মুশফিকুর রিজন, জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জাকসুর ২৫টি পদের ২০টি পদেই জয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। এখন শিবিরের এমন বিজয়ের কারণ খুঁজছেন বিশ্লেষকেরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক জাকসুতে শিবিরকে এমন জয় এনে দিয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাকসুর ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। ফলাফলে দেখা যায়, শীর্ষ চারটি পদের তিনটিতেই জয় পেয়েছেন শিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্ধারিত ২৫টি পদের মধ্যে ২০টি পদে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন, ৩টি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ২টি পদে বাগছাস-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। তারা এমন একটি সংগঠনকে ভোট দিতে চেয়েছে, যারা তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবে। শিবির নিজেদের সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত দল হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে অনেক নিরপেক্ষ শিক্ষার্থী শিবিরকেই তাঁদের আস্থার জায়গা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিবিরের প্যানেল ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে, বিশেষ করে সুইং ভোটারদের কাছে আর কোনো অপশন ছিল না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন একটা বামবিরোধী সেন্টিমেন্ট চলছে, যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বামদের ভোট দেয়নি। বাগছাস কিছু কার্যকলাপের কারণে শিক্ষার্থীদের থেকে দূরে সরে গেছে। এ ছাড়া বাদবাকি যে প্যানেল আছে, সেখানে জিতু ভাই ছাড়া সে রকম হেভিওয়েট কোনো প্রার্থী ছিলেন না, যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিবিরের প্যানেলের ওপরই আস্থা রেখেছেন।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘শিবিরের সাংগঠনিক নিষ্ঠা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে ভালো। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের রাজনীতি ছাত্রদল মারফত ফিরে আসুক, এটা হয়তো চাননি। দীর্ঘকাল ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকায় বর্তমান শিক্ষার্থীরা শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখতে পাননি, হয়তো ভেবেছেন, এরা ধর্মের নামে খারাপ কিছু নিশ্চয়ই করবে না।’
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত বছরের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসে ছাত্রশিবির। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে যখন শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন, তখনো হলে হলে কৌশলগত অবস্থান ধরে রাখে শিবির। রাজনৈতিক পরিচয় সামনে না এনে হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানা কার্যক্রমে যুক্ত থেকেছে তারা। হলে ও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজেও সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা যুক্ত ছিলেন। প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরুর পর ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পবিত্র কোরআন শরিফ বিতরণ, ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন, শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শিক্ষার্থী বৃত্তি, শীতের পোশাক বিতরণ, জুলাইয়ে আহত ব্যক্তিদের সম্মাননা, কোরবানির ঈদে শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন, অসুস্থদের সহায়তা প্রদানসহ নানা কার্যক্রম চালিয়েছে সংগঠনটি। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের যুক্ততা তৈরি হয়, যা নির্বাচনী প্রস্তুতির ক্ষেত্রও তৈরি করে দেয়।
এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তির রাজনীতি বন্ধ আছে, গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতিও নেই। কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যাওয়া এখন আর কারও জন্য বাধ্যতামূলক নয়। হল ও ক্যাম্পাসকে ভবিষ্যতেও এ রকম রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচার চালিয়েছে শিবির। এই প্রচারও নির্বাচনে তাদের সহায়তা করেছে।
বিশাল এই জয়ের বিষয়ে শিবিরের নেতাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজ রাখা, সংকটে পাশে থেকে সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন কাজে গত এক বছর যুক্ত ছিলেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু এ নিয়ে তাঁরা প্রচার চালাতেন না, যা শিক্ষার্থীরা পছন্দ করেছেন। যার ফলে খুব সহজেই শিক্ষার্থীরা শিবিরের প্যানেলে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিবির দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে রাজনীতি না করায় সবার মধ্যেই তাদের নিয়ে একটি আগ্রহ ছিল। গত বছর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শিবির যে কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করেছে, সেগুলো তাদের প্রতি একটি ইতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে। আর সেটার প্রতিফলন ঘটেছে জাকসুতে।’
সুনির্দিষ্ট ভোটব্যাংক
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, শিবিরের জয় নিশ্চিত করেছে শিবিরের নিজস্ব ভোটব্যাংক। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শিবির প্যানেল থেকে যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগের ভোটসংখ্যাই দুই থেকে আড়াই হাজারের মধ্যে ছিল। এর থেকে বেশি ভোট যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা আগে থেকেই বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন। সেখান থেকে বলা যায়, শিবিরের প্রায় এক থেকে দেড় হাজারের মতো নিজস্ব ভোট রয়েছে, যাঁরা সংগঠনের বাইরে কাউকে ভোট দেননি। এর বাইরে যে ভোটগুলো এসেছে, তার ছিল বেশির ভাগ সুয়িং ভোটার, যাঁরা অন্য কোনো প্যানেলকে ভরসা করতে না পেরে শিবিরের প্যানেলকে বেশি যোগ্য মনে করেছেন।
এ বিষয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষার্থী তারেক মাহমুদ বলেন, ‘আমার ধারণা, ক্যাম্পাসে শিবির এবং ছাত্রী সংস্থার আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজারের মতো প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য জনশক্তি রয়েছে, যাদের শতভাগ ভোট কাস্টিং নিশ্চিত করেছে শিবির। সঙ্গে তাবলিগ জামায়াতের মতো ডানপন্থী সংগঠনের ভোটও যুক্ত হয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট ভোটব্যাংক থাকার পাশাপাশি এক পদে ছয়-সাতজন করে প্রার্থী থাকায় শিবিরের সুবিধা হয়েছে। এতে ভোট ভাগাভাগির সুবিধা পেয়েছে শিবির।
ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে যিনি বিজয়ী হয়েছেন, তাঁর থেকে ৩৪৪ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) জিয়া উদ্দিন আয়ান। এই পদে জিয়ার দুই ব্যাচমেট ও সংগঠনের আরও একজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। তাঁরা তিনজন মোট ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১৭২টি। এই ভোটগুলো ভাগ না হলে জিয়া উদ্দিন আয়ানের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকত।
এ বিষয়ে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনে যেসব প্যানেল হয়েছিল, সেখানে বেশ কয়েকটি প্যানেলের সুযোগ ছিল সমঝোতার মাধ্যমে একটি প্যানেল করার। সেটি না করায় তাদের ভোটগুলো ভাগ হয়েছে। এদিক থেকে শিবির একটি বড় সুবিধা পেয়েছে বলে মনে হয়।’
ডাকসুর প্রভাব জাকসুতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল জাকসুতে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে মেয়েরা এখানে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাজেরা আলম রুহানা বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় জাহাঙ্গীরনগরের ভোটারদের কিছুটা প্রভাবিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাঁরা শিবিরের প্রার্থী ছিলেন, চার-পাঁচজন ছাড়া বাকিদেরকে সবাই ভালোভাবে চিনত না। তবে সার্বিকভাবে শিবিরের যেই ইমেজ তৈরি হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির যেভাবে নানান প্রতিকূলতাকে সামলে জনগণের মন জয় করেছে, সে কারণেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাকসুতে শিবিরের প্যানেলের ওপর আস্থা রেখেছেন।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জাকসুর ২৫টি পদের ২০টি পদেই জয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। এখন শিবিরের এমন বিজয়ের কারণ খুঁজছেন বিশ্লেষকেরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক জাকসুতে শিবিরকে এমন জয় এনে দিয়েছে।
গত শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাকসুর ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। ফলাফলে দেখা যায়, শীর্ষ চারটি পদের তিনটিতেই জয় পেয়েছেন শিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। নির্ধারিত ২৫টি পদের মধ্যে ২০টি পদে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন, ৩টি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ২টি পদে বাগছাস-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। তারা এমন একটি সংগঠনকে ভোট দিতে চেয়েছে, যারা তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবে। শিবির নিজেদের সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত দল হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে অনেক নিরপেক্ষ শিক্ষার্থী শিবিরকেই তাঁদের আস্থার জায়গা হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিবিরের প্যানেল ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে, বিশেষ করে সুইং ভোটারদের কাছে আর কোনো অপশন ছিল না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন একটা বামবিরোধী সেন্টিমেন্ট চলছে, যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বামদের ভোট দেয়নি। বাগছাস কিছু কার্যকলাপের কারণে শিক্ষার্থীদের থেকে দূরে সরে গেছে। এ ছাড়া বাদবাকি যে প্যানেল আছে, সেখানে জিতু ভাই ছাড়া সে রকম হেভিওয়েট কোনো প্রার্থী ছিলেন না, যার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিবিরের প্যানেলের ওপরই আস্থা রেখেছেন।’
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ‘শিবিরের সাংগঠনিক নিষ্ঠা অন্য যেকোনো দলের চেয়ে ভালো। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের রাজনীতি ছাত্রদল মারফত ফিরে আসুক, এটা হয়তো চাননি। দীর্ঘকাল ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ থাকায় বর্তমান শিক্ষার্থীরা শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখতে পাননি, হয়তো ভেবেছেন, এরা ধর্মের নামে খারাপ কিছু নিশ্চয়ই করবে না।’
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর গত বছরের নভেম্বরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে আসে ছাত্রশিবির। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে যখন শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন, তখনো হলে হলে কৌশলগত অবস্থান ধরে রাখে শিবির। রাজনৈতিক পরিচয় সামনে না এনে হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানা কার্যক্রমে যুক্ত থেকেছে তারা। হলে ও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজেও সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা যুক্ত ছিলেন। প্রকাশ্যে রাজনীতি শুরুর পর ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পবিত্র কোরআন শরিফ বিতরণ, ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন, শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শিক্ষার্থী বৃত্তি, শীতের পোশাক বিতরণ, জুলাইয়ে আহত ব্যক্তিদের সম্মাননা, কোরবানির ঈদে শিক্ষার্থীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন, অসুস্থদের সহায়তা প্রদানসহ নানা কার্যক্রম চালিয়েছে সংগঠনটি। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের যুক্ততা তৈরি হয়, যা নির্বাচনী প্রস্তুতির ক্ষেত্রও তৈরি করে দেয়।
এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তির রাজনীতি বন্ধ আছে, গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতিও নেই। কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের কর্মসূচিতে যাওয়া এখন আর কারও জন্য বাধ্যতামূলক নয়। হল ও ক্যাম্পাসকে ভবিষ্যতেও এ রকম রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রচার চালিয়েছে শিবির। এই প্রচারও নির্বাচনে তাদের সহায়তা করেছে।
বিশাল এই জয়ের বিষয়ে শিবিরের নেতাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজ রাখা, সংকটে পাশে থেকে সহযোগিতা করাসহ বিভিন্ন কাজে গত এক বছর যুক্ত ছিলেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু এ নিয়ে তাঁরা প্রচার চালাতেন না, যা শিক্ষার্থীরা পছন্দ করেছেন। যার ফলে খুব সহজেই শিক্ষার্থীরা শিবিরের প্যানেলে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিবির দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে রাজনীতি না করায় সবার মধ্যেই তাদের নিয়ে একটি আগ্রহ ছিল। গত বছর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে শিবির যে কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করেছে, সেগুলো তাদের প্রতি একটি ইতিবাচক ধারণার জন্ম দিয়েছে। আর সেটার প্রতিফলন ঘটেছে জাকসুতে।’
সুনির্দিষ্ট ভোটব্যাংক
শিক্ষার্থীরা মনে করেন, শিবিরের জয় নিশ্চিত করেছে শিবিরের নিজস্ব ভোটব্যাংক। ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শিবির প্যানেল থেকে যাঁরা বিজয়ী হয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগের ভোটসংখ্যাই দুই থেকে আড়াই হাজারের মধ্যে ছিল। এর থেকে বেশি ভোট যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরা আগে থেকেই বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন। সেখান থেকে বলা যায়, শিবিরের প্রায় এক থেকে দেড় হাজারের মতো নিজস্ব ভোট রয়েছে, যাঁরা সংগঠনের বাইরে কাউকে ভোট দেননি। এর বাইরে যে ভোটগুলো এসেছে, তার ছিল বেশির ভাগ সুয়িং ভোটার, যাঁরা অন্য কোনো প্যানেলকে ভরসা করতে না পেরে শিবিরের প্যানেলকে বেশি যোগ্য মনে করেছেন।
এ বিষয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষার্থী তারেক মাহমুদ বলেন, ‘আমার ধারণা, ক্যাম্পাসে শিবির এবং ছাত্রী সংস্থার আনুমানিক এক থেকে দেড় হাজারের মতো প্রকাশ্য এবং অপ্রকাশ্য জনশক্তি রয়েছে, যাদের শতভাগ ভোট কাস্টিং নিশ্চিত করেছে শিবির। সঙ্গে তাবলিগ জামায়াতের মতো ডানপন্থী সংগঠনের ভোটও যুক্ত হয়েছে।’
সুনির্দিষ্ট ভোটব্যাংক থাকার পাশাপাশি এক পদে ছয়-সাতজন করে প্রার্থী থাকায় শিবিরের সুবিধা হয়েছে। এতে ভোট ভাগাভাগির সুবিধা পেয়েছে শিবির।
ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে যিনি বিজয়ী হয়েছেন, তাঁর থেকে ৩৪৪ ভোট কম পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) জিয়া উদ্দিন আয়ান। এই পদে জিয়ার দুই ব্যাচমেট ও সংগঠনের আরও একজন বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন। তাঁরা তিনজন মোট ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১৭২টি। এই ভোটগুলো ভাগ না হলে জিয়া উদ্দিন আয়ানের জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকত।
এ বিষয়ে জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাকসু নির্বাচনে যেসব প্যানেল হয়েছিল, সেখানে বেশ কয়েকটি প্যানেলের সুযোগ ছিল সমঝোতার মাধ্যমে একটি প্যানেল করার। সেটি না করায় তাদের ভোটগুলো ভাগ হয়েছে। এদিক থেকে শিবির একটি বড় সুবিধা পেয়েছে বলে মনে হয়।’
ডাকসুর প্রভাব জাকসুতে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল জাকসুতে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে মেয়েরা এখানে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাজেরা আলম রুহানা বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয় জাহাঙ্গীরনগরের ভোটারদের কিছুটা প্রভাবিত করেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যাঁরা শিবিরের প্রার্থী ছিলেন, চার-পাঁচজন ছাড়া বাকিদেরকে সবাই ভালোভাবে চিনত না। তবে সার্বিকভাবে শিবিরের যেই ইমেজ তৈরি হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির যেভাবে নানান প্রতিকূলতাকে সামলে জনগণের মন জয় করেছে, সে কারণেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাকসুতে শিবিরের প্যানেলের ওপর আস্থা রেখেছেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, ‘আমরা প্যানেল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জকসু নির্বাচনকে ঘিরে সম্মিলিতভাবে চার দফা মৌখিক দাবি জানিয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে সবগুলো পূরণ করতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সমর্থিত মওলানা ভাসানী ব্রিগেড প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা যে দাবি জানিয়েছি, তা অবশ্যই পূরণ করা লাগবে—এটা আমাদের অধিকার।’
এর আগে সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পরপরই ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে উপাচার্য ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন চালান তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে আবারও সিন্ডিকেট সভা ডাকা হয়। সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
চার দফা দাবি হলো—জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৬ জানুয়ারির মধ্যেই অনুষ্ঠিত করতে হবে। নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে পারবেন না। নির্বাচন শেষে যেসব সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের পদত্যাগ করতে হবে। নির্বাচন স্থগিতের পেছনে কোনো দলীয় বা রাজনৈতিক চাপ ছিল কি না, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জাকসুর ২৫টি পদের ২০টি পদেই জয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। এখন শিবিরের এমন বিজয়ের কারণ খুঁজছেন বিশ্লেষকেরা।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।
সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে আজ সকালে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেন উপাচার্য ড. মো. রেজাউল করিম। এতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা উপাচার্য ভবন ঘেরাও করেন। বিক্ষোভকারীরা তফসিল অনুযায়ী আজই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা ডাকা হয়।
সভা শেষে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ৬ জানুয়ারি জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জাকসুর ২৫টি পদের ২০টি পদেই জয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। এখন শিবিরের এমন বিজয়ের কারণ খুঁজছেন বিশ্লেষকেরা।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’
পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।
বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।
এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় এ দিন অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তির বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। পরীক্ষাটি আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় শোক এবং বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই বুধবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ওই পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।’
পরীক্ষা স্থগিত ও নতুন তারিখ ঘোষণা দিয়ে শিক্ষা বোর্ডগুলো বিজ্ঞপ্তি জারি করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ভিত্তিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে আলাদা আলাদা পরীক্ষা হলে বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে একসঙ্গে।
বৃত্তি পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০। বাংলায় ১০০, ইংরেজিতে ১০০, গণিতে ১০০, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টা সময়ে।
এ পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ‘ট্যালেন্টপুল’ কোটায় ও ‘সাধারণ’ কোটায় শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জাকসুর ২৫টি পদের ২০টি পদেই জয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। এখন শিবিরের এমন বিজয়ের কারণ খুঁজছেন বিশ্লেষকেরা।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
১২ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর উপাচার্যের ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ উত্তাল পরিস্থিতির মাঝে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। এদিন সকাল থেকেই ভোট দেওয়ার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছিলেন। তবে ভোটের অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাস ছাড়ছেন তাঁরা।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, জীবনের প্রথম ভোট দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের সিদ্ধান্তের কারণে সেই সুযোগ আর হলো না। জানি না কবে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্যই বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মায়িশা ফাহমিদা বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে এক ধরনের ভিন্ন অনুভূতি কাজ করছিল। কিন্তু যা প্রশাসন করল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভোট যেহেতু হবে না, তাই ক্যাম্পাসে থাকার আর কোনো মনমানসিকতা নেই এ কারণেই চলে যাচ্ছি।
এর আগে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় জকসু নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। আজ সকাল সোয়া ৯টায় নির্বাচন স্থগিতের এ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
তবে এ ঘোষণার পর ভিসি ভবন ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন প্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিসি ভবন ঘেরাও করে নির্বাচন আদায়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। জাকসুর ২৫টি পদের ২০টি পদেই জয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। এখন শিবিরের এমন বিজয়ের কারণ খুঁজছেন বিশ্লেষকেরা।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চার দফা দাবি জানিয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা চার প্যানেলেসহ স্বতন্ত্র পদপ্রার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপাচার্য বরাবর সম্মিলিতভাবে এ দাবি জানান তাঁরা।
৯ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে এই ভোট গ্রহণ সাত দিন পেছানো হলো।
১১ ঘণ্টা আগে
রোববার বাংলা, সোমবার ইংরেজি, মঙ্গলবার গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৫ জানুয়ারি।
১১ ঘণ্টা আগে