
পারমাণবিক বোমার জনক ‘ওপেনহাইমার’কে নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের বানানো সিনেমা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই থ্রিলার ব্যক্তি ওপেনহাইমার সম্পর্কে জানার আগ্রহে নতুন জোয়ার এনেছে। শ্রীমৎভগবদ্গীতা কীভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি নিয়েও আলাপ হচ্ছে বেশ।
ওপেনহাইমার প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন এবং ভগবদ্গীতা তাঁর পছন্দের বই ছিল। ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে নিউ মেক্সিকো মরুভূমিতে প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের দুই দিন আগে রবার্ট ওপেনহাইমার ভগবদ্গীতার একটি স্তবক পাঠ করেছিলেন।
ওপেনহাইমার একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলেতে শিক্ষকতা করার সময় প্রাচীন ভারতীয় ভাষা সংস্কৃত এবং পরে গীতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। দুই হাজার বছরের পুরোনো ভগবদ্গীতা মহাভারতের অংশ। হিন্দুধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্যগুলোর মধ্যে এটি একটি। এতে ৭০০ শ্লোকের বিশ্বের দীর্ঘতম কবিতা রয়েছে।
মেক্সিকো মরুভূমিতে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ওপেনহাইমার সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে অনূদিত যেই স্তবক পাঠ করেছিলেন তা ছিল:
‘‘যুদ্ধক্ষেত্র, বন আর সমস্ত পাহাড়ের চূড়ায়
সাগরের অন্ধকারে, তীরে ও বল্লমে
ঘুমের অতলে, বিভ্রান্তিতে, লজ্জার গভীরে
সব মহান কাজের আগে মানুষ করেছে নিজেকে রক্ষা।’
কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরউইন ২০০৫ সালে প্রকাশিত ওপেনহাইমারের জীবনী নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। ‘আমেরিকান প্রমিথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে রবার্ট ওপেনহাইমার’ নামের ওই বইতে তাঁরা লিখেছেন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় ২৫ বছর বয়সী তরুণ ওপেনহাইমার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক আর্থার ডব্লিউ রাইডারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়’ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন।
রাইডার একজন রিপাবলিকান ও প্রতিমা পূজার ঘোর বিরোধী ছিলেন। ওপেনহাইমার তাঁর প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। ওপেনহাইমার রাইডারকে একজন ‘অভিমানী বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে গণ্য করেছেন। একজন পণ্ডিত যিনি প্রকৃতপক্ষেই চিন্তাভাবনা করেছেন এবং একটি স্টয়িকের মতো কথা বলতেন। ওপেনহাইমারের বাবাও বলেছিলেন, ‘রাইডারের ব্যক্তিত্ব ছিল অসাধারণ। তাঁর চরিত্রে নিষ্ঠা ও কোমলতার মিশ্রণ ছিল।’
রবার্ট ওপেনহাইমার কে ছিলেন?
আত্মজীবনীমূলক এ চলচ্চিত্রে ওপেনহাইমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা সিলিয়ান মারফি। সিনেমায়ও রাইডারকে একজন বিরল ব্যক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে। যিনি জীবনকে দুঃখজনক অধ্যায় হিসেবে দেখতেন। যেখানে মানুষ পরিত্রাণ এবং অভিশাপের মধ্যে পার্থক্য করতেই আয়ু পার করে দেয়।
প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওপেনহাইমারকে সংস্কৃত পড়াতেন রাইডার। ওপেনহাইমার এ নিয়ে তার ভাই ফ্রাঙ্ককে চিঠিও লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সংস্কৃত শিখছি। বিষয়টি খুবই উপভোগ করছি।’
ওপেনহাইমারের জীবনীকারেরা উল্লেখ করেছেন, তার অনেক বন্ধু ভারতীয় ভাষার প্রতি তার নতুন আবেশ খুঁজে পেয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হ্যারল্ড এফ চেরনিস। যিনি বিজ্ঞানীকে পণ্ডিত রাইডারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ ওপেনহাইমারের অতীন্দ্রিয় এবং রহস্যময় জিনিসের প্রতি আগ্রহ ছিল।
সুতরাং সংস্কৃত এবং গীতা সম্পর্কে ওপেনহাইমারের জ্ঞান থাকার বিষয়টি স্পষ্টতই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু কিছু ডানপন্থী হিন্দু সিনেমায় ফ্লোরেন্স পুগের সঙ্গে ওপেনহাইমারের যৌন দৃশ্যকে নিজেদের ধর্মের ওপর আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলছেন। তাঁরা দৃশ্যটি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন।
কিন্তু ভারতের ফিল্ম সেন্সররা এতে কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি। বক্স অফিসে এটি ভারতে ও বছরের হলিউড হিট সিনেমা ও বার্বির চেয়ে বেশি আয় করেছে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ওপেনহাইমার একজন ব্যাপক পড়ুয়া ছিলেন। তিনি দর্শন, ফরাসি সাহিত্য, ইংরেজি, ইতিহাসের কোর্স নিয়েছিলেন এবং সংক্ষিপ্তভাবে স্থাপত্য অধ্যয়ন করার কথা বিবেচনা করেছিলেন। এমনকি তিনি একজন ক্লাসিস্ট, কবি বা চিত্রশিল্পী হওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছিলেন। তিনি দুঃখ এবং একাকিত্বের থিম নিয়ে কবিতা লিখেছেন এবং টি এস এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডের ‘বিক্ষিপ্ত অস্তিত্ববাদে’র সঙ্গে পরিচিত ছিলেন।
চেরনিস বলেন, যেহেতু প্রায় সবকিছুই তাঁর জন্য সহজ ছিল। তাই তিনি কঠিন জিনিস পছন্দ করতেন। সেগুলোই তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করত।
ওপেনহাইমার গ্রিক, ল্যাটিন, ফরাসি এবং জার্মান ভাষাও অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে ডাচ ভাষা শিখেছিলেন। এসব ভাষা শিক্ষা ভগবদ্গীতা পড়ার খুব বেশি আগের কথা নয়। তিনি এটিকে খুব সহজ এবং বেশ আশ্চর্যজনক মনে করতেন। বন্ধুদের বলেছিলেন যে এটি তাঁর জানা যেকোনো ভাষার চেয়ে সুন্দর দার্শনিক গানের বই। তাঁর বুকশেলফে রাইডারের উপহার দেওয়া গোলাপি মোড়কের একটি ভগবদ্গীতার কপিও ছিল। ওপেনহাইমার নিজেও তাঁর অনেক বন্ধুকে গীতার কপি উপহার দিয়েছিলেন।
জীবনীকাররা লিখেছেন, ওপেনহাইমার সংস্কৃত ভাষার প্রতি এতটাই মুগ্ধ ছিলেন যে ১৯৩৩ সালে যখন তাঁর পিতা তাঁকে একটি ক্রিসলার গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, তখন তিনি হিন্দু পুরাণে দৈত্য পাখি ঈশ্বরের নামানুসারে এর নাম দিয়েছিলেন ‘গরুড়’।
সেই বছরের বসন্তে ওপেনহাইমার তাঁর ভাইয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে লিখেছিলেন, কেন শৃঙ্খলা এবং কাজ সর্বদা তাঁর নীতি ছিল। এটি ইঙ্গিত করে যে তিনি প্রাচ্যের দর্শন দ্বারা মুগ্ধ হয়েছিলেন।
তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন, শৃঙ্খলার মাধ্যমেই আমরা প্রশান্তি অর্জন এবং অবতারের দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে পারি। শুধু শৃঙ্খলার মাধ্যমে ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার স্থূল বিভ্রান্তি ছেড়ে বিশ্বকে দেখা সম্ভব। এভাবেই পার্থিব জীবনের ভয়াবহতাকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
তাঁর জীবনীকাররা লিখেছেন, বিশের দশকের শেষের দিকে ওপেনহাইমার এক নির্জনতার সন্ধান করতেন। তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে ভৌত জগতের সঙ্গে জড়িত থাকতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি একটি বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিক জগতে হারাতে চাননি। তিনি ধর্ম খোঁজেননি। তিনি মূলত চেয়েছিলেন মনের শান্তি। সেই দর্শন গীতায় ছিল বলে বিশ্বাস করতেন।
কালিদাসের ‘মেঘদূত’ গীতিকবিতার প্রতি ওপেনহাইমারের মুগ্ধতা
তাঁর প্রিয় সংস্কৃত গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি ছিল কালিদাসের রচিত ‘মেঘদূত’ গীতিকবিতা। তিনি ভাই ফ্রাঙ্ককে লিখেছিলেন, আমি রাইডারের সঙ্গে মেঘদূত পড়েছি। আনন্দে, কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য এবং অভাবনীয়ভাবে মুগ্ধতার ছোঁয়া পেয়েছি।
ওপেনহাইমার কেন গীতা এবং এর কর্ম, নিয়তি এবং পার্থিব কর্তব্যের ধারণার দিকে এত উদ্যমী ছিলেন? এ নিয়ে তাঁর জীবনীকারদের মধ্য মতভেদ রয়েছে। ‘ইথিক্যাল কালচার সোসাইটি’র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে উল্লেখ করে জীবনীকারেরা বলেছেন, যৌবনে তাঁকে যা শেখানো হয়েছিল সেটির বিরুদ্ধাচরণের জন্যই তিনি গীতার নিয়তিবাদের ঝুঁকে পড়েছিলেন। ইথিক্যাল কালচার সোসাইটি ইহুদি ধর্মের অনন্য এক আমেরিকান শাখা, যা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কাজ করে।
নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ওপেনহাইমার একাই গীতার প্রশংসা করেননি। আমেরিকান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক হেনরি ডেভিড থোরো ভগবদ্গীতা অপূর্ব এবং বিশ্বদর্শনে মুগ্ধ ছিলেন। তিনি লিখেছেন, গীতার কাছে আমাদের আধুনিক বিশ্ব এবং এর সাহিত্য তুচ্ছ এবং তুচ্ছ বলে মনে হয়। জার্মান নাজি পার্টির সদস্য হেনরিক হিমলারও গীতার ভক্ত ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন প্রবল অনুসারী। ওপেনহাইমারের প্রিয় দুই কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস এবং টি এস এলিয়টও মহাভারত পড়েছিলেন।
প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার পর এর ভয়াবহতা দেখে কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়েন ওপেনহাইমার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমায় কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এরপর তিনি আবারও গীতায় ফিরে আসেন।
পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের পর ১৯৬৫ সালের একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি এনবিসিকে বলেন, ‘আমরা জানতাম পৃথিবী আগের মতো থাকবে না। বোমা বর্ষণের পর কিছু লোক হেসেছে, কিছু লোক কাঁদছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই নির্বাক হয়ে পড়েছিল।’
এনবিসিকে তিনি আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ শ্রীমৎভগবদ্গীতার লাইনটি মনে রেখেছি। বিষ্ণু [একজন প্রধান হিন্দু দেবতা] রাজকুমারকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে তাঁকে তাঁর কাজ করা উচিত। তাঁকে প্রভাবিত করার জন্য তাঁর বহু-সশস্ত্র রূপ ধারণ করে এবং বলে, ‘‘এখন আমি মৃত্যু, বিশ্বের ধ্বংসকারী হয়েছি।’’ আমি মনে করি আমরা সবাই এটা ভেবেছিলাম, কোনো না কোনো উপায়ে।’
এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে ওপেনহাইমারের এক বন্ধু বলেছেন, ওপেনহাইমারের মুখে এমন উদ্ধৃতি তাঁকে পুরোহিতের মতো শোনাচ্ছিল। তবুও রহস্যময় বিজ্ঞানী গ্রন্থটি দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
‘দ্য ক্রিশ্চিয়ান সেঞ্চুরির’ সম্পাদকেরা যখন বিজ্ঞানীকে একবার তাঁর পড়া বইগুলো শেয়ার করতে বলেছিলেন। বিশেষ করে যেগুলো তাঁর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সবচেয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তখন ফরাসি কবি শার্ল বোঁদলিয়ারের ‘লে ফ্লোঁরস দ্যু মাল’ কাব্যগ্রন্থের কথা তিনি সর্বাগ্রে বলেছিলেন। আর ভগবদ্গীতা পেয়েছিল দ্বিতীয় স্থান।

পারমাণবিক বোমার জনক ‘ওপেনহাইমার’কে নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের বানানো সিনেমা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই থ্রিলার ব্যক্তি ওপেনহাইমার সম্পর্কে জানার আগ্রহে নতুন জোয়ার এনেছে। শ্রীমৎভগবদ্গীতা কীভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি নিয়েও আলাপ হচ্ছে বেশ।
ওপেনহাইমার প্রাচীন সংস্কৃত ভাষা শিখেছিলেন এবং ভগবদ্গীতা তাঁর পছন্দের বই ছিল। ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে নিউ মেক্সিকো মরুভূমিতে প্রথম পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের দুই দিন আগে রবার্ট ওপেনহাইমার ভগবদ্গীতার একটি স্তবক পাঠ করেছিলেন।
ওপেনহাইমার একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলেতে শিক্ষকতা করার সময় প্রাচীন ভারতীয় ভাষা সংস্কৃত এবং পরে গীতার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। দুই হাজার বছরের পুরোনো ভগবদ্গীতা মহাভারতের অংশ। হিন্দুধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাকাব্যগুলোর মধ্যে এটি একটি। এতে ৭০০ শ্লোকের বিশ্বের দীর্ঘতম কবিতা রয়েছে।
মেক্সিকো মরুভূমিতে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা চালানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ওপেনহাইমার সংস্কৃত থেকে ইংরেজিতে অনূদিত যেই স্তবক পাঠ করেছিলেন তা ছিল:
‘‘যুদ্ধক্ষেত্র, বন আর সমস্ত পাহাড়ের চূড়ায়
সাগরের অন্ধকারে, তীরে ও বল্লমে
ঘুমের অতলে, বিভ্রান্তিতে, লজ্জার গভীরে
সব মহান কাজের আগে মানুষ করেছে নিজেকে রক্ষা।’
কাই বার্ড এবং মার্টিন জে শেরউইন ২০০৫ সালে প্রকাশিত ওপেনহাইমারের জীবনী নিয়ে একটি বই প্রকাশ করেন। ‘আমেরিকান প্রমিথিউস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অব জে রবার্ট ওপেনহাইমার’ নামের ওই বইতে তাঁরা লিখেছেন, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করার সময় ২৫ বছর বয়সী তরুণ ওপেনহাইমার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতের অধ্যাপক আর্থার ডব্লিউ রাইডারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। পরবর্তী কয়েক দশকের মধ্যে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়’ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন।
রাইডার একজন রিপাবলিকান ও প্রতিমা পূজার ঘোর বিরোধী ছিলেন। ওপেনহাইমার তাঁর প্রতি মুগ্ধ ছিলেন। ওপেনহাইমার রাইডারকে একজন ‘অভিমানী বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে গণ্য করেছেন। একজন পণ্ডিত যিনি প্রকৃতপক্ষেই চিন্তাভাবনা করেছেন এবং একটি স্টয়িকের মতো কথা বলতেন। ওপেনহাইমারের বাবাও বলেছিলেন, ‘রাইডারের ব্যক্তিত্ব ছিল অসাধারণ। তাঁর চরিত্রে নিষ্ঠা ও কোমলতার মিশ্রণ ছিল।’
রবার্ট ওপেনহাইমার কে ছিলেন?
আত্মজীবনীমূলক এ চলচ্চিত্রে ওপেনহাইমার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা সিলিয়ান মারফি। সিনেমায়ও রাইডারকে একজন বিরল ব্যক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে। যিনি জীবনকে দুঃখজনক অধ্যায় হিসেবে দেখতেন। যেখানে মানুষ পরিত্রাণ এবং অভিশাপের মধ্যে পার্থক্য করতেই আয়ু পার করে দেয়।
প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওপেনহাইমারকে সংস্কৃত পড়াতেন রাইডার। ওপেনহাইমার এ নিয়ে তার ভাই ফ্রাঙ্ককে চিঠিও লিখেছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সংস্কৃত শিখছি। বিষয়টি খুবই উপভোগ করছি।’
ওপেনহাইমারের জীবনীকারেরা উল্লেখ করেছেন, তার অনেক বন্ধু ভারতীয় ভাষার প্রতি তার নতুন আবেশ খুঁজে পেয়েছে। তাদের মধ্যে একজন হ্যারল্ড এফ চেরনিস। যিনি বিজ্ঞানীকে পণ্ডিত রাইডারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ ওপেনহাইমারের অতীন্দ্রিয় এবং রহস্যময় জিনিসের প্রতি আগ্রহ ছিল।
সুতরাং সংস্কৃত এবং গীতা সম্পর্কে ওপেনহাইমারের জ্ঞান থাকার বিষয়টি স্পষ্টতই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু কিছু ডানপন্থী হিন্দু সিনেমায় ফ্লোরেন্স পুগের সঙ্গে ওপেনহাইমারের যৌন দৃশ্যকে নিজেদের ধর্মের ওপর আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলছেন। তাঁরা দৃশ্যটি সিনেমা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও তুলেছেন।
কিন্তু ভারতের ফিল্ম সেন্সররা এতে কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি। বক্স অফিসে এটি ভারতে ও বছরের হলিউড হিট সিনেমা ও বার্বির চেয়ে বেশি আয় করেছে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ওপেনহাইমার একজন ব্যাপক পড়ুয়া ছিলেন। তিনি দর্শন, ফরাসি সাহিত্য, ইংরেজি, ইতিহাসের কোর্স নিয়েছিলেন এবং সংক্ষিপ্তভাবে স্থাপত্য অধ্যয়ন করার কথা বিবেচনা করেছিলেন। এমনকি তিনি একজন ক্লাসিস্ট, কবি বা চিত্রশিল্পী হওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছিলেন। তিনি দুঃখ এবং একাকিত্বের থিম নিয়ে কবিতা লিখেছেন এবং টি এস এলিয়টের দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ডের ‘বিক্ষিপ্ত অস্তিত্ববাদে’র সঙ্গে পরিচিত ছিলেন।
চেরনিস বলেন, যেহেতু প্রায় সবকিছুই তাঁর জন্য সহজ ছিল। তাই তিনি কঠিন জিনিস পছন্দ করতেন। সেগুলোই তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করত।
ওপেনহাইমার গ্রিক, ল্যাটিন, ফরাসি এবং জার্মান ভাষাও অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে ডাচ ভাষা শিখেছিলেন। এসব ভাষা শিক্ষা ভগবদ্গীতা পড়ার খুব বেশি আগের কথা নয়। তিনি এটিকে খুব সহজ এবং বেশ আশ্চর্যজনক মনে করতেন। বন্ধুদের বলেছিলেন যে এটি তাঁর জানা যেকোনো ভাষার চেয়ে সুন্দর দার্শনিক গানের বই। তাঁর বুকশেলফে রাইডারের উপহার দেওয়া গোলাপি মোড়কের একটি ভগবদ্গীতার কপিও ছিল। ওপেনহাইমার নিজেও তাঁর অনেক বন্ধুকে গীতার কপি উপহার দিয়েছিলেন।
জীবনীকাররা লিখেছেন, ওপেনহাইমার সংস্কৃত ভাষার প্রতি এতটাই মুগ্ধ ছিলেন যে ১৯৩৩ সালে যখন তাঁর পিতা তাঁকে একটি ক্রিসলার গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন, তখন তিনি হিন্দু পুরাণে দৈত্য পাখি ঈশ্বরের নামানুসারে এর নাম দিয়েছিলেন ‘গরুড়’।
সেই বছরের বসন্তে ওপেনহাইমার তাঁর ভাইয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে লিখেছিলেন, কেন শৃঙ্খলা এবং কাজ সর্বদা তাঁর নীতি ছিল। এটি ইঙ্গিত করে যে তিনি প্রাচ্যের দর্শন দ্বারা মুগ্ধ হয়েছিলেন।
তিনি ওই চিঠিতে লিখেছিলেন, শৃঙ্খলার মাধ্যমেই আমরা প্রশান্তি অর্জন এবং অবতারের দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি পেতে পারি। শুধু শৃঙ্খলার মাধ্যমে ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষার স্থূল বিভ্রান্তি ছেড়ে বিশ্বকে দেখা সম্ভব। এভাবেই পার্থিব জীবনের ভয়াবহতাকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
তাঁর জীবনীকাররা লিখেছেন, বিশের দশকের শেষের দিকে ওপেনহাইমার এক নির্জনতার সন্ধান করতেন। তিনি বিজ্ঞানী হিসেবে ভৌত জগতের সঙ্গে জড়িত থাকতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি একটি বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিক জগতে হারাতে চাননি। তিনি ধর্ম খোঁজেননি। তিনি মূলত চেয়েছিলেন মনের শান্তি। সেই দর্শন গীতায় ছিল বলে বিশ্বাস করতেন।
কালিদাসের ‘মেঘদূত’ গীতিকবিতার প্রতি ওপেনহাইমারের মুগ্ধতা
তাঁর প্রিয় সংস্কৃত গ্রন্থগুলোর মধ্যে একটি ছিল কালিদাসের রচিত ‘মেঘদূত’ গীতিকবিতা। তিনি ভাই ফ্রাঙ্ককে লিখেছিলেন, আমি রাইডারের সঙ্গে মেঘদূত পড়েছি। আনন্দে, কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য এবং অভাবনীয়ভাবে মুগ্ধতার ছোঁয়া পেয়েছি।
ওপেনহাইমার কেন গীতা এবং এর কর্ম, নিয়তি এবং পার্থিব কর্তব্যের ধারণার দিকে এত উদ্যমী ছিলেন? এ নিয়ে তাঁর জীবনীকারদের মধ্য মতভেদ রয়েছে। ‘ইথিক্যাল কালচার সোসাইটি’র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে উল্লেখ করে জীবনীকারেরা বলেছেন, যৌবনে তাঁকে যা শেখানো হয়েছিল সেটির বিরুদ্ধাচরণের জন্যই তিনি গীতার নিয়তিবাদের ঝুঁকে পড়েছিলেন। ইথিক্যাল কালচার সোসাইটি ইহুদি ধর্মের অনন্য এক আমেরিকান শাখা, যা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কাজ করে।
নিশ্চিতভাবে বলা যায়, ওপেনহাইমার একাই গীতার প্রশংসা করেননি। আমেরিকান প্রাকৃতিক বিজ্ঞানী ও দার্শনিক হেনরি ডেভিড থোরো ভগবদ্গীতা অপূর্ব এবং বিশ্বদর্শনে মুগ্ধ ছিলেন। তিনি লিখেছেন, গীতার কাছে আমাদের আধুনিক বিশ্ব এবং এর সাহিত্য তুচ্ছ এবং তুচ্ছ বলে মনে হয়। জার্মান নাজি পার্টির সদস্য হেনরিক হিমলারও গীতার ভক্ত ছিলেন। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন প্রবল অনুসারী। ওপেনহাইমারের প্রিয় দুই কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস এবং টি এস এলিয়টও মহাভারত পড়েছিলেন।
প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার পর এর ভয়াবহতা দেখে কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়েন ওপেনহাইমার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমায় কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এরপর তিনি আবারও গীতায় ফিরে আসেন।
পারমাণবিক বোমা আবিষ্কারের পর ১৯৬৫ সালের একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি এনবিসিকে বলেন, ‘আমরা জানতাম পৃথিবী আগের মতো থাকবে না। বোমা বর্ষণের পর কিছু লোক হেসেছে, কিছু লোক কাঁদছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই নির্বাক হয়ে পড়েছিল।’
এনবিসিকে তিনি আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ শ্রীমৎভগবদ্গীতার লাইনটি মনে রেখেছি। বিষ্ণু [একজন প্রধান হিন্দু দেবতা] রাজকুমারকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে তাঁকে তাঁর কাজ করা উচিত। তাঁকে প্রভাবিত করার জন্য তাঁর বহু-সশস্ত্র রূপ ধারণ করে এবং বলে, ‘‘এখন আমি মৃত্যু, বিশ্বের ধ্বংসকারী হয়েছি।’’ আমি মনে করি আমরা সবাই এটা ভেবেছিলাম, কোনো না কোনো উপায়ে।’
এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে ওপেনহাইমারের এক বন্ধু বলেছেন, ওপেনহাইমারের মুখে এমন উদ্ধৃতি তাঁকে পুরোহিতের মতো শোনাচ্ছিল। তবুও রহস্যময় বিজ্ঞানী গ্রন্থটি দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত ছিলেন।
‘দ্য ক্রিশ্চিয়ান সেঞ্চুরির’ সম্পাদকেরা যখন বিজ্ঞানীকে একবার তাঁর পড়া বইগুলো শেয়ার করতে বলেছিলেন। বিশেষ করে যেগুলো তাঁর দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সবচেয়ে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। তখন ফরাসি কবি শার্ল বোঁদলিয়ারের ‘লে ফ্লোঁরস দ্যু মাল’ কাব্যগ্রন্থের কথা তিনি সর্বাগ্রে বলেছিলেন। আর ভগবদ্গীতা পেয়েছিল দ্বিতীয় স্থান।

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। বহিরাগত ব্যক্তিদের হামলা ও ইটবৃষ্টির মুখে কনসার্টটি বাতিল ঘোষণা করেন আয়োজকেরা। শেষ পর্যন্ত গান না গেয়েই ফরিদপুর ছাড়েন জেমস। কনসার্ট বাতিল হওয়ার ঘটনাকে আয়োজকদের ব্যর্থতা দাবি করে জেমস বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা।’
জেমসের ম্যানেজার ও মুখপাত্র রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আয়োজকেরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। অনুষ্ঠানস্থলের ভেতর থেকে অনেক বেশি মানুষ ছিল বাইরে। এভাবে তো অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়। আমরা সন্ধ্যার সময়ই ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরুর পর জানতে পারি বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। রাত ১০টার দিকে আমাদের জানানো হয়, বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠান। এরপর ঢাকায় চলে আসেন জেমস।’
জানা যায়, স্কুলের পুনর্মিলনী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার থেকেই সাজ সাজ রব ছিল ফরিদপুর শহরে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পর্বের সময় জিলা স্কুলের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেওয়া কয়েক হাজার মানুষ ভেতরে প্রবেশের জন্য প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। একদল যুবক সীমানাপ্রাচীর টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে স্বেচ্ছাসেবকেরা বাধা দেন। এর পরপরই মুজিব সড়ক ও স্কুলের চারপাশ থেকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে শিক্ষার্থী ও আয়োজকসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়ে, বিশৃঙ্খলার কবলে পড়েছেন জেমস। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন—এমন কথাও ছড়িয়ে পড়ে। তবে রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন বলেন, ‘এমন কথা সত্যি নয়। সন্ধ্যায় ফরিদপুর পৌঁছালেও অনুষ্ঠানস্থলে যাননি জেমস। ছিলেন একটি গেস্ট হাউসে। সেখানেই তিনি খবর পান বিশৃঙ্খলার। পরে শো বাতিল করলে আমরা ভেন্যুতে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসি।’
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলের ভেতরের ধারণক্ষমতার চেয়ে বাইরে অন্তত ১০ গুণ মানুষ জমায়েত হয়েছিল। জিলা স্কুল প্রাঙ্গণে এত বিশাল জনসমুদ্র সামলানো অসম্ভব ছিল। বহিরাগতদের বাধা দিতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।’
পুনর্মিলনী উদ্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান শামীম বলেন, ‘নিরাপত্তার খাতিরেই আমরা অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছি। আমাদের অনেক ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও প্রবীণ সদস্য আহত হয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’

পারমাণবিক বোমার জনক ‘ওপেনহাইমার’কে নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের বানানো সিনেমা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই থ্রিলার ব্যক্তি ওপেনহাইমার সম্পর্কে জানার আগ্রহে নতুন জোয়ার এনেছে। ভগবৎ গীতা কীভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি নিয়েও আলাপ হচ্ছে বেশ।
২৫ জুলাই ২০২৩
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি। প্রদীপ ঘোষের সিনেমাটি ২০২৩ সালে আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে রাশিদ পলাশের ‘প্রীতিলতা’। নির্মাতা জানালেন নতুন বছরে আবার শুরু হচ্ছে সিনেমার শুটিং।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীমণির সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে রাশিদ পলাশ লেখেন, ‘এবার প্রীতিলতাও শেষ হবে ইনশা আল্লাহ ২০২৬’। মন্তব্যের ঘরে পরীমণি লেখেন, ‘আমিও প্রস্তুত আছি’। স্পষ্টতই বোঝা গেল, জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরে আবার প্রীতিলতা হয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন পরীমণি।
প্রীতিলতা সিনেমা নিয়ে জানতে যোগাযোগ করলে রাশিদ পলাশ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই প্রীতিলতার বাকি অংশের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিংয়ে যাব।’
২০২১ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রীতিলতার ফার্স্ট লুক। প্রীতিলতা বেশে চমকে দিয়েছিলেন পরী। সিনেমাটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল আগ্রহ। কিন্তু পরীমণির মাতৃত্বকালীন বিরতিসহ নানা কারণে সে সময় শুটিং শেষ করা সম্ভব হয়নি। মাঝে কয়েকবার এই সিনেমার শুটিং শুরুর কথা শোনা গেলেও তা হয়নি। নতুন বছরে সেই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান পরিচালক রাশিদ পলাশ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিলে শুটিং শেষ করতে চান প্রীতিলতার। এরপরেই শুরু করবেন সম্পাদনাসহ পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।
রাশিদ পলাশ বলেন, ‘২০২০ সালের শেষ দিকে আমরা শুটিং শুরু করেছিলাম। তখন প্রায় ৩০ শতাংশ শুটিং হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঢাকা অংশের কাজ শেষ করা আছে। এখন আমরা শুটিং করব চট্টগ্রাম অংশের। আশা করছি রোজার ঈদের পর এপ্রিল মাসে আবার ক্যামেরা ওপেন করতে পারব।’

পারমাণবিক বোমার জনক ‘ওপেনহাইমার’কে নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের বানানো সিনেমা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই থ্রিলার ব্যক্তি ওপেনহাইমার সম্পর্কে জানার আগ্রহে নতুন জোয়ার এনেছে। ভগবৎ গীতা কীভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি নিয়েও আলাপ হচ্ছে বেশ।
২৫ জুলাই ২০২৩
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প। এর প্রমাণ এ বছর আবারও পেয়েছে বলিউড।
হৃতিক রোশন-এনটিআর জুনিয়র-কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘ওয়ার ২’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। ব্যর্থ হয়েছে সালমান খানের ‘সিকান্দার’, বরুণ ধাওয়ান-জাহ্নবী কাপুরের ‘সানি সংস্কারি কি তুলসী কুমারী’, শহিদ কাপুরের ‘দেবা’, কাজলের ‘মা’, অর্জুন কাপুরের ‘মেরে হাজবেন্ড কি বিবি’সহ একাধিক বড় তারকার সিনেমা। হিট সিনেমার সিকুয়েলও এবার খুব বেশি সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ওয়ার ২ তো আছেই, ফ্লপের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অজয়ের ‘দে দে পেয়ার দে ২’, ‘সন অব সরদার ২’, টাইগার শ্রফের ‘বাঘি ৪’, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী-তৃপ্তি দিমরির ‘ধাড়াক ২’সহ একগুচ্ছ সিকুয়েল।
আগে থেকেই দক্ষিণের চাপে ছিল বলিউড। এ বছর সে চাপ আরও বেড়েছে। ইদানীং দক্ষিণি সিনেমাগুলো প্যান-ইন্ডিয়া নাম দিয়ে হিন্দি ভাষাতেও মুক্তি পায়। ফলে দক্ষিণি সিনেমার সাফল্য অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বলিউডের বক্স অফিস। বলিউডের হতাশার এই বছরে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বড় সাফল্য এনে দেয় ভিকি কৌশলের ‘ছাভা’। দেড় শ কোটিতে নির্মিত সিনেমাটি ৮০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করে। তবে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগও ওঠে সিনেমাটির বিরুদ্ধে।
‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতার পর ‘সিতারে জমিন পার’ দিয়ে বক্স অফিসে আমির খানের রাজত্ব ফেরাটাও বলিউডের এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রেক্ষাগৃহে ২৬৬ কোটির বেশি ব্যবসা করা সিনেমাটি পরবর্তী সময়ে ওটিটিতে না দিয়ে আমির সরাসরি মুক্তি দেন ইউটিউবে। সেখানেও বড় সাফল্য পেয়েছেন। এ পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে সিনেমা মুক্তির নতুন দিশা দেখিয়েছেন তিনি।
বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক নতুন জুটি দিয়ে তাক লাগিয়ে দেন নির্মাতা মোহিত সুরি। আহান পান্ডে ও অনিত পাড্ডাকে নিয়ে তিনি তৈরি করেন ‘সাইয়ারা’। এই গতানুগতিক প্রেমের আখ্যান দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। আয় করেছে ৫৭৯ কোটি রুপি। এ সিনেমার সাফল্যের মাধ্যমে বলিউড পেয়েছে দুই নতুন মুখ, যাঁরা হয়ে উঠতে পারেন আগামীর তারকা। অ্যাকশন গল্পের আধিক্যের ভিড়ে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে ‘জলি এলএলবি ৩’ কিংবা ‘হাউসফুল ৫’-এর মতো কমেডি গল্প। এ দুই সিনেমা দিয়ে এবার বক্স অফিসে কিছুটা হলেও সাফল্য ফিরে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার।
তবে বছরের সবচেয়ে বড় দানটা মেরেছেন রণবীর সিং। বছরজুড়ে তাঁর মুক্তির তালিকা ছিল শূন্য। ছিলেন আলোচনার বাইরে। ৫ ডিসেম্বর আসে তাঁর স্পাই অ্যাকশন থ্রিলার ‘ধুরন্ধর’। মুক্তির ২২ দিনের মাথায় হাজার কোটির মাইলফলকে পৌঁছেছে সিনেমাটি। এটিই বলিউডে এ বছরের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই সিনেমা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় ফিরেছেন অক্ষয় খান্না।

পারমাণবিক বোমার জনক ‘ওপেনহাইমার’কে নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের বানানো সিনেমা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই থ্রিলার ব্যক্তি ওপেনহাইমার সম্পর্কে জানার আগ্রহে নতুন জোয়ার এনেছে। ভগবৎ গীতা কীভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি নিয়েও আলাপ হচ্ছে বেশ।
২৫ জুলাই ২০২৩
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি জানিয়ে একাধিক সিনেমা থেকে বাদ পড়ার ঘটনায় পুরো বছর আলোচনায় ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রী এমন দাবি করলে বাদ পড়েন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে। এরপর কল্কি সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ দেওয়া হয় দীপিকাকে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক



পারমাণবিক বোমার জনক ‘ওপেনহাইমার’কে নিয়ে ক্রিস্টোফার নোলানের বানানো সিনেমা সারা বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এই থ্রিলার ব্যক্তি ওপেনহাইমার সম্পর্কে জানার আগ্রহে নতুন জোয়ার এনেছে। ভগবৎ গীতা কীভাবে ওপেনহাইমারকে অনুপ্রাণিত করেছিল সেটি নিয়েও আলাপ হচ্ছে বেশ।
২৫ জুলাই ২০২৩
গত শুক্রবার ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি ও পুনর্মিলনীর সমাপনী দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার কথা ছিল ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমসের। গান শোনাতে যথাসময়ে ফরিদপুর গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জেমস মঞ্চে ওঠার আগেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা।
২ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে নিয়ে দুটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছিল ২০২০ সালে। প্রদীপ ঘোষের ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা। অন্যদিকে রাশিদ পলাশের সিনেমায় প্রীতিলতা হয়েছেন পরীমণি।
২ ঘণ্টা আগে
তারকারাই বলিউডের প্রাণ। যত বড় তারকা, তাঁর সিনেমা ঘিরে প্রত্যাশাও তত বিশাল। তবে সিনেমায় সুপারস্টারের উপস্থিতি কিংবা নজরকাড়া প্রমোশন এখন আর সাফল্যের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দর্শকেরা এখন তারকা নয়, সিনেমায় খোঁজে ভালো গল্প।
২ ঘণ্টা আগে