Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

এই গল্পের শেষটা একটু বিষণ্ন, কারণ বাস্তবেও সব ভালোবাসা স্থায়ী হয় না

অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ঈদে হইচইয়ে মুক্তি পেল অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। এরই মধ্যে বেশ আলোচিত হয়েছে সিরিজটি। গল্প গড়ে উঠেছে আব্বাস নামের এক ট্রাক ড্রাইভারকে নিয়ে, নানা অঞ্চলে যার আটজন স্ত্রী রয়েছে। নির্মাতা অমিতাভ রেজা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। কদিন আগেই জানিয়েছেন নতুন সম্পর্কের খবর। কার সঙ্গে জড়ালেন সম্পর্কে? কী করছেন যুক্তরাষ্ট্রে? নতুন সিনেমার কী খবর? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এম এস রানা

এম এস রানা
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ০০: ০৪

অনেক দিন হলো যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। এদিকে ঈদে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পেল আপনার পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। দর্শকেরা সিরিজের ভিন্নধর্মী গল্প, লোকজ আবহ আর মোশাররফ করিমের অভিনয় নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করছেন। অনেকে বলেছেন, এটা একটা পলিটিক্যাল ফোক ফ্যান্টাসি, যা আগে দেখা যায়নি।

আব্বাস একজন অনাথ, এতিম। পরোপকার করতেই আটজন পোড় খাওয়া নারীকে বিয়ে করে? বিয়ে না দেখিয়ে বিষয়টা অন্যভাবে দেখানো যেত কি?

হ্যাঁ, অন্যভাবে দেখানো যেত। তবে এই ‘বিয়ে’গুলো আসলে প্রতীকী। একজন মানুষ, যিনি নারীদের পাশে দাঁড়ান, সংসার ভেঙে যাওয়া নারীদের নতুন জীবনের সুযোগ করে দেন। সমাজ এটাকে বিয়ে বলেই ধরে নেয়। এই মেটাফোর দিয়েই আমরা গল্পটা বলতে চেয়েছি।

আটটা এপিসোডে আট নারীকে ঘিরে আটটি গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গল্পগুলো কি পরিপূর্ণভাবে বলা গেল?

গল্পগুলো আমরা ছোটগল্পের স্টাইলে সাজিয়েছি। কিছু গল্প হয়তো একটু অসম্পূর্ণ বা খোলা মনে হতে পারে; কারণ, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল—প্রতিটি চরিত্র যেন দর্শকের মনে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। সব উত্তর গল্পে নয়, দর্শকের অনুভবে রেখে দিতে চেয়েছি।

এই আট নারীর বাসস্থান কি কাছাকাছি অঞ্চলে? নাকি দূরে দূরে? কেউ কারও সম্পর্কে জানতে পারে না কেন? তাদের অবস্থান আর আব্বাসের মুভমেন্ট কি সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হলো?

এই নারীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকে—চট্টগ্রাম, বগুড়া, যশোর, খুলনা, দিনাজপুর, ঢাকার আশপাশে। আব্বাস ট্রাকচালক, ফলে তার চলাচল বিস্তৃত। এটাও গল্পের একটি ডিভাইস, যাতে তার ভৌগোলিক বিচরণ বিশ্বাসযোগ্য হয়। কেউ কাউকে না চেনা—এটাও আজকের দিনে ইন্টারনেট যুগে প্রশ্ন তুলতে পারে। তবে এটাকে নাটকীয় ছাড় হিসেবে নিতে হবে।

সিরিজের এন্ড ক্লাইমেক্সে দেখা গেল, স্ত্রীরা একে একে আব্বাসকে ছেড়ে চলে গেল। কেউ তাকে বোঝার চেষ্টা করল না, বা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করল না—এটা কেন?

এটাই গল্পের মূল ট্র্যাজেডি। আব্বাস যতটা নিঃস্বার্থ ভেবেছিল সম্পর্কগুলো, বাস্তবে মানুষ তার মতো ভাবেনি, ভাবে না। তারা তাকে ভালোবেসেছে, কিন্তু সেই ভালোবাসায় দ্বিধা ছিল, শঙ্কা ছিল। এই ফেয়ারি টেল বা গল্পের শেষটা একটু বিষণ্ন; কারণ, বাস্তবেও সব ভালোবাসা স্থায়ী হয় না।

বোহেমিয়ান ঘোড়ার দ্বিতীয় সিজন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?

প্রাথমিকভাবে ভাবছি নতুন সিজনের কথা। যদি দর্শকের আগ্রহ ও ভালোবাসা অব্যাহত থাকে, তাহলে নিশ্চয় দ্বিতীয় সিজনের গল্প নিয়ে বসা যাবে। আব্বাসের জীবন তো এখানেই শেষ না।

চারদিকে যখন রহস্য, থ্রিলার, অ্যাকশনের জয়জয়কার, তখন কি এমন একটা গল্পনির্ভর সিরিজ বানানো ঝুঁকি মনে হয়নি?

অবশ্যই ঝুঁকি মনে হয়েছে, ঝুঁকি ছিল। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, বাংলার দর্শক শুধু রহস্য বা অ্যাকশনেই আটকে নেই। তারা গল্প চায়—ভালো গল্প, নতুন আঙ্গিকের গল্প। সে বিশ্বাস থেকেই সাহস করেছি এমন গল্পনির্ভর একটি সিরিজ বানানোর।

সিনেমা নিয়ে নতুন কোনো খবর আছে?

একটা নতুন ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে আছি, তাই এখনই বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে এবারের গল্পটা একটু গভীর, আরেকটু নিরীক্ষাধর্মী।

ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখার সুযোগ হয়েছে?

না, এখনো সব দেখা হয়নি। তবে যেগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেগুলো অবশ্যই দেখতে চাই।

কদিন আগে দেখলাম, ‘ইন আ রিলেশনশিপ’ স্ট্যাটাস দিয়েছেন?

(হাসি) ব্যক্তিগত জীবন কিছুটা ব্যক্তিগতই রাখতে চাই। তবে হ্যাঁ, নতুন একটা সম্পর্কের শুরু হয়েছে। সময় বলে দেবে বাকিটা।

বেশ লম্বা সময় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, কী করছেন? ওখানে স্থায়ী হওয়ার কোনো পরিকল্পনা আছে?

হ্যাঁ, কিছুদিন হলো এখানে আছি। সিনেমা আর লেখালেখি নিয়ে সময় কাটাচ্ছি। নিউইয়র্ক আমার প্রিয় শহর। তবে চূড়ান্তভাবে থাকার ভাবনা নাই। এই শহরটা আমাদের মতো গল্পকারদের জন্য এক আশ্চর্য ল্যাবরেটরি—প্রতিদিন শিখছি, দেখছি, ভাঙছি, গড়ছি। আমাদের জানা-পড়া একটু কম, তাই সময় নিচ্ছি নিজেকে আরও একটু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য। এই সময়টাকে আত্মশুদ্ধির, আত্মসন্ধানের মতো করে নিচ্ছি। যখন মনে হবে পরের সিনেমার জন্য মানুষ তৈরি, প্রযোজক তৈরি, তখনই ফিরব আলোছায়ার খেলায়। স্থায়ীভাবে (যুক্তরাষ্ট্রে) থাকব কি না, সেটা এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে নিউইয়র্ক আমাকে অনেক কিছু শেখাচ্ছে।

দেশে ফিরবেন কবে?

নতুন করে পড়াশোনায় যোগ দিচ্ছি। শেষ হলে ফিরব।

আপনার ‘সিনেমা পাঠশালা’ কেমন চলছে? জুলাইতে নতুন ব্যাচ শুরু করবেন শুনলাম। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।

সিনেমা পাঠশালা আমার একান্ত স্বপ্নের জায়গা। জুলাইতে ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু হবে, প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এটা শুধুই একটা ক্লাসরুম না, একটা আড্ডা, একটা চর্চাকেন্দ্র, একটা নির্মাণশালা, যেখানে সিনেমার ভাষা নিয়ে নাড়াচাড়া করা যায়, ঝুঁকি নেওয়া যায়। এখানে শেখার চেয়ে প্রশ্ন করাটাকে বেশি গুরুত্ব দিই। ক্লাসরুমের কাঠামোটা খুব অলটারনেটিভ—নির্দিষ্ট পাঠ্যবই নেই, বরং বাস্তব অভিজ্ঞতা, বিশ্ব সিনেমার চর্চা, ছাত্রদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোবিজ তারকাদের শোক

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত
শাকিব, অপু বিশ্বাস ও জেমস। ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।

ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’

শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’

জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’

অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’

শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’

সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’

নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’

অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফরিদা পারভীনের জন্মদিনে শিল্পকলায় বিশেষ আয়োজন

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদা পারভীন। ছবি: সংগৃহীত

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।

আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।

ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।

এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুভমিতা ও ঊষা উত্থুপের কণ্ঠে সাবরিনার গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শুভমিতা, সাবরিনা রুবিন ও ঊষা উত্থুপ। ছবি: সংগৃহীত
শুভমিতা, সাবরিনা রুবিন ও ঊষা উত্থুপ। ছবি: সংগৃহীত

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছেন লেখক ও গীতিকার ডা. সাবরিনা রুবিন। রাশিয়া, আমেরিকা, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গান। তাঁর লেখা নতুন দুই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের কণ্ঠশিল্পী শুভমিতা ও ঊষা উত্থুপ। শুভমিতা গেয়েছেন ‘এখানেই সব কিছু শেষ হোক’ শিরোনামের গান। সংগীত আয়োজন করেছেন কলকাতার দেব গৌতম। সম্প্রতি দেব গৌতমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে গানটি। এ ছাড়া নতুন বছরের শুরুতে প্রকাশ পাবে সাবরিনার লেখা ঊষা উত্থুপের গাওয়া নতুন একটি গান।

সাবরিনা বলেন, ‘শুভমিতার গাওয়া গানটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। নতুন বছরে আসছে আমার লেখা ও ঊষা উত্থুপের গাওয়া নতুন গান। আমার বিশ্বাস, এ গানটিও শ্রোতাদের মন জয় করবে।’

বাংলাদেশে সাবরিনার লেখা গান গেয়েছেন শুভ্র দেব, শান শায়খ, তাসনিম স্বর্ণাসহ অনেকে। ভারতের মালয়ালাম সিনেমায়ও কাজ করেছেন সাবরিনা। পাশাপাশি তামিল সিনেমায় বাংলা গীতিকথা লিখেছেন তিনি। তাঁর গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা, ঊষা উত্থুপ, দেব গৌতমসহ অনেকে।

সাহিত্য অঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাবরিনা রুবিন পেয়েছেন ইয়াসির আরাফাত ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাওয়ার্ড, চেকভ ব্রোঞ্জ অনার, গুজরাট সাহিত্য একাডেমি অ্যাওয়ার্ড ও মোটিভেশনাল স্ট্রিপস অনার, মুনির মেজিয়েদ অ্যাওয়ার্ড ইন লিটারেচার, তাজাকিস্তানের সিপে অ্যাওয়ার্ড, রবীন্দ্রনাথ সম্মাননাসহ অনেক আন্তর্জাতিক সম্মাননা। আমাজন প্রকাশ করেছে তাঁর লেখা গায়ক শুভ্র দেবের বায়োগ্রাফি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন প্রজন্মের গল্পে নতুন ধারাবাহিক ‘পরম্পরা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সংবাদ সম্মেলনে ‘পরম্পরা’র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ সম্মেলনে ‘পরম্পরা’র শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতে নতুন ধারাবাহিক নিয়ে আসছে দীপ্ত টিভি। তিন প্রজন্মের জীবনবোধ, মূল্যবোধ ও সম্পর্কের টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে নির্মিত ধারাবাহিকটির নাম ‘পরম্পরা’। পরিচালনা করেছেন আশিস রায়। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, শতাব্দী ওয়াদুদ, সুষমা সরকার, শাফিউল রাজ, নূপুর আহসান, জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল, কাজী রাজু, মিলি বাসার, সানজিদা মিলা, শানারেই দেবী শানু প্রমুখ। ৩ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহের শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে ধারাবাহিকটি।

পরম্পরার চিত্রনাট্য লিখেছেন আফিফা মোহসিনা অরণি, সংলাপ রচনা করেছেন সরোয়ার সৈকত। গল্পে দেখা যাবে ইংল্যান্ডে বেড়ে ওঠা নাহিয়ান দীর্ঘদিন পর ঢাকায় ফিরে এসে নিজেকে নতুন সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায়। তার আধুনিক জীবনযাপন ও চিন্তাভাবনার সঙ্গে যৌথ পরিবারের সদস্যদের ঐতিহ্যগত দৃষ্টিভঙ্গির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একই ছাদের নিচে তিন প্রজন্মের ভালোবাসা, সংঘাত, মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং সম্পর্কের গভীরতা ধীরে ধীরে গল্পকে নিয়ে যায় নানা আবেগী মোড়ে।

নতুন এই ধারাবাহিক নিয়ে গতকাল দীপ্ত টিভির প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন দীপ্ত টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফারুক, পরিচালক আশিস রায়, দীপ্ত টিভির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ পরম্পরার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। সেখানে ধারাবাহিকটির বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত