খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

গল্প ততক্ষণে হাফটাইম পেরিয়ে এগোচ্ছে শেষের দিকে। একটি জেল অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আজাদ (শাহরুখ খান)। তাঁকে ধরতে ছুটছে গোটা দেশের প্রশাসন। লাইভ ভিডিওতে এলেন আজাদরূপী শাহরুখ। আঙুল উঁচিয়ে দর্শকের চোখে চোখ রেখে বলে গেলেন, ‘দোকানে চাল–ডাল কিনতে গেলে কত দরদাম করেন! যে মশার কয়েল পাঁচ ঘণ্টা জ্বলে, সেটা কেনার সময়ও কত প্রশ্ন! অথচ পাঁচ বছরের জন্য কাউকে নির্বাচিত করার আগে কিছুই জানতে চান না। ভোট দেওয়ার আগে তাঁদের প্রশ্ন করুন, আমার জন্য কী করবেন? আমার সন্তানের শিক্ষার জন্য কী করবেন? আমি অসুস্থ হলে আমার পরিবারের জন্য কী করবেন?’
জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর। সেই নিগৃহীত, বঞ্চিত, খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁরা নিজেদের শ্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত সচল রাখছেন দেশের অর্থনীতির চাকা, অথচ ক্ষমতার কাছে তাঁরা কেবলই ভোটার, কেবলই সংখ্যা; শাহরুখ তাঁদের মনে করিয়ে দিলেন—দেশের পট পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে তাঁদের হাতেই। তাঁদের একটি আঙুলের ছাপই সেই দিনবদলের হাতিয়ার। অতএব, ইভিএম কিংবা ব্যালটে আঙুল রাখার আগে প্রশ্ন তুলুন। যোগ্য ব্যক্তিকে বসান ক্ষমতায়, যারা সত্যিই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবে। এমন অনেক প্রসঙ্গ, যা সাধারণত এ উপমহাদেশে বাণিজ্যিক সিনেমার বিষয় হয়ে ওঠে না, সেগুলোই জওয়ানের মূল ভিত্তি।
টুকরো টুকরো অনেক গল্প অথবা প্রশ্ন দেশপ্রেমের সুতোয় গেঁথে জওয়ান নামে একটি মালা গেঁথেছেন পরিচালক অ্যাটলি কুমার। আগে থেকে তিনি নিশ্চয় জানতেন, সাধারণ মানুষ যেসব বৈষম্য ও অবহেলার অভিশাপে দিনের পর দিন ধুঁকছে; সে সবের প্রতিবাদ একজনই করতে পারেন। একজনের কণ্ঠই পারে আপামর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে, তিনি শাহরুখ খান। হলোও তাই। গণতন্ত্রের আওয়াজ কতটা শক্তিশালী, নির্বিকার জনতাকে তাঁদের ভাষাতেই বুঝিয়ে দিলেন শাহরুখ। জওয়ানের প্রত্যেক মোচড়ে তাই তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি তুললেন দর্শক। আবেগে কাঁদলেন। প্রেমে ভাসলেন।
শাহরুখের ‘পাঠান’ থেকে ‘জওয়ান’—প্রায় ৮ মাসের ব্যবধান। দুটি সিনেমার গল্প গজিয়েছে, ডালপালা মেলেছে একই বীজ থেকে—দেশপ্রেম। তবে এই ৮ মাসে দেশপ্রেমের প্রশ্নে আরও অকপট, আরও ধারালো হয়েছেন শাহরুখ। সাধারণত বলিউডের এসব দেশপ্রেমের সিনেমায় নায়কের লড়াই হয় বিদেশি অপশক্তির বিরুদ্ধে। তবে জওয়ানে রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ভিলেন। যেভাবে পরিচালিত হয় রাষ্ট্রযন্ত্র, সেই সর্ষের ভেতরেই খোঁজা হয়েছে অন্যায় ও দুর্নীতির ভূত।
গল্পের শুরুতেই আনা হয়েছে কৃষকদের প্রসঙ্গ। শাহরুখ পরিসংখ্যান টেনে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতে প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেন ব্যাংকঋণ শোধ করতে না পেরে। সামান্য ঋণ শোধ দিতে না পারলে যে ব্যাংক অত্যাচার চালায় কৃষকদের ওপরে, সেই একই ব্যাংক থেকে ৪০ হাজার কোটি রুপি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় প্রভাবশালীরা। অথচ রাষ্ট্র সেখানে স্পিকটি নট। শাহরুখ কথা বললেন ভারতের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার পরিস্থিতি নিয়ে, ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি, প্রতিরক্ষা খাতে আর্থিক অসংগতি নিয়ে। নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গও বুনে দেওয়া হয়েছে চিত্রনাট্যে। আজাদের নেতৃত্বে লড়াই করে এক নারীবাহিনি। তাঁদের দেখে মনে পড়ে যেতে পারে ‘মানি হাইস্ট’-এর প্রফেসর আর তার গ্যাংকে।
জওয়ানের পুরো গল্পে দুই চরিত্রে (আজাদ ও বিক্রম রাঠোর) একাই সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর সামনে প্রধান ভিলেন অস্ত্র ব্যবসায়ী কালি (বিজয়) তেমন জায়গা পায়নি। নর্মদার (নয়নতারা) সঙ্গে আজাদের এবং ঐশ্বরিয়ার (দীপিকা) সঙ্গে বিক্রম রাঠোরের রসায়নও অতটা দানা বাঁধেনি। তাঁদের তুলনায় অল্প জায়গা পেয়েও শেষে এসে চমকে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
তবে নর্মদাকে চাইলে আলাদা করে ভারতের আরেক ঘটনার প্রতিভূ ভাবা যেতেই পারে। তিনি স্পেশাল ফোর্সের চিফ। একজন একা মা। শাহরুখের সাহায্যে বারবার ছুটে আসেন। একসময় শাহরুখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে শাহরুখের পরিচয় জানতে পারেন পরে। এরপর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের স্বার্থে শাহরুখের পিছু নেন। কিন্তু সব জানার পর নিজেই ভিড়ে যান তাঁদের দলে। নর্মদা একই সঙ্গে অত্যন্ত কঠোর এবং কোমল হৃদয়ের নারী। নষ্ট ব্যবস্থার ভেতরে এক সৎ ও সাহসী নারী। হতে পারে সরকারের ‘ভুল পরিকল্পনার’ বলির কাষ্ঠে মাথা পাততে বাধ্য হওয়া নীরবে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী নর্মদার প্রতিভূ। এই নর্মদাদের বাঁচাতে আরেক ‘নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন’–এর ডাক দিয়ে গেল জওয়ান!
তবে কিছু চরিত্রের নানা খামতি অতটা চোখে পড়ে না চিত্রনাট্যের আঁটসাঁট বুননের গুণে। বরং পুরোটা সময় চোখ লেগে থাকবে দুই চরিত্রের শাহরুখের দিকে, যিনি ডার্ক নাইটের ব্যাটম্যানের মতো আবির্ভূত হয়েছেন ধ্বংসপ্রায় গোথাম শহরকে উদ্ধার করতে।
এক নজরে জওয়ান
অভিনয়: শাহরুখ খান, নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি প্রমুখ।
পরিচালনা: অ্যাটলি কুমার
মুক্তি: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
প্রথম চার দিনে বিশ্বব্যাপী আয়: ৫০০ কোটি রুপির বেশি

গল্প ততক্ষণে হাফটাইম পেরিয়ে এগোচ্ছে শেষের দিকে। একটি জেল অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আজাদ (শাহরুখ খান)। তাঁকে ধরতে ছুটছে গোটা দেশের প্রশাসন। লাইভ ভিডিওতে এলেন আজাদরূপী শাহরুখ। আঙুল উঁচিয়ে দর্শকের চোখে চোখ রেখে বলে গেলেন, ‘দোকানে চাল–ডাল কিনতে গেলে কত দরদাম করেন! যে মশার কয়েল পাঁচ ঘণ্টা জ্বলে, সেটা কেনার সময়ও কত প্রশ্ন! অথচ পাঁচ বছরের জন্য কাউকে নির্বাচিত করার আগে কিছুই জানতে চান না। ভোট দেওয়ার আগে তাঁদের প্রশ্ন করুন, আমার জন্য কী করবেন? আমার সন্তানের শিক্ষার জন্য কী করবেন? আমি অসুস্থ হলে আমার পরিবারের জন্য কী করবেন?’
জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর। সেই নিগৃহীত, বঞ্চিত, খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁরা নিজেদের শ্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত সচল রাখছেন দেশের অর্থনীতির চাকা, অথচ ক্ষমতার কাছে তাঁরা কেবলই ভোটার, কেবলই সংখ্যা; শাহরুখ তাঁদের মনে করিয়ে দিলেন—দেশের পট পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে তাঁদের হাতেই। তাঁদের একটি আঙুলের ছাপই সেই দিনবদলের হাতিয়ার। অতএব, ইভিএম কিংবা ব্যালটে আঙুল রাখার আগে প্রশ্ন তুলুন। যোগ্য ব্যক্তিকে বসান ক্ষমতায়, যারা সত্যিই সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবে। এমন অনেক প্রসঙ্গ, যা সাধারণত এ উপমহাদেশে বাণিজ্যিক সিনেমার বিষয় হয়ে ওঠে না, সেগুলোই জওয়ানের মূল ভিত্তি।
টুকরো টুকরো অনেক গল্প অথবা প্রশ্ন দেশপ্রেমের সুতোয় গেঁথে জওয়ান নামে একটি মালা গেঁথেছেন পরিচালক অ্যাটলি কুমার। আগে থেকে তিনি নিশ্চয় জানতেন, সাধারণ মানুষ যেসব বৈষম্য ও অবহেলার অভিশাপে দিনের পর দিন ধুঁকছে; সে সবের প্রতিবাদ একজনই করতে পারেন। একজনের কণ্ঠই পারে আপামর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে, তিনি শাহরুখ খান। হলোও তাই। গণতন্ত্রের আওয়াজ কতটা শক্তিশালী, নির্বিকার জনতাকে তাঁদের ভাষাতেই বুঝিয়ে দিলেন শাহরুখ। জওয়ানের প্রত্যেক মোচড়ে তাই তুমুল করতালি আর হর্ষধ্বনি তুললেন দর্শক। আবেগে কাঁদলেন। প্রেমে ভাসলেন।
শাহরুখের ‘পাঠান’ থেকে ‘জওয়ান’—প্রায় ৮ মাসের ব্যবধান। দুটি সিনেমার গল্প গজিয়েছে, ডালপালা মেলেছে একই বীজ থেকে—দেশপ্রেম। তবে এই ৮ মাসে দেশপ্রেমের প্রশ্নে আরও অকপট, আরও ধারালো হয়েছেন শাহরুখ। সাধারণত বলিউডের এসব দেশপ্রেমের সিনেমায় নায়কের লড়াই হয় বিদেশি অপশক্তির বিরুদ্ধে। তবে জওয়ানে রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ভিলেন। যেভাবে পরিচালিত হয় রাষ্ট্রযন্ত্র, সেই সর্ষের ভেতরেই খোঁজা হয়েছে অন্যায় ও দুর্নীতির ভূত।
গল্পের শুরুতেই আনা হয়েছে কৃষকদের প্রসঙ্গ। শাহরুখ পরিসংখ্যান টেনে দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতে প্রতি বছর ১০ হাজারের বেশি কৃষক আত্মহত্যা করেন ব্যাংকঋণ শোধ করতে না পেরে। সামান্য ঋণ শোধ দিতে না পারলে যে ব্যাংক অত্যাচার চালায় কৃষকদের ওপরে, সেই একই ব্যাংক থেকে ৪০ হাজার কোটি রুপি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় প্রভাবশালীরা। অথচ রাষ্ট্র সেখানে স্পিকটি নট। শাহরুখ কথা বললেন ভারতের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার পরিস্থিতি নিয়ে, ভোপাল গ্যাস ট্র্যাজেডি, প্রতিরক্ষা খাতে আর্থিক অসংগতি নিয়ে। নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গও বুনে দেওয়া হয়েছে চিত্রনাট্যে। আজাদের নেতৃত্বে লড়াই করে এক নারীবাহিনি। তাঁদের দেখে মনে পড়ে যেতে পারে ‘মানি হাইস্ট’-এর প্রফেসর আর তার গ্যাংকে।
জওয়ানের পুরো গল্পে দুই চরিত্রে (আজাদ ও বিক্রম রাঠোর) একাই সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন শাহরুখ। তাঁর সামনে প্রধান ভিলেন অস্ত্র ব্যবসায়ী কালি (বিজয়) তেমন জায়গা পায়নি। নর্মদার (নয়নতারা) সঙ্গে আজাদের এবং ঐশ্বরিয়ার (দীপিকা) সঙ্গে বিক্রম রাঠোরের রসায়নও অতটা দানা বাঁধেনি। তাঁদের তুলনায় অল্প জায়গা পেয়েও শেষে এসে চমকে দিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
তবে নর্মদাকে চাইলে আলাদা করে ভারতের আরেক ঘটনার প্রতিভূ ভাবা যেতেই পারে। তিনি স্পেশাল ফোর্সের চিফ। একজন একা মা। শাহরুখের সাহায্যে বারবার ছুটে আসেন। একসময় শাহরুখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তবে শাহরুখের পরিচয় জানতে পারেন পরে। এরপর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের স্বার্থে শাহরুখের পিছু নেন। কিন্তু সব জানার পর নিজেই ভিড়ে যান তাঁদের দলে। নর্মদা একই সঙ্গে অত্যন্ত কঠোর এবং কোমল হৃদয়ের নারী। নষ্ট ব্যবস্থার ভেতরে এক সৎ ও সাহসী নারী। হতে পারে সরকারের ‘ভুল পরিকল্পনার’ বলির কাষ্ঠে মাথা পাততে বাধ্য হওয়া নীরবে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী নর্মদার প্রতিভূ। এই নর্মদাদের বাঁচাতে আরেক ‘নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন’–এর ডাক দিয়ে গেল জওয়ান!
তবে কিছু চরিত্রের নানা খামতি অতটা চোখে পড়ে না চিত্রনাট্যের আঁটসাঁট বুননের গুণে। বরং পুরোটা সময় চোখ লেগে থাকবে দুই চরিত্রের শাহরুখের দিকে, যিনি ডার্ক নাইটের ব্যাটম্যানের মতো আবির্ভূত হয়েছেন ধ্বংসপ্রায় গোথাম শহরকে উদ্ধার করতে।
এক নজরে জওয়ান
অভিনয়: শাহরুখ খান, নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি প্রমুখ।
পরিচালনা: অ্যাটলি কুমার
মুক্তি: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
প্রথম চার দিনে বিশ্বব্যাপী আয়: ৫০০ কোটি রুপির বেশি

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৬ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

জওয়ানের গল্প এখানে এসে অন্য বাঁক নেয়। একটা পুরোদস্তুর মসলাদার বাণিজ্যিক সিনেমা এখানে এসে হয়ে ওঠে প্রচণ্ড রাজনৈতিক। ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ডোন্ট আন্ডারএস্টিমেট দ্য পাওয়ার অব কমনম্যান’। জওয়ানেও তিনি ভরসা রাখলেন সেই ‘কমনম্যান’দের ওপর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে