Ajker Patrika

গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা: স্থাপত্য বিভাগের প্রস্তুতি নেবে যেভাবে

মাহিরা তাজরী
আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩: ৫১
গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা: স্থাপত্য বিভাগের প্রস্তুতি নেবে যেভাবে

যেসব শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য আগ্রহী, বুয়েটের পাশাপাশি তাদের জন্য গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি পরীক্ষা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

আসনসংখ্যা
গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসনসংখ্যা ৩ হাজার ২৩১টি। এর মধ্যে চুয়েটে ৯৩১, কুয়েটে ১ হাজার ৬৫ এবং রুয়েটে মোট আসন ১ হাজার ২৩৫টি। 

আবেদনের যোগ্যতা ও মানবণ্টন
এসএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪.০০ হতে হবে। এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের গণিত, রসায়ন ও পদার্থ বিষয়ে পৃথক পৃথকভাবে জিপিএ ৫: ০০ পেতে হবে। ইংরেজি বিষয়ে গ্রেড পয়েন্ট ৪: ০০ থাকতে হবে।

দুটি গ্রুপে সাধারণত এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। 
ক. ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ।
খ. ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ।

‘ক’ গ্রুপে গণিতে ১৫টি প্রশ্নে ১৫০ নম্বর, পদার্থবিজ্ঞানে ১৫টিতে ১৫০, রসায়নে ১৫টিতে ১৫০ এবং ইংরেজি বিষয়ে ৫টি প্রশ্নের জন্য ৫০ নিয়ে মোট ৫০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

এদিকে গ্রুপ ‘খ’তে উপরিউক্ত প্রশ্নের সঙ্গে অঙ্কন ২০০ নম্বর নিয়ে মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। 
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রশ্নের ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। 

প্রস্তুতির শুরু এখনই 
২০২১ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল বেশ দেরিতে। তাই আমি পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করে অনলাইনেই একটা বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স করে ফেলি। এরপর পরীক্ষা শেষে জানুয়ারিতে মূল প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি। তাই তোমরাও এখনই নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলো। হাতে একেবারেই সময় নেই।

একেকজনের পড়াশোনার ধরন একেক রকম। তাই নিজের মতো করেই একটা রুটিন ঠিক করে ফেলো। এই সময়টায় মূল পাঠ্যবই ভালোমতো পড়ে শেষ করো, যাতে বেসিক খুব পরিষ্কার থাকে। এরপর চাইলে সহায়ক বই অথবা কোচিংয়ের লেকচারশিট দেখতে পারো। আর বিগত বছরের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন দেখে কী কী পড়া লাগবে সেটারও একটা চার্ট করে ফেলো।

পরীক্ষা শুরুর এক মাসের মধ্যেই সব বিষয়ের প্রস্তুতি শেষ করে নেওয়া ভালো। এই সময়ে নতুন কিছু শেখার চেয়ে আগে যা পড়া হয়েছে, ওটাই বেশি করে অনুশীলন করতে হবে। যেমন্‌—আমি এই সময়ে অঙ্কগুলো আবার শুরু থেকে করতাম। এটা আমার ভর্তি প্রস্তুতিতে অনেক সহায়তা করেছিল। আর আগের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন অবশ্যই সমাধান করতে হবে। তাহলে যেসব বিষয়ে তোমার সমস্যা আছে, তা খুঁজে বের করতে পারবে। প্রশ্নের ধরন সম্পর্কেও একটা ধারণা তৈরি হবে। আর মনে রাখতে হবে, তোমাদের মতো অন্যরাও প্রথমবারই পরীক্ষা দিচ্ছে, তাই টেনশন করবে না। 

আর্কিটেকচারের জন্য প্রস্তুতি 
একটি ভবনের মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে স্থাপত্য। গণিত, বিজ্ঞান ও শৈল্পিক ভাবনার সমন্বয়ে ভবনের নকশা ও নির্মাণশৈলীই হলো স্থাপত্য। এখানে শিল্প বা কলা ও প্রকৌশলেরও সংমিশ্রণ আছে।

আমার আর্কিটেকচার বা স্থাপত্য বিভাগের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রথম ধাপ ছিল আর্কিটেকচারের প্রশ্নের ধরনটা জানা। আর আমার আগে থেকেই আর্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা ছিল, তাই প্রস্তুতি নেওয়াটা সহজ হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষার সময় স্কেল ব্যবহার করা যায় না। তাই আমি ভালোমতো সরলরেখা টানা অনুশীলন করেছি। গুগল ও পিন্টারেস্টের মতো অনলাইনের অনেক ওয়েবসাইট থেকে এগুলো নিয়ে ভালো আইডিয়া পাবে। 

আর্কিটেকচারের জন্য যেসব বিষয় ভালোমতো অনুশীলন করতে হবে
পার্সপেক্টিভ, জিওমেট্রিক, কম্পোজিশন—এসব বিষয় আমাদের নতুন করে জানতে হয় ৷ এগুলো বেশি করে অনুশীলন করবে। এর মধ্য দিয়ে নিজের একটা আঁকার ধরন বের হয়ে আসে। 

যেসব বই পড়তে পারো
মূল বই তো অবশ্যই পড়বে। আমি আর্কিটেকচারের জন্য বুয়েট স্থাপত্য বিভাগের ‘সৌপ্তিক ১৭’ ব্যাচের প্রকাশিত বইটি পড়েছিলাম। আর কোচিংয়ের এক সেট বই ফলো করেছি। তবে আমি সব সময় মনে করি, বই অনেকগুলো না পড়ার চেয়ে নিজের যেই বই থেকে পড়তে সুবিধা মনে হয়, ওইটা ভালো করে পড়ে বেশি বেশি অনুশীলন করা উচিত।

সব শেষে বলতে চাই, কিছুতেই মনোবল হারানো যাবে না। পড়ালেখা কম করে থাকলেও দৃঢ় মনোবল থাকা লাগবে। ভর্তি পরীক্ষার সময় অনেক মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

তাই অনুকূল ও প্রতিকূল দুই ধরনের ফলাফলের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে। সবার জন্য শুভকামনা।

মাহিরা তাজরী, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী, গুচ্ছ ইঞ্জিনিয়ারিং (স্থাপত্য বিভাগ) 

অনুলিখন: মুসাররাত আবির

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত