Ajker Patrika

বাদল সরকার: থার্ড থিয়েটার টু ফার্স্ট থিয়েটার

এ বছর পালিত হচ্ছে নাট্যজন বাদল সরকারের শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ১৫ জুলাই কলকাতায় জন্ম তাঁর। ২০১১ সালের ১৩ মে প্রয়াত হন তিনি। কীর্তিমান এই নাট্যব্যক্তিত্বকে নিয়ে লিখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু

বিনোদন ডেস্ক
বাদল সরকার। ছবি: সংগৃহীত
বাদল সরকার। ছবি: সংগৃহীত

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়। লোকনাট্যকে ‘ফার্স্ট থিয়েটার’ আর প্রসেনিয়ামকে ‘সেকেন্ড থিয়েটার’ প্রচিহ্নিত করে বাদল সরকার নয়া-আন্দোলনরূপে এ ধারাটি হাজির করেন। এটি পুরোপুরি মৌলিক ভাবনা নয়। ষাট-পরবর্তী সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় একটি বিকল্প নাট্যধারার অনুসন্ধান চলছিল। মার্কিন সমালোচক রবার্ট ব্রুস্টাইন থার্ড থিয়েটারকে সংজ্ঞায়ন করে বলেছিলেন, এটি এমন এক থিয়েটার, যা প্রাণোচ্ছল অথচ সমকালীন সমস্যার সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। বোধ করি, বাদল সরকার এখান থেকেই ধারণালব্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর চিন্তাটাকে ভারতীয় বাস্তবতায় খানিকটা আলাদা করে তুলেছিলেন। ফলত বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার স্বভূমির বাস্তবতায় স্বতন্ত্র রূপে নির্মিত।

প্রচলিত দুটি ধারা থেকে তিনি বেরিয়ে এসে ফার্স্ট থিয়েটারকে পশ্চাৎ-অভিমুখী আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটার দেব-দেবীনির্ভর, রাজরাজড়ার কাহিনি, নারীর সর্বংসহা রূপ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বুনিয়াদে বৃত্তাবদ্ধ। সেকেন্ড থিয়েটারকে তিনি বহিরাগত আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটারের দর্শক সেই শহুরে মধ্যবিত্ত, যে মধ্যবিত্তের বিপ্লবী চরিত্র নেই। এ দুটি ধারার চর্চায় তাঁর মনে হয়েছে সমাজ ও সমকাল নেই; প্রতিবাদ ও প্রতিকার নেই। এ দুইয়ের ভালো দিকগুলো নিয়ে তিনি গড়লেন থার্ড থিয়েটার।

১৯৫৩ সালে মাইথনে থাকার সময় লেখালেখি ও অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন বাদল সরকার। তারও আগে ১৯৪৮-৪৯-এ তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা তাঁকে শিল্পী হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করে। ১৯৬৩ সালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাটক ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ রচনা করেন। প্রথম ছাপা হয় শম্ভু মিত্র সম্পাদিত বহুরূপী পত্রিকায়। ডায়েরির ঢঙে লেখা নাটকটি প্রথম মুক্তাঙ্গনে আসে শৌভনিকের প্রযোজনায় ১৯৬৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৯৬৮ সালে এবং ইন্দ্রজিৎ নাটকের জন্য তিনি পুরস্কৃত হলেও বিশিষ্টজনেদের অনেকেই তাঁর থার্ড থিয়েটার চিন্তাকে মানতে পারেননি। কিন্তু সাধারণ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। প্রসেনিয়ামের সীমিত দর্শক থেকে সাধারণ দর্শক তাঁর নাটকের আরাধ্য হয়ে ওঠে। কারণ, নতুন এই ধারায় দূরত্ব থাকল না অভিনেতা ও দর্শকের মাঝখানে। ‘মিছিল’ এ ধারার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক। প্রবীর দত্ত নামে একজন নাট্যকর্মী কার্জন পার্কে নাটক দেখতে এসে পুলিশের আক্রমণে নিহত হলে তার প্রতিবাদে এ নাটকটি রাজনৈতিক মাত্রা লাভ করে।

নাটক রচনার প্রথম পর্বে অর্থাৎ ষাটের দশকের শুরুতে বাদল সরকার লিখেছেন সিচুয়েশন কমেডি। তিনি কাজ করেছেন ‘লিভিং থিয়েটার’-এ; সান্নিধ্য পেয়েছেন প্রসেনিয়ামবিরোধী রিচার্ড শেখনারের। একই সঙ্গে গ্রোটোস্কির পুওর থিয়েটার তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারপর সিরিয়াস নাটক লেখা ও করার প্রতি নিমগ্ন হয়েছেন। তাঁর মনে হলো, হালকা কমেডি শুধুই আনন্দ দেয় কিন্তু চিত্তহরণ করে না; মনে দাগ কাটে না। নাটকের মাধ্যমে সাধারণের চিত্তরঞ্জন করতে হবে—এমন প্রত্যয়ে তিনি সিরিয়াস নাটক লিখলেন নাটক রচনার দ্বিতীয় পর্বে। বাদল সরকার দেখলেন প্রসেনিয়াম থিয়েটারের সঙ্গে অর্থ আর ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত। গণমানুষ ও সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার সেখানে ক্ষীণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয়ীদর্শন নিয়ে তাই তৃতীয় ধারার নাট্যাঙ্গিক নিয়ে এলেন। আঙ্গিকে নবধারা হলেও তিনি প্রথমত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে বিষয় আগে ফর্ম পরে; অর্থাৎ কনটেন্টই ফর্ম নির্মাণ করবে। শুধু তাই নয়, সমকালীন নাট্যচর্চার বাস্তবতায় একটি যুগান্তকারী ইশতেহার নিয়ে তিনি হাজির হলেন। প্রশ্ন করলেন থিয়েটার কার? থিয়েটার কোথায়? থিয়েটার কেন? থিয়েটার কী? এ প্রশ্নগুলোর নয়া উত্তরও যুক্ত করেন ইশতেহারেই। তিনি বিশ্বাস করেন থিয়েটার সব মানুষের। থিয়েটার চার দেয়ালে বন্দী নয়, থিয়েটার হবে পাড়ায়-হাটে-রাস্তায়—যেখানে সব মানুষ। সুড়সুড়ি বা বিনোদনের না হয়ে থিয়েটার হবে অনুভবের। থিয়েটার আসলে ‘মানুষে মানুষে বন্ধন’, ‘খোলা মাঠ আর আকাশ’, ‘জীবনের নগ্ন কঠিন চেতনা’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি জানালেন সংগীতশিল্পী পুতুল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫৩
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত
২০০৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাত থেকে নতুন কুঁড়ি ২০০৩-এর দেশাত্মবোধক গানের প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করছেন পুতুল। ছবি: সংগৃহীত

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।

খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’

বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৫
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া ও জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।

ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’

জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোবিজ তারকাদের শোক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।

ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’

শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’

সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’

অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।

এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত