Ajker Patrika

‘প্রায় তিন বছর আমি এই কাজের সঙ্গে আছি’

মীর রাকিব হাসান
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৭: ০০
‘প্রায় তিন বছর আমি এই কাজের সঙ্গে আছি’

আজকের পত্রিকা : ওয়েব সিরিজ ‘ঊনলৌকিক’-এর নতুন পর্ব ‘মিসেস প্রহেলিকা’য় আপনার চরিত্রটি নিয়ে বলুন…
চঞ্চল চৌধুরী:
সিরিজের এই গল্পে আমি একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। আজকের গল্পে আরও অভিনয় করেছেন তিশা। তাঁর চরিত্রের নাম হুমায়রা। আমার চেম্বারে আসে। চেম্বারে এসে হুমায়রা কিছু অদ্ভুত ঘটনা বলে, অদ্ভুত আচরণ করে। পুরো বিষয়টাই একধরনের ঘোর তৈরি করে। হুমায়রা যা কিছু বলে, তার সবটাই কি কল্পনা, নাকি বাস্তব? গল্পের ধরন, চিত্রনাট্যের মোড় আর প্রেজেন্টেশনের ভিন্নতা এই সিরিজের প্রতি একটা আলাদা আকর্ষণ ইতিমধ্যে তৈরি করেছে। পরিচালক রবিউল আলম রবি, গল্পে শিবব্রত বর্মণ আর চিত্রনাট্য ও প্রোডাকশন ডিজাইনে সৈয়দ আহমদ শাওকিসহ পুরো টিম যেভাবে সিরিজটি বানিয়েছে, তা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।

আজকের পত্রিকা: চরকির আর কোনো কাজ করছেন?
চঞ্চল: অমিতাভ রেজার ওয়েব ফিল্ম ‘মুন্সিগিরি’র শুটিং করেছি। আমার অংশের পুরো কাজই শেষ, কেবল এক দিনের প্যাচওয়ার্ক আছে। ঈদের আগেই করার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে করা হয়নি। লকডাউন শিথিল হলেই সেটা করা হবে।

আজকের পত্রিকা: যেকোনো চরিত্রেই আপনার ড্রেসআপ–গেটআপ চোখে পড়ার মতো। চরিত্রগুলোর চলনবলনও আলাদাভাবে নজর কাড়ে। এই যে চরিত্র নিয়ে আপনার পূর্ব প্রস্তুতি, এ বিষয়ে বলুন
চঞ্চল: আমি যখন কোনো চরিত্র পাই, তখন চরিত্রটাকে নিজের মাঝে ধারণ করার চেষ্টা করি। যদিও নাটকে সময়টা বেশি পাওয়া যায় না, তবু চেষ্টা করি চরিত্রটা নিয়ে একধরনের হোমওয়ার্ক করতে। এর জন্য আমাকে সবচেয়ে বেশি হেল্প করে চারুকলার শিক্ষাটা। কারণ একটা চরিত্র পাওয়ার পর কল্পনায় ইমেজটা আঁকতে পারি। যদি লেখাটা ঠিকঠাক থাকে, চরিত্র তো আসলে চোখের সামনে ভাসে। পড়তে পড়তেই বোঝা যায় চরিত্রটা এভাবে হাঁটছে, ওভাবে কথা বলছে। ওইটা আমি ফিল করার চেষ্টা করি। সেভাবেই আমার একটা প্রস্তুতি হয়ে যায়।

আজকের পত্রিকা: মেকআপ–গেটআপ কি আপনার অভিনয়কে ফুটিয়ে তুলতে সহযোগিতা করে?
চঞ্চল:
একটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে অভিনয়ের পাশাপাশি চরিত্রটির মেকআপ–গেটআপ অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্ট। সব মিলিয়েই একটা চরিত্র পূর্ণতা পায়। তবে মেকআপ–গেটআপ অবশ্যই আমার অভিনয়কে এক ধাপ এগিয়ে দেয়।

আজকের পত্রিকা: চরিত্র নিয়ে নতুন কোনো চমক আসছে নাকি?
চঞ্চল: দুটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। একটি গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘পাপপুণ্য’। আরেকটি মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। এ দুটি ছবির গেটআপ দেখেও মানুষ চমকে যাবে। আগে যা করেছি তা থেকে ভিন্ন। আমার মেকআপ–গেটআপ দেখে দারুণ এক ধাক্কা খাবে দর্শক।

চঞ্চল চৌধুরীআজকের পত্রিকা: চরিত্র তৈরির জন্য পূর্বপ্রস্তুতিটা কত দিন ধরে চলে?
চঞ্চল:
নাটকে তো অতটা সময় পাওয়া যায় না। তার পরও ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করি যতটা সময় নিয়ে চরিত্রটাকে নিজের মাঝে ধারণ করা যায়। এ ছাড়া আমি যতগুলো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি, ওসব ছবির শুটিং শুরুর আগে কমপক্ষে এক বছর করে সময় পেয়েছি। এই এক বছরে চরিত্র নিয়ে, ছবির গল্প নিয়ে, নানা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। ধীরে ধীরে চরিত্রটাকেও পুরোপুরি চিনতে শুরু করি। বুঝতে শুরু করি। এই যেমন ধরুন, সামনে মুক্তির অপেক্ষায় আছে আমার অভিনীত ‘হাওয়া’। এই ছবির শুটিং শুরুর প্রায় দেড় বছর আগে নির্মাতার সঙ্গে আমার আলোচনা শুরু হয়েছে। শুটিং শুরুর পর প্রায় দেড় বছর কেটে গেছে। প্রায় তিন বছর আমি এই কাজের সঙ্গে আছি।

আজকের পত্রিকা: নতুন কাজের খবর কী?
চঞ্চল:
করোনার কারণে তো এখন খুব বেশি কাজ করা হচ্ছে না। কিছু প্ল্যানিং চলছে। সেগুলো বলার মতো অবস্থায় নেই। তবে এসব কাজের মধ্যে ওয়েবের জন্যই বেশি। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের ওটিটি প্ল্যাটফর্মেরও কাজ আছে কিছু। কোভিডের কারণে কাজগুলো বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে সংখ্যা বিবেচনায় এখন টেলিভিশনের কাজ খুব বেশি করা হচ্ছে না। ওয়েবের কাজগুলোতে বেশি বাজেট থাকে, তাই যত্ন নিয়ে কাজটাও করা যায়। ভালো পরিচালক, ক্যামেরাম্যানসহ কাজটা হয়। তাড়াহুড়াটা কম থাকে। টেলিভিশনে চার–পাঁচ শ নাটক না বানিয়ে হয়তো সংখ্যাটা কমিয়ে মানটার দিকে নজর দিলে আরও ভালো কাজ সম্ভব।

আজকের পত্রিকা: এবার ঈদেও বেশ কিছু নাটকে আপনার অভিনয় দেখা গেছে। কোভিডের জন্য কাজ করতে সমস্যা হয়নি?
চঞ্চল:
সমস্যা তো কিছু হয়েছে। তবু ইন্ডাস্ট্রিকেও তো সচল রাখতে হবে। ঈদের সময় চ্যানেলের প্রোগ্রাম তো লাগবে। দুই ঈদে ইন্ডাস্ট্রিতে যে পরিমাণ কাজ হয়, তা থেকে পেছনের অনেক মানুষ সারা বছর চলে। এটা দর্শকের জন্য বিনোদন, কিন্তু আমাদের জন্য তো রুটিরুজি। প্রডাকশন বয় থেকে শুরু করে লাইটের ছেলে, ক্যামেরার ছেলে—এরা বাঁচবে কীভাবে? ঈদ করবে কীভাবে? এদের জীবনযাপনের জন্য তো কাজ দরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতনভাবেই কাজগুলো করেছি।

আজকের পত্রিকা: লকডাউনের সময়টা কীভাবে কাটছে?
চঞ্চল:
বাসায় খাইদাই ঘুমাই। অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। রাত জেগে সিনেমা দেখি। এইতো চলছে জীবন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তিন বছর পর বিচ্ছেদের খবর দিলেন বিন্দু

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত
বিন্দু। ছবি: সংগৃহীত

২০১৪ সালে ব্যবসায়ী আসিফ সালাহউদ্দিন মালিককে বিয়ে করেন অভিনেত্রী আফসান আরা বিন্দু। বিয়ের পর শোবিজ থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। অভিনয় ছেড়ে হয়ে ওঠেন সংসারী। বিয়ের চার বছর পর গুঞ্জন রটে, সংসার ভেঙেছে বিন্দুর। তবে বিচ্ছেদ নিয়ে তখন কোনো কথা বলেননি বিন্দু কিংবা তাঁর স্বামী। অবশেষে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিন্দু জানান, ২০২২ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর।

২০২২ সালে বিচ্ছেদ হলেও ২০১৭ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে সেপারেশনে ছিলেন বিন্দু। পাঁচ বছর পর তাঁরা চূড়ান্তভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। বিন্দু বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, আমি এখনো বিবাহিত। কিন্তু না, আমার বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। আমার সংসারের জার্নিটা অনেক ছোট ছিল।’

বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে বিন্দু বলেন, ‘আলাদা হওয়ার জন্য অনেক সময় বড় কারণ থাকে, বড় ঘটনা ঘটে। অনেক সময় আবার তেমন কোনো কারণও দরকার হয় না। আমার এই জার্নিতে আরও একজন মানুষ জড়িত। তারও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দিয়ে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চাই না।’

২০০৬ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু হয় বিন্দুর। অল্প দিনেই হয়ে ওঠেন মিডিয়ার নিয়মিত মুখ। অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার আগে ২০১৪ সালের শুধু কোরবানির ঈদেই প্রচারিত হয় তাঁর অভিনীত ৫২টি নাটক। ছোট পর্দার পাশাপাশি বিন্দু অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আরিফিন শুভর সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় তাঁদের জুটি অনেক জনপ্রিয় ছিল। অনস্ক্রিন কেমেস্ট্রির প্রভাব পড়েছিল দুজনের বাস্তব জীবনেও। একসময় শুভর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান বিন্দু। সেই প্রেমের কথা স্বীকারও করেছেন অভিনেত্রী। কেন তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল? বিন্দুর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘এর উত্তর আমার কাছে নেই। দুটি মানুষের জার্নি যে একসঙ্গে একই গন্তব্যে শেষ হবে, এমন তো কোনো কথা নেই।’

প্রায় এক দশকের বিরতি কাটিয়ে ২০২৩ সালে ‘উনিশ ২০’ ওয়েব ফিল্ম দিয়ে অভিনয়ে ফেরেন বিন্দু। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে বিন্দুর বিপরীতে ছিলেন সেই আরিফিন শুভই। তবে এরপর আর কোনো কাজে দেখা যায়নি বিন্দুকে। তবে তিনি নিয়মিত অভিনয় করতে চান। বিন্দু বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত। এখন আমাকে নিয়ে কাজ করার চিন্তা, আমার পেছনে ইনভেস্ট করার বিষয়গুলো ভাবতে হবে। এমন ধরনের কাজ করতে চাই, যেগুলো এখনো করিনি। আমি চাই, নির্মাতারা আমাকে নিয়ে এমনভাবে ভাবুক, যেমনটা আগে ভাবা হয়নি।’

অভিনয় ছেড়ে দিয়ে বছর পাঁচেক আগে ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়েছেন বিন্দু। গুলশানে রয়েছে তাঁর একটি বুটিক হাউস। ‘আফসান বিন্দু ডিজাইনার স্টুডিও’ নামের এ ব্র্যান্ডের পোশাক বিন্দু নিজেই ডিজাইন করেন। ২০২০ সালে যখন প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন বিন্দু, তখন তাঁর কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র একজন। তবে এখন তাঁর সঙ্গে ১৫ জন কাজ করেন বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘ইত্যাদি’র নতুন পর্ব এবার চুয়াডাঙ্গায়

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য
ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্য

নব্বইয়ের দশক থেকে স্টুডিওর চারদেয়ালের বাইরে বেরিয়ে শিকড়ের সন্ধানে দেশের নানা প্রান্তে শুটিং করা হচ্ছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির। তারই ধারাবাহিকতায় ইত্যাদির নতুন পর্ব ধারণ করা হয়েছে ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ প্রাচীন জনপদ চুয়াডাঙ্গায়।

এবারের ইত্যাদির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে তৈরি শতাধিক বছরের প্রাচীন হাজারদুয়ারি নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী স্কুল নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। এবারের পর্বে গান রয়েছে দুটি। একটি গান গেয়েছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি ও পান্থ কানাই। গানটির কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চুয়াডাঙ্গার কৃষ্টিকথা ও ইতিহাসগাথা নিয়ে রয়েছে শাহ আলম সনির কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে নৃত্য। গানটির সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী। পরিবেশন করেছেন স্থানীয় নৃত্যশিল্পীরা। এ ছাড়া ইত্যাদির নতুন পর্বে থাকছে চুয়াডাঙ্গা নিয়ে কয়েকটি প্রতিবেদন। রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান-স্থাপনার ওপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।

ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন চিঠিপত্র পর্বে উঠে এসেছে চুয়াডাঙ্গার একজন ব্যতিক্রমী ছড়াকারের গল্প। আরও রয়েছে সামাজিক অসংগতি ও সমসাময়িক প্রসঙ্গনির্ভর নাটিকা। দানের নামে ফটোসেশন, সংসারের ভারে স্বপ্নভঙ্গ, মিষ্টি নিয়ে অনাসৃষ্টি, ইংরেজির দাপটে অসহায় বাংলা ভাষা, বোঝা না বোঝার বোঝা, স্টাইলিশ আইকনের বিপত্তি, লোম বাছতে কম্বল উজাড়সহ কয়েকটি নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন সোলায়মান খোকা, সুভাশিষ ভৌমিক, আবদুল্লাহ রানা, আমিন আজাদ, কাজী আসাদ, মুকিত জাকারিয়া, আনোয়ার শাহী, শাহেদ আলী, জামিল হোসেন, আনন্দ খালেদ, তারিক স্বপন, আবু হেনা রনি প্রমুখ।

ইত্যাদির এই পর্ব দেখা যাবে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। ইত্যাদি রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের চার দিনে সাত প্রদর্শনী

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য
‘মহাশূন্যে সাইকেল’ নাটকের দৃশ্য

গত বছর ডিসেম্বরে মঞ্চে এসেছিল অনুস্বর নাট্যদলের নাটক ‘মহাশূন্যে সাইকেল’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে পাঁচ দিনে নাটকটির আটটি প্রদর্শনী হয়েছিল। বছর ঘুরে আবারও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে অনুস্বর। ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর টানা চার দিন দেখা যাবে নাটকের সাতটি প্রদর্শনী।

কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের লেখা একই শিরোনামের গল্প অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন লেখক নিজে। নির্দেশনায় সাইফ সুমন। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেখা যাবে মহাশূন্যে সাইকেল। ২৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর প্রতিদিন বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মঞ্চস্থ হবে আরও ছয়টি প্রদর্শনী।

নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা কিছু কথা অনেকের সঙ্গে বলি, কিছু কথা নির্দিষ্ট মানুষের সঙ্গে বলি আর কিছু কথা শুধু নিজের সঙ্গে বলি। যেকোনো ক্রান্তির সময় নিজের সঙ্গে এই বোঝাপড়ার মাত্রা এবং ব্যাপ্তি সম্ভবত বেড়ে যায়। মহাশূন্যে সাইকেলের মূল ভাবনাটা এ রকম। গত বছর এই গল্পের নাট্যরূপ দিই। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুই ভাগ করে তার এই দুই সত্তার সঙ্গে মঞ্চে কথোপকথন করছে। দর্শক হিসেবে একজন ব্যক্তির এই একান্ত বিভক্ত সত্তার ভেতরে এই কথোপকথন দেখার ভেতরে একটা গোপন কৌতূহল হয়তো আছে। কিংবা নিজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়ার আনন্দ আছে।’

নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, ‘ভোগবাদিতা আর ব্যক্তিস্বার্থের কারণে মানুষ এখন প্রতিনিয়তই পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। পরিবার, বন্ধু, সমাজ থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হচ্ছি আমরা। কখনো কখনো মানুষের মধ্যে বাস্তবের চেয়ে কল্পনা বা অলৌকিক জগৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। পরিবারের সঙ্গে থেকেও একা অনুভব করে। সেই কথাই বলার চেষ্টা হয়েছে নাটকে।’

মহাশূন্যে সাইকেল নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোহাম্মদ বারী, এস আর সম্পদ, প্রশান্ত হালদার, নুরুজ্জামান সরকার, রীমা প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন লুকে চমকে দিলেন কিয়ারা আদভানি

বিনোদন ডেস্ক
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত
কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

‘কেজিএফ’ সিনেমার দুই পর্বের ব্যাপক সাফল্যের পর কন্নড় সুপারস্টার ইয়াশ যুক্ত হয়েছেন মালয়ালম নির্মাতা গিতু মোহনদাসের সিনেমায়। ‘টক্সিক: আ ফেয়ারিটেল ফর গ্রোনআপস’ নামের কন্নড় ভাষার এ সিনেমায় প্রথমবারের মতো ইয়াশের নায়িকা হয়েছেন কিয়ারা আদভানি। টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রের নাম নাদিয়া। গতকাল প্রকাশ করা হয়েছে এ সিনেমায় কিয়ারার চরিত্রের লুক।

শোবিজে কিয়ারার এক যুগ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে ‘ফুগলি’ দিয়ে যাত্রা শুরুর পর এ পর্যন্ত ২০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন। প্রতিটিতেই দেখা দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় চরিত্রে। তবে টক্সিকে কিয়ারার চরিত্রটি যে একেবারেই আলাদা হতে চলেছে, সে আভাস পাওয়া গেল সদ্য মুক্তি পাওয়া ফার্স্ট লুক পোস্টারে। এতে তাঁকে দেখা যাবে একজন সার্কাসশিল্পী হিসেবে।

ফার্স্ট লুক পোস্টারে আলো ঝলমলে সার্কাসের সেটে অফ-শোল্ডার ভেলভেট গাউন পরে দাঁড়িয়ে আছে কিয়ারা অভিনীত নাদিয়া চরিত্রটি। চোখে-মুখে বিষণ্নতা, ক্লান্তির ছাপ। সার্কাসের মঞ্চে জাঁকজমক আবহে নৃত্যরত যে শিল্পীকে দেখা যায় দর্শকের সামনে, তার মনের ভেতরে অনেক সময় চলে দুঃখের দোলাচল। ভেতরে জমাট কষ্ট নিয়েই হাসিমুখে দর্শকের সামনে পারফর্ম করে তারা। টক্সিকের পোস্টারে তেমনটাই ধরা পড়েছে। এমনই এক জটিল চরিত্র নিয়ে দর্শকের সামনে আসবেন কিয়ারা।

ভিএন প্রোডাকশন এবং মনস্টার মাইন্ড ক্রিয়েশনসের ব্যানারে নির্মিত বিগ-বাজেট সিনেমা টক্সিক মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ১৯ মার্চ। দক্ষিণি মেগাস্টার যশ ও কিয়ারার এই নতুন রসায়ন বড় পর্দায় দেখার জন্য এখন থেকেই অপেক্ষায় অনুরাগীরা। এতে আরও অভিনয় করেছেন নয়নতারা, তারা সুতারিয়া, হুমা কুরেশি, অক্ষয় ওবেরয় প্রমুখ।

ইংরেজি ও কন্নড়—দুই ভাষাতেই টক্সিক সিনেমার শুটিং করা হয়েছে। পাশাপাশি হিন্দি, তেলুগু, তামিল, মালয়ালমসহ বিভিন্ন ভাষায় ডাব করা হবে। এতে কিয়ারার পারফরম্যান্স নিয়ে নির্মাতা গিতু মোহনদাস বলেন, ‘কিছু পারফরম্যান্স শুধু পর্দায় নয়, প্রভাব ফেলে শিল্পীর জীবনেও। টক্সিক সিনেমায় কিয়ারা যা করেছে, তার কোনো তুলনা হয় না। সিনেমাটি নিয়ে আমাদের প্রথম আলাপের মুহূর্ত থেকেই তিনি চরিত্রটির প্রতি নিজেকে সম্পূর্ণ সমর্পণ করেছেন। তিনি শুধু নাদিয়া চরিত্রে অভিনয় করেননি, নিজেও চরিত্রটির মতো করেই যাপন করেছেন।’

প্রসঙ্গত, বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সংসারে নতুন সদস্য এসেছে গত ১৫ জুলাই। এখন সন্তানকে নিয়েই পুরো সময়টা কাটছে অভিনেত্রীর। আর একটু একটু করে নিচ্ছেন আবার শোবিজে ফেরার প্রস্তুতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত