এ টি এম শামসুজ্জামান ও প্রবীর মিত্র—দুই বন্ধুর কেউ আজ পৃথিবীতে নেই। তবে তাঁরা থেকে যাবেন চিরদিন—অভিনয় দিয়ে, মানবিকতা দিয়ে। বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি আজীবন স্মরণ করবে তাঁদের অবদান। শুধু শিল্পকর্ম দিয়ে নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে বিরল বন্ধুত্বের যে উদাহরণ তৈরি করেছেন তাঁরা; তা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
হরিহর আত্মা হলেও ছোটবেলা থেকে দুজনের আগ্রহ ছিল ভিন্ন দুই দিকে। প্রবীর সারাক্ষণ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি আর দুরন্তপনায় কেটে যেত বেলা। অন্যদিকে এ টি এম ছিলেন শান্ত, চুপচাপ। বই পড়া, লেখালেখি, ক্লাস পালিয়ে রূপমহলে সিনেমা দেখা—এসবই ছিল আগ্রহের কেন্দ্রে। এই ভিন্ন চরিত্রের দুই বন্ধু পরবর্তী সময়ে কীভাবে প্রতিষ্ঠা পেলেন অভিনেতা হিসেবে, চলচ্চিত্রের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ পেশায় থেকেও কীভাবে অটুট রাখলেন নিজেদের বন্ধুত্ব, যে সম্পর্ক টিকে ছিল আজীবন—সে গল্পই শোনাচ্ছি আজ।
ব্যবহারই কাছে টেনেছে
ক্লাসে তো আরও অনেকে ছিল। সবাইকে ছাপিয়ে প্রবীর মিত্রের সঙ্গে এ টি এমের বন্ধুত্বটা গাঢ় হওয়ার একটাই কারণ—ভালো ব্যবহার। বাংলাভিশনের ‘আমার আমি’ অনুষ্ঠানে এ টি এম স্মৃতিচারণা করেছিলেন এভাবে, ‘তখন স্কুলে একসঙ্গে, একই ক্লাসে। ও জমিদারের পুত্র। খানদানি জমিদার ওরা। বংশ আমাদেরও ভালো; কিন্তু আমরা জমিদার না। ওর সবচেয়ে বড় জিনিস হলো—ভালো ব্যবহার। ওর ব্যবহারই আমাকে ওর কাছাকাছি টেনে নিয়ে এসেছে।’
প্রবীরকে নিয়ে আসেন এ টি এম
বন্ধুর আগ্রহ ও উৎসাহে অভিনয়ে পা রাখেন প্রবীর মিত্র। তিনি বলেন, ‘আমার চেয়ে অনেক বছর আগে থেকে এ টি এম শামসুজ্জামান কালচারাল লাইনের সঙ্গে জড়িত। সে নাটকে যখন গেছে, তখনো আমার কোনো আকর্ষণ ছিল না অভিনয়ে। নাটকে সে প্রম্পট করত, অভিনয় করত। একসময় সে উদয়ন চৌধুরীর সহকারী হলো। সেখান থেকে তার সিনেমার শুরু। এসব করে ও যখন সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত, তখন আমার এন্ট্রি।’
প্রবীর মিত্র অভিনয় শুরু করেন এইচ আকবরের ‘জলছবি’ দিয়ে। এই সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ এ টি এম শামসুজ্জামানের লেখা। এতে চিকিৎসকের ছোট এক চরিত্র ছিল, তাতে অভিনয়ের জন্য প্রবীরকে ডেকে নেন এ টি এম। স্পোর্টসম্যান প্রবীরের মনে যে অভিনয়ের সুপ্ত বাসনা আছে, সেটা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন বন্ধু।
এ টি এমের মুখেই শোনা যাক গল্পটা, ‘ও তখন তপন সিংহের “আপনজন” দেখে এসেছে। খুব সুন্দর করে গল্পটা বলত। আমি বুঝতে পারতাম, ও অভিনয় করতে চায়। তারপর জলছবিতে ওকে ছোট একটা ক্যারেক্টার দেওয়া হলো। এই ছোট চরিত্রে ওর অভিনয় দেখে মনে হলো, প্রবীর ভালো অভিনয় করবে। তারপর ওকে ‘‘জীবনতৃষ্ণা’’য় অজয়ের ক্যারেক্টারটা দিলাম। তাতে একটা গান আছে, এই আঁধার কখনো যাবে না মুছে আমার পৃথিবী থেকে। এই গানটা দিয়ে প্রবীর মিত্র বাংলাদেশের বিখ্যাত একজন আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত হলো।’
এ টি এমের যে উপদেশ কখনো ভোলেননি
শুধু তো বন্ধু নয়, প্রবীর মিত্রের সবচেয়ে বড় সমালোচকও ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান। আপাদমস্তক ভদ্রলোক প্রবীর কারও মুখের ওপর কথা বলতে পারতেন না, এটা নিয়ে খেপতেন এ টি এম। প্রবীর মিত্রের কথায়, ‘“আমাকে ও প্রায়ই বলত, তুমি একটা মূর্খ। স্পষ্ট কথা মুখের ওপর বলতে পারো না। তুমি একটা কাপুরুষ।” আমি কাউকে হার্ট করতে পারতাম না। এটা ওর পছন্দ ছিল না। বলত, তুমি প্রতিবাদ করো না কেন?’
এ টি এমের যাবতীয় সমালোচনা হাসিমুখে মেনে নিতেন প্রবীর মিত্র। বুঝতেন, এসবই ভালোবাসার প্রকাশ। বন্ধুর একটা উপদেশ আজীবন মনে রেখেছেন প্রবীর। ওই উপদেশই মানুষ হিসেবে আরও ঋদ্ধ করেছে তাঁকে। কী সেটা? শোনা যাক প্রবীর মিত্রের মুখে, ‘ওর একটা উপদেশ আমি ভুলি না। ও বলেছে, “প্রবীর, অহংকার করবে না। অহংকার হচ্ছে আল্লাহর চাদর। সেই চাদর স্পর্শ করলে আল্লাহ খেপে যান। তুমি অহংকার কোনো দিন করবে না।” এই উপদেশটা আমি কখনো ভুলি না।’
শুধু বন্ধু নয়, পরিবার
এ টি এম প্রায়ই বলতেন, ‘প্রবীর শুধু আমার বন্ধু না, আমার পারিবারিক সদস্য।’ এর কারণ হিসেবে একটি ঘটনার উদাহরণ টেনেছিলেন তিনি। একবার আউটডোর শুটিংয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রীকে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন এ টি এম। কয়েক দিন বাদে ফিরে এসে শোনেন, টাকাটা প্রবীর মিত্র নিয়ে গেছেন। এ টি এম ভাবলেন, হয়তো হঠাৎ কোনো দরকার পড়েছে তাঁর। স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন, ঘটনা তা নয়। বন্ধুর নামে জমি কেনার জন্যই টাকা নিয়ে গেছেন তিনি।
এ টি এম বলেন, ‘দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলাম, তুমি জমি কেনার জন্য টাকা নিলে কেন? আমার জমির দরকার আছে? ও বলল, “আমি কিনলাম, তুমি কিনবে না? আরও টাকা দিতে হবে।” চিন্তায় পড়ে গেলাম, আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, এত টাকা কোথায় পাব? একটু একটু করে শোধ করলাম, এভাবে ও আমাকে একটা জমি কিনে দিল। এ রকম বন্ধু আপনি কোথায় পাবেন? বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম ফ্রেন্ডশিপ জীবনেও হবে না।’
নির্বাচন নিয়ে মান-অভিমান
দীর্ঘ বছরের বন্ধুত্বে এক দিনের জন্যও ঝগড়া হয়নি তাঁদের। এ টি এম বলেন, ‘ও এত চালাক, ওর সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা, মান-অভিমান করতে পারবেন না। সামনে গেলেই বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরবে। কী করে ঝগড়া করবেন! ওর সঙ্গে তো ঝগড়াই হয়নি আমার আজ পর্যন্ত।’ একবার প্রবীর মিত্রের ওপর ভীষণ খেপে গিয়েছিলেন এ টি এম। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এ টি এমের বিরোধী প্যানেলে দাঁড়িয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এ টি এম। রেগে গিয়ে প্রবীরকে দু-কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন, ‘তুমি প্রবীর মিত্র না, তুমি প্রবীর শত্রু।’ সেবারও জবাবে হাসিমুখই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রবীর মিত্র।
এ টি এম বলতেন, ‘বন্ধুত্ব ধরে রাখা যায় না। বন্ধু বন্ধুর মাঝে লীন হয়ে যায়, একাত্ম হয়ে যায়। ওর এমন গুণ, আমাকে বাধ্য করেছে ওকে ভালোবাসতে। আজকে প্রবীর মিত্র না থাকলে দেখবেন, আমি এ টি এম নাই। আর আমি যেদিন থাকব না, আমি জানি, সেদিন প্রবীর মিত্রের এই কষ্টটাই হবে।’

কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
হরিহর আত্মা হলেও ছোটবেলা থেকে দুজনের আগ্রহ ছিল ভিন্ন দুই দিকে। প্রবীর সারাক্ষণ খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি আর দুরন্তপনায় কেটে যেত বেলা। অন্যদিকে এ টি এম ছিলেন শান্ত, চুপচাপ। বই পড়া, লেখালেখি, ক্লাস পালিয়ে রূপমহলে সিনেমা দেখা—এসবই ছিল আগ্রহের কেন্দ্রে। এই ভিন্ন চরিত্রের দুই বন্ধু পরবর্তী সময়ে কীভাবে প্রতিষ্ঠা পেলেন অভিনেতা হিসেবে, চলচ্চিত্রের মতো প্রতিযোগিতাপূর্ণ পেশায় থেকেও কীভাবে অটুট রাখলেন নিজেদের বন্ধুত্ব, যে সম্পর্ক টিকে ছিল আজীবন—সে গল্পই শোনাচ্ছি আজ।
ব্যবহারই কাছে টেনেছে
ক্লাসে তো আরও অনেকে ছিল। সবাইকে ছাপিয়ে প্রবীর মিত্রের সঙ্গে এ টি এমের বন্ধুত্বটা গাঢ় হওয়ার একটাই কারণ—ভালো ব্যবহার। বাংলাভিশনের ‘আমার আমি’ অনুষ্ঠানে এ টি এম স্মৃতিচারণা করেছিলেন এভাবে, ‘তখন স্কুলে একসঙ্গে, একই ক্লাসে। ও জমিদারের পুত্র। খানদানি জমিদার ওরা। বংশ আমাদেরও ভালো; কিন্তু আমরা জমিদার না। ওর সবচেয়ে বড় জিনিস হলো—ভালো ব্যবহার। ওর ব্যবহারই আমাকে ওর কাছাকাছি টেনে নিয়ে এসেছে।’
প্রবীরকে নিয়ে আসেন এ টি এম
বন্ধুর আগ্রহ ও উৎসাহে অভিনয়ে পা রাখেন প্রবীর মিত্র। তিনি বলেন, ‘আমার চেয়ে অনেক বছর আগে থেকে এ টি এম শামসুজ্জামান কালচারাল লাইনের সঙ্গে জড়িত। সে নাটকে যখন গেছে, তখনো আমার কোনো আকর্ষণ ছিল না অভিনয়ে। নাটকে সে প্রম্পট করত, অভিনয় করত। একসময় সে উদয়ন চৌধুরীর সহকারী হলো। সেখান থেকে তার সিনেমার শুরু। এসব করে ও যখন সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত, তখন আমার এন্ট্রি।’
প্রবীর মিত্র অভিনয় শুরু করেন এইচ আকবরের ‘জলছবি’ দিয়ে। এই সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ এ টি এম শামসুজ্জামানের লেখা। এতে চিকিৎসকের ছোট এক চরিত্র ছিল, তাতে অভিনয়ের জন্য প্রবীরকে ডেকে নেন এ টি এম। স্পোর্টসম্যান প্রবীরের মনে যে অভিনয়ের সুপ্ত বাসনা আছে, সেটা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন বন্ধু।
এ টি এমের মুখেই শোনা যাক গল্পটা, ‘ও তখন তপন সিংহের “আপনজন” দেখে এসেছে। খুব সুন্দর করে গল্পটা বলত। আমি বুঝতে পারতাম, ও অভিনয় করতে চায়। তারপর জলছবিতে ওকে ছোট একটা ক্যারেক্টার দেওয়া হলো। এই ছোট চরিত্রে ওর অভিনয় দেখে মনে হলো, প্রবীর ভালো অভিনয় করবে। তারপর ওকে ‘‘জীবনতৃষ্ণা’’য় অজয়ের ক্যারেক্টারটা দিলাম। তাতে একটা গান আছে, এই আঁধার কখনো যাবে না মুছে আমার পৃথিবী থেকে। এই গানটা দিয়ে প্রবীর মিত্র বাংলাদেশের বিখ্যাত একজন আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত হলো।’
এ টি এমের যে উপদেশ কখনো ভোলেননি
শুধু তো বন্ধু নয়, প্রবীর মিত্রের সবচেয়ে বড় সমালোচকও ছিলেন এ টি এম শামসুজ্জামান। আপাদমস্তক ভদ্রলোক প্রবীর কারও মুখের ওপর কথা বলতে পারতেন না, এটা নিয়ে খেপতেন এ টি এম। প্রবীর মিত্রের কথায়, ‘“আমাকে ও প্রায়ই বলত, তুমি একটা মূর্খ। স্পষ্ট কথা মুখের ওপর বলতে পারো না। তুমি একটা কাপুরুষ।” আমি কাউকে হার্ট করতে পারতাম না। এটা ওর পছন্দ ছিল না। বলত, তুমি প্রতিবাদ করো না কেন?’
এ টি এমের যাবতীয় সমালোচনা হাসিমুখে মেনে নিতেন প্রবীর মিত্র। বুঝতেন, এসবই ভালোবাসার প্রকাশ। বন্ধুর একটা উপদেশ আজীবন মনে রেখেছেন প্রবীর। ওই উপদেশই মানুষ হিসেবে আরও ঋদ্ধ করেছে তাঁকে। কী সেটা? শোনা যাক প্রবীর মিত্রের মুখে, ‘ওর একটা উপদেশ আমি ভুলি না। ও বলেছে, “প্রবীর, অহংকার করবে না। অহংকার হচ্ছে আল্লাহর চাদর। সেই চাদর স্পর্শ করলে আল্লাহ খেপে যান। তুমি অহংকার কোনো দিন করবে না।” এই উপদেশটা আমি কখনো ভুলি না।’
শুধু বন্ধু নয়, পরিবার
এ টি এম প্রায়ই বলতেন, ‘প্রবীর শুধু আমার বন্ধু না, আমার পারিবারিক সদস্য।’ এর কারণ হিসেবে একটি ঘটনার উদাহরণ টেনেছিলেন তিনি। একবার আউটডোর শুটিংয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রীকে কিছু টাকা দিয়ে গিয়েছিলেন এ টি এম। কয়েক দিন বাদে ফিরে এসে শোনেন, টাকাটা প্রবীর মিত্র নিয়ে গেছেন। এ টি এম ভাবলেন, হয়তো হঠাৎ কোনো দরকার পড়েছে তাঁর। স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন, ঘটনা তা নয়। বন্ধুর নামে জমি কেনার জন্যই টাকা নিয়ে গেছেন তিনি।
এ টি এম বলেন, ‘দেখা হতেই জিজ্ঞেস করলাম, তুমি জমি কেনার জন্য টাকা নিলে কেন? আমার জমির দরকার আছে? ও বলল, “আমি কিনলাম, তুমি কিনবে না? আরও টাকা দিতে হবে।” চিন্তায় পড়ে গেলাম, আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, এত টাকা কোথায় পাব? একটু একটু করে শোধ করলাম, এভাবে ও আমাকে একটা জমি কিনে দিল। এ রকম বন্ধু আপনি কোথায় পাবেন? বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ রকম ফ্রেন্ডশিপ জীবনেও হবে না।’
নির্বাচন নিয়ে মান-অভিমান
দীর্ঘ বছরের বন্ধুত্বে এক দিনের জন্যও ঝগড়া হয়নি তাঁদের। এ টি এম বলেন, ‘ও এত চালাক, ওর সঙ্গে কোনো ধরনের শত্রুতা, মান-অভিমান করতে পারবেন না। সামনে গেলেই বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরবে। কী করে ঝগড়া করবেন! ওর সঙ্গে তো ঝগড়াই হয়নি আমার আজ পর্যন্ত।’ একবার প্রবীর মিত্রের ওপর ভীষণ খেপে গিয়েছিলেন এ টি এম। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এ টি এমের বিরোধী প্যানেলে দাঁড়িয়েছিলেন প্রবীর মিত্র। বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি এ টি এম। রেগে গিয়ে প্রবীরকে দু-কথা শুনিয়ে দিয়েছিলেন, ‘তুমি প্রবীর মিত্র না, তুমি প্রবীর শত্রু।’ সেবারও জবাবে হাসিমুখই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রবীর মিত্র।
এ টি এম বলতেন, ‘বন্ধুত্ব ধরে রাখা যায় না। বন্ধু বন্ধুর মাঝে লীন হয়ে যায়, একাত্ম হয়ে যায়। ওর এমন গুণ, আমাকে বাধ্য করেছে ওকে ভালোবাসতে। আজকে প্রবীর মিত্র না থাকলে দেখবেন, আমি এ টি এম নাই। আর আমি যেদিন থাকব না, আমি জানি, সেদিন প্রবীর মিত্রের এই কষ্টটাই হবে।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। শোক জানিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শৈশবের স্মৃতি ভাগ করেছেন সংগীতশিল্পী সাজিয়া সুলতানা পুতুল।
খালেদা জিয়াকে প্রথমবার দেখার স্মৃতি জানিয়ে ফেসবুকে পুতুল লেখেন, ‘জীবনে প্রথম তাঁকে দেখেছিলাম শৈশবে; ছুঁয়েছিলাম তাঁর তুলতুলে হাত। কী অভূতপূর্ব সেই অনুভূতি! বিজয়ী হয়ে যত না আনন্দ হয়েছিল, তার চাইতে কোনো অংশে কম ছিল না তাঁকে ছুঁতে পারার আনন্দ। পুরস্কার নিতে নিতে তাকিয়েছিলাম তাঁর চোখ দুটোর দিকে। মনে হয়েছিল এক মোম দিয়ে গড়া মানবী আমার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছেন। ধূসর চুল আর শুভ্র শাড়িতে মনে হয়েছিল রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে বোধ হয় এতটাই আভিজাত্য নিজের ভেতর ধারণ করতে হয়।’
বড় হওয়ার পার খালেদা জিয়ার সামনে গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে পুতুলের। সেই স্মৃতির কথা জানিয়ে পুতুল লেখেন, ‘বড় হওয়ার পর আবার গান গেয়েছি তাঁর সামনে। তত দিনে সংগীতাঙ্গনে পেশাদার শিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করেছি। তিনি মঞ্চে বসে, তার ঠিক কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে একই মঞ্চে গাইছি। তিনি আদর করেছিলেন সেদিন আমার পরিবেশনা শেষে। বুঝেছিলাম তিনি একজন সংস্কৃতিপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী।’
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পুতুল লেখেন, ‘একটা অধ্যায়ের শেষ হলো। বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ওপারে চলে গেছেন, যিনি এ দেশের লাখো তরুণীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সাধারণ একজন গৃহবধূ হয়েও আত্মবিশ্বাসের জোরে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায়। শুধু অসাধারণ নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও অসম্ভব কিছু নয়। জন্ম থেকে রাজনীতির কেবল দীর্ঘ প্রেক্ষাপট থাকলেই প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়, এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে নিজের প্রজ্ঞা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে তিনবার তিনি হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভালো থাকবেন মাননীয়া। ইতিহাস আপনাকে মনে রাখবে...।’

কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অভিনেত্রী জয়া আহসান বলেন, খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন।
ফেসবুকে জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য।’
জয়া আরও লেখেন, ‘রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বেগম জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। আজ ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টার মারা যান তিনি।

কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

আজ ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা নগরবাউল জেমস লেখেন, ‘শোক ও বিনম্র শ্রদ্ধা। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বোচ্চ মাকামে অধিষ্ঠিত করেন—আমিন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।’
শাকিব খান লেখেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
জয়া আহসান লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন। সামনে নির্বাচন আর গণতন্ত্রের জন্য মানুষ অপেক্ষা করছে। তাঁর উপস্থিতির মূল্যই ছিল অসামান্য। রাজনীতিতে মত-পথের বিরোধ থাকবে। কিন্তু সামরিক শাসনবিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া ছিলেন প্রধান একটি চরিত্র, সাহসে ও নেতৃত্বে উজ্জ্বল। তাঁর সঙ্গে দেশের দীর্ঘ রাজনৈতিক আন্দোলনের একটি অধ্যায় শেষ হলো। তাঁর আত্মা চিরপ্রশান্তি লাভ করুক।’
অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই চিরবিদায় যেন মহাকালের সাক্ষী হয়ে রইল। একজন মহীয়সী নারীর প্রস্থান যেন যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে লেখা থাকবে। বিনম্র শ্রদ্ধা।’
শবনম বুবলী লেখেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাঁর বিদেহী আত্মা চিরশান্তিতে থাকুক। আমিন।’
সিয়াম আহমেদ লেখেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করুন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।’
নির্মাতা আশফাক নিপুন লেখেন, ‘আল্লাহ আপনাকে জান্নাত নসিব করুন। আপনি ছিলেন ধৈর্য, আভিজাত্য এবং হার না মানার এক অনন্য প্রতীক; এমনকি প্রতিপক্ষের অমানবিক আচরণের মুখেও আপনি দমে যাননি। এই জাতি আপনাকে সব সময় গর্বের সঙ্গে মনে রাখবে।’
অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন খালেদা জিয়া। ভুগছিলেন শারীরিক বিভিন্ন জটিলতায়। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন চিকিৎসাধীন। সেখানেই মারা যান তিনি।

কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন...
১৫ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

শিষ্যদের মাঝে বেঁচে থাকতে চেয়েছেন লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। তাই লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন অচিন পাখি সংগীত একাডেমি। মনের বাসনা ব্যক্ত করে ফরিদা পারভীন বলেছিলেন, ‘সাঁইজি যেমন তাঁর শিষ্যদের মাঝে বেঁচে আছেন, আমার মাঝে আমার গুরু বেঁচে আছেন, তেমনি আমার অচিন পাখির ছাত্রছাত্রীদের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।’ আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর ফরিদা পারভীনের জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে তাঁর গড়া অচিন পাখি সংগীত একাডেমি।
আগামীকাল বুধবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে থাকবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। আমন্ত্রিত অতিথিরা কথায় কথায় তুলে ধরবেন শিল্পীর জীবনের নানা অধ্যায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন। উদ্বোধন করবেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। সভাপতিত্ব করবেন ফরিদা পারভীনের জীবনসঙ্গী ও বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। পাঁচ বছর বয়সে মাগুরায় কমল চক্রবর্তীর কাছে গানের হাতেখড়ি ফরিদা পারভীনের। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তাঁর পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়। ক্যারিয়ারে নজরুলগীতি, দেশাত্মবোধকসহ নানা ধরনের গান করলেও তিনি মূলত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন লালনসংগীতে। সংগীতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফরিদা পারভীন পেয়েছেন একুশে পদক (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩), জাপানের ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ (২০০৮) অসংখ্য পুরস্কার।
এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফরিদা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি।

কাছাকাছি বয়সী তাঁরা। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন। প্রবীর মিত্রের বছর দুয়েকের বড় এ টি এম শামসুজ্জামান। বয়সের সামান্য পার্থক্য থাকলেও পড়েছেন তাঁরা একই ক্লাসে, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী পোগোজ স্কুলে। প্রবীর মিত্রের ভাষায়, ‘আমরা দুজন ক্লাস টুয়ের হাফপ্যান্ট পরা বন্ধু।’
০৯ জানুয়ারি ২০২৫
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দেশজুড়ে। শোক প্রকাশ করে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন সংগীতশিল্পী পুতুল।
৯ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। শোক জানাচ্ছেন শোবিজের তারকারাও।
১১ ঘণ্টা আগে