রাহুল শর্মা, ঢাকা

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (ফোসেপ) প্রকল্পে (১ম সংশোধিত)।’
তবে এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রকল্পের মূল কাজ ভবন নির্মাণ ও পদ সৃজনের পরিবর্তে কেনা-কাটায় বেশি মনোযোগ দেখা গেছে। এই কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় একাধিক তদন্ত কমিটিও হয়েছে। দুই দফায় প্রকল্প পরিচালক বদল করা হয়েছে। তবে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি প্রকল্পটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাউশির বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে ব্যয় ২ হাজার ৫৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা করা হয় এবং দুই দফায় দুই বছর করে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। সম্প্রতি প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়াতে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হলেও তা নাকচ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে বিভিন্ন কলেজে ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবন ও ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণ এবং কয়েকটি ভবন সংস্কার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০টি কলেজে অফিস সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী, বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি ও আসবাব সরবরাহ এবং ১ হাজার ৯১৪টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কথা। বাজারের চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালু, ৮ হাজার ৬২৫টি বিজ্ঞান শিক্ষকের ও হোস্টেলের কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজনও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চারটি কলেজ ও একটি হোস্টেলের জন্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার ৪০২ টাকার আসবাব কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। দরপত্রের শর্তে ৬৫৬টি সিঙ্গেল খাট সরবরাহের কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেয় ৪১৭টি। বাকি ২৩৯টি খাট না দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এসব খাটের মূল্য হিসেবে অতিরিক্ত ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬২০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একইভাবে আরেকটি দরপত্রে মালপত্র সরবরাহ না করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পিপিআর, ২০০৮ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে চুক্তি না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে একটি দরপত্রে ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯২ টাকা এবং অন্যটিতে ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। আসবাব কেনাকাটার একটি কাজকে একাধিক প্যাকেজে ভাগ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩০ টাকা। আর অর্থবছরের শেষ সময়ে কেনাকাটা করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ২২৭ টাকা।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সামগ্রী উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার কথা। কিন্তু কেনা হয়েছে কোটেশন পদ্ধতিতে। এতে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৫ হাজার টাকা অনিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রয় কাজে সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে বিমা কভারেজ না খোলায় ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৩ টাকা, প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সম্মানী দেওয়ায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এসব অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত রোববার ফোসেপ প্রকল্পের কার্যালয়ে গেলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আপনি জানেন আমি কে? আপনি যা পারেন লিখে দেন। আমি কোনো বক্তব্য দেব না।’
অভিযোগ তদন্তে কমিটি, তদন্তে দুদকও
প্রকল্পের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, এই প্রকল্পে শুরু থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বেশি অভিযোগ কেনাকাটায় অনিয়ম নিয়ে। অভিযোগ তদন্তে একাধিক কমিটিও হয়েছে। তবে কোনো কমিটিই প্রতিবেদন দেয়নি। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া একাধিক কর্মকর্তাকে পরে ক্রয় কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ইতিপূর্বে দুই প্রকল্প পরিচালক যথাক্রমে অধ্যাপক নুরুল হুদা এবং ড. খন্দকার মুজাহিদুল ইসলামকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর ড. খন্দকার মুজাহিদুল হককে সরিয়ে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেনকে। তবে অভিযোগে লাগাম পড়েনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হলেই প্রকল্পের অর্থ ও ক্রয় শাখার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। গত ৬ বছরে ছয়জন গবেষণা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের কেনাকাটাসহ সব নথি সংরক্ষণ করেন হিসাবরক্ষক মো. শাহ আলম শিকদার। প্রকল্পের কেনাকাটার বেশ কিছু নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত বছরের ২৪ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতেই এসব নথি গায়েব করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মে বাধা হওয়ায় সম্প্রতি উপ-প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা বেগমকে অন্যত্র বদলি করানো হয়েছে।
নথি গায়েবের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত সোমবার শাহ আলম শিকদারকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন ও এসএমএস করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রকল্পের পূর্ত অংশে মনিটরিংয়ের নামে কোটি কোটি টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকল্প পরিচালক শরফুদ্দীন মোহাম্মদ আবু ইউসুফ মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কেনাকাটায় হঠাৎ তাড়াহুড়ো
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার তথ্য বলছে, প্রকল্পের ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবনের মধ্যে ৮৬টি ভবন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৮৬টি ভবনের কাজ চলছে। বাকি ৪টি জায়গা না পাওয়াসহ নানান জটিলতায় স্থগিত রয়েছে। ১৩টি ছাত্রাবাসের মধ্যে ৯টি শেষ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ২২টি ছাত্রীনিবাসের মধ্যে ১৪টি সম্পূর্ণ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হয়েছে ৬টির, মেরামত হয়েছে ৫টি ভবনের।
তবে প্রকল্পের কেনাকাটায় অগ্রগতি বেশি। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ২০০টি ফটোকপিয়ার, ৬০০টি মাইক্রোওভেন-ফ্লাক্স ও ফ্রিজ, ২০০ ক্যামেরা, ১৮২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), ১ লাখ ৬ হাজার ৯২৬টি আসবাব, ১০ হাজার ৫২০টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, ১ হাজার ২০০ সেট ল্যাবরেটরি সরঞ্জামাদি, হোস্টেলের জন্য ১৫ হাজার ৯৩০টি আসবাব, ৪৬টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৮ হাজার ৫৫০টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৬টি এসি, ৯৯ হাজার ৯৯৫টি আসবাব, ১৩ হাজার ২৮৬টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ২০টি আসবাব, হোস্টেলের জন্য ২৪টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ৪৬১টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে। লিফট ও জেনারেটর কেনাও প্রায় অর্ধেক শেষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকে এই প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ সৃজন, নতুন ১০ বিষয় চালু, ভবন নির্মাণে জোর দেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বেশি মনোযোগ কেনাকাটায়। এসব কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান প্রকল্প পরিচালকের চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র ১ মাস।
প্রকল্প নিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পে যারা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না হয়।

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ (ফোসেপ) প্রকল্পে (১ম সংশোধিত)।’
তবে এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে। শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রকল্পের মূল কাজ ভবন নির্মাণ ও পদ সৃজনের পরিবর্তে কেনা-কাটায় বেশি মনোযোগ দেখা গেছে। এই কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় একাধিক তদন্ত কমিটিও হয়েছে। দুই দফায় প্রকল্প পরিচালক বদল করা হয়েছে। তবে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারেনি প্রকল্পটি।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মজিবর রহমান বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মাউশির বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ ৩২ হাজার টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। পরে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সংশোধন করে ব্যয় ২ হাজার ৫৫০ কোটি ১৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা করা হয় এবং দুই দফায় দুই বছর করে মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। সম্প্রতি প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়াতে পরিকল্পনা কমিশনে চিঠি দেওয়া হলেও তা নাকচ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে বিভিন্ন কলেজে ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবন ও ৩৫টি হোস্টেল নির্মাণ এবং কয়েকটি ভবন সংস্কার করা হচ্ছে। এ ছাড়া ২০০টি কলেজে অফিস সরঞ্জাম, কম্পিউটার সামগ্রী, বিজ্ঞানের যন্ত্রপাতি ও আসবাব সরবরাহ এবং ১ হাজার ৯১৪টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনের কথা। বাজারের চাহিদার আলোকে ১০টি নতুন বিষয় চালু, ৮ হাজার ৬২৫টি বিজ্ঞান শিক্ষকের ও হোস্টেলের কর্মচারীর ৪৫৫টি পদ সৃজনও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত।
শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চারটি কলেজ ও একটি হোস্টেলের জন্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ২ হাজার ৪০২ টাকার আসবাব কিনতে দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। দরপত্রের শর্তে ৬৫৬টি সিঙ্গেল খাট সরবরাহের কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেয় ৪১৭টি। বাকি ২৩৯টি খাট না দিলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এসব খাটের মূল্য হিসেবে অতিরিক্ত ৫৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬২০ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। একইভাবে আরেকটি দরপত্রে মালপত্র সরবরাহ না করলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পিপিআর, ২০০৮ অনুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে চুক্তি না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে একটি দরপত্রে ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৯২ টাকা এবং অন্যটিতে ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯০০ টাকা। আসবাব কেনাকাটার একটি কাজকে একাধিক প্যাকেজে ভাগ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১৯ কোটি ১৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩০ টাকা। আর অর্থবছরের শেষ সময়ে কেনাকাটা করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৯ কোটি ১৪ লাখ ১৩ হাজার ২২৭ টাকা।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিপিপির নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সামগ্রী উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার কথা। কিন্তু কেনা হয়েছে কোটেশন পদ্ধতিতে। এতে ৯ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৫ হাজার টাকা অনিয়মিতভাবে পরিশোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্রয় কাজে সাধারণ বীমা করপোরেশন থেকে বিমা কভারেজ না খোলায় ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৩ টাকা, প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সম্মানী দেওয়ায় দেড় লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
এসব অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত রোববার ফোসেপ প্রকল্পের কার্যালয়ে গেলে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আপনি জানেন আমি কে? আপনি যা পারেন লিখে দেন। আমি কোনো বক্তব্য দেব না।’
অভিযোগ তদন্তে কমিটি, তদন্তে দুদকও
প্রকল্পের নথিপত্র ঘেঁটে জানা যায়, এই প্রকল্পে শুরু থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বেশি অভিযোগ কেনাকাটায় অনিয়ম নিয়ে। অভিযোগ তদন্তে একাধিক কমিটিও হয়েছে। তবে কোনো কমিটিই প্রতিবেদন দেয়নি। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া একাধিক কর্মকর্তাকে পরে ক্রয় কমিটিতে যুক্ত করা হয়েছে। প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ইতিপূর্বে দুই প্রকল্প পরিচালক যথাক্রমে অধ্যাপক নুরুল হুদা এবং ড. খন্দকার মুজাহিদুল ইসলামকে সরিয়ে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তদন্ত করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর ড. খন্দকার মুজাহিদুল হককে সরিয়ে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় অধ্যাপক ড. মো. মাহমুদ হোসেনকে। তবে অভিযোগে লাগাম পড়েনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেন, অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরাগভাজন হলেই প্রকল্পের অর্থ ও ক্রয় শাখার কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। গত ৬ বছরে ছয়জন গবেষণা কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের কেনাকাটাসহ সব নথি সংরক্ষণ করেন হিসাবরক্ষক মো. শাহ আলম শিকদার। প্রকল্পের কেনাকাটার বেশ কিছু নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গত বছরের ২৪ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, দুর্নীতি ও অনিয়ম ঢাকতেই এসব নথি গায়েব করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মে বাধা হওয়ায় সম্প্রতি উপ-প্রকল্প পরিচালক রওশন আরা বেগমকে অন্যত্র বদলি করানো হয়েছে।
নথি গায়েবের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত সোমবার শাহ আলম শিকদারকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন ও এসএমএস করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
প্রকল্পের পূর্ত অংশে মনিটরিংয়ের নামে কোটি কোটি টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকল্প পরিচালক শরফুদ্দীন মোহাম্মদ আবু ইউসুফ মন্তব্য করতে অপারগতা জানান।
কেনাকাটায় হঠাৎ তাড়াহুড়ো
প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পর্যালোচনা সভার তথ্য বলছে, প্রকল্পের ১৭৬টি ছয়তলা একাডেমিক ভবনের মধ্যে ৮৬টি ভবন হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ৮৬টি ভবনের কাজ চলছে। বাকি ৪টি জায়গা না পাওয়াসহ নানান জটিলতায় স্থগিত রয়েছে। ১৩টি ছাত্রাবাসের মধ্যে ৯টি শেষ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ২২টি ছাত্রীনিবাসের মধ্যে ১৪টি সম্পূর্ণ হয়েছে, বাকিগুলোর কাজ চলছে। ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ হয়েছে ৬টির, মেরামত হয়েছে ৫টি ভবনের।
তবে প্রকল্পের কেনাকাটায় অগ্রগতি বেশি। প্রকল্পের আওতায় ইতিমধ্যে ২০০টি ফটোকপিয়ার, ৬০০টি মাইক্রোওভেন-ফ্লাক্স ও ফ্রিজ, ২০০ ক্যামেরা, ১৮২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), ১ লাখ ৬ হাজার ৯২৬টি আসবাব, ১০ হাজার ৫২০টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, ১ হাজার ২০০ সেট ল্যাবরেটরি সরঞ্জামাদি, হোস্টেলের জন্য ১৫ হাজার ৯৩০টি আসবাব, ৪৬টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৮ হাজার ৫৫০টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৬টি এসি, ৯৯ হাজার ৯৯৫টি আসবাব, ১৩ হাজার ২৮৬টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ২০টি আসবাব, হোস্টেলের জন্য ২৪টি টেলিভিশন ও ডিপ ফ্রিজ, হোস্টেলের জন্য ৪ হাজার ৪৬১টি আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে। লিফট ও জেনারেটর কেনাও প্রায় অর্ধেক শেষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শুরু থেকে এই প্রকল্পের মূল কাজ অর্থাৎ বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ সৃজন, নতুন ১০ বিষয় চালু, ভবন নির্মাণে জোর দেওয়া হয়নি। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বেশি মনোযোগ কেনাকাটায়। এসব কেনাকাটায় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে। বর্তমান প্রকল্প পরিচালকের চাকরির মেয়াদ আছে মাত্র ১ মাস।
প্রকল্প নিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রকল্পে যারা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
৬ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১০ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।
১৩ ঘণ্টা আগেসোহানুর রহমান, জবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’
ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’
ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।
প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।
ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’
ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’
স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’
ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
২২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১০ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।
১৩ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।
‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷
মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।
পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় ৮৬০টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৮৫ জন পরীক্ষার্থী লড়বেন। আর ‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) ৫২০টি আসনের বিপরীতে ২০ হাজর ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। বিজ্ঞান অনুষদে ৮৬০ আসনের বিপরীতে ৭২ হাজর ৪৭৪ জন আবেদন করেছে। প্রতি আসনের জন্য ৪০ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা মোট ১২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকার বাহিরে তিনটি কেন্দ্র, কুমিল্লা বিশ্বিবদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হবে। ঢাকার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে পরীক্ষা হবে। ঢাকার ভেতরের কেন্দ্র সমূহ হলো— জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, কে এল জুবিলি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, বিইএএম মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ।
‘সি’ ইউনিটে (বাণিজ্য অনুষদ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে বাংলাবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গভর্মেন্ট মুসলিম হাই স্কুল কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৷
মোট ১০০ মার্কের পরীক্ষায় ৭২ মার্ক এমসিকিউ ও বাকী ১৮ মার্ক থাকবে এসএসসি (সমমান) ও এইচএসসি (সমমান) ফলাফলের ওপর। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন গণিত অথবা জীব বিজ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। ‘সি’ ইউনিটে ইংরেজি, গাণিতিক বুদ্ধিমত্তা ও হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ বিষয়ে প্রশ্ন আসবে।
পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন হয়েছে। এবার পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবার ঢাকার বাহিরে খুলনা, রাজশাহী ও কুমিল্লা পরীক্ষা কেন্দ্র রাখা হয়েছে।
বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, আমাদের ৫২০ আসনের বিপরীতে ২০ হাজার ৫৩৭ জন আবেদন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার মধ্যে আরও ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাহিরে কোন কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না।
এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লখ্য, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। কলা ও আইন অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
২২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
৬ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন
১১ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস পর্বের সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস একটি প্রাণবন্ত গেমিং অঙ্গনে রূপ নেয়। অনলাইন বাছাইপর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়ে। চার ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এই বিভাগে ‘লোয়ার-ব্র্যাকেট’ থেকে উঠে এসে গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘ন্যাক্সার ই-স্পোর্টস’কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ‘অলস্টারস’ দল।
‘মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং’ (MLBB) বিভাগে ‘ভাইপার স্ট্রাইকার্স’, ‘এফসি ২৫’ বিভাগে নিও এবং ‘ই-ফুটবল’ একক বিভাগে শাওন শান্ত ও দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, ই-স্পোর্টস ক্লাব ও পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনজনকে সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
বক্তারা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা এই আয়োজনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক প্রসারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এবারের আয়োজনে ইকুইপমেন্ট স্পন্সর ছিল কিয়ানস কালেক্টিবলস, টেক স্পন্সর এমএসআই এবং বেসিক স্পন্সর হিসেবে ছিল সিটি ব্যাংক। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল লিঙ্ক থ্রি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ডেইলি সান, দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ এবং ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খানসহ অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিস নাদিয়া আনোয়ার, উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান।
অনলাইন ও অন-ক্যাম্পাস পর্বের সমন্বয়ে আয়োজিত এই উৎসবে এআইইউবি ক্যাম্পাস একটি প্রাণবন্ত গেমিং অঙ্গনে রূপ নেয়। অনলাইন বাছাইপর্বে ৫১টি দল অংশ নেয়। সেখান থেকে ১৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে লড়ে। চার ম্যাচের রুদ্ধশ্বাস লড়াই শেষে ‘ব্ল্যাকবিয়ার্ড পাইরেটস’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এই বিভাগে ‘লোয়ার-ব্র্যাকেট’ থেকে উঠে এসে গ্র্যান্ড ফাইনালে ‘ন্যাক্সার ই-স্পোর্টস’কে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ‘অলস্টারস’ দল।
‘মোবাইল লিজেন্ডস ব্যাং ব্যাং’ (MLBB) বিভাগে ‘ভাইপার স্ট্রাইকার্স’, ‘এফসি ২৫’ বিভাগে নিও এবং ‘ই-ফুটবল’ একক বিভাগে শাওন শান্ত ও দলীয় বিভাগে পিএনজি বট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। এছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাব, ই-স্পোর্টস ক্লাব ও পারফর্মিং আর্টস ক্লাবকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়। তিনজনকে সেরা ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়।
বক্তারা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁরা এই আয়োজনের পেশাদার ব্যবস্থাপনা ও ব্যাপক প্রসারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এবারের আয়োজনে ইকুইপমেন্ট স্পন্সর ছিল কিয়ানস কালেক্টিবলস, টেক স্পন্সর এমএসআই এবং বেসিক স্পন্সর হিসেবে ছিল সিটি ব্যাংক। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার হিসেবে ছিল লিঙ্ক থ্রি। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে যুক্ত ছিল ডেইলি সান, দৈনিক যুগান্তর ও ডিবিসি নিউজ এবং ম্যাগাজিন পার্টনার ছিল কিশোর আলো।
উদ্বোধনী ও বিভিন্ন পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন এআইইউবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মঞ্জুর এইচ খানসহ অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
২২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
৬ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১০ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।
১৩ ঘণ্টা আগেজবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।
সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. ইমরানুল হক বলেন, এককভাবে নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আগামী বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৬-এ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক।
সকল পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সহসভাপতি পদে ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজম খাঁন, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেন ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়েশা সিদ্দিকা ডেইজী, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নাছির আহমাদ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তারেক মুহাম্মদ শামসুল আরেফীন এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাদী।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহমদ ইহসানুল কবীর, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আয়শা জাহান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তারেক বিন আতিক।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ড. ইমরানুল হক বলেন, এককভাবে নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে। নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আগামী বছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

সব মালপত্র (আসবাব) সরবরাহ না পেয়েও ঠিকাদারকে পুরো বিল দিতে কার্পণ্য করা হয়নি। আবার দুটি ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে অনেক বেশি দরে দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দরদাতাকে। খরচে এমন হাতখোলা মনোভাব দেখা গেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘সরকারি কলেজসমূহে...
২২ দিন আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে
৬ ঘণ্টা আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) ও ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ও ২৭ ডিসেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উভয় দিন পরীক্ষার সময় বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১ ঘন্টা।
১০ ঘণ্টা আগে
আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (এআইইউবি) কম্পিউটার ক্লাব (এসিসি) ও অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সহযোগিতায় চার দিনব্যাপী ‘এআইইউবি সাইবার গেমিং ফেস্ট ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন
১১ ঘণ্টা আগে