Ajker Patrika

মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা

বাংলা ইংরেজি গণিতে দক্ষতায় বিপর্যয়

রাহুল শর্মা, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ মে ২০২৫, ০৯: ০৫
বাংলা ইংরেজি গণিতে দক্ষতায় বিপর্যয়

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে দক্ষতা ব্যাপকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণিতে বিজ্ঞানে ৪৮ শতাংশ এবং গণিতে ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর দক্ষতার মান বেশ খারাপ।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের তৈরি ‘মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জাতীয় মূল্যায়ন-২০২৩’ গবেষণা প্রতিবেদনের খসড়ায় এ চিত্র পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে ফল খারাপ হওয়ার কারণ হিসেবে করোনা মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সামাজিক অস্থিরতা, দেরিতে শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়া এবং নতুন শিক্ষাক্রমের প্রচলনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে শিখন দক্ষতা বৃদ্ধিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক কাজী মো. আবু কাইয়ুম বলেন, ‘অংশীজনদের নিয়ে কর্মশালার মাধ্যমে গবেষণা প্রতিবেদনটি শিগগির চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।’ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ শিগগির এ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবে। প্রতি দুই বছর পর এ গবেষণা পরিচালিত হয়।

দেশের মাধ্যমিক স্তরের ১ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম ও দশম শ্রেণির ৫১ হাজার ১১৭ শিক্ষার্থীর ওপর গবেষণা চালানো হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল ৮১৫টি বিদ্যালয় ও ১৮৫টি মাদ্রাসা।

অষ্টম শ্রেণির চার বিষয় (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান) এবং দশম শ্রেণির তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) মূল্যায়ন পরীক্ষা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১২ জুলাই আগের বছরের ওই দুই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছিল।

প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের অর্জিত দক্ষতাকে পাঁচটি স্তরে (ব্যান্ড) ভাগ করে দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ব্যান্ড-২ খুবই খারাপ, ব্যান্ড-৩ খারাপ বা গড়পড়তা, ব্যান্ড-৪ মোটামুটি ভালো, ব্যান্ড-৫ ভালো এবং ব্যান্ড-৬ খুবই ভালো হিসেবে ধরা হয়।

অষ্টমে গণিতের ফল খারাপ ৪৭ শতাংশের

গবেষণার তথ্য বলছে, অষ্টম শ্রেণির ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর গণিতে দক্ষতার অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে ৯ শতাংশের অবস্থা খুবই খারাপ, ৩৮ শতাংশ খারাপ বা গড়পড়তা। বাকি ৫৩ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশের অবস্থা মোটামুটি ভালো, ১৭ শতাংশ ভালো এবং খুবই ভালো স্তরে আছে মাত্র ৬ শতাংশ।

তবে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবস্থা কিছুটা ভালো। আর দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবস্থা অষ্টম শ্রেণির চেয়ে তুলনামূলক ভালো। দশম শ্রেণির ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে খারাপ অবস্থায় আছে। এই শ্রেণিতে খুব খারাপ অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থী নেই। ভালো অবস্থায় আছে ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

ইংরেজির অবস্থাও আশানুরূপ নয়

গবেষণায় দেখে গেছে, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ২২ শতাংশের ইংরেজির অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে ৫ শতাংশের অবস্থা খুবই খারাপ। আর ১৭ শতাংশের অবস্থা খারাপ বা গড়পড়তা। এ বিষয়ে দক্ষতা মোটামুটি ভালো থেকে খুব ভালো পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৭৮ শতাংশ। দশম শ্রেণির ইংরেজি শিক্ষার্থীর ৮৪ শতাংশের অবস্থা ভালো এবং ১৬ শতাংশের অবস্থা খারাপ।

বাংলায় ২২ শতাংশের অবস্থা খারাপ

গবেষণার তথ্য বলছে, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাতৃভাষা বাংলায় ২২ শতাংশ শিক্ষার্থীর অবস্থা খারাপ। এর মধ্যে ৫ শতাংশের অবস্থা খুবই খারাপ। ১৭ শতাংশের অবস্থা খারাপ বা গড়পড়তা। বাকি ৭৮ শতাংশের অবস্থা ভালো। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলায় ১৬ শতাংশের অবস্থা খারাপ। আর বাকি ৮৪ শতাংশের অবস্থা মোটামুটি থেকে খুব ভালো।

অষ্টমে বিজ্ঞানে দুর্বল ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থী

গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, বিজ্ঞানে অষ্টম শ্রেণির ১৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর অবস্থা খুবই খারাপ এবং ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী খারাপ বা গড়পড়তা স্তরে আছে। এই দুই স্তর মেলালে অষ্টম শ্রেণির এ বিষয়ের ৪৮ শতাংশ শিক্ষার্থীরই অবস্থা খারাপ। মোটামুটি স্তরে আছে মাত্র ৩০ শতাংশ। বাকি ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী ভালো বা খুবই ভালো স্তরে আছে।

কয়েক বছর আগের চেয়ে ফল খারাপ

গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে দক্ষতা কমেছে। করোনা মহামারির কারণে ‘মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জাতীয় মূল্যায়ন-২০২১’ তৈরি হয়নি।

তথ্য বলছে, ২০১৯ সালে বাংলায় অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কোর ছিল ৪৩৭, যা ২০২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৪০৪-এ। ইংরেজিতে স্কোর ছিল ৩৮৯, যা কমে হয়েছে ৩৭৯। গণিতে ২০১৯ সালে স্কোর ছিল ৪২৪, যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯২-এ। একইভাবে ২০১৯ সালে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলায় স্কোর ছিল ৪৬২, যা কমে হয়েছে ৪১৩, ইংরেজিতে ৪১৫ থেকে কমে হয়েছে ৪০২ আর গণিতে ২০১৯ সালে স্কোর ছিল ৪৫৮, যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২৫-এ।

এগিয়ে খুলনা, পিছিয়ে সিলেট

গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, অষ্টম ও দশম শ্রেণিতে বাংলা ও গণিতে ভালো করেছে খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইংরেজিতে ভালো করেছে চট্টগ্রাম বিভাগের শিক্ষার্থীরা, বিজ্ঞানে রাজশাহী বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আর সব বিষয়ে খারাপ ফল করেছে সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বাংলা ও ইংরেজিতে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ভালো করেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শহরের শিক্ষার্থীরা গ্রামাঞ্চলের চেয়ে সব বিষয়ে ভালো ফল করেছে।

শিক্ষক ঘাটতির প্রভাব

শিক্ষাবিদদের মতে, দুর্যোগ-দুর্বিপাক এবং শিক্ষাক্রম ধরনের বিষয় ছাড়াও শিক্ষকের ঘাটতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতার জন্য দায়ী। মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান এমনটাই বললেন। তিনি বলেন, ‘মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলোতে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। অনেক প্রতিষ্ঠানে অন্য বিষয়ের শিক্ষকেরা এই বিষয়ের ক্লাস নেন। এর প্রভাব পড়েছে অষ্টম শ্রেণির গণিত ও বিজ্ঞানের ফলাফলে।’

অধ্যাপক হাফিজুর রহমান আরও বলেন, ‘শিখন ঘাটতি কমাতে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, তাদের যথাযথ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া ও পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া দ্রুত শিখন মান বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুবিতে জবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

কুবি প্রতিনিধি 
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ৮৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। ‘এ’ ইউনিটে ৮৬০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৪৭৪ জন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ চারটি অনুষদের ভবনে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একযোগে ১২টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে ঢাকার বাইরে কুমিল্লা, খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষায় ভূমিকা রয়েছে বিএসএমের

শিক্ষা ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

দেশে অণুজীববিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণা প্রসারে ‘বাংলাদেশ সোসাইটি অব মাইক্রোবায়োলজিস্টসের (বিএসএম)’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুনিরুল আলম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ ও বিএসএমের যৌথ উদ্যোগে গত ২১–২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৩৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অণুজীববিজ্ঞান গবেষণায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী, গবেষক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞ, শিল্পখাতের প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল অণুজীববিজ্ঞান ও সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোতে সাম্প্রতিক গবেষণা ও অগ্রগতি নিয়ে মতবিনিময় করা, বৈজ্ঞানিক সহযোগিতা জোরদার করা এবং সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর দিকনির্দেশনা প্রদান করা। সম্মেলনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০০-এর অধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় “Microbiomes for a Sustainable Future” সময়োপযোগী ছিল এবং মানব উন্নয়ন ও কল্যাণে অণুজীববিজ্ঞানের গুরুত্ব তুলে ধরতে সহায়ক হয়। সর্বমোট ২৮৮টি সারসংক্ষেপ (Abstract) গৃহীত হওয়ার পর সম্মেলনের ১২টি টেকনিক্যাল সেশনে ২টি প্লেনারি বক্তৃতা, ৮টি কীনোট বক্তৃতা, ৬টি আমন্ত্রিত বক্তৃতা, ৪টি ইয়াং সায়েন্টিস্ট টক, ৫৮টি মৌখিক উপস্থাপনা এবং প্রায় ২২৬টি পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এস. এম. এ. ফয়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ডা. মামুন আহমেদ। স্বাগতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাকিলা নার্গিস খান।

অনুষ্ঠানের শেষপর্বে সম্মেলন আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের (সিএআরএস) চিফ সায়েন্টিস্ট ডা. লতিফুল বারী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎জকসু নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন জামাল ভূঁইয়া

জবি প্রতিনিধি 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছেন বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া। ‎

আজ ‎বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। এ সময় শহীদ সাজিদ ভবন, প্রক্টর অফিস ঘুরে প্রোগোজ স্কুলের মাঠে সাংবাদিক ও ফ্যানদের সঙ্গে কথা বলেন এই ফুটবলার। ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এলাম। আমার অনেক ভালো লাগছে। এটি অনেক পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ৩০ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন। আপনাদের সবার প্রতি শুভকামনা। আমি আবার আসব ইনশা আল্লাহ।’ ‎

‎এ সময় জাতীয় ছাত্র শক্তি সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী মো. ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘আমরা স্পোর্টস কার্নিভালের সময় জামাল ভাইকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তখন শিডিউল না পাওয়ায় সম্ভব হয়নি। এই প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশ ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার জামাল ভূঁইয়া। তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নতুন ধারা উন্মোচিত হয়েছে।’ ‎

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ ফুটবলের জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎এ সময় এই সংবাদ সম্মেলনে প্যানেলটির ভিপি পদপ্রার্থী কিশোয়ার আনজুম সাম্য, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী ফেরদৌস হাসান সোহান, কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী সিনহা ইসলাম অর্না এবং ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের ক্রীড়া সম্পাদক কামরুল হাছান নাফিজসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচনে ব্যতিক্রমী প্রচারণায় প্রার্থীরা

সোহানুর রহমান, জবি
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৩৪
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশ। কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনের প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভিন্নমাত্রিক ও সৃজনশীল পদ্ধতি, যা শিক্ষার্থীদের মাঝে বাড়তি আগ্রহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।

জকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারণায় পোস্টার ও লিফলেটের মতো প্রচলিত প্রচারসামগ্রীর বাইরে গিয়ে লাল কার্ড, রঙিন প্ল্যাকার্ড ও হাতে বহনযোগ্য নানা প্রচারসামগ্রী ব্যবহার করছেন। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় আচরণবিধি মেনেই ভিন্ন কৌশলে ভোটারদের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রচারণার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের মন জয় করতে ব্যবহার করছেন এরোপ্লেন আকৃতির কাগজ, প্রতীকী নোট, কাপ, বোতল, প্রজাপতি, জকসু পাসপোর্টসহ নানা অভিনব উপকরণ। আকর্ষণীয় স্লোগান ও রঙিন ডিজাইনের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে নির্বাচনী অঙ্গীকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

প্রচারণায় প্রযুক্তির ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। কিউআর কোড সংযুক্ত প্রচারণা সামগ্রীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন স্ক্যান করে মুহূর্তেই প্রার্থীদের বিস্তারিত ইশতেহার ও পরিকল্পনা জানতে পারছেন।

ছাত্রদল-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুরু থেকেই আমরা জোরালো প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো এবং তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যেই আমি ভিন্নধর্মী প্রচার কার্ড ব্যবহার করছি।’

ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেলের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদপ্রার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘লিফলেট দিয়ে প্রচার করার ফলে ভোটাররা অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন, তাই এবার আমাদের অন্য রকম প্রচারণা। আমাদের বার্তাটি আকর্ষণীয়ভাবে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রম চালাচ্ছি।’

স্বতন্ত্র নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী আল শাহরিয়ার খান বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং প্রচারসামগ্রী যেন সংরক্ষণযোগ্য হয়, এই চিন্তা থেকেই আমি বিড়ালের আদলে কার্ড তৈরি করেছি।’

ছাত্রশক্তি-সমর্থিত ‘নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী ফয়সাল মুরাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাছে ইশতেহার পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সমস্যা ও প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আসিফের ফেসবুক পেজ রিমুভ করা হয়েছে, সংঘবদ্ধ রিপোর্টের অভিযোগ

আজকের রাশিফল: মানিব্যাগের দশা মরুভূমি, প্রেমের দুনিয়ায়ও দুর্ভিক্ষ

ছয় মাসের পরিচয়ে বিবাহিতাকে বিয়ের প্রস্তাব, প্রত্যাখ্যান করায় গুলি

অরুণাচলকে চীনের ‘মূল স্বার্থ’ বলছে পেন্টাগন, ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর হামলা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত