Ajker Patrika

বিদেশের ৫ স্কুল

মুসাররাত আবির
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯: ২০
বিদেশের ৫ স্কুল

বিদেশে যে কেবল স্নাতক, স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি করতে যাওয়া যায়, তা কিন্তু নয়। ছোটরাও বাইরের যেকোনো দেশের স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশোনা করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ অভিভাবকই এ নিয়ে বিস্তারিত হয়তো জানেন না। বাংলাদেশের স্কুলপর্যায়ের শিক্ষার্থীরা পড়তে পারে—এমন পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আজকের আয়োজন।ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব কুয়ালালামপুর
মালয়েশিয়া
এই স্কুলে যুক্তরাজ্যের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। এখানে আপনার সন্তানকে প্রাথমিক স্তর থেকে গ্রেড ১২ পর্যন্ত পড়ানো যাবে। বড় ক্যাম্পাসের পাশাপাশি এই স্কুলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, বিশাল পাঠাগার, বিজ্ঞান ভবন এবং মেকার স্পেস রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থীদের ভাষা, শিল্প, গণিত, সামাজিক পাঠ, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন এবং বিজ্ঞান পড়ানোর পাশাপাশি ভিজ্যুয়াল আর্টস, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা দেওয়া হয়। তাদের পাঠ্যক্রমে স্বাস্থ্য, সার্ভিস লার্নিং, দলীয় সংগীত পরিবেশন, ব্যান্ডসংগীত এবং সাসটেইনিবিলিটি এডুকেশনের মতো সমসাময়িক বিষয়াবলিও আছে। এখানে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা শেখানো হয় বিশেষভাবে। শ্রেণিভেদে এখানে বার্ষিক পড়াশোনার খরচ ১৫ লাখ ২০ হাজার থেকে ৩১ লাখ টাকা। ওয়েবসাইট: https://www.iskl.edu.my/

American-school-of-dubaiআমেরিকান স্কুল অব দুবাই
সংযুক্ত আরব আমিরাত 
এ বিদ্যালয়টি নির্মিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালে ২৩ একর জমির ওপর। এখানে রয়েছে ১০০টি ক্লাসরুম, ২টি বিশাল গ্রন্থাগার, ৬৩০ সিটের পারফর্মিং আর্ট থিয়েটার, ১টি ব্ল্যাক বক্স থিয়েটার, ব্যান্ডরুম, আর্ট স্টুডিও, ইনডোর ও আউটডোর রানিং ট্র্যাক, ক্লাইম্বিং ওয়াল, ফিটনেস সেন্টার, ২টি ২৫ মিটার সুইমিংপুল, মেকার স্পেস, ৫টি বিজ্ঞান ও কম্পিউটার ল্যাব, ২টি ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি। এখানে ৮০টির বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে। আমেরিকান স্কুল অব দুবাইয়ে ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, ক্রিয়েটিভ আর্টস, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ওয়ার্ল্ড ল্যাঙ্গুয়েজসহ ৩৫টির বেশি কোর্স অফার করা হয়। এখানে প্রি-কিন্ডারগার্টেন থেকে গ্রেড ১২-এর শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। শ্রেণিভেদে এখানে বার্ষিক পড়াশোনার খরচ ১৭ লাখ ৩০ হাজার থেকে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওয়েবসাইট: https://www.asdubai.org/

International-School-of-Genevaইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব জেনেভা (ইকোলিন্ট)
সুইজারল্যান্ড
১৯২৪ সালে যাত্রা শুরু করা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব জেনেভায় (ইকোলিন্ট) ১৩০টির বেশি দেশের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনা করছে। এখানে আপনার সন্তানকে প্রি-স্কুল থেকে শুরু করে গ্রেড ১৩ পর্যন্ত পড়াতে পারবেন। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, ফরাসি ভাষা, গণিত, জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, প্রযুক্তি, আরবি ভাষা, শারীরিক শিক্ষা, সংগীতসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। পাশাপাশি নৃত্যকলা, দাবা, থিয়েটার, স্কি, ভিজ্যুয়াল আর্টসহ আরও অনেক সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ তৈরি করা হয়। এখানে যেমন ঐতিহাসিক ভবনের আদলে তৈরি বিল্ডিং আছে, তেমনি আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত ক্লাসরুমেরও দেখা পাওয়া যায়। শ্রেণিভেদে এখানে বার্ষিক পড়াশোনার খরচ হবে ২৫ লাখ ১৭ হাজার থেকে ৩৩ লাখ  টাকা। ওয়েবসাইট: https://www.ecolint.ch/en

Doha-British-Schoolদোহা ব্রিটিশ স্কুল
কাতার
১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলে ব্রিটিশ পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। যুক্তরাজ্য থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা শিক্ষকেরা এখানে ক্লাস নেন। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, ফরাসি ভাষা, গণিত, জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, প্রযুক্তি, আরবি ভাষা, শারীরিক শিক্ষা, সংগীতসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। পাশাপাশি ৫০টির বেশি সহশিক্ষা কার্যক্রম এবং ফরাসি ভাষা, স্প্যানিশ ও আরবি ভাষা শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত আছে। এখানেও প্রি-স্কুল থেকে গ্রেড ১৩ পর্যন্ত পড়ানো যায়। এখানে আছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার রুম, আউটডোর গেমস কোর্ট, বাস্কেটবল কোর্ট, ফুটবল মাঠ, বিজ্ঞানাগার, অ্যাডভেঞ্চার প্লে গ্রাউন্ড, গ্রন্থাগার, ইনডোর জিমনেসিয়াম। শ্রেণিভেদে এখানে বার্ষিক পড়াশোনার খরচ ৬ লাখ ৬৫ হাজার থেকে ২০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ওয়েবসাইট: https://www.dohabritishschool.com/

International-School-of-Amsterdamইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব আমস্টারডাম 
নেদারল্যান্ডস
৬০টির বেশি দেশের প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী পড়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব আমস্টারডামে। এখানে সন্তানকে প্রি-স্কুল থেকে শুরু করে গ্রেড ১২ পর্যন্ত পড়ানো যাবে। এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতে পারে। ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, ফরাসি ভাষা, গণিত, জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা, ইতিহাস, ভূগোল, মনোবিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা, প্রযুক্তি, আরবি ভাষা, শারীরিক শিক্ষা, সংগীতসহ বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হয়। পাশাপাশি মডেল ইউনাইটেড নেশনস, বিতর্ক, সংগীত, দাবা, ভলিবল, রাগবি, গলফসহ অনেক সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। শ্রেণিভেদে এখানে বার্ষিক পড়াশোনার খরচ ২৭ থেকে ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ওয়েবসাইট: https://www.isa.nl/

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত