বিনোদন ডেস্ক

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।

আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ পারফরমারদের একদম চোখের সামনে। আমার মনোজগৎ ঋদ্ধ হয়, অভিনয়, সুর এবং নৃত্য ভঙ্গিমার প্রাচুর্যে আমি বিমোহিত হই, ঋদ্ধ হই, মরে যাই বারবার।
পণ্ডিত বিরজু মহারাজ তখন তাঁর খ্যাতির শীর্ষে। ১৯৯০ সালে প্রথম সেদিন আমি তাঁর ঘরে গিয়েছি—তাঁর কর্মস্থল কত্থক কেন্দ্রে তাঁর একটি নিজস্ব ঘর ছিল, যেখানে তিনি বিশ্রাম নিতেন—আমাকে পেয়ে তিনি খুব উচ্ছ্বসিত। জানি না কোন যোগ্যতায় তাঁর ভালোবাসা পেয়েছিলাম। তিনি ঢাকায় এলেও আমাকে বারবার স্মরণ করতেন—সুজিত কিধার হ্যায়, উসকো বুলাও। মহারাজজি সেদিন বারবার বলছিলেন, শান্তি শর্মা কই, ওর একজনকে নিয়ে আসার কথা। সেই একজন যে আমি, সেটা আমি জানতাম না। শান্তি শর্মা আমার গুরু বোন, পণ্ডিত অমরনাথজির প্রিয় শিষ্যদের একজন। বেদনার বিষয় হলো, তিনি অকালপ্রয়াত হয়েছেন। বেলা ৩টায় শান্তি শর্মা এলেন এবং তিনি আমাকে দেখে খানিকটা ক্ষুব্ধই হলেন। বললেন, তোমাকে খুঁজে খুঁজে পেরেশান, আর তুমি এখানে? কী কারণে খুঁজছেন? কারণ হচ্ছে, কত্থক নাচের সঙ্গে গাইবার জন্য আমাকে কিছু বন্দিশ শিখতে হবে। মহারাজজি যখন জানলেন আমাকে খুঁজতেই শান্তি শর্মা দেরি করেছেন, তৎক্ষণাৎ তিনি বসে গেলেন আমাদের দুজনকে গান শেখাতে। একটি বন্দনা, একটি ভজন এবং দুটি ঠুমরি একবারের বসায় শিখলাম। তারপর তিনি আমার পিলে চমকে বললেন, একটা পাঞ্জাবি পরে সন্ধ্যাবেলায় চলে আসো সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে। ওখানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আমি নাচব, তুমি ও শান্তি শর্মা আমার সঙ্গে গাইবে।
সিরি ফোর্ট অডিটরিয়ামে গিয়ে আমরা অডিয়েন্সে বসার সুযোগ পেলাম না সিকিউরিটির কারণে। কিন্তু গ্রিনরুমে ভিড় করে আমরা শুনতে লাগলাম মঞ্চের পরিবেশনা। পণ্ডিত শিব কুমার শর্মার সন্তুর বাদন হচ্ছিল। অডিয়েন্সে বসে ছিলেন ভারতবর্ষের তাবৎ গুণী ব্যক্তি, সংগীত ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন, আরও ছিলেন বিদুষী কিশোরী আমানকার থেকে শুরু করে ওস্তাদ বিলায়েত খান, ওস্তাদ আল্লারাখা খানসহ ভারতের সংগীত নক্ষত্ররাজি।

আমি যখন মহারাজজির নাচের সময় সংগীতশিল্পীদের কাতারে এগিয়ে বসলাম, দেখলাম তবলার আসনটা খালি এবং সেখানে এক জোড়া তবলা রাখা আছে। সেই তবলার কারুকাজ নয়ন-মন হরণ করে নিল। আমি জানি, পণ্ডিত বিরজু মহারাজের নিয়মিত তবলা সংগতকার পণ্ডিত অম্বিকা প্রসাদ। কিন্তু তাঁর তবলা তো এত এক্সক্লুসিভ লেভেলের দেখিনি। আমি একটু সন্ত্রস্ত হয়ে বসলাম। খানিক পরে দেখি আমার পাশে এসে বসেছেন ওস্তাদ জাকির হোসেন। সমীহ, ভয়, শ্রদ্ধা, ভালো লাগা, ভালোবাসা—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে গাইতে বসলাম। কী এক অপূর্ব সংগতের সঙ্গে মিশে গেলাম নতুন শেখা সব বন্দিশ নিয়ে। আমি জাকিরজির অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম। তিনি একটা খুব মূল্যবান কথা বলেছিলেন, ‘এইসা কারো সুজিত, কি লোগ তুমসে অটোগ্রাফ মাঙ্গে।’ আমার আর তাঁর অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি। অনুষ্ঠান শেষে ওস্তাদ আল্লারাখা মঞ্চ থেকে উঠে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেছিলেন। সে অন্য গল্প। আজ মন ভীষণ ভারাক্রান্ত হয়ে গেছে, সেই ওস্তাদ জাকির হোসেন আর নেই জেনে। মঞ্চে তিনি যখন আসতেন, বসতেন, তবলায় আঙুলের ঝড় তুলতেন, ফুলেল বসন্তের সমস্ত রং নিয়ে তাঁর যন্ত্রসঙ্গী যেন হেসে উঠত, পুরো মহলকে তিনি কী এক অপার্থিব রোমাঞ্চে ডুবিয়ে দিতেন, সেটা যাঁরা তাঁকে সেভাবে শোনেননি, দেখেননি, তাঁরা কখনোই বুঝবেন না।
আমি জানি, ওস্তাদ জাকির হোসেনের মতো শিল্পীদের মৃত্যু নেই। এই বছরটা শুরু হয়েছিল ওস্তাদ রশিদ খানের প্রয়াণ দিয়ে। ৯ জানুয়ারি, ২০২৪-এ তিনি আমাদের হৃদয় শূন্য করে চলে গিয়েছিলেন আর গত রোববার চলে গেলেন তবলার বরপুত্র ওস্তাদ জাকির হোসেন। আসা-যাওয়ার পথের ধারেই জীবন। প্রকৃতির অমোঘ সত্য আমাদের মানতেই হবে। তারপরও মনে হয় এই লেভেলের মানুষদের আরও দীর্ঘদিন পৃথিবীতে থাকা পৃথিবীর জন্যই প্রয়োজন। ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য এই মহান শিল্পীর জন্য।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১০ মিনিট আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৩১ মিনিট আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৩৩ মিনিট আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৩৯ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে ১ জানুয়ারি গানচিল মিউজিক ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে গানটি।
ময়নার মতো ‘ও জান’ গানটিও লিখেছেন আসিফ ইকবাল। তবে পরিবর্তন এসেছে সুরকার ও সংগীত আয়োজকের ক্ষেত্রে। ও জান যৌথভাবে সুর করেছেন আভ্রাল সাহির ও পশ্চিমবঙ্গের লিংকন। সংগীত আয়োজন করেছেন আভ্রাল সাহির। আসিফ ইকবাল বলেন, ‘ময়না গানের সাফল্যের পর তার ধারাবাহিকতায় আমরা ও জান গানটি নিয়ে আসছি। ময়না ছিল একটি ড্যান্স নাম্বার গান। ও জান হচ্ছে একেবারে পিউর রোমান্টিক গান। গানের কথা, গায়কী, সুর, সংগীত আয়োজন ও ভিডিও—সবকিছুতেই নতুন সংযোজন থাকবে।’
কোনাল বলেন, ‘ময়না গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, এটি জনপ্রিয়তা পাবে; পেয়েছেও। ওটি ছিল নাচের গান। এবার আমরা আসছি রোমান্টিক ঘরানার গান নিয়ে। আমার বিশ্বাস, গানটি আগের গানের রেকর্ড ভেঙে দেবে। সবার ভালো লাগবে।’
নিলয় বলেন, ‘আসিফ ইকবাল ভাই রোমান্টিক গান অসাধারণ লেখেন। ও জান গানটিও দারুণ লিখেছেন। সুর ও সংগীত আয়োজনও ভালো হয়েছে। ভিডিওতেও আছে চমক। সব মিলিয়ে নতুন এই গান নিয়ে দারুণ আশাবাদী আমি।’
সিনেম্যাটিক আয়োজনে ময়না গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছিলেন তানিম রহমান অংশু। ভিডিওতে দেখা মিলেছিল শবনম বুবলী ও শরাফ আহমেদের জীবনের। এবারও ভিডিও নির্মাণে থাকছেন অংশু। নির্মাতা জানান, এবারের ভিডিওতে থাকছে নানা চমক। শুটিং লোকেশনেও ভিন্নতা থাকবে। তবে এখনই জানাতে চান না গানের ভিডিওতে কে থাকছেন মডেল হিসেবে।
ও জান গানচিল মিউজিকের ‘বাংলা অরিজিনালস’ প্রজেক্টের দ্বিতীয় গান। ময়না গান দিয়ে শুরু হয়েছে নতুন এই প্রজেক্ট।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৩১ মিনিট আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৩৩ মিনিট আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৩৯ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। এই বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে টিভি চ্যানেলগুলোও নাটক-সিনেমা-সংগীতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে টক শোর দিকে।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও টিভি চ্যানেলের চেয়ে এখন ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণে বেশি আগ্রহী। এ প্রবণতা কয়েক বছর ধরে বেড়েছে। টিভি নাটকের তুলনায় বাজেট ও পারিশ্রমিক বেশি পাওয়া যায় বলে অভিনয়শিল্পীরাও ইউটিউবের নাটকে অভিনয় করতে বেশি আগ্রহী থাকেন। তবে এই ‘অতিরিক্ত বাজেট’ হিতে বিপরীত ফল নিয়ে এসেছে। অনেক ব্র্যান্ড এখন নাটকে স্পনসর বা বিজ্ঞাপন কমিয়ে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে। ফলে এ বছর ব্যাপকভাবে কমেছে ইউটিউবের জন্য নাটক নির্মাণ।
মোশাররফ করিম, অপূর্ব, মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণদের মতো জনপ্রিয় শিল্পী নাটকে অভিনয় কমিয়ে দেওয়ায় ছোট পর্দায় একধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। তাঁদের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে অন্যরা উঠে না আসায় এ অঙ্গনে সংকট আরও বেড়েছে। তবে এত নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে আশার খবর একটাই, জনপ্রিয়তা বেড়েছে পারিবারিক গল্পের ধারাবাহিক নাটকের। ‘এটা আমাদেরই গল্প’, ‘দেনা পাওনা’র মতো ধারাবাহিক দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় প্রযোজক-পরিচালকেরা ঝুঁকেছেন এ ঘরানার গল্পের দিকে। এ ছাড়া যেসব নাটক এ বছর দর্শকের পছন্দের তালিকায় ছিল, তার মধ্যে রয়েছে ‘তোমাদের গল্প’, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়’, ‘কেন এই সঙ্গতা’, ‘হৃদয় গভীরে’, ‘মন দুয়ারী’, ‘মেঘবালিকা’, ‘মানুষ কী বলবে’, ‘ভালো থেকো’, ‘খোয়াবনামা’ ইত্যাদি।
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন ও প্রেক্ষাগৃহকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশেও যথেষ্ট সম্ভাবনা জাগিয়ে এ মাধ্যমের যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরেই ধস নেমেছে দেশের প্ল্যাটফর্মগুলোয়। ব্যাপকভাবে দর্শকদের আকর্ষণ করতে পারে, এমন কনটেন্ট খুব কমই পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়ের বৈচিত্র্যও কমেছে। বেশির ভাগ কনটেন্ট আটকে আছে থ্রিলার আর খুনের তদন্তের গল্পে। ফলে দর্শকও আগ্রহ হারাচ্ছে। ২০২৫ সালে সব মিলিয়ে ৪২টি কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে, এর মধ্যে সিরিজ ছিল ১৩টি।
চরকি এ বছর মুক্তি দিয়েছে ‘২ষ’, ‘ঘুমপরী’, ‘ফেউ’, ‘আমলনামা’, ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’, ‘গুলমোহর’, ‘তোমার জন্য মন’, ‘ডিমলাইট’ ইত্যাদি। বঙ্গতে এসেছে ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘হাউ সুইট’, ‘ননসেন্স’, ‘ফ্যাকড়া’, ‘মির্জা’, ‘কানাগলি’ ইত্যাদি। কনটেন্ট বেড়েছে আইস্ক্রিনে, প্ল্যাটফর্মটি মুক্তি দিয়েছে ‘কিস্তিমাত’, ‘নীলপদ্ম’, ‘জলরঙ’, ‘নয়া নোট’, ‘পাপকাহিনি’, ‘অমীমাংসিত’ ইত্যাদি। বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে ‘অন্ধকারের গান’ ও ‘নীল সুখ’। ‘হাইড এন সিক’ নামে মাত্র একটি ওয়েব ফিল্ম এসেছে দীপ্ত প্লেতে। গত বছরের মতো এবারও হইচইয়ে মাত্র ৩টি সিরিজ প্রকাশ পেয়েছে—‘জিম্মি’, ‘আকা’ ও ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এ ছাড়া ‘নূর’ সিনেমা দিয়ে এ বছর যাত্রা শুরু করেছে নতুন প্ল্যাটফর্ম বায়স্কোপ প্লাস।
তবে হতাশার বিষয়, এত কনটেন্টের ভিড়ে ব্যাপকভাবে দর্শকদের মধ্যে আলোচিত হয়েছে এমন সিনেমা-সিরিজের সংখ্যা হাতে গোনা। মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, গুলমোহর, নয়া নোট, জিম্মি, আকা ও বোহেমিয়ান ঘোড়া নিয়ে প্রশংসা চোখে পড়েছে। প্রচার-প্রচারণারও যথেষ্ট ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। আগে যেকোনো সিরিজ মুক্তির আগে নানা মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালাত প্ল্যাটফর্মগুলো। এখন অনেকটা দায়সারাভাবেই মুক্তি দেওয়া হয়। ফলে দর্শকেরা জানতেও পারে না, কোন কনটেন্ট কখন আসছে। সব মিলিয়ে যেসব ঘাটতি রয়েছে দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, নতুন বছরে তার সমাধান হবে—এটাই প্রত্যাশা।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১০ মিনিট আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৩৩ মিনিট আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৩৯ মিনিট আগেবিনোদন ডেস্ক



আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১০ মিনিট আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৩১ মিনিট আগে
সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
৩৯ মিনিট আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
শাম্মী ইসলাম নীলা
২০২৩ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর শিরোপা জিতেছিলেন শাম্মী ইসলাম নীলা। এ বছর প্রথমবার নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হাসিব হোসাইন রাখির ‘ফার্স্ট লাভ’ নাটকে তৌসিফ মাহবুবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম নাটকেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন নীলা।

পারশা মাহজাবীন
২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় প্রতিবাদী গান দিয়ে আলোচনায় ছিলেন পারশা মাহজাবীন। এ বছর পারশা আলো ছড়িয়েছেন পর্দায়। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায় পারশা অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এতে ঊষা চরিত্রে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়।
সাদমিনা ও নাওভি
গত অক্টোবরে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া মাহমুদা সুলতানার ‘লিটল মিস ক্যাওস’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে পরিচিতি পান তরুণ দুই অভিনয়শিল্পী সাদমিনা বিনতে নোমান ও সাদ নাওভি।

তাবাসসুম ছোঁয়া
ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয় শুরু তাবাসসুম ছোঁয়ার। এ বছর ইউটিউবে প্রচারিত ‘দেনা পাওনা’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। নিপা চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। একক নাটকেও অভিনয় করছেন ছোঁয়া।

মিষ্টি ঘোষ
২০২৩ সালে সাগর জাহানের ‘ভালোবাসার অলিগলি’ নাটকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মিষ্টি ঘোষ। তবে আলোচনায় আসেন এ বছর অনুষ্ঠিত দীপ্ত টিভির অভিনয়বিষয়ক রিয়েলিটি শো স্টার হান্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এরপর নাম লেখান দীপ্ত টিভির মেগা ধারাবাহিক ‘খুশবু’তে। সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত এই নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।

সারা বছরে বেশ কয়েকজন নতুন অভিনয়শিল্পী আলো ছড়িয়েছেন টিভি ও ওটিটি মাধ্যমে। কেউ এ বছরেই এসেছেন অভিনয়ে, কেউ আবার আগে নাম লেখালেও এ বছর পেয়েছেন পরিচিতি।
শাম্মী ইসলাম নীলা
২০২৩ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’-এর শিরোপা জিতেছিলেন শাম্মী ইসলাম নীলা। এ বছর প্রথমবার নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। হাসিব হোসাইন রাখির ‘ফার্স্ট লাভ’ নাটকে তৌসিফ মাহবুবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রথম নাটকেই অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন নীলা।

পারশা মাহজাবীন
২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় প্রতিবাদী গান দিয়ে আলোচনায় ছিলেন পারশা মাহজাবীন। এ বছর পারশা আলো ছড়িয়েছেন পর্দায়। ফেব্রুয়ারিতে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পায় পারশা অভিনীত প্রথম ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এতে ঊষা চরিত্রে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়।
সাদমিনা ও নাওভি
গত অক্টোবরে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া মাহমুদা সুলতানার ‘লিটল মিস ক্যাওস’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে পরিচিতি পান তরুণ দুই অভিনয়শিল্পী সাদমিনা বিনতে নোমান ও সাদ নাওভি।

তাবাসসুম ছোঁয়া
ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয় শুরু তাবাসসুম ছোঁয়ার। এ বছর ইউটিউবে প্রচারিত ‘দেনা পাওনা’ নাটক দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেত্রী। নিপা চরিত্রে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। একক নাটকেও অভিনয় করছেন ছোঁয়া।

মিষ্টি ঘোষ
২০২৩ সালে সাগর জাহানের ‘ভালোবাসার অলিগলি’ নাটকে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান মিষ্টি ঘোষ। তবে আলোচনায় আসেন এ বছর অনুষ্ঠিত দীপ্ত টিভির অভিনয়বিষয়ক রিয়েলিটি শো স্টার হান্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এরপর নাম লেখান দীপ্ত টিভির মেগা ধারাবাহিক ‘খুশবু’তে। সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত এই নাটকে নামভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি।

আমি ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে চলে যাই শান্তিনিকেতন থেকে ট্রান্সফার নিয়ে। পণ্ডিত অমরনাথজির কাছে ইন্দোর ঘরানার খেয়াল শিখতে। শ্রীরাম ভারতীয় কলা কেন্দ্রের হোস্টেলে থাকি, মান্ডি হাউসের প্রতিটি কোনায় অডিটরিয়াম এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মেলা বসে প্রতি সন্ধ্যায়। সংগীত, নৃত্য, অভিনয় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখি, ভ
১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
গত জুলাইয়ে প্রকাশ পেয়েছিল সংগীতশিল্পী নিলয় ও কোনালের গাওয়া গান ‘ময়না’। জনপ্রিয়তা পায় ড্যান্স ঘরানার গানটি। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছিলেন আকাশ সেন। ময়নার পর আবার নতুন গান নিয়ে আসছেন নিলয় ও কোনাল। শিরোনাম ‘ও জান’।
১০ মিনিট আগে
বছরজুড়ে রাজনীতির গতিপ্রবাহ আর নির্বাচন ছিল দেশের মানুষের মূল আলোচনার বিষয়। ফলে দর্শকদের আগ্রহের প্রায় সবটা দখল করেছে রাজনৈতিক টক শো। টেলিভিশন হোক কিংবা ইউটিউব, রাজনৈতিক সেলিব্রিটি কিংবা বক্তাদের কথাই ভিউ পেয়েছে বেশি। ব্যাকফুটে চলে গেছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
৩১ মিনিট আগে
অক্টোবরে তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে একটি অনলাইন ফ্যাশন হাউস। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, তিশা শাড়ি নিয়েছেন, কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সেই শাড়ি পরে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রমোশন করেননি। এই ঘটনায় তিশার বিরুদ্ধে মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আরও একজন উদ্যোক্তা তিশার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেন।
৩৩ মিনিট আগে