এ বছর পালিত হচ্ছে নাট্যজন বাদল সরকারের শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ১৫ জুলাই কলকাতায় জন্ম তাঁর। ২০১১ সালের ১৩ মে প্রয়াত হন তিনি। কীর্তিমান এই নাট্যব্যক্তিত্বকে নিয়ে লিখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু
বিনোদন ডেস্ক

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়। লোকনাট্যকে ‘ফার্স্ট থিয়েটার’ আর প্রসেনিয়ামকে ‘সেকেন্ড থিয়েটার’ প্রচিহ্নিত করে বাদল সরকার নয়া-আন্দোলনরূপে এ ধারাটি হাজির করেন। এটি পুরোপুরি মৌলিক ভাবনা নয়। ষাট-পরবর্তী সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় একটি বিকল্প নাট্যধারার অনুসন্ধান চলছিল। মার্কিন সমালোচক রবার্ট ব্রুস্টাইন থার্ড থিয়েটারকে সংজ্ঞায়ন করে বলেছিলেন, এটি এমন এক থিয়েটার, যা প্রাণোচ্ছল অথচ সমকালীন সমস্যার সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। বোধ করি, বাদল সরকার এখান থেকেই ধারণালব্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর চিন্তাটাকে ভারতীয় বাস্তবতায় খানিকটা আলাদা করে তুলেছিলেন। ফলত বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার স্বভূমির বাস্তবতায় স্বতন্ত্র রূপে নির্মিত।
প্রচলিত দুটি ধারা থেকে তিনি বেরিয়ে এসে ফার্স্ট থিয়েটারকে পশ্চাৎ-অভিমুখী আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটার দেব-দেবীনির্ভর, রাজরাজড়ার কাহিনি, নারীর সর্বংসহা রূপ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বুনিয়াদে বৃত্তাবদ্ধ। সেকেন্ড থিয়েটারকে তিনি বহিরাগত আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটারের দর্শক সেই শহুরে মধ্যবিত্ত, যে মধ্যবিত্তের বিপ্লবী চরিত্র নেই। এ দুটি ধারার চর্চায় তাঁর মনে হয়েছে সমাজ ও সমকাল নেই; প্রতিবাদ ও প্রতিকার নেই। এ দুইয়ের ভালো দিকগুলো নিয়ে তিনি গড়লেন থার্ড থিয়েটার।
১৯৫৩ সালে মাইথনে থাকার সময় লেখালেখি ও অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন বাদল সরকার। তারও আগে ১৯৪৮-৪৯-এ তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা তাঁকে শিল্পী হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করে। ১৯৬৩ সালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাটক ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ রচনা করেন। প্রথম ছাপা হয় শম্ভু মিত্র সম্পাদিত বহুরূপী পত্রিকায়। ডায়েরির ঢঙে লেখা নাটকটি প্রথম মুক্তাঙ্গনে আসে শৌভনিকের প্রযোজনায় ১৯৬৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৯৬৮ সালে এবং ইন্দ্রজিৎ নাটকের জন্য তিনি পুরস্কৃত হলেও বিশিষ্টজনেদের অনেকেই তাঁর থার্ড থিয়েটার চিন্তাকে মানতে পারেননি। কিন্তু সাধারণ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। প্রসেনিয়ামের সীমিত দর্শক থেকে সাধারণ দর্শক তাঁর নাটকের আরাধ্য হয়ে ওঠে। কারণ, নতুন এই ধারায় দূরত্ব থাকল না অভিনেতা ও দর্শকের মাঝখানে। ‘মিছিল’ এ ধারার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক। প্রবীর দত্ত নামে একজন নাট্যকর্মী কার্জন পার্কে নাটক দেখতে এসে পুলিশের আক্রমণে নিহত হলে তার প্রতিবাদে এ নাটকটি রাজনৈতিক মাত্রা লাভ করে।
নাটক রচনার প্রথম পর্বে অর্থাৎ ষাটের দশকের শুরুতে বাদল সরকার লিখেছেন সিচুয়েশন কমেডি। তিনি কাজ করেছেন ‘লিভিং থিয়েটার’-এ; সান্নিধ্য পেয়েছেন প্রসেনিয়ামবিরোধী রিচার্ড শেখনারের। একই সঙ্গে গ্রোটোস্কির পুওর থিয়েটার তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারপর সিরিয়াস নাটক লেখা ও করার প্রতি নিমগ্ন হয়েছেন। তাঁর মনে হলো, হালকা কমেডি শুধুই আনন্দ দেয় কিন্তু চিত্তহরণ করে না; মনে দাগ কাটে না। নাটকের মাধ্যমে সাধারণের চিত্তরঞ্জন করতে হবে—এমন প্রত্যয়ে তিনি সিরিয়াস নাটক লিখলেন নাটক রচনার দ্বিতীয় পর্বে। বাদল সরকার দেখলেন প্রসেনিয়াম থিয়েটারের সঙ্গে অর্থ আর ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত। গণমানুষ ও সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার সেখানে ক্ষীণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয়ীদর্শন নিয়ে তাই তৃতীয় ধারার নাট্যাঙ্গিক নিয়ে এলেন। আঙ্গিকে নবধারা হলেও তিনি প্রথমত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে বিষয় আগে ফর্ম পরে; অর্থাৎ কনটেন্টই ফর্ম নির্মাণ করবে। শুধু তাই নয়, সমকালীন নাট্যচর্চার বাস্তবতায় একটি যুগান্তকারী ইশতেহার নিয়ে তিনি হাজির হলেন। প্রশ্ন করলেন থিয়েটার কার? থিয়েটার কোথায়? থিয়েটার কেন? থিয়েটার কী? এ প্রশ্নগুলোর নয়া উত্তরও যুক্ত করেন ইশতেহারেই। তিনি বিশ্বাস করেন থিয়েটার সব মানুষের। থিয়েটার চার দেয়ালে বন্দী নয়, থিয়েটার হবে পাড়ায়-হাটে-রাস্তায়—যেখানে সব মানুষ। সুড়সুড়ি বা বিনোদনের না হয়ে থিয়েটার হবে অনুভবের। থিয়েটার আসলে ‘মানুষে মানুষে বন্ধন’, ‘খোলা মাঠ আর আকাশ’, ‘জীবনের নগ্ন কঠিন চেতনা’।

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়। লোকনাট্যকে ‘ফার্স্ট থিয়েটার’ আর প্রসেনিয়ামকে ‘সেকেন্ড থিয়েটার’ প্রচিহ্নিত করে বাদল সরকার নয়া-আন্দোলনরূপে এ ধারাটি হাজির করেন। এটি পুরোপুরি মৌলিক ভাবনা নয়। ষাট-পরবর্তী সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় একটি বিকল্প নাট্যধারার অনুসন্ধান চলছিল। মার্কিন সমালোচক রবার্ট ব্রুস্টাইন থার্ড থিয়েটারকে সংজ্ঞায়ন করে বলেছিলেন, এটি এমন এক থিয়েটার, যা প্রাণোচ্ছল অথচ সমকালীন সমস্যার সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। বোধ করি, বাদল সরকার এখান থেকেই ধারণালব্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর চিন্তাটাকে ভারতীয় বাস্তবতায় খানিকটা আলাদা করে তুলেছিলেন। ফলত বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার স্বভূমির বাস্তবতায় স্বতন্ত্র রূপে নির্মিত।
প্রচলিত দুটি ধারা থেকে তিনি বেরিয়ে এসে ফার্স্ট থিয়েটারকে পশ্চাৎ-অভিমুখী আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটার দেব-দেবীনির্ভর, রাজরাজড়ার কাহিনি, নারীর সর্বংসহা রূপ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বুনিয়াদে বৃত্তাবদ্ধ। সেকেন্ড থিয়েটারকে তিনি বহিরাগত আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটারের দর্শক সেই শহুরে মধ্যবিত্ত, যে মধ্যবিত্তের বিপ্লবী চরিত্র নেই। এ দুটি ধারার চর্চায় তাঁর মনে হয়েছে সমাজ ও সমকাল নেই; প্রতিবাদ ও প্রতিকার নেই। এ দুইয়ের ভালো দিকগুলো নিয়ে তিনি গড়লেন থার্ড থিয়েটার।
১৯৫৩ সালে মাইথনে থাকার সময় লেখালেখি ও অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন বাদল সরকার। তারও আগে ১৯৪৮-৪৯-এ তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা তাঁকে শিল্পী হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করে। ১৯৬৩ সালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাটক ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ রচনা করেন। প্রথম ছাপা হয় শম্ভু মিত্র সম্পাদিত বহুরূপী পত্রিকায়। ডায়েরির ঢঙে লেখা নাটকটি প্রথম মুক্তাঙ্গনে আসে শৌভনিকের প্রযোজনায় ১৯৬৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৯৬৮ সালে এবং ইন্দ্রজিৎ নাটকের জন্য তিনি পুরস্কৃত হলেও বিশিষ্টজনেদের অনেকেই তাঁর থার্ড থিয়েটার চিন্তাকে মানতে পারেননি। কিন্তু সাধারণ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। প্রসেনিয়ামের সীমিত দর্শক থেকে সাধারণ দর্শক তাঁর নাটকের আরাধ্য হয়ে ওঠে। কারণ, নতুন এই ধারায় দূরত্ব থাকল না অভিনেতা ও দর্শকের মাঝখানে। ‘মিছিল’ এ ধারার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক। প্রবীর দত্ত নামে একজন নাট্যকর্মী কার্জন পার্কে নাটক দেখতে এসে পুলিশের আক্রমণে নিহত হলে তার প্রতিবাদে এ নাটকটি রাজনৈতিক মাত্রা লাভ করে।
নাটক রচনার প্রথম পর্বে অর্থাৎ ষাটের দশকের শুরুতে বাদল সরকার লিখেছেন সিচুয়েশন কমেডি। তিনি কাজ করেছেন ‘লিভিং থিয়েটার’-এ; সান্নিধ্য পেয়েছেন প্রসেনিয়ামবিরোধী রিচার্ড শেখনারের। একই সঙ্গে গ্রোটোস্কির পুওর থিয়েটার তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারপর সিরিয়াস নাটক লেখা ও করার প্রতি নিমগ্ন হয়েছেন। তাঁর মনে হলো, হালকা কমেডি শুধুই আনন্দ দেয় কিন্তু চিত্তহরণ করে না; মনে দাগ কাটে না। নাটকের মাধ্যমে সাধারণের চিত্তরঞ্জন করতে হবে—এমন প্রত্যয়ে তিনি সিরিয়াস নাটক লিখলেন নাটক রচনার দ্বিতীয় পর্বে। বাদল সরকার দেখলেন প্রসেনিয়াম থিয়েটারের সঙ্গে অর্থ আর ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত। গণমানুষ ও সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার সেখানে ক্ষীণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয়ীদর্শন নিয়ে তাই তৃতীয় ধারার নাট্যাঙ্গিক নিয়ে এলেন। আঙ্গিকে নবধারা হলেও তিনি প্রথমত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে বিষয় আগে ফর্ম পরে; অর্থাৎ কনটেন্টই ফর্ম নির্মাণ করবে। শুধু তাই নয়, সমকালীন নাট্যচর্চার বাস্তবতায় একটি যুগান্তকারী ইশতেহার নিয়ে তিনি হাজির হলেন। প্রশ্ন করলেন থিয়েটার কার? থিয়েটার কোথায়? থিয়েটার কেন? থিয়েটার কী? এ প্রশ্নগুলোর নয়া উত্তরও যুক্ত করেন ইশতেহারেই। তিনি বিশ্বাস করেন থিয়েটার সব মানুষের। থিয়েটার চার দেয়ালে বন্দী নয়, থিয়েটার হবে পাড়ায়-হাটে-রাস্তায়—যেখানে সব মানুষ। সুড়সুড়ি বা বিনোদনের না হয়ে থিয়েটার হবে অনুভবের। থিয়েটার আসলে ‘মানুষে মানুষে বন্ধন’, ‘খোলা মাঠ আর আকাশ’, ‘জীবনের নগ্ন কঠিন চেতনা’।
এ বছর পালিত হচ্ছে নাট্যজন বাদল সরকারের শততম জন্মবার্ষিকী। ১৯২৫ সালের ১৫ জুলাই কলকাতায় জন্ম তাঁর। ২০১১ সালের ১৩ মে প্রয়াত হন তিনি। কীর্তিমান এই নাট্যব্যক্তিত্বকে নিয়ে লিখেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু
বিনোদন ডেস্ক

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়। লোকনাট্যকে ‘ফার্স্ট থিয়েটার’ আর প্রসেনিয়ামকে ‘সেকেন্ড থিয়েটার’ প্রচিহ্নিত করে বাদল সরকার নয়া-আন্দোলনরূপে এ ধারাটি হাজির করেন। এটি পুরোপুরি মৌলিক ভাবনা নয়। ষাট-পরবর্তী সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় একটি বিকল্প নাট্যধারার অনুসন্ধান চলছিল। মার্কিন সমালোচক রবার্ট ব্রুস্টাইন থার্ড থিয়েটারকে সংজ্ঞায়ন করে বলেছিলেন, এটি এমন এক থিয়েটার, যা প্রাণোচ্ছল অথচ সমকালীন সমস্যার সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। বোধ করি, বাদল সরকার এখান থেকেই ধারণালব্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর চিন্তাটাকে ভারতীয় বাস্তবতায় খানিকটা আলাদা করে তুলেছিলেন। ফলত বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার স্বভূমির বাস্তবতায় স্বতন্ত্র রূপে নির্মিত।
প্রচলিত দুটি ধারা থেকে তিনি বেরিয়ে এসে ফার্স্ট থিয়েটারকে পশ্চাৎ-অভিমুখী আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটার দেব-দেবীনির্ভর, রাজরাজড়ার কাহিনি, নারীর সর্বংসহা রূপ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বুনিয়াদে বৃত্তাবদ্ধ। সেকেন্ড থিয়েটারকে তিনি বহিরাগত আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটারের দর্শক সেই শহুরে মধ্যবিত্ত, যে মধ্যবিত্তের বিপ্লবী চরিত্র নেই। এ দুটি ধারার চর্চায় তাঁর মনে হয়েছে সমাজ ও সমকাল নেই; প্রতিবাদ ও প্রতিকার নেই। এ দুইয়ের ভালো দিকগুলো নিয়ে তিনি গড়লেন থার্ড থিয়েটার।
১৯৫৩ সালে মাইথনে থাকার সময় লেখালেখি ও অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন বাদল সরকার। তারও আগে ১৯৪৮-৪৯-এ তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা তাঁকে শিল্পী হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করে। ১৯৬৩ সালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাটক ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ রচনা করেন। প্রথম ছাপা হয় শম্ভু মিত্র সম্পাদিত বহুরূপী পত্রিকায়। ডায়েরির ঢঙে লেখা নাটকটি প্রথম মুক্তাঙ্গনে আসে শৌভনিকের প্রযোজনায় ১৯৬৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৯৬৮ সালে এবং ইন্দ্রজিৎ নাটকের জন্য তিনি পুরস্কৃত হলেও বিশিষ্টজনেদের অনেকেই তাঁর থার্ড থিয়েটার চিন্তাকে মানতে পারেননি। কিন্তু সাধারণ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। প্রসেনিয়ামের সীমিত দর্শক থেকে সাধারণ দর্শক তাঁর নাটকের আরাধ্য হয়ে ওঠে। কারণ, নতুন এই ধারায় দূরত্ব থাকল না অভিনেতা ও দর্শকের মাঝখানে। ‘মিছিল’ এ ধারার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক। প্রবীর দত্ত নামে একজন নাট্যকর্মী কার্জন পার্কে নাটক দেখতে এসে পুলিশের আক্রমণে নিহত হলে তার প্রতিবাদে এ নাটকটি রাজনৈতিক মাত্রা লাভ করে।
নাটক রচনার প্রথম পর্বে অর্থাৎ ষাটের দশকের শুরুতে বাদল সরকার লিখেছেন সিচুয়েশন কমেডি। তিনি কাজ করেছেন ‘লিভিং থিয়েটার’-এ; সান্নিধ্য পেয়েছেন প্রসেনিয়ামবিরোধী রিচার্ড শেখনারের। একই সঙ্গে গ্রোটোস্কির পুওর থিয়েটার তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারপর সিরিয়াস নাটক লেখা ও করার প্রতি নিমগ্ন হয়েছেন। তাঁর মনে হলো, হালকা কমেডি শুধুই আনন্দ দেয় কিন্তু চিত্তহরণ করে না; মনে দাগ কাটে না। নাটকের মাধ্যমে সাধারণের চিত্তরঞ্জন করতে হবে—এমন প্রত্যয়ে তিনি সিরিয়াস নাটক লিখলেন নাটক রচনার দ্বিতীয় পর্বে। বাদল সরকার দেখলেন প্রসেনিয়াম থিয়েটারের সঙ্গে অর্থ আর ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত। গণমানুষ ও সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার সেখানে ক্ষীণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয়ীদর্শন নিয়ে তাই তৃতীয় ধারার নাট্যাঙ্গিক নিয়ে এলেন। আঙ্গিকে নবধারা হলেও তিনি প্রথমত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে বিষয় আগে ফর্ম পরে; অর্থাৎ কনটেন্টই ফর্ম নির্মাণ করবে। শুধু তাই নয়, সমকালীন নাট্যচর্চার বাস্তবতায় একটি যুগান্তকারী ইশতেহার নিয়ে তিনি হাজির হলেন। প্রশ্ন করলেন থিয়েটার কার? থিয়েটার কোথায়? থিয়েটার কেন? থিয়েটার কী? এ প্রশ্নগুলোর নয়া উত্তরও যুক্ত করেন ইশতেহারেই। তিনি বিশ্বাস করেন থিয়েটার সব মানুষের। থিয়েটার চার দেয়ালে বন্দী নয়, থিয়েটার হবে পাড়ায়-হাটে-রাস্তায়—যেখানে সব মানুষ। সুড়সুড়ি বা বিনোদনের না হয়ে থিয়েটার হবে অনুভবের। থিয়েটার আসলে ‘মানুষে মানুষে বন্ধন’, ‘খোলা মাঠ আর আকাশ’, ‘জীবনের নগ্ন কঠিন চেতনা’।

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়। লোকনাট্যকে ‘ফার্স্ট থিয়েটার’ আর প্রসেনিয়ামকে ‘সেকেন্ড থিয়েটার’ প্রচিহ্নিত করে বাদল সরকার নয়া-আন্দোলনরূপে এ ধারাটি হাজির করেন। এটি পুরোপুরি মৌলিক ভাবনা নয়। ষাট-পরবর্তী সময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় একটি বিকল্প নাট্যধারার অনুসন্ধান চলছিল। মার্কিন সমালোচক রবার্ট ব্রুস্টাইন থার্ড থিয়েটারকে সংজ্ঞায়ন করে বলেছিলেন, এটি এমন এক থিয়েটার, যা প্রাণোচ্ছল অথচ সমকালীন সমস্যার সমাধান খুঁজতে আগ্রহী। বোধ করি, বাদল সরকার এখান থেকেই ধারণালব্ধ হয়েছিলেন এবং তাঁর চিন্তাটাকে ভারতীয় বাস্তবতায় খানিকটা আলাদা করে তুলেছিলেন। ফলত বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটার স্বভূমির বাস্তবতায় স্বতন্ত্র রূপে নির্মিত।
প্রচলিত দুটি ধারা থেকে তিনি বেরিয়ে এসে ফার্স্ট থিয়েটারকে পশ্চাৎ-অভিমুখী আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটার দেব-দেবীনির্ভর, রাজরাজড়ার কাহিনি, নারীর সর্বংসহা রূপ ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বুনিয়াদে বৃত্তাবদ্ধ। সেকেন্ড থিয়েটারকে তিনি বহিরাগত আখ্যা দিয়ে বলেন, এ থিয়েটারের দর্শক সেই শহুরে মধ্যবিত্ত, যে মধ্যবিত্তের বিপ্লবী চরিত্র নেই। এ দুটি ধারার চর্চায় তাঁর মনে হয়েছে সমাজ ও সমকাল নেই; প্রতিবাদ ও প্রতিকার নেই। এ দুইয়ের ভালো দিকগুলো নিয়ে তিনি গড়লেন থার্ড থিয়েটার।
১৯৫৩ সালে মাইথনে থাকার সময় লেখালেখি ও অভিনয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন বাদল সরকার। তারও আগে ১৯৪৮-৪৯-এ তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা তাঁকে শিল্পী হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করে। ১৯৬৩ সালে আলোড়ন সৃষ্টিকারী নাটক ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ রচনা করেন। প্রথম ছাপা হয় শম্ভু মিত্র সম্পাদিত বহুরূপী পত্রিকায়। ডায়েরির ঢঙে লেখা নাটকটি প্রথম মুক্তাঙ্গনে আসে শৌভনিকের প্রযোজনায় ১৯৬৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ১৯৬৮ সালে এবং ইন্দ্রজিৎ নাটকের জন্য তিনি পুরস্কৃত হলেও বিশিষ্টজনেদের অনেকেই তাঁর থার্ড থিয়েটার চিন্তাকে মানতে পারেননি। কিন্তু সাধারণ্যে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। প্রসেনিয়ামের সীমিত দর্শক থেকে সাধারণ দর্শক তাঁর নাটকের আরাধ্য হয়ে ওঠে। কারণ, নতুন এই ধারায় দূরত্ব থাকল না অভিনেতা ও দর্শকের মাঝখানে। ‘মিছিল’ এ ধারার সবচেয়ে জনপ্রিয় নাটক। প্রবীর দত্ত নামে একজন নাট্যকর্মী কার্জন পার্কে নাটক দেখতে এসে পুলিশের আক্রমণে নিহত হলে তার প্রতিবাদে এ নাটকটি রাজনৈতিক মাত্রা লাভ করে।
নাটক রচনার প্রথম পর্বে অর্থাৎ ষাটের দশকের শুরুতে বাদল সরকার লিখেছেন সিচুয়েশন কমেডি। তিনি কাজ করেছেন ‘লিভিং থিয়েটার’-এ; সান্নিধ্য পেয়েছেন প্রসেনিয়ামবিরোধী রিচার্ড শেখনারের। একই সঙ্গে গ্রোটোস্কির পুওর থিয়েটার তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তারপর সিরিয়াস নাটক লেখা ও করার প্রতি নিমগ্ন হয়েছেন। তাঁর মনে হলো, হালকা কমেডি শুধুই আনন্দ দেয় কিন্তু চিত্তহরণ করে না; মনে দাগ কাটে না। নাটকের মাধ্যমে সাধারণের চিত্তরঞ্জন করতে হবে—এমন প্রত্যয়ে তিনি সিরিয়াস নাটক লিখলেন নাটক রচনার দ্বিতীয় পর্বে। বাদল সরকার দেখলেন প্রসেনিয়াম থিয়েটারের সঙ্গে অর্থ আর ব্যক্তিস্বার্থ জড়িত। গণমানুষ ও সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার সেখানে ক্ষীণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের প্রত্যয়ীদর্শন নিয়ে তাই তৃতীয় ধারার নাট্যাঙ্গিক নিয়ে এলেন। আঙ্গিকে নবধারা হলেও তিনি প্রথমত বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে বিষয় আগে ফর্ম পরে; অর্থাৎ কনটেন্টই ফর্ম নির্মাণ করবে। শুধু তাই নয়, সমকালীন নাট্যচর্চার বাস্তবতায় একটি যুগান্তকারী ইশতেহার নিয়ে তিনি হাজির হলেন। প্রশ্ন করলেন থিয়েটার কার? থিয়েটার কোথায়? থিয়েটার কেন? থিয়েটার কী? এ প্রশ্নগুলোর নয়া উত্তরও যুক্ত করেন ইশতেহারেই। তিনি বিশ্বাস করেন থিয়েটার সব মানুষের। থিয়েটার চার দেয়ালে বন্দী নয়, থিয়েটার হবে পাড়ায়-হাটে-রাস্তায়—যেখানে সব মানুষ। সুড়সুড়ি বা বিনোদনের না হয়ে থিয়েটার হবে অনুভবের। থিয়েটার আসলে ‘মানুষে মানুষে বন্ধন’, ‘খোলা মাঠ আর আকাশ’, ‘জীবনের নগ্ন কঠিন চেতনা’।

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় করবেন ইধিকা । এবার তাঁর নায়ক সিয়াম আহমেদ । ‘ রাক্ষস ’ নামের সিনেমায় জুটি হচ্ছেন তাঁরা । অথচ অভিনেত্রী জানালেন ভিন্ন কথা । এমন নামের কোনো সিনেমা নিয়ে তাঁর সঙ্গে নাকি কোনো কথাই হয়নি । রাক্ষস সিনেমায় ইধিকার অভিনয়ের এই গুঞ্জন কয়েক দিন ধরে । ইতিমধ্যে নাকি আলাপও হয়েছে নির্মাতাদের সঙ্গে , এমন খবরও প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে । কিন্তু , নতুন এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করলে ইধিকা জানালেন ভিন্ন কথা । খুদে বার্তায় আজকের পত্রিকাকে ইধিকা লেখেন , “ এখন অবধি এ রকম ( রাক্ষস ) নামের কোনো সিনেমা নিয়ে আমার কোনো কথা হয়নি । ' একই কথা পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকেও জানিয়েছেন ইধিকা । অভিনেত্রী জানান , সিয়াম আহমেদের সঙ্গে অভিনয় নিয়ে কোনো কথা হয়নি ।
আনন্দবাজার জানাচ্ছে , ইধিকা না থাকলেও রাক্ষসে সিয়ামের সঙ্গে থাকবেন টালিউড নায়িকা সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় । এর আগে এ সিনেমায় সাবিলা নূরের অভিনয়ের খবর ছড়িয়েছিল । রাক্ষস সিনেমায় দেশ - বিদেশের একাধিক অভিনেত্রীর নাম শোনা গেলেও এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কিংবা নির্মাতার কাছ থেকে আসেনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা । বরং প্রযোজক শাহরিনা সুলতানা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন , এই সিনেমা নিয়ে বেশ কয়েকজন নায়িকার সঙ্গে কথা হয়েছে । শেষ পর্যন্ত কে থাকছে , সেটা সময় বলে দেবে । রাক্ষসের আগে আবু হায়াত মাহমুদের ‘ প্রিন্স ' সিনেমার নায়িকা হিসেবেও শোনা গেছে ইধিকার নাম । সেই দৃশ্যপটও বদলে গেছে ।
এখন শোনা যাচ্ছে , ইধিকা নয় , টালিউডের আরেক নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডুর নাম । তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাসনিয়া ফারিণের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অন্য কারও নাম ঘোষণা হয়নি এখন পর্যন্ত । জানা গেছে , এ মাসেই শুরু হবে প্রিন্স ও রাক্ষস সিনেমার শুটিং । দুটি সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হবে দেশের বাইরে । সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমা দুটি ।
এ ধরনের গুঞ্জনে অবাক হয়েছেন তিনি । গত বছরও শোনা গিয়েছিল ‘ সিকান্দার ' নামের একটি সিনেমায় জুটি হচ্ছেন সিয়াম - ইধিকা । সেই খবরও শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই থেকে গেছে । এদিকে

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়।
২৬ জুলাই ২০২৫
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
‘যদি কোথাও/ কোনো দিন দূরে সরে যাই/ নিসর্গের আঁধারে হারাই/ সমুদ্রের ঢেউ দেখে আমায় রেখো মনে’—এমন কথার গানটি লিখেছেন শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান, সুর করেছেন ব্যান্ডের ড্রামার কাজী আহমাদ শাফিন। ভিডিও নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গেয়েছেন শেখ ইশতিয়াক। শুটিং হয়েছে থাইল্যান্ডের কো খাম, কো মাখ ও কো চ্যাং আইল্যান্ডে। মডেল হয়েছেন নীল হুরেজাহান।
২০১৯ সালের মে মাসে ‘এই অবেলায়’ দিয়ে নতুন করে জেগে উঠেছিল ব্যান্ড শিরোনামহীন। নতুন ভোকাল নিয়ে ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করতে যখন হিমশিম খাচ্ছিল দলটি, তখন এই অবেলায় গানটি ছিল শিরোনামহীনের জন্য অক্সিজেনের মতো। ছয় বছর পর প্রকাশ পেল এ গানের সিকুয়েল এই অবেলায় ২।
শিরোনামহীনের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলার পাশাপাশি এই অবেলায় প্রকাশ পেয়েছে ইংরেজি ভাষায়। এই ভার্সনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘রিমেম্বার মি’। ইংরেজি ভার্সন নিয়ে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘এই অবেলায় গানটি বিদেশি ভাষার মানুষও পছন্দ করেছে। ইউটিউব চ্যানেলে অনেক মন্তব্য দেখেছি ইংরেজি, স্প্যানিশসহ বিভিন্ন ভাষায় লেখা, “আমি গানের ভাষা বুঝতে পারছি না। কিন্তু গানটির সুর খুব ভালো লাগছে।” তাই এই অবেলায় ২-এর ইংরেজি ভার্সন করা। আশা করছি, বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভার্সনটাও দেশ-বিদেশের শ্রোতাদের মন জয় করতে পারবে। সেটা হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ আরও হতে পারে।’

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়।
২৬ জুলাই ২০২৫
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই আয়োজন। শুরুতে থাকবে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য পরিবেশনা, যেখানে শিল্পীরা রাশিয়ান সংস্কৃতির সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্য তুলে ধরবেন। এরপর গান শোনাবে সোনার বাংলা সার্কাস। এ ছাড়া থাকবে আরও বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন।
এই বিশেষ আয়োজন উৎসর্গ করা হয়েছে রাশিয়ার জনকূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের শতবর্ষ পূর্তি এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস—দুটি ঐতিহাসিক মাইলফলককে, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার জনগণের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকেরা বলছেন, এ অনুষ্ঠান শুধুই একটি কনসার্ট নয়, এটি সংস্কৃতি, বন্ধুত্ব ও একতার উৎসব, যা বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করবে।
রাশিয়ান হাউস, ঢাকার সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে জাম্পস্টার্ট ইনক, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। সবার জন্য উন্মুক্ত অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়।
২৬ জুলাই ২০২৫
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
২ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পেয়েছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
২ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

⊲ অন্তরাত্মা (বাংলা সিনেমা)
⊲ বিহান (রাজবংশী ভাষার সিনেমা)
⊲ মিশন: ইম্পসিবল—দ্য ফাইনাল রেকনিং (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ জে কেলি (ইংরেজি সিনেমা)
⊲ দ্য বিলিভারস ২ (থাই সিরিজ)

বাদল সরকারের পেশাগত নাম সুধীন্দ্রনাথ সরকার। নাটক লিখেছেন প্রায় ৬০টি। তিনি মনে করতেন, নাটক সমাজের দর্পণ হওয়া উচিত। বাংলা থিয়েটারে ষাটের দশকের শেষ দিকে ‘থার্ড থিয়েটার’ নামক একটি নতুন নাট্যধারার প্রবর্তন করেন বাদল সরকার। ‘থার্ড থিয়েটার’ সমকালে অভিনব ও ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যরীতি হিসেবে সমাদৃত হয়।
২৬ জুলাই ২০২৫
শাকিব খানের বিপরীতে ' প্রিয়তমা ' সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় পশ্চিমবঙ্গের ইধিকা পালের । প্রথম সিনেমাতেই নজর কাড়েন অভিনেত্রী । এ বছর রোজার ঈদে মুক্তি পাওয়া মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘ বরবাদ ' সিনেমায়ও দেখা গেছে তাঁকে । খবর ছড়িয়েছে , মেহেদী হাসান হৃদয়ের নতুন সিনেমায়ও অভিনয় ....
২ ঘণ্টা আগে
গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশ পেয়েছিল শিরোনামহীন ব্যান্ডের ‘এই অবেলায় ২’ গানের টিজার। তবে স্পনসর জটিলতায় আটকে ছিল গানটি। অবশেষে গতকাল প্রকাশ পেল শিরোনামহীনের বহুল প্রতীক্ষিত এই অবেলায় গানের দ্বিতীয় পর্ব। এটি শিরোনামহীনের পঞ্চম অ্যালবাম বাতিঘরের শেষ গান।
২ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ান জনকূটনীতির ১০০তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজধানীর রবীন্দ্রসরোবরে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারমোনি অব ফ্রেন্ডশিপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের। রাশিয়ান হাউস ঢাকা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকছে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী লোকনৃত্য এবং বাংলাদেশের ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাসের কনসার্ট।
২ ঘণ্টা আগে