জাহীদ রেজা নূর

কিশোর কুমারকে নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই চোখে ভাসে ‘লুকোচুরি’ সিনেমার সেই আমুদে নায়কটিকে—যিনি সিনেমার পরিচালক–প্রযোজকদের বোকা বানিয়ে গেয়ে চলেছেন, ‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’। আবার একটু পর জমজ ভাই হয়ে গাইছেন ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায় স্বপ্নমধুর মোহে’। একেবারে দুই ধরনের দুই মানুষ। একজন দুরন্ত, গতিশীল, আরেকজন শান্ত–স্নিগ্ধ। বাস্তবজীবনের কিশোর কুমারের সঙ্গে কোনজনের মিল, সে কথা বোধ করি কাউকে বলে দিতে হবে না।
কিশোর কুমার মানেই পূর্ণ–দেহ প্রাণ। দেহজুড়েই তাঁর প্রাণের অস্তিত্ব। তাই তারুণ্যের সেই অদম্য সময়ে ‘কী আশায় বাঁধি খেলাঘর বেদনার বালুচরে’ বা এ ধরনের কোনো গান শুনলে কিশোর কুমার যেন তাঁর পূর্ণ দেহ–মন নিয়ে ঢুকে পড়তেন শরীরে। এক ধরনের জ্বলন্ত আগুন আর বরফখণ্ডের মিলিত অবগাহনে অস্তিত্ব পেত পারিজাতের সন্ধান। সে দিনগুলো ভুলবে কে?
সে রকমই কিছু কথা বলব বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ রুশ এক পত্রিকায় দেখলাম বেশ মজা করে একটি শিরোনাম করা হয়েছে কিশোর কুমারকে নিয়ে। ‘বিয়ে করাটাই ছিল যার অভ্যাস: কিশোর কুমারের চার বউ।’ শিরোনাম দেখে মাথার চাঁদি একটু একটু করে গরম হচ্ছিল। বলতে ইচ্ছে করছিল, ‘রে পামর! কিশোর কুমারের চার বউটাই দেখলি, কিশোর কুমারকে দেখলি না?’ রাগ করেই পড়তে শুরু করার পর মনে হলো, আরে! লেখার সময় তো বেশ খেটেছে লোকটা! ঠিক আছে, এ রকম একটা বাজে শিরোনাম দেওয়ার পরও তাকে ক্ষমা করে দেওয়া গেল। সেই সঙ্গে মনে হলো, আসলেই তো! কিশোর কুমারের বউয়েরা প্রত্যেকেই তো এক একজন তারকা। তাঁরা কেন কিশোরকে ভালো বেসেছিলেন?
একটু অতীত ঘুরে আসতে মন চাইছে।
দুই.
এ কথা কে না জানে, গানই ছিল কিশোর কুমারের প্রাণ। কুঞ্জলাল সায়গল ছিলেন তাঁর আত্মার আত্মীয়। তাঁর গানেই মজেছিলেন কিশোর। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না গানের, কিন্তু গানের জগতে ‘অশিক্ষিত’ কিশোর জয় করেছিলেন গোটা ভারতবর্ষ। কণ্ঠ যে এতটা প্রাণময় হতে পারে, তা কিশোর কুমারের গান না শুনলে বোঝা কঠিন। কী আনন্দ, কী বেদনা—মনে হয় তার প্রকাশ ঘটছে অনায়াসে।
চার স্ত্রী তাঁর, কেমন ছিল তাঁদের সঙ্গে কিশোরের সম্পর্ক, সেটা নিয়ে নানা আলোচনা আছে। আমরা একটু একটু করে সেগুলো শুনব বটে, কিন্তু মনে রাখব, বড় মানুষেরা তাদের সৃজনশীলতার গুণেই বড় মানুষ হন। কিশোর কুমার মানেই গানের সুধা। সেভাবেই তাঁকে দেখতে হবে।
কিশোর কুমারের বড় ভাই অশোক কুমার যখন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন, তখন কিশোর কুমার ছিলেন নিতান্তই কিশোর। ১৯৪০ সালে তখনকার বোম্বেতে আসেন কিশোর। অর্থাৎ, ১১ বছর বয়সে। অশোক কুমার তাঁকে গানের দলে জায়গা করে দেন, কোরাস গানে কণ্ঠ দিতেন কিশোর। ‘শিকারি’ নামের চলচ্চিত্রে অশোক কুমার ছিলেন নায়ক। সে ছবিরই একটি ছোট্ট ভূমিকায় ঠাঁই হয়েছিল কিশোরের। সেটা ১৯৪৬ সাল। ১৯৪৮ সালে চলচ্চিত্রের গানে ডেব্যু হলো কিশোরের। ১৯৫১ সালে ‘আন্দোলন’ ছবির নায়ক কিশোর কুমার। পঞ্চাশের দশকের শেষদিকে তিনি ডাকসাঁইটে অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন।
১৯৫০ সালে কিশোর কুমার প্রথমবার বিয়ে করেন। রুমা গুহ ঠাকুরতা ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ১৯৫২ সালে এই সংসারে জন্ম হয় অমিত কুমারের। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই হয়েছিল বিয়ে। ১৯৫৮ সালের দিকে কিশোর আর মধুবালার প্রেমের গুঞ্জন ভেসে বেড়াত বাতাসে। তাতে চিড় ধরল কিশোর–রুমার সংসারে। সে বছরই বিবাহবিচ্ছেদ। অনেকে বলেন, কিশোর চেয়েছিলেন, রুমা ঘরে থাকুক, সংসার দেখুক। রুমা চেয়েছিলেন তাঁর স্বাভাবিক জীবন অব্যাহত রাখতে। সেটাই নাকি বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ। কিন্তু কিশোর–মধুবালার সম্পর্ক তখন গড়ে উঠছে, এটাও তো এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সে সময় রুমার পক্ষে কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা কঠিনই ছিল। রুমাও খুব বেশি দেরি করেননি। তিনি অপূর্ব গুহ ঠাকুরতাকে বিয়ে করেন এবং সিনেমায় অভিনয় চালিয়ে যেতে থাকেন। আমরা সবাই জানি, কিশোর–রুমার ছেলে অমিতও বাবার মতো গায়ক হয়েছিলেন, যদিও বাবার মতো খ্যাতি পাননি। আর রুমা গুহ ঠাকুরতার কলকাতা ইয়ুথ কয়্যারের সুনামের কথা তো সবাই জানে।
রুমা গুহ ঠাকুরতা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে কিশোর বলেছিলেন, ‘রুমা খুবই প্রতিভাবান। কিন্তু আমরা দুজন একসঙ্গে থাকতে পারিনি, কারণ আমরা দুজন জীবনকে দুভাবে দেখতাম। সে কয়্যার আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবত। আমি ভাবতাম, সে আমাকে বাড়ি গড়ে দেবে। তাই আমাদের মধ্যে মিল হবে কী করে? আমি খুবই সাদাসিধে গ্রাম্য টাইপের মানুষ। মেয়েদের ক্যারিয়ার ব্যাপারটা বোঝা আমার কম্ম নয়। কী করে ঘর তৈরি করতে হয়, সেটাই স্ত্রীদের প্রধান কাজ। ক্যারিয়ার আর ঘর গড়া একসঙ্গে হয় না। তাই আমাদের আলাদা হয়ে যেতে হলো।’
তিন.
পঞ্চাশ দশকের শেষার্ধে মধুবালার সঙ্গে অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেন কিশোর কুমার। ছবিপাড়ায়ই তাঁদের মন দেওয়া–নেওয়া চলছিল। এ সময় হঠাৎ করেই মঞ্চে আসেন দিলীপ কুমার। কিন্তু দিলীপ কুমারের সঙ্গে রোমান্স শেষ হয়ে গেলে খুবই অসহায় হয়ে পড়েন মধুবালা। সে সময় কিশোর কুমারই হয়ে ওঠেন মধুবালার আশ্রয়। পত্র–পত্রিকায় লেখা হয়, কিশোরের সঙ্গে মধুবালা নিজেকে জড়িয়েছিলেন স্রেফ দিলীপ কুমারকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য, একধরনের ঈর্ষা থেকে। ১৯৬০ সালে তাঁরা দুজন কোর্টে বিয়ে করেন। এটা দুই পরিবারের কেউ পছন্দ করেনি। ফলে এর পর মুসলমান মতে তাঁরা একবার বিয়ে করেন, হিন্দুমতে আরেকবার। প্রথমটি করতে হয় মধুবালার পরিবারের জন্য, দ্বিতীয়টি কিশোরের পরিবারের জন্য। মুসলমান মতে বিয়ে করার সময় নামও বদলাতে হয় কিশোরের। সেখানে তাঁর নাম রাখা হয় আবদুল করিম!
এত কিছুর পরও কিশোরের পরিবার মধুবালাকে মেনে নেয়নি। জন্ম থেকেই অসুস্থ ছিলেন মধুবালা। বিয়ের কিছুদিন পর তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। ষাটের দশকের মাঝামাঝি তা খুব খারাপ আকার ধারণ করে। হৃৎপিণ্ডে ফুটো ছিল তাঁর। লন্ডনে গিয়েছিলেন অপারেশন করতে। কিন্তু বড়দের দেহে এই অপারেশন তখনো ইউরোপে কেউ করেনি। তাই ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
এ সময় স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। সহ্য করতে না পেরে মধুবালা চলে যান মায়ের কাছে। সেখানেই অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
কিশোর অবশ্য মধুবালা সম্পর্কে প্রিতীশ নন্দীকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বিয়ের আগে থেকেই জানতাম, মধুবালা খুবই অসুস্থ। আমি কথা দিয়েছিলাম। তাই আমি আমার কথা রেখেছি এবং তাঁকে বিয়ে করেছি। আমি তখনও জানতাম, সে হৃৎপিণ্ডের অসুখেই মারা যাবে। দীর্ঘ ৯টি বছর আমি ওর পাশে থেকে সেবা করেছি। আমি নিজের চোখে ওকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে দেখেছি। নিজে এটার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না, কতটা কষ্টকর এই সময়টা। কষ্টে চিৎকার করত সে, কাঁদত। কীভাবে এ রকম একজন সক্রিয় মানুষ ৯ বছর বিছানায় পড়ে থাকতে পারে? আমি ওর সঙ্গে সবসময় রসিকতা করতে চেষ্টা করতাম। ডাক্তাররাই আমাকে রসিকতা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওর শেষ নিশ্বাস নেওয়া পর্যন্ত আমি সে চেষ্টা করে গেছি। আমি ওর সঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি।’
১৯৬৯ সালে মধুবালা মারা যান।
চার.
কিশোরের তৃতীয় বিয়ে খুব বেশিদিন টেকেনি। এ রকম একটা বিয়ে হবে, সেটাও কেউ ভাবেনি। যোগিতাবালির সঙ্গে কিশোরের বিয়েটা ছিল আকস্মিক। ১৯৭৬ সালে এই বিয়ে হয়। যোগিতাবালি ছিলেন কিশোর কুমারের চেয়ে ২৩ বছরের ছোট। অভিনেতা শা্ম্মী কাপুরের স্ত্রী গীতা বালির ভাগ্নি ছিলেন যোগিতা বালি। কীভাবে তাঁদের পরিচয় হয়েছিল, কীভাবে তা রোমান্সের রূপ নিল, সে সম্পর্কে খুব কম কথাই শোনো যায়। তবে বয়সের এই ব্যবধানই তাঁদের একসঙ্গে বেশিদিন থাকতে দেয়নি। বিয়ের দু বছরের মাথায় বিয়ে ভেঙে যায়। ১৯৭৮ সালেই সাঙ্গ হয় রোমান্সের খেলা। তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
এখানে বলা দরকার, বহু পরে এক সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, যোগিতা বালি তাদের বিয়েটাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবেননি। খুব কম সময়ের মধ্যেই তিনি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর প্রেমে পড়েন। কিশোরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পরপরই যোগিতা বিয়ে করেন মিঠুন চক্রবর্তীকে।
এর পর কিশোর কুমার মিঠুন অভিনীত কোনো ছবিতে কণ্ঠ দেননি। ফলে মিঠুনের সুপারহিট ছবিগুলোয় বাপ্পি লাহিড়ি কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ পান এবং সুরকার ও গায়ক হিসেবে বলিউডে উচ্চ আসন লাভ করেন।
পাঁচ.
চতুর্থ বিয়েই ছিল কিশোরের শেষ বিয়ে। কন্যা লীনা চান্ডাভারকার। তিনিও ছিলেন অভিনয়শিল্পী। তৃতীয় বিয়ের মতোই চতুর্থ বিয়েতে কনে ছিলেন বরের চেয়ে অনেক ছোট। দুজনের বয়সের পার্থক্য ছিল একুশ বছর। লীনার আগে আরেকটা বিয়ে ছিল সিদ্ধার্থ ব্যান্ডোটকার নামের একজনের সঙ্গে। তাঁদের পরিবার ছিল রাজনীতির মাঠে শক্তিশালী। সিদ্ধার্থ ছিলেন কিশোর কুমারের ভক্ত। একবার লোনাভালায় যাওয়ার পর কিশোর কুমারকে দেখেছিলেন তাঁরা। কিশোরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী যোগিতা বালি। সিদ্ধার্থ লীনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘যদি কিশোর কুমার তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়, তুমি কি তাঁকে বিয়ে করবে?’
লীনা বলেছিলেন, ‘কখনোই না।’
বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধার্থ এক দুর্ঘটনায় মারা যান। ফলে লীনা তখন একেবারেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। লীনার কাছে তাঁর ট্র্যাজেডির কথা শুনে খুবই কষ্ট পান কিশোর। এবং তিনি হৃদয় থেকেই লীনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। লীনার সায় ছিল তাতে, কিন্তু লীনার অভিভাবকেরা একেবারেই কিশোরকে জামাই হিসেবে দেখতে চাননি। কী করে তাঁরা মেয়েকে এমন একজন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেবেন, যিনি এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন এবং বয়সের তারতম্যও ২১ বছর!
এক সাক্ষাৎকারে লীনা বলেছিলেন, ‘একদিন কিশোর কুমারের গাড়িচালক আবদুল আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে কিশোর কুমারের ফোন নম্বর দিয়ে বলল, তাঁকে ফোন করতে। আমি ফোন করতেই কিশোর বললেন, “লীনা, তোমার কণ্ঠ শোনার জন্যই বসে আছি!”’
প্রতিদিন সকালেই তিনি আমাকে ফোন করতেন এবং কোনো ভনিতা না করেই কথা বলতে শুরু করতেন। তাঁর কথা শুনে আমার বিষণ্নতা কেটে যেতে লাগল, হাসতে শুরু করলাম আমি। সেটা আমার বাবার চোখে পড়ল। আমি শুরুতেই তাঁর প্রেমে পড়িনি, কিন্তু বুঝতে পারতাম, তিনি পাশে থাকলে আমি নিজেকে নিরাপদ বোধ করি। তিনি মদ খেতেন না, কিন্তু তাঁর স্ত্রী কাজ করুক, তিনি সেটা চাইতেন না। আমি তাঁর মধ্যকার শিশুটিকে পছন্দ করতাম, যে বৃষ্টি ভালোবাসত, যে প্রকৃতি ভালোবাসত। তাঁর পৃথিবীটা ছিল আসলে স্বপ্নের পৃথিবী। একবার তিনি বাজারে গিয়ে দেখলেন মসুরের ডাল। ঘরে ফিরেই বললেন, “চলো, এক্ষুণি মৌসরী চলে যাই!” তাঁর যাযাবর জীবন পছন্দ করতাম। আমি সেই জীবনের অংশ হয়ে গেলাম।’
কিশোর হার মেনে নেননি। নিজে এসেছেন লীনার অভিভাবকদের কাছে। অনুমতি নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন। এমনকি গানও শুনিয়েছেন। একসময় কী করে ‘না’–টা ‘হ্যাঁ’ হয়ে গেল, সেটা তাঁরা টেরও পাননি। ১৯৮০ সালে বিয়ে হলো এই জুটির।
এবং অবাক কাণ্ড, তাঁদের বিয়েটা ছিল খুবই শান্তিময়। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর কিশোরের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁরা খুবই সুখী পারিবারিক জীবনযাপন করেছেন।
এ সংসারে সুমিত নামে একটি ছেলে হয় তাঁদের।
ছয়.
শেষ করি একেবারে অন্য এক প্রসঙ্গ দিয়ে।
পুলক বন্দোপাধ্যায় অন্য এক শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াবেন বলে লিখেছিলেন ‘তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরণ যাত্রা যেদিন যাবে’ গানটি। কিন্তু মরণ যাত্রা শব্দগুলোর জন্য সেই খ্যাতনামা শিল্পী এই গান গাইতে রাজি হলেন না। মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় গানটির সুর করেছিলেন। পড়েই ছিল গানটা। এ সময় মনোজ বাবু মৃণালের কাছে গানটি শুনে তাঁর নির্মিয়মাণ ছবিতে গানটি নিতে চাইলেন। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘গানটি দিতে পারি, কিন্তু গাওয়াতে হবে কিশোর কুমারকে দিয়ে।’
রাজি হলেন তিনি। খুবই দরদ দিয়ে গাইলেন কিশোর কুমার। গানটি গাওয়ার পর কিশোর কুমার বললেন, ‘পোলাওবাবু (পুলককে এই নামেই ডাকতেন কিশোর), একেবারে আমার মরণ যাত্রা করে দিলেন?’
অন্য আরেকটি ছবির ডেট নিয়ে পুলক ফিরেছেন কলকাতায়। সেখান থেকে ফোন করেছেন কিশোরকে। একজন ফোন ধরে বললেন, ‘ও তো চলা গিয়া।’
কিশোর কুমার এ ধরনের রসিকতা অনেক করেছেন। তাই পুলক তাড়া দিলেন, ‘বলুন, আমি কলকাতা থেকে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি।’
তখন এক ভদ্রলোক পরিষ্কার বাংলা ভাষায় বললেন, ‘কিশোরদা কিছুক্ষণ আগেই দেহ রেখেছেন।’

কিশোর কুমারকে নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই চোখে ভাসে ‘লুকোচুরি’ সিনেমার সেই আমুদে নায়কটিকে—যিনি সিনেমার পরিচালক–প্রযোজকদের বোকা বানিয়ে গেয়ে চলেছেন, ‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’। আবার একটু পর জমজ ভাই হয়ে গাইছেন ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায় স্বপ্নমধুর মোহে’। একেবারে দুই ধরনের দুই মানুষ। একজন দুরন্ত, গতিশীল, আরেকজন শান্ত–স্নিগ্ধ। বাস্তবজীবনের কিশোর কুমারের সঙ্গে কোনজনের মিল, সে কথা বোধ করি কাউকে বলে দিতে হবে না।
কিশোর কুমার মানেই পূর্ণ–দেহ প্রাণ। দেহজুড়েই তাঁর প্রাণের অস্তিত্ব। তাই তারুণ্যের সেই অদম্য সময়ে ‘কী আশায় বাঁধি খেলাঘর বেদনার বালুচরে’ বা এ ধরনের কোনো গান শুনলে কিশোর কুমার যেন তাঁর পূর্ণ দেহ–মন নিয়ে ঢুকে পড়তেন শরীরে। এক ধরনের জ্বলন্ত আগুন আর বরফখণ্ডের মিলিত অবগাহনে অস্তিত্ব পেত পারিজাতের সন্ধান। সে দিনগুলো ভুলবে কে?
সে রকমই কিছু কথা বলব বলে ভেবেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ রুশ এক পত্রিকায় দেখলাম বেশ মজা করে একটি শিরোনাম করা হয়েছে কিশোর কুমারকে নিয়ে। ‘বিয়ে করাটাই ছিল যার অভ্যাস: কিশোর কুমারের চার বউ।’ শিরোনাম দেখে মাথার চাঁদি একটু একটু করে গরম হচ্ছিল। বলতে ইচ্ছে করছিল, ‘রে পামর! কিশোর কুমারের চার বউটাই দেখলি, কিশোর কুমারকে দেখলি না?’ রাগ করেই পড়তে শুরু করার পর মনে হলো, আরে! লেখার সময় তো বেশ খেটেছে লোকটা! ঠিক আছে, এ রকম একটা বাজে শিরোনাম দেওয়ার পরও তাকে ক্ষমা করে দেওয়া গেল। সেই সঙ্গে মনে হলো, আসলেই তো! কিশোর কুমারের বউয়েরা প্রত্যেকেই তো এক একজন তারকা। তাঁরা কেন কিশোরকে ভালো বেসেছিলেন?
একটু অতীত ঘুরে আসতে মন চাইছে।
দুই.
এ কথা কে না জানে, গানই ছিল কিশোর কুমারের প্রাণ। কুঞ্জলাল সায়গল ছিলেন তাঁর আত্মার আত্মীয়। তাঁর গানেই মজেছিলেন কিশোর। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না গানের, কিন্তু গানের জগতে ‘অশিক্ষিত’ কিশোর জয় করেছিলেন গোটা ভারতবর্ষ। কণ্ঠ যে এতটা প্রাণময় হতে পারে, তা কিশোর কুমারের গান না শুনলে বোঝা কঠিন। কী আনন্দ, কী বেদনা—মনে হয় তার প্রকাশ ঘটছে অনায়াসে।
চার স্ত্রী তাঁর, কেমন ছিল তাঁদের সঙ্গে কিশোরের সম্পর্ক, সেটা নিয়ে নানা আলোচনা আছে। আমরা একটু একটু করে সেগুলো শুনব বটে, কিন্তু মনে রাখব, বড় মানুষেরা তাদের সৃজনশীলতার গুণেই বড় মানুষ হন। কিশোর কুমার মানেই গানের সুধা। সেভাবেই তাঁকে দেখতে হবে।
কিশোর কুমারের বড় ভাই অশোক কুমার যখন চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন, তখন কিশোর কুমার ছিলেন নিতান্তই কিশোর। ১৯৪০ সালে তখনকার বোম্বেতে আসেন কিশোর। অর্থাৎ, ১১ বছর বয়সে। অশোক কুমার তাঁকে গানের দলে জায়গা করে দেন, কোরাস গানে কণ্ঠ দিতেন কিশোর। ‘শিকারি’ নামের চলচ্চিত্রে অশোক কুমার ছিলেন নায়ক। সে ছবিরই একটি ছোট্ট ভূমিকায় ঠাঁই হয়েছিল কিশোরের। সেটা ১৯৪৬ সাল। ১৯৪৮ সালে চলচ্চিত্রের গানে ডেব্যু হলো কিশোরের। ১৯৫১ সালে ‘আন্দোলন’ ছবির নায়ক কিশোর কুমার। পঞ্চাশের দশকের শেষদিকে তিনি ডাকসাঁইটে অভিনেতায় পরিণত হয়েছেন।
১৯৫০ সালে কিশোর কুমার প্রথমবার বিয়ে করেন। রুমা গুহ ঠাকুরতা ছিলেন তাঁর স্ত্রী। ১৯৫২ সালে এই সংসারে জন্ম হয় অমিত কুমারের। দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই হয়েছিল বিয়ে। ১৯৫৮ সালের দিকে কিশোর আর মধুবালার প্রেমের গুঞ্জন ভেসে বেড়াত বাতাসে। তাতে চিড় ধরল কিশোর–রুমার সংসারে। সে বছরই বিবাহবিচ্ছেদ। অনেকে বলেন, কিশোর চেয়েছিলেন, রুমা ঘরে থাকুক, সংসার দেখুক। রুমা চেয়েছিলেন তাঁর স্বাভাবিক জীবন অব্যাহত রাখতে। সেটাই নাকি বিবাহবিচ্ছেদের মূল কারণ। কিন্তু কিশোর–মধুবালার সম্পর্ক তখন গড়ে উঠছে, এটাও তো এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। সে সময় রুমার পক্ষে কিশোরের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা কঠিনই ছিল। রুমাও খুব বেশি দেরি করেননি। তিনি অপূর্ব গুহ ঠাকুরতাকে বিয়ে করেন এবং সিনেমায় অভিনয় চালিয়ে যেতে থাকেন। আমরা সবাই জানি, কিশোর–রুমার ছেলে অমিতও বাবার মতো গায়ক হয়েছিলেন, যদিও বাবার মতো খ্যাতি পাননি। আর রুমা গুহ ঠাকুরতার কলকাতা ইয়ুথ কয়্যারের সুনামের কথা তো সবাই জানে।
রুমা গুহ ঠাকুরতা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে কিশোর বলেছিলেন, ‘রুমা খুবই প্রতিভাবান। কিন্তু আমরা দুজন একসঙ্গে থাকতে পারিনি, কারণ আমরা দুজন জীবনকে দুভাবে দেখতাম। সে কয়্যার আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবত। আমি ভাবতাম, সে আমাকে বাড়ি গড়ে দেবে। তাই আমাদের মধ্যে মিল হবে কী করে? আমি খুবই সাদাসিধে গ্রাম্য টাইপের মানুষ। মেয়েদের ক্যারিয়ার ব্যাপারটা বোঝা আমার কম্ম নয়। কী করে ঘর তৈরি করতে হয়, সেটাই স্ত্রীদের প্রধান কাজ। ক্যারিয়ার আর ঘর গড়া একসঙ্গে হয় না। তাই আমাদের আলাদা হয়ে যেতে হলো।’
তিন.
পঞ্চাশ দশকের শেষার্ধে মধুবালার সঙ্গে অনেকগুলো ছবিতে অভিনয় করেন কিশোর কুমার। ছবিপাড়ায়ই তাঁদের মন দেওয়া–নেওয়া চলছিল। এ সময় হঠাৎ করেই মঞ্চে আসেন দিলীপ কুমার। কিন্তু দিলীপ কুমারের সঙ্গে রোমান্স শেষ হয়ে গেলে খুবই অসহায় হয়ে পড়েন মধুবালা। সে সময় কিশোর কুমারই হয়ে ওঠেন মধুবালার আশ্রয়। পত্র–পত্রিকায় লেখা হয়, কিশোরের সঙ্গে মধুবালা নিজেকে জড়িয়েছিলেন স্রেফ দিলীপ কুমারকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য, একধরনের ঈর্ষা থেকে। ১৯৬০ সালে তাঁরা দুজন কোর্টে বিয়ে করেন। এটা দুই পরিবারের কেউ পছন্দ করেনি। ফলে এর পর মুসলমান মতে তাঁরা একবার বিয়ে করেন, হিন্দুমতে আরেকবার। প্রথমটি করতে হয় মধুবালার পরিবারের জন্য, দ্বিতীয়টি কিশোরের পরিবারের জন্য। মুসলমান মতে বিয়ে করার সময় নামও বদলাতে হয় কিশোরের। সেখানে তাঁর নাম রাখা হয় আবদুল করিম!
এত কিছুর পরও কিশোরের পরিবার মধুবালাকে মেনে নেয়নি। জন্ম থেকেই অসুস্থ ছিলেন মধুবালা। বিয়ের কিছুদিন পর তাঁর অসুস্থতা বেড়ে যায়। ষাটের দশকের মাঝামাঝি তা খুব খারাপ আকার ধারণ করে। হৃৎপিণ্ডে ফুটো ছিল তাঁর। লন্ডনে গিয়েছিলেন অপারেশন করতে। কিন্তু বড়দের দেহে এই অপারেশন তখনো ইউরোপে কেউ করেনি। তাই ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
এ সময় স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। সহ্য করতে না পেরে মধুবালা চলে যান মায়ের কাছে। সেখানেই অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
কিশোর অবশ্য মধুবালা সম্পর্কে প্রিতীশ নন্দীকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘বিয়ের আগে থেকেই জানতাম, মধুবালা খুবই অসুস্থ। আমি কথা দিয়েছিলাম। তাই আমি আমার কথা রেখেছি এবং তাঁকে বিয়ে করেছি। আমি তখনও জানতাম, সে হৃৎপিণ্ডের অসুখেই মারা যাবে। দীর্ঘ ৯টি বছর আমি ওর পাশে থেকে সেবা করেছি। আমি নিজের চোখে ওকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে দেখেছি। নিজে এটার মধ্য দিয়ে না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না, কতটা কষ্টকর এই সময়টা। কষ্টে চিৎকার করত সে, কাঁদত। কীভাবে এ রকম একজন সক্রিয় মানুষ ৯ বছর বিছানায় পড়ে থাকতে পারে? আমি ওর সঙ্গে সবসময় রসিকতা করতে চেষ্টা করতাম। ডাক্তাররাই আমাকে রসিকতা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওর শেষ নিশ্বাস নেওয়া পর্যন্ত আমি সে চেষ্টা করে গেছি। আমি ওর সঙ্গে হেসেছি, কেঁদেছি।’
১৯৬৯ সালে মধুবালা মারা যান।
চার.
কিশোরের তৃতীয় বিয়ে খুব বেশিদিন টেকেনি। এ রকম একটা বিয়ে হবে, সেটাও কেউ ভাবেনি। যোগিতাবালির সঙ্গে কিশোরের বিয়েটা ছিল আকস্মিক। ১৯৭৬ সালে এই বিয়ে হয়। যোগিতাবালি ছিলেন কিশোর কুমারের চেয়ে ২৩ বছরের ছোট। অভিনেতা শা্ম্মী কাপুরের স্ত্রী গীতা বালির ভাগ্নি ছিলেন যোগিতা বালি। কীভাবে তাঁদের পরিচয় হয়েছিল, কীভাবে তা রোমান্সের রূপ নিল, সে সম্পর্কে খুব কম কথাই শোনো যায়। তবে বয়সের এই ব্যবধানই তাঁদের একসঙ্গে বেশিদিন থাকতে দেয়নি। বিয়ের দু বছরের মাথায় বিয়ে ভেঙে যায়। ১৯৭৮ সালেই সাঙ্গ হয় রোমান্সের খেলা। তাঁরা আলাদা হয়ে যান।
এখানে বলা দরকার, বহু পরে এক সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, যোগিতা বালি তাদের বিয়েটাকে গুরুত্বপূর্ণ ভাবেননি। খুব কম সময়ের মধ্যেই তিনি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর প্রেমে পড়েন। কিশোরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটার পরপরই যোগিতা বিয়ে করেন মিঠুন চক্রবর্তীকে।
এর পর কিশোর কুমার মিঠুন অভিনীত কোনো ছবিতে কণ্ঠ দেননি। ফলে মিঠুনের সুপারহিট ছবিগুলোয় বাপ্পি লাহিড়ি কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ পান এবং সুরকার ও গায়ক হিসেবে বলিউডে উচ্চ আসন লাভ করেন।
পাঁচ.
চতুর্থ বিয়েই ছিল কিশোরের শেষ বিয়ে। কন্যা লীনা চান্ডাভারকার। তিনিও ছিলেন অভিনয়শিল্পী। তৃতীয় বিয়ের মতোই চতুর্থ বিয়েতে কনে ছিলেন বরের চেয়ে অনেক ছোট। দুজনের বয়সের পার্থক্য ছিল একুশ বছর। লীনার আগে আরেকটা বিয়ে ছিল সিদ্ধার্থ ব্যান্ডোটকার নামের একজনের সঙ্গে। তাঁদের পরিবার ছিল রাজনীতির মাঠে শক্তিশালী। সিদ্ধার্থ ছিলেন কিশোর কুমারের ভক্ত। একবার লোনাভালায় যাওয়ার পর কিশোর কুমারকে দেখেছিলেন তাঁরা। কিশোরের সঙ্গে ছিলেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী যোগিতা বালি। সিদ্ধার্থ লীনাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘যদি কিশোর কুমার তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায়, তুমি কি তাঁকে বিয়ে করবে?’
লীনা বলেছিলেন, ‘কখনোই না।’
বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধার্থ এক দুর্ঘটনায় মারা যান। ফলে লীনা তখন একেবারেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। লীনার কাছে তাঁর ট্র্যাজেডির কথা শুনে খুবই কষ্ট পান কিশোর। এবং তিনি হৃদয় থেকেই লীনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। লীনার সায় ছিল তাতে, কিন্তু লীনার অভিভাবকেরা একেবারেই কিশোরকে জামাই হিসেবে দেখতে চাননি। কী করে তাঁরা মেয়েকে এমন একজন পুরুষের সঙ্গে বিয়ে দেবেন, যিনি এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন এবং বয়সের তারতম্যও ২১ বছর!
এক সাক্ষাৎকারে লীনা বলেছিলেন, ‘একদিন কিশোর কুমারের গাড়িচালক আবদুল আমাদের বাড়িতে এসে আমাকে কিশোর কুমারের ফোন নম্বর দিয়ে বলল, তাঁকে ফোন করতে। আমি ফোন করতেই কিশোর বললেন, “লীনা, তোমার কণ্ঠ শোনার জন্যই বসে আছি!”’
প্রতিদিন সকালেই তিনি আমাকে ফোন করতেন এবং কোনো ভনিতা না করেই কথা বলতে শুরু করতেন। তাঁর কথা শুনে আমার বিষণ্নতা কেটে যেতে লাগল, হাসতে শুরু করলাম আমি। সেটা আমার বাবার চোখে পড়ল। আমি শুরুতেই তাঁর প্রেমে পড়িনি, কিন্তু বুঝতে পারতাম, তিনি পাশে থাকলে আমি নিজেকে নিরাপদ বোধ করি। তিনি মদ খেতেন না, কিন্তু তাঁর স্ত্রী কাজ করুক, তিনি সেটা চাইতেন না। আমি তাঁর মধ্যকার শিশুটিকে পছন্দ করতাম, যে বৃষ্টি ভালোবাসত, যে প্রকৃতি ভালোবাসত। তাঁর পৃথিবীটা ছিল আসলে স্বপ্নের পৃথিবী। একবার তিনি বাজারে গিয়ে দেখলেন মসুরের ডাল। ঘরে ফিরেই বললেন, “চলো, এক্ষুণি মৌসরী চলে যাই!” তাঁর যাযাবর জীবন পছন্দ করতাম। আমি সেই জীবনের অংশ হয়ে গেলাম।’
কিশোর হার মেনে নেননি। নিজে এসেছেন লীনার অভিভাবকদের কাছে। অনুমতি নেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন। এমনকি গানও শুনিয়েছেন। একসময় কী করে ‘না’–টা ‘হ্যাঁ’ হয়ে গেল, সেটা তাঁরা টেরও পাননি। ১৯৮০ সালে বিয়ে হলো এই জুটির।
এবং অবাক কাণ্ড, তাঁদের বিয়েটা ছিল খুবই শান্তিময়। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর কিশোরের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁরা খুবই সুখী পারিবারিক জীবনযাপন করেছেন।
এ সংসারে সুমিত নামে একটি ছেলে হয় তাঁদের।
ছয়.
শেষ করি একেবারে অন্য এক প্রসঙ্গ দিয়ে।
পুলক বন্দোপাধ্যায় অন্য এক শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াবেন বলে লিখেছিলেন ‘তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরণ যাত্রা যেদিন যাবে’ গানটি। কিন্তু মরণ যাত্রা শব্দগুলোর জন্য সেই খ্যাতনামা শিল্পী এই গান গাইতে রাজি হলেন না। মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় গানটির সুর করেছিলেন। পড়েই ছিল গানটা। এ সময় মনোজ বাবু মৃণালের কাছে গানটি শুনে তাঁর নির্মিয়মাণ ছবিতে গানটি নিতে চাইলেন। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘গানটি দিতে পারি, কিন্তু গাওয়াতে হবে কিশোর কুমারকে দিয়ে।’
রাজি হলেন তিনি। খুবই দরদ দিয়ে গাইলেন কিশোর কুমার। গানটি গাওয়ার পর কিশোর কুমার বললেন, ‘পোলাওবাবু (পুলককে এই নামেই ডাকতেন কিশোর), একেবারে আমার মরণ যাত্রা করে দিলেন?’
অন্য আরেকটি ছবির ডেট নিয়ে পুলক ফিরেছেন কলকাতায়। সেখান থেকে ফোন করেছেন কিশোরকে। একজন ফোন ধরে বললেন, ‘ও তো চলা গিয়া।’
কিশোর কুমার এ ধরনের রসিকতা অনেক করেছেন। তাই পুলক তাড়া দিলেন, ‘বলুন, আমি কলকাতা থেকে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছি।’
তখন এক ভদ্রলোক পরিষ্কার বাংলা ভাষায় বললেন, ‘কিশোরদা কিছুক্ষণ আগেই দেহ রেখেছেন।’

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৩৮ মিনিট আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

কিশোর কুমারকে নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই চোখে ভাসে ‘লুকোচুরি’ সিনেমার সেই আমুদে নায়কটিকে—যিনি সিনেমার পরিচালক–প্রযোজকদের বোকা বানিয়ে গেয়ে চলেছেন, ‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’। আবার একটু পর জমজ ভাই হয়ে গাইছেন ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায় স্বপ্নমধুর মোহে’।
০৫ আগস্ট ২০২১
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

কিশোর কুমারকে নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই চোখে ভাসে ‘লুকোচুরি’ সিনেমার সেই আমুদে নায়কটিকে—যিনি সিনেমার পরিচালক–প্রযোজকদের বোকা বানিয়ে গেয়ে চলেছেন, ‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’। আবার একটু পর জমজ ভাই হয়ে গাইছেন ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায় স্বপ্নমধুর মোহে’।
০৫ আগস্ট ২০২১
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৩৮ মিনিট আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

কিশোর কুমারকে নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই চোখে ভাসে ‘লুকোচুরি’ সিনেমার সেই আমুদে নায়কটিকে—যিনি সিনেমার পরিচালক–প্রযোজকদের বোকা বানিয়ে গেয়ে চলেছেন, ‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’। আবার একটু পর জমজ ভাই হয়ে গাইছেন ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায় স্বপ্নমধুর মোহে’।
০৫ আগস্ট ২০২১
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৩৮ মিনিট আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

কিশোর কুমারকে নিয়ে লিখতে গেলে প্রথমেই চোখে ভাসে ‘লুকোচুরি’ সিনেমার সেই আমুদে নায়কটিকে—যিনি সিনেমার পরিচালক–প্রযোজকদের বোকা বানিয়ে গেয়ে চলেছেন, ‘শিং নেই তবু নাম তার সিংহ’। আবার একটু পর জমজ ভাই হয়ে গাইছেন ‘এই তো হেথায় কুঞ্জছায়ায় স্বপ্নমধুর মোহে’।
০৫ আগস্ট ২০২১
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
৩৮ মিনিট আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
১ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
১ ঘণ্টা আগে