Ajker Patrika

সকল কাঁটা ধন্য করে

খায়রুল বাসার নির্ঝর
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৪: ৫০
সকল কাঁটা ধন্য করে

সত্যজিৎ রায়ের সিনেমাকে ঘিরে দর্শকদের বিস্ময়, ভালোবাসার অন্ত নেই। এই মুগ্ধতার আড়ালে কখন যে চাপা পড়ে গেছে তাঁর সত্যজিৎ হয়ে ওঠার ইতিবৃত্ত, মনে রাখেনি কেউই। তিনি রাতারাতি বিশ্ববরেণ্য হয়ে ওঠেননি। তাঁর চলার পথেও ছিল শত–সহস্র কাঁটা। যে ইন্ডাস্ট্রিতে বসে তিনি কাজ করেছেন, সেখানকার লোকেরাও তাঁকে ছেড়ে কথা বলেননি।

‘পথের পাঁচালী’ করবেন বলে তখন তিনি হন্যে হয়ে প্রযোজক খুঁজে বেড়াচ্ছেন। সত্যজিৎ রায়ের প্রোডাকশন কন্ট্রোলার অনিল চৌধুরী তাঁর এক বন্ধু প্রযোজকের (কুমুদবন্ধু দাস) কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন সত্যজিৎকে।

সে এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সত্যজিতের জীবনে। প্রযোজককে স্ক্রিপ্ট শোনানোর জন্য গেছেন শিয়ালদহের আর্যনিবাস হোটেলে। খাতা খুলে তিনি পথের পাঁচালীর স্ক্রিপ্ট পড়তে শুরু করলেন। ‘কিছুক্ষণ পর দেখলাম কুমুদ কেমন উসখুস করছে, মোটেই মনোযোগ দিচ্ছে না।’ অনিল বলেন। স্ক্রিপ্ট পড়া শেষ। প্রযোজক কোনো কথাই বললেন না। সত্যজিৎ চলে গেলেন। ‘আমি কুমুদকে খুব গালাগালি করলাম ওরকম ব্যবহার করার জন্য। কুমুদ বলল, ‘দূর এ কী স্ক্রিপ্ট হয়েছে? কোনো গানটান নেই।’ আমি বললাম, গানের সুযোগ কোথায়? কুমুদ বলল, ‘কেন, দুর্গা ওরকম মাঠে মাঠে ঘুরত, একটা গান গাইতে পারে না?’

সত্যজিৎ রায়তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের সাহায্যে শেষ পর্যন্ত ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির টাকা পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে। অনেক বাধাবিপত্তি পার করে। এই সিনেমার সাফল্যের পর দ্বিতীয় সিনেমা করতে গিয়ে তাঁকে যে আর ভাবতে হয়নি, তা নয়। ‘পথের পাঁচালী’ পরবর্তী ‘আগন্তুক’ পর্যন্ত যে সিনেমাগুলো তিনি করেছেন, সবই খুব কম বাজেটে তৈরি।

‘জন অরণ্য’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় গল্প শুনেছিলেন, একটা সময় বাজারে তাঁর এত দেনা হয়ে গিয়েছিল যে নিজের পারিশ্রমিকের অর্ধেকটাই চলে যেত সেই দেনা শোধ করতে। সত্যজিৎ রায়ের প্রোডাকশন কন্ট্রোলার অনিল চৌধুরী বলতেন, প্রোডাকশনের বোঝা বয়ে বয়ে সত্যজিৎ রায়ের কাঁধটা বেঁকে গেছে। প্রদীপ মুখোপাধ্যায় লক্ষ করেছিলেন, ‘মানুষটা কী অসম্ভব পাংচুয়াল। ঠিক সময় সেটে আসতেন। লক্ষ রাখতেন কে কখন আসছে। যাতে সময় নষ্ট না হয়, সেটা দেখতেন। র স্টকের (ফিল্ম) খুব দাম বলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি একটা শটও নিতেন না।’

সত্যজিৎ রায়ের দীর্ঘদিনের চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায় এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর সিনেমা তৈরির পদ্ধতির মধ্যেই থাকত নতুনত্ব। নায়ক–এর মতো সিনেমাতেও উত্তমকুমারকে তিনি মেকআপ ব্যবহার করতে দেননি। এ নিয়ে উত্তমকুমারের মনে বেশ খুঁতখুঁতানি ছিল। কারণ তার কিছুদিন আগেই তাঁর চিকেন পক্স হয়েছিল। মুখে হালকা দাগ ছিল।

এভাবেই পথ হেঁটেছেন সত্যজিৎ। শ্যাম বেনেগালের করা তথ্যচিত্রটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা হয়তো খেয়াল করেছেন, নিজের ছবির কথা বলতে বলতে সত্যজিৎ হঠাৎ এক জায়গায় কিছুটা অভিমানী গলায় বলে উঠেছেন, ‘ইট ওয়াজ নেভার ভেরি ইজি ফর মি’। কথাটা কানে লাগতে বাধ্য। এত বড় মাপের একজন শিল্পীকে সাহায্য করতে বাঙালি সমাজ এগিয়ে আসেনি, এটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। বরং বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অনেকেই।

সত্যজিৎ রায়আন্তর্জাতিক স্তরে তাঁর লেখা চিত্রনাট্যের ভাবনাও চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু নিজের সিনেমার প্রতি বিশ্বাসের জোরে সত্যজিৎ সেসব বাধা এক এক করে পার হয়ে তবেই জীবনের শেষ দিকে রোগশয্যায় শুয়ে অস্কার হাতে ধরে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠতে পেরেছিলেন, ‘দেয়ার ইউ আর’।

বলিউড বা কলকাতার টালিগঞ্জপাড়ার রাজনীতির দুর্বিপাক থেকে সত্যজিৎরা নিজেদের দূরে রাখতে পারেননি। এই রাজনীতি আজ যেমন, সেদিনও তেমনি বাংলার অনেক নামী চলচ্চিত্রকারদের সিনেমার করার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল। একবার সত্যজিতের সিনেমার মুক্তি আটকাতে টালিগঞ্জের শিল্পী–কলাকুশলীদের একাংশ পথে নেমেছিল। আবার ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’র মুক্তি আটকাতে মুম্বাইয়ের প্রদর্শকরা সিনেমা হল দিতে অস্বীকার করেছিলেন। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল সিনেমার হোর্ডিং ও ব্যানার।

সময়টা ১৯৬৯ সাল। পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে একটা ‘সংরক্ষণ সমিতি’ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মতবিরোধের জেরে সত্যজিৎ একসময় সমিতি থেকে বেরিয়ে আসেন। এই সময় সংরক্ষণ সমিতির সঙ্গে তাঁর বিরোধের কারণে টালিগঞ্জের তৎকালীন নেতারা ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ সিনেমার মুক্তি আটকে দিতে উদ্যোগী হয়। মিনার, বিজলী, ছবিঘর সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গুপী গাইনের। চুক্তিও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সংরক্ষণ কমিটি চাপ দিয়ে গুপী গাইনের বদলে ‘আরোগ্য নিকেতন’ সিনেমা চালানোর ব্যবস্থা করে। মিটিং মিছিলে উত্তাল হয়ে ওঠে টালিগঞ্জ পাড়া। ‘আরোগ্য নিকেতন’–এর পক্ষে টালিগঞ্জের শিল্পী, কলাকুশলীদের একাংশ পথে নামেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন স্বয়ং উত্তমকুমার। এত কিছু করেও অবশ্য সত্যজিতের সিনেমার মুক্তি আটকানো যায়নি। শুধু তা–ই নয়, টানা ১০২ সপ্তাহ চলে এই সিনেমা বক্স অফিসে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবশেষে জাস্টিন ট্রুডো-কেটি পেরির প্রেমের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এল, ইন্টারনেটে তোলপাড়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি। ছবি:  এক্স
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জাস্টিন ট্রুডো ও কেটি পেরি। ছবি: এক্স

দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রেমের গুঞ্জনে অবশেষে সিলমোহর পড়ল। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চে নিজেদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন পপ গায়িকা কেটি পেরি এবং কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও তাঁর স্ত্রী ইউকোর সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে এই জুটি তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, কেটি পেরি তাঁর চলমান ‘দ্য লাইফটাইমস ওয়ার্ল্ড ট্যুর’ স্থগিত রেখে ট্রুডোর সঙ্গে টোকিওতে এই কূটনৈতিক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন।

জাস্টিন ট্রুডো কিশিদার সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবি এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আপনাকে দেখে দারুণ লাগলো@kishida 230। ক্যাটি এবং আমি আপনার ও ইউকোর সঙ্গে বসে কথা বলার সুযোগ পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। ফুমিও, আপনার বন্ধুত্বের জন্য এবং আন্তর্জাতিক নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি এবং সবার জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যতের প্রতি আপনার অব্যাহত প্রতিশ্রুতির জন্য ধন্যবাদ।’

পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, ট্রুডো একটি ধূসর স্যুট পরে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রনায়কোচিত রূপে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, কেটি পেরি সেজেছিলেন সবুজ রঙের দু’টুকরো পোশাক, কালো টাইটস, একটি টার্টলনেক এবং বুট পরে। কিশিদা দম্পতির সঙ্গে ছবি তোলার সময় কেটি পেরিকে ট্রুডোর পেছনে হাত রেখে দাঁড়াতে দেখা যায়। কিশিদা ট্রুডোর পোস্টে মন্তব্য করেন, ‘ধন্যবাদ, জাস্টিন। আপনি এবং কেটি, দু’জনকেই অবকাশের শুভেচ্ছা!’

জাস্টিন ট্রুডো এই পোস্টটি শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই ইন্টারনেট জুড়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মুক্ত বিশ্বের ইতিহাসে এটি সম্ভবত সবচেয়ে উন্মাদনার একটি ঘোষণা।’ আরেকজন এক্স ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘কেটি পেরি আন্তর্জাতিক কূটনীতি সামলাচ্ছেন। আমার টপ রিস্কস ২০২৫ তালিকায় এটা ছিল না!’

অনেক ভক্তও মজার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, কিন্তু সঙ্গে ছুটির কার্ডের আমেজ।’ অন্য একজন মন্তব্য করেন, ‘খোদার কসম, এটা আমার বিঙ্গো কার্ডে ছিল না।’ এই কূটনৈতিক ঘোষণার মাধ্যমে পেরি ও ট্রুডো জুটি এখন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি মহলে নতুন আলোচনার কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লন্ডনে উন্মোচিত হলো শাহরুখ-কাজলের ভাস্কর্য

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৩
গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে উন্মোচিত হয় ডিডিএলজের ভাস্কর্য। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে উন্মোচিত হয় ডিডিএলজের ভাস্কর্য। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

বলিউডের ‘রোমান্স কিং’ হিসেবে পরিচিত শাহরুখ খান এবং তাঁর সহ-অভিনেত্রী কাজলের একটি নতুন ভাস্কর্য উন্মোচিত হলো লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে দীর্ঘতম সময় ধরে চলা ব্লকবাস্টার ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর ৩০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।

বর্ষণমুখর আবহাওয়ার মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার ভাস্কর্যটির আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। এই ভাস্কর্যটি লেস্টার স্কয়ারের ‘সিনস ইন দ্য স্কয়ার’ ট্রেইলের অংশ হিসেবে হ্যারি পটার, প্যাডিংটন এবং ব্রিজেট জোনসের ভাস্কর্যের সঙ্গে যুক্ত হলো।

লন্ডনে ভাস্কর্য উন্মোচনের ফাঁকে শাহরুখ খানের কাছে নববিবাহিত দম্পতিদের জন্য তাঁর নিজস্ব পরামর্শ জানতে চাওয়া হয়। মজা করে জবাব দেন শাহরুখ।

শাহরুখ উত্তর দেওয়ার আগেই অভিনেত্রী কাজল রসিকতা করে বলে ওঠেন, ‘ওঁর সব ছবিই তো বিয়ের আগের প্রেম নিয়ে, বিয়ের পরের প্রেম নিয়ে নয়!’

কাজলের কথায় সম্মতি জানিয়ে শাহরুখ খান হাসতে হাসতে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত, তুমি ছিলে একজন যাকে আমি উপদেশ দিতে পারতাম। কিন্তু বিয়ের পর, তুমি তো এখন নিজের দায়িত্বে চলে গেছ!’ অবশ্য শাহরুখ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিতে ভোলেননি। তিনি বলেন, ‘ততদিন (বিয়ের আগে) পর্যন্ত, আমার মনে হয় আমি ঠিকই করেছি। আপনাদের রোমান্স থাকতে হবে, গান গাইতে হবে।’ কাজল সঙ্গে সঙ্গে যোগ করেন, ‘এবং অবশ্যই ডিডিএলজে দেখতে হবে।’

ছবিটি সম্পর্কে যশ রাজ ফিল্মসের সিইও অক্ষয় বিধানি এটিকে ‘গৌরবের বিশাল মুহূর্ত’ হিসেবে বর্ণনা করেন। অন্যদিকে, হার্ট অব লন্ডন বিজনেস অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী রস মর্গ্যান বলেন, ‘ডিডিএলজে একটি সিনেমাটিক ঘটনা যা প্রজন্মকে প্রভাবিত করেছে, এবং লন্ডন এই প্রথম ভারতীয় সিনেমার আন্তর্জাতিক দর্শকদের মুগ্ধ করে চলা একটি গল্পকে সম্মান জানাল।’

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করেছেন শাহরুখ খান। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো বিলিয়নেয়ার ক্লাবে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনা তাঁকে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার এবং টেলর সুইফটের মতো বৈশ্বিক তারকাদের কাতারে নিয়ে এসেছে।

চার বছরের বিরতির পর ২০২৩ সালে চলচ্চিত্রে ফেরেন বলিউড বাদশাহ। সম্প্রতি তাঁর আসন্ন অ্যাকশন ফিল্ম ‘কিং’-এর টিজার উন্মুক্ত হয়েছে। তবে অ্যাকশন ঘরানার আরও ছবি বা পরবর্তী জেমস বন্ড হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রসিকতা করে শাহরুখ জবাব দেন: ‘না। আমার উচ্চারণ সেরকম নয়। আর আমি শেকেন মার্টিনি (বিশেষভাবে তৈরি ককটেল) পছন্দ করি না।’

এদিকে, চলচ্চিত্র জগতের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমে যাওয়া নিয়ে কাজল মনে করেন, এখন দর্শকদের হাতে বেছে নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘মানুষের এখন সিনেমা হলে যাওয়া বা না যাওয়ার স্বাধীনতা আছে। যখন এত বিকল্প, তখন বেছে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।’

তবে শাহরুখ খান বিশ্বাস করেন, ‘কমিউনিটি ভিউয়িং...সবসময় থাকবে। আমরা একসঙ্গে কোনো জিনিস দেখতে এবং উপভোগ করতে ভালোবাসি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাক্ষস সিনেমায় অভিনয়ের গুঞ্জন নাকচ করলেন ইধিকা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪২
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।

এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।

এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রকাশিত হলো শিরোনামহীনের ‘এই অবেলায় ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।

‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।

২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।

শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত