Ajker Patrika

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসে পড়তে চাইলে

ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১: ১৯
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসে পড়তে চাইলে

পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বা জনস্বাস্থ্য হচ্ছে এমন একটা বিজ্ঞান এবং শিল্প, যা ব্যক্তি, সম্প্রদায়, সমাজ, সংস্থা ও সমাজে বিরাজমান আরও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, মানবস্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং দীর্ঘায়িত সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা দেয়। পাবলিক হেলথের বা জনস্বাস্থ্যের বিষয়বস্তু হচ্ছে, মানুষের রোগ নিয়ে গবেষণা ও প্রতিরোধে পদ্ধতি-ব্যবস্থাপনার আবিষ্কার। 

পড়ার যোগ্যতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিষয়ে পড়াশোনা করতে চাইলে এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হবে। এ বিষয়ে পড়ার জন্য এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এ ছাড়া উভয় পরীক্ষায় টোটাল জিপিএ সর্বনিম্ন ৯.০০ পয়েন্ট থাকতে হবে। পাশাপাশি জীববিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে এ গ্রেড থাকতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এসব প্রোগ্রামে ভর্তি হতে মেডিকেল সায়েন্স, সোশ্যাল সায়েন্স, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স বিষয়ে অনার্স পাস হতে হবে। 

কোথায় পড়া যাবে
বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস কোর্সটি ২০১১ সালে চালু হয়। এখানে স্নাতকের পাশাপাশি মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারির মধ্যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। তবে বেশ কটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু আছে। এর মধ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি রয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) থেকে এমবিবিএস ডাক্তাররা মাস্টার্স (এমপিএইচ) ডিগ্রি নিতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমবিবিএস ডাক্তারদের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। 

যেসব কোর্সে পড়ানো হয় 
পাবলিক হেলথ একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়। প্রোগ্রামটিতে বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার কম্বিনেশন রয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে স্নাতক (বিপিএইচ) প্রোগ্রামে—ইন্ট্রোডাকশন টু পাবলিক হেলথ, বেসিক বায়োকেমিস্ট্রি, মেন্টাল হেলথ, হিউম্যান অ্যানাটমি, এপিডেমিওলজি, বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, অকুপেশনাল হেলথ, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট, রিপ্রোডাকটিভ অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ, হেলথ এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন, গ্লোবাল হেলথ, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ, ফুড সেফটি অ্যান্ড হেলথ ইত্যাদি কোর্স পড়ানো হয়। পাশাপাশি মাস্টার্স (এমপিএইচ) প্রোগ্রামে-অ্যাডভান্স এপিডেমিওলজি, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, বায়োইনফরমেটিকস, ট্রপিক্যাল ডিজেস, আরবান হেলথ, অ্যাডভান্স বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, অ্যাডভান্স পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, অ্যাডভান্স এনভায়রনমেন্টাল হেলথ এবং গ্লোবাল মেন্টাল হেলথ ইত্যাদি কোর্সে পড়ানো হয়। 

চাকরি বা কর্মসংস্থান কোথায়
পাবলিক হেলথে চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। এখান থেকে অ্যাকাডেমিয়া, ইন্ডাস্ট্রি, রিসার্চ ইনস্টিটিউট, সরকারি অফিসার, নন-গভার্নমেন্ট অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে। বেশ কিছু মাল্টিন্যাশনাল এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন অর্গানাইজেশনে জবের সুযোগ রয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অর্গানাইজেশনের মধ্যে—আইইডিসিআর, আইসিডিডিআরবি, ডব্লিউএইচও, ইউএনএফপিএ, ইউএনডিপি, ইউএস ভলান্টিয়ার, এডিবি, ইউএনএআইডিএস, ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন, ওয়াটার এইড, ইউনিসেফ, জাইকা, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে বিশাল কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। এ ছাড়া হেলথ এডুকেশন, হসপিটাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, এপিডেমিওলজিস্ট, স্পেশালিস্ট হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। 

পড়ার খরচ 
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকসে স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ খুবই কম। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রোগ্রামে ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য ২ থেকে ৮ লাখ টাকা গুনতে হতে পারে। তবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি টাকা গুনতে হতে পারে। 

জনস্বাস্থ্যে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশে পাবলিক হেলথ বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিভিন্ন কারণে সৃষ্ট নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি, যেমন—করোনা, বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, জিকা, কলেরা, বসন্ত, মহামারি এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য, যেমন—বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ ও গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অপরিসীম। করোনা মহামারির পর পাবলিক হেলথের গুরুত্ব মানুষ বুঝতে পেরেছে। একটা মহামারি পুরো দেশ বা বিশ্বকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেয়। এই মহামারি থেকে জনগণকে সচেতন করা এবং রোগ থেকে রক্ষা করতে পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের অনেক বড় ভূমিকা থাকে। করোনা মহামারির সময় মানুষকে সচেতন ও শিক্ষাদানে পাবলিক হেলথ গ্র্যাজুয়েটরা কাজ করেছেন। দেশে নানাবিধ রোগব্যাধির পাশাপাশি হেলথ সেক্টরে জটিলতা রয়েছে। তাই পাবলিক হেলথে গ্র্যাজুয়েটদের প্রয়োজন আছে। বর্তমানে আমাদের হেলথ সেক্টরটগুলো ক্লিনিক পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তাই গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সরকারিভাবে সুনির্দিষ্ট কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। তারা প্রতিটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারলে সবার স্বাস্থ্যগত দিকের উন্নতি হবে। এ ছাড়া হেলথ সেক্টরের পলিসি লেভেলে গ্র্যাজুয়েটদের গুরুত্ব অনেক বেশি।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি উন্নত দেশগুলোতে পাবলিক হেলথে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাবলিক হেলথের ওপর স্কুল রয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অনার্স (বিপিএইচ), মাস্টার্স (এমপিএইচ), এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামের ওপর বৃত্তি দিয়ে থাকে। পাবলিক হেলথে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রচুর বৃত্তি, অনুদান এবং অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হয়। পাবলিক হেলথের ওপর ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল হেলথ অ্যাসোসিয়েশন, ডেভিড এ. উইস্টোন হেলথ পলিসি স্কলারস প্রোগ্রাম, এনভায়রনমেন্টাল পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ, জর্জিয়া হেলথ ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ, টেক্সাস মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, ট্রুমান স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি অব সান ফ্রান্সিসকো, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস পাবলিক হেলথ স্কলারশিপ ইত্যাদি বৃত্তি দেওয়া হয়। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হার্ভার্ড, জন হপকিন্স ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ইউনিভার্সিটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেছেন। 

ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত