
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা। হাসি, কান্না, দুঃখ, বেদনা সব ধরনের ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে এই গান! এমনকি পিকনিকে বা পার্টিতেও লাউডস্পিকারে বাজানো হচ্ছে।
এই গানের ইতিহাস কী, কোন ভাষার গান, আর এর কথার অর্থই বা কী?
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা যায়, এটি আসলে উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সংগীত শিল্পী ও গীতিকার প্রয়াত সত্যনারায়ণ অধিকারীর গাওয়া। উড়িষ্যার (বর্তমান ওডিশা) কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা এই গান। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও–র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক তিনি। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।
২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল গানটির প্রথম মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মানভঞ্জন নায়ক।
মিউজিক ভিডিওতে এক দরিদ্র তরুণ কৃষক ও তাঁর প্রেমিকার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর প্রেমিক তাঁর উদ্দেশে গানটি গেয়েছেন। সেই তরুণ কৃষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিভূতি বিশ্বল।
২০ বছর পর ভাইরাল এই উড়িয়া গান বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোটি ভিউয়ের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উড়িষ্যার সম্বলপুর থেকে গানটি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। মূলত নতুন বছরের শুরুতেই ভাইরাল হয়ে গেছে এই ‘ছিঃ ছিঃ রে ননী...’।
উড়িয়া ভাষার গানটির বাংলা অর্থ:
ধন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই।
বাংলা: ধন (সম্পদ) দেখলি মেয়ে কিন্তু মনকে চিনলি না।
সোনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনিষো চিনলু নাই।
বাংলা: সোনাদানা চিনলি কিন্তু মানুষ চিনলি না।
ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাঁজে উঠি গলু।
বাংলা: আমার কাছে ধন (সম্পদ) নেই বলে,, মেয়ে তার সঙ্গে চলে গেলি।
ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারিলু।
বাংলা: ধন সম্পদ আছে কিন্তু মন নেই তার, তুই জানতে পারলি না।
গোটে দিনো মিশা যগি দেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।
বাংলা: একটা দিন ও অপেক্ষা করলি নাহি, কতো বড়ো কান্ড করে দিলি
মুই গাঁ যাই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।
বাংলা: আমি বেড়াতে গিয়ে এসে দখি আমায় কেমনে ভুলে গেলি।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ।
বাংলা: ছিঃ ছিঃ ছিঃ মেয়ে ছিঃ ছিঃ ছিঃ
জানা যায়, এই মিউজিক ভিডিওর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা বিভূতি বিশ্বাল উড়িষ্যার সম্বলপুরের গোবিন্দটোলার বাসিন্দা। বিভূতি একজন নিবেদিতপ্রাণ মঞ্চশিল্পী। থিয়েটারে তাঁর দক্ষতা, প্রধান এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। আকাশবাণী সম্বলপুরের সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী পার্টটাইম আর্ট টিচার হিসেবেও কাজ করেন।
গানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বিভূতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিচালক মনভঞ্জন নায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এক থিয়েটারের মাধ্যমে। বিভূতির গ্রাম্য চেহারা এবং সহজাত অভিনয় দক্ষতা দেখে পরিচালক তাঁকে এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। যদিও এর আগে কখনও মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় বা নাচ করেননি তিনি। তবুও নির্মাতারা তাঁর ওপর ভরসা করেছিলেন।
পরিচালক মনভঞ্জন নায়ক জানিয়েছেন, গানটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল এই গানের ওপর একটি ভিডিও তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তখনই এই গল্পটি তৈরি করেন নায়ক। গল্পটি এক দরিদ্র যুবককে ঘিরে, যাকে প্রেমিকার পরিবার আর্থিক অবস্থার কারণে প্রত্যাখ্যান করে। কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া যুবক যখন ফেরেন, তখন জানতে পারেন প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে গানটি গেয়ে ওঠে যুবক।
পরিচালক মনভঞ্জন স্বীকার করেছেন, গানটির মান নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এর এমন সাড়া জাগানো সাফল্য হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি। ২০ বছর পর এই গানের পুনর্জন্ম যেন এ গানের সৃষ্টিকর্তাদের জন্য এক অভাবনীয় উপহার।
এই মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছিল পিটাপালি এবং জামদারপালি গ্রামে। প্রথমে গানটি সামান্য সাড়া পেলেও দ্রুতই হারিয়ে যায়। এখন সেই গানই ইতিহাস গড়ছে!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা। হাসি, কান্না, দুঃখ, বেদনা সব ধরনের ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে এই গান! এমনকি পিকনিকে বা পার্টিতেও লাউডস্পিকারে বাজানো হচ্ছে।
এই গানের ইতিহাস কী, কোন ভাষার গান, আর এর কথার অর্থই বা কী?
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা যায়, এটি আসলে উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সংগীত শিল্পী ও গীতিকার প্রয়াত সত্যনারায়ণ অধিকারীর গাওয়া। উড়িষ্যার (বর্তমান ওডিশা) কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা এই গান। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও–র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক তিনি। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।
২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল গানটির প্রথম মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মানভঞ্জন নায়ক।
মিউজিক ভিডিওতে এক দরিদ্র তরুণ কৃষক ও তাঁর প্রেমিকার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর প্রেমিক তাঁর উদ্দেশে গানটি গেয়েছেন। সেই তরুণ কৃষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিভূতি বিশ্বল।
২০ বছর পর ভাইরাল এই উড়িয়া গান বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোটি ভিউয়ের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উড়িষ্যার সম্বলপুর থেকে গানটি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। মূলত নতুন বছরের শুরুতেই ভাইরাল হয়ে গেছে এই ‘ছিঃ ছিঃ রে ননী...’।
উড়িয়া ভাষার গানটির বাংলা অর্থ:
ধন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই।
বাংলা: ধন (সম্পদ) দেখলি মেয়ে কিন্তু মনকে চিনলি না।
সোনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনিষো চিনলু নাই।
বাংলা: সোনাদানা চিনলি কিন্তু মানুষ চিনলি না।
ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাঁজে উঠি গলু।
বাংলা: আমার কাছে ধন (সম্পদ) নেই বলে,, মেয়ে তার সঙ্গে চলে গেলি।
ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারিলু।
বাংলা: ধন সম্পদ আছে কিন্তু মন নেই তার, তুই জানতে পারলি না।
গোটে দিনো মিশা যগি দেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।
বাংলা: একটা দিন ও অপেক্ষা করলি নাহি, কতো বড়ো কান্ড করে দিলি
মুই গাঁ যাই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।
বাংলা: আমি বেড়াতে গিয়ে এসে দখি আমায় কেমনে ভুলে গেলি।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ।
বাংলা: ছিঃ ছিঃ ছিঃ মেয়ে ছিঃ ছিঃ ছিঃ
জানা যায়, এই মিউজিক ভিডিওর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা বিভূতি বিশ্বাল উড়িষ্যার সম্বলপুরের গোবিন্দটোলার বাসিন্দা। বিভূতি একজন নিবেদিতপ্রাণ মঞ্চশিল্পী। থিয়েটারে তাঁর দক্ষতা, প্রধান এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। আকাশবাণী সম্বলপুরের সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী পার্টটাইম আর্ট টিচার হিসেবেও কাজ করেন।
গানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বিভূতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিচালক মনভঞ্জন নায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এক থিয়েটারের মাধ্যমে। বিভূতির গ্রাম্য চেহারা এবং সহজাত অভিনয় দক্ষতা দেখে পরিচালক তাঁকে এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। যদিও এর আগে কখনও মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় বা নাচ করেননি তিনি। তবুও নির্মাতারা তাঁর ওপর ভরসা করেছিলেন।
পরিচালক মনভঞ্জন নায়ক জানিয়েছেন, গানটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল এই গানের ওপর একটি ভিডিও তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তখনই এই গল্পটি তৈরি করেন নায়ক। গল্পটি এক দরিদ্র যুবককে ঘিরে, যাকে প্রেমিকার পরিবার আর্থিক অবস্থার কারণে প্রত্যাখ্যান করে। কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া যুবক যখন ফেরেন, তখন জানতে পারেন প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে গানটি গেয়ে ওঠে যুবক।
পরিচালক মনভঞ্জন স্বীকার করেছেন, গানটির মান নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এর এমন সাড়া জাগানো সাফল্য হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি। ২০ বছর পর এই গানের পুনর্জন্ম যেন এ গানের সৃষ্টিকর্তাদের জন্য এক অভাবনীয় উপহার।
এই মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছিল পিটাপালি এবং জামদারপালি গ্রামে। প্রথমে গানটি সামান্য সাড়া পেলেও দ্রুতই হারিয়ে যায়। এখন সেই গানই ইতিহাস গড়ছে!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা। হাসি, কান্না, দুঃখ, বেদনা সব ধরনের ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে এই গান! এমনকি পিকনিকে বা পার্টিতেও লাউডস্পিকারে বাজানো হচ্ছে।
এই গানের ইতিহাস কী, কোন ভাষার গান, আর এর কথার অর্থই বা কী?
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা যায়, এটি আসলে উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সংগীত শিল্পী ও গীতিকার প্রয়াত সত্যনারায়ণ অধিকারীর গাওয়া। উড়িষ্যার (বর্তমান ওডিশা) কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা এই গান। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও–র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক তিনি। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।
২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল গানটির প্রথম মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মানভঞ্জন নায়ক।
মিউজিক ভিডিওতে এক দরিদ্র তরুণ কৃষক ও তাঁর প্রেমিকার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর প্রেমিক তাঁর উদ্দেশে গানটি গেয়েছেন। সেই তরুণ কৃষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিভূতি বিশ্বল।
২০ বছর পর ভাইরাল এই উড়িয়া গান বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোটি ভিউয়ের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উড়িষ্যার সম্বলপুর থেকে গানটি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। মূলত নতুন বছরের শুরুতেই ভাইরাল হয়ে গেছে এই ‘ছিঃ ছিঃ রে ননী...’।
উড়িয়া ভাষার গানটির বাংলা অর্থ:
ধন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই।
বাংলা: ধন (সম্পদ) দেখলি মেয়ে কিন্তু মনকে চিনলি না।
সোনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনিষো চিনলু নাই।
বাংলা: সোনাদানা চিনলি কিন্তু মানুষ চিনলি না।
ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাঁজে উঠি গলু।
বাংলা: আমার কাছে ধন (সম্পদ) নেই বলে,, মেয়ে তার সঙ্গে চলে গেলি।
ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারিলু।
বাংলা: ধন সম্পদ আছে কিন্তু মন নেই তার, তুই জানতে পারলি না।
গোটে দিনো মিশা যগি দেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।
বাংলা: একটা দিন ও অপেক্ষা করলি নাহি, কতো বড়ো কান্ড করে দিলি
মুই গাঁ যাই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।
বাংলা: আমি বেড়াতে গিয়ে এসে দখি আমায় কেমনে ভুলে গেলি।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ।
বাংলা: ছিঃ ছিঃ ছিঃ মেয়ে ছিঃ ছিঃ ছিঃ
জানা যায়, এই মিউজিক ভিডিওর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা বিভূতি বিশ্বাল উড়িষ্যার সম্বলপুরের গোবিন্দটোলার বাসিন্দা। বিভূতি একজন নিবেদিতপ্রাণ মঞ্চশিল্পী। থিয়েটারে তাঁর দক্ষতা, প্রধান এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। আকাশবাণী সম্বলপুরের সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী পার্টটাইম আর্ট টিচার হিসেবেও কাজ করেন।
গানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বিভূতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিচালক মনভঞ্জন নায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এক থিয়েটারের মাধ্যমে। বিভূতির গ্রাম্য চেহারা এবং সহজাত অভিনয় দক্ষতা দেখে পরিচালক তাঁকে এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। যদিও এর আগে কখনও মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় বা নাচ করেননি তিনি। তবুও নির্মাতারা তাঁর ওপর ভরসা করেছিলেন।
পরিচালক মনভঞ্জন নায়ক জানিয়েছেন, গানটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল এই গানের ওপর একটি ভিডিও তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তখনই এই গল্পটি তৈরি করেন নায়ক। গল্পটি এক দরিদ্র যুবককে ঘিরে, যাকে প্রেমিকার পরিবার আর্থিক অবস্থার কারণে প্রত্যাখ্যান করে। কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া যুবক যখন ফেরেন, তখন জানতে পারেন প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে গানটি গেয়ে ওঠে যুবক।
পরিচালক মনভঞ্জন স্বীকার করেছেন, গানটির মান নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এর এমন সাড়া জাগানো সাফল্য হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি। ২০ বছর পর এই গানের পুনর্জন্ম যেন এ গানের সৃষ্টিকর্তাদের জন্য এক অভাবনীয় উপহার।
এই মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছিল পিটাপালি এবং জামদারপালি গ্রামে। প্রথমে গানটি সামান্য সাড়া পেলেও দ্রুতই হারিয়ে যায়। এখন সেই গানই ইতিহাস গড়ছে!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা। হাসি, কান্না, দুঃখ, বেদনা সব ধরনের ভিডিওতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে এই গান! এমনকি পিকনিকে বা পার্টিতেও লাউডস্পিকারে বাজানো হচ্ছে।
এই গানের ইতিহাস কী, কোন ভাষার গান, আর এর কথার অর্থই বা কী?
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্রে জানা যায়, এটি আসলে উড়িয়া ভাষায় গাওয়া একটি গান। বিখ্যাত উড়িয়া সংগীত শিল্পী ও গীতিকার প্রয়াত সত্যনারায়ণ অধিকারীর গাওয়া। উড়িষ্যার (বর্তমান ওডিশা) কোরাপুটের স্থানীয় ভাষায় লেখা এই গান। এই গানের মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন সম্বলপুরের গোবিন্দতলার বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বল। তিনি একজন থিয়েটার অভিনেতা। বেশ কিছু ছবিতেও নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এমনকি, অল ইন্ডিয়া রেডিও–র একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং শিক্ষক তিনি। এই গান প্রথম রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। পরে তৈরি হয় মিউজিক ভিডিও।
২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল গানটির প্রথম মিউজিক ভিডিও তৈরি করেন। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন মানভঞ্জন নায়ক।
মিউজিক ভিডিওতে এক দরিদ্র তরুণ কৃষক ও তাঁর প্রেমিকার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। প্রেমিকার অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছেদ বেদনায় কাতর প্রেমিক তাঁর উদ্দেশে গানটি গেয়েছেন। সেই তরুণ কৃষকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিভূতি বিশ্বল।
২০ বছর পর ভাইরাল এই উড়িয়া গান বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে কোটি ভিউয়ের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। উড়িষ্যার সম্বলপুর থেকে গানটি ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দুনিয়ায়। মূলত নতুন বছরের শুরুতেই ভাইরাল হয়ে গেছে এই ‘ছিঃ ছিঃ রে ননী...’।
উড়িয়া ভাষার গানটির বাংলা অর্থ:
ধন কে দেখলু তুই ননী সিনা মনকে চিনলু নাই।
বাংলা: ধন (সম্পদ) দেখলি মেয়ে কিন্তু মনকে চিনলি না।
সোনাকে চিনলু বানাকে চিনলু মনিষো চিনলু নাই।
বাংলা: সোনাদানা চিনলি কিন্তু মানুষ চিনলি না।
ধন নাই বলি মোর পাখে ননী তার কাঁজে উঠি গলু।
বাংলা: আমার কাছে ধন (সম্পদ) নেই বলে,, মেয়ে তার সঙ্গে চলে গেলি।
ধন আছে সিনা মন নাই তাকে তুই জানি না পারিলু।
বাংলা: ধন সম্পদ আছে কিন্তু মন নেই তার, তুই জানতে পারলি না।
গোটে দিনো মিশা যগি দেলু নাহি কেড়ে কথা করি দেলু।
বাংলা: একটা দিন ও অপেক্ষা করলি নাহি, কতো বড়ো কান্ড করে দিলি
মুই গাঁ যাই করি আসলা বেলে কেন্তা পাছরি দেলু।
বাংলা: আমি বেড়াতে গিয়ে এসে দখি আমায় কেমনে ভুলে গেলি।
ছিঃ ছিঃ ছিঃ ননী ছিঃ ছিঃ ছিঃ।
বাংলা: ছিঃ ছিঃ ছিঃ মেয়ে ছিঃ ছিঃ ছিঃ
জানা যায়, এই মিউজিক ভিডিওর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করা বিভূতি বিশ্বাল উড়িষ্যার সম্বলপুরের গোবিন্দটোলার বাসিন্দা। বিভূতি একজন নিবেদিতপ্রাণ মঞ্চশিল্পী। থিয়েটারে তাঁর দক্ষতা, প্রধান এবং পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি ইতিমধ্যেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। আকাশবাণী সম্বলপুরের সঙ্গে যুক্ত এই শিল্পী পার্টটাইম আর্ট টিচার হিসেবেও কাজ করেন।
গানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বিভূতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিচালক মনভঞ্জন নায়কের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয় এক থিয়েটারের মাধ্যমে। বিভূতির গ্রাম্য চেহারা এবং সহজাত অভিনয় দক্ষতা দেখে পরিচালক তাঁকে এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। যদিও এর আগে কখনও মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় বা নাচ করেননি তিনি। তবুও নির্মাতারা তাঁর ওপর ভরসা করেছিলেন।
পরিচালক মনভঞ্জন নায়ক জানিয়েছেন, গানটি প্রথমবার রেকর্ড করা হয় ১৯৯৫ সালে। ২০০৫ সালে প্রযোজক সীতারাম আগরওয়াল এই গানের ওপর একটি ভিডিও তৈরি করার প্রস্তাব দেন। তখনই এই গল্পটি তৈরি করেন নায়ক। গল্পটি এক দরিদ্র যুবককে ঘিরে, যাকে প্রেমিকার পরিবার আর্থিক অবস্থার কারণে প্রত্যাখ্যান করে। কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া যুবক যখন ফেরেন, তখন জানতে পারেন প্রেমিকার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সেই হৃদয়বিদারক মুহূর্তে গানটি গেয়ে ওঠে যুবক।
পরিচালক মনভঞ্জন স্বীকার করেছেন, গানটির মান নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এর এমন সাড়া জাগানো সাফল্য হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি। ২০ বছর পর এই গানের পুনর্জন্ম যেন এ গানের সৃষ্টিকর্তাদের জন্য এক অভাবনীয় উপহার।
এই মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছিল পিটাপালি এবং জামদারপালি গ্রামে। প্রথমে গানটি সামান্য সাড়া পেলেও দ্রুতই হারিয়ে যায়। এখন সেই গানই ইতিহাস গড়ছে!

ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
২০ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
এর আগে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স দাবি করেছিল, তাদের প্রস্তাবটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নিয়ে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা ৭২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির চেয়ে ‘উন্নত’।
এ সময় হলিউডের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র স্টুডিওর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে প্রশ্নে নাটকীয় মোড় নেয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে তারা জানায়, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা চুক্তিটিই প্রতিষ্ঠানের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে।
গত অক্টোবরে একাধিক সম্ভাব্য ক্রেতার আগ্রহ পাওয়ার পর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিজেকে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। ওই আগ্রহীদের মধ্যে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সও ছিল।
এরপর ৫ ডিসেম্বর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি জানায়, তারা তাদের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে।
দীর্ঘ আইনি নথিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির পরিচালনা পর্ষদ বলেছে, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবটি বহু এবং গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। একই সঙ্গে তারা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনী পরিবার এলিসন পরিবার এই প্রস্তাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবের পেছনে রয়েছে বিলিয়নিয়ার এলিসন পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়।
বিনোদন শিল্পে বর্তমানে ক্ষমতার অবস্থান কোথায় তা তুলে ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ জানায়, স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটি আর্থিকভাবে বেশি সুসংহত। পাশাপাশি এটি দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বেশি মূল্য সৃষ্টি করবে।
এদিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে নেটফ্লিক্স। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রধান নির্বাহী টেড সারানডোস বলেন, একীভূতকরণ চুক্তিটি ‘উন্নত’ এবং ‘শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোত্তম স্বার্থে’ করা হয়েছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নেটফ্লিক্স আবারও জানায়, তাদের প্রস্তাবে অর্থায়নের কাঠামো আরও স্পষ্ট। পাশাপাশি এতে নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে কম।
এ অবস্থায় প্যারামাউন্ট চাইলে নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হলিউড আলোড়িত করা এই অধিগ্রহণ–নাটক এখানেই শেষ হচ্ছে না।
নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্টের চুক্তির মধ্যে যে তফাত
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র স্টুডিও এবং এইচবিও স্ট্রিমিং সেবা কিনতে চায়। এতে তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সমৃদ্ধ কনটেন্ট ভান্ডারের ব্যবহারের অধিকার পাবে। একই সঙ্গে নিজেদের গ্রাহকদের জন্য এসব সিনেমা ও অনুষ্ঠান নিশ্চিতভাবে দেখানোর সুযোগও সুরক্ষিত হবে।
তবে নেটফ্লিক্স মিডিয়া জায়ান্টটির পে-টিভি চ্যানেলগুলো নিতে আগ্রহী নয়। ফলে নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবে গেলে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার আগে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সিএনএন ও টিএনটির মতো টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো আলাদা একটি কোম্পানিতে বিক্রি করে দিতে হবে।
অন্যদিকে প্যারামাউন্ট পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্সকেই কিনতে চায়। এর অর্থ হলো, তাদের নিজস্ব টিভি চ্যানেল সিবিএস, এমটিভি ও শোটাইমের প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলগুলোকেও অধিগ্রহণের আওতায় আনতে হবে।
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণের চুক্তি ঘোষণা করার এক সপ্তাহ পরই প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স পুরো কোম্পানিটি কিনতে নতুন প্রস্তাব দেয়। এতে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে ক্রমেই বিনোদন শিল্পে মালিকানা একীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভোক্তাদের পছন্দের সুযোগ কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলতে পারে। এছাড়া ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিযোগিতা-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন ওয়ার্নার ব্রসকে নিয়ে এই লড়াই
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নতুন মালিক স্ট্রিমিং বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের ভান্ডার তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘হ্যারি পটার’, ‘মনস্টারভার্স’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিও ম্যাক্স স্ট্রিমিং সেবা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের বিশ্লেষক মাইক প্রুলক্স বলেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটছে, তা যেন এইচবিওর সাকসেশন সিরিজের বাস্তব রূপ, বা এর আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ একটি পর্বের মতো। আর যদি মনে করেন, এই কাহিনির শেষটা আপনি আগেই বুঝে গেছেন, তাহলে আবার ভাবুন।’
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পের একটি অংশ ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পুরো বা আংশিক কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার পূর্ব ও পশ্চিম শাখা এই একীভূতকরণ ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের যুক্তি, এই ধরনের একীভূতকরণ হলে মজুরি কমে যেতে পারে এবং কর্মসংস্থান হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশাপাশি দর্শকদের জন্য কনটেন্টের পরিমাণও কমে যাবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।
এর আগে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স দাবি করেছিল, তাদের প্রস্তাবটি ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নিয়ে নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা ৭২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির চেয়ে ‘উন্নত’।
এ সময় হলিউডের অন্যতম প্রাচীন ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র স্টুডিওর নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে প্রশ্নে নাটকীয় মোড় নেয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের সুপারিশ করে। একই সঙ্গে তারা জানায়, নেটফ্লিক্সের সঙ্গে করা চুক্তিটিই প্রতিষ্ঠানের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষা করে।
গত অক্টোবরে একাধিক সম্ভাব্য ক্রেতার আগ্রহ পাওয়ার পর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিজেকে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করে। ওই আগ্রহীদের মধ্যে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সও ছিল।
এরপর ৫ ডিসেম্বর ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি জানায়, তারা তাদের চলচ্চিত্র ও স্ট্রিমিং ব্যবসা নেটফ্লিক্সের কাছে বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে।
দীর্ঘ আইনি নথিতে ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারির পরিচালনা পর্ষদ বলেছে, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবটি বহু এবং গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করে। একই সঙ্গে তারা জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম ধনী পরিবার এলিসন পরিবার এই প্রস্তাবে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্যারামাউন্টের প্রস্তাবের পেছনে রয়েছে বিলিয়নিয়ার এলিসন পরিবার। এই পরিবারের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা যায়।
বিনোদন শিল্পে বর্তমানে ক্ষমতার অবস্থান কোথায় তা তুলে ধরে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পরিচালনা পর্ষদ জানায়, স্ট্রিমিং জায়ান্ট নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবটি আর্থিকভাবে বেশি সুসংহত। পাশাপাশি এটি দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বেশি মূল্য সৃষ্টি করবে।
এদিকে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের এই সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে নেটফ্লিক্স। প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রধান নির্বাহী টেড সারানডোস বলেন, একীভূতকরণ চুক্তিটি ‘উন্নত’ এবং ‘শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোত্তম স্বার্থে’ করা হয়েছে।
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে নেটফ্লিক্স আবারও জানায়, তাদের প্রস্তাবে অর্থায়নের কাঠামো আরও স্পষ্ট। পাশাপাশি এতে নিয়ন্ত্রক সংক্রান্ত ঝুঁকিও তুলনামূলকভাবে কম।
এ অবস্থায় প্যারামাউন্ট চাইলে নতুন করে আরেকটি প্রস্তাব দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে হলিউড আলোড়িত করা এই অধিগ্রহণ–নাটক এখানেই শেষ হচ্ছে না।
নেটফ্লিক্স ও প্যারামাউন্টের চুক্তির মধ্যে যে তফাত
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্সের চলচ্চিত্র স্টুডিও এবং এইচবিও স্ট্রিমিং সেবা কিনতে চায়। এতে তারা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের সমৃদ্ধ কনটেন্ট ভান্ডারের ব্যবহারের অধিকার পাবে। একই সঙ্গে নিজেদের গ্রাহকদের জন্য এসব সিনেমা ও অনুষ্ঠান নিশ্চিতভাবে দেখানোর সুযোগও সুরক্ষিত হবে।
তবে নেটফ্লিক্স মিডিয়া জায়ান্টটির পে-টিভি চ্যানেলগুলো নিতে আগ্রহী নয়। ফলে নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবে গেলে অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার আগে ওয়ার্নার ব্রাদার্সকে সিএনএন ও টিএনটির মতো টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো আলাদা একটি কোম্পানিতে বিক্রি করে দিতে হবে।
অন্যদিকে প্যারামাউন্ট পুরো ওয়ার্নার ব্রাদার্সকেই কিনতে চায়। এর অর্থ হলো, তাদের নিজস্ব টিভি চ্যানেল সিবিএস, এমটিভি ও শোটাইমের প্রতিদ্বন্দ্বী চ্যানেলগুলোকেও অধিগ্রহণের আওতায় আনতে হবে।
নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণের চুক্তি ঘোষণা করার এক সপ্তাহ পরই প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স পুরো কোম্পানিটি কিনতে নতুন প্রস্তাব দেয়। এতে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে ক্রমেই বিনোদন শিল্পে মালিকানা একীভূত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ভোক্তাদের পছন্দের সুযোগ কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো প্রশ্ন তুলতে পারে। এছাড়া ওয়ার্নার ব্রাদার্স অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রতিযোগিতা-নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কেন ওয়ার্নার ব্রসকে নিয়ে এই লড়াই
ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নতুন মালিক স্ট্রিমিং বাজারে উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পাবে। এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের ভান্ডার তাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর মধ্যে রয়েছে ‘হ্যারি পটার’, ‘মনস্টারভার্স’, ‘ফ্রেন্ডস’ এবং এইচবিও ম্যাক্স স্ট্রিমিং সেবা।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরেস্টারের বিশ্লেষক মাইক প্রুলক্স বলেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্সের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, সে লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হতে আরও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটছে, তা যেন এইচবিওর সাকসেশন সিরিজের বাস্তব রূপ, বা এর আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ একটি পর্বের মতো। আর যদি মনে করেন, এই কাহিনির শেষটা আপনি আগেই বুঝে গেছেন, তাহলে আবার ভাবুন।’
এদিকে চলচ্চিত্র শিল্পের একটি অংশ ওয়ার্নার ব্রাদার্সের পুরো বা আংশিক কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার পরিকল্পনার সমালোচনা করেছে। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকার পূর্ব ও পশ্চিম শাখা এই একীভূতকরণ ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের যুক্তি, এই ধরনের একীভূতকরণ হলে মজুরি কমে যেতে পারে এবং কর্মসংস্থান হ্রাসের ঝুঁকি তৈরি হবে। পাশাপাশি দর্শকদের জন্য কনটেন্টের পরিমাণও কমে যাবে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
২০ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পিছিয়ে আসেন। অবশেষে জানা গেল, নতুন বছরে আলোর মুখ দেখবে সিনেমাটি। আগামী রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বনলতা সেন।
জীবনানন্দ দাশের কাল্পনিক চরিত্র বনলতা সেনকে ঘিরে সিনেমাটি বানিয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। তবে সহজেই এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি অভিনেত্রী। শুরুতে এ সিনেমার অন্য একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নাবিলাকে। তবে রাজি হননি অভিনেত্রী। নির্মাতাকে শর্ত দিয়েছিলেন, তিনি বনলতা সেন চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী। এরপর তিনবার অডিশন দেওয়ার পর বনলতা চরিত্রে নাবিলাকে চূড়ান্ত করেন নির্মাতা।
বনলতা সেন সিনেমায় জীবনানন্দ দাশ চরিত্রে দেখা যাবে খায়রুল বাসারকে। আরও অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নাজিবা বাশার, প্রিয়ন্তী উর্বী, রুপন্তী আকীদ, শরিফ সিরাজ, সুমাইয়া খুশি প্রমুখ।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০ লাখ টাকার অনুদান পায় বনলতা সেন। নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি নির্মাণে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি তিনি। সময় বেশি লাগলেও যত্ন নিয়ে কাজ শেষ করেছেন। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি দায়বদ্ধতার। রিসার্চ করা, প্রস্তুতি নেওয়া, উপযুক্ত অভিনয়শিল্পী খোঁজা—পুরো প্রক্রিয়াটা অনেক কঠিন ছিল। সিনেমার জন্য সবাইকে প্রস্তুত করে নেওয়ার একটা বিষয় ছিল। দীর্ঘদিন আমরা রিহার্সাল করেছি। এই সিনেমার অনেক বড় একটা পার্ট ছিল প্রোডাকশন ডিজাইন। আমি পর্দায় যেভাবে সিনেমাটি দেখতে চাই, তা প্রস্তুত করতে অনেক সময় লেগে যায়।’
বনলতা সেন মুক্তির বিষয়ে নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল জানান, ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা।

আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পিছিয়ে আসেন। অবশেষে জানা গেল, নতুন বছরে আলোর মুখ দেখবে সিনেমাটি। আগামী রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বনলতা সেন।
জীবনানন্দ দাশের কাল্পনিক চরিত্র বনলতা সেনকে ঘিরে সিনেমাটি বানিয়েছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। সরকারি অনুদানের এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মাসুমা রহমান নাবিলা। তবে সহজেই এই চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাননি অভিনেত্রী। শুরুতে এ সিনেমার অন্য একটি চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল নাবিলাকে। তবে রাজি হননি অভিনেত্রী। নির্মাতাকে শর্ত দিয়েছিলেন, তিনি বনলতা সেন চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী। এরপর তিনবার অডিশন দেওয়ার পর বনলতা চরিত্রে নাবিলাকে চূড়ান্ত করেন নির্মাতা।
বনলতা সেন সিনেমায় জীবনানন্দ দাশ চরিত্রে দেখা যাবে খায়রুল বাসারকে। আরও অভিনয় করেছেন সোহেল মণ্ডল, নাজিবা বাশার, প্রিয়ন্তী উর্বী, রুপন্তী আকীদ, শরিফ সিরাজ, সুমাইয়া খুশি প্রমুখ।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৭০ লাখ টাকার অনুদান পায় বনলতা সেন। নির্মাতা জানিয়েছেন, সিনেমাটি নির্মাণে চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি তিনি। সময় বেশি লাগলেও যত্ন নিয়ে কাজ শেষ করেছেন। মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, ‘জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে কাজ করা অনেক বেশি দায়বদ্ধতার। রিসার্চ করা, প্রস্তুতি নেওয়া, উপযুক্ত অভিনয়শিল্পী খোঁজা—পুরো প্রক্রিয়াটা অনেক কঠিন ছিল। সিনেমার জন্য সবাইকে প্রস্তুত করে নেওয়ার একটা বিষয় ছিল। দীর্ঘদিন আমরা রিহার্সাল করেছি। এই সিনেমার অনেক বড় একটা পার্ট ছিল প্রোডাকশন ডিজাইন। আমি পর্দায় যেভাবে সিনেমাটি দেখতে চাই, তা প্রস্তুত করতে অনেক সময় লেগে যায়।’
বনলতা সেন মুক্তির বিষয়ে নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল জানান, ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। শিগগির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। একই স্থান ও সময়ে আগামীকাল মঞ্চস্থ হবে এই নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নাটকের গল্প এগিয়েছে একটি মেয়ের জীবনকে ঘিরে। মেয়েটি যেন হঠাৎ করেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার ব্যক্তিগত অহং দলিত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায়। নিজ ঘরে সে শনাক্ত করে সেই নির্যাতক ও নিপীড়ককে। সমাজের আইনের প্রতি সে আস্থা হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনা যেন পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে, যেকোনো নগরে ঘটে থাকে। ঠিক এখনই কোথাও না কোথাও ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। যে দেশে দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসনের পর গণতন্ত্র হামাগুড়ি দিতে শুরু করে, সেখানে এসব ঘটনা বেশি ঘটে।
নির্দেশক অপু শহীদ জানান, সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এই নাটক। সমকালের বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় জারিত এক দগদগে নাটক গন্ধসূত্র। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই এখন গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের অর্থনীতি এখন সমাজ-রাজনীতি, উন্নয়ন-বিশ্বায়ন, যুদ্ধ-হিংস্রতায় এমন এক টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যেখানে ব্যক্তি মানুষের সুস্থ থাকাটা বেশ কৌতূহলপ্রদ। আধিপত্যবাদী চরিত্র পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছিল কিন্তু কিছুতেই একটা কাঠামোতে দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। এই অস্থিরতার মধ্যে মনে পড়ে গেল আর্জেন্টাইন-আমেরিকান নাট্যকার অ্যারিয়েল ডর্ফম্যানের কথা। এই বিশ্বায়নের যুগে মূল ইংরেজি নাটক, পোলনস্কির ফিল্ম এমনকি হিন্দি সিনেমাও পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম ডর্ফম্যানের আরও অনেক লেখার সন্ধান। নাটকের মূল ভরকেন্দ্র রাখলাম পোলনস্কির “ডেথ অ্যান্ড দ্য মেইডেন” সিনেমার ওপর।’
নির্দেশক তৌফিকুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘গন্ধসূত্র নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়ে মনে হলো, এই নাটকের সময়টা শুধু আমাদের রাষ্ট্রের নয়, বর্তমান বিশ্বের যেখানেই গণতন্ত্র ধসে পড়ছে সেখানকার বাস্তবতা। নাটকে নির্যাতিত এক নারী ব্যক্তিগত যন্ত্রণার বদলা নিতে চাইছে, এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে দুই পুরুষ চরিত্র নাটকীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। নাটকের শেষে এসে মেয়ে এবং আগন্তুক এক ভয়ানক ডিসকোর্সে পৌঁছায়। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্রের বৈপরীত্যের কারণে সাধারণ নাগরিক একে অপরের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়।’
গন্ধসূত্র নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন অনু, সরওয়ার জাহান উপল, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ডায়না প্রমুখ। সংগীতে আছেন চার্লস নিলয় চৌধুরী, সেট ডিজাইনে আবু বকর সিদ্দিকি, আলোক পরিকল্পনায় মোখলেছুর রহমান এবং কস্টিউম ডিজাইন করেছেন আইরিন পারভীন লোপা।

মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। একই স্থান ও সময়ে আগামীকাল মঞ্চস্থ হবে এই নাটকের দ্বিতীয় প্রদর্শনী।
নাটকের গল্প এগিয়েছে একটি মেয়ের জীবনকে ঘিরে। মেয়েটি যেন হঠাৎ করেই ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তার ব্যক্তিগত অহং দলিত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায়। নিজ ঘরে সে শনাক্ত করে সেই নির্যাতক ও নিপীড়ককে। সমাজের আইনের প্রতি সে আস্থা হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনা যেন পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্রে, যেকোনো নগরে ঘটে থাকে। ঠিক এখনই কোথাও না কোথাও ঘটছে, ভবিষ্যতেও ঘটবে। যে দেশে দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসনের পর গণতন্ত্র হামাগুড়ি দিতে শুরু করে, সেখানে এসব ঘটনা বেশি ঘটে।
নির্দেশক অপু শহীদ জানান, সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এই নাটক। সমকালের বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় জারিত এক দগদগে নাটক গন্ধসূত্র। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বই এখন গ্লোবাল ভিলেজ। বিশ্বের অর্থনীতি এখন সমাজ-রাজনীতি, উন্নয়ন-বিশ্বায়ন, যুদ্ধ-হিংস্রতায় এমন এক টালমাটাল অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যেখানে ব্যক্তি মানুষের সুস্থ থাকাটা বেশ কৌতূহলপ্রদ। আধিপত্যবাদী চরিত্র পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছিল কিন্তু কিছুতেই একটা কাঠামোতে দাঁড় করানো যাচ্ছিল না। এই অস্থিরতার মধ্যে মনে পড়ে গেল আর্জেন্টাইন-আমেরিকান নাট্যকার অ্যারিয়েল ডর্ফম্যানের কথা। এই বিশ্বায়নের যুগে মূল ইংরেজি নাটক, পোলনস্কির ফিল্ম এমনকি হিন্দি সিনেমাও পেয়ে গেলাম। পেয়ে গেলাম ডর্ফম্যানের আরও অনেক লেখার সন্ধান। নাটকের মূল ভরকেন্দ্র রাখলাম পোলনস্কির “ডেথ অ্যান্ড দ্য মেইডেন” সিনেমার ওপর।’
নির্দেশক তৌফিকুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘গন্ধসূত্র নাটকের স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়ে মনে হলো, এই নাটকের সময়টা শুধু আমাদের রাষ্ট্রের নয়, বর্তমান বিশ্বের যেখানেই গণতন্ত্র ধসে পড়ছে সেখানকার বাস্তবতা। নাটকে নির্যাতিত এক নারী ব্যক্তিগত যন্ত্রণার বদলা নিতে চাইছে, এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে দুই পুরুষ চরিত্র নাটকীয় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। নাটকের শেষে এসে মেয়ে এবং আগন্তুক এক ভয়ানক ডিসকোর্সে পৌঁছায়। রাষ্ট্রের রাজনৈতিক চরিত্রের বৈপরীত্যের কারণে সাধারণ নাগরিক একে অপরের শত্রু হয়ে দাঁড়ায়।’
গন্ধসূত্র নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন অনু, সরওয়ার জাহান উপল, তৌফিকুল ইসলাম ইমন, ডায়না প্রমুখ। সংগীতে আছেন চার্লস নিলয় চৌধুরী, সেট ডিজাইনে আবু বকর সিদ্দিকি, আলোক পরিকল্পনায় মোখলেছুর রহমান এবং কস্টিউম ডিজাইন করেছেন আইরিন পারভীন লোপা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
২০ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে...
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে রেখেছিলেন মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতি। গতকাল ফেসবুকে নিজের কণ্ঠে প্রকাশ করেন ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’ শীর্ষক তাঁর এই উপলব্ধি।
জীবনে চলার পথে বেশ কয়েকবার মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন নচিকেতা। সেই কথাই সবাইকে জানালেন তিনি। নচিকেতার কথায়, ‘মৃত্যুর মুখ থেকে বারংবার ফিরে মন্দ লাগছে না। প্রথমবার বাইক থেকে পড়ে মাথায় লেগে কোমায়, তখন বয়স ১৫। দ্বিতীয়বার মানিকতলায় বাসভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পাশের কমরেডের মৃত্যু আমার বদলে; হঠাৎ স্থান পরিবর্তনের কারণে। তখন বয়স কুড়ি। তৃতীয়বার পাতালরেলের নির্মিত হওয়া পরিত্যক্ত টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে, তখন বয়স ১৬। ক্ষুদিরাম ছবি দেখে উৎসাহিত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে বেঁচে যাওয়া। দড়িটা হঠাৎ ছিঁড়ে যাওয়ায়, বয়স তখন ৭। নকশাল আন্দোলন দেখে উত্তেজিত হয়ে স্কুলে আগুন লাগিয়ে মরতে মরতে, তখন বয়স ৬। ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে মোস্ট কমপ্লিকেটেড হুইপল সার্জারির টেবিল থেকে। এ ছাড়াও কত দুর্ঘটনা বা সুপরিকল্পিত গুজবের মৃত্যু থেকে আজ অবশেষে অ্যাপোলোতে হৃদয় ছন্দ বন্ধ থেকে এই বয়সে।’
মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতির এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতি নচিকেতার অভিমান ফুটে উঠেছে। কারণ, অনেকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তাঁর মৃত্যুর গুজব। এবারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এমন খবর ছড়িয়েছিল। তাই তো অভিমানের সুরে নচিকেতা বললেন, ‘আমাকে তো আমার যা আয়ু, তার থেকে বেশিবার মারা হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হয়তো ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। কথা দিচ্ছি। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’
এ ভিডিওর শেষে নিজের ‘আগুনপাখি’ গানের দুটি লাইন জুড়ে দিয়েছেন নচিকেতা—‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি, দুচোখে আকাশ ডানায় আগুন, আরও আরও কত ওড়া বাকি’।

ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তাঁর। চিকিৎসা শেষে ছয় দিন পর ১২ ডিসেম্বর বাসায় ফেরেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে-বসে কাগজ-কলমে নচিকেতা লিখে রেখেছিলেন মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতি। গতকাল ফেসবুকে নিজের কণ্ঠে প্রকাশ করেন ‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি’ শীর্ষক তাঁর এই উপলব্ধি।
জীবনে চলার পথে বেশ কয়েকবার মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন নচিকেতা। সেই কথাই সবাইকে জানালেন তিনি। নচিকেতার কথায়, ‘মৃত্যুর মুখ থেকে বারংবার ফিরে মন্দ লাগছে না। প্রথমবার বাইক থেকে পড়ে মাথায় লেগে কোমায়, তখন বয়স ১৫। দ্বিতীয়বার মানিকতলায় বাসভাড়া বৃদ্ধি আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে পাশের কমরেডের মৃত্যু আমার বদলে; হঠাৎ স্থান পরিবর্তনের কারণে। তখন বয়স কুড়ি। তৃতীয়বার পাতালরেলের নির্মিত হওয়া পরিত্যক্ত টানেলে জলে ডুবতে ডুবতে, তখন বয়স ১৬। ক্ষুদিরাম ছবি দেখে উৎসাহিত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে বেঁচে যাওয়া। দড়িটা হঠাৎ ছিঁড়ে যাওয়ায়, বয়স তখন ৭। নকশাল আন্দোলন দেখে উত্তেজিত হয়ে স্কুলে আগুন লাগিয়ে মরতে মরতে, তখন বয়স ৬। ৪৭ বছর বয়সে দিল্লির হাসপাতালে মোস্ট কমপ্লিকেটেড হুইপল সার্জারির টেবিল থেকে। এ ছাড়াও কত দুর্ঘটনা বা সুপরিকল্পিত গুজবের মৃত্যু থেকে আজ অবশেষে অ্যাপোলোতে হৃদয় ছন্দ বন্ধ থেকে এই বয়সে।’
মৃত্যু নিয়ে তাঁর অনুভূতির এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতি নচিকেতার অভিমান ফুটে উঠেছে। কারণ, অনেকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে তাঁর মৃত্যুর গুজব। এবারও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এমন খবর ছড়িয়েছিল। তাই তো অভিমানের সুরে নচিকেতা বললেন, ‘আমাকে তো আমার যা আয়ু, তার থেকে বেশিবার মারা হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হয়তো ভুল হয়ে গেছে, ক্ষমা করবেন। এবার আপনারা মৃত্যু ঘোষণা করলেই মরে যাওয়ার চেষ্টা করব। কথা দিচ্ছি। অন্তত আপনাদের মান রাখতে।’
এ ভিডিওর শেষে নিজের ‘আগুনপাখি’ গানের দুটি লাইন জুড়ে দিয়েছেন নচিকেতা—‘মৃত্যু মস্ত ফাঁকি, দুচোখে আকাশ ডানায় আগুন, আরও আরও কত ওড়া বাকি’।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছে একটি গান—ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ননী ছিঃ। এই গানের মিউজিক ভিডিও এখন মিম, শর্টস, রিল ও টিকটকে ছড়াছড়ি। অর্থ না বুঝলেও মিউজিক ভিডিওর পটভূমি এবং সুরে সবাই মাতোয়ারা।
২৭ জানুয়ারি ২০২৫
ওয়ার্নার ব্রস বা ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি নিয়ে আলোচনার যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর অবসান টানতে ওয়ার্নার ব্রস নিজেরাই যেন তোড়জোড় শুরু করেছে। তারা তাদের শেয়ারহোল্ডারদের প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের ১০৮.৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
আগামী রোজার ঈদেও একগুচ্ছ সিনেমার মুক্তির কথা শোনা যাচ্ছে। এরই মধ্যে এসেছে ‘প্রিন্স’, ‘দম’, ‘রাক্ষস’, ‘বনলতা এক্সপ্রেস’, ‘পিনিক’সহ আরও বেশ কয়েকটি সিনেমার ঘোষণা। এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘বনলতা সেন’। ২০২৪ সালে সিনেমাটি মুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল।
২০ ঘণ্টা আগে
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে নাটকের দল অবলোকন নাট্যদল। নাটকের নাম ‘গন্ধসূত্র’। নাটকটি লিখেছেন অপু শহীদ, নির্দেশনা দিয়েছেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন। আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে গন্ধসূত্র নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
২০ ঘণ্টা আগে