Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

এই উন্মাদনার কারণেই সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছে

ছবি: ওমর ফারুক

৬ ডিসেম্বর সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ইতিমধ্যেই প্রকাশিত গান, ট্রেলার আশা জাগিয়েছে সিনেমাটি নিয়ে। আজকের পত্রিকার সঙ্গে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা, সিনেমা নিয়ে প্রত্যাশা আর প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে কথা বলেছেন এর মুখ্য দুই অভিনয়শিল্পী রওনক হাসানমৌসুমী হামিদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এম এস রানা

এম এস রানা
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭: ৪৩

‘নয়া মানুষ’ মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমার চরিত্রের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করলেন?

রওনক হাসান: এমন বানভাসি একজন মানুষ, প্রান্তিক একজন মানুষ—এই জীবনটা তো আমি দেখিনি, আমি যাপন করিনি কখনো। সেই জায়গা থেকে এটা আমার জন্য খুবই কঠিন একটা কাজ ছিল। অভিনয়ে অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে, স্ক্রিপ্ট পড়ে, ওই অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে মিশে একধরনের চেষ্টা করেছি আমি। বিষয়টা খুব সহজ ছিল না আমার জন্য, বেশ কঠিন ছিল। আমাদের সঙ্গে ঔপন্যাসিক আ মা ম হাসানুজ্জামান ছিলেন, তিনিও অনেক সহযোগিতা করেছেন।

মৌসুমী হামিদ: আমার তো এমন চরিত্রে অভিজ্ঞতা একেবারেই কম। আমার যে শারীরিক গঠন বা উচ্চতা, তাতেও একধরনের শঙ্কা ছিল। যতই আমি শাড়ি পরে তাদের মতো করে সাজি না কেন, ভয় ছিল আমি তাদের মতো হয়ে উঠতে পারব কি না। যারা ওই চরে থাকে, চেষ্টা করেছি তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে, তাদের সঙ্গে মিশে, কথা বলে, তাদের মতো হয়ে উঠতে। তারা কীভাবে কথা বলে, কীভাবে ঝগড়া করে, কীভাবে জীবনটা যাপন করে—এসব আয়ত্ত করার চেষ্টা করেছি।

অভিনয়ের পর নিজের চরিত্রে নিজেকে কতটা সফল মনে হয়েছে?

মৌসুমী: সহশিল্পীরা আমাকে ভীষণ সহযোগিতা করেছেন। রওনক ভাই ছিলেন, হাসান ভাই ছিলেন, বদরুদ্দোজা ভাই ছিলেন, আশীষ খন্দকারের মতো আর্টিস্ট ছিলেন। সবার সহযোগিতায় চেষ্টা করেছি, কতটা পেরেছি, সেটা দর্শকই ভালো বলবেন।

রওনক: একটা কাজে অভিনয় করার পর সেই কাজটি আমার আর ভালো লাগে না। আমার মনে হয় আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। যে কারণে একটা পর্যায়ে আমি হতাশ হয়ে পড়তাম। তাই যখন পরিচালক বলেন ভালো হয়েছে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বা দর্শকেরা বলেন ভালো হয়েছে, তখন আমার মনে হয় ভালো হয়েছে।

শহুরে মানুষের জন্য তো নৌকা চালানো বেশ কঠিন। প্রাইভেট কার চালানোয় অভ্যস্ত মানুষের জন্য শুটিংয়ে নৌকা চালানোটা কতটা কঠিন মনে হলো রওনকের?

রওনক: ভীষণ কঠিন।

মৌসুমী: রওনক ভাই তো শুটিং চলাকালে শক্ত হয়ে বসে থাকতেন, নৌকা চালিয়ে তাঁর শরীর ব্যথা হয়ে যেত। কোনো কিছু পাত্তা দিতেন না। কিন্তু যখনই শুটিং শেষ হতো, তিনি বিছানায় এলিয়ে পড়তেন, ব্যথায় কাতরাতেন। এমনও দিন গেছে, শরীরে প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে তিনি শুটিং করেছেন, প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে কিন্তু থেমে যাননি বা কাউকে বুঝতে দেননি।

ঝড়ের কবলে পড়ে সেট ভেঙে গিয়েছিল শুনেছি?

রওনক: সিত্রাং ঝড়ের পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। আমরা ঝড় শুরুর আগে চলে এসেছিলাম। শুটিংয়ের জন্য যে ঘরটা বানানো হয়েছিল, সেটা ঝড়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। পরে পুরো সেটটা আবার বানিয়ে শুটিং করতে হয়েছে।

সেই ঝড়ের দৃশ্য কি আছে সিনেমায়?

মৌসুমী: কিছু আছে, বৃষ্টির দৃশ্য আছে। আমরা চলে এলেও পরিচালককে কিছুতেই আনা যাচ্ছিল না। তিনি ওর মাঝেই লাইভ কিছু দৃশ্যের শুটিং করতে চেয়েছেন।

নয়া মানুষ সিনেমাটি দর্শক কী কারণে, কেন দেখবেন?

রওনক: নয়া মানুষের গল্পটা শতভাগ এই বাংলার, এই বাংলার প্রান্তিক মানুষের গল্প, এই বাংলার জল, মাটি, আগুন, মানুষ ও সম্প্রীতির গল্প। এবং এই মুহূর্তে আমাদের দেশে কিছু বিষয়ের বিবেচনায় এই গল্পটা খুবই সমসাময়িক। আমার দেশের প্রান্তিক মানুষেরা জীবনটাকে কীভাবে দেখে, ধর্মকে কীভাবে দেখে, রাজনীতিকে কীভাবে দেখে, সেই বিষয়গুলো এখানে আছে। সব মিলিয়ে সিনেমাটা যখন দর্শক হলে বসে দেখবে, তখন চোখের এবং মনের একধরনের আরাম পাবে।

এখন তো সারা বিশ্বেই অ্যাকশন, অ্যানিমেশন, হরর সিনেমার প্রতি দর্শকের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছে। এমন সময়ে এই সিনেমাটা দর্শকদের কতটা স্বস্তি দেবে বলে মনে করেন?

মৌসুমী: সিনেমাটাকে যদি কোনো ফর্মুলায় ফেলতে চান, তাহলে বলতে পারেন এটা এটা সোশ্যাল ড্রামা মুভি। চরের মানুষের জীবনেও একটা ফিলোসফি আছে। তারাও তো জীবন ধারণ করে কোনো না কোনো বিশ্বাসের ওপরে। এই সিনেমায় ওই মানুষগুলোর রোমান্টিসিজম আছে, ওই মানুষগুলোর জীবনের অ্যাকশন আছে, তারা কীভাবে ধর্মকে মেনে চলে, তারা কীভাবে প্রেমকে দেখে, সম্পর্ককে দেখে। অ্যাকশন, অ্যানিমেশন তো প্রচুর হচ্ছে। এর মাঝে এই সিনেমাটা বৈচিত্র্য দেবে।

সিনেমার একটা গান রিলিজ হয়েছে ‘চান্দের বাড়ি’। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন গানটি নিয়ে?

মৌসুমী: সবাই খুব পছন্দ করছে। গানটার দৃশ্যায়ন যেমন সুন্দর, কথাগুলো, সুরটাও তেমন সুন্দর। গেয়েছেনও দুজন মিষ্টি মানুষ—মাশা ও অনিমেষ। কম্পোজ করেছেন ইমন চৌধুরী। সুজন হাজংয়ের লেখা। সব মিলিয়ে দারুণ একটা গান হয়েছে।

অন্য গানগুলো কেমন?

রওনক: আরও দু-তিনটি গান আছে। একটা লিখেছেন নির্মলেন্দু গুণ। অসাধারণ লিরিক। আরেকটি গান শহিদুল্লাহ ফরায়েজী লিখেছেন। গেয়েছেন শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, খায়রুল ওয়াসিফ। গানগুলোও সিনেমার একটা সম্পদ হয়ে থাকবে।

প্রচারণা নিয়ে কী ধরনের পরিকল্পনা আছে?

রওনক: এই ধরনের সিনেমায় আমাদের দেশে স্পনসর পাওয়া যায় না। এই সিনেমাটিও তৈরি হয়েছে নানাজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে। সেই অর্থে এটাকে গণ-অর্থায়নও বলতে পারেন। এই সিনেমার প্রচারণার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে গণমাধ্যম। তারা আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। ইতিমধ্যেই মানুষ তাদের মাধ্যমেই সিনেমাটি সম্পর্কে জেনেছেন, আগ্রহী হয়েছেন। আমরাও পরিকল্পনা করছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা সিনেমা মুক্তির পর হলে যাওয়ার। তবে সেই অর্থে সিনেমাটি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর সুযোগ বা সামর্থ্য আমাদের নেই।

প্রযোজকেরা কেন এ ধরনের সিনেমায় লগ্নি করতে চান না? এটা কি আস্থাহীনতার অভাব?

রওনক: এটা খুবই জটিল বিষয়। এর একটা কারণ হতে পারে, আমরা শতভাগ পেশাদারি মনোভাব নিয়ে কাজটা করি না। আবেগ থেকে কাজটা করি। আবার এই কথাটাও আমি বলতে চাই, নাটক, সিনেমার ক্ষেত্রে আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথাযথ সাপোর্ট পাই না। সমাজ থেকেও পাই না। আমার মনে আছে, একবার আমার মাকে একজন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন, ওনার ছোট ছেলেটা কলেজে পড়ে আর বড় ছেলেটা নষ্ট হয়ে গেছে, ও নাটক করে। আমার মা বিছানায় শুয়ে কাঁদে, কারণ তার বড় ছেলে নষ্ট হয়ে গেছে। আমার বাবা আমাকে বললেন, তুই এক হাজার টাকা বেতনের হলেও একটা চাকরি কর, যেন বলতে পারি আমার ছেলে একটা চাকরি করে।

নয়া মানুষ সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা। পরিচালকের জন্য কি এটা কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল?

রওনক: প্রথম সিনেমায় এলে কোনো কিছুই ঠিকমতো বোঝা যায় না। ডিরেকশন দিতে গিয়ে আমি নিজেও সেটা টের পেয়েছিলাম। আমার পরিচালিত প্রথম নাটকের বাজেট ছিল সাড়ে ৫ লাখ টাকা, খরচ হয়েছিল ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বাকি টাকা আমার নিজেকে ম্যানেজ করতে হয়েছে। প্রথম কাজে তো কিছু সমস্যা থাকবেই।

পরিচালক সোহেল রানা বয়াতির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

রওনক: নানা রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। নানা অভিযোগ, নানা অভিমান। তবে যখন সিনেমাটি তৈরি হয়ে গেল, তখন মনে হলো, বয়াতি অসাধারণ একটা কাজ করে ফেলেছে।

মৌসুমী: কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের মনোমালিন্য হয়েছে, কোনো কোনো বিষয়ে আমরা একমত হতে পারছিলাম না। একসময় তো আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সিনেমাটির শুটিং আর করব না। শেষ পর্যন্ত মনে হয়েছে, বয়াতি একটা দুঃসাহসিক কাজ করেছে।

রওনক: কিছু কিছু কাজ দেখে আমার কাছে ওকে উন্মাদ মনে হয়েছে। সে মাত্র ৩৭ হাজার টাকা পকেটে নিয়ে আস্ত একটা ইউনিট নিয়ে সিনেমার শুটিং করতে চলে গেছে। এই কথা আগে জানলে তো আমি শুটিংয়েই যেতাম না। কিন্তু শুটিংয়ের মাঝে এর কাছে, ওর কাছে বলে টাকা আনিয়ে ঠিকই শুটিং শেষ করেছে। ওর এই উন্মাদনার কারণেই সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছে।

মৌসুমী: আমি ভাবছিলাম সিনেমাটি হবে না। আচ্ছা বলুন, এটা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ! এই কটা টাকা নিয়ে ৬০ জন লোক নিয়ে সে ১২দিনের জন্য আউটডোরে চলে গেল শুটিং করতে!

সিনেমাটি কতটা সফলতা পেলে আপনারা সন্তুষ্ট?

রওনক: আমরা অনেক কষ্ট করে একটা সিনেমা করলাম, সেটা দর্শক দেখলেই আমরা খুশি হব। আমরা চাই, সিনেমাটি ভালো লাগলে দর্শক সেটা উপভোগ করুক, মন্দ লাগলে কেন মন্দ লাগল সেই কথাটাও বলুক, আমরা কী ভুল করেছি তা জানাক।

মৌসুমী: আমাদের পেছনে বড় কোনো অর্থায়ন নেই, আমাদের পেছনে বড় কোনো লোগো নেই, আমরা এত কষ্ট করে যে সিনেমাটা বানালাম, সেটা দর্শকের অনুভূতিকে সামান্যতম নাড়া দিতে পারলেও আমি খুশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাক্ষস সিনেমায় অভিনয়ের গুঞ্জন নাকচ করলেন ইধিকা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪২
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত
ইধিকা পাল ছবি : সংগৃহীত

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।

আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।

এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।

এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রকাশিত হলো শিরোনামহীনের ‘এই অবেলায় ২’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার
‘এই অবেলায় ২’ ও ‘রিমেম্বার মি’ গানের পোস্টার

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।

‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।

২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।

শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপে সোনার বাংলা সার্কাস

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।

সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।

এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘মিশন: ইম্পসিবল’সহ এসেছে যেসব সিনেমা-সিরিজ

বিনোদন ডেস্ক
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত
‘মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং’ সিনেমার দৃশ্য ছবি: সংগৃহীত

অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)

  • অভিনয়: শাকিব খান, দর্শনা বণিক
  • মুক্তি: আইস্ক্রিন (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: ছোটবেলায় প্রথমের (শাকিব) মা-বাবা খুন হয় সন্ত্রাসীদের হাতে। বড় হয়ে প্রথম হয়ে ওঠে সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক। কিছুরই অভাব নেই তার। তবে সে খুব একা। তার সঙ্গে দেখা হয় রূপকথার (দর্শনা)। তার প্রেমে পড়ে প্রথম। বিয়েও করে। তবু তার জীবনে স্থিরতা আসে না।

বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)

  • অভিনয়: তুষার চৌধুরী, মিরান্দা দাস, সুধির রায়
  • মুক্তি: বঙ্গ (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: উত্তরবঙ্গের এক নিভৃত গ্রামে কানাই আর কোয়েলের নিষ্পাপ প্রেমের গল্প বিহান। ক্রাউড ফান্ডে সিনেমাটি বানিয়েছেন সৌরভ সাহা।

মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: টম ক্রুজ, হেইলি অ্যাটওয়েল, ভিং র‍্যামস
  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো ইথান হান্টের যাত্রা। এ পর্বের পর আর এই চরিত্রে দেখা যাবে না টম ক্রুজকে। ১৯৯৬ সালে মিশন ইম্পসিবলের সঙ্গে যে জার্নি শুরু হয়েছিল টমের, ২০২৫ সালে দ্য ফাইনাল রেকনিং দিয়ে শেষ হলো সেই সফর। এ সিনেমায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য লড়াই করে ইথান হান্ট ও তার টিম।

জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)

  • অভিনয়: জর্জ ক্লুনি, অ্যাডাম স্যান্ডলার
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৫ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: এক জনপ্রিয় অভিনেতা (ক্লুনি) এবং তার ম্যানেজারের (স্যান্ডলার) মধ্যকার বন্ধুত্বের গল্প। কয়েক দশক ধরে ক্যারিয়ারকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার পর জীবন নিয়ে নতুন উপলব্ধি হয় অভিনেতার। মেয়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হয়। সঙ্গী হয় ম্যানেজার। এই যাত্রা অভিনেতাকে যেন নতুন জীবন দেয়।

দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

  • অভিনয়: তিরাদন সুপাপুনপিনিও, পাচারা চিরাথিভাত, আচিয়ারা
  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (৪ ডিসেম্বর)
  • গল্পসংক্ষেপ: থাইল্যান্ডের এই ক্রাইম সিরিজের দ্বিতীয় পর্বেও তিন উদ্যোক্তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের গল্প দেখা যাবে। একটি বৌদ্ধ মন্দির পুনর্নির্মাণের পরিকল্পনা করে তারা। দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় রাজনীতি তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তৈরি হয় দ্বন্দ্ব, বিশৃঙ্খলা।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত