Ajker Patrika

প্রায় ৪ হাজার শিল্পীর ইসরায়েল বয়কটের সিদ্ধান্ত, প্যারামাউন্ট পিকচার্সের বিরোধিতা

বিনোদন ডেস্ক
এমা স্টোন ও হোয়াকিন ফিনিক্স। ছবি: সংগৃহীত
এমা স্টোন ও হোয়াকিন ফিনিক্স। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতা ও গণহত্যার বিরুদ্ধে ৮ সেপ্টেম্বর একযোগে প্রতিবাদ জানান শিল্পীরা। হলিউডসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ১ হাজার ২০০-র বেশি শিল্পী এবং নির্মাতা ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি কোনো ইনস্টিটিউশন কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করবেন না তাঁরা। ইসরায়েলি নির্মাতাদের কোনো সিনেমায় অভিনয় করবেন না বলেও সিদ্ধান্ত জানান শিল্পীরা।

কয়েক দিনের মধ্যেই এ তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৯০০-র বেশি শিল্পী এবং নির্মাতা একজোট হয়েছেন ইসরায়েলি সিনেমা বয়কটের সিদ্ধান্তে। তাঁদের মধ্যে অনেকে আছেন, যাঁরা অস্কার, বাফটা, এমি, পাম দ্য’রসহ বিভিন্ন পুরস্কার বিজয়ী। তবে শিল্পী ও নির্মাতাদের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে হলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্ট পিকচার্স।

প্যারামাউন্টের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মেলিসা জুকারম্যানের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি নির্মাতাদের বয়কটের যে চেষ্টা চলছে, আমরা সেটার সঙ্গে একমত নই। জাতীয়তার ভিত্তিতে শিল্পীদের বয়কট করার যে প্রবণতা, এটা কখনো ভালো কিছু বয়ে আনবে না। সারা বিশ্বের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির উচিত, শিল্পীদের খোলামনে তাঁদের গল্প বলতে দেওয়া।’

শিল্পী ও নির্মাতাদের ইসরায়েল বয়কটের ঘোষণায় নড়েচড়ে বসেছে দেশটির প্রযোজক সমিতিও। ইসরায়েলি প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, ‘বয়কটের ডাক দেওয়া এসব শিল্পী ও নির্মাতা ভুল লোকজনদের টার্গেট করছেন। কয়েক দশক ধরে আমরা ইসরায়েলি শিল্পী, গল্পকার ও নির্মাতারা ইসরায়েলি রাষ্ট্রনীতির যেমন সমালোচনা করছি, তেমনি ফিলিস্তিনিদের বক্তব্যও তুলে আনছি। আমরা ফিলিস্তিনি নির্মাতাদের সঙ্গেও কাজ করি, এ অঞ্চলে সহিংসতা বন্ধ এবং শান্তি আনার চেষ্টা করছি। ইসরায়েলি ইন্ডাস্ট্রিকে বয়কটের এই সিদ্ধান্ত বিভ্রান্তিকর।’

ফিল্ম ওয়ার্কার্স ফর প্যালেস্টাইন নামের সংগঠনের ব্যানারে ৮ সেপ্টম্বর শিল্পীরা ঘোষণা দেন, ইসরায়েলি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সিনেমায় অভিনয় থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি দেশটিতে আয়োজিত কোনো চলচ্চিত্র উৎসবেও অংশ নেবেন না তাঁরা। ফলে জেরুজালেম ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, হাইফা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ডোকাভিভ বা তেল আবিব ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং টিএলভি ফেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে দেখা যাবে না এসব শিল্পীকে। থাকবে না তাঁদের নির্মিত কিংবা অভিনীত কোনো সিনেমা।

ফিল্ম ওয়ার্কার্স ফর প্যালেস্টাইনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এমন সংকটময় মুহূর্তে, যখন বিভিন্ন দেশের সরকার এই গণহত্যায় মদদ জুগিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এই ভয়াবহতাকে রুখে দিতে আমরা সবকিছু করব। ইসরায়েলি সিনেমার প্রযোজনা ও পরিবেশক প্রতিষ্ঠান, বিক্রয় এজেন্টসহ দেশটির সিনেমার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কখনো ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকারকে সমর্থন করেনি।’

ইসরায়েলকে বয়কটের ডাক দেওয়া এসব নির্মাতার তালিকায় আছেন ইয়র্গোস ল্যান্থিমোস, আভা ডুভার্নে, অ্যাডাম ম্যাককে, বুটস রিলে, এমা সেলিগম্যান, জোশুয়া ওপেনহাইমার, মাইক লেই প্রমুখ। অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় আছেন এমা স্টোন, অলিভিয়া কোলম্যান, আয়ো এডিবেরি, লিলি গ্ল্যাডস্টোন, মার্ক রাফেলো, হানাহ এইনবাইন্ডার, পিটার সারসগার্ড, আইমি লু উড, পাপা এসিডু, গ্যায়েল গার্সিয়া বার্নাল, রিজ আহমেদ, মেলিসা বারেরা, সিনথিয়া নিক্সন, টিল্ডা সুইনটন, জেভিয়ের বারডেম, জো অ্যালউইন, জশ ও’কনর প্রমুখ।

পরবর্তী সময়ে এ তালিকায় আরও যুক্ত হয়েছেন হোয়াকিন ফিনিক্স, নিকোলা কফলান, অ্যান্ড্রু গারফিল্ড, হ্যারিস ডিকিনসন, রোয়েন ইয়াং, গাই পিয়ার্স, জোনাথন গ্লেজার, অ্যাবি জ্যাকবসন, ভারতীয় নির্মাতা পায়েল কাপাডিয়া প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রুবাইয়াত হোসেনের সিনেমায় বাঁধন, শিমু ও সুনেরাহ

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে ‘দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড’ সিনেমা নিয়ে কাজ করছেন নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন। চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরেছেন বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক ফান্ড। অবশেষে জানা গেল এ সিনেমার অভিনয়শিল্পীদের নাম। দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমায় অভিনয় করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তিন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন, রিকিতা নন্দিনী শিমু ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। তাঁদের সঙ্গে আছেন জাইনিন করিম চৌধুরী। সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটিকে এমনটাই জানিয়েছেন নির্মাতা।

সিনেমাটির গল্পে দেখা যাবে, এক মেয়ের স্বপ্ন রূপকথার মতো আয়োজনে তার বিয়ে হবে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে এক জটিল রোগে ভুগছে। সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে। কোনো ফল না পাওয়ায় মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। একদিন বিউটি পারলারে গিয়ে লম্বা চুলের এক রহস্যময় নারীকে কল্পনায় দেখতে শুরু করে মেয়েটি।

ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে সিনেমাটির শুটিং। অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেক অভিনয়শিল্পী উজাড় করে দিয়েছেন। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছেন। আমি তাঁদের আস্থা, তাঁদের উদারতা, তাঁদের নিখুঁত শৈল্পিকতা এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের জন্য কৃতজ্ঞ।’ নির্মাতা জানান, গল্পটি নিয়ে প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করছেন তিনি। ২০০৬ সালে প্রথমে স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা হিসেবে নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড। পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত বদলে পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্মাণের পথে হাঁটেন।

রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘২১ বছর ধরে গল্পটি মনের মধ্যে রেখেছি, বারবার লিখেছি। আমার জীবনের অর্ধেক সময়জুড়ে আছে এই গল্প। অবশেষে একটা দুর্দান্ত টিম নিয়ে সিনেমাটি বানাতে পেরেছি। এটা আমার কাছে মিরাকলের মতো লাগছে।’

দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড সিনেমার চিত্রগ্রহণে আছেন পর্তুগিজ নির্মাতা লিওনর টেলস। অন্যান্য বিভাগেও কাজ করেছেন আন্তর্জাতিক কলাকুশলীরা। রুবাইয়াত হোসেনের সঙ্গে সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন ফ্রান্সের ফ্রাঁসোয়া ডি’আর্টেমারে, জার্মানির আন্না ক্যাচকো, পর্তুগালের পেড্রো বোর্গস, নরওয়ের ইনগার্ড লিল হটন।

১৩ ডিসেম্বর থেকে ফ্রান্সে শুরু হতে যাওয়া লেস আর্কস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস প্রোগ্রামে এই সিনেমার প্রকল্পটি প্রদর্শিত হবে। জানা গেছে, এখন চলছে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। ২০২৬ সালের মার্চ নাগাদ প্রস্তুত হবে দ্য ডিফিকাল্ট ব্রাইড। এর পর অংশ নেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এবার অপু বিশ্বাসের নায়ক সজল

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন আগে শবনম বুবলীর সঙ্গে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন আবদুন নূর সজল। সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করছেন রাশেদা আক্তার লাজুক। শাপলা শালুকের পর আরও এক সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন সজল। এবার তাঁর নায়িকা অপু বিশ্বাস। ১৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ‘দুর্বার’ নামের সিনেমার শুটিং। এটি পরিচালনা করছেন কামরুল হাসান ফুয়াদ।

দুর্বার সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত কথা বলতে চান না নির্মাতা। শুধু জানালেন, এটি নির্মিত হবে থ্রিলার ও মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে একটানা দৃশ্যধারণের কাজ শেষ করতে চান তিনি। এতে আরও অভিনয় করছেন জান্নাতুল নূর, সানজু জনসহ অনেকে। সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু।

শোনা যাচ্ছে, আগামী বছর কোরবানির ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হচ্ছে দুর্বার। নির্মাতা কামরুল হাসান ফুয়াদ বলেন, ‘আগে সিনেমার কাজ ভালোভাবে শেষ করতে চাই। এরপর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করব। আমাদের ইচ্ছা আছে কোনো একটি উৎসবে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার। তবে কোনো রকম তাড়াহুড়া করতে চাই না। আমাদের সবার উদ্দেশ্য, দর্শকদের ভালো একটি সিনেমা উপহার দেওয়া।’

জানা গেছে, এখন সিনেমার রিহার্সালে ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনয়শিল্পীরা। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে চান সজল ও অপু। শুটিং শুরুর আগে ১৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ফটোশুটে অংশ নেওয়ার কথা আছে তাঁদের।

সিনেমার পাশাপাশি ডাবিং আর্টিস্ট হিসেবেও ব্যস্ত সময় পার করছেন সজল। একাধিক বিদেশি সিরিয়ালের ডাবিং করছেন তিনি। এই মাধ্যমের কাজও দারুণ উপভোগ করছেন সজল। অন্যদিকে, কয়েক দিন আগে জানা গেছে অপু বিশ্বাসের আরও এক সিনেমার খবর। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘সিক্রেট’ নামে আরেক সিনেমায় অভিনয় করবেন তিনি। এতে অপুর নায়ক আদর আজাদ। দুর্বারের কাজ শেষ হওয়ার পর সিক্রেট সিনেমার শুটিং শুরু করবেন অপু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হঠাৎ অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৯
হঠাৎ অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান
মৌ খান

২০১৯ সালে ‘প্রতিশোধের আগুন’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মৌ খানের। সেই থেকে নিয়মিত কাজ করছেন শোবিজে। এখনো একাধিক সিনেমা রয়েছে তাঁর হাতে। হঠাৎ করেই অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিলেন মৌ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বাকিটা জীবন কাটাতে চান মৌ।

অভিনয়কে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়ে গতকাল ফেসবুকে মৌ খান লেখেন, ‘আমার এই দীর্ঘ অভিনয়জীবনে আপনাদের অসীম ভালোবাসা, সমর্থন ও দোয়া সব সময় গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ রাখব। তবে আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের জায়গা থেকে জানাতে চাই, আমি আর অভিনয় ক্যারিয়ারটি চালিয়ে যেতে চাই না।’

অভিনয় ছাড়ার কারণ জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণভাবেই আমার নিজস্ব ও ভেবেচিন্তে নেওয়া সিদ্ধান্ত। জীবনের বাকি পথ আমি আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী, নামাজ-কোরআন ও দ্বীনের আলোকে চলতে চাই। রাসুল (সা.)-এর সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরেই আমার পরবর্তী জীবন গড়ে তুলতে চাই।’

নতুন করে কোনো সিনেমায় আর চুক্তিবদ্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন মৌ খান। তবে হাতে থাকা অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করবেন। দ্রুত সেই কাজগুলো শেষ করতে পরিচালকদের অনুরোধ করেছেন তিনি। মৌ খান বলেন, ‘যে কয়েকটি কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে, সেগুলোর সম্মানিত পরিচালকদের প্রতি অনুরোধ, দয়া করে আপনারা সেগুলো সম্পন্ন করে নেবেন। আমার যতটুকু কাজ আছে, তা আমি শেষ করে দেব।’

সব শেষ গত অক্টোবরে মুক্তি পেয়েছিল মৌ খান অভিনীত সিনেমা ‘বান্ধব’। এখন কাজ করছেন ‘আবার হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’ এবং ‘তবুও প্রেম দামি’ সিনেমায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সৌদিতে সিনেমার উৎসবে ঐশ্বরিয়া

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৩
ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ঐশ্বরিয়া রাই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কয়েক বছর ধরে সৌদি আরব হয়ে উঠেছে বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। এ ক্ষেত্রে সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। ১০ দিনের এই উৎসবে ৫০টির বেশি দেশের ১০০টির বেশি সিনেমা প্রদর্শিত হবে।

প্রতিবছর রেড সি ফেস্টিভ্যালে হলিউড, বলিউডসহ আরববিশ্বের নামকরা অভিনয়শিল্পী-নির্মাতারা হাজির থাকেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে উৎসবের রেড কার্পেট হয়ে উঠেছিল তারকাময়। হাজির ছিলেন অ্যাড্রিয়েন ব্রডি, ঐশ্বরিয়া রাই, কার্স্টেন ডানস্ট, ভিন ডিজেল, জেসিকা আলবা, কুইন লতিফা, ডাকোটা জনসন, আনা ডি আরমাস, রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, উমা থারম্যান, কৃতি শ্যানন প্রমুখ। সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত করা হয় জুলিয়েট বিনোচে, স্যার মাইকেল কেইন, স্ট্যানলি টংয়ের মতো কিংবদন্তি শিল্পীদের।

উৎসবের প্রথম দিন এক ঘণ্টার বিশেষ সেমিনারে যোগ দেন ঐশ্বরিয়া রাই। সেখানে নিজের ক্যারিয়ারের নানা পর্যায় নিয়ে আলাপ করেন অভিনেত্রী। দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন। এই দীর্ঘ ক্যারিয়ারে যেসব সিনেমার জন্য প্রশংসিত হয়েছেন, যেসব সিনেমার কলাকুশলীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ঐশ্বরিয়া জানান, জীবনের সব পরিস্থিতিতে কখনোই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেননি তিনি। অন্যরা কী বলবে, এ চিন্তা না করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। তিনি বলেন, ‘কখনো অনিরাপদ বোধ করি না; যে কারণে আজকের এই অবস্থানে আসতে পেরেছি। চারপাশের নানা মানুষের নানা মত অনেক সময় মানুষের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে। কিন্তু আমি সেটা হতে দিইনি।’

জীবনকে সব সময় একজন শিক্ষার্থীর দৃষ্টিতে দেখেছেন ঐশ্বরিয়া। নানা পরিস্থিতি থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করেছেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘ডাক্তার হতে চেয়েছিলাম। আমি সায়েন্সের ছাত্রী ছিলাম। স্থাপত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছি। পরে ভাগ্য আমাকে শোবিজে নিয়ে এসেছে। এখনো জীবনের প্রতি আমার দৃষ্টিভঙ্গি একজন শিক্ষার্থীর মতো; যা কিছু ঘটেছে, শেখার চেষ্টা করেছি।’

বড় আয়োজন কিংবা বড় বাজেটের সিনেমা নয়, ঐশ্বরিয়া সব সময় চেষ্টা করেছেন ভালো কাজের সঙ্গী হতে। সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘দেবদাস’-এর মতো বড় প্রজেক্টে অভিনয়ের পর যুক্ত হয়েছিলেন কম বাজেটের বাংলা সিনেমায়। ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘আমার মনে আছে, দেবদাসের পর সবাই ভাবছিল, এরপর আমার বড় প্রজেক্ট কী হবে? তখন আমি ঋতুপর্ণ ঘোষের “চোখের বালি” করেছি। কারণ, এমন সুন্দর গল্পেই আমি সব সময় কাজ করতে চেয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত