Ajker Patrika

নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল ইউআইইউ

আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৭: ৫৮
নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল ইউআইইউ। ছবি: সংগৃহীত
নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল ইউআইইউ। ছবি: সংগৃহীত

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) ফল-২০২৪-এর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ইউআইইউ খেলার মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকস, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস এবং স্কুল অব লাইফ সায়েন্সেসের সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর মো. আবুল কাশেম মিয়া। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ মুসা এবং স্কুল অব সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর হাসান সারোয়ার।

প্রধান অতিথি বলেন, সফলতার জন্য পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিতি, মনোযোগী হওয়া এবং নিজেকে সফল ও বিশ্বমানের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিভিন্নমুখী দক্ষতা অর্জনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. জুলফিকার রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক নিয়মাবলি তুলে ধরেন। অন্যদের মধ্যে ইউআইইউয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী রবি আজিয়াটা পিএলসির সিনিয়র ম্যানেজার (গভর্নমেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস) মো. মাহতাব উদ্দিন; একজন অভিভাবক এবং একজন নবাগত শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ইউআইইউ কালচারাল ক্লাব দ্বারা একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষ হয়।

নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নতুন বছরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

শিক্ষা ডেস্ক
নতুন বছরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রত্যাশা

মো. রাকিব আল হাসান
মো. রাকিব আল হাসান

নতুন বছর মানে শুধু ক্যালেন্ডারের একটি সংখ্যা বদলে যাওয়া নয়; বরং পুরোনো ক্লান্তি, হতাশা ও ব্যর্থতা পেছনে ফেলে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা এবং সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিটি নতুন বছর আসে নতুন চ্যালেঞ্জ ও নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। একদিকে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ, অন্যদিকে নিজেকে নতুনভাবে গড়ে তোলার দৃঢ়সংকল্প। বাস্তবতা ও স্বপ্নের এ মিশ্রণই নতুন বছরে তাঁদের প্রত্যাশাকে করে তোলে গভীর ও অর্থবহ। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সেই ভাবনা ও প্রত্যাশার কথাই তুলে ধরছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব আল হাসান

মো. আশিক মাহমুদ
মো. আশিক মাহমুদ

ক্যাম্পাস হোক রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত

মো. আশিক মাহমুদ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন বছর আমার কাছে শুধু সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের সুযোগ। আমার প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনা হবে রাজনৈতিক অস্থিরতামুক্ত; যেখানে জ্ঞানচর্চাই হবে মুখ্য। ক্লাসরুমে ফিরে আসুক শিক্ষার প্রকৃত জৌলুশ ও গুণগত মান। ব্যক্তিগতভাবে আমি চাই নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করতে, যেন যোগ্যতার ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত কর্মজীবনের পথে এগোতে পারি। একই সঙ্গে জাগতিক সাফল্যের ভিড়ে হারিয়ে না গিয়ে মানবিক মূল্যবোধে সমৃদ্ধ একজন পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে ওঠাই হোক নতুন বছরের লক্ষ্য।

রাইসা আমিন,
রাইসা আমিন,

সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক

রাইসা আমিন, শিক্ষার্থী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন বছর মানে আমার কাছে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখার সুযোগ। আমি প্রত্যাশা করি, শিক্ষাঙ্গন হবে আরও প্রাণবন্ত, গবেষণামুখী এবং সহমর্মিতায় পরিপূর্ণ। পড়াশোনার পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা বাড়ুক। মতের ভিন্নতা থাকলেও পরস্পরের প্রতি সম্মান বজায় থাকুক—মতভেদ হোক, কিন্তু বিভেদ নয়। সহপাঠীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও দৃঢ় হোক। ব্যক্তিগত জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহার এবং লক্ষ্যভিত্তিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।

মো. মাহামুদুল হাসান
মো. মাহামুদুল হাসান

তরুণ প্রজন্মের অন্তরে এক অদম্য আশার স্রোত

মো. মাহামুদুল হাসান, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন বছরের সূচনায় বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের অন্তরে জেগে উঠেছে এক অদম্য আশার স্রোত। আর্থসামাজিক অস্থিরতা, বেকারত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও প্রযুক্তির অগ্রগতি; বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইনের মতো ক্ষেত্র—আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। প্রতিহিংসা নয়, বরং ন্যায়ভিত্তিক ও স্বনির্ভর সমাজ গঠনের স্বপ্নই আমাদের অনুপ্রেরণা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ যুবশক্তির হাত ধরে বাংলাদেশ পৌঁছাবে নতুন উচ্চতায়।

মেহরাজ হোসেন
মেহরাজ হোসেন

গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে যাক

মেহরাজ হোসেন, শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন বছর একদিকে যেমন বিদায়ের বার্তা দেয়, অন্যদিকে সম্ভাবনার নতুন দরজা খুলে দেয়। সাম্প্রতিক আন্দোলনের ইতিবাচক প্রভাবে ক্যাম্পাসগুলোতে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন, র‍্যাগিং ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান—সবই শিক্ষার্থীদের সচেতনতার প্রতিফলন। নতুন বছরে প্রত্যাশা, ক্যাম্পাসে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক পরিবেশ বজায় থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও এগিয়ে যাবে জ্ঞান ও গবেষণায়। গবেষণাভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে দেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করাই হোক আমাদের যৌথ লক্ষ্য।

সমাপ্তি খান
সমাপ্তি খান

নিজেকে মানবিক ও সচেতন করে গড়ে তুলতে চাই

সমাপ্তি খান, শিক্ষার্থী, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

নতুন বছর আমাদের কাছে নতুন স্বপ্নের পাশাপাশি নতুন দায়বদ্ধতার সময়। এটি শুধু ক্যালেন্ডারের পরিবর্তন নয়; বরং নিজের সঙ্গে নতুন করে অঙ্গীকার করার মুহূর্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি চাই নিজেকে আরও দায়িত্বশীল, মানবিক এবং সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা, দক্ষতা অর্জন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার চর্চা জরুরি বলে আমি মনে করি। নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও আমরা স্বপ্ন দেখতে ছাড়িনি। আমাদের প্রত্যাশা, একটি কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা, নিরাপদ ক্যাম্পাসজীবন এবং ন্যায়ভিত্তিক ভবিষ্যৎ। নতুন বছর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহস জোগাক।

উম্মে হাবিবা নিশাত
উম্মে হাবিবা নিশাত

নবসূর্যের নিঃশব্দ প্রতিশ্রুতি

উম্মে হাবিবা নিশাত, শিক্ষার্থী, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ

নতুন বছর আমার কাছে নিঃশব্দ এক প্রতিশ্রুতি—ধীরে বাঁচার সাহস ও গভীরভাবে অনুভব করার শক্তি। চাই সম্পর্কগুলো হোক বোঝাপড়ার জায়গা, নীরবতাগুলো হোক হৃদয়ের ভাষা। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ও কোমলতা বজায় রাখতে চাই। অল্পতেই সুখ খুঁজে পাওয়ার প্রজ্ঞা এবং নিজের ভেতরের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে নতুনভাবে জেগে ওঠার প্রত্যয়—এই হোক নতুন বছরের সঙ্গী। নবসূর্যের মতো নীরব অথচ উজ্জ্বল হোক আগামীর দিনগুলো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জ্ঞান, নৈতিকতা এবং উৎকর্ষের ধারায় তিন দশকের গৌরবময় অগ্রযাত্রা

মিজানুর রহমান ভূঁইয়া
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাস। ছবি: সংগৃহীত

দেশের উচ্চশিক্ষার ইতিহাসে গত তিন যুগ ছিল পরিবর্তন ও সম্প্রসারণের সময়। এই সময়ে শিক্ষা শুধু শহরকেন্দ্রিক থেকে বেড়ে ধীরে ধীরে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিকতা, গুণগত মান ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সমন্বয়ে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এইউবি) সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।

১৯৯৬ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি তিন দশকে পদার্পণ করছে। মাত্র ২৯৫ শিক্ষার্থী নিয়েযাত্রা শুরু হয়। এইউবি আজ দেশের সুপরিচিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আশুলিয়ার টংগাবাড়িতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।

শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিকোণ

সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রবিউল আলম বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডে পিএইচডি রিসার্চার। তিনি বলেন, ‘৩০ বছর মানে শুধু সময় পার হওয়া নয়, বরং সময়টা চিন্তার ধারাবাহিকতাও। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের শুধু ডিগ্রি অর্জনে নয়; প্রশ্ন করতে, নিজস্ব বাস্তবতা বুঝতে এবং জ্ঞানকে নতুনভাবে ভাবতে উৎসাহ দিয়েছে। এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত শক্তি।’

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুন্নাহার পিংকি বলেন, ‘এইউবি আমাদের স্বপ্ন গড়ার জায়গা। এখানে শিক্ষকেরা শুধু বইয়ের জ্ঞান দেন না, ভালো মানুষ হতে শেখান। তাঁদের আন্তরিকতা, ধৈর্য ও সহযোগিতা আমাদের প্রতিদিন এগিয়ে যেতে সাহস জোগায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আশা করি, আগামীর দিনগুলোতেও এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবে।’

এক স্বপ্নদ্রষ্টার উদ্যোগ

প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আবুল হাসান এম সাদেক একজন অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর কানাডায় পিএইচডি সম্পন্ন করেন। বিদেশে কর্মজীবনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি ব্যক্তিগত সঞ্চয়, অভিজ্ঞতা এবং শ্রম বিনিয়োগ করার মধ্য

দিয়ে ১৯৯৬ সালে এইউবি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সীমিত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ সৃষ্টি করেছে। আমরা স্বল্প খরচে শিক্ষাদান করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে বিভিন্ন খাতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে কাজ করছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের; আইসিটি, স্মার্ট ক্লাসরুম, অনলাইন লার্নিং এবং আধুনিক কারিকুলাম চালু রয়েছে।’

শিক্ষা দর্শন ও একাডেমিক পরিবেশ

এইউবির শিক্ষা দর্শনের মূল ভিত্তি নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধ। এখানে শিক্ষা শুধু সনদ অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিত্ব ও দায়িত্ববোধ গঠনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। আধুনিক ও কর্মবাজারমুখী পাঠ্যক্রম, অভিজ্ঞ শিক্ষক ও গবেষকদের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্থিতিশীল একাডেমিক পরিবেশ তৈরি করেছে। গবেষণা, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশ্লেষণী ও সৃজনশীল চিন্তায় উৎসাহ দেওয়া হয়।

গ্র্যাজুয়েটদের অবস্থান

দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং, করপোরেট খাত, শিক্ষা, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রশাসন, গণমাধ্যম ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে তাঁরা কর্মরত। পেশাদারি ও নৈতিক আচরণে সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

মান নিশ্চয়তা ও অবকাঠামো

শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠন করেছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি)। ১০ একর জমির স্থায়ী ক্যাম্পাসে রয়েছে ১০ তলা একাডেমিক ভবন, আধুনিক শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, সেমিনার কক্ষ, দুটি খেলার মাঠ, সাতটি কম্পিউটার ল্যাব এবং লাখো বইয়ের লাইব্রেরি ও জার্নাল। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে হোস্টেল সুবিধা ও বিনা মূল্যের পরিবহনব্যবস্থা।

সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুযোগ

স্বল্প ফি কাঠামোর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষাকে সহজলভ্য করা এইউবির লক্ষ্য। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য পূর্ণ বৃত্তি এবং মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে। নারী শিক্ষা, সহশিক্ষা কার্যক্রম, বিতর্ক, সাংস্কৃতিক আয়োজন, খেলাধুলা ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতে সহায়ক।

ভবিষ্যৎ লক্ষ্য

তিন দশকের অভিজ্ঞতায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এখন একটি স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গবেষণা, ডিজিটাল লার্নিং, উদ্ভাবন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

শিক্ষা ডেস্ক
সাখাওয়াত হোসেন লিমন।
সাখাওয়াত হোসেন লিমন।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা দরজায় কড়া নাড়ছে। এ সময়টায় অনেকে হতাশ হয়ে পড়ে, কীভাবে প্রস্তুতি গোছাবে, কোন দিকটায় বেশি গুরুত্ব দেবে—এসব ভেবে দুশ্চিন্তা বাড়ে। এ সময় আত্মবিশ্বাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যারা ফার্স্ট টাইমার, তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় সময় ব্যবস্থাপনায়। শুরুতে প্রশ্ন বুঝলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারায় ফল ভালো আসে না। তবে একটু কৌশলী হলেই এ সময়টা খুবই কার্যকরভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়। চলুন, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে একনজরে দেখে নেওয়া যাক:

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

পরীক্ষার আগমুহূর্তে নতুন কোনো টপিক না পড়াই ভালো। বরং আগের পড়া টপিকগুলো বারবার রিভিশন করতে হবে। প্রশ্নব্যাংক দেখে গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে সমানভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ভালো রেজাল্ট করতে হলে প্রতিটি বিষয়েই ভালো নম্বর তুলতে হবে। নিয়মিত অনুশীলন ও পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। পরীক্ষার আগমুহূর্তে স্বাস্থ্যের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। অত্যন্ত ৬ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য খেতে হবে।

আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা

আত্মবিশ্বাস সফলতা অর্জনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত অধ্যয়ন, পরিশ্রম ও নিজেকে মূল্যায়নের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে।

পরীক্ষার কেন্দ্রে যাওয়ার আগে করণীয়

পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল ফোন, ঘড়ি ইত্যাদি নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না। পরীক্ষার মূল প্রবেশপত্র (স্টুডেন্ট কপি ও অফিস কপি) এবং এইচএসসি পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড সঙ্গে আনতে হবে।

প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর করণীয়

প্রশ্নপত্রে যদি সেটকোড থাকে তাহলে তা অবশ্যই আগে পূরণ করতে হবে। ৮০টি প্রশ্নের বিপরীতে সময় মাত্র ৬০ মিনিট। তাই টাইম ম্যানেজমেন্ট ভালো রেজাল্ট করার ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১.২৫ মার্ক অর্থ্যাৎ ৮০টি প্রশ্নের জন্য ১০০ মার্ক। প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর প্রথম দিক থেকে সিরিয়ালে উত্তর করতে হবে। কোনো প্রশ্নে কনফিউশন থাকলে সেটির জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা যাবে না। প্রশ্নের চারটি অপশন ভালো করে পড়ে তিনটি ভুল উত্তর খুঁজে বের করে সঠিক উত্তরটির বৃত্ত ভরাট করতে হবে। নেগেটিভ মার্কিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। একটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

সবশেষে বলা যায়, জীবনে সফলতার ক্ষেত্রে নিজের প্রতি আস্থা, ধৈর্য ও পরিশ্রমের বিকল্প নেই। জীবনে সফল হওয়ার জন্য সব ধরনের বাধা-বিপত্তি পরিকল্পিতভাবে দমন করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি পরিশ্রমী, অধ্যবসায়ী, আত্মবিশ্বাসীরা কখনোই হেরে যায় না।

সাখাওয়াত হোসেন লিমন, শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক ইউনিটে ৩৯তম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থায়িত বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫২
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা

কানাডার শীর্ষ স্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো বিভিন্ন স্কলারশিপে আবেদনের আহ্বান জানিয়েছে। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এসব স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই স্কলারশিপ কর্মসূচিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।

যেসব শিক্ষার্থী কানাডায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখছেন এবং আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য এ স্কলারশিপগুলো উচ্চশিক্ষার ব্যয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কানাডায় পড়াশোনার পথ আরও সহজ করে দেবে।

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো কানাডার অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৮২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। টরন্টো শহরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়টির তিনটি ক্যাম্পাস সেন্ট জর্জ, স্কারবরো ও মিসিসাগায় হাজারো দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নিয়মিত জায়গা করে নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে নোবেলজয়ীসহ বহু খ্যাতিমান গবেষক, শিক্ষক ও পেশাজীবী উঠে এসেছেন।

সুযোগ-সুবিধা

শিক্ষার্থীরা ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর স্কলারশিপ খুঁজে পেতে অ্যাওয়ার্ড এক্সপ্লোরার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ ও গ্র্যান্টের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। মেধা, যোগ্যতা ও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন বিবেচনায় এসব বৃত্তি দেওয়া হয়। প্রতিটি বৃত্তির আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন। এই প্ল্যাটফর্মে আবেদনকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বা দেশীয় শিক্ষার্থী, বিষয়ভিত্তিক প্রোগ্রাম, পড়াশোনার স্তরসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরি নির্বাচন করে উপযুক্ত স্কলারশিপ বেছে নিতে পারবেন।

আবেদনের যোগ্যতা

কানাডার বিভিন্ন স্কলারশিপের ক্ষেত্রে যোগ্যতার শর্তও ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটি স্কলারশিপের জন্য আলাদা আলাদা যোগ্যতা ও শর্ত নির্ধারিত। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিষয়ভিত্তিক ফল, ভর্তি প্রোগ্রাম এবং কখনো কখনো জাতীয়তা বা শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাসের ওপর এসব শর্ত নির্ভর করে। কোন স্কলারশিপে আবেদন করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীর যোগ্যতা মূল্যায়ন করা হয়। আবেদন করার আগে সংশ্লিষ্ট স্কলারশিপের মৌলিক যোগ্যতার শর্তগুলো বিস্তারিতভাবে যাচাই করা জরুরি। এসব প্রাথমিক যোগ্যতার তথ্য লিঙ্কে গিয়ে পাওয়া যাবে।

স্কলারশিপের ধরন

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোতে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ কর্মসূচি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দি ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো স্কলার্স প্রোগ্রাম, প্রেসিডেন্টস স্কলার্স অব এক্সেলেন্স প্রোগ্রাম এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে নকশা করা লেস্টার বি. পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব স্কলারশিপের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আলাদা করে কোনো আবেদন করতে হয় না। ভর্তি আবেদনের তথ্যের ভিত্তিতেই যোগ্য শিক্ষার্থীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্কলারশিপের জন্য বিবেচনা করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনপ্রক্রিয়াকে আরও সহজ করেছে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ

ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো ও এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কলেজ, অনুষদ ও বিভাগ প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার ৫০০টি বৃত্তি দিয়ে থাকে। যার মোট আর্থিক মূল্য প্রায় ২ কোটি মার্কিন ডলার। পাশাপাশি চলমান শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবছর প্রায় ৫ হাজার ইনকোর্স অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এসব স্কলারশিপ ও আর্থিক সহায়তায় শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়ালেখা করতে পারেন, সেগুলো হলো ফার্মেসি, মেডিকেল রেডিয়েশন সায়েন্সেস, বায়োমেডিক্যাল কমিউনিকেশনস, মেডিসিন, আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপ অ্যান্ড ডিজাইন, ডেন্টিস্ট্রি, ফিজিক্যাল থেরাপি, ফরেস্ট্রি, ইনফরমেশন, নার্সিং, আইন (ল), ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, সামাজিক বিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা লিঙ্কে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৪ জানুয়ারি, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার যে ব্যাখ্যা দিলেন আখতার

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

জটিল ও সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন খালেদা জিয়া: এ জেড এম জাহিদ

রাষ্ট্রপতির কাছে অব্যাহতিপত্র দিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান

জামায়াতে ইসলামী নির্ভরযোগ্য মিত্র না: সামান্তা শারমিন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত