Ajker Patrika

দেখতে পারেন স্টুডিও জিবলির জনপ্রিয় ১০ অ্যানিমেশন সিনেমা

বিনোদন ডেস্ক
দেখতে পারেন স্টুডিও জিবলির জনপ্রিয় ১০ অ্যানিমেশন সিনেমা

মন মজেছে স্টুডিও জিবলিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই এখন দেখা যাচ্ছে, প্রায় প্রত্যেকের টাইমলাইনে স্টুডিও জিবলি স্টাইলে তৈরি করা ছবি। তারকারাও গা ভাসিয়েছেন এই ট্রেন্ডে। পুরোনো সিনেমার আলোচিত দৃশ্য জিবলি স্টাইলে বানিয়ে পোস্ট করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক ঐতিহাসিক ঘটনাও নতুন করে সামনে এসেছে এই ট্রেন্ডের কল্যাণে।

স্টুডিও জিবলি মূলত জাপানের একটি অ্যানিমেশন স্টুডিও। উচ্চমানের অ্যানিমেটেড সিনেমা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৮৫ সালে হায়াও মিয়াজাকি, ইসাও তাকাহাতা ও তোসিও সুজুকির হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টুডিও জিবলি। সেই থেকে আলোচিত সব অ্যানিমেশন সিনেমা বানিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সিনেমা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের ভালোবাসা তো পেয়েছেই; অস্কার, গোল্ডেন গ্লোব, বাফটাসহ পেয়েছে অনেক পুরস্কার ও স্বীকৃতি।

স্টুডিও জিবলি-ঝড়ের এই সময়ে দেখে নিতে পারেন তাদের তৈরি অ্যানিমেশন সিনেমা। এখানে রইল স্টুডিও জিবলির আলোচিত ১০টি সিনেমার নাম ও গল্পসংক্ষেপ। তালিকাটি করেছে রটেন টমেটোস।

‘দ্য টেল অব দ্য প্রিন্সেস কাগুয়া’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘দ্য টেল অব দ্য প্রিন্সেস কাগুয়া’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

দ্য টেল অব দ্য প্রিন্সেস কাগুয়া (২০১৩)

বাঁশের গুঁড়ির ভেতর ক্ষুদ্রাকৃতির জলপরী খুঁজে পায় এক কৃষক দম্পতি। তাদের কাছে বড় হতে থাকে সে। তার রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিয়ে করতে চায় অনেকে। তবে তাকে বিয়ে করতে হলে দিতে হবে ভালোবাসার প্রমাণ। এমন অনেক কাজ দেওয়া হয় তাদের, যা করা প্রায় অসম্ভব। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসাও তাকাহাতা।

‘অনলি ইয়েসটারডে’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘অনলি ইয়েসটারডে’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

অনলি ইয়েসটারডে (১৯৯১)

শহুরে জীবনে ক্লান্ত ২৭ বছর বয়সী তাইকো ওকাজিমা। শহুরে পরিবেশ থেকে মুক্তি পেতে সে বেড়াতে যায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে, গ্রামে। সেখানে গিয়ে তার চোখে ভাসতে থাকে শৈশবের মধুর সব স্মৃতি। এ সিনেমাটিরও পরিচালক ইসাও তাকাহাতা।

‘কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

কিকিস ডেলিভারি সার্ভিস (১৯৮৯)

তের বছর বয়সী কিকি তার বিড়ালকে নিয়ে সমুদ্রতীরবর্তী একটি শহরে চলে যায়। উড়ন্ত কুরিয়ার সার্ভিস চালু করে সেখানে সে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তবে এক সময় সে জাদুকরী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। সে ক্ষমতা ফিরে পেতে তাকে আত্মসন্দেহ কাটিয়ে উঠতে হবে। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

‘গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস (১৯৮৮)

দুই ভাইবোনের লড়াইয়ের গল্প। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ঘটনা। হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যায়। মাকে হারায় তারা। এ পরিস্থিতিতে ছোট বোনকে রক্ষার দায়িত্ব নেয় বড় ভাই। ইসাও তাকাহাতা বানিয়েছেন সিনেমাটি।

‘স্প্রিটেড অ্যাওয়ে’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘স্প্রিটেড অ্যাওয়ে’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

স্প্রিটেড অ্যাওয়ে (২০০১)

মা-বাবার সঙ্গে জাপানের এক গ্রামে বেড়াতে যায় শিশু চিহিরো। ভুল করে এক জঙ্গলে ঢুকে পড়ে তারা। সেখানে একটি পার্ক। নানা রকম খাবারের স্টল সাজানো সেখানে। সেই খাবার খেয়ে চিহিরোর মা-বাবা শুকরে পরিণত হয়। তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকে চিহিরো। সিনেমাটি বানিয়েছেন হায়াও মিয়াজাকি।

‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন (২০২৩)

যুদ্ধে মাকে হারায় তরুণ মোহিতো। নতুনভাবে জীবন শুরুর জন্য গ্রামে তার পারিবারিক সম্পত্তিতে যায়। সেখানে একজন জানায়, তার মা এখনো বেঁচে আছে। তার কথা বিশ্বাস করে এক পরিত্যক্ত টাওয়ারে প্রবেশ করে মোহিতো, যা তাকে অন্য এক জগতে নিয়ে যায়। হায়াও মিয়াজাকি বানিয়েছেন সিনেমাটি।

‘দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব অ্যারিটি’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব অ্যারিটি’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

দ্য সিক্রেট ওয়ার্ল্ড অব অ্যারিটি (২০১০)

ছোট অ্যারিটি তার মা-বাবার সঙ্গে থাকে এক বাড়ির গোপন কক্ষে। ওই বাড়ির মালিকও এটা জানে না। মাঝে মাঝে খাবার সংগ্রহের জন্য বের হয়। ওই বাড়ির ছেলে শনের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব তৈরি হয়, কিন্তু এই সম্পর্ক অ্যারিটির পরিবারের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি ও গ্যারি রাইডস্ট্রম বানিয়েছেন সিনেমাটি।

‘প্রিন্সেস মনোনোকে’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘প্রিন্সেস মনোনোকে’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

প্রিন্সেস মনোনোকে (১৯৯৭)

বীর যোদ্ধা আশিতাকা তার গ্রামকে বাঁচাতে গিয়ে অভিশাপের শিকার হয়। অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে বিপজ্জনক যাত্রা শুরু করে সে। একপর্যায়ে যুদ্ধরত দুটি বংশের সঙ্গে সেও জড়িয়ে পড়ে। সিনেমাটির পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

‘মাই নেইবর টোটোরো’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘মাই নেইবর টোটোরো’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

মাই নেইবর টোটোরো (১৯৮৮)

দুই বোন সাতসু ও মেই। বাবার সঙ্গে থাকে। হাসপাতালে তাদের মা অসুস্থ মা। মায়ের সেরে ওঠার অপেক্ষায় তারা। বাড়ির আশপাশে ঘুরতে ঘুরতে তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় কিছু অদ্ভুত প্রাণীর। এ সিনেমাটিরও পরিচালক হায়াও মিয়াজাকি।

‘হোয়েন মার্নি ওয়াজ দেয়ার’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
‘হোয়েন মার্নি ওয়াজ দেয়ার’ সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

হোয়েন মার্নি ওয়াজ দেয়ার (২০১৪)

পালক মা-বাবার জোরাজুরিতে গ্রামে বাস করতে বাধ্য হয় দুর্দশাগ্রস্ত এক মেয়ে। সেখানে মার্নি নামের এক রহস্যময় মেয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মার্নির সাহায্যে সে খুঁজে পায় নিজের আসল পরিচয়। হিরোমাসা ইয়োনেবায়াশি বানিয়েছেন সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাক্ষস সিনেমায় অভিনয়ের গুঞ্জন নাকচ করলেন ইধিকা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪২
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।

এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।

এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রকাশিত হলো শিরোনামহীনের ‘এই অবেলায় ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।

‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।

২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।

শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপে সোনার বাংলা সার্কাস

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘মিশন: ইম্পসিবল’সহ এসেছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত

অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: শাকিব খান, দর্শনা বণিক
  • মুক্তি: আইস্ক্রিন (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ছোটবেলায় প্রথমের (শাকিব) মা-বাবা খুন হয় সন্ত্রাসীদের হাতে। বড় হয়ে প্রথম হয়ে ওঠে সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। কিছুরই অভাব নেই তার। তবে সে খুব একা। তার সঙ্গে দেখা হয় রূপকথার (দর্শনা)। তার প্রেমে পড়ে প্রথম। বিয়েও করে। তবু তার জীবনে স্থিরতা আসে না।

বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)

  • অভিনয়: তুষার চৌধুরী, মিরান্দা দাস, সুধির রায়
  • মুক্তি: বঙ্গ (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: উত্তরবঙ্গের এক নিভৃত গ্রামে কানাই আর কোয়েলের নিষ্পাপ প্রেমের গল্প বিহান। ক্রাউড ফান্ডে সিনেমাটি বানিয়েছেন সৌরভ সাহা।

মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: টম ক্রুজ, হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং র‍্যামস
  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো ইথান হান্টের যাত্রা। এ পর্বের পর আর এই চরিত্রে দেখা যাবে না টম ক্রুজকে। ১৯৯৬ সালে মিশন ইম্পসিবলের সঙ্গে যে জার্নি শুরু হয়েছিল টমের, ২০২৫ সালে দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো সেই সফর। এ সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য লড়াই করে ইথান হান্ট ও তার টিম।

জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: জর্জ ক্লুনি, অ্যাডাম স্যান্ডলার
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৫ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: এক জনপ্রিয় অভিনেতা (ক্লুনি) এবং তার ম্যানেজারের (স্যান্ডলার) মধ্যকার বন্ধুত্বের গল্প। কয়েক দশক ধরে ক্যারিয়ারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পর জীবন নিয়ে নতুন উপলব্ধি হয় অভিনেতার। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়। সঙ্গী হয় ম্যানেজার। এই যাত্রা অভিনেতাকে যেন নতুন জীবন দেয়।

দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

  • অভিনয়: তিরাদন সুপাপুনপিনিও, পাচারা চিরাথিভাত, আচিয়ারা
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: থাইল্যান্ডের এই ক্রাইম সিরিজের দ্বিতীয় পর্বেও তিন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের গল্প দেখা যাবে। একটি বৌদ্ধ মন্দির পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করে তারা। দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় রাজনীতি তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তৈরি হয় দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত