খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

বাংলা সিনেমার একটি যুগের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ববিতা। চিরন্তন প্রেমের গল্পে যেমন তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পর্দায়, তেমনি ভিন্ন ধরনের সব গল্প আর চরিত্রকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নামীদামি উৎসবে। বাংলা সিনেমাকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্বময়। আজ ৩০ জুলাই এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। ৭১ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। ববিতার জন্মদিনে তাঁর মুখে শোনা যাক বর্ণাঢ্য জীবনের টুকরো কিছু গল্প।
ভালো সিনেমার পাশে সব সময়
ববিতা একদিকে বাণিজ্যিক সিনেমা যেমন করেছেন, সুযোগ পেলেই হাজির হয়েছেন ভিন্ন ধরনের গল্পেও। সেসব সিনেমার সূত্রে তাশখন্দ, মস্কো, কান, বার্লিন, কার্লোভি ভ্যারিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা পড়েছে তাঁর। সেসব উৎসবে গিয়ে পেয়েছেন প্রশংসা-পুরস্কার-সম্মাননা। সারা বিশ্বের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। আর অসংখ্য সিনেমা দেখেছেন। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা ভাষার সিনেমা। সেসব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে। তিনি সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো গল্পের সিনেমার পাশে দাঁড়াতে। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি কখনো। ববিতা বলেন, ‘শেখ নিয়ামত আলী একটা ছবি বানাবেন দহন নামে। আমি জানতাম, তিনি আমার পারিশ্রমিক দিতে পারবেন না। তো আমি কী করতাম, বলতাম, আপনাকে পয়সা দিতে হবে না। দত্তদা (সুভাষ দত্ত) ডুমুরের ফুল বানাবেন, বসুন্ধরা বানাবেন; এ ধরনের সিনেমার ক্ষেত্রে পুরো পারিশ্রমিক নিতাম না। এ রকম করে করে আমি কিন্তু অনেক ভালো ছবি করতে পেরেছি। তারা খুশি হয়েছে, ছবিগুলো করতে পেরেছে। সেগুলো ফেস্টিভ্যালে গেছে। পুরস্কৃত হয়েছে। আমি হাততালি পেয়েছি।’

আরেকটু হলেই সুযোগ হাতছাড়া
‘অশনি সংকেত’ সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কাজ করতে পারা ববিতার অভিনয়জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। অনঙ্গ বউ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সত্যজিৎ রায় কীভাবে তাঁকে খুঁজে নিয়েছিলেন, সে গল্প তো কমবেশি সবারই জানা! বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে নির্বাচিত হয়েছিল অশনি সংকেত। এই উৎসবে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ববিতাও গিয়েছিলেন। তবে আরেকটু হলেই উৎসবে অংশ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল অভিনেত্রীর। ববিতা বলেন, ‘মানিকদা (সত্যজিৎ রায়) আমাকে ফোন করেন কলকাতা থেকে, আমাদের অশনি সংকেত বার্লিন ফেস্টিভ্যালে যাবে। তুই কি যাবি? আমি বললাম, অবশ্যই যাব। সব প্রস্তুতি নেওয়া হলো। আমাকে বলা হলো, আমরা দিল্লি থেকে ফ্লাই করব ফ্রাঙ্কফুর্ট। সেখান থেকে তখনকার ওয়েস্ট বার্লিন। ফ্রাঙ্কফুর্টে নেমে সবার পাসপোর্ট জমা পড়ল। সবার পাসপোর্টে স্ট্যাম্প করা হলো। কিন্তু আমারটা আর হচ্ছে না। ওরা জানাল, জার্মান গভর্নমেন্ট তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। সে কারণে আমার আর যাওয়া হবে না। এটা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। এত দূর এত বড় পরিচালকের সঙ্গে এসে আমি আবার বাংলাদেশে ফেরত চলে যাব! আমার যাওয়া হবে না! আমি খুব কান্না শুরু করলাম। তখন মানিকদাকে দেখলাম, টেলিফোনে উৎসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছেন—সে আমার ছবির আর্টিস্ট, একটা শিল্পীর দেশ-কাল-পাত্র বলে কোনো কথা নেই। কেন তাকে অ্যালাউ করা হবে না? এ রকম অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা চলল। তারপর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। এটা আমার জীবনের একটা বিরাট ঘটনা।’
চুমু খেয়ে অঝোরে কান্না
১৯৭৭ সালে ববিতাকে নিয়ে রাজ্জাক বানিয়েছিলেন ‘অনন্ত প্রেম’। এর শেষে একটি চুমুর দৃশ্য ছিল। এই দৃশ্য করে খুব কেঁদেছিলেন ববিতা। তিনি বলেন, ‘গল্পে আমাদের শেষ দৃশ্যে চুম্বনের দৃশ্য ছিল। রাজ্জাক ভাই আমাকে সুন্দর করে বোঝালেন—দ্যাখো, তুমি পয়জন খেয়েছ, আমি তোমাকে কিস করছি, তারপর বিষে আমরা দুজনেই মারা যাচ্ছি—এই ধরনের ব্যাপার-স্যাপার। খুব ইমোশনাল হয়ে অভিনয় করেছি। সবাই হাততালিও দিয়েছে। কাপ্তাইতে আমরা যে কটেজে ছিলাম, রাতে সেখানে ফিরে আমি খুব কাঁদছি। রাজ্জাক ভাইয়ের কানে গেল, কী হয়েছে রে, পপ নাকি কাঁদছে! রাজ্জাক ভাই আমাকে পপ বলে ডাকতেন। উনি এসে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললাম, এ দৃশ্যে অভিনয় তো করলাম, মানুষ এটা দেখবে, আমার তো বোধ হয় আর কোনো দিন বিয়ে হবে না।’ ববিতার মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে রাজ্জাক তাঁকে আশ্বস্ত করেন, দৃশ্যটি সম্পাদনার পর ববিতাকে দেখানো হবে। যদি তাঁর কাছে খারাপ লাগে, তাহলে সিনেমায় এটা রাখা হবে না। শেষ পর্যন্ত এ দৃশ্য ছাড়াই মুক্তি পায় অনন্ত প্রেম।
বিয়ের দিন পালিয়ে রাজ্জাকের বাসায়
ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সে গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই। তোমার যদি কাউকে ভালো লাগে বলো, না হলে আমরা দেখি। সুচন্দা আপা, দুলাভাই উনারা অনিকের আব্বা মানে আলম সাহেবের খোঁজ নিয়ে এলেন। যেদিন আমার বিয়ে হবে, পরিকল্পনা ছিল, সকালে উনারা বাসায় আসবেন। বাসায় বিয়েটা হবে। রাতে সোনারগাঁও হোটেলে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান। অনেককে আমন্ত্রণ জানানো হলো। কিন্তু কেন আমন্ত্রণ, সেটা গোপন রাখা হলো।’
তবে বিয়ের দিন সকাল থেকে চিন্তায় পড়ে গেলেন ববিতা। ‘ভাবলাম, আমি তো বিয়ে করছি, আমার জীবনটা যদি সুখের না হয়! সকালবেলা উনারা আসবেন ১০-১১টায়। আমি করলাম কি, ব্যাকডোর দিয়ে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে রাজ্জাক ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে হাজির।’ তখনো ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু রাজ্জাক ও তাঁর স্ত্রী জানতেন ববিতার বিয়ের কথা। এমনই পারিবারিক সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ববিতাকে দেখে তাঁরা অবাক! অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি গিয়ে লক্ষ্মী ভাবির কাছে বসে পড়লাম। ভাবি, আমার ভয় লাগছে!’ তাঁরা বুঝতে পারলেন ববিতার মানসিক পরিস্থিতি। তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করে রাজ্জাকের স্ত্রী ববিতাকে পৌঁছে দেন বাড়িতে।
‘নায়কের পোশাকও কিনে আনতাম’
শুধু তো অভিনয় নয়, ববিতার ফ্যাশনও আলোচিত ছিল ওই সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তাঁর পোশাক, হেয়ারস্টাইল অনুসরণ করতেন তরুণীরা। এক সাক্ষাৎকারে ববিতা বলেন, ‘এটা খুব মজার ব্যাপার। তখন আমি যে ধরনের ব্লাউজ পরতাম, তা দেখে আমার ভক্তরা টেইলরের কাছে গিয়ে বলত ববিতা ব্লাউজ বানিয়ে দিতে। শুধু তা-ই নয়, আমি যে হেয়ারকাট করতাম, পারলারে গিয়ে মেয়েরা বলত, ববিতা হেয়ারকাট করে দাও।’

প্রতি সিনেমায় নিজের চরিত্র অনুযায়ী পোশাক নিজেই কিনতেন ববিতা। কখনো প্রযোজকের দেওয়া পোশাক পরেননি। এমনকি কখনো কখনো সহশিল্পীর পোশাকও কিনে আনতেন তিনি। ববিতা বলেন, ‘আমি কিন্তু এত বছর অব্দি কোনো দিন প্রডিউসারদের দেওয়া পোশাক পরিনি। শুটিংয়ে সব সময় আমার নিজস্ব পোশাক, গয়না ব্যবহার করেছি। হয়তো বিদেশে কোথাও গেছি। যদি কোনো মডার্ন ছবি থাকে, এ ধরনের ড্রেস কিনতাম। আমি এ রকমও করেছি, নায়কের পোশাকও আমি কিনে নিয়ে আসতাম। আমি একা ভালো পোশাক পরব, আর নায়ককে ভালো কিছু দিল না প্রডিউসার, তাহলে তো ভালো লাগবে না।’

গান শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল
একসময় জাফর ইকবালের সঙ্গে ববিতার সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল ইন্ডাস্ট্রির হট টপিক। ‘ওই সময় আমাকে আর জাফরকে নিয়ে মুখরোচক কথাবার্তা হতো। তখন পত্রপত্রিকায় এগুলো লিখে বেশ মজাই পেত সবাই। ববিতা-জাফরের নাকি ভীষণ প্রেম’—হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী। দুজন একসঙ্গে ৩০টির বেশি সিনেমা করেছেন। ববিতাকে নাকি গানও শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। অভিনেত্রী বলেন, ‘খুব সুন্দর গান গাইতে পারত। কী অদ্ভুত গলা! গিটার বাজাত। শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে ও গান শিখিয়েছে। কিছু ইংলিশ গানও আমাকে শিখিয়েছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় মঞ্চে একসঙ্গে গেয়েছি। দর্শকদের অনুরোধ আসত, ববিতা-জাফরের গান শুনতে চাই।’

শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১৪ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ।
শিহাব আহমেদ

ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।
ধারাবাহিকটি যে এত লম্বা সময় ধরে চলবে, শুরুতে সেটা আঁচ করতে পেরেছিলেন?
শুরুতে ৮ পর্বের লক্ষ্য নিয়ে এগোনো হচ্ছিল। কিন্তু প্রচারের শুরুতেই আমরা দর্শকের ব্যাপক সাড়া পাই। তখন নির্মাতা সিদ্ধান্ত নিলেন, দর্শক যেহেতু এত ভালোবাসা দিচ্ছে, আমাদের উচিত এটা চালিয়ে যাওয়া।
এক বছরের বেশি সময় ধরে শুটিং করছেন, এই জার্নির অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অনেক কিছু শিখেছি। দেনা পাওনা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থেকে যাবে। আগে কয়েকটা কাজ করলেও আমার অভিনয়ের হাতেখড়িটা এই নাটকের সেটেই হয়েছে। অভিনয়ে যতটা উন্নতি করেছি, তার কৃতিত্ব দেনা পাওনা নাটকের টিমের। সহশিল্পী, নির্মাতা থেকে শুরু করে ইউনিটের সবাই খুব সাপোর্ট করেছে। এ ছাড়া দর্শকের ভালোবাসা তো পেয়েছি। নিপা চরিত্রে পরিচিতি পেয়েছি, এখন মানুষ আমাকে চিনতে পারছে। সব মিলিয়ে পুরো অভিজ্ঞতাটা খুব সুন্দর।
এই চরিত্র আপনার ব্যক্তিজীবনে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না?
বাস্তবজীবনেও আমি অনেকটা নিপার মতো হয়ে গেছি। এখন আমি মানুষকে বোঝার চেষ্টা করি। নরম করে কথা বলি, যেমনটা নিপা করে।
অনেকে বলে, এ নাটকে খায়রুল চরিত্রে অভিনয় করা অ্যালেন শুভ্রর সঙ্গে আপনি সম্পর্কে আছেন। আসলেই কি তাই?
দেনা পাওনা নাটকে আমাদের জুটির ওপর সবাই ক্রাশ খেয়েছে। ফেসবুকে রীতিমতো হুমকি দিয়ে আমাকে মন্তব্য করা হয়, নিপা, তুমি যদি খায়রুলকে বিয়ে না করো, তাহলে তোমাকে দেখে নেব। স্ক্রিনের মতো বাস্তবেও নাকি আমাদের খুব সুন্দর লাগে। দর্শক চায় বাস্তবজীবনেও আমাদের জুটি হোক। বিষয়টা আমি খুব উপভোগ করি।
এ রকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?
অ্যালেন শুভ্র একজন জেন্টেলম্যান, নাইস পারসন। অ্যালেন ভাই সত্যিই খায়রুলের মতোই। তাঁর মধ্যে শিশুসুলভ ব্যাপার আছে। পর্দায় দেখে দর্শক যেমন তাঁর মায়ায় পড়ে, তেমনি অভিনয় করতে গিয়ে আমারও তাঁর প্রতি মায়া কাজ করে। মায়াটা হয়তো দুজনের মধ্যেই কাজ করে। এই কারণেই হয়তো পর্দায় এত ভালো লাগে। আমাদের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এমন কিছু হয়নি, যেমনটা মানুষ ভাবছে।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন থেকে অভিনয়ে আসা। আপনার এই জার্নিটা নিয়ে জানতে চাই...
ক্যামেরার সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে খাতির ছিল। ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি শিখতে চেয়েছিলাম। কিছুদিন গিটার শিখেছি। এরপর কনটেন্ট ক্রিয়েশন শুরুর পর বিভিন্ন শুটের প্রস্তাব আসে। শখের বশে করছিলাম। প্রথম অভিনয় ওটিটিতে। ইমরাউল রাফাতের ‘ওপেন কিচেন’ সিরিজে। সেখানে একটি ছোট চরিত্র করি। সেটা করতে গিয়েই মনে হয়, এ মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করব। আমি মনে করি, একজন প্রপার অভিনেত্রী হতে গেলে বেসিক লার্নিং দরকার। সে জন্য কন্টিনিউয়াস প্রসেসের মধ্য দিয়ে চর্চা করে যেতে হবে। সেটাই করার চেষ্টা করছি। আমার জার্নিটা মাত্র শুরু, আশা করছি অনেক দূর যাবে।
অভিনয়কে কি পেশা হিসেবে নেওয়া যায়?
পেশা হিসেবেই নিয়েছি। হ্যাঁ, একটু ঝুঁকি তো থাকেই। আমার মনে হয়, শুধু অভিনয়ের ওপর নির্ভর না করে থাকলে ভালো। শুধু অভিনয় করব তা নয়, পাশাপাশি অনেক কিছু আছে। আমি কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর অভিনয় দুটোই করছি। এমন কাজ করতে চাই, যেটাতে আমার অনীহা লাগবে না। যে কাজের প্রতি প্রেম থাকবে, সেটাই করতে চাই। আমার প্রেমটা অভিনয়ের সঙ্গে।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১৪ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ। সম্প্রতি সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে প্রযোজক সুমি মন্তব্য করেন, শাকিব খান থাকলেই সিনেমা ব্লকবাস্টার হবে এটা ভেবে তিনি বরবাদ বানাননি। এমন মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবভক্তদের রোষানলে পড়েছেন এই প্রযোজক।
বরবাদ সাফল্যের পর সুমি জানিয়েছিলেন, তাঁর পরবর্তী সিনেমায়ও থাকবেন শাকিব খান। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ছাড়াই দ্বিতীয় সিনেমা শুরু করলেন তিনি। রাক্ষসের সংবাদ সম্মেলনে সুমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এবার তাঁর সিনেমায় শাকিব খান নেই কেন? জবাবের একপর্যায়ে সুমি বলেন, ‘শাকিব খান থাকলে বরবাদ ব্লকবাস্টার হবে আর না থাকলে হবে না, এটা ভেবে আমি সিনেমা করিনি। তাঁর সব সিনেমাই যে ব্লকবাস্টার ছিল, এমনটা কিন্তু না।’
সুমির এমন কথা ভালোভাবে নেয়নি শাকিব খানের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো তুলাধোনা করছেন সুমিকে। সমালোচনার জবাবে সংবাদমাধ্যমে সুমি জানান, শাকিব খানকে নিচু করে তিনি কোনো কথা বলেননি।
শাহরিন আক্তার সুমি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, বরবাদে শাকিব খানকে এ জন্য নিইনি যে আমার সিনেমা হিট হতে হবে। বরবাদের গল্পে তাঁকে ছাড়া অন্য কেউ হলে সেটা মানাত না। এ কারণেই তাঁকে নেওয়া, সিনেমা হিট করানোর জন্য না। আর রাক্ষসের গল্পে সিয়ামকে মানাবে বলেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে। হয়তো আমি বিষয়টি ঠিকমতো বোঝাতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। আমি শাকিব ভাইকে নিচু করে কোনো কথা বলিনি।’

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১৪ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
‘রাষ্ট্রীয় শোক দিবস ও অনিবার্য কারণবশত’ ১৯ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী স্থগিতের ঘোষণা দেয় শিল্পকলা একাডেমি। এমন ঘোষণা নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা। অনেকেই মনে করেন, দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিল্পকলা একাডেমি। তবে সব শঙ্কা দূর করে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর থেকে আবার শুরু হবে অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর বন্ধ ছিল সব আয়োজন। যে কারণে স্থগিত করা হয় নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। তবে বেশি দিন অপেক্ষায় থাকতে হলো না নাট্যপ্রেমীদের। শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী চালুর সিদ্ধান্তের পরই নাট্যতীর্থ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাট্যতীর্থ দলের প্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা। এ ছাড়া অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার।
উৎসবের প্রথম দিন প্রদর্শিত হবে তীরন্দাজ রেপার্টরির প্রযোজনা দীপক সুমন নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এ ছাড়া এ উৎসবে দেখা যাবে বাতিঘরের ‘প্যারাবোলা’, নাট্যতীর্থের ‘জুলিয়াস সিজার’, ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের ‘ঘরজামাই’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’ এবং থিয়েটার নাট্যদলের ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন।
১৪ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

আশির দশকের শেষ দিকে এবং নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত। ওই সময় প্রতিবছর ১০টির বেশি সিনেমা মুক্তি পেত তাঁর। তবে সাফল্যের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই বড় একটি সিদ্ধান্ত নেন মাধুরী। তারকাখ্যাতি পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিজীবনকে বেশি গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ডা. শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। ফেলে যান সফল ক্যারিয়ার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া নাকি মোটেই কঠিন ছিল না মাধুরীর জন্য।
সম্প্রতি মিড-ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন মাধুরী দীক্ষিত। ক্যারিয়ারের সাফল্য নয়, পরিবার-সন্তান-সংসারই নাকি ছিল তাঁর স্বপ্ন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় ভাবতাম, আমার বিয়ে হবে, একটি সংসার হবে, সন্তান হবে। যখন সেটা ঘটল, মনে হয়েছিল, এত দিনে স্বপ্ন সত্যি হলো। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবিনি। বিয়ে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই।’
প্রায় এক যুগ মাধুরী কাটিয়েছেন কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে। সেখানে প্রকৃতির নির্জনতায় সহজ-সাধারণ পারিবারিক জীবনেই নিজের সবটুকু মনোযোগ ঢেলে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকে তাঁর ভাইবোনেরা থাকতেন। তাঁদের সঙ্গেও মাধুরীর নিয়মিত দেখা হতো। তাই সময়টা মন্দ কাটত না। অভিনেত্রী বলেন, ‘জীবনের প্রায়োরিটি আসলে কী, সেটা আগে থেকে জানতাম। সেখানে নিজের কাজ নিজেকে করতে হতো। তাতেও কোনো কষ্ট লাগত না। আফসোস হতো না।’
ক্যারিয়ারের জাঁকজমকের চেয়ে বরং পারিবারিক জীবন, সন্তান-সংসার—এসবই মাধুরীর ভালো লাগত বেশি। অভিনেত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের নিয়ে নিজের মতো থাকতাম। তাদের পার্কে নিয়ে যেতাম। ওদের সঙ্গে খেলতাম, মজা করতাম। কেউ আমাকে চিনত না। সময়টা ভীষণ উপভোগ করেছি।’
পাঁচ বছর শোবিজ থেকে দূরে ছিলেন মাধুরী। ২০০৭ সালে ‘আজা নাচলে’ দিয়ে আবার বড় পর্দায় ফেরেন। সিনেমাটি বক্স অফিসে অত সাড়া না পেলেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়। এরপর আবারও বিরতি। ২০১৩ সালে ‘বোম্বে টকিজ’ ও ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ সিনেমার গানে পারফর্ম করে সাড়া ফেলেন। আবারও মাধুরীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয় বলিউডে।
এরপর সিনেমায় সেই অর্থে আর নিয়মিত হননি মাধুরী দীক্ষিত। অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। রিয়েলিটি শোতে বিচারক হয়েছেন। ওয়েব কনটেন্টেও দেখা দিয়েছেন। সম্প্রতি জিওহটস্টারের ‘মিসেস দেশপান্ডে’ সিরিজ দিয়ে আবারও আলোচনায় তিনি। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া সিরিজটি তৈরি হয়েছে ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায়। এতে মাধুরী অভিনয় করেছেন একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে।
মাধুরী সব সময় চেয়েছেন ক্যারিয়ার আর পরিবার—দুটির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে। শোবিজের তারকাখ্যাতি তাঁর পারিবারিক জীবনকে যেন প্রভাবিত করতে না পারে। হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন আমি বাড়িতে ঢুকি, তারকাখ্যাতিকে বাইরে রেখে যাই। সেখানে আমি একেবারেই সাধারণ—একজন স্ত্রী, একজন মা। আর দশটা মানুষের মতোই।’

ববিতার বিয়ের দিন সে এক কাণ্ড ঘটেছিল! বিয়ের দিন সকালে কাউকে না জানিয়ে চলে গিয়েছিলেন রাজ্জাকের বাসায়। সেই গল্প শোনা যাক ববিতার মুখেই, ‘তখন আমার বাবা মৃত্যুশয্যায়। তিনি বলেছিলেন, মা, আমি বেঁচে থাকতে তোমার বিয়েটা দেখে যেতে চাই...
৩০ জুলাই ২০২৫
শত পর্বের মাইলফলক স্পর্শ করেছে ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’। গত বছর নভেম্বরে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার শুরু হয়েছিল ধারাবাহিকটির। কে এম সোহাগ রানা পরিচালিত এ নাটকে নিপা চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তাবাসসুম ছোঁয়া।
১৪ ঘণ্টা আগে
গত রোজার ঈদে শাকিব খানকে নিয়ে রিয়েল এনার্জি প্রোডাকশন হাউস থেকে নির্মিত হয় ‘বরবাদ’। বেশ আলোচিত হয় শাহরিন আক্তার সুমি প্রযোজিত সিনেমাটি। আগামী বছরের ঈদের জন্য আরেকটি সিনেমা প্রযোজনা করছেন সুমি। তাঁর নতুন সিনেমা ‘রাক্ষস’-এর নায়ক সিয়াম আহমেদ।
১৪ ঘণ্টা আগে
১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়ার কথা ছিল নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। তবে শিল্পকলা একাডেমির অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হওয়ার কারণে শুরু হয়নি নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা। অবশেষে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এই নাট্যোৎসব।
১৪ ঘণ্টা আগে