Ajker Patrika

ভর্তি প্রস্তুতির পরামর্শ: ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট

ফাহিম শাহরিয়ার
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫: ৪৬
ভর্তি প্রস্তুতির পরামর্শ: ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট

উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনেকেরই স্বপ্ন থাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে প্রয়োজন হয় সঠিক পরিকল্পনার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে আমাদের আজকের আয়োজনে ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরামর্শ।

মানসিক প্রস্তুতি 
এইচএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিন একটি পরীক্ষা শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের আরও একটি কঠিনতর এক যুদ্ধ তথা ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হয়। তবে হাজার হাজার ভর্তিচ্ছুর স্বপ্নের সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের একটি আসন নিশ্চিত করা চাট্টিখানি কথা নয়। এর জন্য প্রথমেই আমি কোন ইউনিটে পরীক্ষা দেব সেই সিদ্ধান্ত একদম শুরুতেই পাকাপোক্ত করে নিলে অ্যাডমিশন জার্নিটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং সে অনুযায়ী প্রথম থেকেই পড়াশোনা ছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়া প্রায় অসম্ভব। অনেক বেশি পড়াশোনা, অনেক বেশি শ্রম, অনেক বেশি ধৈর্য এবং অনেক বেশি ত্যাগের মানসিক প্রস্তুতি এবং সৃষ্টিকর্তার ওপর অটল বিশ্বাস নিয়েই এই যুদ্ধের ময়দানে নামা উচিত।

বিগত বছরের প্রশ্ন সম্পর্কে ধারণা
প্রস্তুতির একদম শুরুতেই একজন ভর্তিচ্ছু যে ইউনিটে পরীক্ষা দেবে সেই ইউনিটে কেমন প্রশ্ন হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে। অনেকেই পরীক্ষার একদম শেষ মুহূর্তে এটি করে থাকে। এই কাজটি একটি মারাত্মক ভুল। কেননা, এই প্রশ্ন বিশ্লেষণ করার মাধ্যমেই বুঝে ওঠা সম্ভব ঠিক কোন কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন হয় এবং কোন কোন টপিক গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে আর কী কী বিষয় বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে সেই ইউনিটের প্রশ্নের মানবণ্টন, সময় সম্পর্কেও পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করলে পরীক্ষায় অনেক ভালো করা যায়। এটি মনে রাখা উচিত যে প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় কঠোর পরিশ্রমের চাইতে ‘স্মার্ট পরিশ্রম’ বেশি জরুরি। আর স্মার্ট এই কাজের অংশ হিসেবে প্রশ্নব্যাংক বিশ্লেষণ অপরিহার্য।

টেক্সট পড়ার গুরুত্ব
অ্যাডমিশনে একটি জনপ্রিয় ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে কোচিং না করলে এবং বাজারে প্রচলিত মুখরোচক বই না পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ছোঁয়া যায় না। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত পাঠ্যবই এবং সেই বইয়ের শিখনফলের ওপর ভিত্তি করেই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করে থাকেন। টেক্সট বইয়ের কনসেপ্ট যদি ক্লিয়ার না থাকে তবে অ্যাডভান্স কোনো বিষয়েই ভালো করা সম্ভব নয়।

লিখিত নিয়ে দুশ্চিন্তা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই মানবিকের ইউনিটগুলোতে এখন লিখিত অংশ যুক্ত হয়েছে আর এই লিখিত পরীক্ষা ভর্তি-ইচ্ছুকদের ঘুম হারামের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই দুশ্চিন্তা দূর করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে নিয়মিত বাংলা ও ইংরেজিতে নিজের মতো করে যেকোনো বিষয়ে প্রতিদিন দু-এক পৃষ্ঠা করে লেখা এবং টিউটরের মাধ্যমে ভুল-ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা। এভাবে প্রতিদিন লিখলে এক থেকে দুই মাস পর খুব দারুণভাবে নির্ভুল লেখনশৈলী এবং ‘ফ্রি-হ্যান্ড রাইটিং’ আয়ত্তে আসবে। আর লেখার মান উন্নত করতে হলে নিয়মিত জাতীয় দৈনিকের মতামত পাতা পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

পত্রিকা পড়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কেন জাতির বিরহ-মিলন-আনন্দ-বেদনা-সংকট প্রত্যেকটি সময়ে পাশে থেকে দেশকে পথ দেখিয়েছে? কারণ তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে সদা সজাগ। সুতরাং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হতে হলে অবশ্যই প্রতিদিন বিশ্বে কোথায় কী হচ্ছে তা জানতে হবে। সাধারণ জ্ঞানের সাম্প্রতিক অংশের জন্য নিয়মিত পত্রিকা পড়লে খুব সহজেই সাম্প্রতিক প্রশ্নের অংশে অনেক ভালো নম্বর পাওয়া সম্ভব।

মডেল টেস্ট
প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে যেকোনো প্রসিদ্ধ কোচিং কিংবা একটি ভালো মডেল টেস্টের বই কিনে ঘড়ি ধরে নির্দিষ্ট সময়ে কমপক্ষে ৩০-৪০টি মডেল টেস্ট দিতে পারলে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার এবং সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা তৈরি হবে।

ওপরের কৌশলগুলো অবলম্বন, স্মার্ট পরিশ্রম এবং সৃষ্টিকর্তার ওপর অগাধ বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব ‘বুলেট কিংবা কবিতার ক্যাম্পাস’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির চায়ের সঙ্গে সফলতার হাসি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড তোমার সেই হাসি দেখার অপেক্ষায়। সবার জন্য শুভ কামনা।

ফাহিম শাহরিয়ার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ‘ঘ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রম ৩য় (বিজ্ঞান)

অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৪
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র‍্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এসএসসির ফরম পূরণ শুরু ৩১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আগামী বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে ৩১ ডিসেম্বর থেকে। যা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফি জমা দেওয়া যাবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে জিপিএ উন্নয়ন পরীক্ষার্থীসহ আবশ্যিক ও নৈর্বাচনিক বিষয় ও বিষয়গুলো এক থেকে চার বিষয়ে ২০২৫ সালে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের ২০২৬ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অকৃতকার্য বিষয় ও বিষয়গুলোতে অংশ নেওয়ার জন্য নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বরাবরে সাদা কাগজে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষা নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করবে।

আরও বলা হয়, বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফরম পূরণ করা যাবে ২০২৬ সালের ১২ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা হারে বিলম্ব ফিসহ অনলাইনে ফি জমা দেওয়া যাবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ফি (চতুর্থ বিষয় ছাড়া) ২ হাজার ৪৩৫ টাকা, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিকে ২ হাজার ৩১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের বেতন ও সেশন চার্জ হিসেবে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করতে হবে।কোনো শিক্ষার্থীর নবম ও দশম শ্রেণির মোট ২৪ মাসের বেশি বেতন নেওয়া যাবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিইউবিটিতে চতুর্থবারের মতো ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট’ আয়োজিত হচ্ছে। এই উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) স্থায়ী ক্যাম্পাসের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে গতকাল বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) ‘আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা রিজিওনাল কনটেস্ট ২০২৫’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল এবং ডিজিটাল মিডিয়ার সাংবাদিকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, যা ‘প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিক’ খ্যাত—আইসিপিসির এই রিজিওনাল পর্বটি ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ বিইউবিটি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, বিইউবিটি এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করার গৌরব অর্জন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিইউবিটির উপাচার্য ড. এ বি এম শওকত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের এবং এই আয়োজনের গর্বিত স্পনসরদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো সারা দেশ থেকে বাংলাদেশের সেরা প্রোগ্রামারদের খুঁজে বের করা এবং তাঁদের মেধা বিকাশের মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।’

শওকত আলী আরও জানান, এবারের আয়োজনে সারা বাংলাদেশ থেকে রেকর্ড সংখ্যক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। মোট ৩১৩টি টিমের ৯৩৯ জন মেধাবী প্রোগ্রামার এই চূড়ান্ত পর্বে লড়বেন, যা বাংলাদেশে আইসিপিসির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিইউবিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য মো. শামসুল হুদা এফসিএ।

এ ছাড়া সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তুলে ধরেন আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর আরসিডি (RCD) এবং বিইউবিটির সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সাইফুর রহমান এবং আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা সাইট ২০২৫-এর অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ও এনএসইউর ইসিই বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল লায়েস এম এস হক।

এ সময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস বিচারক (২০০৩-২০১৮) শাহরিয়ার মঞ্জুর এবং বিইউবিটির প্রকৌশল ও ফলিতবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিইউবিটির সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: তিন দিনেও প্রকাশ করা হয়নি ব্যালট নম্বর, প্রচারে নেমে বিপাকে প্রার্থীরা

  জবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪৫
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদের ‎আসন্ন নির্বাচনে ক্যাম্পাসে প্রচার শুরু হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। তফসিল অনুযায়ী টানা ১৩ দিন চলবে এই প্রচার। তবে প্রচার শুরুর পর তিন দিন পার হলেও প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা।

‎‎তফসিল সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর। প্রচারণার ১৩ দিন সময়ের ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচারণায় বাধার অভিযোগ তুলেছেন প্রার্থীরা।

‎‎শিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য প্যানেল’ থেকে ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ব্যালট নম্বর না থাকায় প্রচার ও পেপার ছাপাতে জটিলতা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে নাম সংশোধনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

‎ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেল’ থেকে জিএস প্রার্থী খাদিজাতুল কোবরা বলেন, ব্যালট নম্বর প্রকাশ না করায় প্রচার ব্যাহত হচ্ছে এবং এতে নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা ও স্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়। দ্রুত ব্যালট নম্বর প্রকাশের দাবি জানান তিনি।

‎স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী চন্দন কুমার দাস বলেন, শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দায়িত্বহীন। প্রার্থিতা ও আচরণবিধি-সংক্রান্ত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার পাশাপাশি ব্যালট নম্বর না দেওয়ায় প্রচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যা কোনো পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

‎‎এসব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। প্রার্থীদের নাম সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছে অনেকগুলো। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নাম সংশোধন বা নিকনেম রাখার জন্য কাজ করছি। ফলে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লাগছে।’

‎এর আগে ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়। নির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার, ১৪ ডিসেম্বর প্রত্যাহারকৃত তালিকা প্রকাশ করা হয়। ভোট গ্রহণের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর, ভোট গণনা ৩০ ডিসেম্বর (ভোট গ্রহণ শেষে) এবং ফলাফল ঘোষণা ৩০ অথবা ৩১ ডিসেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত