Ajker Patrika

আগামী ১০ বছরে সবাই আমাদের সৃজন ও অগ্রগতি বুঝতে পারবে

পল্লব আহমেদ সিয়াম
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭: ০৫
আগামী ১০ বছরে সবাই আমাদের সৃজন ও অগ্রগতি বুঝতে পারবে

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় গত ২২ নভেম্বর ৪৫ বছরে পদার্পণ করল। একুশ শতকের উপযোগী গ্র্যাজুয়েট, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি পল্লব আহমেদ সিয়াম

প্রশ্ন: ৪৪ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে কতটা সফল বলে আপনার মনে হয়?
উত্তর: বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য থাকা উচিত জ্ঞান সৃজন ও জ্ঞান বিতরণ। পঠনপাঠনের সার্বিক দিক থেকে আমরা ঠিকই আছি। হয়তো উন্নত দেশগুলোর শিক্ষার মানের থেকে পিছিয়ে আছি। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।  আমাদের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। আগামী ১০ বছরে সবাই আমাদের সৃজন ও অগ্রগতি বুঝতে পারবে। 

প্রশ্ন: ৪৪ বছরে গবেষণার ক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী?
উত্তর: গবেষণার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডিংটা আছে কি না, সে ব্যাপারে আমি খুব বেশি নিশ্চিত নই। আমাদের গবেষক সংখ্যা ও শিক্ষকদের মনোনিবেশ উল্লেখযোগ্য। প্রশাসন গবেষকদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকে। গবেষকদের জন্য বিভিন্ন সহযোগিতা চালু রেখেছে। শুধু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের গবেষক যাঁরা, তাঁরাও বিশ্বের ভালো জার্নালে জায়গা করে নিতে পারেননি।

প্রশ্ন: আবাসিক হলগুলোতে খাবারের দামের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। হলগুলোতে ভর্তুকি বাড়ানোর ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা আছে? 
উত্তর: জীবনে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এই সমস্যার পুরো সমাধান করতে পারবে না। এখানে ব্যবস্থাপনার সমস্যা আছে। অতৃপ্তি থাকলেও আবাসিক হলের থেকে বেশি আশা করাটাও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এই সময় শিক্ষার্থীরা যে খাবার খাচ্ছে, এটা তাদের জন্য একেবারেই কাম্য নয়। আমরা কয়েক মাস আগে ভর্তুকি বাড়িয়েছি। এগুলো চাইলেই তো পারি না। ইচ্ছা আছে কিন্তু সাধ্য নেই। আমার সন্তানদের যে খাবার দেব, তা দিতে পারি না। তবে আমাদের যতটুকু দেওয়ার, আমরা চেষ্টা করছি। 

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নেই। আপনি কি এ ব্যাপারে কিছু ভাবছেন? 
উত্তর: এটা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই নেই। পুরো বাংলাদেশের কথা বাদ দিয়ে তো আমি একা ভাবতে পারি না। যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একমত হয় ছাত্র সংসদ নিশ্চিত করার ব্যাপারে, তাহলে আমরাও তাদের সঙ্গে থাকব।

প্রশ্ন: সরকারঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের পক্ষে স্মার্ট ক্যাম্পাস নিয়ে আপনি কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করছেন?
উত্তর: সময়মতো কার্য সম্পাদন হলো স্মার্ট কাজ। আমরা এখনই আমাদের ক্যাম্পাসকে স্মার্ট ক্যাম্পাস ঘোষণা করব, বিষয়টা এমন নয়। কখন কীভাবে স্মার্ট ক্যাম্পাসে যাব, তা-ও বলা যাচ্ছে না। আমরা এরই মধ্যে ইপেমেন্ট ও প্রাতিষ্ঠানিক মেইল সেবা বাস্তবায়ন করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল করেছি। ধীরে ধীরে স্মার্ট ক্যাম্পাস হবে। 

ড. শেখ আবদুস সালামপ্রশ্ন: স্মার্ট ক্যাম্পাস ও অনলাইন ক্লাস—এগুলোর জন্য দরকার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইন্টারনেট। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পরিকল্পনা কী?
উত্তর: আমি আইসিটি সেলকে বলে দিয়েছি, প্রজেক্ট দিন, আমি টাকাপয়সা দিয়ে দেব। এটা পরিকল্পনায় আছে। আমরা খুবই দ্রুত বেনিফিট দেখতে চলেছি।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই।
উত্তর: আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জায়গা থেকে দ্রুত দৌড়াতে চাই না। ঠিক যতটুকু প্রয়োজন, ধীরে ধীরে প্রয়োজনমতো এগোতে চাই। নির্দিষ্ট সময়ে যতটুকু সম্ভব মানোন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।

প্রশ্ন: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ৩ বছর পার করেছেন। উপাচার্য হিসেবে আপনার সফলতা-ব্যর্থতার মূল্যায়নে কী বলবেন।
উত্তর: আমার সাফল্য বা ব্যর্থতার মূল্যায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা করতে পারবেন। নিজের সাফল্য বা ব্যর্থতার মূল্যায়ন নিজে করা যায় না। তবে বলতে পারি, অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে থেকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো খাত উন্নতির দিকে রয়েছে। আমার ৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় অহেতুক এক দিনও বন্ধ হয়নি। এটা একটা বড় ব্যাপার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। 

প্রশ্ন: বিভিন্ন ছুটিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে ১৭৮ দিন। মাসের হিসাবে ৬ মাস। প্রতি সোমবারের অনলাইন ক্লাস প্রায় বন্ধই বলা যায়। প্রতি সোমবারে আরও ৫২ দিন। মাসের হিসাবে ১ মাস ২২ দিন। মোট ৭ মাস ২০ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকে। এতে সেশনজট আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের ভাবনা কী? 
উত্তর: ছুটির ব্যাপারে আমাদের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দেখতে হবে। এমন তো না যে মারামারির কারণে এত দিন ছুটি। স্টেকহোল্ডাররা যদি মনে করেন, ছুটি কিছু কমানো যায়, তাহলে তাঁদের সেই তালিকা দিতে আহ্বান করব। আমরা সেটা বিবেচনা করব। নতুন বছরে সোমবারের বিষয়টা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে অনলাইন ক্লাস সোমবার, এটা ছুটির মধ্যে পড়ে না। এই দিন শিক্ষকেরা অনলাইন ক্লাসের উপস্থিতি বিবেচনা করেন এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম চালু থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: ৪২ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি

জবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎

বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা। ‎

‎তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। তাঁদের একজন সম্পাদক এবং অপর দুজন কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী। পাশাপাশি অন্যান্য প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি।

খাদিজাতুল কুবরা বলেন, প্রার্থীর এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সনদে যে নাম আছে, এর পাশাপাশি তাঁর পরিচিত নাম প্রার্থী তালিকায় না থাকায় ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে।‎

‎প্যানেলের দাবি, অবিলম্বে ওই ৪২ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হোক। একই সঙ্গে জকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থী ও প্যানেলের প্রতি সমান, নিরপেক্ষ ও ন্যায়সংগত আচরণ নিশ্চিতের দাবিও জানানো হয়। ‎

‎গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের মোট ৩৪টি পদের বিপরীতে ২৪৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২৪ নভেম্বর প্রাথমিক তালিকায় ২৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ‎

এরপর ১১ ডিসেম্বর জকসুর ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়েন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৪২ জন প্রার্থী।

৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে। আর ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল

কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এর আগে আবেদনের কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল

সম্প্রতি কৃষি গুচ্ছের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিতে আবেদনের সময়সীমা ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আবেদন শুরু হয় গত ২৫ নভেম্বর থেকে।

এবার কৃষি গুচ্ছের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ৩ হাজার ৭০১টি। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা।

কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: জবি উপাচার্য

জবি প্রতিনিধি 
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা
মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: আজকের পত্রিকা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই আমাদের এ নতুন বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।’ আজ ‎রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ‎

‎জবি উপাচার্য বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্নে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু ৫৪ বছরে আমরা সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছি, যার মূল্য দিতে হয়েছে ২৪-এর জুলাই–আগস্টে বহু ছাত্র–জনতাকে।’ ‎

তিনি আরও বলেন, ‘একটি বৈষম্যহীন সমাজ এবং বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের স্বপ্ন পূরণ হবে। বাংলাদেশ একটু একটু করে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‎

‎এর আগে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়। ‎এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত