Ajker Patrika

জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখে রনি মিয়া

আপডেট : ০৮ জুন ২০২৪, ০৮: ০০
জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি  অব মিউনিখে রনি মিয়া

মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৪.১৭ পেয়ে এসএসসি এবং বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে জিপিএ-৩.৬৭ পেয়ে এইচএসসি সম্পন্ন করেন মো. রনি মিয়া। বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি জার্মানির সেরা টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখে (টিইউএম) পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। পড়াশোনা করছেন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম। 

প্রশ্ন: আপনার শৈশব ও বেড়ে ওঠা নিয়ে জানতে চাই। 
উত্তর: শৈশব কেটেছে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার সট্টি নামের একটি গ্রামে। শৈশবটা অনেক দুরন্ত কেটেছে। তবে বড় বোনের সুবাদে কৈশোর কেটেছে মানিকগঞ্জ শহরে। ছোটবেলা থেকে সবার মতো আমারও স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। বাবার ঢাকার ব্যবসায় লোকসান, গ্রামে ফিরে আসা এবং চার ভাই-বোনের লেখাপড়ার খরচ। বাবা, মা ও বড় ভাই-বোনের চোখে-মুখে ছিল দুশ্চিন্তার ছাপ।

প্রশ্ন: টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, অনুভূতি কেমন? 
উত্তর: অনুভূতি খুবই ভালো! তবে এখানে পড়াশোনা বেশ কঠিন। সম্পূর্ণ নতুন কারিকুলামে খাপ খাওয়াতে একটু সময় লাগবে।জার্মানিতে আসার পেছনে বড় অবদান আমার ভাই ও বোনের। তাঁরা অর্থনৈতিক ও মানসিকভাবে পাশে না থাকলে এটা কখনো আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাঁদের কাছে আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ। 

প্রশ্ন: আপনি কী ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন? 
উত্তর: স্কুলে থাকতে স্কাউটিং করেছি। পাশাপাশি আন্তস্কুল টুর্নামেন্টে ফুটবল খেলেছি। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং পাবলিক স্পিকিং ক্লাবের কো-কনভেনর ও ব্লাড ডোনেশেন গ্রুপের সদস্য ছিলাম। 

প্রশ্ন: জার্মানিতে স্নাতক প্রোগ্রামে পড়ার স্বপ্ন দেখলেন কখন থেকে? 
উত্তর: ২০১৮ সালে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি দেশে পড়াশোনা সম্পর্কে আংশিক ধারণা নেই।

প্রশ্ন: টিইউএমে পড়ার সুযোগ পাওয়ার পেছনের গল্প শুনতে চাই। প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলেন? 
উত্তর: দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ না পাওয়ায় কাছের মানুষটি ছেড়ে চলে যায়। তখন মনস্থির করি দেশে নয়, জার্মানিতে পড়তে যাব। কিন্তু জার্মানিতে পড়তে গেলে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৫ শতাংশ ক্রেডিট সম্পন্ন করে যেতে হয়। কিন্তু করোনা মহামারি সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত ও সিজিপিএ আশানুরূপ ছিল না। দীর্ঘ সময় পর সবকিছু স্বাভাবিক হলে ২০২২ সালে সেই লক্ষ্যে নতুন করে যাত্রা শুরু করি। সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে ১ বছর বা ২৫ শতাংশ ক্রেডিট শেষ করতে ভর্তি হই।

প্রচুর পরিশ্রমী হয়ে পড়াশোনা করি এবং ৩.৭৯ সিজিপিএ পেতে সক্ষম হই। পাশাপাশি ইংরেজিতে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে ডেইলি স্টার পত্রিকা পড়তাম। নিজে নিজে বাসায় স্পিকিং চর্চা করেছি ও প্রচুর বিবিসি শুনেছি। ভার্সিটিতে আবেদন করি ২০২৩ সালের ১২ মে। ১৫ দিন পর আমি টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ কলেজ থেকে চান্স পাওয়ার লেটার পাই। মেইলটা পড়ে আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না। তখন কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা ও পরিবারের সদস্যদের এই খুশির খবরটা জানাই। সিজিপিএ এবং মোটিভেশন লেটার ভালো থাকায় ভার্সিটির অ্যাপটিউট অ্যাসেসমেন্ট টেস্টের মাধ্যমে সরাসরি চান্স পেয়ে যাই। তাই আর ইন্টারভিউ দিতে হয়নি। 

প্রশ্ন: কোনো বাধা বা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে কি?
উত্তর: বড় প্রতিবন্ধকতা ছিল পরিবারের সদস্যদের বোঝানো। তাঁদের ধারণা ছিল, জার্মানিতে পড়তে যাওয়া অনেক টাকাপয়সার ব্যাপার। যদি পরে না যাওয়া যায়। এ ছাড়া স্পিকিং চর্চার জন্য বন্ধুদের কাছে হাসির পাত্র হয়েছি। তারা আমার নাম রেখেছিল ‘ইংলিশম্যান’। তবুও লক্ষ্য থেকে আমি পেছনে ফিরে যাইনি। ব্যাংকে স্টুডেন্ট ফাইল খুলতে গিয়ে ডলার-সংকটের কারণে বারবার ফেরত পাঠিয়েছে। সব মিলিয়ে ২৩ মাস অপেক্ষা করে ভিসা হাতে পেয়েছিলাম। এ সময়টা কঠিন ছিল।

প্রশ্ন: স্নাতক পর্যায়ে টিইউএমে আবেদনের জন্য কখন থেকে এবং কীভাবে প্রস্তুতি শুরু করা উচিত? 
উত্তর: জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দুইভাবে আবেদন করা যায়। ইউনি অ্যাসিস্টের মাধ্যমে এবং সরাসরি ভার্সিটির পোর্টালের মাধ্যমে। প্রথমত, ইউনি অ্যাসিস্ট নামে ওয়েবসাইটে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এরপর ভিপিডির জন্য আবেদন করতে হবে (সিজিপিএ জার্মান গ্রেডে কনভার্ট করে দেবে)। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পোর্টালের ডকুমেন্টস অপশনে আপলোড করতে হবে।

এরপর পেমেন্ট করতে হবে। যেকোনো ব্যাংকের ভিসা কার্ড দিয়ে একই সেশনে প্রথম পেমেন্টে (একটি ভার্সিটির জন্য) ৭৫ ইউরো ও পরবর্তী কোনো ভার্সিটির জন্য ভিপিডি নিতে হলে ৩০ ইউরো করে পেমেন্ট করতে হবে। ভিপিডি পাওয়ার জন্য ২৫-৪০ দিন সময় নিতে হবে। আর ইউনি অ্যাসিস্ট থেকে সরাসরি আবেদন পোর্টালে ডকুমেন্টস নামে একটি অপশন আছে। সেখানে ভার্সিটির চাহিদা অনুযায়ী সব ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে। আর কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করে দিলেই হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন: আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কী কী কাগজপত্র লাগবে? 
উত্তর: আবেদনে এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ এবং দেশে ১ বছর বা ক্রেডিটের সিজিপিএ সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া পাসপোর্ট, এসএসসি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, এইচএসসি সার্টিফিকেট ও মার্কশিট, ১ বছর বা ২৫ শতাংশ ক্রেডিটের মার্কশিট, মিনিমাম পাসিং গ্রেড সার্টিফিকেট (১ বছর বা ২৫ শতাংশ ক্রেডিট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিতে হবে); তবে যদি মার্কশিটে সর্বনিম্ন পাসিং গ্রেড উল্লেখ করা থাকে, তাহলে এটা আলাদা করে নিতে হবে না।পাশাপাশি ইউরোপাস সিভি, মোটিভেশনাল লেটার, আইইএলটিএস স্কোর ৬.৫ অথবা এমওআই, এক্সট্রা কারিকুলাম সার্টিফিকেট (যদি থাকে) থাকলে দিতে হবে। 

প্রশ্ন: টিইউএমে কী কী সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে? 
উত্তর: এখানে গবেষণাকেন্দ্রিক পড়াশোনা ও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করা হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি একজন শিক্ষার্থী সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা বা বছরে ২৪০ দিন ফুল ডে জব করার সুযোগ পাবেন। যেকোনো ধরনের কাজ ম্যানেজ করে করতে পারবেন। যেমন বিভিন্ন অফিস, শপিং মল বা রেস্টুরেন্টে কাজ করতে পারবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু নির্বাচন: প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ছাত্রদলের অর্ঘ্যসহ ৯ শিক্ষার্থী

জবি প্রতিনিধি 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা পুনর্বহাল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদসমূহের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫-এর ১৭ নম্বর বিধি অনুযায়ী গঠিত অভিযোগ ও নিষ্পত্তি কমিটি সাতজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে রিপোর্ট দিয়েছে। এ ছাড়া একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃক প্রমাণিত নয় বলে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং অপর একজন প্রার্থীর ডোপ টেস্ট রিপোর্ট-সংক্রান্ত জটিলতার মীমাংসা হওয়ায় মোট ৯ জনের প্রার্থিতা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

‎পুনর্বহাল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—সহসভাপতি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস, সহসাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. শাহিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোসা. উম্মে মাবুদা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তানভীর মাহমুদ (শিহাব), আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদপ্রার্থী অর্ঘ্য দাস, ক্রীড়া সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. তাসনিমুল হাসান, নির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ও মনিরুজ্জামান (মনির), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইমরান হোসেন। ‎

উল্লেখ্য, অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে গতকাল রোববার দাবি করেছিলেন ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও চিকিৎসক) ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছেন। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল। এ বিষয়ে তাঁর স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদন গতকাল প্রকাশিত হয়। সেখানেও বলা হয়, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

‎এর আগে ১১ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদে (জকসু) ২১ পদে ১৫৬ জন ও হল শিক্ষার্থী সংসদের ১৩ পদের বিপরীতে ৩৩ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। অর্থাৎ ৩৪ পদের বিপরীতে ১৮৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে বিভিন্ন অভিযোগ ও ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) উতরাতে না পারায় চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৪২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৮ ও হল শিক্ষার্থী সংসদে চার শিক্ষার্থী ছিলেন। এই ৪২ জনের মধ্যে আজ ৯ শিক্ষার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

শিক্ষা ডেস্ক
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা: ইংরেজি বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ সাজেশন (পর্ব-২)

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২৫ সামনে রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি বিষয়ের বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন কর পরিদর্শক (৪৩তম বিসিএস) মো. জাহিদুল ইসলাম (সজল)।

[গতকালের পর]

ভোকাবুলারি (৪-৫ নম্বর)

১. Synonyms & Antonyms:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেশি নতুন শব্দ মুখস্থ করার চেয়ে বিগত বছরের প্রশ্ন—বিশেষ করে বিসিএস ও প্রাইমারি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সমাধান করাই বেশি কার্যকর।

২. Spelling Correction:

Confusing spelling-এ বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রোগের নাম যেমন—Pneumonia, Typhoid, Diarrhoea, Cholera। এ ছাড়া Lieutenant, accommodate, committee, privilege, questionnaire, opportunity ইত্যাদি শব্দের বানান ভালোভাবে অনুশীলন করা প্রয়োজন।

৩. Idioms & Phrases:

পরীক্ষায় দু-একটি প্রশ্ন আসতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ idioms—At a glance, By heart, Bring about, Turn down, Keep pace with, Look forward to ইত্যাদি। পাশাপাশি বিগত বছরের বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা idioms and phrases ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। One word substitution টপিকটিও প্রস্তুতির অন্তর্ভুক্ত রাখা উচিত।

ইংরেজি সাহিত্য (১-২ নম্বর)

যদিও তুলনামূলকভাবে কম নম্বর আসে, তবু কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। Literary terms—simile, metaphor, plot, stanza, biography, autobiography, ballad, digressing, poetic justice, irony ইত্যাদি জানা থাকা প্রয়োজন।

জনপ্রিয় লেখক:

William Shakespeare, William Wordsworth, Charles Dickens, George Bernard Shaw, Ernest Hemingway, P. B. Shelley, John Keats—এরা গুরুত্বপূর্ণ।

এ ছাড়া কিছু বিখ্যাত গ্রন্থ ও লেখকের নাম জানা থাকা দরকার, যেমন—War and Peace, India Wins Freedom, The Politics, The Three Musketeers, Crime and Punishment, A Long Walk to Freedom, Animal Farm।

প্রস্তুতির বিশেষ নির্দেশনা

প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ইংরেজি ব্যাকরণ অনুশীলন করুন। নিয়মিত মডেল টেস্ট ও আগের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন। প্রতিদিন অন্তত ১০টি vocabulary শব্দ মুখস্থ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ছোট ইংরেজি প্যাসেজ পড়ে tense, verb ও article শনাক্ত করার চর্চা করুন। ভুল উত্তরগুলো আলাদা খাতায় নোট করে নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করুন।

ইংরেজি অংশে ভালো নম্বর পাওয়ার জন্য জরুরি হলো নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রতিটি গ্রামারের অধ্যায় থেকে ছোট ছোট অনুশীলনী সমাধান করা। ওপরের সাজেশন অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে পরীক্ষার্থীরা সহজে ইংরেজি অংশে উচ্চ স্কোর অর্জন করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করা যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি

শিক্ষা ডেস্ক
ইতালিতে ক্যামেরিনো বিশ্ববিদ্যালয়ে
বৃত্তি

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বৃত্তির আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তিটির জন্য আবেদন করা যাবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির আওতায় দেশটির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি প্রযোজ্য।

ইতালির মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনো দেশটির অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৩৩৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সমন্বয়ে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত। শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ, আধুনিক ল্যাব ও গবেষণাগার এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সহায়তা কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ রয়েছে।

বৃত্তির ধরন

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে পড়াশোনার জন্য একাধিক রকমের স্কলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এই বৃত্তি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত হয়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ইউনিক্যাম এক্সেলেন্স স্কলারশিপ। এটি মূলত মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ের উচ্চ ফলাফলধারী শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া হয়। ইউরোপজুড়ে শিক্ষার্থী বিনিময় ও মবিলিটির জন্য রয়েছে ইরাসমাস প্রোগ্রাম। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে মার্কে রিজিওনাল স্কলারশিপ।

সুযোগ-সুবিধা

ইতালির ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোর বিভিন্ন বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা পাবেন উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা। এসব বৃত্তির মাধ্যমে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক টিউশন ফি মওকুফের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাসিক জীবনযাত্রার খরচ বহনের জন্য ৩০০-৮০০ ইউরো পর্যন্ত স্টাইপেন্ড সুবিধা রয়েছে। যোগ্য শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে আবাসন অথবা স্বল্প খরচে ভর্তুকিযুক্ত আবাসনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেওয়া হবে হেলথ ইনস্যুরেন্স সুবিধা। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালিয়ান ভাষা শেখার কোর্সে অংশ নেওয়ার সুযোগও থাকছে।

আবেদনের যোগ্যতা

বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীরা বৃত্তিটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাজীবনে ভালো একাডেমিক ফলাফল থাকতে হবে। স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের সনদ থাকতে হবে এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস বাধ্যতামূলক নয়। তবে আবেদনকারীকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। যেমন ইংরেজি মাধ্যমে পূর্ববর্তী পড়াশোনার সনদ বা অন্য স্বীকৃত ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো

ইউনিভার্সিটি অব ক্যামেরিনোতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের আগ্রহ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। প্রধান একাডেমিক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, লাইফ সায়েন্সেস, আর্কিটেকচার ও ডিজাইন, সামাজিক বিজ্ঞান এবং ফার্মেসি ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান।

আবেদন পদ্ধতি

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মার্চ, ২০২৬।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জকসু ছাত্রদলের প্রার্থী অর্ঘ্য মাদকাসক্ত নন, ওষুধের কারণে ডোপ টেস্ট পজিটিভ: চিকিৎসক

জবি প্রতিনিধি 
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত
অর্ঘ্য দাস। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী অর্ঘ্য দাস মাদকাসক্ত নন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসার প্রয়োজনে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই তাঁর ডোপ টেস্টের (মাদক পরীক্ষা) রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ডাক্তার) ডা. শায়লা ফেরদৌস আহসান স্বাক্ষরিত এক চিকিৎসা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্ঘ্য দাস ছাত্রদল-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান প্যানেলের আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী। ডোপ টেস্টে ফল পজিটিভ আসায় ১১ ডিসেম্বর চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অর্ঘ্য দাস এপিলেপসি নামক স্নায়বিক রোগে আক্রান্ত এবং ২০০২ সাল থেকে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ সেবন করে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর রক্ত, প্রস্রাব ও অন্যান্য টিস্যুতে বেঞ্জোডায়াজেপিনের উপস্থিতি পাওয়া স্বাভাবিক এবং ডোপ টেস্টে ফল চিকিৎসাজনিত কারণে পজিটিভ আসতে পারে। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন থাকলেও ক্লিনিক্যালি ও মানসিকভাবে সুস্থ এবং ব্যক্তিগত ও আইনি সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সক্ষম। তিনি কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত নন।’

‎ড. শায়লা ফেরদৌস আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অর্ঘ্য দাস একটি স্নায়বিক সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট একটি ওষুধ সেবন করছে। ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ ফল এসেছিল।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অর্ঘ্য কোনো ধরনের নেশা বা মাদক গ্রহণ করে না। চিকিৎসাগত কারণে নেওয়া ওষুধের প্রতিক্রিয়াতেই এমনটা হয়েছে।’

অর্ঘ্য দাস বলেন, ‘আমি ২০০২ সাল থেকে স্নায়ুর রোগে ভুগছি এবং চিকিৎসকের পরামর্শে বেঞ্জোডায়াজেপিন গ্রুপের ওষুধ নিয়মিত সেবন করি। ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষায় নিশ্চিত নিশ্চত হওয়া গেছে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসা শুধুই এই ওষুধের কারণে, কোনো মাদক নয়। আমার সম্পর্কে মাদকসংশ্লিষ্ট অপপ্রচার আমাকে ও আমার পরিবারকে অসম্মানিত করেছে। অনুরোধ করছি, এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো বন্ধ করুন। আমি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আলো ছড়ান, ঘৃণা নয়।’ ‎

এদিকে, জকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে ৪২ প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদ-সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল। ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের সামনে আজ রোববার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি তোলেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী খাদিজাতুল কুবরা।

‎এর আগে, ৪ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জকসুর সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই তফসিল অনুযায়ী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত