সাখাওয়াত ফাহাদ ও ফারুক ছিদ্দিক

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার কাজ চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, তারা আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। তবে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের এ কথা নিছক ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাঁরা বলছেন, ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের বিশদ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।
ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক ও অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী, টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, ক্যাম্পাসভিত্তিক সাংবাদিক সবার মুখেই ডাকসু নির্বাচনের কথা। ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা শিক্ষার্থীদের চায়ের আড্ডার আলোচনার অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় এখন ডাকসু।
দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সেই সংসদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। সেবারের নির্বাচনের আগেও ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, ছাত্রনেতাদের কারও কারও ছাত্রত্ব-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে নানা সংস্কারের দাবি উঠেছিল। তবে কোনো রকম সংস্কার ছাড়াই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেবার। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যায় ডাকসু নির্বাচন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়নি।
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের অধিকারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ডাকসু নির্বাচন চান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডাকসুসহ সারা দেশে ছাত্র সংসদ শুরু হয়ে যাক, এটি আমাদের প্রত্যাশা, কারণ মার্চে রোজা। দীর্ঘ সময় ডাকসু বন্ধ ছিল, সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে নিয়ন্ত্রিতভাবে। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন থেকে বেরিয়ে সুন্দর নির্বাচন হোক।’ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যৌক্তিক সংস্কারগুলো এ সময়ের মধ্যেই করা সম্ভব বলে মত দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নির্বাচনের আগে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন ফেব্রুয়ারির কথা বলেছে। তা হবে তাড়াহুড়ো। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত। সংস্কারের ক্ষেত্র এবং নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন; কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই এখন পর্যন্ত হয়নি।’
ছাত্র সংসদ নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ছাত্রদের সমস্যাগুলো তত দ্রুত নিরসন হবে বলে মনে করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসুর নিয়মনীতির মধ্যে কিছু সংশোধনীর কাজ আছে। এ ছাড়া নির্বাচন কার্যক্রমের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের সময়সূচি নিশ্চয়ই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে। অন্তত তিন-চার মাস সময় দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না মন্তব্য করে শিবির নেতা সাদেক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বলছি, সবাই বসে একটা গাইডলাইন ঠিক করতে হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচন দেবে, কিন্তু তার জন্য তো প্রস্তুতি, সংস্কারের বিষয় আছে। সেগুলো এখনো শুরু হয়নি।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ডাকসুর নীতিমালা এবং ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিবেশের সংস্কারের ওপর জোর দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। কোনো ধরনের গবেষণা, আলোচনা, মতবিনিময় ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নিশ্চিতভাবে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে সংস্কার সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘ডাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রে পদাধিকার বলে সভাপতি (উপাচার্য) সব মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা ঠিক করে দিতে পারেন; এমনকি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বহিষ্কারও করতে পারেন। এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ধারাগুলোর সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। ছাত্র সংসদের সভাপতি অবশ্যই ছাত্রনেতৃত্বের মধ্য থেকেই হওয়া উচিত।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন, যাতে সব সংগঠন সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে। তাঁর মতে, নির্বাচনের আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অগণতান্ত্রিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষণা ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তবে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখছে না। তাঁরা এমন একটি পলিসির দিকে এগোচ্ছেন, যেখানে একটা গোষ্ঠী ছাড়া বাকিরা মাইনাস হবে।’
প্রশাসন যা যা করেছে
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ বলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি ও ধরন’বিষয়ক একটি কমিটি করেছে। কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি কেমন হবে, তা নিয়ে সুপারিশ করবে। ৯ ডিসেম্বর দুই ধাপে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কমিটি। তবে ১৯৯০ সালের পরিবেশ পরিষদের চুক্তি অনুযায়ী ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেওয়ায় সভা ছেড়ে চলে যায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ)।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি জানতে চাইলে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব নয় বলে জানান উপাচার্য। তবে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার কাজ চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, তারা আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। তবে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের এ কথা নিছক ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাঁরা বলছেন, ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের বিশদ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।
ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক ও অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী, টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, ক্যাম্পাসভিত্তিক সাংবাদিক সবার মুখেই ডাকসু নির্বাচনের কথা। ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা শিক্ষার্থীদের চায়ের আড্ডার আলোচনার অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় এখন ডাকসু।
দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সেই সংসদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। সেবারের নির্বাচনের আগেও ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, ছাত্রনেতাদের কারও কারও ছাত্রত্ব-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে নানা সংস্কারের দাবি উঠেছিল। তবে কোনো রকম সংস্কার ছাড়াই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেবার। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যায় ডাকসু নির্বাচন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়নি।
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের অধিকারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ডাকসু নির্বাচন চান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডাকসুসহ সারা দেশে ছাত্র সংসদ শুরু হয়ে যাক, এটি আমাদের প্রত্যাশা, কারণ মার্চে রোজা। দীর্ঘ সময় ডাকসু বন্ধ ছিল, সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে নিয়ন্ত্রিতভাবে। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন থেকে বেরিয়ে সুন্দর নির্বাচন হোক।’ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যৌক্তিক সংস্কারগুলো এ সময়ের মধ্যেই করা সম্ভব বলে মত দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নির্বাচনের আগে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন ফেব্রুয়ারির কথা বলেছে। তা হবে তাড়াহুড়ো। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত। সংস্কারের ক্ষেত্র এবং নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন; কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই এখন পর্যন্ত হয়নি।’
ছাত্র সংসদ নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ছাত্রদের সমস্যাগুলো তত দ্রুত নিরসন হবে বলে মনে করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসুর নিয়মনীতির মধ্যে কিছু সংশোধনীর কাজ আছে। এ ছাড়া নির্বাচন কার্যক্রমের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের সময়সূচি নিশ্চয়ই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে। অন্তত তিন-চার মাস সময় দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না মন্তব্য করে শিবির নেতা সাদেক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বলছি, সবাই বসে একটা গাইডলাইন ঠিক করতে হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচন দেবে, কিন্তু তার জন্য তো প্রস্তুতি, সংস্কারের বিষয় আছে। সেগুলো এখনো শুরু হয়নি।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ডাকসুর নীতিমালা এবং ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিবেশের সংস্কারের ওপর জোর দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। কোনো ধরনের গবেষণা, আলোচনা, মতবিনিময় ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নিশ্চিতভাবে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে সংস্কার সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘ডাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রে পদাধিকার বলে সভাপতি (উপাচার্য) সব মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা ঠিক করে দিতে পারেন; এমনকি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বহিষ্কারও করতে পারেন। এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ধারাগুলোর সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। ছাত্র সংসদের সভাপতি অবশ্যই ছাত্রনেতৃত্বের মধ্য থেকেই হওয়া উচিত।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন, যাতে সব সংগঠন সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে। তাঁর মতে, নির্বাচনের আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অগণতান্ত্রিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষণা ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তবে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখছে না। তাঁরা এমন একটি পলিসির দিকে এগোচ্ছেন, যেখানে একটা গোষ্ঠী ছাড়া বাকিরা মাইনাস হবে।’
প্রশাসন যা যা করেছে
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ বলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি ও ধরন’বিষয়ক একটি কমিটি করেছে। কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি কেমন হবে, তা নিয়ে সুপারিশ করবে। ৯ ডিসেম্বর দুই ধাপে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কমিটি। তবে ১৯৯০ সালের পরিবেশ পরিষদের চুক্তি অনুযায়ী ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেওয়ায় সভা ছেড়ে চলে যায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ)।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি জানতে চাইলে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব নয় বলে জানান উপাচার্য। তবে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
সাখাওয়াত ফাহাদ ও ফারুক ছিদ্দিক

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার কাজ চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, তারা আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। তবে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের এ কথা নিছক ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাঁরা বলছেন, ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের বিশদ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।
ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক ও অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী, টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, ক্যাম্পাসভিত্তিক সাংবাদিক সবার মুখেই ডাকসু নির্বাচনের কথা। ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা শিক্ষার্থীদের চায়ের আড্ডার আলোচনার অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় এখন ডাকসু।
দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সেই সংসদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। সেবারের নির্বাচনের আগেও ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, ছাত্রনেতাদের কারও কারও ছাত্রত্ব-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে নানা সংস্কারের দাবি উঠেছিল। তবে কোনো রকম সংস্কার ছাড়াই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেবার। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যায় ডাকসু নির্বাচন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়নি।
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের অধিকারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ডাকসু নির্বাচন চান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডাকসুসহ সারা দেশে ছাত্র সংসদ শুরু হয়ে যাক, এটি আমাদের প্রত্যাশা, কারণ মার্চে রোজা। দীর্ঘ সময় ডাকসু বন্ধ ছিল, সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে নিয়ন্ত্রিতভাবে। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন থেকে বেরিয়ে সুন্দর নির্বাচন হোক।’ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যৌক্তিক সংস্কারগুলো এ সময়ের মধ্যেই করা সম্ভব বলে মত দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নির্বাচনের আগে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন ফেব্রুয়ারির কথা বলেছে। তা হবে তাড়াহুড়ো। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত। সংস্কারের ক্ষেত্র এবং নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন; কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই এখন পর্যন্ত হয়নি।’
ছাত্র সংসদ নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ছাত্রদের সমস্যাগুলো তত দ্রুত নিরসন হবে বলে মনে করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসুর নিয়মনীতির মধ্যে কিছু সংশোধনীর কাজ আছে। এ ছাড়া নির্বাচন কার্যক্রমের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের সময়সূচি নিশ্চয়ই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে। অন্তত তিন-চার মাস সময় দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না মন্তব্য করে শিবির নেতা সাদেক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বলছি, সবাই বসে একটা গাইডলাইন ঠিক করতে হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচন দেবে, কিন্তু তার জন্য তো প্রস্তুতি, সংস্কারের বিষয় আছে। সেগুলো এখনো শুরু হয়নি।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ডাকসুর নীতিমালা এবং ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিবেশের সংস্কারের ওপর জোর দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। কোনো ধরনের গবেষণা, আলোচনা, মতবিনিময় ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নিশ্চিতভাবে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে সংস্কার সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘ডাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রে পদাধিকার বলে সভাপতি (উপাচার্য) সব মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা ঠিক করে দিতে পারেন; এমনকি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বহিষ্কারও করতে পারেন। এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ধারাগুলোর সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। ছাত্র সংসদের সভাপতি অবশ্যই ছাত্রনেতৃত্বের মধ্য থেকেই হওয়া উচিত।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন, যাতে সব সংগঠন সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে। তাঁর মতে, নির্বাচনের আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অগণতান্ত্রিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষণা ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তবে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখছে না। তাঁরা এমন একটি পলিসির দিকে এগোচ্ছেন, যেখানে একটা গোষ্ঠী ছাড়া বাকিরা মাইনাস হবে।’
প্রশাসন যা যা করেছে
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ বলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি ও ধরন’বিষয়ক একটি কমিটি করেছে। কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি কেমন হবে, তা নিয়ে সুপারিশ করবে। ৯ ডিসেম্বর দুই ধাপে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কমিটি। তবে ১৯৯০ সালের পরিবেশ পরিষদের চুক্তি অনুযায়ী ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেওয়ায় সভা ছেড়ে চলে যায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ)।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি জানতে চাইলে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব নয় বলে জানান উপাচার্য। তবে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেওয়ার কাজ চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছে, তারা আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ডাকসু নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। তবে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের এ কথা নিছক ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। তাঁরা বলছেন, ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের বিশদ পরিকল্পনার অভাব রয়েছে। আগে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।
ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়ক ও অংশ নেওয়া সাধারণ শিক্ষার্থী, টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, ক্যাম্পাসভিত্তিক সাংবাদিক সবার মুখেই ডাকসু নির্বাচনের কথা। ছাত্রসংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা শিক্ষার্থীদের চায়ের আড্ডার আলোচনার অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় এখন ডাকসু।
দীর্ঘ ২৮ বছরের ব্যবধানে ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সেই সংসদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের মার্চে। সেবারের নির্বাচনের আগেও ডাকসুর নীতিমালা সংস্কার, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি, ছাত্রনেতাদের কারও কারও ছাত্রত্ব-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে নানা সংস্কারের দাবি উঠেছিল। তবে কোনো রকম সংস্কার ছাড়াই একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেবার। তারপর আবার বন্ধ হয়ে যায় ডাকসু নির্বাচন। তখন থেকে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়নি।
ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বেড়েছে। তাঁরা শিক্ষার্থীদের অধিকারের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ডাকসু নির্বাচন চান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ডাকসুসহ সারা দেশে ছাত্র সংসদ শুরু হয়ে যাক, এটি আমাদের প্রত্যাশা, কারণ মার্চে রোজা। দীর্ঘ সময় ডাকসু বন্ধ ছিল, সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছে নিয়ন্ত্রিতভাবে। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন থেকে বেরিয়ে সুন্দর নির্বাচন হোক।’ নির্বাচন আয়োজনের জন্য যৌক্তিক সংস্কারগুলো এ সময়ের মধ্যেই করা সম্ভব বলে মত দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নির্বাচনের আগে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন ফেব্রুয়ারির কথা বলেছে। তা হবে তাড়াহুড়ো। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হওয়া উচিত। সংস্কারের ক্ষেত্র এবং নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা প্রয়োজন; কিন্তু এসব বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনাই এখন পর্যন্ত হয়নি।’
ছাত্র সংসদ নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ছাত্রদের সমস্যাগুলো তত দ্রুত নিরসন হবে বলে মনে করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাকসুর নিয়মনীতির মধ্যে কিছু সংশোধনীর কাজ আছে। এ ছাড়া নির্বাচন কার্যক্রমের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের সময়সূচি নিশ্চয়ই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে। অন্তত তিন-চার মাস সময় দিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না মন্তব্য করে শিবির নেতা সাদেক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত বলছি, সবাই বসে একটা গাইডলাইন ঠিক করতে হবে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বাচন দেবে, কিন্তু তার জন্য তো প্রস্তুতি, সংস্কারের বিষয় আছে। সেগুলো এখনো শুরু হয়নি।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য ডাকসুর নীতিমালা এবং ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিবেশের সংস্কারের ওপর জোর দেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একের পর এক অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছে। কোনো ধরনের গবেষণা, আলোচনা, মতবিনিময় ছাড়াই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। নিশ্চিতভাবে আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে সংস্কার সম্ভব নয়।’
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘ডাকসুর বর্তমান গঠনতন্ত্রে পদাধিকার বলে সভাপতি (উপাচার্য) সব মিটিংয়ের অ্যাজেন্ডা ঠিক করে দিতে পারেন; এমনকি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বহিষ্কারও করতে পারেন। এ ধরনের অগণতান্ত্রিক ধারাগুলোর সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। ছাত্র সংসদের সভাপতি অবশ্যই ছাত্রনেতৃত্বের মধ্য থেকেই হওয়া উচিত।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন, যাতে সব সংগঠন সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে। তাঁর মতে, নির্বাচনের আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন করে অগণতান্ত্রিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে।
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষণা ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। তবে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন। কিন্তু প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখছে না। তাঁরা এমন একটি পলিসির দিকে এগোচ্ছেন, যেখানে একটা গোষ্ঠী ছাড়া বাকিরা মাইনাস হবে।’
প্রশাসন যা যা করেছে
ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এ পর্যন্ত দৃশ্যমান পদক্ষেপ বলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি ও ধরন’বিষয়ক একটি কমিটি করেছে। কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল মতিন। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি কেমন হবে, তা নিয়ে সুপারিশ করবে। ৯ ডিসেম্বর দুই ধাপে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে কমিটি। তবে ১৯৯০ সালের পরিবেশ পরিষদের চুক্তি অনুযায়ী ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকা ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেওয়ায় সভা ছেড়ে চলে যায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ)।
ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ করতে চাই। ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা রয়েছে, বৈধ নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে তা কেটে যাবে। আমরা একটা কমিটি করেছি। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি জানতে চাইলে নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব নয় বলে জানান উপাচার্য। তবে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের বড়লেখা, জামালপুর সদর, শেরপুরের শ্রীবরদী, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যালয়ের তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়ার পরও কোনো কাজ না হওয়ায় গতকাল শিক্ষকনেতা মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, খাইরুন নাহার লিপিসহ একাধিক শিক্ষককে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ও আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করতে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষকনেতারা। গতকাল রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক চলছিল।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমরা যাঁরা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাঁদের হয়রানি করার জন্য ঢালাওভাবে বদলি করা হচ্ছে। আমরা সার্বিক বিষয়ে বৈঠক করছি। আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে।’
এদিকে চতুর্থ দিনের মতো গতকাল বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করে বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা। তিন দফা দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মবিরতির কারণে দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন অভিভাবকেরা।
পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় পরীক্ষা না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক শিক্ষক। এ ছাড়াও অনেক জায়গায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে পরীক্ষার দায়িত্ব নিলেন অভিভাবকেরা।
বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে গতকাল পিরোজপুরের নেছারাবাদে উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে শিক্ষকেরা আন্দোলন করতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি করার জেরে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক অভিভাবকের ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন এক সহকারী শিক্ষক। রাজিব সরকার নামের ওই শিক্ষক বনওয়ারিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান জানান, যৌক্তিক দাবিতে চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করেছিলেন রাজিব ও তাঁর সহকর্মীরা। অভিভাবক পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি সেখানে গিয়ে শিক্ষকদের মারধর করেন। এতে সহকারী শিক্ষক রাজিবের মাথা ফেটে গেছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়াও কোনো কোনো জায়গায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলার ১৫১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দু-তিনটি ছাড়া কোনোটিতেই হয়নি পরীক্ষা। গতকাল সকালে সহকারী শিক্ষকেরা প্রধান শিক্ষকদের পরীক্ষা নিতে বাধা দেন এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলের ফটক থেকে ফিরিয়ে দেন। পরে বিভিন্ন স্কুলের কক্ষে তালা মেরে তাঁরা উপজেলা চত্বরে সমাবেশে যোগ দেন। উপজেলার ষাটমা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেন অভিভাবকেরা।
একইভাবে কুষ্টিয়া শহরতলির ১৮ নম্বর লাহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকেরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে নিজ উদ্যোগে পরীক্ষার আয়োজন করেন। প্রশ্ন বিতরণ, খাতা সংগ্রহ, শৃঙ্খলা রক্ষা সবকিছুই সামলান তাঁরা। একপর্যায়ে অভিভাবকদের তীব্র চাপ ও বিক্ষোভের মুখে প্রায় এক ঘণ্টা পর বার্ষিক পরীক্ষা নিতে বাধ্য হন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জামালপুর সদর উপজেলার গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার শ্রীবরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়ে তালা ভেঙে বার্ষিক পরীক্ষা নিয়েছেন অভিভাবকেরা। কোনো কোনো জায়গায় উপজেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করে।
জামালপুরের গুয়াবাড়ীয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক রেনুকা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সারা বছরের পর এই বার্ষিক পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকি। যখন বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে, তখন সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এটা কোনো শিক্ষকের কাজ হতে পারে? তাঁদের এই কর্মবিরতি অন্য সময়ও করতে পারতেন। তাই আমরা সব অভিভাবক মিলে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করেছি।’
সার্বিক বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, ‘১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পে-কমিশনের সুপারিশ লাগবে। সেটিও চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের অপেক্ষা করা দরকার ছিল।’
দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন গত ৮ নভেম্বর। এই আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষকেরা। পরদিন ৯ নভেম্বর থেকে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি সারা দেশে সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। আন্দোলনের তৃতীয় দিন (১০ নভেম্বর) সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড নির্ধারণের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা।
সরকারের এই আশ্বাসের পর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সহকারী শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় নতুন করে গত ৩০ নভেম্বর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষকেরা।

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
গত রোববার (৩০ নভেম্বর) ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘এ-১’ (বিজ্ঞান) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২৫০, ‘এ-২’ (আর্কিটেকচার) ফি ১ হাজার ৪০০ এবং ‘বি’ (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য) ইউনিটের আবেদন ফি ১ হাজার ২০০ টাকা।
২০২৪ অথবা ২০২৫ সালের এইচএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা আলিমবা ডিপ্লোমা ইন কমার্স বা সমমান, ২০২২ অথবা ২০২৩ সালের এসএসসি (সাধারণ বা কারিগরি) বা দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া শেষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ১৩ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা ১৪ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করার নিয়ম, বিস্তারিত তথ্য, আবেদন ফি এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি ভর্তি-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট-এর ভর্তি নির্দেশিকায় পাওয়া যাবে।

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১২ ঘণ্টা আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়। আজ থাকছে ব্যাংকে নিয়মিত ব্যবহৃত এমন ১০টি ইংরেজি বাক্য। চলুন শিখে নিই—

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

চীনের সিকিউইউ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপের আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশটির চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। বৃত্তিটি ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য। চংকিং বিশ্ববিদ্যালয় চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ গবেষণাবান্ধব ও সমৃদ্ধ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। ১৯২৯ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। আধুনিক ক্যাম্পাস, অত্যাধুনিক ল্যাব-সুবিধা, আন্তর্জাতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং বৈশ্বিক মানের গবেষণা সুযোগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বজুড়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করে।
সুযোগ-সুবিধা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিটি সম্পূর্ণ অর্থায়িত। বৃত্তিটিতে আবেদন করতে কোনো ফি লাগবে না। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে। ক্যাম্পাসের ভেতরে বিনা মূল্যে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এটা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বড় স্বস্তির বিষয়। জীবনযাপনের ব্যয় হিসেবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ৩ হাজার আর পিএইচডি শিক্ষার্থীদের সাড়ে ৩ হাজার চায়নিজ ইউয়ান দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীর অবশ্যই চীনের নাগরিকত্ব থাকা যাবে না। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। একাডেমিক যোগ্যতার ক্ষেত্রে, মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে এবং বয়স ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য থাকতে হবে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৪০ বছর। ভাষাগত দক্ষতার ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন অনুযায়ী পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় তথ্য
প্রথমে প্রয়োজন হবে ‘চায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ অ্যাপলিকেশন ফরম, বিস্তারিত সিভি, নোটারাইজড করা সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট। সঙ্গে যুক্ত করতে হবে স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), রিচার্জ প্রপোজাল এবং দুজন অধ্যাপকের পক্ষ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার। নন-ক্রিমিনাল সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রসমূহ
বিশ্ববিদ্যালয়টি ফ্যাকাল্টি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের অধীনে রয়েছে মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, ভাষা, সাংবাদিকতা, আইন, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞানসহ বিস্তৃত বিষয়ের সমাহার। পাশাপাশি ফ্যাকাল্টি অব দ্য বিল্ড এনভায়রনমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য আর্কিটেকচার, আরবান প্ল্যানিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশবিজ্ঞান এবং রিয়েল এস্টেট ম্যানেজমেন্টের মতো পেশাদারি ক্ষেত্রের সুযোগ রয়েছে। প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সমৃদ্ধিশালী বিভিন্ন বিষয়।
আবেদন পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬।

গত ৫ আগস্টের বিশাল রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যে সবার নজর থাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনের দিকে।
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
তিন দফা দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সহকারী শিক্ষকেরা। পরীক্ষা বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের ওপর ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করায় পিরোজপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা...
১২ ঘণ্টা আগে
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
১ দিন আগে
ব্যাংকিং খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের শুধু আর্থিক জ্ঞানই নয়, প্রয়োজনীয় ইংরেজি জানাও জরুরি। নিয়মিত ব্যবহৃত ইংরেজি জানা থাকলে গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়। গ্রাহকদেরও কিছু সাধারণ ব্যাংকিং ইংরেজি জানা থাকলে সুবিধা হয়।
১ দিন আগে