Ajker Patrika

কেন সন্ন্যাসী হলেন বলিউড তারকা মমতা কুলকার্নি, কিছু বিশেষ তথ্য

আপডেট : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ৪৫
‘মা মমতা নন্দ গিরি’ নাম নিয়েছেন মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত
‘মা মমতা নন্দ গিরি’ নাম নিয়েছেন মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত

নব্বইয়ের দশকের বলিউড নায়িকা মমতা কুলকার্নি সন্ন্যাস জীবন নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। যদিও এখন তার নাম ‘মা মমতা নন্দ গিরি’। তবে লাস্যময়ী এই অভিনেত্রীর জীবনের বেশ কিছু বিষয়ে ভক্ত মহলে জল্পনা-কল্পনা এখনো রয়েছে। মমতা কি বিয়ে করেছেন, কেন অভিনয় ছাড়লেন, কেনইবা এক যুগেরও বেশি সময় ভারত ছেড়ে ছিলেন? বিভিন্ন সময়ে এমন নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মমতা।

গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে আধ্যাত্মিক যাত্রা শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী। পৃথিবীর তথাকথিত সম্পর্ক ত্যাগের প্রতীক হিসেবে তিনি নিজের পিণ্ড দান করেছেন। ‘মহামন্ডলেশ্বর’ উপাধিতে সম্মানিত করা হয়েছে মমতাকে। লাবণ্যময়তা ধরে রাখাসহ, চমকপ্রদ পোশাকের বদলে নিয়েছেন গেরুয়া বেশ। হিজড়াদের প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহত্তম আখড়া মহাকুম্ভের কিন্নরে সন্ন্যাস নিয়েছেন মমতা।

মমতা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ব্যক্তিগত জীবন

১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করা মমতা কুলকার্নির কখনো বিয়ে করেননি। বছরের পর বছর ধরে, ভিকি গোস্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল। গণমাধ্যমে কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, তাঁরা বিবাহিত। কিন্তু পরবর্তীতে সেগুলোকে একদমই পাত্তা না দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

গত বছর ইন্ডিয়া টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেগুলোকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে জানিয়েছেন। মমতা বলেন, ‘মানুষদের উচিত এমন কাউকে নিয়ে নেতিবাচক কথা না বলা, যাদের সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানে না। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি- আমাকে ও ভিকি গোস্বামীকে নিয়ে যে গুজব উঠেছে, তা পুরোপুরি মিথ্যা। আমি কাউকে বিয়ে করিনি, কারণ আমি কখনো সেই সময় পাইনি।’

ওই সাক্ষাৎকারেই মমতা বলেছিলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি- কেউ যেন ‘স্বামী’ বা ‘স্ত্রী’ এই ধরনের উপাধি আমার সঙ্গে যুক্ত না করে। আমি জানি না এসব ভিত্তিহীন, গুজব নিয়ে আর কী বলতে পারি। অনেকেই আমাকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, কিন্তু আমার এমন কিছু করার কোনো ইচ্ছা নেই।’

নব্বইয়ের দশকে বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকে বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় জীবনের শুরু

১৯৯১ সালে তামিল সিনেমা ‘নানবারগল’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে মমতা কুলকার্নির। শোভা চন্দ্রশেখর পরিচালিত এই সিনেমায় মমতা নীরাজের বিপরীতে অভিনয় করেন। মজার ব্যাপার হলো- ‘নানবারগল’ পরবর্তীতে হিন্দিতে ‘মেরা দিল তেরে লিয়ে’ নামে রিমেক করা হয়। সেখানেও মমতা কুলকার্নি অভিনয় করেন এবং ওই সিনেমার মাধ্যমেই বলিউডে মমতার পদার্পণ।

মমতা কুলকার্নির সেরা পাঁচ সিনেমা

তীরঙ্গা

মমতা কুলকার্নির আইকনিক দেশপ্রেমের সিনেমা ছিল ‘তীরঙ্গা’। এটির পরিচালক ছিলেন মেহুল কুমার। সিনেমাটিতে রাজ কুমার এবং নানাপাটেকার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এবং মমতা কুলকার্নি সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

করন অর্জুন

বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও শাহরুখ খানের যৌথ সিনেমা ‘করন অর্জুন’ এ অভিনয় করেছেন মমতা। শাহরুখ খানের সহ অভিনেত্রী হিসেবে বিন্দিয়া চরিত্রে দাপুটে চরিত্রে ছিলেন মমতা।

কাভি তুম কাভি হাম

এটি ছিল মমতা কুলকার্নির শেষ হিন্দি সিনেমা। চরুওহাস শিদোরে, অঞ্জন শ্রীবাস্তব এবং বিজয়েন্দ্র ঘাটগে রূপ দত্ত নায়েকের পরিচালনায় সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

নব্বইয়ের দশকে বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকে বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত

আশিক আওয়ারা

এই রোমান্টিক ড্রামা ছিল মমতা কুলকার্নির বলিউডে ব্রেকথ্রো ছবি। উমেশ মেহরা পরিচালিত এই সিনেমায় সাইফ আলী খানও ছিলেন।

বাজি

অশোক গাওরেকারের পরিচালনায় এই সিনেমায় প্রধান চরিত্রে ছিলেন আমির খান। মমতা কুলকার্নি অভিনয় করেছিলেন আমির খানের প্রেমিকা রাজেশ্বরী চরিত্রে। তাদের অনবদ্য রসায়ন এই সিনেমাটিতে এক অনন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল।

শেষ ছবি

দশকের পর দশক সফল সিনেমার পর ২০০৩ সালে মমতা কুলকার্নি অভিনয় থেকে বিদায় নেন। তাঁর শেষ উপস্থিতি ছিল বাংলা সিনেমা ‘শেষ বংশধর’এ। অভিজিৎ সেন পরিচালিত ওই সিনেমায় অভিনয় করেছেন ভিক্টর ব্যানার্জি, রণিত রায়, অনুরাধা রায়, চিন্ময় রায় এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

নব্বইয়ের দশকে বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত
নব্বইয়ের দশকে বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। ছবি: সংগৃহীত

কেন অভিনয় ছেড়েছিলেন মমতা কুলকার্নি

সিনেমা বা অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার বিষয়ে আইএএনএসে খোলাখুলি কথা বলেছিলেন মমতা কুলকার্নি। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারত ছেড়ে যাওয়ার কারণ ছিল আধ্যাত্মিকতা। ১৯৯৬ সালে আমি আধ্যাত্মিকতার প্রতি আগ্রহী হতে শুরু করি। সেই সময়ে আমি গুরু গগন গিরি মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তাঁর আসার পর আধ্যাত্মিকতার প্রতি আমার আগ্রহ বাড়ে। তাঁর পরবর্তী সময়ে আমার তপস্যা শুরু হয়। তবে, আমি মনে করি বলিউড আমাকে নাম এবং খ্যাতি দিয়েছে, পর আমি বলিউডও ত্যাগ করি।’

ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, ‘২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আমি তপস্যা চালিয়ে গিয়েছিলাম। আমি বেশ কিছু বছর দুবাইয়ে ছিলাম। সেখানে আমি একটি দুই বেডরুমের ফ্ল্যাটে থাকতাম এবং ১২ বছর ধরে ব্রহ্মচর্য পালন করতাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঈদে মুক্তি পাবে ‘ট্রাইব্যুনাল’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) আদর আজাদ, মৌসুমী, ইভন ও তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) আদর আজাদ, মৌসুমী, ইভন ও তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত

নির্মাতা রায়হান খান ৯ ডিসেম্বর যখন ‘ট্রাইব্যুনাল’ সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছিলেন, সেদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ক্যারিয়ারের দুই যুগ পূর্ণ হয়েছে। চিত্রগ্রাহক হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এরপর নাটক, টিভি অনুষ্ঠান পরিচালনা, চিত্রনাট্য লেখা—বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তবে সিনেমা বানানোর কথা ভাবেননি কখনো। গত ঈদে তানিম নূরের ‘উৎসব’ দেখে বড় পর্দার প্রতি আগ্রহী হন তিনি।

সিনেমা বানানোর ইচ্ছা নতুন হলেও ট্রাইব্যুনাল গল্পটি অনেক বছর ধরে লালন করছেন বলে জানালেন রায়হান খান। একবার ব্যক্তিগত কারণে আইনজীবীর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল তাঁকে। সেই আইনজীবীর কাছ থেকে শোনা একটি বাস্তব গল্প অবলম্বনে লেখা হয়েছে ট্রাইব্যুনাল সিনেমার চিত্রনাট্য। চট্টগ্রামে এক নারীকে তার স্বামী কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। ২৬ জন সাক্ষী এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিল সেই মামলায়। পরে আদালতে মামলাটির গতিপথ কীভাবে ঘুরতে থাকে নানা দিকে, সেসব নিয়েই ট্রাইব্যুনালের কাহিনি।

নির্মাতা রায়হান খান বলেন, ‘২০১৭ সালে একবার মোশাররফ করিমকে গল্পটি শুনিয়ে এ নিয়ে একটি ধারাবাহিক নাটক বানানোর কথা বলি। তিনি পরামর্শ দেন, নাটক নয়, গল্পটি নিয়ে সিনেমা বানানোর। পরে বছরের পর বছর কেটে যায়, সিনেমা আর বানানো হয় না। গত বছর উৎসব দেখার পর মনে হয়, আমি সিনেমা করব এবং সেটা ট্রাইব্যুনাল। তারপর চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করি। ট্রাইব্যুনাল হচ্ছে ফুলফর্ম কোর্ট স্টোরি। প্রতিটি সংলাপ আদালতের ভাষা অনুযায়ী এবং বাংলাদেশের আইনের মধ্যে থেকে লেখা হয়েছে। আইনগত কোনো অসংগতি নেই।’

ট্রাইব্যুনাল সিনেমায় অভিনয় করেছেন মৌসুমী হামিদ, তানিয়া বৃষ্টি, সায়রা আক্তার জাহান, তারিক আনাম খান, আদর আজাদ, রাকিব হোসেন ইভন, সাবেরি আলম, মিলন ভট্টাচার্য, শাহেদ আলী প্রমুখ। একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে নুসরাত ফারিয়াকে।

মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘আমার অভিনীত প্রথম সিরিয়াল রায়হান খানের সঙ্গে করা। এরপর একসঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে আমাদের। এই সিনেমার গল্প শুনেই রাজি হই। অসাধারণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। মূলত গল্পের কারণেই ট্রাইব্যুনাল সিনেমার প্রতি দর্শক উৎসাহী হবে আশা করি। চিত্রনাট্য এত চমৎকারভাবে লেখা যে প্রতি মুহূর্তে আগ্রহ সৃষ্টি করে।’

রায়হান খান
রায়হান খান

তানিয়া বৃষ্টি বলেন, ‘আমি জেসমিন নামের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, পুরো গল্প এই চরিত্রকে কেন্দ্র করে। মনে হয়েছিল, সিনেমায় আবার যদি ব্যাক করতে চাই, সে ক্ষেত্রে এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত গল্প। এতে অভিনয়ের জন্য তারিক আনাম খান স্যারের কাছে এক মাস রিহার্সাল করেছি। চরিত্রের কষ্ট বোঝার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছি। যতটা পেরেছি, পুরোপুরি এফোর্ট দিয়েছি চরিত্রটির জন্য।’

সম্প্রতি অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দুই সিনেমায় জুটি বেঁধেছেন আদর আজাদ। এই সিনেমায়ও তিনি থাকছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে।

থিয়েটার দিয়ে অভিনয় শুরু রাকিব হোসেন ইভনের। ‘ইতি চিত্রা’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। এই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে ইভন বলেন, ‘আমি থিয়েটার করা ছেলে। অভিনয় আমাকে টানে। এই সিনেমার চরিত্রটিতে অভিনয়ের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমি সেই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছি। অন্যেরাও বেশ ভালো করেছেন। আশা করছি, সবার চেষ্টায় একটি সুন্দর সিনেমা উপহার দিতে পারব দর্শকদের।’

নির্মাতা রায়হান খান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৭০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে। শিগগির আবার শুটিংয়ে যাবে ট্রাইব্যুনাল টিম। রোজার ঈদে ট্রাইব্যুনাল মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেসবুক পোস্টের গল্প থেকে নাটক, কেন্দ্রীয় চরিত্রে অহনা

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
অহনা। ছবি: সংগৃহীত
অহনা। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকের একটি পোস্টের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাটক নির্মাণ করলেন মহিন খান। নাটকের নাম ‘পতন’। নির্দেশনার পাশাপাশি পতনের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি। নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এক নারীকে ঘিরে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অহনা, তার স্বামীর চরিত্রে রাশেদ সীমান্ত।

অহনা এখন আগের মতো নিয়মিত কাজ করছেন না। গল্প, চিত্রনাট্য আর চরিত্র পছন্দ হলে শুটিং করছেন। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মহিনের নির্দেশনায় আগেও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছি। এই নাটকের গল্প ভাবনা এবং চিত্রনাট্য দারুণ হয়েছে। আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। বেশ উত্থানপতন আছে। চেষ্টা করেছি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। আশা করছি, প্রচারে এলে নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মহিনকে আমাকে সুন্দর একটি চরিত্রে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’

নাটকের গল্প প্রসঙ্গে মহিন খান বলেন, ‘ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকে গল্পের ভাবনাটা নিয়েছি। সেই থিম থেকে নিজের মতো করে চিত্রনাট্য লিখেছি। গল্পে দেখা যাবে, স্বামীর সঙ্গে অহনার বেশ সুখের সংসার। একসময় চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয় অহনা। স্বামী তার আবদার মেনে নেয়। পাঁচ লাখ টাকা ম্যানেজ করে স্ত্রীকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর আচরণ বদলে যায় অহনার। স্বামীর সঙ্গেও সংসার করতে চায় না। গল্প যখন চরম নাটকীয়তায়, এমন সময় হুট করে চাকরি চলে যায় অহনার। দিশেহারা হয়ে পড়ে সে। জীবনের বাস্তবতা বুঝতে পারে সে। অহনা ও রাশেদ সীমান্ত—দুজনেই দারুণ অভিনয় করেছেন। তাঁদের অভিনয়গুণে গল্পটি আরও হৃদয়গ্রাহী হয়েছে।’

নির্মাতা জানিয়েছেন, পতন নাটকটি প্রকাশ করা হবে ইউটিউব চ্যানেলে। শিগগির এর প্রকাশের সময় এবং চ্যানেলের নাম জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করলেন সোনিয়া, জানালেন কেমন আছেন নায়ক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সোনিয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
ইলিয়াস কাঞ্চনকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সোনিয়া। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।

সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

গত সেপ্টেম্বরে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখতে যান রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত
গত সেপ্টেম্বরে ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখতে যান রোজিনা। ছবি: সংগৃহীত

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।

স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’

সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’

সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।

উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কাজাখস্তানে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানালেন নিশো

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত
আফরান নিশো। ছবি: সংগৃহীত

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্‌যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্‌যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।

দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’

নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’

দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।

কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত