Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

যে ভালোবাসার সঙ্গে শ্রদ্ধা নেই, তা আমি গ্রহণ করি না

সৈয়দ আব্দুল হাদী। ছবি: তালহা মোস্তাফা

বাংলা গানের কিংবদন্তি শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী। গান গেয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ পেয়েছেন নানা পুরস্কার। এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে কতটা সন্তুষ্ট? গান ছাড়া পেশাগত জীবনে আর কী করেছেন তিনি? বাংলা গানের সোনালি যুগ পেরিয়ে আসা এই শিল্পী কী বলছেন বর্তমান সময়ের সংগীত নিয়ে? এমন নানা প্রশ্ন আর প্রসঙ্গ নিয়ে সৈয়দ আব্দুল হাদীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা

এম এস রানা

একবার বলেছিলেন, প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে কিছুটা সময় হলেও রেয়াজ করতেন। এখন কি নিয়মিত রেয়াজ করা সম্ভব হয়?

এখন আর নিয়মিত রেয়াজ করা হয় না। আগেও যে প্রতিদিন রেয়াজ করতে পারতাম, ব্যাপারটা ঠিক তেমন নয়। তবে যেদিন রেকর্ডিং থাকত, বা কোনো অনুষ্ঠান থাকত, সেদিন অবশ্যই রেয়াজ করতাম।

আপনার পেশাগত জীবন শুরু কী দিয়ে?

গান করতাম। পাশাপাশি জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু। ওখানে লেকচার দিতে দিতে গলার অবস্থা খারাপ হয়ে যেত, গান গাইতে অসুবিধা হতো। তাই শিক্ষকতা ছেড়ে দিলাম।

বিটিভির শুরুর দিকে প্রযোজক হিসেবেও তো কাজ করেছেন?

হ্যাঁ। তখন ছিল পিটিসি। পাকিস্তান টেলিভিশন করপোরেশন। ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হলো। আমি জয়েন করলাম ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে। তখন প্রযোজক হওয়াটাও সহজ ছিল না। কালচারাল ব্যাকগ্রাউন্ড স্ট্রং থাকতে হতো।

আপনার প্রযোজনায় প্রথম অনুষ্ঠান কী ছিল?

প্রযোজক হিসেবে আমার শুরু স্টুডেন্টস প্রোগ্রাম দিয়ে। যেহেতু ইউনিভার্সিটি থেকে তখন বের হয়েছি, তাই আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হলো। ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতো। আমি ‘ড. জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড’ নাটকটি করেছিলাম। এর নাট্যরূপ দিয়েছিলেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। যাঁরা অভিনয় করেছিলেন, তাঁদের কেউ সম্ভবত আর বেঁচে নেই। এ ছাড়া গানের অনুষ্ঠানই বেশি করতাম। সেখানে রওশন আরা মুস্তাফিজ, হাসিনা মমতাজ—এদের নিয়ে এলাম। এ ছাড়া একটা নাটক করেছিলাম, সেই নাটকে সুচন্দা প্রথম অভিনয় করেছিলেন।

এই সময়ের গান শোনেন?

হ্যাঁ, খুব আগ্রহ নিয়ে শুনি।

কী মনে হয়, আপনারা যে জায়গাটা তৈরি করেছেন, সংগীতাঙ্গন কি সেই জায়গায় আটকে আছে, নাকি পিছিয়ে গেল কিংবা উন্নতি করল?

এটা অনেক বড় প্রসঙ্গ। সংক্ষেপে বলা মুশকিল। তবে এটা বলতে পারি, আমরা বড় হয়েছি একটা আদর্শিক যুগে, সেই যুগ কি এখন আছে? এই রকমভাবে শুধু যে সমাজের পরিবর্তন এসেছে, তা নয়; সর্বক্ষেত্রে একটা পরিবর্তন এসেছে। স্বাভাবিকভাবে গানের ক্ষেত্রেও এসেছে। প্রধানত যে কথা বলতে চাই, গান তো অবশ্যই একটা বিনোদন, সেটা আগেও ছিল। তবে সেগুলো শিল্প হতো, শিল্প হয়েও মানুষকে বিনোদিত করত। আর এখন ব্যাপারটা উল্টে গেছে। আগে বিনোদন, তারপর শিল্পভাবনা। শিল্প হলে হলো, না হলে নাই, বিনোদন হলেই হলো। এখন যারা গান করছে, তাদের অনেকের গান শুনে মনে হয়, বেশ ভালো গলা, তারা শিখে এসেছে। কিন্তু সমস্যা একটাই—কারও নিজস্ব গায়কি তৈরি হচ্ছে না, নিজস্ব কণ্ঠ তৈরি হচ্ছে না। অটো টিউনার দিয়ে গান তৈরি হয়ে যাচ্ছে। শিল্পীর একটি নিজস্ব কণ্ঠ থাকতে হবে, নিজস্ব গায়কি থাকতে হবে।

একসময় অসংখ্য সিনেমা হতো, সেখানে অনেক গান তৈরি হতো, সেগুলো জনপ্রিয় হতো। একপর্যায়ে দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান এল, যারা শিল্পীদের গাওয়া গান অ্যালবাম আকারে বাজারজাত করত। এখন অত সিনেমাও হয় না, প্রতিষ্ঠানগুলো নেই। শিল্পীরা নিজ উদ্যোগে, নিজ খরচে, ইউটিউবে গান করছে। শিল্পী তৈরির ক্ষেত্রে এটা প্রতিবন্ধকতা কি না?

যুগের কারণেই এটা হয়েছে। আগেও এমন সময় ছিল, যখন যিনি লিখতেন, তিনিই সুর করতেন, আবার কখনো তিনিই গাইতেন। এরপর গ্রামোফোন কোম্পানি এল। পরিবর্তন এল। একজন গান লিখছেন, অন্যজন সুর করছেন, আরেকজন গাইছেন। আর এখন নিজের ঘরে বসেই নিজের লেখা, নিজের সুর করা গান গেয়ে ইউটিউবে প্রচার করা হচ্ছে। কোয়ালিটি কী হচ্ছে, তা দেখার কেউ নেই। আসলে আমরা ধীরে ধীরে এক-একটা দ্বীপ হয়ে যাচ্ছি। একসময় একান্নবর্তী পরিবার ছিল। খাওয়ার সময় হলে ঘণ্টা বাজানো হতো, সবাই একসঙ্গে খেতে বসত। সময়ের দাবিতে এখন আর একান্নবর্তী পরিবার দেখা যায় না। সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। গানের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। আমরা প্রত্যেকে এক-একটা দ্বীপ হয়ে যাচ্ছি। কারও সঙ্গে কারও সম্পর্ক নেই।

গানের তো নিজস্ব একটা ভাষা আছে, নিজস্ব দাবি আছে। আপনার কি মনে হয়, এখনকার এই পরিবর্তনটাও একসময় বদলে যেতে পারে, সংগীত আবার তার আগের জগতে, পুরোনো ধারা বা নিয়মে ফিরে যেতে পারে?

একটা উদাহরণ দিই, আইনস্টাইনকে একজন প্রশ্ন করেছিলেন, তৃতীয় মহাযুদ্ধে কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে? তিনি উত্তরে বলেছিলেন, তা বলতে পারব না, তবে চতুর্থ মহাযুদ্ধের কথা বলতে পারি, সেটা হবে ইটপাটকেল আর লাঠিসোঁটা দিয়ে। মানে, সভ্যতা আবার নতুন করে শুরু হবে। নিশ্চয় বোঝাতে পেরেছি। সংগীতও নিশ্চয় নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একসময় তার শিকড়ে ফিরে যাবে। তবে সেটা কবে, বলতে পারব না।

গান গেয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ নিয়ে আপনার অনুভূতি কেমন?

প্রথম তিনটি পুরস্কার নিয়ে খুশি। জেনুইনলি পেয়েছি। তবে এমন এমন গান আমার ছিল, যে দশবার আমাকে পুরস্কার দেওয়া যেতে পারত। অথচ, শেষের দুইটা পুরস্কার যে গান দুটির জন্য পেয়েছি, আমি নিজে হলে এই পুরস্কার দিতাম না। কারণ, আমার এর চেয়ে ভালো গান ছিল।

কেন এমনটা হয়েছে বলে মনে করেন?

আসলে তত দিনে লবিং বা তদবির ঢুকে গেছে। লবিং তো নোবেল নিয়েও হয়। তাই বলে রাস্তা থেকে আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে তো লবিং করবে না কেউ। লবিং করতে হলে হয় আপনার লোক থাকতে হবে, নয়তো আপনার নিজেকেই ভিক্ষা করতে হবে। দুটোর কোনোটাই আমার পছন্দ নয়। যে জন্য অনেক কিছুই আমি জীবনে পাইনি। তাতে কিছুই যায় আসে না। মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেটাই আমার কাছে বড়। একটা কথা বলি, যে ভালোবাসার সঙ্গে শ্রদ্ধা নেই, তা আমি গ্রহণ করি না। আবার যে শ্রদ্ধার সঙ্গে ভালোবাসা নেই, সেটাও গ্রহণ করি না।

শিল্পীজীবনে সৈয়দ আব্দুল হাদী হিসেবে কি কোনো আক্ষেপ আছে?

আক্ষেপ নেই, তবে ভ্রুক্ষেপ আছে। আমার কাছে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো আত্মমর্যাদা, এটাকে বিক্রি করে কিছুই করতে চাই না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।

খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’

বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৫
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।

ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’

জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোবিজ তারকাদের শোক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।

ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’

শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’

সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’

অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।

এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

রুমিন ফারহানাসহ আরও যাঁদের বহিষ্কার করল বিএনপি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত