যে পাস ব্যবহার করে মেট্রো, বাস, ট্রামে ওঠা যায়। কীভাবে অ্যাবা মিউজিয়ামে পৌঁছেছিলাম, তা নিয়ে আগেও লিখেছি। তাই এখানে শুধু বলে রাখি, এই মিউজিয়াম এখনো বহু মানুষের আগ্রহের জায়গা।

অ্যাবা মিউজিয়াম আমাকে শিখিয়েছিল, ভেঙে যাওয়া একটি দল কীভাবে মানুষের আকর্ষণের জায়গা হয়ে থাকতে পারে দীর্ঘকাল!

কেন ছিড়ে গেল তার?
এ প্রশ্ন অনেকেই করেন। কেন অ্যাবার মতো এ রকম একটি সফল ব্যান্ড ভেঙে গেল?

সম্ভবত, সম্পর্কগুলো আগের মতো ছিল না। সে কথা বলব পরে। আগে বলি, ১৯৭২ সালে যে ব্যান্ডের জন্ম, তা খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ইউরোপে। লন্ডনের ছোকরা–চতুষ্টয় তখন তাদের বিটলসকে বিদায় করেছে জীবন থেকে। যে যার মতো এককভাবে গড়ে তুলতে চাইছে ক্যারিয়ার, সে রকম সময়েই অ্যাবা এল, দেখল আর জয় করল। একের পর এক অ্যালবাম হিট হচ্ছিল তাদের। ব্যাংকে জমা হচ্ছিল পাহাড়সমান টাকা–পয়সা। তাদের গান শুনতে শুনতেই শ্রোতা–দর্শক বুঝতে পারল কারও সঙ্গেই এই ব্যান্ডের গানের কোনো মিল নেই। এমনকি নিজেদের একটি গানকে ছাপিয়ে অন্য গান যখন হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় গানটি একেবারেই অন্যরকম। নিজেদের একটা গানের সঙ্গে আরেকটা গানের ছন্দ–সুর–গায়কিতে কোনো মিল নেই। মোদ্দা কথা, অ্যাবার কোনো আইডল ছিল না।

কয়েকটি গানের প্রথম পংক্তি স্মরণ করা যাক। কেউ চাইলে ইউটিউবে শুনে নিতে পারবেন গানগুলো। আর আমার তো মনে হয় অনেকের কাছেই গানগুলো অশ্রুত নয়। একবার নাম শুনলেই বলবেন—আরে! এ গান তো আমার অনেক দিনের চেনা! ‘চিকিচিটা’, ‘ওয়াটারলু’, ‘টেক ইট ইজি’, ‘হ্যাপি নিউইয়ার’—কী চেনা চেনা লাগছে?

সে সময়ের দর্শক–শ্রোতা শুধু অ্যাবার গানের জন্যই অপেক্ষা করত না, অপেক্ষা করত, কী পোশাকে মঞ্চে আসবে ওরা; গানের সঙ্গে যে নৃত্যভঙ্গিমা থাকবে অবশ্যম্ভাবী হয়ে, কেমন হবে সেটি; চেহারায় কোন পবরিবর্তন আনা হবে সেটা জানার জন্য।

আমরা এই চারজনকে চিনি বিয়র্ন, অ্যাগনেথ, বেনি আর ফ্রিদা (অ্যানি–ফ্রিদ) নামে। প্রথম দুজন বিয়ে করেছিলেন পরস্পরকে। দ্বিতীয় দুজনও একে অন্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছিলেন। কিন্তু আশির দশকের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল কোথাও ছন্দ কেটে গেছে। ১৯৮২ সালে সেই কেটে যাওয়া ছন্দই ইতি টেনে দিল একত্রে পথ চলার।

এখানে নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না, অ্যাবা নামটি হয়েছিল এই চারজনের নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে। ফ্রিদা র না, যে অ্যানি–ফ্রিদ, সেটা ওপরে বন্ধনীর মধ্যে লিখেছি, সেই তথ্যটিকে পোক্ত করার জন্য।

চল্লিশ বছর পর
ব্যান্ড তৈরি হওয়ার পর রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যায়নি অ্যাবা। এ জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত। ইউরোভিশনে যখন তাঁরা ‘ওয়াটারলু’ গানটি পরিবেশন করেন, তখন অন্য সব দল তলিয়ে গেল অনেকটা, মূর্ত হয়ে উঠল অ্যাবা। সেই যে পথ চলার শুরু, তা থামল ১৯৮২ সালে এসে। আগেই তো বলেছি, রোমান্টিক প্রতিভাবান চারজনের চারটি পথ চারদিকে বেঁকে গেল। মেয়ে দুজন একেবারে বন্দী হয়ে রইলেন ঘরে, ছেলে দুজন চালিয়ে যেতে লাগলেন নিজেদের মতো করে সংগীতের ধারা।

এবার খবর এল অ্যাবা আবার আসছে!

সত্তরের দশকের শিশু–কিশোরেরা এখন প্রৌঢ়ত্ব কিংবা বার্ধক্যে এসে পৌঁছেছে, কিন্তু অ্যাবার পুনর্মিলনীর সংবাদে তাদের হৃদয়ের রক্ত যেন ছলাৎছল!

হঠাৎ করেই অ্যাবার সদস্যরা আবার এক সূতোয় গাঁথলেন নিজেদের। টুইটারে হঠাৎ একদিন দেখা গেল ‘অ্যাবাভয়েস’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট। সেই একাউন্টেই দেখা গেল এক চমকজাগানো ঘোষণা: চল্লিশ বছর পর অ্যাবা আসছে ‘ভয়েজ’ নামের অ্যালবাম নিয়ে।

‘আমরা ফিরে আসছি। অপেক্ষা করেছেন বলে ধন্যবাদ। ভয়েজ হচ্ছে সেই অ্যালবাম, যা আমাদের ভক্তদের উপহার দেওয়ার জন্য তৈরি করছি। আমাদের ভ্রমণ এই শুরু হচ্ছে বলে’—এ রকম কথা লেখা হয়েছে সেই ঘোষণায়।

আরও খবর বেরিয়েছে। ২০১৯ সালেই নাকি অ্যাবার চার সদস্য এক হয়ে কাজ করার জন্য তৈরি হয়েছিলেন। কিন্তু এ সময়ের নায়ক করোনাভাইরাস সে গুড়ে বালি দিয়েছে।

অ্যাবা ব্যান্ডের সদস্যরা এখন যেমন—(বাম থেকে) বিয়র্ন, অ্যাগনেথ, বেনি ও ফ্রিদাঘোষণা করা হয়েছে অ্যালবাম ‘ভয়েজ’ আসবে ৫ নভেম্বরে। শিল্পীরা বুঝতেই পারেনি, এখনো তাদের এ রকম জনপ্রিয়তা আছে। সামনের অ্যালবাম থেকে দুটো গানের কথা ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছে অ্যাবা। একটি গান হলো, ‘আই স্টিল হ্যাভ ফেইথ ইন ইউ’। দ্বিতীয়টি, ‘ডোন্ট শাট মি ডাউন’। দ্বিতীয় গানটিতে বলা হচ্ছে, মেয়েটা তাঁর পুরোনো প্রেমিকের কাছে বহুদিন পর ফিরে আসছে, আবার নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করতে চাইছে, এবং বলছে, এ সময় সে যখন কথা বলবে, তখন কথার মাঝে কথা যেন না বলা হয়।

অন্য গানটি আসবে ভিডিওসহ। সত্তর দশকের প্রাণ মাতানো গানগুলোর ভিডিও ফুটেজ থাকবে সেখানে, যোগ হবে এখনকার ভিডিও ফুটেজও। এবং সেগুলো থ্রিডি ফুটেজ। এতে শিল্পীদের ভার্চুয়াল মডেল তৈরি করে তাদেরকেই প্রদর্শন করা হবে। ফুটেজ এখনকার হলেও এই মডেলদের পরনে থাকবে সত্তর দশকের পোশাক, মনেই হবে না, তারা এর পর এতগুলো বছর পার করেছেন।

অ্যালবামে গানের সংখ্যা হবে দশটি।

দক্ষিণ লন্ডনে এই গ্রুপের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ মঞ্চ।

শেষ করি তাদের বয়স জানিয়ে।

সবাই তো মনে করছেন অ্যাবা মানেই সেই তুমুল আবেদনময় চতুষ্টয়। তাদের একটু বলে রাখি, বর্তমানে বিয়র্নের বয়স ৭৬ বছর, বেনের ৭৪, অ্যাগনেথের ৭১ আর অ্যানি–ফ্রিদের ৭৫।

অবশ্য শিল্পীদের বয়স কোনো ব্যাপার নয়। পল ম্যাকার্টনি, মিক জাগার এখনও কনসার্টে অংশ নিয়ে চলেছেন। তাতে যোগ দিচ্ছেন হাজার হাজার দর্শক। অ্যাবাও যে তাদের ভার্চুয়াল পারফরম্যান্সে দর্শকে পরিপূর্ণ স্টেডিয়াম পেতে যাচ্ছে কনসার্টে, সে কথা নিশ্চিত।  আগামী বছর মে থেকে শুরু হবে এই কনসার্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাক্ষাৎকার

দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক

তাবাসসুম ছোঁয়া।

শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ

ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?

শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।

এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।

এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?

বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।

অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?

দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।

এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?

অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...

ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।

অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?

পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাকিবভক্তদের রোষানলে প্রযোজক সুমি

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব খান ও প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব খান ও প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি। ছবি: সংগৃহীত

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।

বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’

সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।

শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্ধারিত সময়ের দুই দিন পর শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’ নাটকের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।

‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।

শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।

উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মাধুরীর কাছে ক্যারিয়ারের চেয়ে পরিবার বেশি জরুরি

বিনোদন ডেস্ক
মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।

সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’

প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’

ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’

পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।

এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।

মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

বিএনপির সময় গণমাধ্যম তুলনামূলক বেশি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল: প্রথম আলো সম্পাদক

‘আমি ওর সঙ্গে এক মিনিট কথা বলতে চাই, শুধু এক মিনিট’

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

হাদি হত্যা: ফয়সালসহ সংশ্লিষ্টদের অ্যাকাউন্টে ১২৭ কোটি টাকার লেনদেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত