
১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল অস্কারের যাত্রা। প্রথমে ছোটখাটো আয়োজন দিয়ে সাজানো থাকলেও এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্কারের আসর বসে। এই আসরে সেরাদের সোনালি রঙের মানব আকৃতি একটি ট্রফি দেওয়া হয়। প্রায় ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের এই ট্রফির দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। গত ৯৫ বছরে মোট ৩ হাজার ১৪০টি ট্রফি বিতরণ করা হয়।
এখন অস্কার অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যে কোনো পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। তবে শুরুতেই এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস পুরস্কারটি চালুর ১০ বছর পর ট্রফির অস্কার নামকরণ হয়।
ইতিহাস: যেভাবে অস্কার এল
চলচ্চিত্র বিষয়ক বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নয়নের লক্ষে ১৯২৭ সালের ১১ মে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস গঠন করা হয়। এর গঠনের কিছুদিন পরেই, নতুন সংগঠনটি তাদের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের বিল্টমোর হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে। সেই রাতে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল কীভাবে অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কৃতিত্বকে সর্বোত্তম সম্মান দেওয়া যায়। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে বার্ষিক পুরস্কারের প্রস্তাবনা পাশ হয়।
১৯২৯ সালের ১৬ মে হলিউড বুলভার্ডের হোটেল রুজভেল্টে বসে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠানের আসর। ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯২৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে অস্কারের প্রথম আসরের জন্য বিবেচনা করা হয়। টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫ ডলার, যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ২৭০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১৫ মিনিট। এটি একমাত্র একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান যা রেডিও বা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়নি; ২য় একাডেমি পুরস্কার একটি রেডিও সম্প্রচার করা হয়েছিল।
একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অস্কার নামকরণ নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গ্রন্থাগারিক মার্গারেট হ্যারিকের নাম। ট্রফির চোখমুখ ও কঠোর-কঠিন ভ্রু-জোড়া দেখে নিজের চাচার সঙ্গে মিল আছে বরে মজা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ওই চাচার নাম ছিল অস্কার। সেখান থেকেই ট্রফির নাম আসে বলে জনশ্রুতি।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও সমাজবিজ্ঞানী ইমানুয়েল লেভি তাঁর ‘অল অ্যাবাউট অস্কার: দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিকস অব দ্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ঠাট্টাচ্ছলে মার্গারেটের ওই তুলনার পর থেকে একাডেমির কর্মচারীরা মূর্তিটিকে খানিকটা আদর করেই অস্কার বলে ডাকা শুরু করেন। মার্গারেট পরে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন।
ছাপার অক্ষরে প্রথম ‘অস্কার’ শব্দটি ব্যবহার করেন হলিউডের জনপ্রিয় কলামিস্ট সিডনি স্কোলস্কি। ১৯৩৪ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ক্যাথরিন হেপবার্নের ঝুলিতে যুক্ত হলে স্কোলস্কি তাঁর নিবন্ধে অস্কার শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৯ সালে ‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ ট্রফির নাম হিসেবে অস্কার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত পায়।
‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ বা অস্কার ট্রফির নকশা প্রণয়ন এবং তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিখ্যাত হলিউড স্টুডিও এমজিএমের আর্ট ডিরেক্টর সেড্রিক গিবন্স ও ভাস্কর জর্জ স্ট্যানলি। গিবন্সের করা অস্কার মূর্তিটির একদম মূল নকশায় তলোয়ার হাতে এক নাইটকে ফিল্মের রিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই রিলের ৫টি স্পোক চলচ্চিত্রের ৫টি ভিন্ন অনুষঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে। সেগুলো হচ্ছে-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, যন্ত্রকর্মী এবং চিত্রনাট্যকার। তলোয়ার দিয়ে এই শিল্পের অগ্রগতি রক্ষার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে।
গিবন্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূল নকশায় বেশ কিছুটা পরিবর্তন এনে একে বর্তমান ত্রিমাত্রিক রূপ দেন জর্জ স্ট্যানলি। অনেকের ধারণা, মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা এমিলিও ফার্নান্দেজের দেহাবয়বের আদলে মূর্তিটি বানানো। তবে কেউ কেউ তা অস্বীকার করেন।
আগে সাড়ে ৮ পাউন্ড ওজনের এই মূর্তিটিকে শক্ত ব্রোঞ্জে রূপান্তর করে তার ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হত। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে ডিজিটাল অস্কারের ছাঁচ বের করা হয়। ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে তাপে ব্রোঞ্জ গলিয়ে সেই ছাঁচের সিরামিক শেলের ভেতরে ঢালা হয়। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটাকে শেল থেকে বের করে ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের সাহায্যে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়।
বিক্রি করা যায় না ‘অস্কার’
অস্কারের প্রাপকরা তাঁদের ট্রফি বিক্রি করতে পারেন না। ট্রফিটি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে, অবশ্যই এটি বিক্রি বা নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে সম্মত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এটিকে একমাত্র প্রতীকী ১ ডলারে একাডেমিতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
প্রথম আসরে পুরস্কার পেয়েছিলেন যাঁরা
বর্তমান ২৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিলেও উদ্বোধনী অস্কার অনুষ্ঠানে ১২টি বিভাগ ছিল। এ অনুষ্ঠানের কয়েক মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফলে কোনও চমকই ছিল না!
প্রথম সেরা ছবির পুরস্কার জিতে উইলিয়াম এ. ওয়েলম্যান পরিচালিত ‘উইংস’। প্রথম অস্কার গ্রহণ করেছিলেন জার্মান অভিনেতা এমিল জেনিংস। দুই নির্বাক ছবি ‘দ্য লাস্ট কমান্ড’ (১৯২৮) ও ‘দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ’ (১৯২৭) তাকে এনে দেয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রী জ্যানেট গেনর। আর সেরা পরিচালকের পুরস্কার গ্রহণ করেন ফ্র্যাঙ্ক বোর্জেজ ও লুইস মাইলস্টোন। চার্লি চ্যাপলিন এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
অস্কার মঞ্চে লাল গালিচা এল যেভাবে
অস্কারে প্রথমে লাল গালিচার প্রচলন ছিল না। ৩১ বছর পর ১৯৬০ সালে প্রথমবার লাল গালিচার ব্যবস্থা রাখা হয়। তার আগে, অংশগ্রহণকারীরা খুব ধুমধাম ছাড়াই কেবল অনুষ্ঠানস্থলে চলে যেতেন। দিনদিন লাল গালিচা প্রবেশদ্বারটি চটকদার দর্শনে রূপান্তরিত হচ্ছে। এখন লাল গালিচাকে কমনীয়তা এবং প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, কারণ বিশ্বব্যাপী দর্শকেরা তাদের প্রিয় তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।

১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল অস্কারের যাত্রা। প্রথমে ছোটখাটো আয়োজন দিয়ে সাজানো থাকলেও এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্কারের আসর বসে। এই আসরে সেরাদের সোনালি রঙের মানব আকৃতি একটি ট্রফি দেওয়া হয়। প্রায় ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের এই ট্রফির দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। গত ৯৫ বছরে মোট ৩ হাজার ১৪০টি ট্রফি বিতরণ করা হয়।
এখন অস্কার অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যে কোনো পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। তবে শুরুতেই এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস পুরস্কারটি চালুর ১০ বছর পর ট্রফির অস্কার নামকরণ হয়।
ইতিহাস: যেভাবে অস্কার এল
চলচ্চিত্র বিষয়ক বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নয়নের লক্ষে ১৯২৭ সালের ১১ মে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস গঠন করা হয়। এর গঠনের কিছুদিন পরেই, নতুন সংগঠনটি তাদের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের বিল্টমোর হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে। সেই রাতে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল কীভাবে অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কৃতিত্বকে সর্বোত্তম সম্মান দেওয়া যায়। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে বার্ষিক পুরস্কারের প্রস্তাবনা পাশ হয়।
১৯২৯ সালের ১৬ মে হলিউড বুলভার্ডের হোটেল রুজভেল্টে বসে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠানের আসর। ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯২৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে অস্কারের প্রথম আসরের জন্য বিবেচনা করা হয়। টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫ ডলার, যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ২৭০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১৫ মিনিট। এটি একমাত্র একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান যা রেডিও বা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়নি; ২য় একাডেমি পুরস্কার একটি রেডিও সম্প্রচার করা হয়েছিল।
একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অস্কার নামকরণ নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গ্রন্থাগারিক মার্গারেট হ্যারিকের নাম। ট্রফির চোখমুখ ও কঠোর-কঠিন ভ্রু-জোড়া দেখে নিজের চাচার সঙ্গে মিল আছে বরে মজা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ওই চাচার নাম ছিল অস্কার। সেখান থেকেই ট্রফির নাম আসে বলে জনশ্রুতি।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও সমাজবিজ্ঞানী ইমানুয়েল লেভি তাঁর ‘অল অ্যাবাউট অস্কার: দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিকস অব দ্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ঠাট্টাচ্ছলে মার্গারেটের ওই তুলনার পর থেকে একাডেমির কর্মচারীরা মূর্তিটিকে খানিকটা আদর করেই অস্কার বলে ডাকা শুরু করেন। মার্গারেট পরে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন।
ছাপার অক্ষরে প্রথম ‘অস্কার’ শব্দটি ব্যবহার করেন হলিউডের জনপ্রিয় কলামিস্ট সিডনি স্কোলস্কি। ১৯৩৪ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ক্যাথরিন হেপবার্নের ঝুলিতে যুক্ত হলে স্কোলস্কি তাঁর নিবন্ধে অস্কার শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৯ সালে ‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ ট্রফির নাম হিসেবে অস্কার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত পায়।
‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ বা অস্কার ট্রফির নকশা প্রণয়ন এবং তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিখ্যাত হলিউড স্টুডিও এমজিএমের আর্ট ডিরেক্টর সেড্রিক গিবন্স ও ভাস্কর জর্জ স্ট্যানলি। গিবন্সের করা অস্কার মূর্তিটির একদম মূল নকশায় তলোয়ার হাতে এক নাইটকে ফিল্মের রিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই রিলের ৫টি স্পোক চলচ্চিত্রের ৫টি ভিন্ন অনুষঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে। সেগুলো হচ্ছে-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, যন্ত্রকর্মী এবং চিত্রনাট্যকার। তলোয়ার দিয়ে এই শিল্পের অগ্রগতি রক্ষার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে।
গিবন্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূল নকশায় বেশ কিছুটা পরিবর্তন এনে একে বর্তমান ত্রিমাত্রিক রূপ দেন জর্জ স্ট্যানলি। অনেকের ধারণা, মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা এমিলিও ফার্নান্দেজের দেহাবয়বের আদলে মূর্তিটি বানানো। তবে কেউ কেউ তা অস্বীকার করেন।
আগে সাড়ে ৮ পাউন্ড ওজনের এই মূর্তিটিকে শক্ত ব্রোঞ্জে রূপান্তর করে তার ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হত। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে ডিজিটাল অস্কারের ছাঁচ বের করা হয়। ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে তাপে ব্রোঞ্জ গলিয়ে সেই ছাঁচের সিরামিক শেলের ভেতরে ঢালা হয়। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটাকে শেল থেকে বের করে ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের সাহায্যে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়।
বিক্রি করা যায় না ‘অস্কার’
অস্কারের প্রাপকরা তাঁদের ট্রফি বিক্রি করতে পারেন না। ট্রফিটি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে, অবশ্যই এটি বিক্রি বা নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে সম্মত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এটিকে একমাত্র প্রতীকী ১ ডলারে একাডেমিতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
প্রথম আসরে পুরস্কার পেয়েছিলেন যাঁরা
বর্তমান ২৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিলেও উদ্বোধনী অস্কার অনুষ্ঠানে ১২টি বিভাগ ছিল। এ অনুষ্ঠানের কয়েক মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফলে কোনও চমকই ছিল না!
প্রথম সেরা ছবির পুরস্কার জিতে উইলিয়াম এ. ওয়েলম্যান পরিচালিত ‘উইংস’। প্রথম অস্কার গ্রহণ করেছিলেন জার্মান অভিনেতা এমিল জেনিংস। দুই নির্বাক ছবি ‘দ্য লাস্ট কমান্ড’ (১৯২৮) ও ‘দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ’ (১৯২৭) তাকে এনে দেয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রী জ্যানেট গেনর। আর সেরা পরিচালকের পুরস্কার গ্রহণ করেন ফ্র্যাঙ্ক বোর্জেজ ও লুইস মাইলস্টোন। চার্লি চ্যাপলিন এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
অস্কার মঞ্চে লাল গালিচা এল যেভাবে
অস্কারে প্রথমে লাল গালিচার প্রচলন ছিল না। ৩১ বছর পর ১৯৬০ সালে প্রথমবার লাল গালিচার ব্যবস্থা রাখা হয়। তার আগে, অংশগ্রহণকারীরা খুব ধুমধাম ছাড়াই কেবল অনুষ্ঠানস্থলে চলে যেতেন। দিনদিন লাল গালিচা প্রবেশদ্বারটি চটকদার দর্শনে রূপান্তরিত হচ্ছে। এখন লাল গালিচাকে কমনীয়তা এবং প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, কারণ বিশ্বব্যাপী দর্শকেরা তাদের প্রিয় তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।

১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল অস্কারের যাত্রা। প্রথমে ছোটখাটো আয়োজন দিয়ে সাজানো থাকলেও এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্কারের আসর বসে। এই আসরে সেরাদের সোনালি রঙের মানব আকৃতি একটি ট্রফি দেওয়া হয়। প্রায় ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের এই ট্রফির দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। গত ৯৫ বছরে মোট ৩ হাজার ১৪০টি ট্রফি বিতরণ করা হয়।
এখন অস্কার অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যে কোনো পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। তবে শুরুতেই এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস পুরস্কারটি চালুর ১০ বছর পর ট্রফির অস্কার নামকরণ হয়।
ইতিহাস: যেভাবে অস্কার এল
চলচ্চিত্র বিষয়ক বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নয়নের লক্ষে ১৯২৭ সালের ১১ মে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস গঠন করা হয়। এর গঠনের কিছুদিন পরেই, নতুন সংগঠনটি তাদের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের বিল্টমোর হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে। সেই রাতে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল কীভাবে অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কৃতিত্বকে সর্বোত্তম সম্মান দেওয়া যায়। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে বার্ষিক পুরস্কারের প্রস্তাবনা পাশ হয়।
১৯২৯ সালের ১৬ মে হলিউড বুলভার্ডের হোটেল রুজভেল্টে বসে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠানের আসর। ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯২৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে অস্কারের প্রথম আসরের জন্য বিবেচনা করা হয়। টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫ ডলার, যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ২৭০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১৫ মিনিট। এটি একমাত্র একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান যা রেডিও বা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়নি; ২য় একাডেমি পুরস্কার একটি রেডিও সম্প্রচার করা হয়েছিল।
একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অস্কার নামকরণ নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গ্রন্থাগারিক মার্গারেট হ্যারিকের নাম। ট্রফির চোখমুখ ও কঠোর-কঠিন ভ্রু-জোড়া দেখে নিজের চাচার সঙ্গে মিল আছে বরে মজা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ওই চাচার নাম ছিল অস্কার। সেখান থেকেই ট্রফির নাম আসে বলে জনশ্রুতি।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও সমাজবিজ্ঞানী ইমানুয়েল লেভি তাঁর ‘অল অ্যাবাউট অস্কার: দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিকস অব দ্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ঠাট্টাচ্ছলে মার্গারেটের ওই তুলনার পর থেকে একাডেমির কর্মচারীরা মূর্তিটিকে খানিকটা আদর করেই অস্কার বলে ডাকা শুরু করেন। মার্গারেট পরে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন।
ছাপার অক্ষরে প্রথম ‘অস্কার’ শব্দটি ব্যবহার করেন হলিউডের জনপ্রিয় কলামিস্ট সিডনি স্কোলস্কি। ১৯৩৪ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ক্যাথরিন হেপবার্নের ঝুলিতে যুক্ত হলে স্কোলস্কি তাঁর নিবন্ধে অস্কার শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৯ সালে ‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ ট্রফির নাম হিসেবে অস্কার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত পায়।
‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ বা অস্কার ট্রফির নকশা প্রণয়ন এবং তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিখ্যাত হলিউড স্টুডিও এমজিএমের আর্ট ডিরেক্টর সেড্রিক গিবন্স ও ভাস্কর জর্জ স্ট্যানলি। গিবন্সের করা অস্কার মূর্তিটির একদম মূল নকশায় তলোয়ার হাতে এক নাইটকে ফিল্মের রিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই রিলের ৫টি স্পোক চলচ্চিত্রের ৫টি ভিন্ন অনুষঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে। সেগুলো হচ্ছে-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, যন্ত্রকর্মী এবং চিত্রনাট্যকার। তলোয়ার দিয়ে এই শিল্পের অগ্রগতি রক্ষার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে।
গিবন্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূল নকশায় বেশ কিছুটা পরিবর্তন এনে একে বর্তমান ত্রিমাত্রিক রূপ দেন জর্জ স্ট্যানলি। অনেকের ধারণা, মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা এমিলিও ফার্নান্দেজের দেহাবয়বের আদলে মূর্তিটি বানানো। তবে কেউ কেউ তা অস্বীকার করেন।
আগে সাড়ে ৮ পাউন্ড ওজনের এই মূর্তিটিকে শক্ত ব্রোঞ্জে রূপান্তর করে তার ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হত। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে ডিজিটাল অস্কারের ছাঁচ বের করা হয়। ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে তাপে ব্রোঞ্জ গলিয়ে সেই ছাঁচের সিরামিক শেলের ভেতরে ঢালা হয়। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটাকে শেল থেকে বের করে ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের সাহায্যে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়।
বিক্রি করা যায় না ‘অস্কার’
অস্কারের প্রাপকরা তাঁদের ট্রফি বিক্রি করতে পারেন না। ট্রফিটি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে, অবশ্যই এটি বিক্রি বা নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে সম্মত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এটিকে একমাত্র প্রতীকী ১ ডলারে একাডেমিতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
প্রথম আসরে পুরস্কার পেয়েছিলেন যাঁরা
বর্তমান ২৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিলেও উদ্বোধনী অস্কার অনুষ্ঠানে ১২টি বিভাগ ছিল। এ অনুষ্ঠানের কয়েক মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফলে কোনও চমকই ছিল না!
প্রথম সেরা ছবির পুরস্কার জিতে উইলিয়াম এ. ওয়েলম্যান পরিচালিত ‘উইংস’। প্রথম অস্কার গ্রহণ করেছিলেন জার্মান অভিনেতা এমিল জেনিংস। দুই নির্বাক ছবি ‘দ্য লাস্ট কমান্ড’ (১৯২৮) ও ‘দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ’ (১৯২৭) তাকে এনে দেয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রী জ্যানেট গেনর। আর সেরা পরিচালকের পুরস্কার গ্রহণ করেন ফ্র্যাঙ্ক বোর্জেজ ও লুইস মাইলস্টোন। চার্লি চ্যাপলিন এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
অস্কার মঞ্চে লাল গালিচা এল যেভাবে
অস্কারে প্রথমে লাল গালিচার প্রচলন ছিল না। ৩১ বছর পর ১৯৬০ সালে প্রথমবার লাল গালিচার ব্যবস্থা রাখা হয়। তার আগে, অংশগ্রহণকারীরা খুব ধুমধাম ছাড়াই কেবল অনুষ্ঠানস্থলে চলে যেতেন। দিনদিন লাল গালিচা প্রবেশদ্বারটি চটকদার দর্শনে রূপান্তরিত হচ্ছে। এখন লাল গালিচাকে কমনীয়তা এবং প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, কারণ বিশ্বব্যাপী দর্শকেরা তাদের প্রিয় তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।

১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল অস্কারের যাত্রা। প্রথমে ছোটখাটো আয়োজন দিয়ে সাজানো থাকলেও এটি এখন বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অস্কারের আসর বসে। এই আসরে সেরাদের সোনালি রঙের মানব আকৃতি একটি ট্রফি দেওয়া হয়। প্রায় ৩ দশমিক ৬ কেজি ওজনের এই ট্রফির দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। গত ৯৫ বছরে মোট ৩ হাজার ১৪০টি ট্রফি বিতরণ করা হয়।
এখন অস্কার অনুষ্ঠান দেখতে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি দর্শক টিভি সেটের সামনে বসে থাকে। অস্কার পুরস্কার গ্রহণ করা যে কোনো পরিচালক, অভিনয়শিল্পী ও চলচ্চিত্র নির্মাণে যুক্ত সবার জন্য বিশেষ একটি মুহূর্ত। তবে শুরুতেই এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস পুরস্কারটি চালুর ১০ বছর পর ট্রফির অস্কার নামকরণ হয়।
ইতিহাস: যেভাবে অস্কার এল
চলচ্চিত্র বিষয়ক বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নয়নের লক্ষে ১৯২৭ সালের ১১ মে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস গঠন করা হয়। এর গঠনের কিছুদিন পরেই, নতুন সংগঠনটি তাদের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য লস অ্যাঞ্জেলেসের বিল্টমোর হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে একটি নৈশভোজের আয়োজন করে। সেই রাতে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে ছিল কীভাবে অসামান্য চলচ্চিত্র নির্মাণের কৃতিত্বকে সর্বোত্তম সম্মান দেওয়া যায়। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে বার্ষিক পুরস্কারের প্রস্তাবনা পাশ হয়।
১৯২৯ সালের ১৬ মে হলিউড বুলভার্ডের হোটেল রুজভেল্টে বসে প্রথম অস্কার অনুষ্ঠানের আসর। ১৯২৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৯২৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোকে অস্কারের প্রথম আসরের জন্য বিবেচনা করা হয়। টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৫ ডলার, যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ২৭০ জন অতিথি। অনুষ্ঠানটির ব্যাপ্তি ছিল মাত্র ১৫ মিনিট। এটি একমাত্র একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান যা রেডিও বা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয়নি; ২য় একাডেমি পুরস্কার একটি রেডিও সম্প্রচার করা হয়েছিল।
একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের অস্কার নামকরণ নিয়ে বেশ কিছু গল্প প্রচলিত আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের গ্রন্থাগারিক মার্গারেট হ্যারিকের নাম। ট্রফির চোখমুখ ও কঠোর-কঠিন ভ্রু-জোড়া দেখে নিজের চাচার সঙ্গে মিল আছে বরে মজা করেন তিনি। ঘটনাচক্রে তার ওই চাচার নাম ছিল অস্কার। সেখান থেকেই ট্রফির নাম আসে বলে জনশ্রুতি।
চলচ্চিত্র সমালোচক ও সমাজবিজ্ঞানী ইমানুয়েল লেভি তাঁর ‘অল অ্যাবাউট অস্কার: দ্য হিস্ট্রি অ্যান্ড পলিটিকস অব দ্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’ বইয়ে উল্লেখ করেন, ঠাট্টাচ্ছলে মার্গারেটের ওই তুলনার পর থেকে একাডেমির কর্মচারীরা মূর্তিটিকে খানিকটা আদর করেই অস্কার বলে ডাকা শুরু করেন। মার্গারেট পরে একাডেমির নির্বাহী পরিচালক হয়েছিলেন।
ছাপার অক্ষরে প্রথম ‘অস্কার’ শব্দটি ব্যবহার করেন হলিউডের জনপ্রিয় কলামিস্ট সিডনি স্কোলস্কি। ১৯৩৪ সালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ক্যাথরিন হেপবার্নের ঝুলিতে যুক্ত হলে স্কোলস্কি তাঁর নিবন্ধে অস্কার শব্দটি ব্যবহার করেন। ১৯৩৯ সালে ‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ ট্রফির নাম হিসেবে অস্কার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত পায়।
‘একাডেমি অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ বা অস্কার ট্রফির নকশা প্রণয়ন এবং তৈরির পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বিখ্যাত হলিউড স্টুডিও এমজিএমের আর্ট ডিরেক্টর সেড্রিক গিবন্স ও ভাস্কর জর্জ স্ট্যানলি। গিবন্সের করা অস্কার মূর্তিটির একদম মূল নকশায় তলোয়ার হাতে এক নাইটকে ফিল্মের রিলের ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই রিলের ৫টি স্পোক চলচ্চিত্রের ৫টি ভিন্ন অনুষঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে। সেগুলো হচ্ছে-অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, যন্ত্রকর্মী এবং চিত্রনাট্যকার। তলোয়ার দিয়ে এই শিল্পের অগ্রগতি রক্ষার বিষয়টিকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে।
গিবন্সের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মূল নকশায় বেশ কিছুটা পরিবর্তন এনে একে বর্তমান ত্রিমাত্রিক রূপ দেন জর্জ স্ট্যানলি। অনেকের ধারণা, মেক্সিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা এমিলিও ফার্নান্দেজের দেহাবয়বের আদলে মূর্তিটি বানানো। তবে কেউ কেউ তা অস্বীকার করেন।
আগে সাড়ে ৮ পাউন্ড ওজনের এই মূর্তিটিকে শক্ত ব্রোঞ্জে রূপান্তর করে তার ওপর ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হত। তবে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পদ্ধতিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ত্রিমাত্রিক প্রিন্টারের সাহায্যে ডিজিটাল অস্কারের ছাঁচ বের করা হয়। ১৬০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে তাপে ব্রোঞ্জ গলিয়ে সেই ছাঁচের সিরামিক শেলের ভেতরে ঢালা হয়। ঠান্ডা হয়ে গেলে সেটাকে শেল থেকে বের করে ইলেকট্রোপ্লেটিংয়ের সাহায্যে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের প্রলেপ দেওয়া হয়।
বিক্রি করা যায় না ‘অস্কার’
অস্কারের প্রাপকরা তাঁদের ট্রফি বিক্রি করতে পারেন না। ট্রফিটি তাঁরা বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আগে, অবশ্যই এটি বিক্রি বা নিষ্পত্তি না করার বিষয়ে সম্মত একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হয়। এটিকে একমাত্র প্রতীকী ১ ডলারে একাডেমিতে ফিরিয়ে দেওয়া যায়।
প্রথম আসরে পুরস্কার পেয়েছিলেন যাঁরা
বর্তমান ২৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিলেও উদ্বোধনী অস্কার অনুষ্ঠানে ১২টি বিভাগ ছিল। এ অনুষ্ঠানের কয়েক মাস আগেই বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফলে কোনও চমকই ছিল না!
প্রথম সেরা ছবির পুরস্কার জিতে উইলিয়াম এ. ওয়েলম্যান পরিচালিত ‘উইংস’। প্রথম অস্কার গ্রহণ করেছিলেন জার্মান অভিনেতা এমিল জেনিংস। দুই নির্বাক ছবি ‘দ্য লাস্ট কমান্ড’ (১৯২৮) ও ‘দ্য ওয়ে অব অল ফ্লেশ’ (১৯২৭) তাকে এনে দেয় সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন অভিনেত্রী জ্যানেট গেনর। আর সেরা পরিচালকের পুরস্কার গ্রহণ করেন ফ্র্যাঙ্ক বোর্জেজ ও লুইস মাইলস্টোন। চার্লি চ্যাপলিন এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
অস্কার মঞ্চে লাল গালিচা এল যেভাবে
অস্কারে প্রথমে লাল গালিচার প্রচলন ছিল না। ৩১ বছর পর ১৯৬০ সালে প্রথমবার লাল গালিচার ব্যবস্থা রাখা হয়। তার আগে, অংশগ্রহণকারীরা খুব ধুমধাম ছাড়াই কেবল অনুষ্ঠানস্থলে চলে যেতেন। দিনদিন লাল গালিচা প্রবেশদ্বারটি চটকদার দর্শনে রূপান্তরিত হচ্ছে। এখন লাল গালিচাকে কমনীয়তা এবং প্রত্যাশার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, কারণ বিশ্বব্যাপী দর্শকেরা তাদের প্রিয় তারকাদের এক ঝলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন।

ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
১৭ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
এর আগে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স দাবি করেছিল, তাদের প্রস্তাবটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নিয়ে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা ৭২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির চেয়ে ‘উন্নত’।
এ সময় হলিউডের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র স্টুডিওর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে প্রশ্নে নাটকীয় মোড় নেয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে তারা জানায়, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা চুক্তিটিই প্রতিষ্ঠানের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে।
গত অক্টোবরে একাধিক সম্ভাব্য ক্রেতার আগ্রহ পাওয়ার পর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিজেকে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। ওই আগ্রহীদের মধ্যে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সও ছিল।
এরপর ৫ ডিসেম্বর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি জানায়, তারা তাদের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে।
দীর্ঘ আইনি নথিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির পরিচালনা পর্ষদ বলেছে, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবটি বহু এবং গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। একই সঙ্গে তারা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনী পরিবার এলিসন পরিবার এই প্রস্তাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবের পেছনে রয়েছে বিলিয়নিয়ার এলিসন পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়।
বিনোদন শিল্পে বর্তমানে ক্ষমতার অবস্থান কোথায় তা তুলে ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ জানায়, স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটি আর্থিকভাবে বেশি সুসংহত। পাশাপাশি এটি দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বেশি মূল্য সৃষ্টি করবে।
এদিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে নেটফ্লিক্স। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রধান নির্বাহী টেড সারানডোস বলেন, একীভূতকরণ চুক্তিটি ‘উন্নত’ এবং ‘শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোত্তম স্বার্থে’ করা হয়েছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নেটফ্লিক্স আবারও জানায়, তাদের প্রস্তাবে অর্থায়নের কাঠামো আরও স্পষ্ট। পাশাপাশি এতে নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে কম।
এ অবস্থায় প্যারামাউন্ট চাইলে নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হলিউড আলোড়িত করা এই অধিগ্রহণ–নাটক এখানেই শেষ হচ্ছে না।
নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্টের চুক্তির মধ্যে যে তফাত
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র স্টুডিও এবং এইচবিও স্ট্রিমিং সেবা কিনতে চায়। এতে তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সমৃদ্ধ কনটেন্ট ভান্ডারের ব্যবহারের অধিকার পাবে। একই সঙ্গে নিজেদের গ্রাহকদের জন্য এসব সিনেমা ও অনুষ্ঠান নিশ্চিতভাবে দেখানোর সুযোগও সুরক্ষিত হবে।
তবে নেটফ্লিক্স মিডিয়া জায়ান্টটির পে-টিভি চ্যানেলগুলো নিতে আগ্রহী নয়। ফলে নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবে গেলে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার আগে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সিএনএন ও টিএনটির মতো টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো আলাদা একটি কোম্পানিতে বিক্রি করে দিতে হবে।
অন্যদিকে প্যারামাউন্ট পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্সকেই কিনতে চায়। এর অর্থ হলো, তাদের নিজস্ব টিভি চ্যানেল সিবিএস, এমটিভি ও শোটাইমের প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলগুলোকেও অধিগ্রহণের আওতায় আনতে হবে।
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণের চুক্তি ঘোষণা করার এক সপ্তাহ পরই প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স পুরো কোম্পানিটি কিনতে নতুন প্রস্তাব দেয়। এতে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে ক্রমেই বিনোদন শিল্পে মালিকানা একীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভোক্তাদের পছন্দের সুযোগ কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলতে পারে। এছাড়া ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিযোগিতা-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন ওয়ার্নার ব্রসকে নিয়ে এই লড়াই
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নতুন মালিক স্ট্রিমিং বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের ভান্ডার তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘হ্যারি পটার’, ‘মনস্টারভার্স’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিও ম্যাক্স স্ট্রিমিং সেবা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের বিশ্লেষক মাইক প্রুলক্স বলেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটছে, তা যেন এইচবিওর সাকসেশন সিরিজের বাস্তব রূপ, বা এর আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ একটি পর্বের মতো। আর যদি মনে করেন, এই কাহিনির শেষটা আপনি আগেই বুঝে গেছেন, তাহলে আবার ভাবুন।’
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পের একটি অংশ ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পুরো বা আংশিক কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার পূর্ব ও পশ্চিম শাখা এই একীভূতকরণ ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের যুক্তি, এই ধরনের একীভূতকরণ হলে মজুরি কমে যেতে পারে এবং কর্মসংস্থান হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশাপাশি দর্শকদের জন্য কনটেন্টের পরিমাণও কমে যাবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
এর আগে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স দাবি করেছিল, তাদের প্রস্তাবটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নিয়ে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা ৭২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির চেয়ে ‘উন্নত’।
এ সময় হলিউডের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র স্টুডিওর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে প্রশ্নে নাটকীয় মোড় নেয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে তারা জানায়, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা চুক্তিটিই প্রতিষ্ঠানের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে।
গত অক্টোবরে একাধিক সম্ভাব্য ক্রেতার আগ্রহ পাওয়ার পর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিজেকে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। ওই আগ্রহীদের মধ্যে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সও ছিল।
এরপর ৫ ডিসেম্বর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি জানায়, তারা তাদের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে।
দীর্ঘ আইনি নথিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির পরিচালনা পর্ষদ বলেছে, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবটি বহু এবং গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। একই সঙ্গে তারা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনী পরিবার এলিসন পরিবার এই প্রস্তাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবের পেছনে রয়েছে বিলিয়নিয়ার এলিসন পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়।
বিনোদন শিল্পে বর্তমানে ক্ষমতার অবস্থান কোথায় তা তুলে ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ জানায়, স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটি আর্থিকভাবে বেশি সুসংহত। পাশাপাশি এটি দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বেশি মূল্য সৃষ্টি করবে।
এদিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে নেটফ্লিক্স। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রধান নির্বাহী টেড সারানডোস বলেন, একীভূতকরণ চুক্তিটি ‘উন্নত’ এবং ‘শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোত্তম স্বার্থে’ করা হয়েছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নেটফ্লিক্স আবারও জানায়, তাদের প্রস্তাবে অর্থায়নের কাঠামো আরও স্পষ্ট। পাশাপাশি এতে নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে কম।
এ অবস্থায় প্যারামাউন্ট চাইলে নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হলিউড আলোড়িত করা এই অধিগ্রহণ–নাটক এখানেই শেষ হচ্ছে না।
নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্টের চুক্তির মধ্যে যে তফাত
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র স্টুডিও এবং এইচবিও স্ট্রিমিং সেবা কিনতে চায়। এতে তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সমৃদ্ধ কনটেন্ট ভান্ডারের ব্যবহারের অধিকার পাবে। একই সঙ্গে নিজেদের গ্রাহকদের জন্য এসব সিনেমা ও অনুষ্ঠান নিশ্চিতভাবে দেখানোর সুযোগও সুরক্ষিত হবে।
তবে নেটফ্লিক্স মিডিয়া জায়ান্টটির পে-টিভি চ্যানেলগুলো নিতে আগ্রহী নয়। ফলে নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবে গেলে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার আগে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সিএনএন ও টিএনটির মতো টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো আলাদা একটি কোম্পানিতে বিক্রি করে দিতে হবে।
অন্যদিকে প্যারামাউন্ট পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্সকেই কিনতে চায়। এর অর্থ হলো, তাদের নিজস্ব টিভি চ্যানেল সিবিএস, এমটিভি ও শোটাইমের প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলগুলোকেও অধিগ্রহণের আওতায় আনতে হবে।
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণের চুক্তি ঘোষণা করার এক সপ্তাহ পরই প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স পুরো কোম্পানিটি কিনতে নতুন প্রস্তাব দেয়। এতে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে ক্রমেই বিনোদন শিল্পে মালিকানা একীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভোক্তাদের পছন্দের সুযোগ কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলতে পারে। এছাড়া ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিযোগিতা-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন ওয়ার্নার ব্রসকে নিয়ে এই লড়াই
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নতুন মালিক স্ট্রিমিং বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের ভান্ডার তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘হ্যারি পটার’, ‘মনস্টারভার্স’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিও ম্যাক্স স্ট্রিমিং সেবা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের বিশ্লেষক মাইক প্রুলক্স বলেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটছে, তা যেন এইচবিওর সাকসেশন সিরিজের বাস্তব রূপ, বা এর আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ একটি পর্বের মতো। আর যদি মনে করেন, এই কাহিনির শেষটা আপনি আগেই বুঝে গেছেন, তাহলে আবার ভাবুন।’
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পের একটি অংশ ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পুরো বা আংশিক কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার পূর্ব ও পশ্চিম শাখা এই একীভূতকরণ ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের যুক্তি, এই ধরনের একীভূতকরণ হলে মজুরি কমে যেতে পারে এবং কর্মসংস্থান হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশাপাশি দর্শকদের জন্য কনটেন্টের পরিমাণও কমে যাবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা অস্কারের যাত্রা। গত ৯৫ বছর আগে চালুর সময় এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। সোনায় মোড়া ট্রফির এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
১৬ মে ২০২৪
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
১৭ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পিছিয়ে আসেন। অবশেষে জানা গেল, নতুন বছরে আলোর মুখ দেখবে সিনেমাটি। আগামী রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বনলতা সেন।
জীবনানন্দ দাশের কাল্পনিক চরিত্র বনলতা সেনকে ঘিরে সিনেমাটি বানিয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। তবে সহজেই এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি অভিনেত্রী। শুরুতে এ সিনেমার অন্য একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নাবিলাকে। তবে রাজি হননি অভিনেত্রী। নির্মাতাকে শর্ত দিয়েছিলেন, তিনি বনলতা সেন চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী। এরপর তিনবার অডিশন দেওয়ার পর বনলতা চরিত্রে নাবিলাকে চূড়ান্ত করেন নির্মাতা।
বনলতা সেন সিনেমায় জীবনানন্দ দাশ চরিত্রে দেখা যাবে খায়রুল বাসারকে। আরও অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নাজিবা বাশার, প্রিয়ন্তী উর্বী, রুপন্তী আকীদ, শরিফ সিরাজ, সুমাইয়া খুশি প্রমুখ।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০ লাখ টাকার অনুদান পায় বনলতা সেন। নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি নির্মাণে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি তিনি। সময় বেশি লাগলেও যত্ন নিয়ে কাজ শেষ করেছেন। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি দায়বদ্ধতার। রিসার্চ করা, প্রস্তুতি নেওয়া, উপযুক্ত অভিনয়শিল্পী খোঁজা—পুরো প্রক্রিয়াটা অনেক কঠিন ছিল। সিনেমার জন্য সবাইকে প্রস্তুত করে নেওয়ার একটা বিষয় ছিল। দীর্ঘদিন আমরা রিহার্সাল করেছি। এই সিনেমার অনেক বড় একটা পার্ট ছিল প্রোডাকশন ডিজাইন। আমি পর্দায় যেভাবে সিনেমাটি দেখতে চাই, তা প্রস্তুত করতে অনেক সময় লেগে যায়।’
বনলতা সেন মুক্তির বিষয়ে নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল জানান, ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা।

আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পিছিয়ে আসেন। অবশেষে জানা গেল, নতুন বছরে আলোর মুখ দেখবে সিনেমাটি। আগামী রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বনলতা সেন।
জীবনানন্দ দাশের কাল্পনিক চরিত্র বনলতা সেনকে ঘিরে সিনেমাটি বানিয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। তবে সহজেই এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি অভিনেত্রী। শুরুতে এ সিনেমার অন্য একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নাবিলাকে। তবে রাজি হননি অভিনেত্রী। নির্মাতাকে শর্ত দিয়েছিলেন, তিনি বনলতা সেন চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী। এরপর তিনবার অডিশন দেওয়ার পর বনলতা চরিত্রে নাবিলাকে চূড়ান্ত করেন নির্মাতা।
বনলতা সেন সিনেমায় জীবনানন্দ দাশ চরিত্রে দেখা যাবে খায়রুল বাসারকে। আরও অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নাজিবা বাশার, প্রিয়ন্তী উর্বী, রুপন্তী আকীদ, শরিফ সিরাজ, সুমাইয়া খুশি প্রমুখ।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০ লাখ টাকার অনুদান পায় বনলতা সেন। নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি নির্মাণে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি তিনি। সময় বেশি লাগলেও যত্ন নিয়ে কাজ শেষ করেছেন। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি দায়বদ্ধতার। রিসার্চ করা, প্রস্তুতি নেওয়া, উপযুক্ত অভিনয়শিল্পী খোঁজা—পুরো প্রক্রিয়াটা অনেক কঠিন ছিল। সিনেমার জন্য সবাইকে প্রস্তুত করে নেওয়ার একটা বিষয় ছিল। দীর্ঘদিন আমরা রিহার্সাল করেছি। এই সিনেমার অনেক বড় একটা পার্ট ছিল প্রোডাকশন ডিজাইন। আমি পর্দায় যেভাবে সিনেমাটি দেখতে চাই, তা প্রস্তুত করতে অনেক সময় লেগে যায়।’
বনলতা সেন মুক্তির বিষয়ে নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল জানান, ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা।

১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা অস্কারের যাত্রা। গত ৯৫ বছর আগে চালুর সময় এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। সোনায় মোড়া ট্রফির এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
১৬ মে ২০২৪
ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। একই স্থান ও সময়ে আগামীকাল মঞ্চস্থ হবে এই নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নাটকের গল্প এগিয়েছে একটি মেয়ের জীবনকে ঘিরে। মেয়েটি যেন হঠাৎ করেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার ব্যক্তিগত অহং দলিত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায়। নিজ ঘরে সে শনাক্ত করে সেই নির্যাতক ও নিপীড়ককে। সমাজের আইনের প্রতি সে আস্থা হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনা যেন পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে, যেকোনো নগরে ঘটে থাকে। ঠিক এখনই কোথাও না কোথাও ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। যে দেশে দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসনের পর গণতন্ত্র হামাগুড়ি দিতে শুরু করে, সেখানে এসব ঘটনা বেশি ঘটে।
নির্দেশক অপু শহীদ জানান, সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এই নাটক। সমকালের বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় জারিত এক দগদগে নাটক গন্ধসূত্র। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই এখন গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের অর্থনীতি এখন সমাজ-রাজনীতি, উন্নয়ন-বিশ্বায়ন, যুদ্ধ-হিংস্রতায় এমন এক টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যেখানে ব্যক্তি মানুষের সুস্থ থাকাটা বেশ কৌতূহলপ্রদ। আধিপত্যবাদী চরিত্র পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছিল কিন্তু কিছুতেই একটা কাঠামোতে দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। এই অস্থিরতার মধ্যে মনে পড়ে গেল আর্জেন্টাইন-আমেরিকান নাট্যকার অ্যারিয়েল ডর্ফম্যানের কথা। এই বিশ্বায়নের যুগে মূল ইংরেজি নাটক, পোলনস্কির ফিল্ম এমনকি হিন্দি সিনেমাও পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম ডর্ফম্যানের আরও অনেক লেখার সন্ধান। নাটকের মূল ভরকেন্দ্র রাখলাম পোলনস্কির “ডেথ অ্যান্ড দ্য মেইডেন” সিনেমার ওপর।’
নির্দেশক তৌফিকুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘গন্ধসূত্র নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়ে মনে হলো, এই নাটকের সময়টা শুধু আমাদের রাষ্ট্রের নয়, বর্তমান বিশ্বের যেখানেই গণতন্ত্র ধসে পড়ছে সেখানকার বাস্তবতা। নাটকে নির্যাতিত এক নারী ব্যক্তিগত যন্ত্রণার বদলা নিতে চাইছে, এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে দুই পুরুষ চরিত্র নাটকীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। নাটকের শেষে এসে মেয়ে এবং আগন্তুক এক ভয়ানক ডিসকোর্সে পৌঁছায়। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্রের বৈপরীত্যের কারণে সাধারণ নাগরিক একে অপরের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়।’
গন্ধসূত্র নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন অনু, সরওয়ার জাহান উপল, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ডায়না প্রমুখ। সংগীতে আছেন চার্লস নিলয় চৌধুরী, সেট ডিজাইনে আবু বকর সিদ্দিকি, আলোক পরিকল্পনায় মোখলেছুর রহমান এবং কস্টিউম ডিজাইন করেছেন আইরিন পারভীন লোপা।

মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। একই স্থান ও সময়ে আগামীকাল মঞ্চস্থ হবে এই নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নাটকের গল্প এগিয়েছে একটি মেয়ের জীবনকে ঘিরে। মেয়েটি যেন হঠাৎ করেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার ব্যক্তিগত অহং দলিত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায়। নিজ ঘরে সে শনাক্ত করে সেই নির্যাতক ও নিপীড়ককে। সমাজের আইনের প্রতি সে আস্থা হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনা যেন পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে, যেকোনো নগরে ঘটে থাকে। ঠিক এখনই কোথাও না কোথাও ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। যে দেশে দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসনের পর গণতন্ত্র হামাগুড়ি দিতে শুরু করে, সেখানে এসব ঘটনা বেশি ঘটে।
নির্দেশক অপু শহীদ জানান, সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এই নাটক। সমকালের বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় জারিত এক দগদগে নাটক গন্ধসূত্র। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই এখন গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের অর্থনীতি এখন সমাজ-রাজনীতি, উন্নয়ন-বিশ্বায়ন, যুদ্ধ-হিংস্রতায় এমন এক টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যেখানে ব্যক্তি মানুষের সুস্থ থাকাটা বেশ কৌতূহলপ্রদ। আধিপত্যবাদী চরিত্র পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছিল কিন্তু কিছুতেই একটা কাঠামোতে দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। এই অস্থিরতার মধ্যে মনে পড়ে গেল আর্জেন্টাইন-আমেরিকান নাট্যকার অ্যারিয়েল ডর্ফম্যানের কথা। এই বিশ্বায়নের যুগে মূল ইংরেজি নাটক, পোলনস্কির ফিল্ম এমনকি হিন্দি সিনেমাও পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম ডর্ফম্যানের আরও অনেক লেখার সন্ধান। নাটকের মূল ভরকেন্দ্র রাখলাম পোলনস্কির “ডেথ অ্যান্ড দ্য মেইডেন” সিনেমার ওপর।’
নির্দেশক তৌফিকুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘গন্ধসূত্র নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়ে মনে হলো, এই নাটকের সময়টা শুধু আমাদের রাষ্ট্রের নয়, বর্তমান বিশ্বের যেখানেই গণতন্ত্র ধসে পড়ছে সেখানকার বাস্তবতা। নাটকে নির্যাতিত এক নারী ব্যক্তিগত যন্ত্রণার বদলা নিতে চাইছে, এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে দুই পুরুষ চরিত্র নাটকীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। নাটকের শেষে এসে মেয়ে এবং আগন্তুক এক ভয়ানক ডিসকোর্সে পৌঁছায়। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্রের বৈপরীত্যের কারণে সাধারণ নাগরিক একে অপরের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়।’
গন্ধসূত্র নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন অনু, সরওয়ার জাহান উপল, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ডায়না প্রমুখ। সংগীতে আছেন চার্লস নিলয় চৌধুরী, সেট ডিজাইনে আবু বকর সিদ্দিকি, আলোক পরিকল্পনায় মোখলেছুর রহমান এবং কস্টিউম ডিজাইন করেছেন আইরিন পারভীন লোপা।

১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা অস্কারের যাত্রা। গত ৯৫ বছর আগে চালুর সময় এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। সোনায় মোড়া ট্রফির এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
১৬ মে ২০২৪
ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
১৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে রেখেছিলেন মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতি। গতকাল ফেসবুকে নিজের কণ্ঠে প্রকাশ করেন ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’ শীর্ষক তাঁর এই উপলব্ধি।
জীবনে চলার পথে বেশ কয়েকবার মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন নচিকেতা। সেই কথাই সবাইকে জানালেন তিনি। নচিকেতার কথায়, ‘মৃত্যুর মুখ থেকে বারংবার ফিরে মন্দ লাগছে না। প্রথমবার বাইক থেকে পড়ে মাথায় লেগে কোমায়, তখন বয়স ১৫। দ্বিতীয়বার মানিকতলায় বাসভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পাশের কমরেডের মৃত্যু আমার বদলে; হঠাৎ স্থান পরিবর্তনের কারণে। তখন বয়স কুড়ি। তৃতীয়বার পাতালরেলের নির্মিত হওয়া পরিত্যক্ত টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে, তখন বয়স ১৬। ক্ষুদিরাম ছবি দেখে উৎসাহিত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে বেঁচে যাওয়া। দড়িটা হঠাৎ ছিঁড়ে যাওয়ায়, বয়স তখন ৭। নকশাল আন্দোলন দেখে উত্তেজিত হয়ে স্কুলে আগুন লাগিয়ে মরতে মরতে, তখন বয়স ৬। ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে মোস্ট কমপ্লিকেটেড হুইপল সার্জারির টেবিল থেকে। এ ছাড়াও কত দুর্ঘটনা বা সুপরিকল্পিত গুজবের মৃত্যু থেকে আজ অবশেষে অ্যাপোলোতে হৃদয় ছন্দ বন্ধ থেকে এই বয়সে।’
মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতির এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতি নচিকেতার অভিমান ফুটে উঠেছে। কারণ, অনেকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তাঁর মৃত্যুর গুজব। এবারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এমন খবর ছড়িয়েছিল। তাই তো অভিমানের সুরে নচিকেতা বললেন, ‘আমাকে তো আমার যা আয়ু, তার থেকে বেশিবার মারা হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হয়তো ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। কথা দিচ্ছি। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’
এ ভিডিওর শেষে নিজের ‘আগুনপাখি’ গানের দুটি লাইন জুড়ে দিয়েছেন নচিকেতা—‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি, দুচোখে আকাশ ডানায় আগুন, আরও আরও কত ওড়া বাকি’।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে রেখেছিলেন মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতি। গতকাল ফেসবুকে নিজের কণ্ঠে প্রকাশ করেন ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’ শীর্ষক তাঁর এই উপলব্ধি।
জীবনে চলার পথে বেশ কয়েকবার মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন নচিকেতা। সেই কথাই সবাইকে জানালেন তিনি। নচিকেতার কথায়, ‘মৃত্যুর মুখ থেকে বারংবার ফিরে মন্দ লাগছে না। প্রথমবার বাইক থেকে পড়ে মাথায় লেগে কোমায়, তখন বয়স ১৫। দ্বিতীয়বার মানিকতলায় বাসভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পাশের কমরেডের মৃত্যু আমার বদলে; হঠাৎ স্থান পরিবর্তনের কারণে। তখন বয়স কুড়ি। তৃতীয়বার পাতালরেলের নির্মিত হওয়া পরিত্যক্ত টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে, তখন বয়স ১৬। ক্ষুদিরাম ছবি দেখে উৎসাহিত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে বেঁচে যাওয়া। দড়িটা হঠাৎ ছিঁড়ে যাওয়ায়, বয়স তখন ৭। নকশাল আন্দোলন দেখে উত্তেজিত হয়ে স্কুলে আগুন লাগিয়ে মরতে মরতে, তখন বয়স ৬। ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে মোস্ট কমপ্লিকেটেড হুইপল সার্জারির টেবিল থেকে। এ ছাড়াও কত দুর্ঘটনা বা সুপরিকল্পিত গুজবের মৃত্যু থেকে আজ অবশেষে অ্যাপোলোতে হৃদয় ছন্দ বন্ধ থেকে এই বয়সে।’
মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতির এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতি নচিকেতার অভিমান ফুটে উঠেছে। কারণ, অনেকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তাঁর মৃত্যুর গুজব। এবারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এমন খবর ছড়িয়েছিল। তাই তো অভিমানের সুরে নচিকেতা বললেন, ‘আমাকে তো আমার যা আয়ু, তার থেকে বেশিবার মারা হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হয়তো ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। কথা দিচ্ছি। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’
এ ভিডিওর শেষে নিজের ‘আগুনপাখি’ গানের দুটি লাইন জুড়ে দিয়েছেন নচিকেতা—‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি, দুচোখে আকাশ ডানায় আগুন, আরও আরও কত ওড়া বাকি’।

১৯২৯ সালের আজকের এই দিনে শুরু হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র সম্মাননা অস্কারের যাত্রা। গত ৯৫ বছর আগে চালুর সময় এই পুরস্কারের নাম অস্কার ছিল না। সোনায় মোড়া ট্রফির এই নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মজার এক গল্প।
১৬ মে ২০২৪
ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
১৭ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
১৭ ঘণ্টা আগে